#প্রহেলিকা
#পর্ব_১৯
#আসরিফা_মেহনাজ_চিত্রা

(অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ।)
———————–

রাতে ঘুমোতে গিয়ে বাঁধে বিপত্তি। ইনশিতা কিছুতেই জেহেরের সাথে এক বিছানায় ঘুমাবে না। তবে সেটা জেহেরকে বলার সাহস অবধিও করতে পারছে না। সোফায় বসে ছটফট করছে সে। জেহের বিছানায় হেলান দিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে। বসার স্টাইলটাও চমৎকার। বালিশে সটান ঠেস দিয়ে এক হাঁটু ভাজ করে অপর হাঁটু সোজা রেখে তার উপর ল্যাপটপ রেখেছে। আড়চোখে রোজকেও পর্যবেক্ষণ করছে। ঘড়ি টিকটিক করে জানান দিচ্ছে রাত বারোটা বেজে পঁচিশ মিনিট। জেহের ল্যাপটপ রেখে ইনশিতার পাশে গিয়ে বসল। একদম গা ঘেঁষে।

-“ঘুমোতে চলো।”

ইনশিতা আমতা আমতা করে বলে,

-“ইয়ে মানে, বিকেলে তো ঘুমিয়েছি। তাই এখন ঘুম আসছে না।”

-“ঘুমানো লাগবে না। আমি ঘুমাবো, তুমি আমার বুকে শুয়ে থাকবে। চলো।”

জেহের ইনশিতার হাত ধরে দাঁড় করিয়ে নেয়। ইনশিতা ঝট করে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,

-“আমি এখন বই পড়বো।”

পাশে থাকা বুকশেল্ফ থেকে বই নিয়ে উঁচু করে জেহেরকে দেখায়। জেহের নির্বিকার ভঙ্গিতে বলে,

-“আচ্ছা পড়ো। খাটে এসেই পড়ো। আমি ঘুমোই।”

ইনশিতা খাটে আধশোয়া হয়ে বসে বইটাতে খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে। আসলে দেখে না, দেখার ভান করছে। সে তো জেহেরকে আড়চোখে দেখে তার ঘুমানোর অপেক্ষায় আছে। জেহের পাশে এসে শুয়ে ঝটকা মেরে ইনশিতাকে বুকের উপরে ফেলে। ইনশিতা অবাক হয়ে বলে,

-“এটা কী হলো?”

-“আমার বুকে ঘুমানো হলো।”

-“দেখছেন না আমি বই পড়ছি। এখন ঘুমাবো না। বলেছি না।”

-“হ্যাঁ দেখছি তো, কেমন বই পড়ছো। বই উল্টো করে রেখেও যে পড়া যায় সেটা তোমাকে না দেখলে জানতাম না।”

ইনশিতা হাতের দিকে তাকিয়ে থতমত খেয়ে গেল। আসলেই সে উল্টো বই ধরে আছে। এখন কী করে আর জেহেরের থেকে ছুটবে? কিছু বলবে তার আগেই জেহের ইনশিতার ঠোঁটে আঙুল চেপে ধরল। মুহুর্তেই ইনশিতার শরীরে অজানা এক কাঁপন ধরে গেল। জেহের বলল,

-“আর একটাও কথা না। চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়বে।”

কী আর করা? অগত্যা জেহেরের বুকে দ্বিতীয়বারের মতো মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ল। ইনশিতা ভাবতে লাগল, এখন এই জেহের তার স্বামী। সারাজীবন তার সাথেই কাটাতে হবে। তাহলে এখনও কেন সে মেনে নিতে পারছে না জেহেরকে? একদিন না একদিন তো মেনে নিতেই হবে। সেই একদিন না হয় আজ থেকেই শুরু হোক। ইনশিতার তখন জেহেরের ছোঁয়াগুলো মনে করতে লাগল। তখন সে এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে মাথায় কিছুই আসছিল না। আর এখন সেই ছোঁয়া ভাবতেই হুট করে ইনশিতার পিঠ দিয়ে ভালোলাগার শীতল স্রোত বয়ে যায়। কেন জানে না। ইনশিতা একটু মুখটা উঠিয়ে দেখল জেহের এখনো তার দিকে তাকিয়ে আছে। জেহেরের দিকে তাকাতেই জেহের চোখ রাঙানি দিলো। ইনশিতা দ্রুত চোখ বন্ধ করে ফেলল। আর যাই হোক না কেন, এখন থেকে সে জেহেরকে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করবে।

.
হঠাৎ কোনো বিকট শব্দে ইনশিতা ধড়ফড়িয়ে ওঠে। অ্যালার্ম বেজে চলছে একমনে। জেহের বিরক্তি নিয়ে ঘুম থেকে উঠে। পাশে তাকিয়ে দেখে রোজ কেমন ভয় পেয়ে আছে। আসলেই ইনশিতা ভয় পেয়েছিল এমন আওয়াজে। এলার্মটা টেবিলের এই কোণায়, একদম কানের কাছে ছিল। ইনশিতার বুকটা এখনো ধুকপুক ধুকপুক করছে। জেহের এক পলক ইনশিতার ভয়ার্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে আচমকা অ্যালার্মটা নিয়ে জোড়ে আছড়ে ফেলে। দ্বিগুন বিকট শব্দে অ্যালার্ম ভেঙ্গে চুরমার হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। জেহেরের চোখ লাল হয়ে আছে। রাগে তার ইচ্ছে করছে পুরো দুনিয়াটা শেষ করে দিতে। তার রোজের কষ্ট হবে এমন জিনিস সে দুনিয়াতেই রাখবে না। রোজের দিকে তাকাতেই তার মনটা শান্ত হয়ে যায়। ইনশিতা কানে হাত দিয়ে আছে। জেহেরের হঠাৎ এমন আচরণের কারণ খুঁজে পাচ্ছে না। জেহের ইনশিতাকে এক হাতে বুকে জড়িয়ে বলে,

-“তোমাকে কষ্ট দিবে এমন জিনিসের অস্তিত্ব আমি দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দেব। তোমাকে যাতে কোনো কষ্ট ছুঁতে না পারে সেই সব ব্যবস্থা আমি করব। ভয় পেয়ো না রোজ।”

ইনশিতার কপালে চুমু এঁকে দিলো জেহের।

-“যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।”

ইনশিতা মাথা নাড়িয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়। ইনশিতা চলে গেলে জেহেরের রাগ যেন আরো মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। নিজের রাগটাকে কিছুতেই কমাতে পারছে না সে। ফোঁস ফোঁস করে কিছুক্ষণ নিঃশ্বাস নিয়ে বারান্দায় চলে যায়। মাথার চুল টেনে ধরে বিড়বিড় করে এ মাথা থেকে ও মাথা হাঁটে। আবারও কী ভেবে দ্রুত রুমে এসে ভাঙা অ্যালার্মের অংশগুলোয় জোরে জোরে লাথি দিতে থাকে। যেন সে এগুলো একদম বালির মতো গুড়ো গুড়ো করে ফেলতে চায়।

ইনশিতা প্রায় অনেকক্ষণ ধরে বাথরুমের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। কেন দেখছে সে নিজেও জানে না। এমনি, দেখতে ইচ্ছে করছে তাই। একটা লম্বা শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে আসে ইনশিতা। রুমে ঢুকতেই ভ্রু জোড়া আপনাআপনি কুঞ্চিত হয়ে আসলো। পুরো ফ্লোর পরিষ্কার। অ্যালার্মের ভাঙা অংশের ছিটেফোঁটাও নেই। জেহেরও কোথাও নেই। ইনশিতা বারান্দায় গিয়ে তোয়ালেটা মেলে রুমে আসলে দেখে জেহের সোফার সামনের টেবিলে খাবার সাজাচ্ছে। ইনশিতার জন্য খাবার আলাদা।

ইনশিতাকে আসতে দেখে জেহের ঠোঁট প্রশস্ত করে হাসল। সেই হাসিটা যেন একদম তীরের মতো বুকে বিঁধল ইনশিতার। জেহের ইনশিতার বাহু জড়িয়ে ধরে এনে সোফায় বসায়। তারপর কী ভেবে যেনে ইনশিতাকে বলে দাঁড়াতে। ইনশিতা দাঁড়ালে জেহের টান মেরে নিজের কোলে বসিয়ে দেয়। ইনশিতা হতভম্ব হয়ে বলে,

-“কী করছেন কী?”

-“শসসহ। কোনো কথা না।”

বলে ইনশিতার মুখে গুঁজে দিলো খাবার। কিছু বলার সুযোগই পেল না সে। দু-গাল ফুলিয়ে খেতে লাগল। খাওয়ার মাঝে হঠাৎ জেহের একধ্যানে তাকিয়ে থাকে ইনশিতার দিকে। চোখ বন্ধ করে বার কয়েক বড় বড় নিঃশ্বাস নিলো। ইনশিতার ভেজা খোলা চুলে মুখ ডুবিয়ে দিলো হঠাৎ। ইনশিতার যেন শ্বাস নিতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে। জেহেরের গাঢ় নিঃশ্বাস ইনশিতার ঘাড়ে গলায় পড়লেই ইনশিতা কেঁপে কেঁপে উঠছে। জেহের ক্রমাগত উন্মাদ হয়ে যাচ্ছে। হাত দিয়ে ইনশিতাকে চেপে ধরছে। ইনশিতা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। জেহেরের বুকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে লাগল। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে,

-“জেহের।”

জেহের নিরুত্তর।

ইনশিতা এবার বেশ জোরেই বলে,

-“জেহের, আপনি আমায় কথা দিয়েছেন।”

এবার জেহের মুখ তুলে তাকাল। চোখে মুখে অসহায়ত্ব। ইনশিতার মায়া লাগল। তবে কিছু করার নেই। সে সময় নিতে চায়। জেহের অসহায় কন্ঠে বলে,

-“তুমি এমন কেন?”

ইনশিতা ভ্রু কুঁচকে বলে,

-“আমি কেমন?”

-“তুমি অনেক খারাপ রোজ।”

-“কেমন খারাপ?”

-“এই যে আমায় আদর করতে দেও না।”

জেহেরের এমন বাচ্চামিতে বেশ মজা পেল ইনশিতা। মিছে কঠোর গলায় বলল,

-“তাহলে এই খারাপ রোজকে কোলে বসিয়ে রেখেছেন কেন? ছুঁড়ে ফেলে দিন।”

ইনশিতা কথাটি মজার ছলে বললেও জেহের যেন সিরিয়াস ভাবেই নিলো। অস্থির হয়ে গেল সে। ইনশিতাকে নিজের কোলে রেখেই আরেকটু চেপে ধরে কম্পিত কন্ঠে বলে,

-“আমি সরি রোজ। আমি এমনভাবে বলতে চাইনি। আ-আমি শুধু এমনি…আমি সত্যি সরি রোজ।”

ইনশিতা অবাক হয়ে দেখে জেহেরকে। সামান্য মজাও বোঝেনা জেহের?

.
দুপুর গড়িয়ে চলল। ইনশিতা এখন বসে আছে ড্রয়িংরুমের নরম গদিতে। জেসমিন চৌধুরী তার সাথে খোশগল্পে মেতে আছেন। জেসমিন চৌধুরী কথা বলতে প্রচুর পছন্দ করেন। কিন্তু ঘরে কথা শোনার মতো কাউকেই তেমন পান না। ইনশিতার বেশ ভালোই লাগছে। তাকে নিঃসন্দেহে ভালো শ্রোতা হিসেবে আখ্যায়িত করা যাবে। ইনশিতার হাতে কোনো কাজ না থাকায় সে নিচে এসেছে। জেহের চলে গিয়েছিল অফিসে। সে যেতেই চাইছিল না আসলে। তবে ইম্পর্টেন্ট হওয়ায় যেতে হয়েছে।

যাওয়ার আগে ইনশিতাকে কড়া করে বলে গিয়েছে, রুমের বাহির না বেরোতে। বিশেষ করে নিচে না যেতে। ব্যস এটুকুই। ইনশিতা ভেবে পেল না নিচে গেলে কী এমন সমস্যা হবে। রুমে বসে থাকতে ভালো লাগছিল না বিধায় নিচে এসেছে। তার একা থাকতে ভালো লাগে না। কথা বলার কাউকে পেলেই চলে। আগে তো নয়নিকা ছিল, এখন তো আর সে নেই। কিছুক্ষণ আগে বাবা মা আর নয়নিকার সাথে কথা হয়েছিল। নয়নিকার সে কী কান্না। ইনশিতার মনটাও কেঁদে উঠেছিল। নয়নিকাকে বলেছে একবার আসতে এখানে। নয়নিকা প্রথমে জেহেরের ভয়ে না করলেও ইনশিতার জোরাজুরিতে বলে দেয় সময় পেলে চলে আসবে।

জেবা বসে আছে ডাইনিংয়ে। তাকিয়ে আছে ইনশিতার দিকে। আজ ইনশিতা মুখে হাসি থাকলেও আর কয়েকদিন পর সেই হাসিটা মুখে থাকবে কি না সেটা নিয়ে বেশ চিন্তিত সে। ইনশিতাকে নিয়ে জেসমিন চৌধুরী পুল সাইডে হাঁটছে আর গল্প করছে। আবার রান্নাঘরে গিয়ে এটা সেটা বানিয়ে খাওয়াচ্ছে ইনশিতাকে। ইনশিতার নিজের মনের দুঃখ যেন এক নিমিষেই কোথাও উড়ে গেল। এভাবেই কেটে গেল পুরোটা বিকেল।

রাত আটটায় জেহের ঘরে ফিরে। রোজের জন্যই সে এত তাড়াতাড়ি ফিরেছে। রুমে ঢুকেই তার চোয়াল শক্ত হয়ে যায় আপনাআপনি। রোজ রুমের কোথাও নেই। বারান্দা, বাথরুমেও নেই। জেহের নীচে গিয়ে চেক করেও পেল না। হঠাৎ রোজের হাসি কানে আসলে থমকে দাঁড়ায় সে। ডান দিকের সবচেয়ে কোণার রুমটা থেকে রোজের হাসি ভেসে আসছে। না চাইতেও সে সেদিকে পা বাড়ায়। রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়েই মেজাজ গরম হয়ে গেল তার। রোজ জেসমিন চৌধুরীর সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। জেহের জোরে হুংকার ছাড়ল,

-“রোজ!”

আচমকা কারো কন্ঠে পিলে চমকালো ইনশিতা। তাকিয়ে দেখে দরজার সামনে জেহের দাঁড়ানো। অফিসের পোশাকেই। হাত দুটো শক্ত করে মুঠ করে আছে। চোখে মুখে আগুন ঝরছে যেন। ইনশিতা জেহের সামনে এসে বলল,

-“আপনি এত তাড়াতাড়ি এলেন যে? মায়ের কাছে শুনলাম নয়-দশটার দিকে আসবেন।”

জেহের হালকা ঘাড় কাত করে বলল,

-“মা কে?”

ইনশিতা অবাক হয়ে বলল,

-“মা কে মানে? এই যে মা।”

জেসমিন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে দেখাল। জেহের জেসমিন চৌধুরীর দিকে একবার ঘৃণার দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ইনশিতার দিকে তাকাল।

-“যাকে তাকে মা বলবে না।”

বলেই ইনশিতার হাত ধরে টানতে টানতে রুমে নিয়ে গেল। পেছন ফিরে ইনশিতা ঠিকই দেখল জেসমিন চৌধুরীর চোখে জল।

ইনশিতাকে রুমে এনে ধাক্কা দিয়ে ফেলল। ইনশিতা হতভম্ব। কী এমন হলো জেহেরের। জেহের ইনশিতার বাহু ধরে ঝাঁকাল। চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,

-“আমি বলেছিলাম না রুমের বাহিরে না যেতে? কানে শুনোনি?”

-“আরে! সারাক্ষণ রুমে বসে করতামটা কী?”

-“কেন? এই যে বুকশেল্ফ ভর্তি বই, রঙ তুলি, সব তোমার জন্য এনে রাখলাম, এগুলো দিয়ে সময় কাটাতে পারো না?”

-“কী আশ্চর্য! আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই বাহিরে গেছি। রুমের মধ্যে এতক্ষণ থাকলে বন্দী লাগে নিজেকে। আর আপনি মায়ের সাথে এমন ব্যবহার করলেন কেন?”

-“আমি তোমাকে বলেছি রোজ, যাকে তাকে মা ডাকবে না।”

-“যাকে তাকে কোথায় ডাকলাম? আমার শাশুড়ীকে মা ডাকবো না তো কী আন্টি ডাকবো?”

-“কিচ্ছু ডাকার দরকার নেই। ঐ মহিলার আশেপাশেও ভীড়বে না। মাইন্ড ইট।”

-“কী…”

-“শসসহ, কোনো কথা না। মেইডকে দিয়ে খাবার আনতে বলেছি। এসে পড়বে এখনি। ফ্রেশ হয়ে আসছি আমি। খাবার টেবিলে রেডি করবে।”

-“সবার সাথে নিচে খাবেন না?”

-“না। এখন থেকে এখানেই খাব সাথে তুমিও।”

-“আজব! পরিবার মিলে একসাথে খেলেই তো মজা।”

-“এত মজা লাগবে না। ফ্রেশ হয়ে আসছি আমি।”

জেহের ফ্রেশ হতে চলে যায়। মেইড এসে খাবার দিয়ে গেলে ইনশিতা টেবিলে সাজায় আর ভাবে, জেহের তার মাকে এতটা ঘৃণা করে কেন? একদম যেন দেখতেই পারে না। জেহের ফ্রেশ হয়ে এসে রোজকে খাইয়ে দিয়ে নিজেও খেয়ে নেয়। খাওয়া শেষে ইনশিতাকে কোলে করে বারান্দায় বসে পড়ে। জেহের ইনশিতার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে,

-“রোজ।”

-“হু।”

-“প্রমিস করো, আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না।”

ইনশিতা জেহেরের চোখের দিকে তাকায়। অসহায় চাহনি।

-“এখন তো আপনি আমার স্বামী। আপনাকে ছাড়া আর কোথায়ই বা যাব?”

কথাটা বেশ তাচ্ছিল্যসুরে বলে ইনশিতা। জেহের ইনশিতাকে নিজের বুকের সাথে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। বিড়বিড় করে বলে,

-“তুমি চাইলেও কোথায় যেতে পারবে না। তুমি যে নিজ অজান্তে শিকলে পা বেঁধে নিয়েছ।”

.
.
চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here