ফুচকাওয়ালা যখন স্পেশাল অফিসার
#পর্বঃ১০ (শেষ)
#লেখকঃরবিউল_হাসান

আমিঃতাহলে আজ রাত ৮ টায় দেখা হবে আপনার থানার বাইরের বাম পাশের দোকানে।
ওসিঃওকে।

আমিঃওকে তাহলে গিয়ে মেয়ে গুলোকে নিয়ে আসুন, আর তাদের পরিবারের কাছে ঠিক মতো #পৌঁছে দিন।
ওসিঃআচ্ছা ঠিক আছে আপনি যেটা বলবেন।
আমিঃরাখছি।(বলে ফোন কেটে দিলাম)
(আসলে ওসি অনেক ভালো মানুষ, তাই তার সাথে চা খেতে রাজী হলাম)

আমি বাইরে অপেক্ষায় করতে লাগলাম কখন ওসি এম্বুলেন্স সহ নিয়ে আসবে।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম। ওসি গাড়ি নিয়ে চলে আসছে।
আমি রাশেদকে ফোন দিলাম।
রাশেদঃহ্যা বল।
আমিঃপুলিশ চলে আসছে তুই ওদেরকে বসতে বলে বাইরে চলে আয়।
রাশেদঃওকে রাখছি।
আমিঃসাবধানে।বলে ফোন কেটে দিলাম।
রাশেদঃশুন তোমরা বাইরে তোমাদের পুলিশ আঙ্কেল আসছে তোমাদের নিতে।তোমরা বস তারা এসে তোমাদের নিয়ে যাবে।ঠিক আছে আমি আসি।
মেয়েগুলেঃধন্যবাদ আঙ্কেল
রাশেদঃআমার বন্ধুকে ভাই ডাকলে আর আমাকে আঙ্কেল

মেয়েগুলো কিছু বলতে যাবে তার আগে পুলিশের জুতার আওয়াজ শুনে রাশেদ পেছন দিয়ে বেরিয়ে গেল।
তারপর আমি আর রাশেদ বাসার দিকে রওনা দিলাম।আর ওই দিকে…
ওসিঃঠিক আছে বাচ্চারা তোমরা ভয় পাবে না।আমরা তোমাদেরকে তোমাদের বাবা মায়ের কাছে পৌছে দেব।
মেয়েগুলোঃঠিক আছে আঙ্কেল।
ওসিঃতোমরা ৪ জন লাশ গুলো গাড়িতে তুলে নাও আর তোমরা বাচ্চা গুলো নিয়ে গাড়িতে ওঠ।(পুলিশ কনস্টেবল কে বলল)
তারাও কাজ করতে লাগল।
বাচ্চা গুলো গাড়িতে তোলার পর।
ওসিঃআচ্ছা মা তোমরা কি জান কে তোমার বাচিয়েছে?
একটা মেয়েঃকে আঙ্কেল?
ওসিঃওনি হল R.K যে সবসময় মানুষের পাশে দাড়ায়।
মেয়েটাঃওহ,কিন্তু ওনাকেতো দেখলাম না?
ওসিঃওহ আসলে উনাকে তেমন কেউ নাই…
মেয়েটাঃআপনি ও কি আপনি দেখেছেন?
ওসিঃ না আমিও দেখিনি…
মেয়েটাঃউনাকে কি কেউ দেখেনি?
ওসিঃহয়তো দেখেছে কেউ কেউ,কিন্তু আমি দেখিনি, হয়তো দেখব খুব তাড়াতাড়ি।
মেয়েটাঃওহ।

তারপর কথা বলতে বলতে মেয়ে গুলোকে নিয়ে ওসি থানায় গেল।সাথে সাংবাদিক তো আছেই….
সাংবাদিক১ঃকারা এই মেয়ে গুলোকে কিডন্যাপ করেছিল আপনি কি জানেন?
ওসিঃনা সেটা জানা যায় নি, তবে আশা করি খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারব।
সাংবাদিক২ঃআপনার কি মনে হয়, কার হাত থাকতে পারে এর পেছনে?
ওসিঃআমাদের মনে হলেতো আর হবে না।আমাদেরও প্রমাণ দরকার।
সাংবাদিক৩ঃতাহলে কি আপনি মনে মনে কাউকে সন্দেহ করেন?
ওসিঃহ্যা সন্দেহ করি….
সাংবাদিক৪ঃতাহলে কে সে?
ওসিঃআমি যদি তার নামটা আপনাদের বলে দিয় তাহলে সে অন্য দেশে পালিয়ে যাবে।তাই তার নাম বলা যাবে না।

সাংবাদিক ৫/আপুঃএই মেয়ে গুলোকে কি আপনারা উদ্ধার করেছেন?নাকি অন্য কেউ?

(আপুর কথা শুনে ওসি শক তো খেলই,ওসি মনে মনে ভাবল এই কথার সামনে তাকে পড়তে হবে না।কিন্তু আমিতো আপুকে আগেই বলে দিছি মিশনে যাচ্ছি)
ওসিঃআসলে আমরা জানতাম না,R.k মেয়ে গুলোকে উদ্ধার করেছে আর সেখানে কিছু কালো টাকা আর নেশা দ্রব্য ছিল যে গুলোর সব সন্ধান R.K আমাদের দিয়েছেন।

সরি গাইস আর কিছু বলতে পারব না।

তারপর বাবা মা কে তাদের সন্তান কে ঠিক মত বুঝিয়ে দেন।প্রতিটা পরিবার R.k এর প্রশংসা করছে।

রাত ১১ টা বাজতে চলল তাই আমি আর রাশেদ বাসায় চলে আসলাম।রাশেদকে তার বাসায় পাঠিয়ে দিলাম।আমি আমার ভাঙ্গা বাসায় চলে আসলাম।
পরের দিন ঘুম থেকে ওঠে কলেজে গেলাম।সবাই ঘুরাঘুরি করতেছে কোনো ক্লাস হচ্ছে না।কারণ কাল তো কলেজে অনুষ্ঠান। তাই সবাই অনুষ্ঠানে কি কি করবে সেসব চিন্তা করতেছে।
স্যারেরাও সে চিন্তায় ব্যাস্ত।
কোথকেকে আরোহী আসল….
আরোহীঃকেমন আছেন ভাইয়া
আমিঃএইতো ভালো তুমি কেমন আছ?আর এত দিন কই ছিলে?
আরোহীঃআছি ভাইয়া।বাসা থেকে বের হতেই মন চায় না।কাল কলেজে অনুষ্ঠান তাই আসলাম।(আরেহী কে এম পির বাগীনা ধর্ষণ করছিল তাই সে এমন কথা বলল)
আমিঃআরোহী চিন্তা করো না,যা হবার তা তো হয়ে গেছে আর তারা শাস্তিও পেয়েছে।
আরোহীঃতা ঠিক….তা আপনি নাকি এখন ফুচকা বিক্রি করেন না?
আমিঃহুম ঠিকই শুনেছ,আসলে আমিও আর এখানে থাকব না,চলে যাব পরশু মানে অনুষ্ঠানের পরের দিন তাই দুই এক দিন ঘুরতেছিলাম।
আরেহীঃকিহ আপনি চলে যাবেন?
আমিঃহুম চলে যাব,মন খারাপ করো না।হয়তে আমি চলে যাব কিন্তুু আমার মত একজন ঠিকই থাকবে এখানে।
আরেহীঃকে থাকবে, প্লিজ ভাইয়া আপনি যাইয়েন না।আপনি গেলে আবারে অনেক খারাপ মানুষ সৃষ্টি হবে।
আমিঃঠিক আছে চেষ্টা করব থেকে যাওয়ার।কিন্তু আমি যে ফুচকাওয়ালা বা R.K তা আর থাকব না।খুব তাড়াতাড়ি বিদায় নিবে এই R.K…….
আরোহীঃসত্যি কি আপনি থাকবেন ভাইয়া?
আমিঃআগে একটা কথা বল,তোমার কি ভাই আছে?
আরোহীঃআছে কিন্তু ছোট।
আমিঃতোমার কি খারাপ লাগে তোমার কোনো বড় ভাই না থাকায়?
আরোহীঃহুম অনেক বাট কিছুতো করার নেই?কিন্তু আপনি এসব জানতে চাচ্ছেন কেন?
আমিঃনা আসলে তুমি কথায় কথায় ভাইয়া ডাক তাই বললাম।
আরোহীঃআপনাকে কি আমি ভাইয়া ডাকতে পারি না?
আমিঃহ্যা পার তো।তবে অন্য সময়ের মত না।আজ থেকে তুমি মনে করবা আমি তোমার আপন ভাই।
আরোহীঃসত্যি?
আমিঃহুম সত্যি
আরোহীঃধন্যবাদ ভাইয়া
আমিঃকেন?
আরোহীঃএই যে আমি একটা ভাই পেলাম তাই?
আমিঃশুধু ভাই না বোনও একটা পাইছো
আরোহীঃসত্যি?
আমিঃহুম।
আরোহীঃআপুর নাম কি?
আমিঃতুমি কি খবর দেখ?
আরোহীঃহ্যা দেখি কিন্তু কেন?
আমিঃসাংবাদিক রেবাইয়া নাসরিনকে চিন?
আরোহীঃহ্যা,সেই তো R.k মানে আপনার সব খবর আগে আগে দেয়।
আমিঃহুম সেই আমার একমাত্র বড় বোন।
আরোহীঃসত্যি?
আমিঃহুম সত্যি।

আরোহী আচ্ছা ভাইয়া তুমি কি সত্যি চলে যাবে?
আমিঃআমি থাকব তবে R.k,চলে যাবে।
আরোহীঃমানে?
আমিঃমানে পরে বলব।আমি এখন আসি।
আরোহীঃকোথায় যাবেন?
আমিঃএইতো সামনে ঘুরব।
আরোহীঃচলেন আপনার সাথে আমিও যাব।
আমিঃযেত পার কিন্তু একটা শর্ত আছে…
আরোহীঃকি শর্ত???
আমিঃআমাকে তুমি করে বলতে হবে তাহলে যেতে পার।
আরোহীঃওকে বলব।চলেন….
আমিঃআবারো কিন্তু আপনি বললে…..
আরোহীঃআচ্ছা আর বলব না চল এখন
আমিঃগুড় চল….

তারপর আমি আর আরোহী কলেজে বিভিন্ন দিকে হাঠতে লাগলাম।কিছুক্ষণ হাটার পর রিমির সাথে দেখা।
রিমিঃহাই কেমন আছেন?
আমিঃজ্বী মুই ভালো, আপনি?
রিমিঃহ্যা আমিও ভালো,আর আপনি কেমন আছেন?(আরোহীকে বলল)
আরোহীঃজ্বী মুউও ভালো,না মানে আমিও ভালো
রিমিঃতা কোথায় যাচ্ছেন আপনারা?
আরোহীঃএইতো একটু ঘুরছিলাম ভাইয়ার সাথে।
রিমিঃওহ, তা আপনার শরীর কেমন আছে?
আমিঃজ্বী ভালো
আরোহীঃতাহলে আপু আমরা এখন আসি?
রিমিঃহুম সিওর।

তারপর আমি আর আরোহী হেঁটে সামনে গেলাম।
আরোহীঃভাইয়া একটা কথা ছিল!!!
আমিঃহুম বল কি কথা?
আরোহীঃতুমি রিমির সাথে এভাবে কথা বললে কেন?আমার সাথে তো ঠিক করে কথা বল।
আমিঃহুম শুধু তোমার সাথে ঠিক করে কথা বলি আর কারো সাথে নয়।
আরোহীঃকেন?
আমিঃকারণ আমি যদি ঠিক করে কথা বলি তাহলে তারা আমাকে সন্দেহ করবে।
আরোহীঃওহ বুঝছি
আমিঃগুড় এই না হলে আমার বোন
আরোহীঃওকে ভাইয়া সামনে যায়….
আমিঃআমি আর যেতে পারব না।আমার কাজ আছে।কালতো অনুষ্ঠান আছে তাই প্রস্তুতি নিতে হবে।
আরোহীঃকি প্রস্তুতি ভাইয়া?
আমিঃকালকে অনুষ্ঠানে কিছু কাজ আছে তাই কিছু কাজ আছে।
আরোহীঃকি কাজ সেটাইতো বললে না।
আমিঃসেটা না হয় কালই দেখবে
আরোহীঃওকে ভাইয়া
আমিঃওকে তুমি এখন ঘুর আমি আসি।
আরোহীঃওকে ভাইয়া।
তারপর আরোহীকে রেখে আমি বাসায় চলে আসলাম।রাতে ওসির সাথে দেখা করতে গেলাম।তবে ফুচকাওয়ালা সেজে।কোনো R.K হিসাবে নয়।

গিয়ে দেখি ওসি বসে আছে।আমি ওসি কে পাশে কাটিয়ে সামনের চেয়ারে যাওয়ার সময় ইচ্ছা করে হালকা ধাক্কা দিলাম।
ওসিঃএই কি হচ্ছে?
আমিঃসরি স্যার হাটতে গিয়ে লেগে গেছে।
ওসিঃওসি টিক আছে যাও।

তারপর আমি গিয়ে ওসির সামনের টেবিলের বাম পাশে বসলাম।তারপর ব্লাংক নাম্বার থেকে ওসিকে একটা মেসেজ দিলাম।শুধু লিখলাম R.K

ওসি বুঝে গেল R.K এখন এখানে আছে।তারপর ওসি চায়ের অর্ডার করল।প্রায় ১৫ জন ছিল সবাইকে চা দিল।তারপর চা খেয়ে সবাই বেরিয়ে গেল।আমি সবার শেষে বের হচ্ছি,ওসির কাছে এসে হালকা করে একটা চিঠি রেখে দিয়ে চলে আসলাম।চিঠিতেও লিখা ছিল R.K

তারপর চলে আসলাম বাসায়।রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।সকালে ঘুম থেকে ওঠে গোসল করে ভালো করে সব কিছু চেক করে নিয়ে বন্ধুক, মাক্স,কার্ড,ফোন,চাকু++ সবকিছু ঠিক করে নিলাম।কারণ সকালে কলেজে অনুষ্ঠান।
তারপর খেয়ে ফোন দিলাম রাশেদকে।
রাশেদঃহ্যা বল তুই কোথায়?
আমিঃআমিতো এখনো বাসায়।বের হচ্ছি।তুরা কোথায়?
রাশেদঃআমি সবাইকে নিয়ে কলেজে যাচ্ছি।
আমিঃঠিক আছে সাবধানে যাবি।মনে রাখবি কলেজে এম পি আর রায়হান ইকবাল দুই জনই উপস্থিত থাকবে। তুই আপুকে দেখে রাখবি তুর প্রধান কাজ হবে আপুকে দেখে রাখা।সাথে সবার দিকে নজর রাখবি।
রাশেদঃসিওর।
আমিঃগুড় এম পি যাওয়ার সাথে সাথে সবাই প্রজিশন নিয়ে নিবি।আমি আসতেছি।
রাশেদঃওকে।

তারপর আমি কলেজের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।১০ মিনিট পর রিকশা থেকে নেমে কলেজে ডুকলাম।তারপর রাশেদের কাছে গেলাম।
রাশেদঃসব ঠিক আছে তো?
আমিঃহুম।আর এখানে সব ঠিক আছে তো?
রাশেদঃহুম এখানে সব ঠিক আছে।
আমিঃওকে রেড়ি হয়ে যা,ইকবাল আর এম পি দুই জনই আসতেছে। আগে ইকবাল কথা বলবে তাই আর কিছু সময়ের মধ্যে হকবাল চলে আসবে।তারপর এম পি আসবে।আমার টিমের সবাইকে ডাক।আমি ওদের সাথে কথা বলব।
রাশেদঃওকে।
তারপর রাশেদ সবাইকে ডাকল।
আমিঃআপনারা সবাই সবকিছু নিছেন তো?
সবাইঃজ্বী স্যার।
আমিঃমনে রাখবেন,আপনারা চাকরি নেওয়ার আগে শপথ করেছিলেন দেশ ও দশের জন্য প্রয়োজন নিজের প্রাণ দিয়ে দিবেন তাও হার মানবেন না।
আর আমার টিমে নাম উটার আগে সবাই আবারো শপথ করেছিলেন।আমার কথা কেউ পেলবেন না।আপনারা কথা দিয়েছিলেন,আমি কাউকে আদেশ দিলে আপনারা পালন করতে তা বাধ্য।
সবাইঃইয়েস স্যার।
আমিঃআপনারা কথা দিয়েছিলেন আমি যদি কাউকে বলি নিজেকে শুট করতে তাহলেও আপনারা তাই করবেন।
সবাইঃইয়েস স্যার।
আমিঃR.H6 আপনাকে যদি বলি আপনার বাবাকে শুট করতে তাহলে কি আপনি শুট করবেন?
(আসলে ইকবাল হল R.H6 এর চাচা তাই তাকে বিশেষ করে বললাম)
আমিঃগুড় এখন সবাই নিজেট পজিশন নিয়ে নেন।

তারপর সবাই চলে গেল।
রাশেদঃআমিও কি যাব?
আমিঃআগে শুন তুই আপুর দিকে বিশেষ করে খেয়াল রাখবি।আর মনে রাখবি এখানে রিমিও আছে।আমরা কিছু করলে সেও গুলি চালাতে পারে তাই সাবধান থাকবি।
রাশেদঃওকে তাহলে এখন আসি।
আমিঃআরে দাড়া না আরেকটু।তারা এখনো অনেক দুরে আসতে আরো ১০ মিনিট লাগবে।
রাশেদঃআচ্ছা বল তো তুই কিভাবে জানলি আসতে কতক্ষণ আরো ১০ মিনিট লাগবে?
আমাদের সব টিম মেম্বারতো এখানে তাহলে তুই কিভাবে জানতেছিস?
আমিঃতাহলে শুন এই টিমের বাইরে আমার আরো একটা টিম আছে যেটার খবর আছি ছাড়া আর কেউ জানে না।এমন কি সে টিমের মেম্বারও জানে না তাদের হেড কে?
রাশেদঃকি বলিস?
আমিঃহুম আরো একটা কথা শুন তাহলে, আমার সে টিমের দুই জন সদস্য এম পি আর ইকবালের টিমে ডুকে পড়ছে।তারা ওখানে ভালো কাজ করতে পারাি আবার ওই টিমেরও লিডার হয়ে গেছে।মানে ইকবালের টিম আর এম পির টিমের হেড হল আমার আলাদা টিমের সদস্যরা তারাই সব খবর আমাকে দিয়ে যায়।
আর রায়হান ইকবাল যে মেয়ে গুলোকে প্রাচার করতে চেয়েছিল তাদের খবরও আমাকে সে টিমের হেড মানে আমার টিমে সদস্য দিয়েছিল।
রাশেদঃভাই তুই কি মানুষ?
আমিঃকেন মনে হল তুর আমি মানুষ না?
রাশেদঃতুই যেভাবে আগুন নিয়ে খেলতেছিস তা কি আর কেউ কখনো খেলছিল আমি জানি না।তুই খুব মারাত্মক জানিস?
আমিঃদেশ আর দশকে বাঁচাতে হলে মারাত্মকও হতে হয়।
রাশেদঃতাই বলে এত মারাত্মক?
আমিঃএমন না হলে কি আজ টিমের হেড হতে পারতাম?
রাশেদঃতা ঠিক কিন্তু এত মারাত্মক?
আমিঃযা পজিশন নিয়ে নে,মনে রাখবি আপুর যাতে কোনো ক্ষতি না হয় আর সাধারণ মানুষের দিকে নজর রাখবি।
রাশেদঃওকে।
আমিঃযা এখন ইকবাল এসে গেছে।
রাশেদঃওকে

তারপর রাশেদ চলে গেল,আমি পেছনে দাড়িয়ে আছি।ইকবাল স্টেজে ওঠে ভাষন শুরু করল।এমন ভাবে ভাষণ দিচ্ছে যেন কাঁচা ফেরেস্তা নেমে আসছে।

তার ভাষণ দেওয়ার মাঝখানে রাশেদ আসল।
আমিঃবল কি অবস্থা টিমের?
রাশেদঃসব ঠিক আছে।সবাই রেড়ি তুর আদেশ পাওয়ার সাথে সাথে গুলি চলবে।
আমিঃগুড়।একটু পর এম পি আসবে সবাইকে আবার এলার্ট কর।
রাশেদঃওকে।

তারপর পর এম পি আসল।
এম পি এসে সোজা স্টেজে উঠে গেছে।
তারপর মানুষকে পঠানোর জন্য ভাষন দিতেছে।ভাষণ শুনে মনে হচ্ছে স্বাক্ষাত নারায়ণ নেমে আসছে।

তার ভাষণ প্রায় শেষের দিকে। আমি রাশেকে ইশারায় বললাম টার্গেটে ঠিক করতে।রাশেদ থার্গেট ঠিক করল।আমি তাকে আরো বললাম।সে যেন ইকবালকে টার্গেটে করে।আর এম পি কে আমি।আার তার টিমের বাকিরা আমার টিমের সদস্যদের টার্গেটে।

আমি তারপর ইশারায় আমার টিমের যে দুইজন এম পি আর রায়হান ইকবালের টিমে আছে তাদের ওখান থেকে সরে যেতে। তারপর তারা ওখান থেকে চলে গেল।

আমি আস্তে আস্তে সামনে গিয়ে দাড়ালাম।
আমি এখন ঠিক এম পির সামনে দাড়িয়ে আছি।
আমি আস্তে করে পকেট থেকে মাক্স হাতে নিলাম।তারপর যখন এম পির ভাষণ শেষ হবে, মাক্স পড়ে নিলাম।(যেটা রিমি ঠিকই দেখে পেলল)
তারপর আমি কোমরের থেকে গান বের করে এম পি কে শুট করে দিলাম।সাথে সাথে রাশেদ রায়হান ইকবালকে।আর আমাদের গুলির আওয়াজ শুনে মানুষ এদিক ওদিক পালাচ্ছে। আমার বাকি টিম মেম্বাররা এম পি আর রায়হান ইকবালের টিমের সব মেম্বারকে গুলি করে দিল।সবাই সাথে সাথে মাটিতে পড়ে গেল।দুই টিমের মাত্র ২ জন মানুষ বেচে আছে।
১,এম পি ২,রায়হান ইকবাল। বাকিরা মারা গেছে।
এম পি আর রায়হান ইকবালও মাটিতে পড়ে গেছে।

তারপর সবাই দৌড়াতে দৌড়াতে চলে গেল।এখন পুরো কলেজ জুড়ে আছি আমি, আমার টিম,আপু, আরোহী আর রিমি।আর স্যারেরা।

আমিঃএম পির কাছে গেলাম।
আমিঃকিরে কেমন লাগে যখন সামান্য ক্ষমতার লোভে সাধারণ মানুষকে মেরেছিল তখন তাদের কি হয়েছিল এবার বুঝ।বলে আরো একটা গুলি করে দিলাম।সাথে সাথে পেছনে আরো একটা গুলির আওয়াজ শুনলাম।পেছনে থাকিয়ে দেখি রাশেদ ইকবালকে গুলি করছে।
আমি রাশেদকে বললাম তুই আবারো গুলি করছিস কেন?
রাশেদঃআসলে আমি গুলি করতে চায় নি কিন্তু সে তুকে গুলি করতে চেয়েছে তাই আমি তাকে শুট করলাম।
আমিঃওকে ধন্যবাদ।
রাশেদঃকেন?
আমিঃএই যে তুই না থাকলে সে আমাকে শুট করত তাই?
আমিঃআরে এটা কোনো ব্যাপার না।
আমিঃআচ্ছা সবাইকে নেমে আসতে বল।

এখন দুই টিমের সবাই মারা গেছে।

হঠাৎ পেছন থেকে কে জানি আমার মাথায় বন্ধুক ধরল।
আমি পিছনে থাকিয়ে দেখি রিমি।
আমিঃকি মিস D.C রিমি?আমাকে ধরতে আসছেন?(আমি সবাইকে ইশারায় বললাম যাতে রিমিকে শুট না করে তাই কেউ শুট করল না, নয়তো রিমি এতক্ষণে শেষ হয়ে যেত।)
রিমিঃহ্যা তুকে ধরতে আসছি।
আমিঃরিমি আপনি না R.K কে ভালোবাসেন তাহলে ধরতে আসছেন মানে?
রিমিঃ হা হা ভালোবাসা।আরে এটা ছিল আমার একটা চাল যাতে আমি R.K কে ধরতে পারি।
আমিঃমানে?
রিমিঃমিস্টার ফুচকাওয়ালা মানে R.K তুকে আমি মাক্স পড়ার সময় দেখে পেলছি।(এই বলে রিমি আমার মুখ থেকে মাক্স সরাল।)

আমি রাশেদকে ইশারায় বললাম CM কে ফোন দিতে।

রিমিঃতুই কি ভাবছিস, আমি তুকে ভালোবাসি?
আমিঃহ্যা আমিতো তাই জানতাম।আর আমিও আপনাকে ভালোবাসি।
রিমিঃহা হা ভালোবাসা। মনে আছে তুই একজনকে খুন করেছিলি যার নাম ছিল রোবেল।
আমিঃহ্যা মনে আছে।সে ধর্ষণ করেছিল তোফাকে তাই তাকে মেরে পেলেছি।আর তোফাও তো রোবেলকে মারার আগে আত্মহত্যা করেছিল।
রিমিঃহা হা ধর্ষণ, জানিস রোবেল আমার মামা ছিল।
আমিঃতো মামা ছিল কি হয়ছে?ধর্ষণ করছে তাই মেরে দিছি।
রিমিঃআর এখন আমি তুকে মেরে দিব।
আমিঃমানে?
রিমিঃনা না তুকে মারব না।তুকে মারলে তো প্রমোশন পাব না।বরং তুকে জীবিত নিয়ে যাব।আমার প্রমোশনও হয়ে যাবে আর তুকে জেলে তিলে তিলে মেরে পেলব।
আমিঃকি বলছ রিমি এসব তুমি না আমাকে ভালোবাসতে, আমার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করলে তাহলে তুমি সামান্য প্রমোশনের জন্য আমাকে কিভাবে গ্রেফতার করবে?
রিমিঃওটা ছিল তুকে ধরার একটা চাল মাত্র
আমিঃসত্যি কি আমাকে কখনো ভালোবাস নি?
রিমিঃএকদম না,শুধু প্রতিশোধ নিতে সব করেছি।
আমিঃএত অভিনয় করতে পারলে?কখনো ভাবি নাই তুমি আমাকে ঠকাবে।তোমাকে যতটুকু ভালোবাসতাম তার থেকে বেশি ঘৃণা হচ্ছে চিহ
রিমিঃতোর ঘৃণা বা ভালোবাসায় আমার কিছু যায় আসে না।চল এখন থানায় নয়তো তুকে এখানে শুট করে দিব।
আমিঃনা আমি থানায় যাব না,যদি তুমি শুট করে দাও তাহলে এখানেই মরে যাব তাও থানায় যাব না।
রিমিঃওকে তাহলে এখানেই মর(বলে শুট করতে যাবে তার আগেই হেলিকপ্টার চলে আসল আর রিমির হাসে শুট করে দিল।আমি কিছু করতেছি না শুধু দাড়িয়ে আছি আর চোখের জল পেলছি।যে মানুষটাকে এত ভালোবাসতাম সে মানুষটা আমাকে এভাবে ঠকালো।

রিমি বন্ধুক তুলে যখন হেলিকপ্টারে শুট করতে যাবে তার আগে সেখান থেকে বের হয়ে আসল সেনাবাহিনীর একজন কর্নেলে। কর্নেল মাসুদ রানা। যাকে সব ডিপার্টমেন্টের লোক চিনে।
মাসুদরানা হেলিকপ্টার থেকে নেমে সোজা আমার কাছে এসে আমাকে স্যালুট মারল।তা দেখে রিমি অবাক।
রিমিঃআরে স্যার আপনি কি করছেন,একজন খুনিকে কেন স্যালুট করতেছেন?এই তো সে খুনি যে R.K হয়ে ছিল।এর আসল নাম হাসান।(মাসুদ রানাকে বলল)
মাসুদ রানাঃআপনি কি জানেন কে সে?
রিমিঃহ্যা একজন খুনি।
মাসুদ রানাঃনা সে খুনি নয়।আপনি তো তার পুরো নামটাও জানেন না,তাকে কিভাবে চিনবেন?
রিমিঃমানে?
মাসুদ রানাঃএর পুরো নাম হল রবিউল হাসান।মনে পড়ে ২০১৮ সালের কথা,ইন্ডিয়ান কিছু সৈনিক বাংলাদেশ সাধারণ মানুষের মত করে এসে বাংলাদেশের তিনটা যুদ্ধ বিমান চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল?
রিমিঃহ্যা।আর ওই বিমান গুলোতো একজন মেজর তাদের হাত থেকে রক্ষা করেছিল?
মাসুদ রানাঃহ্যা,আরো একটা কথা কি মনে আছে, বাংলাদেশ থেকে ৪/৫ বছর আগে একটা পারমানবিক বোমা চুরি করেছিল মিয়ানমার!!!
রিমিঃহ্যা মনে আছে।
মাসুদ রানাঃজানেন সে বোমাটা কে তাদের থেকে আবার কেড়ে আনছিল?
রিমিঃকে?
মাসুদ রানাঃসেও সে মেজর টা।জানেন সে মেজরটা কে?
রিমিঃতার কথা তো গোপন রেখেছিল….
মাসুদ রানাঃআর গোপন রাখব না।সে মেজরটা আর কেউ নয় বরং রবিউল হাসান ছিল(আমার দিকে হাত দেখিয়ে)
রিমিঃকিহ
মাসুদ রানাঃশুধু সেটা নয়,কয়েক মাস আগে যে বাংলাদেশে মাফিয়াদের বিরুদ্ধ বাংলাদেশ পুলিশ যুদ্ধ করেছিল সেখানে পুলিশ ছিল মাত্র ২ জন বাকি সবাই ছিল R.K ওরফে রবিউল হাসানের দলের এজেন্ট।
রিমিঃমানে?
মাসুদ রানাঃহ্যা এটাই সত্য।স্যারকে দেশের খারাপ মানুষ গুলোকে শেষ করার জন্য স্পেশাল পাওয়ার দেওয়া হয়েছে।শুধু সেটা নয় স্যার এখন মেজর নয় স্যার আমার সিনিয়র।
স্যার চাইলে যে কোনো বাহিনী লোককে শুট করতে পারে।স্যার কাউকে জবাব দিতে বাধ্য নয়।এম কি চায়লে যে কোনো বাহিনীর লোককে বরখাস্তও করতে পারে।
রিমিঃকি বলছেন আপনি।
মাসুদ রানাঃহ্যা এটাই সত্যি। আর স্যারকে এই পাওয়ার C.M নিজে দিয়েছেন।
একটু আগে C.M আমাকে ফোন দিয়ে এখানে আসতে বলছে তাই আসলাম।
আর জানেন স্যারের এখন যে চেহারা আছে সেটা তার আসল চেহারা নয়,প্লাস্টিক সার্জারী এটা।স্যারের আসল চেহারাতো প্লাস্টিক সার্জারি সরালে দেখা যাবে।
রাশেদঃমাসুদ সাহেস…..
মাসুদ রানাঃজ্বী স্যার….(রাশেদও মাসুদ রানার সিনিয়র)
রাশেদঃযে ভালোবাসা বুঝে না তাকে আর কি বুঝাবেন,সামান্য প্রমোশনের লোভে যে ভালোবাসার অভিনয় করতে পারে, আমার তো মনে গয় না সে কি আদৌ ভালোবাসছিল?
বলে রাশেদ আমার কাছে এসে, আমার মুখের প্লাস্টিক সার্জারি তুলে নিল।(বাস্তবে এভাবে কারো প্লাস্টিক সার্জারি তুলা যায় না)
রাশেদঃএটাই হল তার আসল চেহারা।
মাসুদ রানাঃস্যার ওনাকে কি গ্রেফতার করব?(রিমির দিকে থাকিয়ে)
আমিঃনা তার দরকার নেই।আমি হেঁটে রিমির সামনে গেলাম।তারপর বললাম.….
রিমি আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসতাম কিন্তু তুমি এমনটা করবে ভাবি নি।চাইলে আমি তোমাকে এখুনি বরখাস্ত করতে পারি। কিন্তু আমি তা করব না।কারণ আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসতাম।
রিমিঃসরি……
আমিঃথাক আর সরি বলতে হবে না।আজকেই চলে যাব আমি এই মিথ্যা, অভিনয়ের শহর থেকে ভালো থেকো আর আন্টিকে আমার পরিচয় টা দিয়ে দিও।
আসি আল্লাহ হাফেজ।

তারপর চলে আসলাম।ভাঙা বাসায় নয়,সোজা নিজের মায়ের বাসায়।
পরের দিন CM নিজ হাতে আমাকে পুরুষ্কৃত করেছেন।সাথে এক মাসের ছুটিও.……
তারপর মা আর আপুকে নিয়ে চলে আসলাম গ্রামের বাসায়।

চলে আসলাম মিথ্যা ভালোবাসার শহর থেকে।ভালো থাকুক তারা যারা নিজের স্বার্থের জন্য মানুষকে ব্যাবহার করে আর স্বার্থ শেষ হয়ে গেলে মানুষকে দুরে ঠেলে দেয়।

……………..সমাপ্ত……………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here