#ভাগ্যবতী
#লাবিবা_তানহা_এলিজা
#পর্ব_৬

১০.
নূরাকে গাড়িতে তুলে দিতে দিতে লেইট হয়ে গেছে সাদের। এবার সে বাড়ীর দিকে রওনা দেয়। গাড়ি নিয়ে ব্যস্ত রাস্তায় ঢুকার আগেই ডাক শুনতে পায়। মেয়েলি কন্ঠে কে যেনো ডাকছে ” মি.ডাক্তার… মি. ডাক্তার ..মি. ডাক্তার…থামুন মি. ডাক্তার… ।” লুকিং গ্লাসে তাকিয়ে দেখে আর কেউ নয় পূরবী ডাকছে তাকে। গাড়ির পেছন পেছন দৌড়ে আসছে। গাড়ী সাইড করে নেমে আসে সাদ। পূরবী উরুতে ভর করে হাঁপাচ্ছে। পায়ের ব্যান্ডেজ ছুটে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। ক্লান্ত চোখে হাঁটতে ভর করে সাদের দিকে তাকায় পূরবী। সাদ এগিয়ে এসে বলে, ” এভাবে দৌড়াচ্ছো কেনো? হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে এলাম তো। আবার কি? ”
পূরবী হাজার টাকার দুটো নোট বের করে সাদের দিকে এগিয়ে দিয়ে কেঁদে ফেলে।
” আপনার টাকাটা নিন। আমি হোস্টেলে থাকবো না। ”
” থাকবেনা মানে? কোথায় থাকবে তুমি? তোমার পরিচিত কেউ আছে ঢাকায়? ”
” না। আমি আপনার সাথে যাবো। ”
এবার রেগে যায় সাদ।
” কিহ? আমার সাথে যাবে মানে কি? এই মেয়ে তোমাকে বাচিয়ে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অব্দি এনেছি। নিজের টাকায় হোস্টেলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছি। এখন তুমি হোস্টেলে না গিয়ে বলছো আমার সাথে যাবে। এতোক্ষন টলারেট করেছি বলে এখনো করবো? বসতে দিলে সুতে ইচ্ছা করে তাইনা? ”
পূরবী হাউমাউ করে কান্না জুড়ে দেয়। হাত জোড় করে বলে, ” আমাকে নিয়ে যান প্লিজ। আমি আপনার বাসার সমস্ত কাজ করে দিবো। আমাকে একটু আশ্রয় আর দুবেলা খেতে দিলেই চলবে। আর কিচ্ছু চায়না আমার। আপনার পায়ে পড়ি। ”
” একদম পা ছুবে না। তুমি তো দেখছি সুযোগ সন্ধানী মেয়ে। হোস্টেলে না যেতে চাইলে জাহান্নামে যাও। ”
” আমাকে দয়া করুন। আমি আপনার সব কথা শুনবো। আপনার বাসার সব কাজের লোককে ছুটি দিয়ে দিন। আমি সেলারি ছাড়া আপনার কাজ করবো। একটু দয়া করুন। ”
পূরবীর কান্নায় আশেপাশের বিল্ডিং থেকে দু একজন করে অনেকজন লোক চলে আসে। উপরের তলার বারান্দাগুলো থেকেও অনেকে উকি দেয়। পূরবী আরো জোরে কাঁদতে থাকে । সাদের কাছে নাটকের কান্না হলেও পূরবীর কাছে নয়। তার কলিজাটা ছিড়ে যাচ্ছে। তারমত অসহায় কেউ এই পৃথিবীতে যেন না হয়। সব থেকেও আজ সে সর্বহারা। একজন মুরব্বী জিজ্ঞাসা করে, ” কি ব্যাপার ? বউ কাঁদছে দেখতে পাচ্ছেন না? দয়া মায়া নেই? ”
আরেকজন বলে, ” সংসারে অশান্তি জগড়া হবেই তাই বলে নতুন বউটাকে এভাবে কাঁদবেন? ” সাদ ভ্যাবাচ্যাকা খায়। কি বলে এরা? সবাই এই বজ্জাত মেয়েকে আমার বউ ভাবছে।
” আরে ঐ মেয়েটি আমার কেউ না। বিলিভ মি। ”
” কেউনা মানে? তাহলে আপনার সাথে কেনো? ফাজলামি করেন? সুন্দর মেয়ে দেখে ফুর্তি করে সব শেষ? ”
” আরে এসব কি বলেছেন? বাজে কথা বলবেন না। মেয়েটি আমার কেউ নয়। আমার সাথে রাস্তাতেই দেখা। ”

” ওগো তোমার বউকে বলছো কেউ নয়! আমি তোমার বিয়ে করা বউ। আমাকে ফেলে চলে যাচ্ছো কেনো এভাবে?কাল বিয়ে করে আজি আমাকে ফেলে চলে যাচ্ছো? এই তোমার ভালোবাসা? তোমার জন্য আমি ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছি।আর তুমি আমাকে এভাবে ছুড়ে দিচ্ছো? কি হবে এবার আমার। এই পোড়া মুখ কাকে দেখাবো ? এই জীবন আমি আর রাখতে চাইনা। ” সুযোগটা পূরবী নিয়ে নেয় । হাউমাউ করে কান্না জুড়ে দেয়।
” আরে কি বলছো তুমি? তুমি বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে আসছো তুমি। মরতে গিয়েছিলে তোমাকেই তো আমি বাচিয়ে নিলাম । আর তুমি এখন আমার সাথে ছলনা করে ফাসাচ্ছো। ”
” ও এখন আমি তোমাকে ফাসাচ্ছি বলছো। তোমার জন্যই তো মরতে গিয়েছিলাম। ওও তুমি আমার মৃত্যু চাও তো? বেশ এ জীবন আমি রাখবোনা। ” শাড়ির আচলে মুখ ডেকে ডুকরে কেঁদে উঠে পূরবী। ভিড় ঠেলে বের হয়ে দৌড় দেয়। সাদ অবাক হয়ে বলে, ” আরে আরে. .কোথায় যাচ্ছো? এটা কেমন ড্রামা শুরু করেছো? আপনারা ধরুন ওকে। ” দু চারজন পূরবীকে ধরে সাদের কাছে নিয়ে আসে। এটা ওটা বলে পূরবীকে শান্তনা দিতে থাকে। লোকগুলো এবার সাদকে যা-তা বলতে থাকে। সাদ বুঝতে পারে সে ফেসে গেছে । কেউ তার কথা বিশ্বাস করবে না। পূরবীকে কাচা চিবিয়ে খেতে ইচ্ছা করছে এই মুহুর্তে । বজ্জাত মেয়ে ঘাড়ে চেপে বসতে চাইছে। কিভাবে ফাসিয়ে ছাড়লো। গলা চেপে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে। শুধু শুধু বাঁচাতে গিয়েছিলো। এবার বোঝ ঠেলা। লোকগুলো পূরবীকে গাড়ীতে তুলে দেয়। সাথে সাদকে শাসিয়েও দেয় যেনো ডাইরেক্ট বাড়িতে নিয়ে যায় । রাস্তার মাঝে যেনো নামিয়ে না দেয়।

রাগে স্টিয়ারিং এ বার বার হাত দিয়ে আঘাত করছে সাদ। চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। পাশে তাকাতেই পায়ের রক্ত মাথায় উঠে পড়ছে। ইচ্ছা করছে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে। সাদকে দেখে পূরবী ভয়ে কুঁচকে যায়। এই লোক যে এতো রাগী এতোক্ষণ তো বুঝতেই পারেনি। বুঝলে জীবনেও এভাবে গাড়ীতে উঠতো না। পূরবী ভয়ে ভয়ে বলে, ” সরি। ” সাদ একবার রাগী চোখে তাকিয়েই মুখ ঘুরিয়ে নেয় । কিছুক্ষন পরে আবার পূরবী বলে, ” সরি। ইটস মাই মিসটেক।”
” সো? ”
পূরবী ভয়ে অন্যদিকে তাকায়। কাপাকাপি অবস্থা তার। সাদ বুঝতে পেরে আর কথা বলেনা। বাসার কাছে এসে নূরাকে ফোন দেয়। নূরা বলে,
” কিরে বাসায় পৌঁছে গেছিস? জানিস বিজয়. .”
” রাখ তো বিজয়। আমি যে খাল কেটে একটা বজ্জাত মেয়ে নিয়ে এলাম তোর সামনে দিয়ে তুই সাবধান না করে সঙ্গ দিলি কোন দুঃখে বোন? ”
” পূরবীর কথা বলছিস? কেস মনে হয় অন দ্যা ওয়ে ? ”
” কেস ওভারব্রিজের উপরে তোর মতো বাদর নাচ নাচছে। এই মেয়ে হোস্টেলে থাকবেনা এবার আমার পিছু নিয়েছে। আমার সাথে আমার গাড়িতে আছে। আমার বাড়িতে যাচ্ছে। একদল লোকের সামনে ফাসিয়ে ছারছে। ”
” তো প্রবলেম কি? ”
” প্রবলেম মানে? তুই বুঝতে পারছিস আমি কি বলছি? ”
” এটা তো আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। ঐ মেয়ের আমাকে ননদ হিসাবে পছন্দ হয়ে গেছে এবার তোকে বিয়ে করে নিবে।”
” তোর আজাইরা কথা রাখ। কি করবো? “বাড়ি নিয়ে যেতে পারবোনা কিছুতেই। এমনিতেই বিয়ে বিয়ে করে সব সময়। এই মেয়েকে নিয়ে গেলে না জানি কি নাই হয়? ওর হোস্টেলে থাকলে প্রবলেম টা কি? ছলনাময়ী মেয়ে একটা। ভেবেছিলাম নরম স্বভাবের ভালো একটা মেয়ে। ”
” আরে রিলাক্স ব্রো। মেয়েটা ভালো। আমরা মানুষ চড়িয়ে খাই। আমাদের ভূল হবার কথা না। ওকে ফোনটা দে তো কথা বলে নেই। ”

সাদ ফোনটা পূরবীর দিকে এগিয়ে দেয়। পূরবী কাপা হাতে কানে নিয়েই আপু বলে কেঁদে ফেলে । পূরবী অবাক হয়ে বলে, ” কাদছো কেনো? সাদ তোমার সাথে মিসবিহেভ করেছে? ”
” না। ”
” ওকে কুল ডাউন। তুমি হোস্টেলে থাকবেনা কেনো বলতো? কি প্রবলেম? ”
” ঐ মেয়ে গুলো ভালো না। ওদের সাথে কখনো ই আমি খাপ খাওয়াতে পারবোনা। ওরা সবাই স্মোকিং করে। আমার দম বন্ধ হয়ে আসে । আমার গায়ে হাত দিচ্ছিলো। আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছিলো। আমার গা থেকে গহনা খুলে নিচ্ছিলো। একজন তো বড় আংটি টা হাত থেকে খুলে বললো এইটা নিয়ে নিলাম। আরেকজন সীতা হারটা খুলে নিতে হাত দিয়েছিলো।” পূরবী সাদের দিকে তাকায়। সাদ বুঝতে পারে কেনো পূরবী হোস্টেলে থাকতে চায়নি। সাদাসিধে মেয়েরা উগ্র মেয়েদের সাথে কখনোই এডজাস্ট করতে পারবেনা। এটুকু শুনেই নূরা হাসতে হাসতে বলে,
“এটুকুতেই ভয় পেয়ে গেলে? আংটি হার নিলে দিয়ে দিতে। কতই আর দাম? ”
” আমি আমার গহনা কেনো দিবো? কম করে হলেও তিন-চার লাখ টাকা হবে। এতো টাকা কে দিবে আমাকে? ”
” মানে? খানিকটা অবাক হয় নূরা। তোমার গায়ের গহনাগুলো কি গোল্ড? ”
” এ টু জেট গোল্ড। নূপুর থেকে শুরু করে টায়রা অব্দি গোল্ড। ” খানিকটা চমকে যায় নূরা ,সাদ। তারা দূজনেই ভেবেছিলো গোল্ড প্লেটের হতে পারে। আজকাল গোল্ড আর গোল্ড প্লেট আলাদা করার জন্য একটু বেগ পেতে হয়। নূরা অতটাও খেয়াল করেনি। সাদের গোল্ড সম্পর্কে আইডিয়া নেই। নূরা নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, ” পূরবী তুমি যে এতো টাকার গহনা নিয়ে আমাদের সাথে ছিলে আমরা তো নিয়ে নিতে পারতাম। হাজার হোক তোমার অপরিচিত তো আমরা। তোমার ভয় করেনি? ”
” না। ”
” আমাকে তোমার কেমন মনে হয়? আচ্ছা সাদ কে তোমার কেমন মনে হয়? ”
” ভালো মানুষ। ”
” ভালো লাগে সাদকে ?”
” হুম। ” কথাটা না বুঝেই বলে পূরবি।
” আচ্ছা সাদকে ফোনটা দাও। ”
নূরা সাদকে বলে, ” পূরবীকে তোর বাসায় নিয়ে যা। ”
” কোন পরিচয়ে? বাড়ি গিয়ে বলবো এটা আমার বউ? ” মুখ ভেঙিয়ে বলে সাদ।
” আরে বলে দে একটা কিছু। ”
” কি বলবো? ”
” বল..বল.. বল.. নতুন কাজের মেয়ে। ঝামেলা শেষ। ”
” এই মেয়েকে দেখে মনে হয় কাজের মেয়ে? না জানি কোন আলালের ঘরের দুলালী। ”
” সব জেনেও এরকম বলিস না প্লিজ। তোর হাত থেকে ছুটলেই মেয়েটা বিপদে পড়বে। ”
” তো কি করবো? একে ছেড়া পচা জামা পরিয়ে রাখলেও রাজকুমারীর মতো দেখাবে। ”
” আইডিয়া। এক কাজ কর। তুই বাসায় নিয়ে যা। আন্টিকে ফোনটা ধরিয়ে দিবি। বাকিটুকু আমি মেনেজ করে নিচ্ছি। ”
” আর ইউ সিউর? ”
” ইয়াহ বেবি সিউর। ”
ফোনটা রেখে পূরবীর দিকে বিরক্তি চোখে তাকায় সাদ। পূরবী মাথা নিচু করে ফেলে।
” এতোগুলো গহনা খুলে রাখার কথা মনে পড়েনি? সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে বেড়াচ্ছো মানুষ তো এট্যাক করবেই। ”
” আ.. আমার মনে ছিলো না। আসলে আমি খুলতে পারিনা একা একা। ”
সাদ আর কোন কথা বলে না। সোজা বাড়ির দিকে গাড়ি নেয়।

গেইট দিয়ে ঢুকে গাড়ি পার্কিং করে সাদ। পূরবীকে বলে, ” নামো। ”
পূরবী ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।
” কি হলো শুনতে পাচ্ছো না? নামো বলছি। ”
ধমক খেয়ে পটাপট গাড়ী থেকে নেমে দাঁড়ায় পূরবী। উপর থেকে কেউ একজন তাকে লক্ষ্য করে। দারোয়ান সাদের সাথে পূরবীকে দেখে বাড়ির ভিতরে দৌড় দেয়। লিভিং রুমে এসে বলে , শুনছেন গো?ছোট সাহেব বউ নিয়ে আসছে। চান্দের টুকরো বউ।” চিৎকার শুনে মমতা শেখ নিজের রুম থেকে বেরিয়ে আসে। দারোয়ানের দিকে অবিশ্বাস চোখে তাকিয়ে দেখে। যে ছেলের কানে বিয়ে বিয়ে করে রাত পার করে ফেলে.. ছেলে গো ধরে বসে আছে আগে স্টাডি শেষ করবে বড় সার্জন হবে তারপর বিয়ে করবে আর সে বিয়ে করে বউ এনেছে। একথা বোধগম্য হয়না মমতার। কাজের খালা জামিলাও দৌড়ে আসে।

মেইন ডোরের সামনে পূরবীকে নিয়ে এসে দাঁড়ায় সাদ। বুকটা দূরূ দুরু করছে। হার্ট সার্জনের হার্ট যে এতো উইক এটা জানা ছিলো না আগে। নিজেই নিজেকে ধমকে বলে, ” শেম অন ইউ সার্জন সাদমান শেখ। ” মা কে দেখে যেনো হার্ট আরো উইক হয়ে যাচ্ছে। নূরাটা কি বলবে কে জানে? যদি উল্টাপাল্টা কিছু বলে?

মমতা এগিয়ে এসে দুজনের সামনে দাঁড়ায়। পূরবীর নিলিপ্ত চাহনি। মমতা একহাত পূরবীর গালে গলিয়ে দেয়। কি সুন্দর একটা মেয়ে। কতো কোমল। এজন্যই বুঝি তার ছেলের বিয়েতে সুমতি হলো। এই মেয়েটা তার ছেলের বউ ভেবেই বুকটা ভরে উঠে মমতার। কপালে হাত বুলিয়ে বলে, ” মাশাল্লাহ। অনেক সুন্দর আমার বউমা। আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। এ বাড়ি এবং বাড়ির মানুষদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করো মা ।”
পূরবী সাদের দিকে তাকায়। এতোক্ষণ যে ভয়টা পাচ্ছিলো এখন তাই হলো ভেবে পূরবীর দিকে রাগ চোখে তাকায় সাদ। সাদ নূরাকে ফোন দেয় । মমতার কানে ধরিয়ে বলে, ” মা কথা বলো।”
নূরা মমতাকে সালাম দিয়ে বলে, ” আন্টি আপনার সামনে যে মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে তার নাম পূরবী। আমার এক দুঃসম্পর্কের কাজিন। ওকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলো এক খারাপ লোকের সাথে। কোনমতে পালিয়ে আসছে। আমার বাসায় তো রাখতে পারি না বলেন তাই আপনার কাছে পাঠালাম। কয়েকটা দিন একটু রাখেন আপনার কাছে প্লিজ আন্টি। নয়তো ওর অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। আর আমার কাছে রাখলে আমার ক্ষতি হবে । প্লিজ না করোনা আন্টি। ”
” ওহ। আমি আবার ভাবলাম আমার ছেলে বিয়ে করে এনেছে। ”
” আরে তার জন্যই তো পাঠালাম। ”
” কি বললে? ”
” কিছুনা আন্টি। প্লিজ ওকে কয়েকটা দিন আপনার কাছে রাখুন। ”
মমতা পূরবীকে ভালো করে কয়েকবার দেখে নেয়।কিছু একটা ভেবে বলে,
” আচ্ছা ঠিক আছে। ”
” থ্যাংক ইউ আন্টি। আমি জানতাম আপনি অবশ্যই আমাকে হেল্প করবেন। লাভ ইউ সো মাচ। উম্মাহ।”

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here