বাদামী সংসার
পর্ব ৩১
মিশু মনি

ভোরের কুসুমিত আলোয় হাঁটতে বেরিয়েছে নীলাক্ষী। মনের বোধহয় খারাপ কোনো অসুখ হয়েছে। দুশ্চিন্তার জন্ম দিচ্ছে একের পর এক। যেই অম্লানের প্রেমের মধুর বুলিতে তার হৃদয়ে তুষারের মতো হিম হিম হাওয়া বয়ে নিয়ে আসতো, সেই অম্লান যেন ফাগুন হাওয়ার দিনগুলিকে একপাশে সরিয়ে শ্রাবণ সন্ধ্যাকে বরণ করে নিয়েছে। গত রাতে অম্লান ভালোভাবে ঘুমায়নি, খুব ছটফট করে রাত কেটেছে ওর। নীলাক্ষীর বিশুদ্ধ মনে আবছা অন্ধকার নেমে আসছে। একজন স্ত্রী হিসেবে তার কি করা উচিৎ এখন? স্বামীকে বোঝানো, নাকি তাকেই ভুল বুঝে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা? নাহ, এই খারাপ দুশ্চিন্তা এত সহজে তাকে ছাড় দেবে না বোধহয়।

নীলাক্ষী বাইরের শূণ্য রাস্তায় খানিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে বাসায় ফিরে আসে। আজ বাড়িটা নির্জনতায় আচ্ছন্ন৷ কারোরই ঘুম ভাঙেনি। এই সকালবেলায় নাস্তা বানিয়ে ফেললে কেমন হয়? নিশ্চয় মা অনেক খুশি হবেন।

নিঃশব্দে রান্নাঘরে প্রবেশ করে নীলা। মায়ের সাথে কাটানো দিনগুলি মনে পড়ে যায়। মেয়েদের মনঃস্তাত্ত্বিক ব্যাপারগুলোও অদ্ভুত। যে মেয়ের কখনো ভুলেও মায়ের রান্নায় হাত লাগাতে ইচ্ছে করেনি, পরের বাড়িতে এসে সেই মেয়েরও ইচ্ছে করে রান্না করে সবাইকে চমকে দেই। সংসারটা আমার, এটাকে গুছিয়ে রাখি। মায়ের সংসারটা নিজের নয় বলেই কি এই অদ্ভুত ভাবনা?

নীলাক্ষী রান্নাঘরে ঢুকে আলো জ্বালিয়ে দেয়। আটার বয়াম নামিয়ে সামান্য পানি তুলে দেয় চুলায়। সকালের নাস্তায় আটার রুটি, ডিম ভাজি আর সবজি করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আটা না দিয়ে ময়দা নেয়ার দরুণ খামির হলো মাখো মাখো। হাতের সাথে আলুভর্তার মতো লেপ্টে যাচ্ছে। রুটি বেলতে গিয়েও বারবার জড়িয়ে যাচ্ছিল। আধা ঘন্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও যখন ব্যর্থ হলো, বিরক্তির সীমা ছাড়াচ্ছিল ততক্ষণে। এমন সময় শাশুড়ী মা এসে দরজায় দাঁড়ালেন।

উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বললেন, ‘ও কি নীলা, কি বানাচ্ছো?’
‘মা রুটি করছিলাম।’
‘এভাবে কেউ রুটি বানায়? দেখি আমাকে দাও। এতগুলো আটা গুলছো কেন?’

নীলাক্ষী নিঃশব্দে পিছু হটে আসে। মুখখানা ভয়েই জড়োসড়ো। এই বুঝি কিছু ভুল হওয়ার দায়ে কয়েকটা কথা শুনিয়ে দেবেন! ভয়েই নিশ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসে নীলাক্ষীর।
মা ময়দার পরিমাণ দেখে হা হুতাশ করলেন, ‘হায়রে কতগুলো আটা নিয়েছো। এই আটা দিয়ে তিনদিন রুটি বানাতো যেতো।’
‘মা, পানি বেশি দিয়েছিলাম..’
‘পানি বেশী দিলে কি আটা বেশি দিতে হবে? জানো না রুটির জন্য পানি কম দিতে হয়?’
‘মা আসলে আমি আগে রুটি বানাই নি।’
‘বানাতে ঢুকছো কেন বউমা? তোমাকে তো আমরা কেউই কাজ করতে বলি না। বলি?’

নীলাক্ষীর দুই হাতে মাখোমাখো ময়দা, হাত দুটো একত্র জড়ো করে গম্ভীর মুখে একপাশে দাঁড়িয়ে রইলো। সংসার জীবনের শুরুতে এমন দু চারখানা কথা শুনতেই হবে, এটা তো নিত্যদিনের নিয়ম। এটা মা বাবা নীলাক্ষীকে আগেই বলে দিয়েছিলেন। শাশুড়ী মা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নীলার দিকে তাকিয়ে একগাল হেসে বললেন, ‘মন খারাপ করছো কেন? আমি কি তোমাকে বকেছি? বিয়ের এদ্দিন হলো, একদিনও রান্নাঘরে আসোনি। কক্ষনো কিছু বলি নাই। নিজে নিজে এসে ভুল করে বসে আছো, একটা কথাও কি বলবো না বলো?’

নীলাক্ষী স্বাভাবিক গলায় বললো, ‘জি মা। আমি মন খারাপ করি নি।’
‘হু। মন খারাপ করবা না। আমি কিভাবে কাজ করি দেখো। দেখে শেখো। আমরা আর কয়দিন থাকবো রে মনা। তোমরাই তো আজীবন আমার ছেলেগুলাকে দেখে রাখবা। নিজেরও বাচ্চাকাচ্চা হবে। কাজ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে বুঝছো?’

নীলাক্ষী মুখে মুচকি হাসি ধরে রাখার বৃথা প্রচেষ্টা চালায়। তার বড্ড মন খারাপ। খারাপ মনে কি জোর করে হাসা যায় নাকি? কি জানি, ছোটবেলা থেকে মা হাজারবার বকা দিলেও কখনো মন খারাপ হতো না। অথচ সামান্য কথাতেই কেমন চুপসে গেলাম! ভাবতেই অবাক হয় নীলাক্ষী।

শাশুড়ী মা আনন্দিত মনে নিজের কাজ গোছাতে আরম্ভ করলেন। প্রতিটা কাজ করছেন কত নিঁখুতভাবে। একটা প্লেট ধুচ্ছেন কত আদর দিয়ে, সেটা কাপড় দিয়ে মুছে ভাজা রুটি রাখার জন্য চুলার একপাশে রেখে দিলেন। আটাগুলো রেখে দিলেন একদিকে। নীলাক্ষীর নিজেকে ভীষণ অপরাধী মনে হচ্ছিলো। আটাগুলো নষ্ট হয়ে যায় কিনা, এই ভেবে।

শাশুড়ী মা ময়দাগুলোকেও আটা দিয়ে মাখিয়ে দ্রুত গোল গোল করে পরোটা বানিয়ে ফেললেন। এতক্ষণে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো নীলা। মায়ের হাতে জাদু আছে মনে হলো ওর। কি সুন্দর করে কাজ করছেন!

মা নীলাক্ষীকে বললেন, ‘ডিম ভাজো চারটা। তোমার শ্বশুরেরটা আলাদা করে ভাজো।’

নীলাক্ষী মাথা দুলিয়ে চারটা ডিম সামনে রেখে পেয়াজ কুঁচি করতে বসলো। সে নিশ্চিত জানে, পেয়াজ কাটতে গেলেই চোখের জল টুপটুপ করে গড়িয়ে পড়বে চিবুক বেয়ে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, আজ একটুও জল এলো না চোখে। বরং সুন্দর করে পেয়াজ কাটতে পারার আনন্দে নীলাক্ষীর আনন্দ হতে লাগলো। সংসারের ছোট ছোট কাজেও বুঝি অনেক সুখ?

খানিক বাদে হাজির দোয়েল। চোখেমুখে লেপ্টে আছে ঘুমের আলতো পরশ। গালের ওপরে, চোখের নিচটায় কাপড়ের দাগ রয়ে গেছে। এলোমেলো চুল দুহাতে কানের পিঠে তুলে রেখে দোয়েল ব্যস্ত হয়ে রান্নাঘরে ঢোকে। চুলার পাশে এসে দাঁড়িয়ে বলে, ‘নীলা তুই ডিম গুলিয়ে দে। আমি ভেজে দিচ্ছি।’

নীলাক্ষী একদিকে সরে দাঁড়িয়ে নিজের কাজ করতে লাগলো। কড়াইতে তেল ঢেলে ডিম ছেড়ে দিলো দোয়েল। নীলাক্ষীকে বললো, ‘কেমন ঘুরলি রে তোরা?’
‘ভালো।’
‘কি কি দেখলি বললি না যে?’
‘রিসোর্টে আর কি দেখবো?’
‘রিসোর্টে কি দেখলি সেইটা বল?’

নীলাক্ষী চুপ করে রইলো। খানিক বাদে বললো, ‘সুন্দর রিসোর্ট। সুইমিং পুলটাও সুন্দর।’
‘সুইমিং পুলে ঝাপাঝাপি করেছিস। না?’
‘হুম।’

নীলাক্ষী দেখলো দোয়েল ব্যস্ততা ভরে কাজ করছে নিজের মতোই। অথচ কোমল মুখের আড়ালে নীলা দেখতে পায় একটা বিষণ্ণ মুখের ছায়া। যেই ছায়া দীর্ঘশ্বাস ফেলতে জানে। তারও বুঝি ইচ্ছে করে দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে। দু একদিন সংসারের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাওয়ার সাধ জাগে। স্বামীর ভালোবাসাময় সুখ সুখ আবেশে নিজেকে রাঙাতে ইচ্ছে করে। নীলাক্ষীর দৃষ্টি মলিন হয়ে আসে, ক্ষুদ্র হয়ে আসে চোখের মণি।

দোয়েল বললো, ‘ছবি তুলিস নি?’
নীলাক্ষী নির্বাক চোখে চেয়ে থাকে। গলার স্বর বিরস শোনায়, ‘তুলেছি।’
‘দেখাস তো।’
‘আচ্ছা।’

নীলাক্ষী স্থির হয়ে একদিকে দাঁড়িয়ে থাকে। শাশুড়ী মাকে তুলে দিয়ে রুটি বানাতে বসে গেছে দোয়েল। ঝটপট রুটি বানাচ্ছে আর ভাজছেন মা। এতক্ষণে দোয়েল সবজিও কেটে রেখেছে। রুটি ভাজতে ভাজতে মা অন্য চুলায় তরকারিও বসিয়ে দিলেন। প্রত্যেকটা কাজ যেন রুটিনমাফিক। কেউ কারও সাথে কোনোরকম কথাবার্তা ছাড়াই দুজনে মিলেমিশে কাজ করে যাচ্ছেন। মা কড়াই তুলে দেন তো দোয়েল এগিয়ে দেয় তেলের বোতল, মা সবজি ঢেলে দেন তো দোয়েল নুন হলুদের বয়াম সামনে রাখে। নীলাক্ষী একপাশে ফেলে রাখা তক্তার মতো স্থির, দাঁড়িয়ে। তার করার মতো কাজই নেই!

শাশুড়ী বললেন, ‘নীলাক্ষী বৌমা তুমি যাও। তুমি তো আবার অফিসে যাবা। রেডি হয়ে নাস্তা করে অফিসের জন্য বের হও। অম্লানকে ডাকো, আর কতক্ষণ ঘুমাবে।’

মলিন মুখে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসলো নীলাক্ষী। বুকের ভেতর কী যেন পুড়তে থাকে। ভীষণ ব্যকুলতায় দহনে জ্বালানি বাড়ে, দাউদাউ করে জ্বলে। সংসারটায় যেন তার কোনো অস্তিত্ব নেই, কোনো অধিকার নেই, কোনো দায়িত্বও নেই। সে এতদিন নির্বিকার গায়ে আলোবাতাস লাগিয়ে একসাথে বসে খেয়েছে, টুকটাক হাতে এটা ওটা এগিয়ে দিয়েছে, কিন্তু ঘরের কাজ কর্ম তেমন একটা আগ্রহ ভরে করে নি। কভু কারও অভিযোগও নেই তাকে নিয়ে। কিন্তু আজ হঠাৎ মনে হচ্ছে, সবাই যেন নীলাক্ষীকে সংসার থেকে আড়াল করে রেখেছে। এ যেন নীলাক্ষীর সংসার নয়। এটা শাশুড়ী মা আর দোয়েলের গভীর ভালোবাসায় গড়ে তোলা সংসার। নীলাক্ষী সেখানে অতিথি মাত্র।

নীলাক্ষী বেলকনির গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে রইলো। দোয়েল তো একদিন শাশুড়ীর সংসারে অতিথির মতোই এসেছিল। অথচ সে এখন দখল করে নিয়েছে নিজের জায়গা, নিজের ঘর, দায়িত্ব। নীলাক্ষীর দায়িত্ব গুলোও যেন তার থেকে দূরে দূরে আছে। কারণ সে এখনও দায়িত্ব নিতেই পারেনি। সে দায়িত্ব নিতে শুরু করলে শাশুড়ী মা আস্তে আস্তে দায়িত্ব থেকে অবসর নেবেন, এটাই হয়তো নিয়ম। কিন্তু নীলাক্ষীর সংসার কোথায়! কিভাবে সে সবকিছুকে আপন করে নেবে, একান্তই আপন! মনের কোণে হঠাৎ ভীষণ খারাপলাগা এসে ভর করে।

অম্লান ঘুম থেকে উঠে ঘুম জড়ানো গলায় ডাকে, ‘নীলু?’

নীলাক্ষী দ্রুত ছুটে আসে ঘরে, ‘জি।’
‘কখন উঠলে?’
‘ভোরে।’
‘নামাজ পড়েছো?’
‘হ্যাঁ।’
‘আমাকে ডাকোনি কেন? আমিও পড়তাম।’

চমকে উঠে অনেক্ষণ অম্লানের দিকে তাকিয়ে রইলো নীলাক্ষী। অম্লান হাত বাড়িয়ে নীলাক্ষীকে কাছে টেনে নিলো। খালি গায়ে ঘুমানোর অভ্যাস অম্লানের। নীলাক্ষীকে টেনে নিলো কাথার ভেতর। উষ্ণ দেহের সাথে জড়াতে জড়াতে নীলাক্ষী ব্যকুল চোখে তাকিয়ে রইলো।

অম্লান বললো, ‘কি ভাবছো এত?’
‘কিছু না।’

অম্লানের কোমল দেহের বক্ষস্থলে নীলাক্ষীকে জাপটে ধরে রাখে সে। নীলাক্ষী চুপটি করে থাকে। তার মনটা ভীষণ এলোমেলো।

অম্লান বললো, ‘জানো আজকে কি স্বপ্ন দেখেছি?’
‘আমি কি তোমার স্বপ্নে ঢুকেছি? কিভাবে জানবো?’
”সত্যিই তুমি আমার স্বপ্নে ঢুকে গেছো। জানো?’
‘না জানি না। বলো স্বপ্নে ঢুকে কি করেছি?’

অম্লান ঘুম জড়ানো গলায় বললো, ‘স্বপ্নে দেখি আমার বিয়ে। অন্য একটা মেয়ের সাথে। আমি বারবার বলছি ওই মেয়েকে আমি বিয়ে করবো না, আমি নীলাক্ষীকে চাই। আমার নীলু আমাকে অনেক ভালোবাসে, অনেক কেয়ার করে সে আমার। আমি নীলু ছাড়া আর কারো হতে পারি না। এরপর তোমাকে কত খুঁজে বেড়িয়েছি জানো? তোমাকে দেখতে পারছি আবার দেখছি তুমি নাই। কি যে ফিলিংস কাজ করছিল তোমার প্রতি। বোঝাতে পারবো না।’

অম্লান নীলাক্ষীর গলায় মুখ লুকিয়ে দেয়। নীলাক্ষী অম্লানকে বাহুডোরে আবদ্ধ করে বললো, ‘অম্লান, আমার জন্য তোমার ফিলিংস হয়?’
‘হয় তো। মনে হচ্ছিলো এ জগতে তোমার চেয়ে ভালো আমাকে কেউ রাখতে পারবে না।’
‘আমি কি তোমাকে ভালো রেখেছি?’
‘জানিনা। কিন্তু আমি ভালো আছি। তুমি আমার লাইফে আসার পর থেকে আমার অতীতের প্রেমিকার কথা খুব একটা মনে পড়ে না।’

নীলাক্ষী মুখ কালো করে বললো, ‘কতটুকু মনে পড়ে?’
‘সামান্য।’
‘সেই সামান্য’র তীব্রতা কি অনেক বেশী?’
‘নীলু, আমি তোমার। আমাদের মাঝে আর কিছু টেনে নিয়ে এসে নিজেদের অশান্তি বাড়ানোর কোনো দরকার আছে কি?’
‘অবশ্যই নেই। কিন্তু তুমি গতকাল থেকে আমার সাথে এমন বিহ্যাভ কেন করছ? তুমি কি অস্বীকার করবে ওকে তোমার মনে পড়ে না?’

অম্লান কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো।
‘দেখো নীলু, যে কারোরই এমন হবে। তুমি যদি এ ব্যাপারে আমাকে হেল্প না করো, আমি তো ওটা থেকে বের হয়ে আসতে পারবো না।’
‘আমি হেল্প করতেই চাই। শুধু তুমি নিজের জায়গাটা ঠিক রাখো। দুই নৌকায় পা দিও না।’
‘আমি দুই নৌকায় পা দিচ্ছি?’
‘অনেকটা সেরকমই। আমাকেও ভালোবাসতে চাও, আবার ওকেও মিস করো। এটা কি দুই নৌকা নয়?’

অম্লান নীলাক্ষীর হাত ধরে বললো, ‘না। আমি ধীরেধীরে ওকে ভুলে যাবো। সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমি শুধু সাপোর্ট করো।’
‘এই ব্যাপারটা বাদ দাও অম্লান। ওঠো, ফ্রেশ হয়ে আসো। অফিসের জন্য রেডি হবো আমি।’
‘অফিসে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকতে হয়।’
‘ওমা তাই নাকি? এটা কি তোমার অফিসের রুলস?’
‘হ্যাঁ, সব অফিসের রুলস। অফিসে যাওয়ার আগে শুয়ে শুয়ে বউকে আদর করতে হয়।’

অম্লান নীলাক্ষীকে বুকে টেনে নিয়ে চুপটি করে রইলো। মনেমনে ভীষণ অশান্তি অনুভূত হচ্ছে। তার ভেতর সবসময় এক ধরণের দোলাচল চলতেই থাকে। অনেকটা পেন্ডুলামের মতো। সবকিছু কি নীলাক্ষীকে খুলে বলা উচিৎ?

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here