#গল্পের_নাম:|| প্রেম পায়রা ||পর্ব_১৫ (বোনাস পার্ট)
#লেখনীতে: অজান্তা অহি (ছদ্মনাম)

লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে নিজেকে ধাতস্থ করলো তিথি।চায়ের কাপটা দুহাতে শক্ত করে ধরে ভেতরে ঢুকলো।সম্পদ পুরো বিছানা জুড়ে শুয়ে আছে।হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে।মাথার নিচের বালিশ সরে গেছে।গায়ের কম্বল খসে পড়েছে।ডান পা টা শুধু কম্বলে ঢাকা!

তিথি চায়ের কাপটা টেবিলে নামিয়ে রাখলো।আড়ষ্ট ভঙ্গিতে বিছানার কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়াতে চমকে গেল।সম্পদের গায়ের ব্ল্যাক টিশার্টের অনেকখানি উপরে উঠে গেছে।যার দরুণ ফর্সা পেটের প্রায় পুরোটাই উন্মুক্ত।এতদিন একত্রে থেকেও সে আজ অবধি সম্পদকে খালি গায়ে দেখেনি।প্রতিবার শাওয়ার শেষে গায়ে কিছু না কিছু পড়ে বের হতো।

তিথি ধপ করে সম্পদের মাথার কাছে বসে পড়লো।বালিশটা হাতে নিয়ে সম্পদের মাথার নিচে দিতে গিয়ে থেমে গেল।সম্পদকে ডেকে দিতে হবে।না হলে তার এত যত্ন করে বানানো স্পেশাল চা টা ঠান্ডা হয়ে যাবে।

ঘুমের মধ্যে সম্পদ কাত ঘুরলো।নড়েচড়ে আবার সোজা হলো।তিথি গালে হাত রেখে দীর্ঘক্ষণ সম্পদের মুখোশ্রীর দিকে চেয়ে রইলো।বহুদিনের চক্ষু তৃষ্ণা সে মিটাবে আজ।

সম্পদের মুখের দিকে ঝুঁকে সে কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করলো।হঠাৎ করেই তার মস্তিষ্কে অন্য চিন্তা ভর করলো।এরপর সময় সুযোগ হবে কি না কে জানে!সব চিন্তা বাদ রেখে আচমকা মুখটা নিচু করে সম্পদের দু গালে চুমু খেল।

খুব দ্রুত সরে আসলো সে।কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে লজ্জায়।সম্পদের অগোচরে কাজটা করেই তার এত লজ্জা লাগছে,মানুষটা জেগে থাকলে তার আর সাহস হবে না!উঠে দাঁড়িয়ে রুমে পায় চারি শুরু করল সে।সম্পদ এখনো ঘুম থেকে উঠছে না কেন?

নাহ!এভাবে অপেক্ষা করা দুরূহ ব্যাপার।কিছুক্ষণ পর সে আবার বিছানার কাছে এলো।হাত বাড়িয়ে সম্পদকে ডাকতে নিতে চোখ মুখ কুঁচকে গেল।কি বলে ডাকবে?সরাসরি সম্পদ?নাকি নাম ধরে না ডেকে বলবে,ওগো শুনছো?ধ্যেৎ!এত তাড়াতাড়ি তুমিতে আসা যাবে না।

তিথি হাতটা গুটিয়ে নিল।তবে মুখটা নিচু করে যথাসম্ভব নরম গলায় বলল,

—‘শুনছেন?এই যে শুনছেন?উঠে পড়ুন।সকাল হয়ে গেছে।’

সম্পদের কোনো হেলদোল নেই।মরা কাঠের মতো পড়ে আছে।তিথি অসহায় চোখে টেবিলে রাখা চায়ের কাপের দিকে তাকালো।ধোঁয়া উঠা বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই।সে গলার স্বর আরেকটু উঁচু করে বলে উঠলো,

—‘মি. প্রোপার্টি!উঠে পড়ুন।’

আশ্চর্য!উঠছে না কেন?তিথির মনে ক্ষীণ সন্দেহের দানা বেঁধে গেল।ইচ্ছে করে শুনছে না নিশ্চয়ই।সে দ্বিতীয় বার না ভেবে ড্রেসিং টেবিলের দিকে এগিয়ে গেল।পারফিউমের ভারী বোতলটা হাতে নিয়ে সম্পদের দিকে তাকিয়ে দুষ্টুমি ভরা হাসি দিল।বিছানার কাছে এসে একটু জোরে ফ্লোরে ঢিল দিয়ে ধপাস করে বসে ব্যথাতুর কন্ঠে চিৎকার করলো।

সেকেন্ডের ন্যানো ভাগের এক ভাগ সময় লাগলো সম্পদের।তার আর্তনাদ কানে যেতে এক লাফে উঠে এসে ফ্লোরে বসে পড়লো।

তিথির কাঁধ চেপে সমস্ত শরীরে নজর বুলাল।ভয়ার্ত গলায় বলল,

—‘ক-কি হয়েছে?পড়ে গেছো তিথি?ব্যথা পেয়েছ কোথায়?এই তিথি?’

তিথি ফিক করে হাসতে নিয়ে শেষ মুহূর্তে নিজেকে সামলালো।চোখে মুখে ব্যথা ফুটিয়ে বলল,

—‘পারফিউমের বোতলটা হাত থেকে পায়ের উপর পড়ে গেছে।হাড়গোড় সব ভেঙ্গে গেছে বোধ হয়।’

সম্পদ ভয়ানক চিন্তিত চোখে তিথির দিকে এক পলক তাকাল।পরক্ষণে তিথির পা দুটো দু হাতে নেড়েচেড়ে দেখে বলল,

—‘কোন পায়ে?’

—‘কি কোন পায়ে?’

—‘আরে ব্যথা পেয়েছ কোন পায়ে?একটু দেখে শুনে কাজ করতে পারো না?পারফিউমের বোতলটা আমি বিকেলে ওখানে রেখেছি।সম্পূর্ণ নতুন এবং ভীষণ ভারী।ঠিক ওটাই তোমার পায়ের উপর ফেলতে হবে?’

—‘আমি কি ইচ্ছে করে ফেলেছি?’

সম্পদ বিরক্তি নিয়ে বলল,

—‘কোন কাজটা তুমি ইচ্ছে করে করো?বাদ দাও!কোন পায়ে লেগেছে?’

তিথি তোতলানো স্বরে বলল,

—‘ড-ডান পায়ে।হুঁ!ডান পায়ে।ভয়ানক জ্বলছে।’

সম্পদ আর অপেক্ষা করলো না।হুট করে তিথিকে কোলে তুলে নিল।সঙ্গে সঙ্গে তিথির সর্বাঙ্গে ঠান্ডা একটা কাঁপুনি দিয়ে গেল।এই প্রথম সম্পদের স্পর্শে এলোমেলো হয়ে গেল।তার হৃদপিণ্ড লাফাচ্ছে।গলা শুকিয়ে আসছে।মনে হচ্ছে সে সত্যি সত্যি অসুস্থ হয়ে যাবে।নিজের শরীরের কাঁপুনি থামানোর জন্য সে দু হাতে শক্ত করে সম্পদের গলা জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করলো।

ততক্ষণে সম্পদ ওয়াশরুমে ঢুকেছে।বেসিনের উপর তিথির পা টা রেখে ট্যাপ ছেড়ে দিল।ঠান্ডা পানির স্পর্শ পেয়ে তিথির কাঁপুনি আরেক ধাপ বেড়ে গেল।হাত দুটো শক্ত করে সম্পদের বুকে মাথা চেপে রাখলো।জড়ানো গলায় বলল,

—‘পানি!আমি পানি খাব।’

সম্পদ চিন্তিত কন্ঠে বলল,

—‘কি বলছ?কি খাবে?’

—‘পানি!’

—‘অকে।আর একটু অপেক্ষা করো।পা টা আর একটু ভিজিয়ে নিই।’

তিথি ধপ করে চোখ খুলল।সম্পদের মুখের দিকে ঝাপসা চোখে তাকাল।তার দৃষ্টি অন্য রকম হয়ে আসছে।এই মানুষটা তার সামান্য একটু ব্যথায় পাগল হয়ে যায়, তার একটু কষ্ট হলে নিজে কেমন অগোছালো হয়ে যায়, তার প্রতিটি বিপদে আগলে রাখে!অথচ এমন একটা মানুষের থেকে সে এতদিন দূরে থেকেছে।তাকে কতটা কষ্ট দিয়েছে ভাবতে তার নিজের উপর রাগ লাগলো।

মাথাটা এলিয়ে আবার সে সম্পদের বুকে রাখলো।ক্রমেই ভিজে উঠা চোখ দুটো বন্ধ করে ক্ষীণ স্বরে বলল,

—‘পায়ে আর ব্যথা নেই।ঠিক হয়ে গেছে।’

সম্পদ কনফার্ম হওয়ার জন্য আবার জিজ্ঞেস করলো,

—‘সত্যি বলছ তো?ব্যথা নেই সিউর?’

—‘হুঁ!’

পুনরায় ট্যাপটা বন্ধ করে সম্পদ রুমে আসলো।তিথিকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে গ্লাসে পানি ঢালল।এগিয়ে এসে গ্লাসটা তিথির দিকে বাড়িয়ে দিল।তিথি খাটে হেলান দিয়ে বসে পানির গ্লাস হাতে নিল।এক চুমুক দিয়ে হাতে গ্লাস ধরে রাখলো।সম্পদের দিকে চোখ পড়তে দেখল ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে কিছু খুঁজে যাচ্ছে।তিথি কৌতূহল নিয়ে প্রশ্ন করলো,

—‘কিছু খুঁজছেন?কি লাগবে?’

সম্পদ মাথা ঘুরিয়ে তিথির দিকে তাকালো।তার চোখ মুখ চিন্তাক্লিষ্ট।ঝটপট বলল,

—‘ব্যথার স্প্রে ছিল ড্রয়ারে।কোথাও দেখেছ?’

—‘স্প্রে করতে হবে না।সামান্য একটু লেগেছে।ব্যথা নেই।একদম ঠিক হয়ে গেছে।’

—‘তোমাকে যা জিগ্যেস করছি তাই বলো।স্প্রে কোথায়?’

তিথি এক লাফে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো।
সম্পদকে আশ্যস্ত করতে হাসিমুখে বলল,

—‘এই দেখুন না!আমি একদম ঝাক্কাস আছি।নো ব্যথা,নো স্প্রে।’

সম্পদ ঝড়ের গতিতে এগিয়ে এসে তিথির কাঁধ চেপে আবার শুইয়ে দিল।ধমকের সুরে বলল,

—‘লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বাকি ঠ্যাং টা ভেঙে দিব।চুপচাপ শুয়ে থাকো।আমি স্প্রে খুঁজছি।’

তিথি মুখ গোমড়া করে শুয়ে রইলো।নিজের গালে নিজের চড় বসাতে ইচ্ছে করছে।কি এক মুসিবতে পড়লো।একটু রোমান্টিক কথাবার্তা বলতে চেয়েছিল আজ রাতে।অথচ!সম্পদ কি সিরিয়াস মুখ করে আছে।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর সম্পদ স্প্রে হাতে এগিয়ে এলো।তিথির মুখের দিকে এক পলক চেয়ে ডান পা টা হাতে তুলে নিল।পায়ের চারপাশে স্প্রে করে গোড়ালি ধরে একটু এদিক ওদিক করে বলল,

—‘ব্যথা পাও?’

তিথি ঘন ঘন মাথা নেড়ে বলল,

—‘একদম না!একটুও ব্যথা নেই।’

—‘এখন বুঝতে পারছো না।মাঝরাতে পায়ের ব্যথায় ঘুমাতে দিবে না।’

তিথি মিষ্টি করে হাসলো।কিন্তু সম্পদের চোখে পড়লো না।সে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে আছে।তিথি মন খারাপ করে বলল,

—‘আপনার জন্য চা করেছিলাম।ঠান্ডা হয়ে গেছে এতক্ষণে।নতুন করে আরেক কাপ করবো?’

সম্পদ উঠে দাঁড়ালো।অদ্ভুত দৃষ্টিতে তিথির দিকে চেয়ে বলল,

—‘এ রকম পা নিয়ে তুমি এখন কিচেনে যাবে?নো ওয়ে!খবরদার, ফ্লোরে পা ফেলবে না।’

বলে সে টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে পড়লো।পিরিচ থেকে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে তিথির দিকে তাকিয়ে চুমুক দিল।সঙ্গে সঙ্গে তার মুখ বিকৃত হয়ে গেল।

তিথি ভয়ে চুপসে গেল।মিনমিন করে বলল,

—‘চা ভালো হয়নি?’

—‘দূর্দান্ত হয়েছে।বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে রাখার মতো সুস্বাদু হয়েছে।’

বলে সে এক চুমুকে শেষ করলো।কাপটা পিরিচে রেখে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়াল।

তিথির মুখে হাসি ফুটে উঠলো।সম্পদ ওয়াশরুমের ছিটকিনি ভেতর থেকে লক করতে সে তড়িঘড়ি করে বিছানা থেকে নামলো।চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখলো।তলানিতে দুই চুমুকের মতো চা পড়ে আছে।মুচকি হেসে সম্পদ যেখানটায় ঠোঁট লাগিয়েছিল,সেখানে ঠোঁট লাগিয়ে সে বাকি চা টুকু মুখে পুড়লো।

মুখে পোড়াই শেষ!আর গিলতে পারলো না।চা তো নয় যেন বিষ পান করেছে সে।ছি!কি তিতকুটে!চিনির নাম গন্ধ নেই।পেট গুলিয়ে বমি আসতে তিথি ডান হাতের তালুতে মুখ চেপে ওয়াশরুমের দরজায় কড়াঘাত করলো।

সম্পদ দরজা খুলছে না।তিথি উম উম শব্দ করে আরো জোরে দরজা ধাক্কানো শুরু করল।দরজার উপর চড়,কিল,ঘুষি,লাথিসহ ছোটখাটো ঝড় বয়ে যেতে সম্পদ দরজা খুলল।কপাল কুঁচকে বলল,

—‘কে?’

দরজা খুলতে তিথি এক দৌঁড়ে ভেতরে ঢুকে গেল।বেসিনের উপর মুখ রেখে মুখে থাকা চা নামক তেতো পানীয় টুকু ফেলে দিল।ট্যাপ ছেড়ে বেশ কয়েকবার কুলি করলো।

কিন্তু মুখের তেঁতো ভাব গেল না।মনে হচ্ছে আগামী এক মাসেও যাবে না।কোনো খাবারের স্বাদও পাবে না।তার মনটা খারাপ হয়ে গেল।ভ্রু যুগল কুঁচকে বলল,

—‘চায়ে চিনির বদলে লবণ দিয়েছি বলবেন না?মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে গেল।চা চামচের দুই চামচ লবণ দিয়েছি।কি সাংঘাতিক!’

সম্পদের উত্তরের অপেক্ষা না করে তিথি আবার মুখে পানি দিয়ে কুলি করা শুরু করলো।বাম হাতের উন্মুক্ত অংশে সম্পদের হাতের ছোঁয়া পেতে সে চমকে উঠলো।ভেতর থেকে এলোমেলো হয়ে গেলেও বাইরে সটান দাঁড়িয়ে রইলো।বেসিনের আয়নায় নিজের লজ্জা মিশ্রিত মুখ দেখে দ্রুত মুখে পানির ঝাপটা দিল।

সম্পদ আরো কাছ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বলল,

—‘ইচ্ছে করে চায়ে চিনির বদলে লবণ মিশিয়েছো, তাই না?’

তিথি চমকে গেল।সে তো ইচ্ছে করে চায়ে লবণ দেয়নি।সম্পদ বাসায় ফিরেছে সেজন্য খুশিতে একটু অন্য মনস্ক হয়ে গেছিল।আর তাতেই অঘটন টা ঘটে গেল।সে মুখ ঘুরিয়ে সম্পদের দিকে আঙুল তুলে বলল,

—‘খবরদার!মি……..’

মস্তিষ্কে সাজানো বাক্যটা মুখ নিঃসৃত হওয়ার আগেই তিথি থেমে গেল।হাঁ করে সে সম্পদের দিকে চেয়ে রইলো।

সম্পদ ইতোমধ্যে টিশার্ট খুলে ফেলেছে।তার দুই বাহু ভেজা।মুখ ভেজা!কপালের চুলগুলো থেকে পানি গড়িয়ে গলা পর্যন্ত নামছে।উন্মুক্ত বুকের কিছু কিছু অংশ ভেজা!তিথি শুকনো ঢোক গিলে চোখ সরিয়ে নিল।

সম্পদ সোজা হয়ে তার সামনে দাঁড়ালো।এক পা এগিয়ে তিথির কাছাকাছি দাঁড়িয়ে বলল,

—‘থেমে গেলে কেন?’

তিথি মুখটা উঁচু করে চোখ তুলে তাকালো।সরাসরি সম্পদের চোখের দিকে নয়।তার লোমশ বুকের দিকে।কয়েক পা পিছিয়ে বিড়বিড় করে কিছু একটা বলল।সম্পদ আবার এগিয়ে গিয়ে তিথির কাছ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বলল,

—‘ইচ্ছেকৃত ভাবে চায়ে লবণ মিশিয়েছ তাই তো?’

তিথি কেমন ঘোরের মধ্যে চলে গেছে।তার কানে কিছুই ঢুকছে না।চারপাশ কেমন অন্য রকম লাগছে।বুকের ভেতর অজানা সুখেরা উড়ে বেড়াচ্ছে।নিজেকে বড্ড বেশি অগোছালো মনে হচ্ছে। সম্পদের কথায় শুধু মাথা উপর নীচ করে বলল,

—‘হুঁ!’

তিথি পেছন দিকে পিছিয়ে যাচ্ছে।কেন সে জানেনা!সম্পদ ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলল,

—‘আমাকে জ্বালানোর জন্য তাই তো?’

—‘হুঁ!’

তিথির দরজায় পিঠ ঠেকে গেছে।আর পেছাতে পারলো না।সম্পদ তার গায়ের সাথে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে বলল,

—‘ভবিষ্যতে চায়ে আবারও লবণ মিশাবে?’

—‘হুঁ!’

সম্পদ তিথির পায়ের দিকে তাকালো।তারপর আবার মুখটা নিচু করে তিথির দিকে ঝুঁকে বলল,

—‘পায়ে ব্যথা পাওয়ার অংশটা নাটক ছিল?’

—‘হুঁ!’

তিথির কথা শেষ হতেই সম্পদ ডান হাতে রাখা মগভর্তি পানি তিথির মুখে ছুঁড়ে মারলো।তিথি সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করে ফেলল।হুশ ফিরতে বন্ধ চোখে চেঁচিয়ে বলল,

—‘মাত্র সন্ধ্যার সময় শাওয়ার নিয়েছি।আবার ভিজিয়ে দিলেন কেন?’

কোনো উত্তর এলো না।তবে কয়েক সেকেন্ড পরেই তার কপালে কারো ঠোঁটের স্পর্শ পেল।

(চলবে)

বানানের ক্ষেত্রে আমি খুবই খুঁতখুঁতে টাইপের।সময়ের অভাবে দুপুরের পর্বে রিচেক করিনি বিধায় অনেক শব্দ আর বাক্য এলোমেলো ছিল।খুবই দুঃখীত!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here