#মন_নিয়ে_খেলা(৯)
*********************

সাদমানের জন্মদিন উপলক্ষে সব বন্ধু মিলে অনেক আনন্দ করল। যদিও অরণীর একবার ইচ্ছা হয়েছিল, আজকের দিনটা সে একা সাদমানের সঙ্গে কাটাবে; কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সবাই একসাথে উদযাপন করার ফলে, অনেক বেশি আনন্দ হয়েছে। মজাদার সব খাবার আর আড্ডার শেষে, বন্ধুরা সবাই সাদমানের মা-বাবার কাছ থেকে বিদায় নিল। বাইরে এসেও, সবাই মিলে কিছুক্ষণ আড্ডা চলল। সাদমান বন্ধুদের কাছ থেকে একটু দূরে এসে, অরণীকে বলল, তুমি এসেছ দেখে আজকের দিনটা এত সুন্দর হয়ে গেছে।

আচ্ছা, তুমি আমাকে আন্টির সামনে এমন একা রেখে চলে গেলে কেন?

কেন, কী হয়েছে? মা তোমাকে কিছু বলেছে?

কিছু বলেননি। আমার ফ্যামিলির কথা, পড়ালেখার কথা জিজ্ঞেস করলেন। আমি কিন্তু অনেক ভয় পেয়েছি। শুধু মনে হচ্ছিল, হঠাৎ করে যদি জিজ্ঞেস করেন, তোমার সাথে আমার কী সম্পর্ক?

তোমার সাথে আমার কী সম্পর্ক, এটা আমাদের বাসায় সবাই জানে।

আংকেলও জানেন?

মা একটা কথা জানলে, সেটা এমনিতেই বাবার কানে চলে যায়। সোহানা কিন্তু তোমাকে অনেক পছন্দ করেছে।

সোহানাকে আমারও অনেক ভালো লেগেছে।

তুমি খামোখাই আমাদের বাসায় আসতে ভয় পাচ্ছিলে! দেখলে তো, সবাই কত সহজভাবে তোমাকে নিয়েছে।

পাশ থেকে মৃদুল বলল, অরণী তোমার বাকি গল্প কালকে করো। আজকের মতো সাদমানকে ছেড়ে দাও। সাদমান এদিকে আয়।

অরণী, সাদমানকে বলল, এখন যেতে হবে। বেশি রাত করলে, আম্মু রাগ করবেন।

ঠিক আছে, যাও। কালকে দেখা হবে।

অরণী আর লুবনা, সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে, গাড়িতে উঠে বসল।

************

নীলোর্মির ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে, বুয়েটে এসে তার জীবনের পরিধিটা যেন হঠাৎ করেই অনেকটুকু বড়ো হয়ে গেল! তারা দুই বোন স্কুল-কলেজের পুরোটা কাটিয়েছে ভিকারুননিসা নূন এ। স্কুল থেকে বাড়ি, বাড়ি থেকে স্কুল, এই ছিল তাদের সীমারেখা। আর মা-বাবার হাত ধরে বিভিন্ন পার্টিতে আর দেশের বাইরে বেড়াতে যাওয়া। এর বাইরেও যে চমৎকার একটা পৃথিবী আছে, এটা বুঝতে তাদেরকে এত বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ছেলেমেয়েরা একে, অন্যের সঙ্গে আন্তরিকতা নিয়ে মিশছে। সবার মাঝে কী প্রাণবন্ত ভাব! নীলোর্মির কাছে শুরুতে ভীষণ অবাক লাগত। সে ক্লাসমেটদের সঙ্গে সহজভাবে মিশতেও পারছিল না। সারাজীবন সবার সঙ্গে একটা দুরত্ব রেখে মিশেছে তারা। মেয়েদের, সবার সঙ্গে এত খোলামেলাভাবে মেশাটা পূনমের পছন্দ ছিল না কখনোই; কিন্তু তিনি নিজে ঠিকই জীবনটাকে তাঁর ইচ্ছামতো যাপন করেছেন।

মাসখানেক পেরোনোর পর নীলোর্মি ধীরে, ধীরে সহপাঠীদের সঙ্গে মিশতে শুরু করল এবং একটা সময় সে নিজে ভীষণ অবাক হল, এই সহপাঠীরা কখন যেন তার বন্ধু হয়ে গেছে! এটার জন্য তাকে আলাদাভাবে কোনও চেষ্টা করতে হয়নি। বন্ধুদের বাড়িয়ে দেওয়া ভালোবাসার হাতটুকু ধরেই, সে নির্বিঘ্নে এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে গেছে। মাঝখানে একটু সময় লেগেছে, এই যা। এই কয়েক মাসে, অরণীর মতো তারও এখন বেশ কয়েকজন বন্ধু হয়েছে।

এখানে আসার পর, অরণীর বন্ধুদের সঙ্গেও তার বেশ একটা ভাব হয়ে গেছে। এতদিন সে কেবল লুবনা আর নিয়নকেই ভালোভাবে চিনত; কিন্তু এখন ইহান, সাদমানরাও বলতে গেলে ওর সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশে। বন্ধুর ছোটোবোন হিসেবে, সে অরণীর বন্ধুদের কাছ থেকে মজার, মজার খাবার আর গিফট পায়। বিষয়টা সে খুবই উপভোগ করে। নীলোর্মি কিছুদিন যাবত একটা বিষয় লক্ষ্য করছে। অরণী আর সাদমানের মধ্যে কিছু একটা তো ব্যাপার আছে। নীলোর্মির কয়েকবারই মনে হয়েছে, ওদের দু’জনের মধ্যে একটা রিলেশন আছে। কথাটা বড়ো বোনকে বলতেই, অরণী হেসে প্রসঙ্গ পালটে ফেলেছে বারবার। অরণী অস্বীকার করলেও নীলোর্মির মন বলছিল, এই ছেলেটা তার বোনকে ভালোবাসে; কিন্তু সে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছিল না। তবে গতকাল সে নিশ্চিত হয়েছে। গতকাল ক্লাস শেষ করে নীলোর্মি যখন অরণীর কাছে এসেছিল, তখন আড্ডার ফাঁকে, ইহান সাদমানকে বলেছিল, ‘তোর তো চাকরি না করলেও চলবে। তুই আর অরণী মিলে, তোর শ্বশুরের ব্যবসা সামলাবি।’

ইহানের কথার পর অরণী চকিতে নীলোর্মির দিকে তাকিয়েছিল। নীলোর্মি তখন কেবল হাসি বিনিময় করেছিল বোনের সঙ্গে। বাড়িতে ফেরার পথে গাড়িতেও কোনও কথা বলেনি। আজ সুযোগ পেয়ে সে অরণীকে জিজ্ঞেস করল, আপু সাদমান ভাইয়াকে তোমার কেমন লাগে?

সাদমানকে?

হুম।

ভালো লাগে।

কতটা ভালো?

অন্যদের যেমন ভালো লাগে, তেমনই ভালো।

অন্যদের মতোই? একটুও বেশি না?

সাদমানের কথা আলাদা করে কেন জিজ্ঞেস করছ, নীলোর্মি?

কারণ আমি জানি, তোমাদের মধ্যে রিলেশন চলছে।

অরণী চোখমুখ ফ্যাকাসে করে বলেছিল, তুমি জানো?

হুম।

কে বলেছে?

কেউ বলেনি। আমি শুরু থেকেই বুঝতে পেরেছি। তুমি আমার কাছে এতদিন ধরে বিষয়টা চেপে রাখলে কেন, আপু?

নীলোর্মি, তুমি আম্মুকে বলে দাওনি তো?

আম্মুকে বলব কেন?

আম্মুকে তো বলতে হয় না। আম্মু কীভাবে যেন সব জেনে যায়।

আপু, তুমি আমাকে কী মনে করো, বলো তো? আমি কী ছোটো বাচ্চা, যে আমি আম্মুকে গিয়ে তোমার রিলেশনের কথা বলে দেবো? আমি ভীষণ মন খারাপ করেছি। কেন তুমি এতদিন কথাটা বলোনি?

তুমি ছোটো মানুষ। আম্মুর সামনে হুট করে যদি তোমার মুখ দিয়ে সাদমানের কথা বেরিয়ে যায়, এই ভয়ে আমি তোমাকে বলতে চাইনি।

আপু, আমি মোটেও ছোটো মানুষ না। আমার আঠারো বছর হয়ে গেছে, বুঝেছ।

হুম বুঝলাম।

এখন সত্যি করে বলো, তোমরা প্রেম করছ না?

অরণী মাথা নেড়ে সম্মতি জানাল।

ইশ, আপু তুমি প্রেম করছ, আমার তো এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। আমিও কিন্তু একটা ছেলেকে পছন্দ করি।

তুমি কাকে পছন্দ করো!

এত অবাক হচ্ছ কেন? আমি কী কাউকে পছন্দ করতে পারি না? আমি কী প্রেম করতে পারি না?

সেটা বলিনি। কোন ছেলের কথা বলছ?

আছে একজন। এখন শুধু আমিই তাকে পছন্দ করছি। একতরফা যেটাকে বলে। ঐ ছেলেটা আমাকে পছন্দ করে কি না, এখনও জানি না।

তোমার ক্লাসমেট? বুয়েটের?

উহু।

তাহলে কে?

আমার কথা বাদ দাও। তোমার কথা বলো।

নীলোর্মি, আম্মু যখন আমাদের বিষয়গুলো জানতে পারবে, তখন কী হবে?

আম্মুর কষ্ট করে জানতে পারার দরকার কী? তুমি নিজে গিয়ে আম্মুর কাছে কনফেস করো।

আমি! আমি তো আম্মুকে বলার কথা চিন্তাই করতে পারি না৷ আমি কোনোদিন আম্মুকে বলতে পারব না।

কী বলো, তুমি? প্রেম করার সাহস করতে পেরেছ আর আম্মুকে বলার সাহস পাচ্ছ না? এটা একটা কথা হল?

তুমি বলতে পারবে?

অবশ্যই পারব। যখন আমি পুরোপুরি প্রেম করা শুরু করব, তখন অবশ্যই বলব। আচ্ছা আপু, তুমি এত ভীতু কেন?

জানি না।

আমরা কেন আম্মুকে এত বেশি ভয় পাই? বাবাকে তো আমরা ভয় পাই না। তাহলে আম্মুকে ভয় পেতে হবে কেন?

আম্মুকে ভয় পাই কারণ, ছোটোবেলা থেকেই আম্মু আমাদের ভয় দেখিয়ে বড়ো করেছেন আর বাবা তো আমাদের ভয় দেখিয়ে বড়ো করেননি। তাই বাবাকে ভয় পাই না। তোমার কী মনে পড়ে, বাবা কোনোদিনও আমাদের ধমক দিয়ে কথা বলেছেন?

উহু।

অথচ আম্মু আমাদের দুই বোনের পাশাপাশি, বাবার সাথেও কতো সময় খারাপ ব্যবহার করেন। আমার তখন ভীষণ খারাপ লাগে বাবার জন্য।

আপু, আমরা তো আম্মুর ভয়ে চুপ করে থাকি। বাবাও কেন আম্মুর খারাপ ব্যবহার সহ্য করেন?

জানি না। আমি কিন্তু একদিন বাবাকে ফোনে কথা বলতে শুনেছি।

কী কথা, আপু?

বাবা, চাচ্চুকে বলছিলেন, ‘মাঝে, মাঝে ওর আচরণ একদম সহ্যের বাইরে চলে যায়।’

প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি, বাবা কার কথা বলছেন। পরে যখন বললেন, ‘ওর বড়ো কোনও মানসিক সমস্যা আছে, ও আমার মেয়েদের সাথেও এখনই ভালো আচরণ করে, তো পর মুহূর্তে খারাপ আচরণ করে। কী করব বলো? সে যে কখন কী চায়, এত বছরেও ঠিকমতো বুঝতে পারলাম না।’

চাচ্চু কী বলছিল, সেটা তো আমি শুনতে পাইনি; কিন্তু বাবা মন খারাপ করে বলছিলেন, ‘বাইরে থেকে সমাধান দেওয়াটা সহজ; কিন্তু ভেতরের অবস্থাটা, যে সহ্য করে, সে-ই জানে।’

আমার এত কষ্ট লাগছিল বাবার কথাগুলো শুনে। একবার মনে হয়েছিল, বাবার হাত ধরে বসে থাকি। বাবা লজ্জা পাবেন ভেবে পারে আর যাইনি।

বাবা লজ্জা পাবেন কেন?

আমি যে পেছন থেকে কথা শুনেছি, এটা তো বাবা বুঝতে পারেননি।

আম্মু তখন কোথায় ছিল?

কোথায় ছিল জানি না। বাসায় ছিল না।

আপু শোনো, তোমাকে একটা কথা বলি, এতদিন ছোটো ছিলাম, আম্মুর ভয়ে সবকিছু চুপচাপ সহ্য করেছি। আমি এখন থেকে আম্মুর ইশারা মতো আর চলব না। আমার নিজের কাছে যেটা ঠিক মনে হবে, আমি সেটাই করব।

নীলোর্মি, তোমার ভয় লাগছে না কথাগুলো বলতে?

ভয় পেতে, পেতে এখন কেমন যেন বোধশূণ্য হয়ে যাচ্ছি, আপু। তোমার কী মনে হয় না, এভাবে চলতে থাকলে, আমরা দুই বোনও একসময় আম্মুর মতো মানসিক রুগী হয়ে যাব?

এভাবে বলো না, প্লিজ।

কেন বলব না? আমি বলব। আম্মু আমার সঙ্গে অন্যায় কিছু করতে আসলে, আমি এখন থেকে প্রতিবাদ করবই। প্রতিবাদ করতে শেখো, আপু। নিজের কথাটা জোর দিয়ে বলতে শেখো। আম্মুর চোখ রাঙানি সহ্য করে বড়ো হয়ে গেলাম। এখন কী বাকি জীবনও এভাবে কাটাতে চাও? আমি তো আর সহ্য করব না।

অরণী, নীলোর্মির হাত ধরে বলল, তোমার কোনও কারণে মন খারাপ? এমনভাবে কথা বলছ কেন?

এই কথাগুলো আরও অনেক আগেই বলতে ইচ্ছে করেছে। ঠোঁটের কাছে আসার পর, আম্মুর দেখানো জুজুর ভয়ে, কথাগুলো গিলে ফেলেছি। এখন আমার মনটা প্রচন্ডভাবে বিদ্রোহ করতে শুরু করেছে। মনটা ভেতরে, ভেতরে ফুঁসে উঠছে। তুমি দেখে নিয়ো, এরপর থেকে আম্মুর সঙ্গে যখন-তখন আমার ঝগড়া লেগে যাবে।

অরণী কী বলবে বুঝতে পারছে না। তার মনে হচ্ছে, এতদিন ধরে চলতে থাকা একনায়কতন্ত্রে এবার ফাটল ধরার সময় এসেছে।

************

ফাহাদ বিছানায় শুয়ে পেপার পড়ছিলেন। পূনম রুমে ঢুকে, ফাহাদের পাশে বসলেন। ফাহাদ উঠে বসে, পেপারটা ভাঁজ করে রেখে দিলেন। পূনম বললেন, পেপারে কী এত পড়ো? ভালো কোনও খবর থাকে এখানে? পাতা ওলটালেই, রোড অ্যাক্সিডেন্ট আর লুটপাটের খবর! আর কিছু আছে এটার মধ্যে? আমার তো পেপার দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।

ফাহাদ বললেন, আজকে অফিসে লিনু এসেছিল।

লিনু ভাই? উনি দেশে কবে আসলেন?

গত সপ্তাহে এসেছে। তোমাদের কথা জিজ্ঞেস করল।

ফ্যামিলি নিয়ে এসেছেন?

হুম।

বাসায় আসতে বলো একদিন।

দেখি।

দেখাদেখির কী আছে! আমরা ওনার ওখানে গেলে, ওনারা কতো আপ্যায়ন করেন। তুমি ওনাদের আসতে বলো। আচ্ছা, আমিই ফোনে কথা বলে নেব লিনু ভাই আর ভাবীর সঙ্গে। তুমি ফোন ওনার ফোন নাম্বারটা আমাকে সেন্ড করে দাও।

দেবো।

আচ্ছা শোনো, আমি ভাবছিলাম, গুলশানের আউটলেটটা ছেড়ে দেবো।

ছেড়ে দেবে মানে? আমি ঠিক বুঝলাম না তোমার কথা।

ছেড়ে দেবো মানে, ওটা আর রাখব না।

কেন?

এমনি।

এমনি কেন হবে? কয়মাস হয়েছে ওটা নতুন করে চালু হল? এখন ক্লোজ করার কথা আসছে কেন?

আমার এখন আর ভালো লাগছে না।

ভালো লাগছে না, বললে আর হয়ে গেল! ওটার পেছনে নতুন করে কত টাকা ইনভেস্ট হয়েছে, সেই হিসাব আছে তোমার?

হিসাবনিকাশ করে কী হবে? আমি ওটা আর রাখব না, এটাই ফাইনাল।

ঠিক আছে রেখো না; কিন্তু না রাখার কারণটা আমাকে বলো।

এটা খুব বেশি লস প্রোজেক্ট হবে না। আমার এক পার্টির সঙ্গে কথা হয়েছে। ওনারা, দোকান যে অবস্থায় আছে, সেভাবেই নিয়ে নেবেন৷ ল্যান্ড ওনারের সঙ্গেও কথা হয়ে গেছে।

এতদূর এগিয়ে এসে, তুমি এখন আমাকে জানাচ্ছ?

তুমি এমনভাবে রিএক্ট করছ কেন? আমি তোমাকে না জানিয়ে তো কোনও কাজ করব না।

তুমি ডিসিশন নিয়ে তারপর আমাকে জানাচ্ছ, পূনম। এই জানানো আর না জানানো একই কথা। কোনও সমস্যা হলে, তুমি আমাকে বলতে পারতে। আমি দেখতাম সমস্যার কোনও সমাধান করা যায় কি না।

তুমি এত ব্যস্ত থাকো। তার ওপর নিজের কাজ নিয়ে সারাক্ষণ এত টেনশনে থাকো। তাই আর তোমাকে বাড়তি টেনশন দিতে চাইনি। সত্যি বলছি, কোনও সমস্যা হয়নি। আমার কেন জানি এসব আর ভালো লাগছে না।

তোমার ভালো লাগা আর ভালো না লাগার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে টায়ার্ড হয়ে গেলাম, পূনম। ঠিক আছে, দোকান ছেড়ে দাও; কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে।

কী শর্ত?

তুমি নতুন করে আর কোনোকিছু শুরু করতে পারবে না, পূনম। আর্থিক ক্ষতি যা হয়েছে, সেটা আমি দেখে নেব; কিন্তু তুমি আর এইসব পাগলামি করতে পারবে না।

কী বললে তুমি? আমি পাগলামি করি! তুমি আমাকে পাগল বললে?

আজকের এই কাজটা পাগলামিই হল, পূনম। অনেক টাকা আছে বলেই, যখন, যা খুশি তাই করে বসো না। এই টাকা ইনকাম করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এই পর্যায়ে আমি একদিনে আসিনি। কথাটা যদি তুমি মনে রাখো, সেটা আমাদের সবার জন্যই মঙ্গল হবে।

পূনম, ফাহাদের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবলেন। তারপর রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।………………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here