#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤Part: 07..+8
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
#…..

তীব্র নিজের ঠোটে হাত দিতেই আহহ… করে উঠল। ক্ষত ঠোটটাকে দেখছে আর ভাবছে আরেকটু হলে ঠোটটাকে খুজেই পাওয়া যেত না। মেয়েটার পেটের ভিতর চলে যেত এতক্ষনে…..‍ কথাগুলো ভাবতেই নিজের মনে হেসে উঠল। মুখের হাসির ছিটা নিয়ে আয়নায় তাকাতেই চমকে গেল তীব্র।

ও হাসছে তাও একটা মেয়ের এমন কান্ডতে যেখানে ওর রাগ উঠার কথা। নিজের প্রতি রেগে গেল তীব্র। আর কিছু না বলে গজ গজ করতে করতে বিছানায় গেল।

.
.
.
.
.
.
.
.
বেশ কিছুক্ষন পর……..

বার বার মুড়ামুড়ি করছে তীব্র। না চাইতেও তুরের সেই ডাক ওর কানে বাজছে। ও জানে মেয়েটি এখন আর ডাকছে না। তবুও ওর ডাক কেন বার বার তীব্রের কানে বাজছে বুঝতে পারছে না। অস্থির হয়ে গেছে তীব্র। এই অস্থিরতা তীব্রকে শেষ করে দিচ্ছে। অসহ্য লাগছে। এভাবে অস্থির হওয়ার কোনো মানেই হয় না। তীব্র আবার তুরের রুমের দিকে পা বাড়াল।

রুমের দরজা খুলে ও তুরের কাছে গিয়ে বসল। খুব গভীর ভাবেই ওর মুখটা দেখতে লাগল। মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবমায়া এই মুখটায়…..

ও আলত করে তুরের গালে স্লাইড করে। তখনি তুর তবে তীব্রের হাতটা শক্ত করে আকড়ে ধরে নিজের বুকের মাঝে নেয়। যেন বাচ্চা মেয়ে তার পুতুল বুকে জড়িয়ে রেখেছে। ওর ঠোঁটের দিকে নজর পরতেই দেখল তীব্রের কাটা ঠোঁটের রক্ত লেগে আছে। তীব্র সফটলি তুরের ঠোঁট থেকে শুকনো রক্ত গুলো তুলতে থাকে। একসময় কাছে যেতে যেতে তুরের অনেকটা কাছে যায়।

এতক্ষনে হুশ ফেরে তীব্রের… ও দ্রুত তুরকে ছেড়ে বেড়িয়ে আসে……

,
,,
,

,
,
,,
,
সকালে উঠে তীব্র ফ্রেশ হয়ে ম্যানেজার আর পিএ সাথে কথা বলতে থাকে। ওরা তীব্রকে।দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। যা তীব্রের চোখ এড়ালো না।

— কি হয়েছে এভাবে পাগলের মত হাসছ কেন?

— স্যার কিছু না বললে একটা প্রশ্ন করতে পারি?

— হুমম…

— আপনার ঠোঁটে ওই কাটার দাগটা কিসের?

কথাটা শুনেই তীব্র শুকনো গলায় বিষম খেলো। কি বলবে বুঝতে না পেরে রিদ্ধকে [ পিএ ] একটা ধমক দিয়ে চলে গেল।

— ব্যাপারটা কি স্যার চোরের মত পালালো কেন? আর দাগটা দেখে ত মনে হচ্ছে… Oh noo….

,,

,
,
,
,
,
,
,
,সারাদিন নিজের কাজে একটু মন দিতে পারেনি তীব্র। বার বার মেয়েটার চেহারা ওর সামনে ভেসে উঠছে। কি করবে বুঝতে পারল ন্না তীব্র। এক প্রকার অস্থিরতা নিয়ে তীব্রের দিন কেটে গেল।

আজ বেশ তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরে তীব্র। কেবল ৯টা বাজে। এই সময় তীব্রকে দেখে প্রায় সবাই অবাক……ও কাউকে কিছু না বলেই তুরের রুমের দিকে গেল….‍

কারনটা তীব্রের কাছে খুবই সাধারন, “যখন কোনো কিছু মনকে অস্থির করে তোলে তখন হয় সেইটাকে আকড়ে ধরতে হয় নয় শেষ করে দিতে হয়। কিন্তু তুরের কাছে কেন যাচ্ছে সেটা ওর অজানা….

তীব্রের ইচ্ছে দরজাটা খুলেই একটা চড় মারবে মেয়েটাকে। সারাদিন অনেক জালিয়েছে মেয়েটা। হ্যা মেয়েটা জালাইনি। তবুও ওর কথা মনে পরার কারনেই তীব্র এতটা অস্থির হয়ে উঠেছে । তার শাস্তি তো মেয়েটা পাবে……

কিন্তু রুমের ভিতর ঢুকতেই থমকে যায়। রুমের মধ্যে মেয়েটা নেই। তীব্র দ্রুত রুমে ঢুকে খালি রুমেই ওকে খুজতে থাকে। কিন্তু কোথায় তুর…..

তুরকে না পেয়ে মুহুর্তেই তীব্রের রাগটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠে…. খুব জোরেই চিতকার করে উঠে তীব্র। তীব্রের চিতকারে সবকিছু স্তব্ধ হয়ে যায়। ওর ম্যানেজার আর পিএ এসে রুমে ঢুকে বেশ ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে…. ” কি হয়েছে স্যার? ”

তীব্র নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারল না। ও রিদ্ধের [ তীব্রের পিএ ] শার্টের কলার চেপে ধরে বলল…..

— মেয়েটা কোথায়? আমি এখানে মেয়েটাকে রেখে যেতে বলেছিলাম। কাউকে এখানে আসতে নিষেদ করেছিলাম। তাহলে মেয়েটা কোথায়? আমার কথা ছাড়া মেয়েটি কোথায় গেলে?

তীব্রের কথায় পিএ আর ম্যানেজার দুজনেই অবাকের শীর্ষে। কিসব বলছে তীব্র ওর কথায় তো লোকগুলো তুরকে নিয়ে গেল। বেশ ভয় নিয়ে ম্যানেজার বলে উঠল….

— স্যার আপনার কথায় তো লোকগুলো এসে সেই সন্ধার পর মেয়েটাকে নিয়ে চলে গেল।

ম্যানেজারের এই কথায় তীব্রের মাথায় আকাশ ভেঙে পরল কারন ও এরকম কিছুই বলেনি।

— আমি বলেছি মানে… [ অবাক হয়ে ]

-_ স্যার ওরাই বলেছে আপনি নাকি ওদের মেয়েটাকে নিয়ে যেতে বলেছেন। তাই ওরা মেয়েটাকে নিয়ে গেছে।

— ওরা নিয়ে গেঁছে মানে। আপনারা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমি আদো বলেছি কিনা?

— স্যার আপনি যেহেতু কাল বলেছিলেন আজ মেয়েটাকে নিয়ে যেতে। আর ওরাও জোর করছিল। আমি এর জন্য আপনাকে ফোন করেছিলাম কিন্তু আপনার ফোন বন্ধ ছিল। তাই আমি আর না করিনি নিয়ে যেতে দিয়েছি। [ ম্যানেজার ]

— সিট… [ খুব জোরে দেয়ালে নিজের হাতে বাড়ি দেয় তীব্র ]

তীব্র আর কিছু বলতে পারল না। কারন ভুলটা ওর নিজের। তখনি ম্যানেজার বলে উঠল….

— কিছু হয়েছে কি স্যার? মেয়েটাকে চাইছেন যে?

তীব্র চুপ করে রইল…

— এতক্ষনে হয়ত মেয়েটাকে ওরা চালান করে দিয়েছে হয়ত। [ রিদ্ধ ] কিন্তু স্যার আপনি কেন জানতে চাইছেন ওই মেয়েটার কথা?

রিদ্ধের মুখের কথায় অপ্রস্তুত ছিল তীব্র। সত্যি তো মেয়েটা আজ সারাদিন ওকে জালিয়েছে। মেয়েটা চলে গেছে তাতে ওর কি? একদিনে মেয়েটা কি এমন করল যে ও এতটা রিয়েক্ট করছে। তীব্র নিজেকে শান্ত করে নিজের মনেই বলল,” গিয়েছে বেশ হয়েছে। ”

তখনি ম্যানেজার বলে উঠে…..

— ঠিক বলেছ এতক্ষনে হয়ত মেয়েটাকে বাজারের পন্যের মত নিলাম করে দেওয়া হয়েছে। আর কিছু পশুরা হয়তো পেয়েও যাবে। [ তাচ্ছিল্য নিয়েই বললেন ]

কিন্তু ওনার কথাটা যেন তীব্রের বুকের মাঝে ঝড় তুলে দিল। চেয়েও নিজেকে শান্ত রাখতে প্ররল না। তুরের জন্য রাগ ঘৃনা মুহুর্তের মধ্যে চলে গেল তীব্রের মাথা থেকে। অস্থির তীব্রের মুহুর্তেই মুখ ফুটে বলে ফেলল….

— মেয়েটাকে আমার চাই…

— মানে… [ বেশ অবাক হয়ে ম্যানেজার জিজ্ঞেস করল তীব্রকে ] ওকে তো নিয়ে গেছে। তাছাড়া আপনি যা চেয়েছিলেন তাই তো….

আর বলতে পারলেন না ওনি। তীব্রের হিংস্র চাওনীতে মুহুর্তেই থমকে গেল।। চোখ মুখ শক্ত করে শান্ত গলায় শুধু একটাই শব্দ বের করল…

— I want this girl…. মেয়েটাকে আমি চাই।

— কিন্তু স্যার.. এতক্ষনে তো… [ রিদ্ধ ]

— আমি কিছু শুনতে চাই না। ওকে যেখানে যেভাবে নিয়ে গেছে ঠিক সেভাবেই ফিরিয়ে আনো। আমি শুধু মেয়েটাকে আমার সামনে দেখতে চাই। I want this girl….

খুব জোরে চিতকার করে বলল। তীব্রের এমন চিতকারে দুজনেই আরো ঘাবড়ে গেলো। এতটা রাগতে খুব কমই দেখেছে তীব্রকে…..

— যে দুটো ছেলে মেয়েটিকে নিয়ে গেছে আমি ওদের দেখতে চাই।

তীব্র কি চাইছে কেউ বুঝতে পারল না। কিন্তু তীব্রকে কিছু জিজ্ঞেস করাও বোকামি। রিদ্ধ ওই লোক দুটোর সাথে যোগাযোগ করে ইমিডিয়েটলি আসতে বলে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,,
,
সোফায় বসে নিজেকে শান্ত করার আপ্রান চেষ্টা করতে তীব্র। ওর এখন একটাই জিনিস চাই আর তা হলো সেই মেয়েটি। তখনি লোকদুটো তীব্রের সামনে এসে দাড়ায়…..

— আমাদের ডেকেছিলেন স্যার।

তীব্র বেশ শান্ত হয়ে স্থীর গলায় উত্তর দেয়…

— মেয়েটা কোথায়?

তীব্রের কথা শুনে লোকদুটো নিজেদের মুখ চাওয়া চাওয়ী করল…

— কেন স্যার…??

তীব্রের নিজেকে শান্ত রাখা দায় হয়ে পরেছে। দাতে দাত চেপে বলল…

— মেয়েটাকে আমার দরকার। মেয়েটি কোথায়?

_- স্যার আপনার যদি মনে হয় এমনি এমনি মেয়েটিকে দিয়ে আপনার লস হয়েছে তাহলে আমাদের বলতে পারেন। আমরা যেকোনো এমাউন্ট প্রে করতে রাজি। যাই বলুন এরকম মেয়ের জন্য যা চাইবেন কম। আপনি চাইলে……

এবার আর তীব্র নিজেকে শান্ত রাখতে পারল না। ও সোফা থেকে উঠেই লোকটার বুকে খুব জোরেই একটা লাথি মারল। আরেকটা লোক কিছু বুঝতে না পেরে ওই লোকটার কাছে গেলেই নিজের ইচ্ছে মত লোকদুটোকে লাথি মারতে লাগল। ম্যানেজার আর রিদ্ধ তীব্রের কোনো কিছুই বুঝতে পারছে না। কাল পর্যন্ত যেই মেয়েটাকে দেখতে পারত না আজ তাকে পাওয়ার জন্য এতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে……

ওদিকে তীব্র ওদের ইচ্ছেমত মারতে থাকে…

— শু** বাচ্চা… তোদের সাহস কি করে হয় এসব কথা বলার। মেয়েটাকে আমার চাই। আর তোরা বলছিস ওকে তোদের বেচে দেব। কত টাকা আছে রে তোদের….

কথা গুলো বলছে আর পাগলের মত মারছে। দুজন লোকেরি রক্তাক্ত অবস্থা। তীব্র খুব নির্মম ভাবে মারছে।

— স্যার প্লিজ ছেড়ে দিন। ভুল হয়ে গেছে।

লোক দুটোর চিতকার তীব্রের কানে গিয়েও যাচ্ছে না। ঠিক তখনি রিদ্ধ ওকে থামায়…

— স্যার প্লিজ শান্ত হোন। ওরা যদি মরে যায় তবে ওই মেয়েটিকে আপনি কিভাবে পাবেন।

রিদ্ধের কথায় শান্ত হয় তীব্র। ও গিয়েই একটা লোকের গলা চেপে ধরে।

— মেয়েটা কোথায়?কোথায় রেখেছিস ওকে?

গলা চেপে ধরার কারনে লোকটি বলতে পারছে না। তখন পাশের লোকটি বলে উঠল….

_- স্যার মেয়েটিকে আমরা অলরেডি ডিলারদের কাছে দিয়ে এসেছি। ও এখন হোটেল ডার্ক স্টারে আছে। আজ রাত ১২টায় ও সহ আরো মেয়েদের বিদেশি লোকদের কাছে সেল করা হবে….

কথাটা শুনেই তীব্র আরো রেগে গেল। ও কিছু বলার আগেই বলল….

— স্যার আমাদের পক্ষে এখন ওই মেয়েটাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ওখানের কেউ যদি এটা জানতে পারে তাহলে আমাদের তো পুতে দেবেই সাথে আপনাকেও ছাড়বে না।

— ওই মেয়েটাকে যদি আমি অক্ষত না পাই তাহলে ওদের সহ তোর বসের কি অবস্থা করতে পারি তা হয়ত তোরা চিন্তাও করতে পারবি না।

তারপরে ওদের নিয়ে হোটেল ডার্ক স্টারে পৌঁছে গেল তীব্র…. গাড়ির মধ্যে থাকা লোকদুটো কোথায় তুর আছে তা বলল….

— স্যার আপনি যদি যান তবে একজন ডিলার হিসেবে যাবেন। ওখানের কেউ যদি সন্দেহ করে তাহলে আপনার সাথে ওই মেয়েটাকেও শেষ করে দেবে।

— আমাকে শেষ করা এতটা সহজ না।

বলেই তীব্র বেড়িয়ে গেল তুরের জন্য….. তীব্র হোটেলের একটা বারে গেল। এখানের সবকিছু খুব সিক্রেট। কারন বারে দেশি বিদেশী বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষদের দেখতে পাচ্ছে তীব্র। তাদের চিন্তে বেগ পেতে হচ্ছে না। কারন সবাই সমাজের ভালো মানুষের মুখোশ দাড়ি শয়তান। সবাই নিজেদের মনে ব্যাস্ত হয়ে আছে। কেউ মদ, নেশা কেউ বা ওখানে থাকা মেয়েদের নিয়ে। কিন্তু তীব্রের চোখ শুধু তুরের দিকে…. কিন্তু তুরকে কোথাও খুজে পাচ্ছে না।

,
,

,
,
,
হঠাৎ করেই তীব্র ১২টা বাজার আভাস পায়। আর একজন লোক এসে সবাইকে শান্ত হতে বলে কারন বিশেষ আকষনের জন্য। তীব্র ওদিকে তাকায়। সেখানে কতগুলো মেয়েদের ডাকা হচ্ছে। যাদের খুব নির্মম ভাবেই টেনে আনা হচ্ছে। মেয়েগুলো যে কতটা অসহায় হয়ে পরেছে তা তীব্রের বুঝতে বাকি নেই। কিন্তু এখানে মাথা গরম করে কিছুই করা যাবে না। তাই নিজেকে শান্ত করে নিল তীব্র। তখনি রিদ্ধ তীব্রের কানের কাছে বলল…

— স্যার সব মেয়েদের মাঝে ওই মেয়েটাকে দেখতে পাচ্ছি না। ওরা কি মেয়েটাকে অলরেডি সেল করে দিয়েছে।

কথাটা শুনেই বুক কেপে উঠল তীব্রের। একে একে সব মেয়েদের নিলাম ডাকা হচ্ছে আর মানুষ রুপি জানোয়ার গুলো পন্যের মত দাম বলছে মেয়েদের। সেখানে মেয়েদের চিতকারে হয়তো পাথরের বুক ফেটে জল বেরোবো। কিন্তু মানুষ রুপি সেই জানোয়ার গুলো উল্লাসে মেতে উঠেছে। তীব্র চেয়েও কিছু করতে পারল না। সবার আগে ওর তুরকে খুজতে হবে।

তীব্র ওখান থেকে সরে আসতেই ওর চোখ আটকে যায়। একটা লোক একটা মেয়ের হাত ধরে নিয়ে আসছে। আর মেয়েটা রোবটের মত হাটছে। যেন মেয়েটার শরীরে অনুভুতি বলতে কিছু নেই। মেয়েটাকে এনে ছুড়ে মারল। এই মেয়েটা অন্য কেউ নয় তুর। তুর নির্বাক হয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে রইল। ডুলতে লাগল ও…..

তীব্র অপলকভাবে চেয়ে আছে তুরের দিকে এই রকম নোংরা জায়গায়ও তুরকে সবচেয়ে পবিত্র লাগছে তীব্রের কাছে। নিষ্পাপ মুখটা শুভ্রতার আভাস দিচ্ছে। তুরের দুচোখ তীব্রের দিকে আটকে গেল। তখনি একটা লোক তুরকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দিল। তীব্রের মনে হলো ওর বুকে কেউ ছুড়ি মেরেছে। আর লোকটা তুরের দাম করতে লাগল। তীব্রের মনে হল লোকগুলো তুরকে চোখ দিয়েই গিলে খাচ্ছে। সেই লোকটা তুরের চুলোর মুঠো ধরে ওকে দাড় করায়। ব্যাথায় নিজের চুল ছাড়াতে চায়। কিন্তু পারে না। এতটা শক্তি নেই ওর…….

তুরকে ছেড়ে দিতেই তুর নেশাগ্রস্তের মত দুলতে থাকে। কারন তুর পুরোপুরি সেন্সে নেই। ও সবটা বুঝতে না পারলেও এটা বুঝতে পারছে এখানে ওকে কেন আনা হয়েছে? আর ওর সাথে কি হতে চলেছে…..

তারপর সবাই তুরের নামে ডাকতে থাকে। বলতে গেলে এখানের সবচেয়ে সুন্দর আর অল্পবয়সী মেয়েটি হচ্ছে তুর। সবাই ডাকা শেষ করে কিন্তু শেষ ডাকটা আসে তীব্রের….. হ্যা তীব্র ওদের কাছ থেকে কিনে নেয় তুরকে। কিন্তু তার জন্য অনেক বেশি মূল্য দিতে হয়েছে। কারন আরেকটা লোক তুরকে নেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিল।

তুরের এখন কোনো বোধ শক্তি নেই। ও আবছাতে সেই মানুষটাকে দেখতে পেল যে ওকে কিনেছে…….
,
,
,
,
,

,
,
,
,
তীব্র তুরকে নিয়ে বেড়োতে যাবে ঠিক সেই মুহুর্তে সেখানে আগমন ঘটে র‍্যাবের। হ্যা তীব্রই ওদের এখানে আসার ইনফরমেশন দিয়েছিল। যে লোকগুলো তীব্রকে এইখানের খবর দিয়েছিল তারাই বলে দিয়েছে পুলিশ আসলে ওদের কিছু করতে পারবে না। তাই তীব্র সরাসরি র‍্যাবের কন্ট্রোলার সাথে যোগাযোগ করে যে তীব্রের পূর্ব পরিচিত । কারন এখানে ও নিজে কিছু করলে সেটা শুধু এখান পর্যন্ত সীমিত থাকবে। কিন্তু আইনের লোকেরা করলে মানুষ সেটা জানতে পারবে। র‍্যাবের লোকেরা এসে পুরো জায়গা সিল করে দেয়। আর তীব্র খুব সাবধানেই নিজের পরিচয় গোপন করে তুরকে নিয়ে চলে আসতে চায়। কিন্তু বিপত্তি বাধে তখন তীব্র তুর সহ আরো কয়েকটা মেয়েকে খুজে পায় না। এবার তীব্রের মাথায় আগুন জলে উঠে…. যার জন্য এতকিছু সে হাতে এসেও হারিয়ে ফেলল। আর এখানে যা অবস্থা তাতে এখানে কিছু করা যাবে না।
,
,
,
,
,
,

,তীব্র খুব রেগেই ওখানেই ওই লোক দুইটাকে মারতে থাকে তুরকে কোথায় নিয়ে গেছে তা জানার জন্য……. তীব্রের মার সহ্য করতে না পেরে ওরা বলে উঠে…..

— এখানে রেট পরেছে যেনে ওরা গোপনভাবেই কয়েকটা মেয়েকে সরিয়ে নিয়েছে গোপন পথ দিয়ে। আর যতদুর সম্ভব ওরা মেয়েগুলো সমুদ্র পথে বাইরে পাঠিয়ে দেবে। আর একবার যদি ওদের জাহাজে তুলে দেওয়া হয় তাহলে তুরকে ফিরে পাওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব না। কারন তখন মেয়েগুলোকে কোথায় নিয়ে যাবে তা জাহাজে থাকা মানুষ গুলোই তাদের বসের নির্দেশে ডিসাইড করবে…..

কথাগুলো শুনে তীব্র খুব জোরেই চিতকার করে উঠে। ও ভেবেছিল মেয়েটাকে কষ্ট দেবে। কিন্তু সেই কষ্টটা যে সামনে থেকে এতটা নির্মম সেটা যখন স্টেজে দাড়িয়ে ছিল তুর কতগুলো পশুর সামনে তখন বুঝতে পেরেছে তীব্র । একটা মেয়ে তখন কতটা অসহায় হতে পারে যখন তার সন্মানের নিলাম তার সামনেই হয়..…

৷,
,#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
#Part: 08…….

কথাগুলো শুনে তীব্র খুব জোরেই চিতকার করে উঠে। ও ভেবেছিল মেয়েটাকে কষ্ট দেবে। কিন্তু সেই কষ্টটা যে সামনে থেকে এতটা নির্মম সেটা যখন স্টেজে দাড়িয়ে ছিল তুর কতগুলো পশুর সামনে তখন বুঝতে পেরেছে তীব্র । একটা মেয়ে তখন কতটা অসহায় হতে পারে যখন তার সন্মানের নিলাম তার সামনেই হয়….. আর সে অবাক চোখে তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে ।

তীব্র ওখানেই হাটু গেড়ে বসে চোখের পানি মুছতে থাকে । নিজের প্রতি ঘৃনা হচ্ছে তীব্রের । ওর রাগের কারনে একটা মেয়ের আজ এই পরিনতি। হ্যা মেয়েটা অন্যায় করেছে । কিন্তু ওর অন্যায়ের তুলনায় তীব্র ওকে অনেক বেশি শাস্তি দিয়ে ফেলেছে। হয়ত এতটা পাওয়ার যোগ্য ও নয়। যার জন্য তীব্র এত কিছু করল যার জন্য সে যদি জানতে পারে এসব তাহলে । মেয়েটাকে ঘৃনা না করলেও সে তীব্রকে কোনদিন ও ক্ষমা করবে না। আর মেয়েটা….ওর জন্যই কেন বা তীব্র এতটা ভাবছে? কেন মনে হচ্ছে মেয়েটাকে ওর যে করেই হোক চাই । মেয়েটাকে ছাড়া ওর এক মূহুর্ত চলবে না । যে করেই হোক মেয়েটাকে ওর চাই।

তীব্র আর এক মুহুর্ত অপেক্ষা করল না। তখনি চট্টগ্রাম যাবার জন্য বেড়িয়ে পরে । ও জানেনা চট্টগ্রামের কোথায় তুরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আর আইনে মাধ্যমে ওকে খুজলে ও তুরকে পাবে না তাই যা করার ওকে নি‍জেই করতে হবে । ও ওই লোক গুলোকে সাথে নিয়ে যায়। তীব্রকে দেখে রীতিমত চিনতে কষ্ট হচ্ছে রিদ্ধের । এতটা ছটফটানি , এতটা অস্তির তাও আবার সেই মেয়েটার জন্য কেন? কোন উত্তর খুজে পায় না রিদ্ধ।

সারারাস্তায় তীব্র একমুহূর্তের জন্যও নিজের দুচোখের পাতা এক করতে পারেনি। কখন ও সেখানে পৌছাবে তার জন্য পাগলের মত করেছে তীব্র। কারন তুরকে কোন পথে বাইরে নিয়ে যাবে তা কেউ জানেনা। কিন্তু কোথায় ওকে জাহাজে তুলে দেওয়া হবে আর সেটা কখন তা লোকদুটো তীব্রকে বলেছে। রিদ্ধের খুব রাগ হচ্ছে তীব্রের উপর প্রথমে যদি মেয়েটাকে রেখে দিত তাহলে কিছুই হত না। প্রথমে এতগুলো টাকা খরচ করে মেয়েটাকে হাতে পেয়েও হারিয়ে ফেলল। আর এখন এমন একটা জায়গায় যেতে হচ্ছে যেখান থেকে ফিরে বেচে আসবে কিনা ভরসা নেই। ওরা যাই হোক মাফিয়া ত নয়। কিন্তু তীব্রকে দেখে কম কিছু মনে হয় ওর। এমন এমন কাজ তীব্র করেছে যা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব প্রায়…..

সকালের দিকে ওরা চট্টগ্রাম পৌঁছে। তারপর ওখানে থাকা লোকদের সাথে যোগাযোগ করে। ওদের ব্যাপারে সব ইনফরমেশন কালেক্ট করে তীব্র। জানতে পারে ঢাকা থেকে কাল যে মেয়েগুলোকে আনা হয়েছে তারা সমেত আরো কিছু মেয়েকে কন্টেইনারে ভরে সমুদ্র পথে চালান করা হবে আর তা আজকে রাতে।

তীব্র বুঝতে পারল সব কয়টা মেয়েকে বাচাতে হলে ওকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কারন সব মেয়েকে সন্ধ্যার মধ্যে একত্রে আনা হবে। এর আগে সবাইকে এমন ভাবে রাখা হবে যেন একসাথে কেউ ওদের ধরতে না পারে। আর এদের মধ্যে তুর কোথায় তা হয়ত জানা অসম্ভব। সব খবর নিতে নিতে প্রায় বিকেল হয়ে গেল। এখন শুধু রাতের অপেক্ষা।

বিকেলের সময় হলেও সমুদ্রের তীরে তা বেশ তীর্যকভাবে পরছে। যা কয়েকঘন্টার মধ্য অস্ত চলে যাবে। কিন্তু তবুও বেশ কড়া রোদ এখনো…….

সেই রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে তীব্র। হয় এই সময় এখানে আলো আর সূর্যের তাপে দাড়াতে চাইবে না। কিন্তু তীব্র সমুদ্রে উপর সুর্যের দিকে তাকিয়ে আছে। তীব্রের মনে হলো সুর্য ওকে সমুদ্র দেখতে দিতে চায় না। তীব্র বেশ বিরক্তি নিয়ে তাচ্ছিল্যের সুরে বলে উঠে……

— এত তেজ কেন তোর? কিছুক্ষন পর যার বুকে বিলীন হয়ে অস্ত যাবি তাকেই দেখতে দিতে চাইছিস না। কেন হিংসে হচ্ছে তোর। তুই যার বুকে মুখ লুকাবি তাকে দেখছি বলে…….

বলে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ল তীব্র। ও সূর্যকে এসব কথা বলছে। পাগলামী হয়ত একেই বলে। নাহলে কেউ এটা কেন বলবে? তীব্র কিছু একটা ভেবে আবার সূর্যের দিকে তাকায় তারপর বলে উঠল……

— তুই তো খুব উদার রে। যার বুকে নিজেকে বিলিয়ে দিস তাকে অন্য কাউকে দেখতে দিতে চাস না। তাই নিজের সাধ্য মত তাকে অবার নজর থেকে আড়াল করিস। বাকি সময় তাকে তার মত থাকতে দিস……. তার মাঝে কত মানুষ ছোয়….

তারপর বেশ জোরেই হেসে উঠে তীব্র….

— কিন্তু আমি এতটা উদার নই রে… আমি যার মাঝে নিজেকে বিলীন করব তাকে কেউ ছোয়া তো দুরে থাক কোনোদিন তাকে কেউ দেখতেও পারবে না। তুই যেমন সমুদ্রের মাঝে বিলীন হয়ে যাস তাকেও তার সব কিছু শেষ করে আমার মাঝে বিলীন হতে হবে….. যার তেজ থাকবে তোর মত কিন্তু দিন শেষে যে বাধ্য হয়েই আমার কাছে ধরা দিবে শুধু আমার হয়ে…….

কথাগুলো নিজের মনে আওরাতে থাকল তীব্র। কেন বলল তা হয়ত ও নিজেও জানে না। কিন্তু ওর মনে হলো সুর্য ওকে দেখে হাসছে যা ওর সহ্য হলো না।

— তুই কি ভাবছিস এরকম কেউ নেই যে তোর মত হবে। সমুদ্রের বুকে নিজেকে বিলীন করে দেবে। আরে তুই নিজের ইচ্ছায় দিস নাকি। না তাইত….. সময়ের নিয়মে বাধ্য হয়েই তো নিজেকে শেষ করিস সমুদ্রের কাছে। তোকে সময় বাধ্য করে আর আমি তাকে বাধ্য করব আমার বাধ্য হতে……. তাতে সবকিছু করতে আমি রাজি……

এভাবে সূর্যের সাথে কথা বলতে থাকে তীব্র। একসময় সূর্য নিজের সময়ে অস্ত যায়। তীব্রের সূর্য কে অস্ত হতে দেখে দুইট জিনিস মনে হয়। হয় সূর্য ওর কথা গুলো সহ্য করতে পারেনি তাই হেরে বিদায় নিয়েছে আর নাহলে ওর কথাকে তাচ্ছিল্য করার জন্য অস্ত নিয়েছে। প্রচন্ড রাগ লাগল তীব্রের…

-+ কোথায় যাচ্ছিস? তোর কি সবার মত সময় নেই আমার কথা শোনার। তাহলে যে শুনত তাকে ফিরিয়ে এনে দে। নাহলে কাউকে আসতে বল যে আমার কথা গুলো শুনবে। আমাকে আমার রাগটাকে বুঝবে। আমার বাচার কারন হবে……. প্লিজ হয় ওকে ফিরে আসতে বল নাহলে কাউকে পাঠাতে বল। এই একাকিত্ব আমি আর নিতে পারছি না।

ওখানেই বসে কাদতে শুরু করে তীব্র। এর মধ্যেই সবকিছুতে অন্ধকার নেমে আসে। তীব্র বুঝেছে ওর যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। তীব্র এতক্ষন যা করছিল সবটাই ওর ভিতরের অন্য কেউ যেন বলছিল। ও উঠে দাড়াতেই সে কান্না মাখা দুর্বল তীব্র মাঝে যেন অন্য রকম এক হিংস্রতা ফুটে উঠেছে। তীব্র বালির উপর থেকে নিজেকে কোর্ট টা উঠিয়ে নিজের শরীরে জড়িয়ে তার মাঝের একটা বোতাম লাগিয়ে গাড়িতে বসে হাতে একটা ব্যাসলেট পরে। তারপর তার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে বলে….

— তুই যখন চাস আমি ওই মেয়েটাকে বাচাই। ওই অপরাধীর শাস্তি নিজের হাতে দেই তাহলে তাই হবে……

তারপর রিদ্ধকে ফোন দেয়। রিদ্ধ জানায়, ” সব ঠিক আছে। সব কয়টা মেয়েকে একসাথে একটা ক্যান্টিনারে রাখা হয়েছে। ” তীব্র কিছু না বলে সেই পথে পা বাড়ায়। ওর উদ্দেশ্য তুরকে নিজের কাছে এনে মেয়েগুলো নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া যাতে মেয়েগুলো পরিচয় সহ তীব্রের পরিচয় যাতে গোপন থাকে…….

,
,
,
,
,
,
,,
,

রাত ৮ টার দিকে তীব্র সেখানে যায়। আগে থেকেই তীব্রের লোক সেখানে ছিল। যারা ওদের কয়েকজন লোককে হাত করে নিয়েছে। তীব্র ওদের সাহায্যে খুব গোপনে সেই মেয়েদের কাছে যায়। ওদের দেখেই মেয়েগুলো ভয়ে কুকড়ে যায়। কান্টেনারের ভিতরে ৫০- ৬০ টা মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে সবার বয়স ১৬ উপরে হবে। তীব্রের মুখে কাপর থাকার কারনে ওর মুখ কেউ ধরতে পারল না তীব্রের সবচেয়ে সুবিধা হলো কারন ওখানের সবার মুখ গামছা দিয়ে বাধা ছিল যার জন্য তীব্রের সমস্যা হয়নি ঢুকতে।

সব মেয়েদের ভিড়ে ও তুরকে খুজছে কিন্তু তুরকে কোথাও দেখতে পেল না। তারমানে কি তুর এখানে নেই। না তা কি করে হয় সব মেয়েদের তো এখানে আনা হয়েছে। ও যেই মেয়ের কাছে যাচ্ছে সেই ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে। তীব্রের মনে হচ্ছে মেয়েগুলো ওকে নরপিশাচ ভাবছে। তীব্র নিজেকে সামলে আরেকটু ভিতরে যায়। ঠিক তখনি তীব্রের চোখে চেনা কোনো ওরনা চোখে পরে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে কোনো ল্যাহেজ্ঞার। হ্যা ওই মেয়েটি তো লাল রঙের ল্যাহেজ্ঞায় ছিল। তীব্র ছুটে ওই মেয়েটার কাছে যায়। গিয়ে মাটির থেকে ওকে উঠায়। তুর সেন্সলেস হয়ে পরে আছে…… তীব্র ওর পালস চেক করতেই দেখে একদম নেই বললেই চলে। আর এতকিছুর পর এটাই স্বাভাবিক। তুরের উপর যা গেছে তাতে এখনি তুরকে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এতগুলো মেয়েকেও এভাবে ছাড়তে পারে না তীব্র। ও তুরকে কোলে তুলে নেয়। মেয়েগুলো তীব্রের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কারন যদি কোনো মেয়েকে আনা হয়েছে তারা কোনো দ্রবের মত ট্রিট করেছে অথচ এই লোকটা মেয়েটাকে এতটাই যত্নে তুলেছে যেন জ্ঞান হারানো মেয়েটাও ব্যাথা পাবে………

তীব্রের হাতে আর ৫ মিনিট টাইম আছে তুরকে নিয়ে এখান থেকে বেড়োনোর কারন এর পরেই রেট পরবে। আর যদি তীব্র কোনভাবে বেড়োতে না পারে তাহলে ও এই লোকগুলোর সাথে ফেসে যাবে। কারন ও নিজের পরিচয় গোপন করেছে। তার চেয়েও বড় কথা তীব্র তাহলে তুরকে নিয়ে ফিরতে।পারবে না। তুরকে ওরা বাড়ি পৌঁছে দেবে।

তীব্র যেভাবে এসেছিল ঠিক সেভাবেই বেড়িয়ে আসতে চায় কিন্তু পারেনা। ওইখানে থাকা একটা লোক তীব্রের কোলে তুরকে দেখে জিজ্ঞেস করে। তীব্র আর কিছু বলার সুযোগ রাখে না লোকটা কিছু বলার আগেই অজ্ঞান তুরকে একহাতে ধরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে আরেকহাত দিয়ে লোকটার শ্বাসনালী ধরে টান দিয়ে। পা দিয়ে ল্যাং মেরে ফেলে ওর মুখটা নিজের পা দিয়ে চেপে ধরে ঘড়ির দিকে তাকায়…. ঠিক ১ মিনিটের মাথায় লোকটি শান্ত হয়ে যায়। লোকটা মরে গেছে। একদম প্রফোশনাল ট্রেনারদের মত তীব্র কাজটা করে। তীব্রের হাতে আর ২ মিনিট…..

ও আর কোনো ঝামেলা না করে দ্রুত সেখান থেকে বেড়িয়ে দ্রুত গাড়িতে করে সেখান থেকে কিছুদুর যেতেই গুলির আওয়াজ শুনতে পায়। তারমানে রেট পরে গেছে। আর ও মেয়েটাকে পেয়েছে….. একটা বিশ্ব্জয়ের হাসি দিয়ে তীব্র একহাতে মেয়েটাকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আরেক হাতে ড্রাইভ করতে থাকে….

ও এখানে একাই এসেছে কাউকে নিজের সাথে এনে রিক্স নেয়নি। রিদ্ধ ওইপাশে ওর জন্য অপেক্ষা করছে। তীব্র ওর কাছে গেলে তুরকে কোলে নিয়ে ওই গাড়িতে বসে পরল আর রিদ্ধ আর ড্রাইভার সামনের সিটে।

ওরা রাস্তা থেকেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্যাক করে। হঠাৎ তীব্র দেখল মেয়েটা সিট থেকে পরে যাচ্ছে তীব্র ওর মাথাটা ধরে নেয়। কি করবে বুঝতে না পেরে অনেকটা ইতস্তত হয়েই তুরের মাথাটা নিজের বুকে রাখে। আলগা হওয়ার কারনে তুর আবার পরে যেতে চায় এবার তীব্র শক্ত করেই তুরের মাথা ওর বুকের সাথে চেপে ধরে। নিজের অজান্তেই খালি বুকে কোনো একটা পুর্নতা লায় তীব্র। আর প্রশান্তির এক নিশ্বাসে গাড়ির সিটে হেলান দিয়ে নিজের ক্লান্ত শরীর ছেড়ে দেয় তীব্র…….
,

,
,
,

,
,কিন্তু কিছুক্ষন পর ঘটে অন্য বিপত্তি। হঠাৎ করেই তুরের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তীব্র বুঝতে পারে ওর অবস্থা এতটাই খারাপ শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। তীব্র দ্রুত গাড়ি থামিয়ে তুরকে বাইরে বের করে আনে। বুঝতে পারে এই মুহুর্তে তুরকে শ্বাস দেওয়া প্রয়োজন। তীব্র দ্রুত রিদ্ধকে ডাকে….

— রিদ্ধ প্লিজ ওকে লিপ টু লিপ শ্বাস দেও। ওর জন্য খুব জরুরি।

তীব্রের কথাটা শুনে ওর মাথায় আকাশ ভেঙে পরে। তীব্র ওকে একটা মেয়েকে ধরতে গেলে কিস করতে বলছে….

— সরি স্যার আমার গার্লফ্রেন্ড আছে… যদি জানতে পারে তাহলে এবার ব্রেক-আপ…

— What rabies…. এখানে মেয়েটার জিবন মরন প্রশ্ন আর তুমি….

— সরি স্যার আমি পারব না। আপনি বরং ড্রাইভারকে বলুন….

তীব্র ড্রাউভারের দিকে তাকাতেই ও বিশ্রি একটা হাসি দেয়। যাতে তীব্রের রাগ উঠে। ও আর কিছু না ভেবেই তুরকে তুলে ওর ঠোঁটে ঠোঁট আটকে ওকে শ্বাস দিতে থাকে। এটা দেখে রিদ্ধ মুচকি মুচকি হেসে উঠে মনে মনে বলে, শেষ পর্যন্ত তাহলে নারী বিদ্বেষী নারী স্পর্শ করল…. যাক আমি তো বেচে গেছি।

তীব্র তুরের মুখে বাতাস দিতেই তুরের শ্বাস ঠিক হয়ে আসে কিছুক্ষন পর। তীব্র ওর মুখ থেকে চুল সরিয়ে ওর গালে আলত স্লাইড করে। তারপর আবার ওকে গাড়িতে তুলে এবার শক্ত করে বুকের মাঝে আকড়ে ধরে যাতে একটুও পরতে পারে…..

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here