মধুচন্দ্রিমা
পর্ব ১৯
তানিয়া রহমান

ভোলানাথের লাইব্রেরী আগের চেয়ে আকারে বড় হয়েছে, চেহারায়ও পরিবর্তন এসেছে ভোলানাথের, মাথায় চুল কমে এসেছে,সাস্থ্য ভালো হওয়ায় ঠোঁটজোরা মাছের ঠোঁটের মতো ফোলা লাগছে।
মনির ভোলানাথের সামনে দাঁড়িয়ে হাত বারিয়ে হাসি হাসি মুখ করে বলল – কেমন আছেন
মনিরকে দেখে প্রথমে চিনতে অসুবিধা হলেও কিছুসময় সময় পর মনিরকে চিনতে পেরে হাস্যজ্জ্বল মুখে হ্যান্ডশেক করে বলল – আরে মনির ভাই যে, কত বছর পর, বসুন বসুন
চেয়ার টেনে বসতে বসতে মনির বলল- সমরেশ, শীর্ষেন্দু,সুনিলের নতুন বইগুলো টপাটপ প্যাক করুন
– প্যাক করেই রেখেছি, গতকালই ম্যাম ফোন দিয়েছিল
-হুম জানি, মনির মনে মনে বলল “এতো দেখছি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি ”
পাঁচটা বইয়ের একটা প্যাকেট মনিরের সামনে রাখলো ভোলানাথ
মনির বলল- রবীন্দ্র,নজরুলের কবিতার বইও এর মধ্যে দিয়ে দিন
– আচ্ছা দিচ্ছি
– ভোলানাথ ভাই আপনার ম্যামকে সারপ্রাইজ দিতে চাচ্ছি আপনি কষ্ট করে ম্যামকে ফোন করে বলে দিন “বই দিয়ে লোক পাঠাচ্ছেন গেইটে যেন না আটকায়”
ভোলানাথ ভ্রু কুঞ্চিত করে তাকালো মনিরের দিকে
– আরে ভাই বৌ রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে ওর রাগতো জানা নেই আপনার দেখা যাবে গার্ডকে বলে রেখেছে মনির এলেই পিটিয়ে পাগার পার হা-হা-হা
ভোলানাথ হেসে বলল – এখনই ফোন করে দিচ্ছি

মেহবুব ল্যাপটপে শপিংমলের থ্রিডি ডিজাইন দেখছে,এমন সময় ফোন ভাইব্রেট করে উঠলো, বিরক্ত মুখ নিয়ে ফোন রিসিভ করে বলল – ইমরান বল
– স্যার মিঃ মনির ভোলানাথ লাইব্রেরী থেকে বই কিনে নিয়ে নিকেতনের দিকে যাচ্ছে, মিঃ মনিরকে কি আটকে দিব
– না, আমি বাসায় যাচ্ছি, তোমারও এস

ইরিন বিছানায় আধশোয়া হয়ে শুয়ে সানন্দা পড়ছে, দুপুরের এই
অলস সময় সানন্দে সানন্দায় কেটে যায়, অসময়ে মেহবুবকে রুমে ঢুকতে দেখে ইরিন বলল- আরে এই সময়ে আপনি
– কেন খুশী হওনি
– না তা না, অফিস রেখে এই সময়ে আপনি কখনোতো আসেন নি,শরীর খারাপ লাগছে
ফ্রেশ হয়ে এসে ইরিনের পাশে শুয়ে মেহবুব বলল- শরীর নয় মনের রোগটা বড্ড জ্বালাচ্ছে আজকাল
– ডক্টর দেখান
– ঘরে মেডিসিন থাকতে ডক্টরকে ভিজিট দিয়ে লাভ কি, ইরিনকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বলল – তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে ইরা
ইরিন চোখ নামিয়ে নিল
এ্যাংকেলের উপর শাড়ী উঠে এসে ইরিনের নগ্ন পা বেরিয়ে এসেছে,মেহবুবের বেহায়া চোখ চলে গেল ইরিনের পায়ে, কানের কাছে ফিসফিস করে বলল মেহবুব – তোমার নগ্ন পা দুটো আমাকে ভীষণভাবে টানছে, একটু আদর করি
ইরিন কিছু বলতে চাইলো
মেহবুব তার তর্জনী ইরিনের ঠোঁটে ছুঁয়ে বলল – ডোন্ট শো মি এনি এক্সকিউজ, প্লিজ!
মেহবুবের হাত নেমে এলো ইরিনের পায়ে, আলতো করে পায়েল খুলে দু’হাতে আঁকড়ে ধরল পা দুটো, আলতা রাঙা টুকটুকে পাগুলো কোলের উপর নিয়ে ঠোঁট ছোঁয়ালো,
মেহবুবের আদরে ইরিনের মাঝে মাঝে মনে হয় খুব কাছে না এসেও ভালবাসার প্রজাপতি উড়িয়ে দেয়া যায়।
চলবে
কপি করা যাবে না
বিঃদ্রঃ বাকী অংশ রাতে দিব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here