#মন_নিয়ে_খেলা(৫)
********************

পরপর নির্ঘুম দুইটা রাত কাটানোর পর, অরণীর ভীষণ ক্লান্ত লাগছে। একে তো ক্লান্ত শরীর, তার ওপর অস্থির মন, সবকিছু মিলে মনে হচ্ছে, সে যেন পাগল হয়ে যাবে। এমন অসহ্য পরিস্থিতি তার জীবনে আগে কখনও আসেনি। আজ ক্লাসে যাওয়ার মতো ইচ্ছা বা শক্তি কোনোটাই হচ্ছে না। গত দুইদিনও সাদমান ক্লাসে আসেনি। আজও আসবে কি না, কে জানে? ক্লাসে গিয়ে সাদমানের দেখা পাবে না বলেই, তার আরও বেশি ক্লাস করতে ইচ্ছা করছে না। কিছুক্ষণ আগেও অরণী, সাদমানের নাম্বারে ফোন করেছিল; কিন্তু লাইন পায়নি। সাদমান এখনও ওকে আনব্লক করেনি। সবকিছু মিলেই অরণীর একদম ভালো লাগছে না। সে ঠিক করল আজ ভার্সিটিতে যাবে না। তারচেয়ে বরং দুইবোন মিলে আজ সারাদিন বাইরে কাটাবে। তাতে যদি ওর মনটা একটু শান্ত হয়।

অরণী দোলনা থেকে উঠে নীলোর্মির রুমে যাওয়ার সময়, ম্যাসেঞ্জারে টুং করে শব্দ হল। এখন কারও ম্যাসেজ দেখতে ইচ্ছা করছে না। তবুও অনিচ্ছায় মোবাইলে চোখ রাখল। নিয়নের ম্যাসেজ। দেখবে না ঠিক করেও, ম্যাসেজে ঢুকল অরণী। নিয়ন লিখেছে, বারোটায় বনানী এগারোতে আসো।

অরণী এমন ম্যাসেজের মানে বুঝতে পারল না। ক্লাস বাদ দিয়ে, বারোটার সময় বনানীতে কী করবে নিয়ন? অরণী লিখল, কেন?

‘কাজ আছে।’

‘ক্লাস টাইমে কী কাজ?’

‘আসছ কি না বলো?’

‘না। আমার ক্লাস করতে হবে।’

যদিও অরণী একটু আগেই ঠিক করেছে আজ সে ক্লাসে যাবে না; কিন্তু নিয়নকে ক্লাসে যাওয়ার কথাটা কেন লিখল, সে নিজেও বুঝতে পারল না।

‘সারাজীবন আরও বহু ক্লাস করা যাবে। ঠিক বারোটায় চলে এসো।’

অরণী, নিয়নের কথার মানে কিছুই বুঝল না। নিয়ন কেন তার সঙ্গে বনানীতে দেখা করতে চাইছে? ও কী সাদমানকে নিয়ে আসবে? অরণী লিখল, ‘তোমার সঙ্গে আর কেউ থাকবে?’

‘দেখা হচ্ছে বারোটায়।’

অরণীর এবার বিরক্ত লাগল। সে বলছে, সে যাবে না, অথচ নিয়ন নিজের মতো কথা বলেই যাচ্ছে! অরণীর কথার যেন কোনও দাম নেই। অরণী ঠিক করল সে যাবে না। নিয়নের কথার কোনও উত্তর না দিয়ে সে ম্যাসেঞ্জার থেকে বের হয়ে গেল। নীলোর্মির রুমের দরজা বন্ধ ছিল। অরণী ঢুকতে গিয়েও ঢুকল না। রুমের সামনে থেকে ফিরে এল। নিজের রুমে এসে, অস্থিরতার সঙ্গে কিছুক্ষণ রুমের ভেতর পায়চারি করল। নিয়ন কেন এমন রহস্য করে কথা বলল? সে কেন সবকিছুর খোলাসা করল না? নিয়নকে ফোন করার কথা চিন্তা করেও, শেষ পর্যন্ত ফোন করল না। মাথা থেকে চিন্তা দূর করতে, অরণী মহাশ্বেতা দেবীর ‘অগ্নিগর্ভ’ বইটা নিয়ে বিছানায় বসল। কাল রাতে বইটা শুরু করেছিল। এখন পড়ে শেষ করতে হবে। বইটা পড়তে, পড়তে ঘুম আসলে, সে ঘুমিয়ে যাবে। দুপুরের আগে ঘুম থেকে জাগবে না।

শুয়ে বই পড়তে, পড়তে একসময় অরণী ঘুমিয়ে গিয়েছিল; কিন্তু সাড়ে দশটায় মনের ভেতরের তাড়না, তার ঘুমটা ঠিকই ভাঙিয়ে দিল। হাজারবার যাবে না চিন্তা করেও অরণী শেষ পর্যন্ত বারোটার সময় বনানী এসে হাজির হল। ক্যাফে ফিয়েস্তার সামনে এসে গাড়ি থামাতে বলল সে। নিয়নকে ফোন দিতেই, নিয়ন বলল, তুমি ওখানেই থাকো। পাঁচ মিনিটের মধ্যে চলে আসছি।

অরণী গাড়িতে বসে অপেক্ষা করছিল। নিয়ন পাঁচ মিনিটের মধ্যে চলে এল। নিয়নকে একা আসতে দেখে, তার এতক্ষণের সমস্ত উত্তেজনায় পানি পড়ে গেল। নিয়ন কাছাকাছি আসার পর অরণী গাড়ি থেকে নেমে এল। নিয়ন, অরণীর কাছে এসে বলল, আমি তো ভেবেছিলাম তুমি আসবে না। আসার জন্য থ্যাংকস।

অরণীর উসখুস লাগছে; কিন্তু সে এবারও সাদমানের বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস না করে বলল, এখানে আসতে বলেছ কেন, নিয়ন?

রেস্টুরেন্টের ভেতরে গিয়ে বলি, প্লিজ।

ড্রাইভারকে অপেক্ষা করতে বলে, অরণী, নিয়নের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে গেল।

রেস্টুরেন্টের ভেতরে এসে বসে, নিয়ন জিজ্ঞেস করল, কী খাবে বলো?

তুমি কী খাবে? আমি শুধু কফি খাব।

এক মিনিট, ফোনটা ধরে নিই। হ্যালো, আচ্ছা। হুম ওখানেই আছি। আচ্ছা আয়।

অরণী জিজ্ঞেস করল, কে আসছে?

সাদমান।

অরণীর ভেতরটা খুশিতে নেচে উঠল; কিন্তু নিয়নের সামনে সে নিজের আবেগটা দেখাতে চাচ্ছে না। নিয়ন বলল, অরণী, অনেক কষ্টে সাদমানকে রাজি করিয়েছি। প্লিজ, তোমাদের যা কিছু ঝামেলা আছে, মিটমাট করে নিও। সাদমান ভালো নেই অরণী। সাদমানের মতো প্রাণবন্ত ছেলের এমন দেবদাস স্টাইল ভালো লাগে না।

অরণী, নিয়নের হাতের ওপর হাত রেখে বলল, আমাদের জন্য তুমি ক্লাস বাদ দিলে?

নিয়ন হেসে বলল, বন্ধুর জন্য জান কোরবান আর এ তো মাত্র একদিনের ক্লাস। সাদমান এখনই আসবে। আমি যাই।

তুমি কেন যাবে! তুমি বসো।

উঁহু, গলার কাঁটা হয়ে ঝুলে থাকতে চাই না।

কে গলার কাঁটা?

আপাতত আমি। তোমরা এখানে কতক্ষণ থাকবে?

আমি তো জানি না।

তোমার তাড়া নেই তো?

না।

তাহলে থাকো। আমি একবার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে ঘুরে আসি৷ এক বড়ো ভাইয়ের কাছে একটু কাজ আছে। দেড় ঘন্টার মধ্যে চলে আসব। তারপর তুমি আমাদের লাঞ্চ করাবে।

আচ্ছা ঠিক আছে।

নিয়ন উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ঐ তো সাদমান চলে এসেছে। সাদমান ওদের কাছে আসার পর নিয়ন ওর কাঁধে হাত রেখে বলল, তোরা বস৷ আমি কাজ শেষ করে আসছি।

কোথায় যাচ্ছিস?

আসছি। তুই বস তো আগে।

নিয়ন চলে গেলে সাদমান, অরণীর কোনাকুনি চেয়ারে বসে বলল, কেমন আছ?

সাদমানের দিকে তাকিয়ে অরণীর ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল। দশদিনে একটা মানুষের চেহারার এত পরিবর্তন হয়! মুখ ভর্তি দাড়ি আর এলোমেলো চুলে, সাদমানকে একদম অন্য কেউ মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে অনেক রাত না ঘুমিয়ে পার করেছে ছেলেটা। অরণীকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে, সাদমান বলল, কেমন আছ, বললে না?

ভালো। তুমি কেমন ছিলে?

সাদমান উত্তর না দিয়ে, আঙুল দিয়ে চুলগুলো ঠিক করল। তারপর মুখটা গম্ভীর করে বসে রইল। অরণী বলল, এতদিন ক্লাসে আসোনি কেন?

এমনি।

এমনি মানে কী? পরীক্ষা মিস করলে, অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিলে না। এগুলোতে কার ক্ষতি হল?

লাভ-ক্ষতি নিয়ে এখন আর ভাবি না।

বোকার মতো কথা বলবে না। চেহারার এমন বেহাল দশা করেছ কেন? তোমার দিকে তাকানো যাচ্ছে না।

আমি চাই, আমার দিকে কেউ যেন না তাকায়।

তুমি এমন করে কথা বলছ কেন, সাদমান?

সাদমান মনে মনে বলল, আমি চাই, আমি যতটা কষ্ট পাচ্ছি, সেই কষ্টটা তুমিও পাও। মুখে কিছু বলল না।

কালকে ক্লাসে আসবে না?

জানি না।

তুমি যদি এমন করো, তাহলে আমিও ভার্সিটিতে যাওয়া বন্ধ করে দেবো।

তুমি কেন ক্লাস করবে না? আমি ক্লাসে আসছি না, সেটা আমার সমস্যা।

তুমি যে ক্লাসে আসছ না, সেটা তোমার একার সমস্যা না। সেটা আমারও সমস্যা।

সাদমান অরণীর দিকে তাকালে, অরণী বলল, আগামীকাল যেন এই বিতিকিচ্ছিরি চেহারা না দেখি। বাসায় গিয়েই প্রথমে শেভ করবে।

সাদমান গালে হাত বুলিয়ে বলল, ভাবছি দাড়ি রেখে দেবো। আর শেভ করব না।

কক্ষণো না। তোমার এই দাড়িওয়ালা চেহারা আমার একদম সহ্য হয় না। আমি তোমাকে আগেও বলেছি।

তুমি আমার কে, যে তোমার কথা আমাকে মানতেই হবে?

আমি তোমার কেউ না; কিন্তু আমার কথা তোমার মানতেই হবে।

কেউ না হলে কিসের অধিকারে এই কথা বলছ?

জানি না কিসের অধিকারে বলছি; কিন্তু এখন থেকে যা বলতে আমার মন চাইবে, আমি বলব এবং সেটা তোমার মানতে হবে। কথাটা বলে অরণী সাদমানের হাতের দিকে তাকাল। অরণীর প্রচন্ড ইচ্ছা করছে, সাদমানের হাতটা ধরতে; কিন্তু হুট করে কীভাবে হাত ধরবে সে? অথচ বেয়াড়া হাত দুইটা কিছুতেই বশ মানছে না। শেষে বাধ্য হয়ে অরণী এক হাত দিয়ে, তার অন্য হাত চেপে ধরে রাখল। সাদমান, অরণীর হাতের ওপর হাত রেখে বলল, কী হল? হাত দুটোকে এত যন্ত্রণা দিচ্ছ কেন?

কোথায় যন্ত্রণা দিচ্ছি!

ওরা যা করতে চায়, করতে দাও।

হাত কী করতে চায়, তুমি জানো?

জানি তো। ঐ হাত দুইটা, এখনই এই হাত দুইটার কাছে সমর্পিত হতে চায়। কথাটা শেষ করে, সাদমান অরণীর দুই হাতকে নিজের দুই হাতের মুঠোয় বন্দী করল। দুইজন, দুইজনের চোখের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চোখের ভাষায় এমন কিছু কথা হল, যেগুলো দু’জনের মনকে ছুঁয়ে গেল। দু’জনেই বুঝল, একে অন্যকে কী বলতে চায়, কতটা ভালোবাসে; কিন্তু মুখে একবারও ভালোবাসার কথা কেউ বলল না।

***********

ফুলবানু বলল, ম্যাডাম তো দেশে নাই। আপনে জানেন না আফা? ম্যাডাম, আপনারে কয়নাই?

সিনথী সোফায় বসে বললেন, এসিটা জলদি চালাও। ভীষণ গরম লাগছে।

ফুলবানু এসি চালিয়ে দিয়ে এসে বললেন, ম্যাডাম এইবার অনেক দ্যাশ ঘুইরা তারপর ফিরব। আপনে কিসুই জানেন না?

জানি, সব জানি। আমি তোমার ম্যাডামের কাছে আসিনি।

তাইলে কার কাছে আইসেন?

সিনথীর বিরক্ত লাগল। পূনম আহ্লাদ দিয়ে কাজের লোকগুলোকে একেবারে মাথায় উঠিয়ে রেখেছে। এর কতবড়ো সাহস! বলে কি না, ‘কার কাছে আইসেন?’ আরে বেটি, আমার বোনের বাসায়, আমি যখন খুশি, তখন আসব। তোর তাতে কিসের এত মাথাব্যথা? সিনথী জিজ্ঞেস করল, অরণী, নিলোর্মি ওরা বাসায় আছে?

নীলোর্মি আন্টি বাসায় আছে। অরণী আন্টি এখনও ফিরে নাই।

ওর বোধহয় ক্লাস শেষ হয়নি। এই ফুলবানু শোনো, আমি দুপুরে এখানে খাব, বুঝতে পেরেছ। আমি ওপরে যাচ্ছি। এখন আমাকে কম চিনি দিয়ে, কড়া এক কাপ চা দিয়ে যাও তো। চা ভালো হলে, গিফট পাবে।

পুতুল, ফুলবানুর পাশে দাঁড়িয়ে সিনথীর কথা শুনছিল। গিফটের কথা শুনে সে বলল, বড়ো খালাম্মা, আমি এখনই চা নিয়ে আসতেছি।

আচ্ছা ঠিক আছে। জলদি আনবি। আর খবরদার, চা যেন ঠান্ডা হয় না।

সিনথী ওপর তলায় উঠে একে, একে সবগুলো রুমের দরজায় দাঁড়ালেন। পূনম আর ফাহাদের রুমে দরজা লক করা। তাঁরা কেউ নেই জেনেও সিনথী দুইজনের রুমের দরজার নব ঘোরালেন। এরপর এসে নীলোর্মির রুমের দরজার নব ঘোরালেন। দরজা খুলে গেলে সিনথী দেখলেন, নীলোর্মি চোখ বুঁজে ইজি চেয়ারে বসে আছে। তার কানে হেডফোন লাগানো। সিনথী কাছে এসে নীলোর্মির হাতে ঝাঁকুনি দিলে, নীলোর্মি রীতিমতো চমকে উঠল। চোখ খুলে বড়ো খালাকে দেখে, আনন্দের বদলে, তার চোখেমুখে বিরক্ত ছড়িয়ে পড়ল। উহ, এভাবে কেউ ভয় পাইয়ে দেয় নাকি? নীলোর্মি হেডফোনটা খুলে টেবিলে রেখে, সিনথীকে সালাম দিয়ে বলল, কেমন আছ বড়ো খালামনি?

ভালো। তুমি কী করছিলে?

গান শুনছিলাম।

কী গান, রবীন্দ্র সংগীত?

না। জাস্টিন বিবার।

এটা কে?

তুমি চিনবে না। আম্মু তো নেই। তুমি জানো না?

জানব না কেন? পূনমের সঙ্গে সকালেও তো কথা হল। আমি এসেছি তোমাদেরকে দেখতে। অরণী কখন আসবে?

চলে আসবে বিকেলের আগেই। খালামনি, তুমি বসো।

সিনথী সোফায় বসে বললেন, একা একা মন খারাপ লাগছে না তো?

না তো। মন খারাপ লাগবে কেন?

পূনম, ফাহাদ কেউই তো নেই। তোমরা দুইজন একা আছ। আজকে আমার সাথে চলো। আমার বাসায় থাকবে।

আমরা তো একাই থাকি খালামনি। বাবা আর আম্মু তো সারাবছরই বাইরে যায়। আমাদের কখনও মন খারাপ হয় না।

সিনথী ওনার মোবাইল থেকে একটা ছবি বের করে, নীলোর্মির দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন, দেখো তো ছেলেটাকে কেমন লাগে?

এটা কে, খালামনি?

আগে বলো, দেখতে কেমন লাগছে?

ভালো।

বললে না লোকটা কে?

লোক কোথায়! ও তো ছেলে।

নীলোর্মি মোবাইল ফেরত দিয়ে বলল, বলো না, লোকটা কে?

আবার বলে ‘লোকটা’? ও হচ্ছে আমার ফ্রেন্ডের ছেলে। ওর বাবা-মাকে তোমার আম্মু চেনে।

তুমি আমাকে ওনার ছবি দেখালে কেন?

তোমার আম্মুকেও ছবি পাঠিয়েছি। অরণীর জন্য কেমন হয়, ছেলেটা?

আপুর কিসের জন্য?

কিসের জন্য আবার? বিয়ের জন্য।

আপুর বিয়ের জন্য! এই পাত্র? না, না। একদম ভালো না। এইটা একটা বুড়ো লোক।

এই মেয়ে কী বলে এসব! ছেলের মাত্র ত্রিশ বছর বয়স।

আপু তো এখন বিয়ে করবে না। ঐদিন আম্মুর ফ্রেন্ড দিনা আন্টি আপুর বিয়ের কথা বলেছিলেন। আম্মু বলেছে, আপু আগে পাশ করবে। তারপর চাকরি করবে আর চাকরি না করলে বাবার ব্যবসায় জয়েন করবে। তারপর আপুর বিয়ে হবে।

বিয়ে-শাদি এত ঘড়ির কাঁটা ধরে, দিন তারিখ মিলিয়ে দেওয়া যায় না। বিয়ে-শাদি হচ্ছে ভাগ্যের ব্যাপার। আগে থেকে কিচ্ছু বলা যায় না। হুট করে সানাই বেজে ওঠে।…………………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here