বাসন্তী
পর্ব-১৮
#লিমু

—– ” আরে বাইরে গেলে এভাবে কেউ ফোন অফ করে রাখে? টেনশনে দম বন্ধ হয়ে আসছিল আমাদের।

—– ” কাঁধ থেকে ব্যাগটা রেখে একগ্লাস পানি খেয়ে নিলো পুষ্প। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলতে লাগলো, আরে আর বলিস না ফোনটাই তো চুরি করে নিয়ে গেছে। আর নয়তো আমি শুধু শুধু ফোন বন্ধ করে রাখবো কেন?

– ” আমি যেখানে টিউশনি করায়,ঐ যে যুথীদের বাসার কাছেই তো একটা কোচিং সেন্টার। ঐটাতো ডেইলি ৭.৪৫ এ ছুটি হয়। অন্যদিন তো আমি এর আগেই এসে পড়ি,কিন্তুু আজকে একটু বেশি সময় পড়িয়েছি তাই দেরি হয়ে গেলো। আর আমি পড়লাম ঐ গেঞ্জামের মাঝে,ব্যাস তখন ভীড়ের মাঝ থেকে ফোনটা হাওয়া। ফোনটা যে কখন ব্যাগের সাইড পকেটে রেখেছি খেয়ালই নেই,আর ব্যাগের চেইন টাও হয়তো খোলা ছিল। ব্যাস চোরের আর কষ্ট করতে হলো না।

—— “চোরটা মনে হয় অতিরিক্ত লেবেলের গরিব ছিল বু।

—– “তোর হঠাৎ এটা মনে হলো কেন? আর চোররা তো গরিবই হয় সাধারনত, তাইতো চুরি করে। কেউতো আর শখ করে চুরি করে না তাই না। ”

—– ” আরে সেটা কথা না। ”

—– ” তাহলে কোনটা কথা? ”

—– ” আরে তোমার পনেরশ টাকা দামের ফোনটা চুরি করেছে,তাও আবার তিন বছর যাবত তুমি ঐটা ইউজ করছো। ঐটার চেহারা নকশার বারোটা বাজিয়ে ফেলেছো তুমি। তাই এইটা চুরি করে নিয়ে আর কত বিক্রি করতে পারবে বড়জোর,দুই তিনশো।

তাই বললাম চোরটা মনে হয় সেই লেবেলের গরিব।

—– ” তোর যতসব চিন্তা,আমার কাছে আমার এই পনেরশ টাকার ফোনটাই প্রিয় ছিল বুঝলি। তুই সেটা বুঝবি না। একটা জিনিস অনেকদিন ব্যবহার করলে সেটার উপর মায়া পড়ে যায়। আর ফোনটা আমার টিউশনির টাকায় কিনা, তাই একটু বেশিই প্রিয় ছিল। পুষ্প মন খারাপ করে কথাটা বললো।

—– ” আরে ছাড়ো তো ফোনের কথা। তুমি যে ঠিকভাবে বাসায় ফিরেছো,তোমার কোন ক্ষতি হয়নি সেটাই শান্তি।

——- ” হুম সেটাইরে। সামনের মাসের টিউশনির টাকাটা পেলে আরেকটা কিনতে হবে।
—– ” তো এতোদিন কি তুমি ফোন ছাড়া থাকবে নাকি? ”

—– ” কি করবো এখনতো হাতে টাকা নেই একদম। আম্মুর কাছে চাইতে পারবোনা। আর আমার ফোন দিয়ে বিশেষ কোন দরকার নেই।

—– ” এখন নেই,কিন্তুু দু’দিন পর তো দরকার হতেও পারে। এটা বলে কলি একটা দুষ্টুমির ভঙ্গী করলো মুখটা,যেটার মানে পুষ্প ঠিকই বুঝতে পারলো।
হঠাৎ ই কলির কানটা চেপে ধরে বললো,” বড্ড পেকে গেছিস তুই। এখন পুরো কাহিনীটা তুই নিজে সরাসরি বলবি নাকি,কানটা আরো লাল করবি সেটা তোর ডিশিসান।

—– ” কিসের কাহিনী? কি বলবো আমি, আমি কিছুই জানিনা।

—— ” পুষ্প আরেকটু কানটা মলে দিয়ে বললো,কিসের কাহিনী, কিছু জানোনা। কি ভেবেছো আমি কিছুই বুঝতে পারবোনা তোমাদের চালাকি? এতটাও ডাম্ব আমি নয় ওকে। সেটা ঐ ত্রিপলি না জানলেও তোমার তো জানার কথা তাই না। আফটার অল আমি তোমার আপন মায়ের পেটের বোন।

—– ” তুমি কিসের কথা বলছো, আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা বু।

—— ” কি মিথ্যুক হয়ে গেছিস রে তুই কলি। যে তুই আমার কাছ থেকে কিছু লুকাতে পারিস না,সে তুই এতো বদলে গেলি কি করে?

—– ” কলি একটা অসহায় মুখ করে তাকালো পুষ্পর দিকে।

—– ” এখন এমন মুখ বানানোর কিছু নেই। আমি আপনাদের দুজনের নাটকের সবটাই বুঝতে পেরেছি। শুধু দেখতে চাইছিলাম নাটকের শেষ টা কি হয়।

—— ” কলি মুখটা ছিঁচকে চোরের মতো করে রেখেছে। মানে বুঝতে পেরেছে যে ওদের সব প্লান ধরা পড়ে গেছে পুষ্পর কাছে। এখন কিভাবে কি কাটাবে সেটাই মনে মনে সাজাচ্ছে কলি,ঐদিকে পুষ্প এখনও ওর কান ধরে রেখেছে।
কলি পুষ্পকে বললো,

—— ” কানটা ছাড়ো বু খুব লাগছে। এভাবে ধরে রাখলে তো কান ছিড়ে যাবে। তারপর কি কোন রাজকুমার আসবে আর এই এক কানওয়ালা প্রিন্সেস কে রানী করতে?

—— ” কলির দিকে রাগী চোখে তাকালো পুষ্প,যেটা দেখে কলি একটু ঘাবড়ে গেল।
কিন্তুু পরমুহুর্তেই কান ছেড়ে জোরে হেসে দিল পুষ্প। আর বললো,

—– ” কিভাবে সিরিয়াস মুহুর্তে টপিক চেঞ্জ করতে হয় সেটা খুব ভালো জানিস না।

—– ” কলি কানে হাত বুলাতে বুলাতে বললো,টপিক চেঞ্জ করবো কেন? যেটা ঠিক সেটাইতো বললাম। তুমিতো আমার কানের চৌদ্দটাই বাজিয়ে দিচ্ছো।
কানের এ অবস্থা দেখে, আমার আপন বরটা হয়তো কখনো কিসই করতে চাইবেনা আর।

—- ” কলির কথা শুনে পুষ্প জাস্ট শকড খেয়ে গেছে,কোন কথা বলছেনা। মনে হচ্ছে ওর মুখ কেউ বেঁধে রেখেছে,অথবা সে কথা বলতে ভুলে গেছে। এই মেয়েতো অতিরিক্ত পেকে গেছে, কানের নিচে দুইটা দিতে হবে। এতো অল্প বয়সে এতো পাকা পাকা কথা কোথা থেকে শিখেছে? মুখে কিছু আটকায় না একদম।

—— ” উপরের কথাটা বলে কলি একটু ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে আছে পুষ্পর দিকে। তারপর একদৌড় দিলো বাথরুমে।

—— ” পুষ্প কিছু বুঝে উঠার আগেই কলি দৌড় দিল। পুষ্প কলিকে ডাকতে লাগলো,কিন্তুু কলি আর কোন সাড়াশব্দ দিচ্ছে না।
পুষ্প বললো,
—– ” কলি বের হ দরকারি কথা আছে।”
কলির কোন সাড়াশব্দ নেই। পুষ্প রাগে গজগজ করতে করতে ওর মায়ের রুমে গেল। এই কলি দ্যা লেডি আইনস্টাইনকে তো এবার একটু টাইট দিতে হচ্ছে,অতিরিক্ত ফাজিল হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।

—– ” ব্রো তোমার ফোনে এক ফুলকলি না আনারকলি জানি কল দিয়েছিলো। পুরা মাথা নষ্ট,ক্রেজি ডিজিটাল ফকিন্নি মেয়ে কোথাকার।

—– ” প্রিয়মের কথা শুনে প্রণয় চোখ কপালে তুলে তাকালো। তারপর বললো,
—— ” তুই এই কথাগুলো ওকেও বলেছিস?”

—– ” ইয়েস,বাট আমিতো ইচ্ছে করে বলিনি,বলতে বাধ্য হয়েছি। এমন তারছীড়া মেয়ে আমি আমার লাইফে দুইটা দেখিনি।

—— ” প্রণয় মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো ফ্লোরে,সর্বনাশ করেছে!”

—— ” হেই, ব্রো হোয়াট হ্যাপেন্ড?

—— ” তুই আমার লাভ স্টরি শুরু হওয়ার আগেই দি ইন্ড করে দিছিস,আবার জিজ্ঞাস করছিস হোয়াট হ্যাপেন্ড!”

—– ” প্রিয়ম ঠিক বুঝতে পারলোনা।
তাই জিজ্ঞাস করলো মেয়েটা কে ছিল। যেটা শুনলো ওর ঠিক হজম হলো না। মানে ঐদিন পুষ্পকে দেখে প্রিয়মের যথেষ্ট ঠান্ডা,ভদ্র মেয়েই মনে হয়েছিল। আর পুষ্প আসলে তেমন মেয়েই, আর তার বোন কিনা এমন তারছীড়া, আনবিলিভেবল!

—– ” প্রণয় বলতে লাগলো তুই জানিস,কলি হচ্ছে আমার লাভস্টরির মেইন ট্রাম্প কার্ড। মানে ও হচ্ছে আমার লাভস্টরির লাভগুরু। ওর কথামতোই সব প্লান মাফিক হচ্ছিল,আর তুই এখন দিলি বারোটা বাজিয়ে।

—– ” আরে ব্রো কুল। নাথিং হ্যাপেন্ড ওকে। আমরা প্রপোজাল নিয়ে ওদের বাসায় যাবো। আমার ভাইকে রিজেক্ট করবে,এমন মেয়ে এদেশে আছে নাকি।

—– ” ভাই তোর লেকচার বন্ধ কর। অনেক কষ্টে তোর হবু ভাবীকে একটু পজিটিভ করেছিলাম,তাও সবটা কলির সহযোগিতায়। আর এখন তুই আমার সেই লাভগুরুকেই ক্ষেপিয়ে দিলি,কি যে ভাবতাছে এখন ফুলকলি কে জানে।

—– ” কাটার মত ঝগড়া করে, তার নাম আবার ফুলকলি।

—– ” কি বললি তুই?”

—– ” নাথিং, নাথিং এট অল।”

—– ” আমি ফোন দিচ্ছি এখন,তুই সরি বলবি ওর কাছে।

—– ” নেভার।” আমি কোন ভুল কিছু বলিনি, তাই সরি বলার প্রশ্নই উঠেনা। সরি যদি বলতেই হয় তোমার ঐ ফুলকলিকে বলতে বলো।

—– ” প্রণয় একটা ধমক দিল প্রিয়মকে। সরি বললে কেউ ছোট হয়ে যায় না ওকে। আমি ফোন দিচ্ছি তুই সরি বলবি ব্যাস।
প্রিয়ম কিছু বলতে চাইলো কিন্তুু প্রণয় সেটা না শুনেই ফোন দিয়ে দিল।
দুইবার বাজার পর ফোন রিসিভ হলো।

—– ” ফুলকলি কেমন আছো?”

—– ” পাকা লাল টমেটোর মতো।”

—- ” সেটা আবার কেমন?”

—– ” লাল কখন হয় মানুষ?”

—– ” কখন?”

—- ” ফেসবুকের রিয়েক্ট ইমোজি গুলা চেক করেন পেয়ে যাবেন।

—– ” আচ্ছা সেটা পরে চেক করবো,আগে বলো ফোন দিয়েছিলে কেন?

—– ” দিয়েছিলাম আমার রেজাল্ট জানানোর জন্য। কিন্তুু একটা গন্ডারে ফোনটা রিসিভ করে মুডটাই খারাপ করে দিয়েছে। এটা শুনে প্রণয় মুচকি হাসলো প্রিয়মের দিকে তাকিয়ে। প্রিয়ম কিছুই বু্ঝতে পারলনা।

—– ” প্রণয় কলি কে বললো, “সেই গন্ডার এখন তোমাকে সরি বলতে চাইছে।

সেই গন্ডার কথাটা তারমানে প্রিয়মকে বলা হয়েছে,প্রিয়ম উঠে চলে যেতে চাইলো এটা শুনে।
কিন্তুু প্রণয় ওর টি-শার্ট ধরে রেখেছে তাই যেতে পারে নি। প্রিয়ম বলছে,

—– ” আমি ঐ গন্ডারনী কে সরি বলবো, নেভার। সাহস কত বড় আমাকে গন্ডার বলে, তাও আমার ভাইয়ের কাছেই।
প্রিয়মের কথাগুলো কলি হালকা শুনতে পেলো। ব্যাস মনে হচ্ছে ফোনের ওপাশ থেকেই পারলে প্রিয়মকে ঢিশক্যাও করে দেয়। কলি বললো,
—— ‘ তার সরির আমার দরকার নেই, সরি মাই ফুট।
—– ” প্রণয় বললো, আরে না ও সরি বলবে। এখনি বলবে,ও সরি বলবে, দরকার হলে ওর ভাইও সরি বলবে।

প্রিয়ম রাগ আর অসহায় মুখ করে প্রণয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। কিন্তুু প্রণয় ওকে কোন গুরুত্বই দিলো না। অতঃপর প্রিয়মকে সরি বলতেই হলো। প্রণয় ফোনের লাউড স্পিকার অন করলো, আর প্রিয়মকে সরি বলতে বললো।

— ” প্রিয়মের মনে হয় গলায় কাঁটা আটকে গেছে, এমন ভাব করে বললো” সরি।”

—— ” ওপাশ থেকে একটা আওয়াজ শোনা গেল মৃদু হাসির,যেটা শুনে প্রিয়মের রাগ উঠে গেল ধপ করে। আজ পর্যন্ত কোন মেয়েকে সরি বলে নি প্রিয়ম,আর সে কিনা একটা পিচ্চি মেয়ের সামনে মাথা নত করলো। তবে হ্যা এটা সে করলো শুধু নিজের ভাইয়ের জন্য, আর নয়তো ঐ মেয়েকে সরি বলা ইমপসিবল। গন্ডারনী কোথাকার!”

শেষের কথাটা প্রিয়ম একটু জোরেই বলে ফেললো, আর সাথে সাথেই কলি কথাটা টান মেরে ধরে ফেললো।”

ঐ তোর সাহস কি করে হয় আমাকে গন্ডারনী বলার? তুই দেখেছিস আমাকে,আমার চেহারা কি গন্ডারনীর মতো?
—– ” তুই আমাকে দেখেছিস? আমার চেহারা কি গন্ডারের মতো?
—– ” দেখতে হবে না,যার কথাবার্তা এমন গন্ডার মার্কা, সে তো দেখতে ও গন্ডারই হবে তাই না। ইটস সিম্পল।

—– ” ও হ্যালো…সেম টু ইউ।
—— ” মানে?”
—— ” মানে হলো আপনার কথাও গন্ডারনী মার্কা,তাই আপনিও দেখতে গন্ডারনীই হবেন। ইটস ভেরি সিম্পল।

– ” প্রণয় ওদের দুজনের তুই তুকারি কথা শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে তাকিয়ে রইলো। মানে জাস্ট ফোনে দুইবার কথায় এ অবস্থা,এদের সামনা সামনি দেখা হলে কি হবে! প্রণয় ভেবে কুল পাচ্ছে না।

– ” প্রিয়ম প্রণয়ের হাত থেকে ফোন নিয়ে ঝগড়া শুরু করলো। আর প্রণয় বোকার মতো ওদের ঝগড়া শুনছে আর ভাবছে মায়াচন্ডীও কি আমার সাথে এভাবে ঝগড়া করবে?”

– ” আর প্রিয়মতো এমন ঝগড়ুটে নয়,আজকে কি হলো ওর। নিজের ক্যারেক্টারের বাইরে গিয়ে একটা ষোড়শী বালিকার সাথে এভাবে ঝগড়া করছে।

পাক্কা একঘন্টা ঝগড়া করার পর দুজন থামলো, তবে ঝগড়া থামেনি ব্যালেন্স শেষ হয়তো ফোনের তাই।

– ” প্রিয়ম ফোনটা প্রণয়ের কাছে দিল কোন কথা না বলে, আর প্রণয় হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। আর ভাবছে আমি থাকে সরি বলতে দিয়েছিলাম, ঐটাই মনে হয় পাপ করছিলাম। সে সরি তো বললই,সাথে আরো সুদসহ ঝগড়া। প্রণয় প্রিয়মের দিকে হতাশ হয়ে তাকিয়ে রইলো, প্রিয়ম চুপচাপ ওর রুমে চলে গেল।

—– ” একটা ডায়মন্ড রিং বক্স,আর সাদা গোলাপের বুকে হাতে নিয়ে পুষ্পদের বাসার সামনে দাঁড়িয়েছিল প্রণয়। কিন্তুু হঠাৎ কয়েকটা কথা কানে আসতেই মুহুর্তেই রাগে ওর মাথাটা ফেটে যাচ্ছিল।

—-” রাত বিরাতে বাসার বাইরে থাকে,বাপ নেই মা একা। সেই মেয়ে ভালো হলেই আর কতটুকু হবে? বলে তো টিউশনি করে, বলি মেয়ে মানুষের রাতে আবার কিসের টিউশনি। টিউশনি করতে যায়,না কোথাও নষ্টামি করতে যায় কে জানে। আজকাল কার মেয়েদের তো কোন ভরসা নেই,কোথায় কোন বড়লোকের ছেলেকে ফাঁসাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে কে জানে।

— ” এতদিন শুধু দেখেছি কিন্তুু কিছু বলিনি। কিন্তুু আজ, আজ কি হলো। সেইতো নষ্টামি সবার সামনে বের হয়ে এলো। এমন কোন ভাড়াটিয়াকে আমি রাখবো না বলে দিলাম। আজ কালের মধ্যেই আমার বাসা খালি দেখতে চায় আমি। এটা ভদ্রলোকের বাসা,কোন অসভ্যতামির স্থান এখানে নেই। অসভ্যতামি করতে হলে দূরে কোথাও গিয়ে করুক,এখানে থেকে নয়। আমার বাসার কোন বদনামি আমি মেনে নিবো না।

– ” রাগে প্রণয়ের শরীর কাঁপছে থরথর করে। চোখগুলো একদম রক্তবর্ণ ধারণ করেছে। কপালের শিরা উপশিরা গুলো মনে হয় রেগে ফুলে ফেটে যেতে চাইছে।

হাতের ফুলগুলো ছিড়ে ফেল দিল,রিং এর বক্সটার দিকে তাকালো,চোখ জ্বালা করছে ওর, ভীষণ জ্বালা করছে।

কোন এক অজানা ভয়ে মনটা কুঁকড়ে যাচ্ছে, বুকটা কেমন ব্যাথা করছে। এত যন্ত্রণা হচ্ছে কেন!”

#চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here