প্রিয়ঃ_আপডেট পর্ব ৯
মোর্শেদা রুবীঃ

৯.
দীর্ঘক্ষণের অদর্শনে প্রিয় যেন অস্থির হয়ে উঠেছিলো প্রায়।প্রিয়াকে পেয়েই ওর কোলে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে বিজাতীয় ভাষায় অভিযোগ শুরু করলো বাচ্চাটা।
ওকে কোলে নিয়ে চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিলো ওর কচি মুখটা।তারপর কোলে নিয়ে এটা সেটা প্রশ্ন করতে করতে ঘরে চলে গেলো প্রিয়া।
সাজেদা আর শারদ চুপচাপ দাঁড়িয়ে দুই মা মেয়ের আহ্লাদ দেখে মনে মনে চাপা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।
সাজেদা বলেই উঠলেন-“দুজনের ভাব দেখে মনেই হয় না যে ,প্রিয় ওর মেয়ে নয়।
শারদের চেহারাতেও এক অন্যরকম দীপ্তি।সে সামান্য মাথা ঝাঁকিয়ে হাসলো কেবল।

রাত গভীর।
প্রিয় ঘুমিয়ে পড়েছে।এই পরিসরে প্রিয়া বাইরের কাপড়গুলো ভাঁজ করে সযত্নে আলমারীতে তুলে রাখছিলো।এমন সময় শারদ পেছনে এসে দাঁড়ালো।শারদের অস্তিত্ব টের পেয়ে প্রিয়া কুঁকড়ে গেলো।ওর হাতগুলো স্থবির হয়ে আসতে চাইলো।
-“আমার একটা প্রবলেম সলভ করার কথা ছিলো!”শারদ মৃদুস্বরে বললো।

কোনোরকম ভয় নেই,উত্তেজনা নেই, আশঙ্কা নেই তবু কেন যেন প্রিয়া অজানা এক অস্বস্তিতে নিজের ভেতর সেঁধিয়ে গেলো।
শারদ পেছন থেকে ওর কাঁধে থুতনী ঠেকিয়ে ওর হাত থেকে কাপড়টা নিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখলো।
-“জানতে চাইলে না কি প্রবলেম?”
প্রিয়ার জিহ্বা আড়ষ্ট হলো।
-“আমি কি সবজান্তা নাকি যে সবার প্রবলেম সলভ করবো?”
-“সবজান্তা না হলেও কাছাকাছি তো বটেই !আর সবার মতো আমাকেও কিছু কিছু করে লেসন দিও।জীবনে চলার পথে তোমার এই লেসনগুলো আসলে খুব জরুরী!”

-“আমি নিজেই তো এখনো শিখছি।আপনাকে কিভাবে শেখাবো!”

-“যেভাবে সবাইকে শেখাও।আমি অনেক সুন্দর থেকে বঞ্চিত।জীবন আমাকে শুধু ঠকিয়েছে। আর ঠকতে চাইনা।এবার নিজের প্রাপ্য বুঝে নিতে চাই!”

প্রিয়া মৃদুস্বরে বললো-“জীবন আসলে কাউকে ঠকায় না।আমরা নিজেদের গাফিলতির কারনে ঠকি আর সেটাকে জীবনের উপর চাপিয়ে দেই!”

-“তাই?যদি তাই হয় তাহলে গাফিলতির কারনে এ পর্যন্ত যা হারিয়েছি আজ তা সুদে-আসলে উসুল করতে চাই!আর ঠকতে চাইনা!”

-“সুদকে হারাম করা হয়েছে,জানেন তো!”বলেই প্রিয়া হেসে ফেললো।

শারদ ওকে নিজের দিকে ফেরালো!

-“এ্যাই মেয়ে,সেই কখন থেকে আমাকে কথার ফাঁদে এদিক সেদিক ঘোরানো হচ্ছে।সুদ নেবোনা যাও ,আসলটাই দাও!”

-“প্রিয় উঠে যাবে!”

-“তুমি চ্যাঁচামেচি করলেতো প্রিয় উঠবেই।”

-“আপনার কাজ নেই আজ?”

-“আছে!”

প্রিয়ার মনে হলো সে নিজেকে এখনো ঠিকমতো চিনে উঠতে পারেনি।শারদের নৈকট্য ওকে পার্থিব সবকিছুকে ভুলিয়ে দিচ্ছে।কেবলি মনে হচ্ছে শারদ আর প্রিয়াই সত্য বাকি সব কিছু অগ্রাহ্য।
প্রিয়া মৃদুস্বরে বললো-“আমার একটা অনুরোধ রাখবেন?”

-“বলো…!”

-“কাল থেকে নিয়মিত নামাজ পড়বেন।একবেলা পড়বেন আর দুইবেলা হাওয়া এসব চলবেনা!”

-“এসময়ে নামাজের কথা আসলো কোত্থেকে!”

-“স্বামী স্ত্রীর দুজনই নামাজী না হলে শরীয়ত মতে বিয়ে অটুট থাকেনা!”

শারদ হঠাৎ স্থির হয়ে গেলো-“বলো কি?”

-“জ্বী…!”

-“রেফারেন্স দেখাতে পারবে?”

-“কয়টা রেফারেন্স লাগবে?নামাজের ব্যপারে প্রসিদ্ধ চারজন ইমামই কঠোর ভাবে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন!যে ইচ্ছাকৃতভাবে এক ওয়াক্তের নামাজ ছাড়ে সে যেন ইসলাম থেকে বের হয়ে গেলো!”

-“কোত্থেকে কোথায় নিয়ে এলে রে ভাই ?”

-“সবটাই জীবনের অংশ!আপনি এক অংশ মানবেন অন্য অংশ গ্রাহ্য করবেন না তা কি করে হয়!”

-“হমম,বুঝলাম!”

-“কি বুঝেছেন!”

-“পরে বলবো বন্ধু…।”
প্রিয়া কিছু একটা বলতে গিয়েও বাধা পড়লো শারদের আগ্রাসী ভালোবাসার কাছে।প্রিয়ার আনকোরা দেহ মন
যেন উন্মুখ হয়ে ছিলো শারদের ডাকে সাড়া দেবার জন্য।

শারদের জীবনের অমাবশ্যার ঘোর অন্ধকার কেটে গিয়ে সেখানে উঁকি দিলো সূর্য্যের সোনালী আভা।দ্বীনহীন যে জীবনটাকে রঙীন চশমার ভেতর দিয়ে উপোভোগ করে আসছিলো।নীরার মৃত্যুতে সেই রঙীন জীবন থেকে আলো পুরোপুরি মুছে গিয়েছিলো।
প্রিয়ার শর্তহীন ভালোবাসা আর দেখানো আলোর পথ শারদের জীবনে যেন নতুন দিক উন্মোচন করে দিলো।
প্রিয়ার জীবন এখন শারদ আর প্রিয়কে নিয়েই আবর্তীত।শারদ এখন অনেকটাই বদলে গেছে।বলা ভালো ওকে বদলাতে সাহায্য করেছে প্রিয়ার নিখাদ প্রেম আর অপরিসীম ধৈর্য্য।তারপরেও জীবন যেখানে চঞ্চল ভ্রমর সেখানে ছন্দপতন ঘটা তো স্বাভাবিক।

আজ ছুটির দিন বলে শারদ বাড়ীতেই ছিলো।প্ল্যান ছিলো প্রিয়াকে নিয়ে বাইরে কোথাও যাবে কিন্তু প্রিয়া ঘোষণা দিলো সে আজ কোথাও যাবেনা তার নাকি ঘরে কাজ আছে।প্রচুর কাপড় জমে গেছে সেগুলো আয়রন করা হয়নি।প্রিয়র কাপড়চোপড় গুলোও বেছে বেছে আলাদা করতে হবে কারন প্রিয়র বেশ কিছু কাপড় ছোট হয়ে গেছে।প্রিয়ার ইচ্ছা ছোটবেলা থেকেই প্রিয়কে গোল হিজাব আর হাঁটুঢাকা ফ্রক পড়িয়ে অভ্যস্ত করতে হবে!যেন পরে অস্বস্তিবোধ না করে।

কাজ করতে থাকাবস্থাতেই শারদ এসে হুট করে প্রিয়ার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লে প্রিয়া হা হা করে উঠলো-“এ্যাই,কাপড়ের উপর শুলেন কেন,সব ভাঁজ করা কাপড় নষ্ট হচ্ছে!”
শারদ কিছুটা সরে গিয়ে প্রিয়াকে কাছে টানলো-“ছুটির দিনে একটু আরাম করবে তা না কি সব কাজ নিয়ে বসেছো!”
-“কাজগুলো অনেকদিন ধরেই জমে আছে।করি করি করে করা হচ্ছেনা!”
শারদ অভিযোগের সুরে বললো-
“তুমি কিন্তু আজকাল আমার দিকে একদম মনোযোগ দিচ্ছোনা!”
প্রিয়া হেসে শারদের গালটা টেনে দিয়ে বললো-“মনোযোগটা কিভাবে দিতে হয় শুনি!”
-“কাছে এসে আদর করে!”
-“কেন,সেটা কি যথেষ্ট হচ্ছেনা!”
-“না,আমার যে তৃষ্ণা মেটেনা!”
-“আচ্ছা,এবার সরুন।কাপড়গুলো রেখে এসে তারপর আপনার কথা শুনবো!”
প্রিয়া উঠতে গেলে শারদের হ্যাচকা টানে প্রিয়া গড়িয়ে পড়লো শারদের উপর।প্রিয়া চমকে গিয়ে বললো-“আরে কি শুরু করেছেন!”
-“একটু আদর করোনা নিরু….!”
বলেই শারদের কথাটা আটকে গেলো।প্রিয়াও থমকে গেলো।তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে ধীরে ধীরে উঠে বসে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো।শারদও যেন একদম বোবা বনে গেলো।

প্রিয়া চলে যাবার জন্য উঠে দাঁড়াতেই শারদ ওর দিকে তাকিয়ে নরম সুরে বলল-“স্যরি,স্লিপ অফ টাং হয়ে গেছে।মানে….মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে।”
শারদ ফ্যাকাশে কন্ঠে বললে
প্রিয়া মৃদু হেসে সরে যেতে নিলে শারদ প্রিয়ার ওড়নার প্রান্ত টেনে ধরলো।
-“কি হলো,চলে যাচ্ছো যে..!”
-“ওমা,কাজ করবো না?”
-“তুমি রাগ করে চলে যাচ্ছো!”

প্রিয়া ম্লান হাসলো-
-“আমি এজন্য কষ্ট পাইনি যে আপনি আমাকে নীরা বলে ডেকেছেন বরং কষ্ট পাই এজন্য যে,আপনি আমাকে নীরা মনে করে আপনার আবেগ প্রকাশ করতে যাচ্ছিলেন।নীরার ব্যপারে আমার কোন জেলাসী নেই কারন আমি তার প্রতিদ্বন্দী নই! নীরা আপনার প্রথম ভালোবাসা! আর আমি একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্ত্বা, আমার ভালোলাগা ভালোবাসা আমার নিজস্ব।
আপনি প্রথমেই পরিস্কার করে বলে দিয়েছিলেন যে,আপনি আমাকে আপনার ১ম স্ত্রী’র স্থান দিতে পারবেন না সেটা শুনতে খারাপ লাগলেও সেটা ছিলো আপনার সরল স্বীকারোক্তি।
আবার আমাকে যে বন্ধুত্বের মর্যাদা দিয়েছেন সেটাও আমার জন্য আনন্দের ছিল।কিন্ত এটা খুবই কষ্টকর যে,আপনি আমাকে নীরার জায়গায় বসিয়ে আমার মাধ্যমে নীরাকেই পেতে চান।আমি নীরার রোল প্লে করার জন্য এ বাড়ীতে আসিনি।আমি প্রিয়র মা হয়ে এসেছি, ওটুকুতেই সন্তষ্ট থাকতে চাই।কারো কাছে বাড়তী কিছু চাই না!”
একটানা কথাগুলো বলে হাঁপিয়ে উঠল প্রিয়া!

শারদ ওর দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল-“তোমার বয়স কম তো তাই জেদটা একটু বেশী!তুমি অযথাই আমার উপর রাগ করছো।তুমি যা ভাবছো বিষয়টা সেরকম না।আমি তোমাকেই চাই! ‘নীরু” শব্দটা মুখ থেকে বেরিয়ে আসে আমার অজান্তে।”

প্রিয়া সাথে সাথে বলল-“মানুষের মনে যে কথা থাকে সেটাই অজান্তে মুখে চলে আসে,আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে”!

-“তাহলে তুমি আমার কথা বিশ্বাস করছোনা?”
-“আমার বিশ্বাস অবিশ্বাসে আপনার কিছুই যাবে আসবেনা! ”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল প্রিয়া।

-“যদি বলি যায় আসে?”

-“তবে বুঝবো আমাকে সান্তনা দিতে চেষ্টা করছেন,আসলে আপনার মনে আমার জন্য কোন জায়গা নেই”!
শারদ নিরবে তাকিয়ে রইল ওর দিকে! প্রিয়া কাপড়গুলো হাতে নিয়ে বাইরে চলে গেল।

আজ দুটো দিন হয়ে গেল প্রিয়া শারদের সাথে খুব প্রয়োজন ছাড়া কথাই বলছেনা।সবার সামনে থাকলে তবু টুকটাক বলে ভদ্রতা রক্ষা করে কিন্তু একাকী পরিবেশে মুখে কুলুপ এঁটে থাকে।শারদ প্রশ্ন করলে উত্তর দেয় নতুবা চুপ থাকে।
চা দেবার সময় যদি শারদ বসতে বলে তবে বসে নতুবা ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে।এভাবেই চলছে গত দুদিন ধরে।

শারদ একবার ভেবেছে,প্রিয়া তার নিজের মতো থাকুক আর সে তার নিজের মত।কিন্তু প্রিয়াকে একেবারে ইগনোর করাও সম্ভব হচ্ছেনা।
আগে শারদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজগুলো মা করে দিতো আর এখন প্রিয়া তার সমস্ত প্রয়োজনের দিক সুচারুরূপে লক্ষ্য রাখে।তার বলা ছাড়াই তা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে রাখে।বলা যায়,প্রিয়া ছাড়া তার সব কিছু অচল হয়ে যায়।এটা ছাড়াও শারদ প্রিয়ার উপস্থিতিতে একধরনের মানসিক প্রশান্তি অনুভব করে।প্রিয়ার আরেকটা গুন হলো সে রেগে থাকলেও শারদের প্রয়োজনের দিকগুলো খেয়াল রাখে আর যথাসময়ে করে দেয়,সবার সামনে স্বাভাবিক ব্যবহার করে কাউকে রাগটা বুঝতে দেয়না, এদিক থেকে নীরা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।সে রাগ করলে শারদের সাথে কথাও বলতোনা,কোনো কাজও করে দিতোনা,তার হাত পা ধরে মাফ চাইলেও তুলকালাম কান্ড করতো……..!”
এসব ভাবতে গিয়ে শারদের মনে নীরার সাথে প্রিয়ার একটা তুলনা চল আসতে চাচ্ছিল কিন্তু শারদ তাড়াতাড়ি মনের চিন্তাকে মনেই ফেরত পাঠিয়ে দিল!

শারদ আজ ইচ্ছে করেই বাড়ী ফিরতে দেরী করল।গেটের সামনে আসতেই সে দোতলায় তার নিজের রুমের দিকে তাকাল,দেখল একটা নারীমূর্তি সরে গেল বারান্দা থেকে!তার মানে প্রিয়া ওর দেরী দেখে চিন্তিত হয়ে অপেক্ষা করছিলো!

শারদ না খেয়ে নিজের রুমে চলে গেল।প্রিয়া খাবার রেডী করে কিছুক্ষণ বসে থেকেও যখন শারদের দেখা পেলনা তখন শারদের রুমে গেল।দেখলো শারদ পোষাক না পাল্টেই খাটে পা ঝুলিয়ে শুয়ে আছে।প্রিয়া একটু কাছে গিয়ে ডাকল-“এই যে শুনছেন?”
শারদের জবাব নেই!প্রিয়া আরো খানিকটা এগিয়ে গিয়ে বলল-“খাবেন না?”
শারদের কোন জবাব না পেয়ে প্রিয়া এগিয়ে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে ওর পা থেকে জুতাগুলো খুলল।তারপর পা দুটো ধরে বিছানার উপর তুলে দিতে গেলে শারদের তন্দ্রা ছুটে যায়।সে উঠে বসে-“আরে!আমি কি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম না কি?”
প্রিয়া উঠে বসে বলে-“খাবেন না?”
শারদ বলল -“শরীরটা খুব খারাপ লাগছে তাই খেতে ইচ্ছে করছেনা”!
শারদ জানে এটা প্রিয়াকে দুর্বল করার অন্যতম হাতিয়ার।শরীর ভালো না বললে বাড়তি যত্ন আত্তি মিলবেই।
হলো ও তাই।প্রিয়ার মুখ কিছুটা নরম হলো!বলল-“কেন,কি হয়েছে”!
শারদ খুক খুক করে কেশে বলল-“কি জানি,জ্বর জ্বর লাগছে”!
প্রিয়া কিছুক্ষণ সংকোচ করে শারদের কপালে হাত রাখল।শারদ ওর হাতের উপর হাত রেখে বলল-“আহ্,তোমার হাতটা কি ঠান্ডা!”
প্রিয়া হাত সরিয়ে নিয়ে বলল-“কই,জ্বর তো নেই!!”
শারদ ওর হাত টেনে নিজের গলায় লাগিয়ে বলল-“কে বলেছে নেই?ভালো করে দেখো”!

প্রিয়া হাতটাকে টেনে সরাতে চেয়েও পারলোনা।শারদ মিটিমিটি হাসছে।প্রিয়া সরে যেতে গিয়ে বাধা পেল।শারদ উঠে দাঁড়িয়েছে।প্রিয়া নিজের হাতটা টান দিল।শারদ ওকে এক ঝটকায় নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে দিল।প্রিয়া ছটফটিয়ে উঠল,সরে যাবার চেষ্টা করল কিন্তু শারদ ওকে এতো শক্ত করে ধরেছে যে নড়াচড়া করার উপায় নেই।শারদ ওর মুখের কাছে মুখ নিয়ে বলল-“সেদিন একটা ভুল করেছি বলে এভাবে শাস্তি দেবে তুমি,আমার কষ্ট হয় বোঝোনা?বিশ্বাস করো শুধু তোমাকেই ভালোবাসি আমি ,শুধু তোমাকে।”
-“আচ্ছা,এবার ছাড়ুন।”বলে প্রিয়া হাসতে চেষ্টা করলো।
শারদ এবার ওকে ছেড়ে দিয়ে বলল-“আমার খাবার দাও!খুব খিদে পেয়েছে “!
প্রিয়া বলল-“,হাতমুখ ধুয়ে আসুন,খাবার দিচ্ছি “!

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here