বাদামী সংসার
পর্ব ২৪
মিশু মনি

রিসোর্টের মনোরম পরিবেশ। বিস্তীর্ণ শ্যামলিমায় চারদিক নির্জনতায় ভরপুর। রাতের অন্ধকার দূর করতে আলোর যোগান দিচ্ছে এক ঝাঁক ল্যাম্পপোস্ট। মাথায় রং বেরঙের আলো নিয়ে তারা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অম্লান ও নীলাক্ষী বারান্দার খোলা হাওয়ায় বসে কফি পানের সাথে মেতে উঠেছে আড্ডায়।

নীলাক্ষী শুনছে। অম্লান বলে যাচ্ছে তার ছেলেবেলার গল্প। এক গল্প ফুরালে আরেক গল্পে ঢুকে পড়ছে। যেন গল্পের হাট। এক দোকান ঘুরে আরেক দোকানে। একের পর এক মোহনীয় গল্প শুনতে শুনতে নীলাক্ষীও যেন শহুরে জীবনের ক্লান্তি শ্রান্তী সব ভুলে হয়ে উঠছে প্রাণবন্ত। কেবলই মনে হচ্ছে, এই একদিনের ছুটিটা নেয়া একদম সার্থক। এবার শহরে ফিরে আবারও মন দিয়ে কাজ করা যাবে।

অম্লান বললো, ‘তোমার গল্প বলো?’
– ‘আমার বলার মতো কোনো গল্প নেই।’
– ‘নেই? প্রত্যেক মানুষেরই গল্প থাকে। ছোট ছোট গল্প। বলতে পারলে সব গল্পই বলার মতো।’
– ‘আমার সত্যিই কোনো গল্প নেই।’
– ‘তাহলে গল্প বানিয়ে দেই?’
– ‘কিভাবে?’

অম্লান হাসতে হাসতে বললো, ‘এখন দুজনে মিলে বিশ্রীভাবে একটা ঝগড়া শুরু করি চলো। ঝগড়া করার পর তোমার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করবো। এরপর এটা গল্প হয়ে যাবে।’
– ‘যতসব ফালতু গল্প।’
– ‘এভাবে বললে কিন্তু সত্যি সত্যি ঝগড়া লাগবে নীলাক্ষী।’
– ‘লাগুক না। ভালো গল্প বানাও।’
– ‘যাও তোমার সাথে কথাই বলবো না। সবসময় শুধু আমি বলবো আর তুমি শুনবা তাইনা?’
– ‘আমিও তো বলি। আমি সবসময় কাজের কথা বলি। আর তুমি বেশি অকাজের কথা বলো।’

ব্যস, শুরু হয়ে গেলো ঝগড়া বিতন্ডা। চললো মাঝরাত পর্যন্ত। নিতান্তই ছেলেমানুষী টাইপের ঝগড়া। শেষ হলো রাত একটায়। তখন আবার দুজন দুজনকে সরি বলে মান ভাঙিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়। শেষবেলায় আবারও জড়াজড়ি করে ঘুমাতেই হলো। মাঝখান থেকে ঝগড়া নামে মিছেমিছি সময়টা নষ্ট করা।

সকালে প্রফুল্ল’র ঘুম ভাঙলো খুব দেরীতে। মোবাইলের রিংটোনের শব্দে। বালিশের নিচে হাত ঢুকিয়ে মোবাইল বের করলো সে। ঘুমের আবেশে কানে ধরলো।

– ‘হ্যালো প্রফুল্ল।’
– ‘হুমমম।’
– ‘ঘুম ভাঙেনি এখনও?’
– ‘না।’
– ‘আমি তো চলে এসেছি।’
– ‘কিহ!’

প্রফুল্ল চমকে উঠে জোরপূর্বক ঘুম তাড়িয়ে দিয়ে বললো, ‘এত তারাতাড়ি! কয়টা বাজে?’
– ‘সাড়ে এগারোটা।’
– ‘ওহ মাই গড! এত লেট করে ফেলছি।’
– ‘ইটস ওকে। আপনি ফ্রেশ হয়ে নিন। আমি বরং দুপুর পর্যন্ত ঘুমাই। এত সুন্দর রুমে এসে না ঘুমালে পাপ হবে।’
– ‘আচ্ছা ঘুমান। দুইটায় একসাথে লাঞ্চ করবো। আপনি সময়মত খেতে আসবেন।’
– ‘ওকে ওকে।’

প্রফুল্ল দুপুর দুইটার কয়েক মিনিট আগে রেস্টুরেন্টের সামনে এসে দাঁড়ালো। সাথে রয়েছে রোদেলা। প্রফুল্ল’র পরনে একটা কচি কলাপাতা রঙের শাড়ি। স্ট্রেইট করা চুলগুলো পিঠের ওপর এলিয়ে দেয়া। চোখে কাজলের টানে এক মায়ার পরিমাণটা কিঞ্চিৎ বেড়ে গিয়েছে। প্রফুল্ল হাত দিয়ে কানের পিঠে চুল গুঁজে দেয়ার সময় হাতে রিনরিন করছিলো চুড়ি।

এমন সময় একজন আগন্তুক এসে দাঁড়ালো। কোনোরকম আনুষ্ঠানিকতার ধার ধারতে গেলো না। সরাসরি এসে পরিচিত মানুষের মতো বললো, ‘বাইরে গরমে দাঁড়িয়ে আছেন। ভেতরে বসতেন।’

ছেলেটা রেস্টুরেন্টের ভেতরের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত করে সে নিজেও ঢুকে গেলো ভেতরে। প্রফুল্ল চোখ বড়বড় করে রোদেলার দিকে তাকালো। তার প্রথম সাক্ষাতের আচরণে বেশ মজা পেলো প্রফুল্ল। রোদেলা ঝুঁকে এসে প্রফুল্লকে বললো, ‘হ্যান্ডসাম আছে।’

একটা টেবিলে এসে বসলো তারা। প্রফুল্ল আগেই খাবার অর্ডার করে দিয়েছে। টেবিলে বসার পর প্রফুল্ল এদিক সেদিক তাকাচ্ছিলো। ছেলেটা বললো, ‘আমি একটা নব্বইয়ে এলার্ম দিয়েছিলাম। এরপর উঠে দশ মিনিটের মধ্যে গোসল সেরে চলে এলাম।’

প্রফুল্ল অবাক হয়ে জানতে চাইলো, ‘একটা নব্বই এ? ঘড়িতে নব্বইয়ের কাঁটা আছে?’

ছেলেটা কপালে হাত দিয়ে বললো, ‘ইস। সরি। একটা পঞ্চাশে। নব্বইয়ের পরে একশো তো, হিসাব ওলটপালট করে ফেলেছিলাম।’

হেসে উঠলো প্রফুল্ল ও রোদেলা। ছেলেটা মাথা নিচু করে মধুর ভঙ্গীতে হাসলো। প্রফুল্ল ভ্রুয়ের মাঝে কিঞ্চিৎ ভাঁজ ফেলে তাকিয়ে রইলো সেই হাসির দিকে।

রোদেলা জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনি একা এসেছেন?’
– ‘হ্যাঁ। আমার তো আপনার মতো কোনো বন্ধু নেই।’
– ‘সো স্যাড। আপনার মতো এত চমৎকার একজন মানুষের বন্ধু নেই। ইস! কষ্ট পেলাম।’
– ‘কষ্ট দেয়ার জন্য আমি রিয়েলি ভেরি সরি।’
– ‘হা হা হা।’

হেসে উঠলো প্রফুল্ল ও রোদেলা। টেবিলে খাবার চলে এলো। এত বেশি খাবারের আইটেম দেখে রীতিমতো অবাক হলো সে। প্রফুল্লকে বললো, ‘এত খাবার কেন মিছেমিছি?’
– ‘মিছেমিছি নয়। আমি ভোজনরসিক। নিন খাওয়া শুরু করুন।’

নিঃশব্দে খাওয়া শুরু হলেও এরপর খাবারের মান, স্বাদ, হসপিটালিটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে বলতে সরগরম হয়ে উঠলো তাদের টেবিল। কভু ভুলেও মনে হলো না এটা তাদের প্রথম সাক্ষাত। বরং মনে হচ্ছিলো কত সহস্র বছর একসাথে এভাবে আড্ডা দিয়েছে!

ছেলেটা খাওয়া শেষ করে খাবারের বিল পরিশোধ করে এলো। প্রফুল্ল সেটা খেয়াল করেনি। সে ভাবলো রাতের খাবারের পর একসাথে বিল পরিশোধ করে দেবে। টেবিল ছেড়ে উঠে বেরিয়ে এলো তারা।

গাছের নিচে রাখা চেয়ারে এসে বসে তারা তিনজন। ছেলেটার চোখে চশমা, গায়ে পাঞ্জাবি। চুলের ছাট দেখে স্পষ্টত বোঝা যায় সে একজন পুরোদস্তুর ভদ্র বাঙালি। মার্জিত পোশাক ও দাড়ির ছাট। এখনকার দিনের ছেলেদের মতো উশকো খুশকো স্বভাব নেই। আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টিভঙ্গী। কথা হচ্ছিলো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এক ফাঁকে রোদেলা ফোনে কথা বলতে বলতে উঠে অন্যদিকে চলে গেলো।

ছেলেটা প্রফুল্লকে জিজ্ঞেস করলো, ‘শাড়ি পরে খাবার খেতে অসুবিধা হয়নি তো?’
প্রফুল্ল হাসিমাখা মুখে উত্তর দেয়, ‘একদমই না।’
– ‘চমৎকার মানিয়েছে।’
– ‘আপনাকেও বরের সাজে চমৎকার মানিয়েছে।’
– ‘কেউ বউ সেজে অপেক্ষা করলে বর সাজতে হবে না বুঝি?’

ছেলেটা এমনভাবে ‘বুঝি’ শব্দটা উচ্চারণ করলো, ভালোলাগার আবেশ ছড়িয়ে পড়ে প্রফুল্ল’র কানে। শুনতে মধুর লাগছিলো। প্রফুল্ল উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললো, ‘চলুন ওদিকটায় যাই।’

দুজনে পাশাপাশি হাঁটছে। নির্জন পরিবেশে গাছের ছায়ায় হাঁটতে বেশ লাগছিলো। দুপাশে নান্দনিক স্টাইলে লাগানো ফুলগাছ, সবুজ পরিচ্ছন্ন ঘাস। হাঁটতে আনন্দ হচ্ছে। প্রফুল্ল হঠাৎ বললো, ‘আমি যদি আপনাকে পাঞ্জাবী ওয়ালা বলে ডাকি কিছু মনে করবেন?’
– ‘না না। কিছু মনে করবো কেন? শুনতে ভালোই লাগবে আমার।’
– ‘ভালো লাগানোর জন্য নিশ্চয় বলবো না। আপনার নাম জানিনা তাই- ই।’
– ‘ওহ আচ্ছা। আপনার যাতে মর্জি হয়।’
– ‘আপনি আমাকে দেখে চিনলেন কিভাবে?’
– ‘আপনার ছবি দেখেছি না আগে?’

প্রফুল্ল থমকে দাঁড়ায়। তার দৃষ্টিতে বিস্ময়, ‘আমাকে আপনি আগে থেকেই কিভাবে জানেন? সেটা ক্লিয়ার করুন তো প্লিজ? আমার কথা কে বলেছে আপনাকে?’
– ‘সেটা যেকোনো মাধ্যমেই হোক। এ বিষয়টা অজানা থাকলেই তো ভালো। তাই নয় কি? এতে করে আমার ব্যাপারে আপনার আগ্রহটা জমছে ভালো।’

প্রফুল্ল মাথাটা দুদিকে নাড়িয়ে উত্তর দেয়, ‘আপনিও না! আমার ছবি কে দেখিয়েছে সেটাও বলা যাবে না? নাকি উভয়ে একই ব্যক্তি?’
– ‘আপনার ছবি মার্ক জাকারবার্গ দেখিয়েছে।’
– ‘ওহ হো। আর নাম্বারটা?’
– ‘ওটা রেস্ট্রিকটেড।’
– ‘আমার আব্বু মাঝেমাঝে এমন কাজ করে। আমি বিয়েতে রাজি হই না বলে পাত্রকে নাম্বার দিয়ে বলে আমাকে প্রপোজ করতে।’
– ‘হা হা হা। তো কতজনের প্রপোজালে রাজি হয়েছেন?’
– ‘সবাইকে গালি দিয়ে গুষ্ঠিসুদ্ধ উদ্ধার করে দিয়েছি। অবশ্য আব্বু এতে লজ্জা পেয়েছে। খানিকটা দুঃখও।’

ছেলেটা মুচকি হাসলো। কিছুক্ষণ পর বললো, ‘বাবাকে আব্বু ডাকলে তিনি দুঃখ পান না?
– ‘কেন পাবেন? আমার জন্মদাতাকে আমি বাবা বলবো, ড্যাড বলবো নাকি নাম ধরে ডাকবো এটা নিছক একটা মামুলি ব্যাপার। রেসপেক্ট কতটা ,ভালোবাসা কতটা সেটাই আসল ব্যাপার।’
– ‘অবশ্যই। তিনি আপনাদের সম্পর্ক মেনে নেননি কেন তাহলে?’

প্রফুল্ল হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে গেলো। খানিক্ষণ মাটির দিকে তাকিয়ে থেকে উত্তর দিলো, ‘ওটা অনেক বড় একটা গল্প। এক কথায় প্রকাশের মতো নয়।’
– ‘আমি শুনতে চাই সেই গল্পটা।’
– ‘আমি বলতে চাইনা।’
– ‘আমি শুনবো।’
– ‘আমি বলবো না।’

ছেলেটা খুব কঠিন কঠিন চোখ করে প্রফুল্ল’র দিকে তাকিয়ে রইলো। ভরাট গলায় বললো, ‘আমি শুনবোই। এবং আমাকে শোনানোর পর থেকে আপনি এই অধ্যায়টা ভুলে যাবেন।’
– ‘জোর খাটাচ্ছেন কেন?’
– ‘আমার অধিকার আছে তাই।’
– ‘অধিকার মানে? কিসের অধিকার?’
– ‘ফরেস্ট গাম্প তার জীবনের গল্প রাস্তার মানুষদের শুনিয়েছে না? একজন অচেনা অজানা মানুষও কারো জীবনের গল্প শোনার অধিকার রাখে।’

প্রফুল্ল অন্যদিকে তাকালো। কঠিন মুখে কেউ এমন হাস্যকর যুক্তি দিতে পারে ওর জানা ছিলো না। হো হো করে হেসে উঠলো প্রফুল্ল। ছেলেটাও ডানহাতে চশমা খুলে হাতে নিয়ে অদ্ভুতভাবে হাসলো। প্রফুল্ল সহজ গলায় বললো, ‘আপনি যে একটা কি! মানে এমনভাবে বলেছিলেন আমি তো রাগে আগুন হয়ে যাচ্ছিলাম। শাড়ি পরেছি বলে সেটাকে অধিকার অর্জন ভেবে বসেন কিনা। হা হা হা।’

ছেলেটা হাসতে হাসতে বললো, ‘এই পয়েন্টটা ভুলে গিয়েছিলাম।’
– ‘এটা বললে আমি ভয়াবহ রেগে যেতাম। বিশ্বাস করুন।’
– ‘করলাম। আমি কি সেই রাগ ভাঙাতে পারতাম না?’

প্রফুল্ল পাঞ্জাবীওয়ালার আপাদমস্তক তাকিয়ে হাসতে হাসতে বললো, ‘পারতেন সম্ভবত। আপনার সাথে কথা বলার পর আমার মুহুর্তের জন্যও মনে হয়নি আপনি অপরিচিত কেউ।’
– ‘বেশ। তাহলে আপনার গল্প শোনার অধিকারটা আরও জোরালো হলো।’

প্রফুল্ল এ কথা শুনে হেসেই লুটোপুটি খাওয়ার মতো অবস্থা। মুখের ওপর এসে পড়া এক গোছা চুল কানের পেছনে গুঁজে দিয়ে শাড়ির আঁচল দুলিয়ে মধুর ভঙ্গীতে হাসতে থাকে প্রফুল্ল। হাসি থামতেই সামনে আচমকা ভূত দেখার মতো স্তব্ধ হয়ে দাঁড়ালো। মুখের হাসি মিলিয়ে গেলো মুহুর্তেই। অম্লান ও তার স্ত্রীর সাথে মুখোমুখি সাক্ষাৎ। প্রফুল্ল যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো সেভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে। শুধু মুখ হতে মিলিয়ে যায় তার মিষ্টি মধুর হাসিখানা। অম্লানের হাত ধরে রাখা নীলাক্ষীর মুখেও মুচকি হাসি। জোরে হাঁটা ধরে অম্লান। চোখের পলকেই দূরে পার হয়ে যায়।

প্রফুল্ল একবারও পেছন ফিরে তাকায় না। স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মুহুর্তের মধ্যে কি ঘটে গেলো বুঝতে গেলেই অবাক হয় সে।

পাঞ্জাবীওয়ালার সাথে আবারও সহজ স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে শুরু করে প্রফুল্ল। কিছুদূর আসার পর ছেলেটা বললো, ‘আমার দিদির হাসির সাথে আপনার হাসির মিল আছে।’

প্রফুল্ল একটা নিশ্বাস ফেলে বললো, ‘আমার কাল রাতের অনুমান মিথ্যে ছিলো না।’

থমকে দাঁড়ায় পাঞ্জাবী পরা যুবক। অবাক হয়ে দূরে হেঁটে যাওয়া যুগলের দিকে তাকায়। মেয়েটা তার স্বামীর বাহু ধরে কি সুন্দর করেই না হাঁটছে। সে বোধহয় জানেও না এই মুহুর্তে তার স্বামীর মনের অবস্থা কি! ছেলেটাও কি তার স্ত্রীকে মুখ ফুটে বলবে, একটু আগে কার সাথে দেখা হয়েছে। হয়তো বলবে না। কারণ ছেলেরা এই বিষয়গুলোকে সহজভাবে নিতে পারলেও মেয়েরা পারে না।

প্রফুল্ল একটা নিশ্বাস ফেলে বললো, ‘চলুন না ওখানে গিয়ে বসি? কি সুন্দর জায়গাটা তাইনা?’

স্বাভাবিক ভাবে কথা বলা মেয়েটার গলাটাকেও এখন ভীষণ অস্বাভাবিক মনে হলো যুবক ছেলেটির। কেন যেন মনে হলো প্রফুল্ল’র বুকে এখন তুমুল ভাবে ঝড় বইছে। যে ঝড়ের প্রকোপে স্বাভাবিক থাকাটা সত্যিই ভীষণ কঠিন!

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here