প্রহর শেষে
পর্ব :-২০
জোহরা খানম অস্থির হয়ে দরজায় করাঘাত করছেন।তার ঠিক পেছনেই আহসানউল্লাহ সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন।তিনি কিছুটা বিব্রত সেই সঙ্গে বিরক্ত।জোহরার পাগলামোর কাছে হার মেনে এই সাত সকালে তাকে ভাইয়ের বাড়িতে হাজির হতে হয়েছে।সেই ভোর রাত থেকেই জোহরা খিচখিচ শুরু করেছে। রাতে নাকি সে কি এক খারাপ স্বপ্ন দেখেছে।তারপর থেকেই গুনগুন আর বাচ্চাদের দেখার জন্য অস্থির হয়ে গেছে।
এখন মনে হচ্ছে জোহরার কথায় সায় দিয়ে এভাবে সকাল সকাল এখানে চলে আসা ঠিক হয় নি।
নাহ কথাটা সম্পুর্ন ঠিক হল না। জোহরার আবদারে তার কিছুটা হলেও সায় আছে। ওপরে ওপরে তিনি যতই কঠিন হয়ে থাকেন না কেন, ভেতরে ভেতরে তারও অন্তরটা পোড়ে!বাচ্চা দুটো কে দেখার জন্য বুকে হাহাকার ওঠে। ওদের দেখলে যে কিছুক্ষণের জন্য হলেও তিনি ইরশাদের শূন্যতা থেকে মুক্তি পান।
অথচ দিন যত যাচ্ছে সেই মুখ গুলোর দেখা পাওয়া তত কঠিন হয়ে উঠছে!
জোহরা তো যখন তখন কেঁদে কেটে অস্থির হয়ে এবাড়ি এসে বাচ্চাদের দেখে যেতে পাড়ছে , কিন্তু তিনি তা পাড়ছেন না।তার স্বভাব সূলভ বাহ্যিক গাম্ভীর্য বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।জোহরা বলছে সে আজ বাচ্চাদের নিয়ে যাবে।এভাবে হলেও যদি বাচ্চা দুটোকে কাছে পাওয়া যায় তবে ক্ষতি কি?
জোহরা খানম করলেন ও তাই। ইনিয়েবিনিয়ে সেলিনাকে বোঝাতে চাইলেন যে গুনগুন আর বাচ্চা দুটোর তাদের কাছে থাকাটাই বেশি নিরাপদ। তাছাড়া ও বাড়িতে লোকজন আছে বাচ্চাদের দেখভাল করার জন্য।এখানে সেলিনা একা হাতে সবকিছু সামলান।
সেলিনা চিন্তিত হলেন, প্রসঙ্গটা কিভাবে তুলবেন বুঝতে পারলেন না।খানিক দ্বিধা নিয়ে তিনি বললেন, ‘সবই ঠিক আছে আপা।আপনাদের নাতি আপনারা নিয়ে যাবেন, তবে… গুনি কি ওবাড়ি যেতে চাইবে? ‘
জোহরা ঝট করে সেলিনার মুখের দিকে তাকালেন। তার চোখ দুটি বিস্ফোরিত। তিনি উতলা হয়ে বললেন, ‘কেন? যেতে চাইবে না কেন?’
-‘আপা বসুন, চা-নাস্তা খেতে খেতেই নাহয় কথা হবে।আমি গুনগুন কে ডাকছি।’
গুনগুন তখনও বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমাচ্ছিল।বাচ্চারা রোজ মাঝরাত পর্যন্ত জেগে থাকে, তাকেও জাগিয়ে রাখে।তাই ফজরের নামাজের পর সে আরেক দফা ঘুমোয়।সেলিনা তাকে জাগিয়ে দিলেন।
নাস্তার টেবিলে বসে তেমন কোন কথাই হল না।আহসানউল্লাহ সাহেব তাড়াহুড়ো করে খেয়ে দুই নাতনিকে নিয়ে মেতে উঠলেন।জোহরা খানম গুনগুনকে একা পেয়ে ধরলেন ওবাড়ি যাওয়ার জন্য।গুনগুন বলল বাচ্চারা একটু বড় হলে সে যাবে। জোহরা কিছুটা খেপে গিয়ে জানতে চাইলেন ঠিক কি কারনে এখন সে যেতে পারবে না? উত্তরে গুনগুন নিরব রইল। শাশুড়ি কে বলতে পারল না পাড়ার লোকজন আজকাল কি বলাবলি করছে। তার মুখে বাজলো।
সেদিন একটু রাত করেই সেলিনা দেখা করতে এসেছিলেন।গুনগুন স্বভাব মতো চুপচাপ একা ঘরে বসে ছিল।ইরিনা ইরিজা তাদের দাদা-দাদির কাছে। সেলিনা এসে মেয়ের পাশে বসলেন।কোন কথা বললেন না। তাকে কেমন যেন বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।গুনগুন মায়ের মুখের দিকে তাকালো। আজকাল এই মুখটার দিকে মায়াভরা দৃষ্টিতে আর তাকানো হয়না।একটা সময় ছিল যখন মার মন পাওয়ার জন্য, মাকে একটু খুশি করার জন্য সে নানান ছেলেমানুষী করতো। অথচ এখন, মার জীবন টা তাকে ঘিরেই ঘুরছে। সে বোঝে, তাকে একটু খুশি রাখার জন্য, সব ফিসফিস, বদনাম আড়াল রাখার জন্য মা কি ভীষণ চেষ্টা করেন! তবুও কি আড়ালে রাখতে পারেন ?
গুনগুন মায়ের কাছে এসে বসে মাকে জড়িয়ে ধরলো। সেলিনা কেমন কেঁপে উঠলেন, দুর্বল হয়ে গেলেন। তিনি ভেবেছিলেন মেয়ের থেকে হয়তো সবটা আড়াল করতে পারবেন, তাই..।সেলিনার চোখ ভরে গেল জ্বলে। তিনি মাথা নুয়িয়ে রাখলেন ।গুনগুন বলল, ‘মা.., কি হয়েছে? আমাকে বলা যাবে না ? ‘
ওপরের খোলসটা যতই শক্ত থাকুক না কেন, ভেতরে ভেতরে সেলিনা আসলে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।তিনি নিজেকে সামলাতে পাড়লেন না।নিরবে চোখের পানি ফেলতে লাগলেন।গুনগুন বুঝল, মাকে আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
-‘কি হল,আমাকে বলবে না ? ‘
সেলিনা নিজেকে থামাতে পারলেন না। বলে চললেন আশেপাশের লোকের আজকাল তাদের মা মেয়েকে কিসব বলছে।তারা বলছে শশুড়বাড়ির সম্পত্তির জন্যই বিধবা মেয়েকে তিনি ওবাড়ি ফেলে রেখেছেন আরও নানান কথা।তাদের সাথে এখন আত্মীয়-স্বজনেরাও যোগ হয়েছে। গুনগুন সেদিন চুপ করে সবটা শুনেছিল । কিছুক্ষণ পর মৃদু হেসে বলেছিল,’তুমি কি চাও মা,আমি এবাড়িতে আর না থাকি?’
সেলিনা সেদিন কোন উত্তর দেন নি ।
জোহরা কে পরাভূত করা গেল না।তিনি গুনগুনকে রেখে কিছুতেই ওবাড়ি ফিরবেন না।অগ্যতা ছোট একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে গুনগুন আবারো ওবাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরি হল।সেলিনার সব কথায় যেন ভাঁটা পড়ে গেছে। তিনিও কিছুই বললেন না।নিরবে মেয়ের চলে যাওয়া দেখলেন।
এবাড়িতে আসার পর গুনগুনের দিন কাটতে লাগলো আলস্যে আর ঔদাসিন্যে। নিজেকে সে সবার থেকে পুরোপুরি আড়াল করে ফেললো।বাচ্চাদের বয়স দশমাস পেরিয়েছে।তারা এখন এই বাড়ি আর বাড়ির মানুষ গুলোর সাথে মানিয়ে নিয়েছে। গুনগুনকে তাদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হয় না।
ক্লান্ত বিষন্ন অপরাহ্নগুলোতে বসে গুনগুন শুধু থেমে থেমে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে। সে বোঝে তার প্রয়োজন এখন ফুড়িয়ে এসেছে।সত্যিই কি তাই? নাকি এটা ভ্রম? সত্যিকারের ভালোবাসার প্রয়োজন কি কখনো ফোঁড়াতে পারে?
গুনগুন আকাশ পাণে তাকায়।আকাশে হেমন্তের খন্ড মেঘ ভেসে বেড়ায়, চিল ওড়ে,চিলেকোঠার ছাদে বসে কাক ডাকাডাকি করে। পুরো পৃথিবী জুড়ে কি ভীষণ নিস্তব্ধতা!
হেমন্তকাল, শীতের পূর্বাভাস কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে। সন্ধে নামতেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো করে কুয়াশা পড়তে শুরু করে।
দ্বিপ্রহরে জোহরা বাচ্চাদের নিয়ে বসে ছিলেন।ইরিনা ইরিজা খেলছে,তাদের দুজনের পড়নেই টকটকে লাল রংয়ের জামা।এই নিয়ে জোহরা খানম কিছুটা বিরক্ত। তিনি গুনগুন কে শতবার বলেছেন এত ছোট বাচ্চাদের এমন উজ্জ্বল রংয়ের জামা না পড়াতে।মানুষের নজর লেগে যাবে।নাহ মেয়েটা কথা শোনেনি , একেবারে নির্বিকার!
এর কিছুক্ষণ পরই সেলিনা হক এলেন। অধীর হয়ে জানালেন গুঞ্জনের চাকরি টা যেহেতু চট্টগ্রামে, এতদূর থেকে কিছুদিন পর পর আসা তার জন্য কষ্টসাধ্য তাই সে মাকে ও গুনগুনকে নিজের কাছে নিয়ে রাখতে চায়।
শুরুতেই বিচলিত না হয়ে জোহরা খানম হাসলেন। বললেন, ‘বাহ! এতো খুবই ভালো কথা। তুমি একা বাড়িতে থাকো। তোমারো তো বয়স হয়েছে, এই বয়সে পাশে কেউ একজন থাকা চাই।সেই ভালো তুমি গুঞ্জনের কাছে থাকো।আমাদেরও চিন্তা কিছু কমবে। গুঞ্জনের তো বদলির চাকরি। কিছুদিন পর নাহয় বদলি করে ময়মনসিংহ চলে আসবে ।’
সেলিনা নিরবে কথাগুলো শুনলেন।জোহরা খানম যে খুব সুক্ষ ভাবে গুনগুনকে সব কথার বাইরে রেখেছে সেটা তিনি বুঝলেন। মাথা নিচু করে বসে রইলেন। শুরু থেকেই জোহরা কে তিনি নিজের বড়বোন ভেবে এসেছেন,জীবনে এমন দিনও কখনো আসবে যখন তাকে জোহরার সাথে বিরোধে যেতে হবে তা তিনি ভাবেন নি।তিনি বললেন, ‘আপা,গুনগুন কে আমি আমার সাথে নিয়ে যেতে চাচ্ছি।’
জোহরা উদগ্রীব হয়ে বললেন, ‘গুনগুনকে নিয়ে যাবে কেন? এমনিতেই অত দূরে, কবে না কবে ফিরবে তার ঠিক নেই।তাছাড়া এত ছোট বয়সে বাচ্চাদেরকে নিয়ে এত দৌড়ঝাপ করা ভালো নয়।’
সেলিনা যেন এই কথারই অপেক্ষাতে ছিলেন।ঝট করে বললেন, ‘সেই তো বলছি আপা ওকে একেবারে নিয়ে চলে যাব।’
জোহরার মুখ কাগজের মতো সাদা হয়ে গেল। -‘একেবারে নিয়ে চলে যাবে মানে?আমার বাড়ির বউ থাকবে ভাইয়ের বাড়ি?’
সেলিনা মৃদু হাসলেন। তাতে তার চেহারার গম্ভীরতা কিছুমাত্র কমলো না।এই হাসি হল কঠিন কথা শুরু করার আগে সৌজন্য মূলক হাসি।তিনি নির্বিকার ভাবে বললেন,’ আপা,গুনগুন এখন আর আপনার বাড়ির বউ না।যতদিন ছিল, ওর কোন বিষয়ে ততদিন আমি কোন হস্তক্ষেপ করিনি।কিন্তু এখন আর সে আপনার বাড়ির বউ নয়।তার ভালোমন্দ এখন আমাকেই দেখতে হবে। তাছাড়া মানুষ আজকাল নানান কথাবার্তা বলে।সেসব নিশ্চয়ই আপনার কানে আসে?’
জোহরা হতভম্ব হয়ে বললেন, ‘মানুষ কি বলে?’
-‘সে যাই বলুক আপা,কথা সেটা নয়।গুনগুন যেহেতু আমার মেয়ে, তার ভবিষ্যতের কথাও তো আমাকেই ভাবতে হবে।বয়স মাত্র উনিশ কি কুড়ি। এই বয়সেই সে স্থায়ী ঠিকানা হারিয়েছে। তার পুরোটা জীবন এখনো পরে আছে। অথচ কোন গন্তব্যস্থল নেই! ‘
জোহরা বিমর্ষ নয়নে তাকিয়ে বললেন-‘কেন এটা কি গুনগুনের বাড়ি নয়।স্বামী মারা গেলেই কি বউ পর হয়ে যায়?
এবাড়ির প্রতিটি মানুষ চায় সে এখানে থাকুক।আমরা বেঁচে থাকতে গুনগুনের কেন গন্তব্য থাকবে না?’
-‘আমি সেকথাই বলছি আপা,আপনারা বেঁচে থাকতে হয়তো গুনগুনকে কোন কষ্টে পরতে হবে না।কিন্তু আপনি বা আমি কেউই তো চিরকাল থাকব না। তখন দুটো বাচ্চাসহ তার দায়িত্ব কে নেবে?ভাসুরদের ভরসায় তো তাকে আমি ছেড়ে দিতে পারি না। ‘
জোহরার মনে হল সেলিনার কথা একেবারে অমূলক নয়।তবে এখন কি উপায়! জোহরার বুক ধড়ফড় করতে লাগলো। হঠাৎ করেই কেঁদে ফেললেন,সেলিনার হাত ধরে বললেন -‘ইরিনা ইরিজাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।তুমি ওদের নিয়ে যাওয়ার কথা বল না।’
সেলিনার চোখ ছলছল করে উঠল।তিনি বললেন -‘আমিও এসব চাইনা আপা।কিন্তু আমি অপারগ। নিজের মেয়ের জীবন এভাবে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে রেখে আমি যেতে পারি না।তাছাড়া…… ‘
জোহরা উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন ‘,তাছাড়া কি?’
-‘আজ হোক কাল হোক গুনগুনের একটা গতি করতে হবে।আমি আর কয়দিন? গুঞ্জন যে সারাজীবন বোনকে দেখবে সে নিশ্চয়তাই বা কোথায়। বাচ্চা দুটো আরেকটু বড় হলে গুনগুনের একটা ব্যবস্থা করতে হবে। ‘শেষের কথা গুলো বলার সময় সেলিনার কণ্ঠ কিছুটা কেঁপে উঠল।
জোহরা সেসব খেয়াল করলেন না।তিনি বিস্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে রইলেন।নিজেকে সামলে নেয়ার চেষ্টা করে বললেন, ‘এসব তুমি কি বলছ?’
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে সেলিনার বললেন, ‘আমার মেয়েটার বয়স মাত্র বিশ।ওর বাবা মারা যাওয়ার পর একাহাতে আমি ওদের বড় করেছি।একা একটা মেয়ের পক্ষে এত বড় দায়িত্ব সামলানো যে কি কঠিন তা আমি নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছি আপা।তাই আমার মেয়েরও একই পরিণতি হোক আমি চাই না।
আজ আমি মরে গেলে কি হবে আমি ভাবতেও পারি না।’বলে সেলিনা ঝরঝর করে কাঁদতে লাগলেন।
জোহরার কাছে এসে তার হাত দুটো নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে বললেন-‘আপনি তো গুনগুনের মায়ের মত।নিজের মেয়ে এমন পরিস্থিতিতে থাকলে আপনি কি ভালো থাকতে পারতেন। জানেন আপা, কতদিন হয়ে গেল আমি ঘুমাতে পারি না।গুনগুনের চিন্তা আমাকে শান্তিতে থাকতে দেয় না।
আমি জানি আমার কথা গুলো স্বার্থপরের মতো শোনাচ্ছে। কিন্তু আমার জায়গায় থাকলে আপনি বুঝতেন আপা একজন মা ঠিক কতটা অপারগ হলে এসব কথা বলতে পারে।আপনি আমাকে মাফ করে দিন আপা,ভাগ্যই আজ আমাকে এখানে এনে দ্বাড় করিয়েছে। ‘
সেলিনা কাঁদতে লাগলেন।সেই কান্নার সামনে জোহরার নিজেকে অসহায় মনে হল।
সেদিন সেলিনা আর গুনগুনের কাছে যান নি ।জোহরার সাথে কথা শেষ করে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন । কিন্তু সেদিনের পর থেকে জোহরা অন্যরকম হয়ে গেলেন।কারো সাথেই তেমন কথাবার্তা বলেন না,বিষন্ন হয়ে বসে থাকেন।
এক বিকেলে জোহরা বসার ঘরের এককোণে বসে ছিলেন। কিছুটা দূরে মেঝেতে বসে ইরিনা ইরিজা খেলছে।তাদের মা রান্নাঘরে তাদের খাবার তৈরি করছে।
দিলরুবা এলো, আজকাল প্রায়ই সে আসছে।তার আসা যাওয়ায় জোহরাও খুশি, কেননা এর কাছেই মনের দুঃখ গুলো বলে তিনি একটু হালকা হতে পারেন।দিলরুবা এসে প্রথমে বাচ্চাদের প্রসঙ্গে দু’একটা কথাবার্তা বলল।তারপর প্রায় হুট করেই মুখ কিছুটা বাঁকিয়ে জোহরাকে বলল,’বুঝলেন ভাবি, আপনারা আসলে মানুষ ভালো না।’
জোহরার স্বভাবে আজকাল অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।সামান্য কথাতেই তিনি উত্তেজিত হয়ে পরেন।তিনি অস্থির হয়ে বললেন, ‘কেন আপা ?’
চলবে……..।
(আগামী পর্বে সমাপ্ত)
অদ্রিজা আহসান।
২২ নাম্বার পর্বটি প্রোফাইল থেকে ডিলিট হয়ে গেছে।আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখীত।
পর্বটি আমার পেজে দেয়া আছে।
লিংক -https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=114789370392308&id=102650161606229