প্রিয়ঃ_আপডেট পর্ব ১১
একাদশ পর্বঃ
মোর্শেদা রুবিঃ
———————

১১.
হিতাহিত জ্ঞান শূণ্য হয়ে চড়টা মেরেই কিছুটা থমকে গেলো শারদ।এক মুহূর্তও না দাঁড়িয়ে সে তৎক্ষণাৎ ছুটে বেরিয়ে গেলো। সাজেদা এসে প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরলে প্রিয়া কেঁদে বললো-“আমার কোনো দোষ নেই আম্মা!”
-“আমি জানি মা!চুপ করো।কেঁদোনা।প্রিয় আশেপাশেই আছে,যাবে কোথায়!তুমি শান্ত হও!”
প্রিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে সাজেদাও বেরিয়ে গেলেন।সালেহা অদুরে দাঁড়িয়ে পুরো ব্যপারটা দেখে আত্মতৃপ্তিতে ভুগছিলেন।হঠাৎ করে সবার সামনে শারদের ওভাবে চড় মারতে দেখে তার প্রাণে খুশির তুফান জেগেছিলো।কিন্তু সমাপ্তিটা তার পছন্দ হলো না বিশেষ করে বউ শ্বাশুড়ীর পূণর্মিলনটা তার চাপা আনন্দে ছাই ঢেলে দিয়েছে যেন।

মিজানুর রহমান অস্থির ভঙ্গিতে গেটের কাছে পায়চারী করছিলেন।আর তখনি একদল ছেলেমেয়ে হৈ হুল্লোড় করতে করতে ঢুকলো।তাদের একজনের কোলে প্রিয়।হাসছে আর বেলুন নাড়াচ্ছে।
মিজানুর রহমানের বুকের ভেতরে শান্তির বাতাস প্রবাহিত হলো।ছুটে গিয়ে প্রিয়কে কোলে নিলেন তিনি।

সাজেদা হাই সহ বাড়ীর বাকীরাও গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল।প্রিয়কে ঢুকতে দেখে সাজেদাওও দৌড়ে ওর কাছে গেলেন-“দাদুমনি,আমার দাদুমনি,তুমি কোথায় চলে গেছিলে?”
এরই মধ্যে শারদ ঢুকল বাইক নিয়ে।সে এতক্ষণ বাইক নিয়ে পুরো পাড়া চষে এসেছে।প্রিয়কে দেখে বাইক মাটিতে কাত করে ফেলেই ছুটে এল।ওকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে আদর করতে লাগল-“আব্বু সোনা,তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে?”

পেছনে হৈ হট্টগোল শুনে সবাই পেছনে তাকিয়ে দেখল মিজানুর রহমান ছেলেগুলো আর সাথের মেয়েগুলোকে সমানে বকে চলেছেন।একটা ছেলেকে তো চড়ই কষিয়ে দিলেন।সবাই তাকে শান্ত করতে লাগল-“থাক,ভাই,উত্তেজিত হয়েন না,আল্লাহর রহমতে বাচ্চা তো সহী সালামতে ফিরে আসছে”!
তিনি তবু ছাড়লেন না,সাথের মেয়েটাকে প্রচন্ড ধমকে জিজ্ঞেস করলেন-
-“তোমাদেরকে ওর মা বারণ করেছিলো ওকে নিতে? কি হলো কথা বলছো না কেন?প্রচন্ড জোরে ধমক দিলেন তিনি।
মেয়েটা ধমকে কেঁপে উঠল কিন্তু কোনো জবাব দিলোনা।
-“তোমাদের জন্য ওর মা কত কষ্ট পেল,সে ভয়ে অস্থির। তোমাদের কারনে সে বকা খেলো মার খোলো…সব তোমাদের জন্য,বলো কেন করেছো!”চাচাজানের কথায় স্পষ্ট হলো প্রিয়ার অকারনে চড় খাওয়ার বিষয়টা তার পছন্দ হয়নি কিন্তু তিনি সরাসরি কাউকে বলতে পারছিলেন না।
এরই মধ্যে সালেহা বেগম এসে স্বামীকে থামাতে চেষ্টা করলেন-“আচ্ছা,হয়েছে,ওরা বাচ্চা মানুষ।কি হয়েছে বাচ্চাটাকে নিয়ে তো ঘুরতেই গেছিল।এসো তো!”

মেয়েটা মিজানুর রহমানের প্রচন্ড ধমকে একটু একটু কাঁপছিল,অপমানে তার চোখে পানি এসে গেছে।
চাচীর কথার এই পর্যায়ে সে রাগে মনের কথা উগরে দিল-“আন্টিই তো বলেছে বাবুকে নিয়ে ঘুরে এসো,আমাদের কি দোষ?”
চাচাজান থমকে গেলেন।উপস্থিত সবাই একটু হকচকিয়ে গেল,চাচীজান মনে মনে ঘাবড়ে গেলেও মুখোভাবে নিজের ভালোমানুষি ধরে রাখলেন।হেসে বললেন-“ও হো…এখন আমার দোষ,আমি বাবুটাকে নিয়ে একটু বেড়িয়ে আসতে বলেছি কারন ওর মা শান্তিতে বসতে পারছিলো না,আমি ভাবলাম,বেচারী বোনের বিয়েতে এসেছে, একটু আনন্দ করুক, বাবুটাকে তোরা একটু রাখ,এটা কি দোষের কিছু বলেছি? ”

মিজানুর চোখ গরম করে সালেহার দিকে এমনভাবে তাকালেন যেন তাকে পুড়িয়ে ছাই করে দেবেন।কিন্তু চারিদিকে লোকজন দেখে সিনক্রিয়েট হবে ভেবে চুপ করে রইলেন।উপস্থিত আত্মীয়রা এসে ওদের সবাইকে টেনে ভেতরে নিয়ে গেলেন-“আচ্ছা,এবার বাদ দাও তো। সবাই ভেতরে চলো।বাচ্চা পাওয়া গেছে এটাই আল্লাহর শোকর!”
.
প্রিয় এবার কেঁদে উঠল-“আম্মু,আম্মু যাবো……”বলে।শারদ ওকে চুমু দিতে গেলেও সে গা মুচড়ে সরে গেল।
সাজেদা হাত বাড়িয়ে ডাকলেন-“আমার কোলে এসো দাদু”!
শারদ মায়ের কোলে ওকে দিতে দিতে আস্তে করে বলল-“ওকে ওর মায়ের কাছে দিয়ে আসো”!
সাজেদা একপলক ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রিয়কে নিজের কোলে টেনে নিলেন।

প্রিয়াকে বিছানায় শুইয়ে রাখা হয়েছিল।দুবার মাথা ঘুরে উঠায় ওকে কেউ উঠতে দিচ্ছিলোনা।এমন সময় প্রিয়কে কোলে নিয়ে সাজেদা হাই প্রবেশ করলেন।প্রিয়কে কোলে দেবার আগেই সে প্রায় ঝাঁপ দিয়ে পড়ল প্রিয়ার কোলে।সাজেদা শক্ত করে ধরে না রাখলে পড়েই যেতো।
প্রিয়া ওকে শক্ত করে বুকের সাথে চেপে ধরে রাখল-আম্মু সোনা,আমার বাবুটা তুমি মাকে রেখে কই গেসিলে মা?”
-“পিপিপ গেসি,গাড়ী!”
প্রিয়া ওর সারাগা হাতড়ে হাতড়ে দেখতে লাগলো কোথাও কোন ব্যথা পেয়েছে কিনা?হঠাৎ গলা খালি দেখে বলল-“ওর চেইনটা কোথায়?”
প্রিয়কে কাপড় পড়িয়ে তৈরী করে ওর গলায় মিহি পাতলা একটা স্বর্ণের চেইন পড়িয়ে দিয়েছিল প্রিয়া। সেটা এখন গলায় নেই।
সাজেদা একথা শুনে নিজেও ওকে ভাল করে দেখে বললেন-“কেউ নিয়ে নিয়েছে,থাক্,চেপে যাও,এটা শুনলে আরো বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে! এ বলবে আমি নেই নি,ও বলবে আমি নেই নাই…..বাদ দাও!”প্রিয়া ওকে আদর করে আবার বুকে জড়িয়ে ধরল।এমনিতেই একটা সিনক্রিয়েট হয়ে গেছে।শারদ আসলে তোমার চাচীর ঐ কথাটা শুনেই ক্ষেপে গেছে।
প্রিয়া প্রশ্নবোধক চোখে তাকালো।সাজেদা বিরক্তি চেপে বললেন-
-“তুমি মেহেদী লাগাতে ব্যস্ত।উনি নাকি তোমাকে বারকয়েক সাবধানও করেছেন যে বাচ্চাটাকে সামলে রাখ।কিন্তু তুমি মেহেদী লাগাচ্ছো বলে প্রিয়কে বাইরে নিয়ে যেতে বলেছো!”
বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে রইলো প্রিয়া।এবার ওর কাছে পরিস্কার হলো কেন শারদ “মেহেদী” শব্দটি শোনামাত্রই দিকবিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে ওকে চড়টা মেরেছে।শারদ ওর গায়ে হাত তুলেছে এতে যতটা না দুঃখ পেয়েছে তারচে বেশী খারাপ লাগছে এটা জেনে যে চাচী জেনেশুনে ওর নামে মিথ্যে কথা বলেছে।

আকদ পড়ানো, বরপক্ষের খাওয়া দাওয়া শেষ হয়ে কনে বিদায় নিতে নিতে রাত প্রায় দুটোর বেশী বেজে গেল।সন্ধ্যের ঐ ঘটনার পর থেকে প্রিয়কে কোলছাড়া করেনি প্রিয়া।তবে এর মধ্যে আর শারদের সাথে দেখাও হয়নি।রাতে মিজানুর রহমান যখন পুরো পরিবারকে নিয়ে খেতে বসলেন তখন শারদের সাথে দেখা হলো।শারদ ওর দিকে তাকিয়েই ছিলো কিন্তু প্রিয়া চোখে চোখ রাখেনি!
খাবার পর্ব শেষ হলে মিজানুর সাজেদা হাইকে লক্ষ্য করে বললেন-“আপা,রাত তো অনেক হয়েছে,আপনার বাসাও বেশ দুরের পথ,আজ রাতটা আপনারা “রূপসা”তেই চলুন,ওখানে পর্যাপ্ত রুমের ব্যবস্থা আছে।সকালে নাস্তা সেরে একেবারে রওনা দেবেন।এমনিতেই রাস্তাঘাটের অবস্থা বিশেষ সুবিধার না,যখন তখন ঝামেলা বেধে যায়।আমার বাসা থেকে হোটেল দশ মিনিটের পথ।চলুন,আমি যাচ্ছি।আয় মা!”বলে এক হাতে প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরে বেরিয়ে এলেন চাচাজান।পিতৃ মাতৃহীন এই অনাথ মেয়েটি তার হ্রদয়ের অর্ধেক।মেয়েটার চেহারা ইতোমধ্যেই শুকিয়ে ছোট হয়ে গেছে।ভালোয় ভালোয় জামাই এর সাথে আপোষ হয়ে গেলেই তিনি স্বস্তি পান।যদিও তিনি পুরো ঘটনাটার মধ্যে সালেহার ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন।যদি কোনক্রমে বুঝতে পারেন যে এটা সালেহারই কারসাজি তবে আজকে তাকে ছেড়ে কথা বলবেন না তিনি।

*

বুকের ভেতরে সাইক্লোন বইছে শারদের।প্রিয়র হঠাৎ হারিয়ে যাবার সংবাদ পেয়ে কোন কিছু শোনার বা বোঝার ধৈর্য্য সে ধারন করতে পারেনি।প্রিয়া যেদিন থেকে প্রিয়র দায়িত্ব নিয়েছে সেদিন থেকে প্রিয়কে নিয়ে কোন টেনশন করতে হয়নি,কারন সে ততদিনে বুঝে গেছে প্রিয় এমন একজনের কাছে ঠাঁই পেয়েছে যে তার মায়ের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।প্রিয়র লালন পালনে প্রিয়া কখনো কোন ত্রুটি করেনি বরং বেশীই যত্ন করেছে।ওর নিজের মা এতটা পারতো কিনা সন্দেহ।তারপরেও প্রিয়র হারানোর খবরে কেন যেন সব রাগ জমা প্রিয়ার উপর গিয়ে পড়ল।মনে হলো যেন ওর গাফিলতিতেই এমনটা হয়েছে।তার উপর ওর চাচী যখন শারদকে দেখামাত্রই নালিশ জানালো যে,প্রিয়া মেহেদী নিয়ে ব্যস্ত।তার বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সে প্রিয়কে খেয়াল রাখে নাই তখন যাবতীয় রাগ প্রিয়ার ওপর গিয়ে পড়েছে।চড়টা সে ইচ্ছে করে দেয়নাই।আচমকা হয়ে গেছে এটা।
এটাই শারদের প্রধান চারিত্রিক দুর্বলতা যার জন্য সে নিজেও আজ লজ্জিত।প্রিয়ার মুখোমুখি যখন হবে তখন নিজের মাথাটা কোথায় লুকাবে ভেবে পেলোনা সে।
প্রিয়া কি ওকে ক্ষমা করবে?
যদি সাথে যেতে না চায়?যদি এখানেই থেকে যেতে চায়? যদি বলে,আমি আর যাবোনা?
বিয়ের পরপর একবার নীরার গায়ে হাত তুলেছিল বলে নীরা বাপের বাড়ী চলে গিয়েছিল।দশ-বারোদিন পর হাতে পায়ে ধরে ফেরত আনতে হয়েছিল।বিষয়টা প্রায় ডিভোর্স পর্যন্ত গড়াতে চলেছিল।অনেক ঝামেলা করে বিষয়টি মিটমাট হয়েছিল।আজ প্রিয়া কি ওকে ক্ষমা করবে?সবার সামনে আজ ও প্রিয়াকে অপমানই করেছে বলা চলে।শারদ হতাশ বোধ করল।
.
প্রিয়া যে ওর জীবন মরুভূমিতে শান্তির বারিধারা।এত কষ্টে সুখের কিনারা মিলেছিল।আজ নিজের ভুলেই বুঝি তা হারাতে চলেছে শারদ।আচ্ছা,প্রিয়া তো ইসলামিক নিয়ম কানুন যথেষ্ট মেনে চলে!ইসলাম কি স্বামীকে স্ত্রীর গায়ে এভাবে হাত তোলার অনুমতি দেয়?নিশ্চয়ই দেয় না।কারন কোনো সভ্য লোক একাজ করতে পারেনা।এককোণে বসে এসব আকাশ পাতাল নানান কথা ভাবছিল শারদ।
উহ্,মাথাটা ব্যথায় যেন ছিড়ে যেতে চাচ্ছে।টেনশনে ঠিকমতো খেতেও পারেনি সে।আরমান জোরাজুরি করায় ওর সাথে খেতে বসেছিলো ঠিকই কিন্তু প্রিয়ার মলিন মুখটা চোখে পড়ায় ওর খাবারের রুচিই চলে গেছে।দুহাতে মুখ ঢেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলল শারদ।এমন সময় মায়ের ডাকে মুখ তুলে চাইল।মা আর চাচাজান দাঁড়িয়ে আছে।চাচাজানের কোলে প্রিয় ঘুমিয়ে।মনে মনে ঢোক গিলল শারদ,প্রিয়া কই?ও কি তাহলে সত্যিই যাবেনা?মা’কে এই কথাটা জিজ্ঞেস করতে সাহস হচ্ছেনা ওর।
.
আস্তে করে উঠে দাঁড়ালো শারদ।তখনি দেখতে পেল নেভী ব্লু আবায়ার সাথে পিঙ্ক হিজাবে আবৃতা কেউ একজন চাচাজানের পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে।ওর ফিগার এবং চোখ জোড়া বলে দেয় ওটা প্রিয়া।
শারদ বারবার ওর দিকে তাকাচ্ছে, চাহনীতে ক্ষমা চাইবার আকুতি কিন্তু প্রিয়া মনে হয় পণ করেছে ও শারদের দিকে তাকাবেনা।তাকালে দেখতে পেতো শারদের চোখগুলো আনন্দে অধীর হয়ে আছে।

প্রিয়ার সাথে কথা বলার জন্য ওর হাত ধরে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে শারদের অন্তরটা।কখন হোটেলে পৌঁছাবে আর প্রিয়াকে নিরিবিলিতে একা পাবে!শারদের মনটা ছটফট করতে লাগল।
দশ মিনিটের পথও যেন ফুরোতেই চায়না।
গাড়ীতেও প্রিয়া যথেষ্ট দুরে গিয়ে বসেছে।সারাটা পথে কেউ কোন কথা বললো না।এমনিতেও বিয়েবাড়ীর ধকল সবার ওপর দিয়েই গেছে।সবাই যথেষ্ট ক্লান্ত।

হোটেলে পৌঁছে চাচাজানের কাছ থেকে প্রিয়কে নিয়ে নিলো শারদ।মিজানুর রহমান সাজেদাকে নিয়ে প্রিয়াদের পাশের রুমে তুলে দিলেন।শারদের বাবা রুমে ঢুকে গেলেন।চাচাজান ওদের কাছ থেকে দ্রুত বিদায় নিয়ে বাকী অতিথিদের খোঁজখবর করতে চলে গেলেন।

প্রিয়া রুমে ঢুকল।
শারদ ওর পেছন পেছন ঢুকে প্রিয়কে সাবধানে বিছানায় নামিয়ে রাখল।কাতর দৃষ্টিতে প্রিয়ার দিকে তাকাল।প্রিয়া ধীরে ধীরে হিজাব আবায়া খুলে খুলে রাখছে আর অমনি সাজেদা হাই রুমে ঢুকে বললেন-
“শারদ,তুই পাশের রুমে যা।তোর বাবার সাথে। আমি প্রিয়াকে নিয়ে এ ঘরে থাকবো”!
.
প্রিয়া ধীরে ধীরে হিজাব খুলে চুল ঠিক করলো।ওর কোন প্রতিক্রিয়া দেখা গেলনা।আবায়া খুলে বাতাসে মেলে দিল।ও যে আজ মেরুন রঙের শাড়ী পড়েছে এটা এই প্রথম লক্ষ্য করল শারদ।কপালের এলোমেলো চুলগুলোকে কানের পেছনে গুঁজে দিলে তা ব্রাকেটের মত মুখটাকে আগলে ধরল।শারদের চোখে ওকে অপূর্ব দেখাচ্ছে।প্রিয়ার সাথে একান্তে কথা বলার জন্য মনটা আকুলি বিকুলি করে উঠল।
এরই মধ্যে মা’য়ের একি অসম্ভব সমন জারী?!?
চলবে….
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here