#মন_নিয়ে_খেলা(১২)
**********************
পূনম, অখিলকে সাতদিন সময় দিয়েছিলেন। অখিল পাঁচদিনের মধ্যে খবর সংগ্রহ করে ফেললেন। সকালে অরণী আর নীলোর্মি ক্লাসে চলে গেল। ফাহাদ দুইদিনের জন্য ব্যবসায়িক কাজে, বোম্বেতে গিয়েছেন। বাসায় এখন পূনম আর তিনজন কাজের সহকারী ছাড়া কেউ নেই। পূনম ফোন করে অখিলকে ওপরে আসতে বললেন।
অখিলকে ওপরে উঠে আসতে দেখে, ফুলবানু জিজ্ঞেস করলেন, ম্যাডাম ডাক দিসে নাকি?
হুম। কেন?
কী হইছে, আমারে একটু কন না?
কী হইছে মানে? আপা তো আমাকে সবসময়ই কাজের জন্য ওপরে ডাকেন। এটা কী নতুন নাকি?
একটু কন না অখিলদা। আমি ঐদিন শুনছি। ম্যাডাম আপনেরে এক পোলার খোঁজ নিতে কইসিল। অরণী আন্টির লগে ঐ পোলার ভাব-ভালোবাসা চলে। তাই না?
অখিল অবাক হয়ে বললেন, বুবু তুমি আড়ালে দাঁড়িয়ে আমাদের কথা শুনছিলে! তুমি জানো না, এই কাজ আপার কতটা অপছন্দের? এখন আমি গিয়ে আপাকে বলে দেবো, তোমার কুকীর্তির কথা?
ফুলবানু কাঁদো, কাঁদো হয়ে অখিলের হাত ধরে বললেন, হায় সব্বোনাশ, এইটা আপনি কী কইলেন অখিলদা? আপনের সঙ্গে, এই বাড়ির সঙ্গে আমার এত বছরের সম্পর্ক, আমি কী এদের ভালো-মন্দ কিছু জানতে চাইতে পারমু না?
জানতে পারবে বুবু। তোমার ম্যাডাম নিজ থেকে যতটুকু জানাবেন, তুমি ততটুকুই জানতে পারবে। এখন তুমি কী এভাবে আমার পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকবে? আপা আমার জন্য অপেক্ষা করছেন৷
ফুলবানু পথ ছেড়ে দিলে, অখিল ফ্যামিলি লিভিংয়ের দিকে চলে গেলেন। পূনম পত্রিকার পাতা ওলটাচ্ছিলেন। অখিলকে দেখে বললেন, এসো অখিল। বসো। চা খেয়েছ?
জি, আপা।
কী খবর, বলো?
আপা, আমি ছেলের পুরো বৃত্তান্ত নিয়ে এসেছি।
বলো শুনি।
আপা, ছেলেটা অরণীর সঙ্গে পড়ছে।
তা তো জানিই।
জি, আপা। ওর বাবার নাম মাহমুদুল হাসান। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক।
শিক্ষা ভবনে অফিস, তাই না?
জি, আপা।
শিক্ষা অধিদপ্তরের চাকরি মানে, ঘুষের আড্ডাখানা। ঐ লোকের কী অবস্থা?
আপা, যতদূর জানতে পেরেছি, তিনি নেহায়েত ভদ্রলোক। সৎ হিসেবে যে কয়েকজন কর্মকর্তা আছেন, উনি তাঁদের একজন।
ওনার ওয়াইফ কী করেন?
ওনার স্ত্রী শিল্পকলা একাডেমিতে চাকরি করতেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দুই বছর আগে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতা বলতে ওনার বোধহয় স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা ছিল। সেগুনবাগিচায় এক হাজার স্কয়ার ফিটের একটা ফ্ল্যাট আছে। সাদমানরা দুই ভাইবোন। বোনটা হলিক্রস কলেজে পড়ছে। গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়।
মধ্যবিত্ত পরিবার?
জি, আপা। মাহমুদ সাহেবরা পাঁচ ভাইবোন। সবাই ঢাকায় থাকেন। সকলেই চাকরিজীবী। ওনার স্ত্রী ফাহমিদা ম্যাডামের বাবার বাড়ির অবস্থা বেশ ভালো। ওনারা চার ভাইবোন। ভাই দুইজন দেশের বাইরে থাকেন। ওনারা দুই বোন ঢাকায় আছেন।
অখিল তুমি তথ্যগুলো, আমাকে একটা কাগজে লিখে দাও।
অখিল পকেট থেকে কাগজ বের করে বললেন, আমি সব তথ্য লিখে এনেছি আপা।
অখিলের হাত থেকে কাগজটা নিয়ে, পূনম আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিলেন। তারপর বললেন, অরণী কী ছেলেটার সঙ্গে ঘোরাফেরা করে?
অখিল বললেন, সেটা তো জানি না, আপা। খোঁজ লাগাব?
না, থাক। অনেক ধন্যবাদ, অখিল।
আমি যাব, আপা?
হুম, যাও। ওহ, তোমার স্যার কিন্তু আজকে তোমাকে গাজিপুর যেতে বলেছেন।
স্যার তো আমাকে বলেননি। আমি কী এখনই চলে যাব, আপা?
হুম যাও। জিএম সোহেল সাহেব যাচ্ছেন। তুমি ওনার গাড়িতেই চলে যাও। তুমি সোহেল সাহেবকে ফোন করে জেনে নাও, উনি কখন বের হবেন।
জি, আপা। আমি তাহলে যাচ্ছি।
অখিল বের হয়ে গেলে, পূনম অখিলের দেওয়া কাগজটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন। অরণীকে কী বলবেন, মনে মনে ঠিক করছেন পূনম। অরণীকে ঠান্ডা মাথায় কিছু বলা সম্ভব না। মেয়ের ওপর রাগে, তার সর্বশরীর জ্বলে যাচ্ছে। তিনি নিশ্চিন্তে ঘরে বসে আছেন আর মেয়ে তাঁর নাকের ডগায় বসে প্রেম করে বেড়াচ্ছে! তা-ও যদি ঢংয়ের একটা প্রেম করত! তাঁর মেয়েদের নজর যে কেন এত নীচুতে, এটা তিনি কিছুতেই ভেবে পান না। মধ্যবিত্ত শ্রেণিটাকে নিয়ে তাঁর বরাবরই একটা অ্যালার্জি আছে। এই শ্রেণিটা বড্ড নাক উঁচু ভাব নিয়ে চলাফেরা করে। মধ্যবিত্তের কিছু থাক আর না থাক, বাড়তি একটা অহংকারের পোশাক এঁদের গায়ে সর্বদা জড়ানো থাকবেই, থাকবে। এ কারণে তিনি খুব সচেতনভাবে এই শ্রেণিকে এড়িয়ে চলেন। তিনি যেখানে সারাজীবন এড়িয়ে চলছেন, সেখানে তাঁর মেয়ে মধ্যবিত্ত জীবনে ঢোকার স্বপ্ন দেখছে! এরা কী পেছনদিকে হাঁটতে শুরু করল নাকি? এত বছর ধরে যা কিছু শেখালেন, মেয়েরা তো দেখি তার কিছুই শিখল না। পূমন মনে মনে ঠিক করে নিলেন, যে করেই হোক, অরণীকে এই ছেলের খপ্পর থেকে বের করে আনতেই হবে। হঠাৎ তাঁর, দিনার কথা মনে পড়ল। দিনা, পূনমের ছোটোবেলার ফ্রেন্ড। দুইমাস আগে কথায়, কথায় দিনা, অরণীর বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পূনম তখন কথাটা ততটা সিরিয়াসলি নেননি। বলেছিলেন, অরণী পড়ালেখা শেষ করার পর বিয়ের চিন্তা করবেন। পূনম মোবাইলটা তুলে নিয়ে দিনাকে ফোন করলেন।
হ্যালো….
হ্যালো, দিনা, কেমন আছিস?
ভালো। তোর কী খবর?
এই তো আছি। তুই কী ব্যস্ত?
ব্যস্ত থাকলেও সমস্যা কী? তুই বল। সবাই কেমন আছে? ফাহাদ ভাই, অরণী, নীলোর্মি?
ফাহাদ বোম্বে গেছে। মেয়েরা ভালো আছে। আচ্ছা শোন, তুই যে আমাকে একটা ছেলের কথা বলেছিলি….
হ্যাঁ, হ্যাঁ, ফাহাদ ভাইয়ের ওখানে চাকরির জন্যে তো?
আরে না। ঐটা না। অরণীর বিয়ের ব্যাপারে…
ওহ আচ্ছা। আমার বড়ো ভাসুরের ছেলে, অর্ণব। তুই তো তখন কথাটা শুনলিই না। একদম হেসে উড়িয়ে দিলি!
তখন আসলে ওভাবে চিন্তা করিনি। এখন ভেবে দেখলাম, মেয়ে তো বড়ো হয়েছে। আর ক’দিন পর চব্বিশ হয়ে যাবে। বিয়ের জন্য এটাই ভালো সময়। ছেলেটা কী করে যেন?
অর্ণব তো ডাক্তার। ও অবশ্য এখন চায়নায় আছে। এমপিএইচ করছে। তুই কী অরণীর বিয়ে দিবি, সিরিয়াস তুই? নাকি সবসময়ের মতো শেষ সময়ে গিয়ে, তোর মুড সুইং করবে? দেখ বাবা, আগে থেকে বলে টলে রাখ। যদি সত্যি বিয়ের কথা চিন্তা করিস, তাহলে আমি, আমার জা’র সঙ্গে কথা বলব।
তোর ভাসুর কী করেন এখন? আগে মা হোটেলের ব্যবসা ছিল?
হুম। ভাইয়ার তো সবসময়ই হোটেলের ব্যবসা। গুলশানে হোটেল কাসাব্ল্যাংকা আর চট্টগ্রামে, ব্লু মুন।
ও আচ্ছা। কাসাব্ল্যাংকা হোটেলটা পুরোটাই ওনার নিজের?
হুম।
দিনা, তুই কী আমাকে ছেলেটার একটা বায়োডেটা পাঠাতে পারবি?
কেন পারব না? শুক্রবার রাওয়া ক্লাবে আসবি তো?
হুম, আসব।
ঠিক আছে। আমি ভাবীর সঙ্গে কথা বলে অর্ণবের বায়োডেটার ব্যবস্থা করছি। পরশুদিন তোকে দিতে পারব। তুইও তাহলে অরণীর একটা বায়োডেটা দিস আমাকে।
হ্যাঁ দেবো।
দিনার সঙ্গে কথা শেষ করে পূনম ঠিক করলেন, এখন তিনি অরণীকে বিয়ের কথা কিছু বলবেন না। সাদমানের সঙ্গে সম্পর্কটা কতদূর গড়িয়েছে, সেটা আগে জানা দরকার।
*****************
সন্ধ্যায় মেয়েকে নিজের রুমে ডেকে পাঠালেন পূনম। অরণী মা’র রুমে ঢোকার আগে, নীলোর্মির রুমে ঢুকল। নীলোর্মিকে বলল, আম্মু আমাকে রুমে ডাকল কেন, বলো তো?
আমি কী করে বলব, আপু?
আমার মনে হচ্ছে সাদমানের বিষয়টা আম্মু জেনে গেছে।
তোমার মনে হচ্ছে?
হুম।
আর আমি নিশ্চিত, আম্মু জেনে গেছে। বড়ো খালামনি আম্মুকে বলবেন না, এটা হতেই পারে না। আমি তো ভেবেছিলাম, যেদিন তোমাদেরকে দেখেছে, সেদিনই বলে দেবেন। খালামনি এতদিন এই কথাটা, নিজের পেটের ভেতর কী করে চেপে রাখল, আপু? যাও, দেখো আম্মু কী বলে। ভয় পেয়ে আবার উলটোপালটা কিছু বলে দিও না।
হুম। যাই, দেখি আম্মু কী বলতে চান।
অরণী চলে গেছে, নীলোর্মি একটা ধামাকা হওয়ার অপেক্ষা করতে লাগল। তার মা’য়ের চরিত্র অনুযায়ী, তিনি চিৎকার, চেঁচামেচি ছাড়া খুব কম কথাই বলেন। দেখা যাক, অরণীর ওপর কোন খড়গ নেমে আসে।
অরণী ভয় পেলেও, চেহারায় খুব আত্মবিশ্বাসের ভাব ফুটিয়ে রাখল। মা’র সামনে সে কিছুতেই নার্ভাস হতে চায় না এবং সাদমানের কথা উঠলে, সে অবশ্যই বলবে তাদের ভালোবাসার কথা।
পূনম, অরণীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অরণী রুমে ঢুকে, পূনমের মুখোমুখি বসল। পূনম বললেন, তোমার সেমিস্টার শেষ হবে কবে?
দুই মাস পর সেমিস্টার ফাইনাল। কেন আম্মু?
এমনিই। তোমার বিষয়ে যদি কোনও কথা হয় বা কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আমি মনে করি, সেটা প্রথমে তোমাকে জানানো উচিত।
কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত, আম্মু?
পূনম কিছুতেই নিজে থেকে সাদমানের কথা তুলবেন না। তিনি কথার মারপ্যাঁচে মেয়ের মুখ দিয়েই নামটা বের করাবেন। পূনম বললেন, তুমি এখন বড়ো হয়েছ। আমি বা তোমার বাবা সব বিষয়ে সরাসরি তোমার সঙ্গে কথা বলতেই পারি। কী পারি না?
জি, আম্মু। অরণী, পূনমের এমন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কথা বলার মানে বুঝতে পারছে না।
পূনম বিয়ের কথা তুলবেন না চিন্তা করলেও, সেটাই আগে বললেন। কারণ, নিজের রাগটা তিনি কন্ট্রোল করতে পারছেন না। পূনম বললেন, আমি চেয়েছিলাম, আর কিছুদিন পর তোমার বিয়ের চিন্তাভাবনা করব; কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, বেশিদিন অপেক্ষা করা যাবে না। তোমার দাদির শরীর ভালো না। তিনি চান, তোমার বিয়েটা যেন এরমধ্যেই হয়ে যায়।
দাদি তোমাকে বলেছে!
না। তিনি এসব বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন না। তোমার বাবাকে বলেছেন। তোমার বাবাও চাচ্ছেন, তোমার দাদির ইচ্ছাটা পূরণ হোক। পূরণ হতে কোনও সমস্যাও নেই। দুই মাস পর তোমার পরীক্ষা শেষ। আমিও তাই ভাবছিলাম…. তোমার দিনা আন্টি খুব ভালো একটা প্রস্তাব এনেছে। দিনার ভাসুরের ছেলে, অর্ণব। ছেলেটা ডাক্তার। তুমি কী বলো?
বিয়ের কথা শুনে অরণীর হাত-পা রীতিমতো কাঁপছে। তার বাবা-মা ছেলের খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করে দিয়েছে আর সে এই পর্যন্ত বাসায় সাদমানের কথাটা জানাতে পারল না! অরণীর কাছে মনে হল, এখন যদি সাদমানের কথা বলতে না পারে, তাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। বাবা-মা হয়ত তাকে আর কোনও সময়ই দেবে না কথাটা বলার জন্য। বুক ধুকপুক করলেও অরণী সাহস করে কথাটা বলে ফেলল, আম্মু একটা কথা ছিল।
বলো।
অরণী পূনমের চোখের দিকে তাকিয়ে কথাটা বলতে গিয়েও, বলতে পারল না।
কী হল, বলো? কী বলতে চাচ্ছিলে?
আম্মু, আমার, মানে আমি, মানে আমার একজনের সঙ্গে রিলেশন আছে?
রিলেশন মানে?
উহ, অসহ্য। আম্মু কী রিলেশন কথাটার মানে জানেন না? প্রথম লাইনটা বলে ফেলার পর, অরণীর সাহস বাড়ল। এবার সে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলল, আম্মু, আমি তোমাকে সাদমানের কথা বলেছিলাম। আমাদের দু’জনের মধ্যে একটা রিলেশন আছে। আমরা একে অন্যকে ভালোবাসি। কথাটা শেষ করে অরণী, পূনমের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারল না। চোখ নামিয়ে নিল।
পূনম না বোঝার ভান করে বললেন, ঠিক বুঝলাম না। তুমি কোন রিলেশনের কথা বলছ? যে ছেলের বাসায় তুমি গিয়েছিলে? সেগুনবাগিচা না কোথায় যেন?
জি, আম্মু। ওর কথা বলছি।
ওর সাথে তোমার কী? তুমি কী ওকে ভালোবাসো? মানে প্রেম?
অরণী, পূনমের দিকে তাকিয়ে বলল, জি, আম্মু।
সমবয়েসীর সঙ্গে কেউ প্রেম করে? আচ্ছা সেটা বাদ দাও। তোমাকে প্রেম করার পারমিশন কে দিয়েছে? তোমার সাহস হল কী করে প্রেম করার?
কখন প্রেম হয়ে গেছে, আমি জানি না, আম্মু। আমি শুধু জানি, আমি ওকে পছন্দ করি। ও অনেক ভালো ছেলে।
মেয়ের গালে চড় বসিয়ে দেওয়ার জন্য পূনমের হাতটা নিশপিশ করছে। মেয়ের এত বড়ো সাহস হয়েছে! তাঁর সামনে বসে বড়াই করে প্রেমের গান গাইছে। পূনম মেজাজটাকে চড়তে না দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, প্রেম করেছ কী টাইমপাস করার জন্য, নাকি তুমি সিরিয়াস? টাইমপাস হলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু তুমি যদি সিরিয়াস হও….
টাইমপাস করব কেন! আমি, সাদমানকে ভালোবাসি।
ভালোবাসো মানে তো সামনে বিয়েরও প্ল্যান আছে তোমাদের?
অরণী এই প্রশ্নের উত্তর দিল না।
বুঝলাম তুমি ভালোবাসো; কিন্তু আমরা যদি রাজি না হই?
কোন বিষয়ে রাজি?
এই ছেলের সঙ্গে তোমার বিয়ের কথা বলছি।
কেন রাজি হবে না?
কেন রাজি হব?
কারণ, আমি সাদমানকে ছাড়া থাকতে পারব না।
সেটা তোমার রিলেশনে জড়নোর আগে চিন্তা করা উচিত ছিল। রাস্তা থেকে যা খুশি তাই ধরে এনে বলবে, ‘বিয়ে দিয়ে দাও’ আর আমরাও তোমার কথায় রাজি হয়ে বিয়ে দেবো! এটা তুমি ভাবলে কী করে?
সাদমান রাস্তার ছেলে না। ওর সম্পর্কে এভাবে কথা বলবে না। আম্মু প্লিজ।
অরণীর কঠিন গলার আওয়াজ পূনমকে চমৎকৃত করল! তিনি একটা কথা ভেবে ভীষণ অবাক হলেন, তিনি কোথায় আছেন আর তাঁর মেয়েরা তাঁকে ফাঁকি দিয়ে কোথায় পৌঁছে গেছে!……………………..