#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_37

বোর্ট ছেড়েছে মান্দার বাড়িয়ার উদ্দেশ্যে। সুন্দরবনের দক্ষিন পশ্চিম কোনে এ অভয় অরন্য অবস্থিত । এখান কার গভীর অরন্যে ছোট ছোট ক্ষুদ্র জীব থেকে রয়েছে বাঘ , হরিন , বন্যশুকুর , বানর , কুমির কচ্ছপ , সাপ , কাকড়া ,ইত্যাদির সমরোহ।এছাড়া ও এই স্থানের আরো একটি আকর্ষনীয় জিনিস হলো সাগরের বড় বড় ঢেউ । এখানে সমুদ্র সৈকতে আছড়ে পরা বিশাল বড় বড় ঢেউ গুলো দেখতে সত্যি ই খুব মনোমুগ্ধকর। এছাড়া ও প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য ও জীব বৈচিত্র্যের ভরপুর দুর্গম এ স্থানটি।

সবাই ঠিক করে নিয়েছে মান্দার বাড়িয়াতে কেউ গোসল করবে না। কারন ঢেউ গুলো বেশ বড় বড়। মাহেরার চোখে মুখে সামান্য বিরক্তি। অভিনবর পাশে ঝিল কে মেনে নিতে পারছে না। মাহের বেশ বিরক্ত মাহেরার আচরনে। আফরা কে চোখ দিয়ে ইশারা করলো মাহেরা কে বোঝাতে।
আফরা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। মাহেরা কোনো কালেই তাঁর কথা শুনে না। মাহের দীর্ঘ শ্বাস ফেলে আফরার সাথে জায়গা বদল করলো। মাহেরা কে বোঝাতে হবে । এভাবে মেয়েটা নিজে ও কষ্ট পাবে আর ভুল ও করে বসবে।

_ ঝিল

_ হুমমম

_ মান্দার বাড়িয়া তে সাঁতার কাটবে ?

_ আমি তো সাঁতার পারি না। আর সবাই বললো বেশ বড় বড় ঢেউ।

অভিনব আশ্বাস এর স্বরে বলল
_ ভয় পাচ্ছো কেন ? আমি আছি না ? আমি তোমাকে নিয়ে সাঁতার কাটবো।

_ কিন্তু

_ কোনো কিন্তু নয় শুধু বিশ্বাস টা রেখো।

ঝিল ভ্যাগা ভ্যাগা হয়ে তাকালো। অভিনব ভ্রু নাচিয়ে বলল
_ কি হলো ?

_ আমি তো চেঞ্জ আনি নি।

অভিনব দাঁত কেলিয়ে হাসলো। ঝিলের দিকে একটু ঝুকে নিয়ে ফিস ফিস করে বলল
_ আমি একটাই এনেছি দুজনে না হয় আমার জামা টাই পরে নিবো।

_ অভিনব!

হো হো করে হেসে উঠলো অভিনব। ঝিল যেন আহাম্মক বনে গেল। বিরক্তি তে চ এর মতো শব্দ করলো।
অভিনব বিষয় টা খেয়াল করে নি। তাই আরো জোড়ে হেসে চলেছে। ঝিল তেঁতে উঠলো।
হাতে থাকা জ্যাকেট দিয়ে অভিনবর গাঁয়ে বারি মেরে দিলো। তবু ও অভিনবর হাসি থামছে না।
পরিশেষে মেয়েটা মুখ ফিরিয়ে গোমড়া মুখ করে নিলো । সবাই সবার মতো ব্যস্ত। তাই ঝিল আর অভিনবর খুনসুটি টা কেউ ই লক্ষ্য করলো না।
হঠাৎ করেই ঝিলের সাথে মাহেরার চোখা চোখি হয়ে গেল। মাহেরা দৃষ্টি তে আগুন ঝরছে। কোথাও যেন পানির আভা নেমেছে। ঝিলের মন খারাপ হয়ে গেল। অভিনব হাসি থামিয়ে নিয়েছে। ঝিলের দৃষ্টি লক্ষ্য করে তাকালো। মাহেরার দিকে কেমন অপরাধীর মতো তাকিয়ে আছে ঝিল।
দাঁতে দাঁত চেপে নিলো। ঝিলের দৃষ্টি নত দেখে অভিনব বললো
_ কি হয়েছে ?

_ অভিনব!

_ হুমম বলো কি হয়েছে।

_মাহেরা আপু , কষ্ট পেয়েছে আমার ও খুব কষ্ট হচ্ছে।

ভারী নিশ্বাস ফেললো অভিনব। ঝিলের হাত মুঠো বন্দী করে বলল
_ কিছু সময় স্বার্থপর হতে হয় ঝিল । অতিরিক্ত ভালো কিন্তু ভালো নয়। অবশ্য এটা স্বার্থপরতা ও নয় । এটা উচিত কার্য। এমন তো নয় আমি মাহেরার সাথে রিলেশনে ছিলাম, কিংবা ওকে ধোঁকা দিয়েছি।
এর জন্য মন খারাপ হতেই পারে তাই বলে অতি দরদ দেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই ঝিল।

ঝিল শিউরে উঠলো। গলায় দলা পাকিয়ে থাকা কান্না গুলো বাঁধ ভেঙে নিয়েছে। চাঁপা কান্না টা হৃদয় কে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে। অভিনব হালকা করে শ্বাস ফেললো। খুব যত্ন করে মেয়ে টার চোখের কোনে জমে থাকা পানি টুকু মুছে নিলো।
একটু হেসে বলল
_ চোখের পানি এতো সস্তা নয় ঝিল। যখন তখন আবেগ প্রকাশ করা টা বোকামি।
আমি চাই না সে বোকামি টা তুমি করো। কিছু সময় নিজের ভালো দেখা টাই হয়ে উঠে শ্রেয়।

ঝিল একটু করে হাসার চেষ্টা করলো। ঠোঁট দুটো সামান্য প্রসারিত হলে ও মন টা থমকে গেছে। কোনো অন্যায় কার্য তো সে করে নি তবু ও মন কেন কু গাইছে ?

*

প্রায় চারটের দিকে সবাই মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে এসে পৌছালো। সমুদ্র সৈকতের প্রধান আকর্ষন বড় বড় ঢেউ এর ছিটে ফোঁটা ও দেখা গেল না। সবাই মন খারাপ করে নিলো। তবে অভিনব মন খারাপ করলো না।
অভিনবর তীক্ষ্ম মস্তিষ্ক বলছে কিছুক্ষণের মাঝেই ঢেউ আসছে।
সবাই তীর ধরে হাটতে লাগলো । পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত টা কে কক্সবাজারের শাখা সৈকত হিসেবে তুলনা করা যেতেই পারে।একটু দূরে রয়েছে বিশ্রাম করার জন্য কাঠের খাট।
কেউ কেউ সেখানে বসে ও রয়েছে। মিনিট দশেক যেতেই অভিনব বলল
_ চলো সমুদ্রে নেমে যাই।

_ আমি তো চেঞ্জ আনি নি।

_ আরে বোকা মেয়ে আমি চেঞ্জ এনেছি তো। দেখো তোমার ব্যাগে এক্সট্রা জামা ভরে দিয়েছি।

_ সত্যি?

_ আরে হ্যাঁ ।

ঝিল খুশি তে গদগদ হয়ে গেল। অভিনবর বাহু জোড়ে চেপে ধরলো। বোধহয় কিছু টা ছিলে ও গেছে তবু ও অভিনব হাসলো। ঝিলের দিকে মোহনীয় দৃষ্টি রেখে বলল
_ জল রাশির থেকে ও বেশি সুন্দর তুমি । আকাশের থেকে বেশি পরিচ্ছন্ন তুমি। হৃদয়ের থেকে ও বেশি দামি তুমি।

ঝিল মাথা নিচু করে নিলো। লজ্জা হাসি তে রাঙা হয়ে গেছে । অভিনব ঝিল কে একটু কাছে টেনে নিলো। মেয়েটার শ্বাস প্রশ্বাস যেন কয়েক গুন হয়ে গেছে। অভিনবর বুকে হাত রেখে মাথা নত করে রাখলো।
অভিনব অধর কোনে হাসি ফুঁটিয়ে একটু ঝুকলো। ঝিলের কানের উল্টো পিঠে হাত দিয়ে স্লাইড করে বলল
_ আমি তোমাকে ভালোবাসি ঝিল। তোমার জায়গা মাথা নত করে রাখা নয় মাথা উঁচু করে রাখা।

ঝিল তাকালো। অভিনব একটু ঘোর লাগা চোখে বলল
_আমার কাছে লজ্জার চরম পর্যায় তোমার জন্য হারাম হয়ে গেছে ঝিল। তুমি শুধু ই আমার। যার প্রতি টি শিরায় শিরায় আমার অধিকার।

ঝিল আর থাকতে পারলো না। নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে একটু দূরে সরে গেল। আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো। অভিনব তাঁর অন্তর কে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। এতো ভালোবাসার যোগ্যতা আদৌ কি আছে ওর ?
হঠাৎ হাতে টান অনুভব হলো। পেছন ঘুরে তাকানোর সুযোগ হলো না। তাঁর আগেই অভিনব তাকে নিয়ে ছুট লাগালো।

একটু একটু করে ঢেউ হচ্ছে। সবাই সে দিকেই ছুটছে। অভিনব ঝিল কে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে দিলো। তারপর ই সমুদ্রে নেমে গেল। ঢেউ এর গতি বাড়ছে। ঝিলের আত্মা কেঁপে উঠলো।
_ অভিনব আমার খুব ভয় হচ্ছে।

_ আমি আছি তো ভয় কিসের ? আমার হাত টা ধরে রাখো।

_ অভিনব !

_ আচ্ছা আমি ই ধরছি।

অভিনব ঝিলের হাত শক্ত করে ধরলো। তাঁতে ও ঝিলের ভয় কাটলো না। অভিনব এক হাতে ঝিল কে জড়িয়ে ধরলো। অভিনবর স্পর্শ গায়ে লাগতেই ঝিল জমে গেল। প্রচন্ড অস্তিত্বে নেতিয়ে পরলো। অভিনব সেটা লক্ষ্য করে একটু হাসলো। মেয়েটা কে টেনে একদম কাছে নিয়ে আসলো। দুজনের নিশ্বাস একে আপরের চোখে মুখে এসে লাগছে । এতেই দুজনের মনে প্রেমের জোয়ার নেমে গেছে।
_ অভিনব !

_হুমম !

_আমি পাগল হয়ে যাবো । তুমি প্লিজ আমায় ছেড়ে দাও।

অভিনব ঘোর লাগা কন্ঠে বলল
_ আমাকে গ্রহন করার শক্তি সঞ্চয় করে নাও বউ। আমি বেসামাল হয়ে পরেছি।

_ অভিনব !

অভিনব ঝিলের দিকে আরেকটু এগিয়ে আসলো। নাকে নাক ঘষে বলল
_ তুমি আমার জীবনের সেরা অনুভূতি।যেই অনুভূতি তে মত্ত আমি। যার অস্তিত্বে থাকবে শুধু আমার বিচরন।

ঝিল চোখ বন্ধ করে নিয়েছে।বুকের ভেতর হাটুরি পেটার মতো শব্দ হচ্ছে। অভিনব তাঁকে পাগল করে ফেলবে। অভিনবর পিঠ খামচে ধরলো। মেয়েটার মস্তিষ্ক অভিনব তে হারিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে এক ভয়ঙ্কর কাজ করে ফেললো। অভিনবর গলা পেঁচিয়ে ধরে গালে চুমু খেয়ে নিলো। অভিনবর স্পর্শ ও গাঢ় হলো।
চোখ বন্ধ করে অভিনব কে অনুভব করতে লাগলো। প্রেম ময় তৃষ্ণা। ভালোবাসার অনুভূতি, যা ওদের জন্য হালাল।

ঢেউ যেন গর্জন তুলছে। সা সা করে বাতাস বইছে। সে বাতাস কানে এসে লাগছে। মুহুর্তেই বড় বড় ঢেউ খেলতে লাগলো। অভিনব ঝিল কে শক্ত করে ধরে রাখলো।
_ অভিনব !

_ ভয় পেও না। ঢেউ এর মাঝে হারানোর মজা রয়েছে।

_ কিন্তু

_লাইফ জ্যাকেট পরে আছো না ? একটু ও ভয় পেও না।

ঝিল মাথা ঝাঁকালো । বিশাল এক ঢেউ ওদের দিকে ধেয়ে আসতেই মেয়েটা চোখ বন্ধ করে নিলো । দু হাতে জড়িয়ে ধরলো অভিনব কে।
ততক্ষণে ঢেউ ওদের নিয়ে গেছে অনেক দূর।
_ ঝিল তাকাও । না হলে একটু ও মজা পাবে না।

_ আমার ভয় হচ্ছে অভিনব ।

_ তাকাও বলছি।

_না । আমার খুব ভয় করছে।

_ ছেড়ে দিবো কিন্তু।

ঝিল ভয় পেয়ে গেল । হালকা করে চোখ মেলে তাকালো। অভিনব ঝরা হেসে ঝিল কে ছেড়ে দিলো।
_ অভিনব !

_ ভয় পেও না। আমি তোমার হাত ধরে রেখেছি।

ঝিল তবু ও ভয় পেল। তবে এবার চোখ মেলেই রইলো। বিশাল ঢেউ এসে ওদের দোল খাওয়া তে লাগলো । পর পর কয়েক বার ঢেউ আসলো। ঝিলের ভয় একদম কেঁটে গেল। খিল খিল করে হেসে উঠলো। অভিনবর সাথে দারুন এক সময় উপভোগ করছে সে।
কিছু টা ছোট বেলার কার্টুন এর মতো। প্রায় বিশ মিনিট ঢেউ এর সাথে খেলা করে ঝিল ক্লান্ত হয়ে পরলো। অভিনবর শরীরে ক্লান্তির ছিটে ফোঁটা ও নেই। মেয়েটার অবস্থা বুঝতে পেরে তীরে এসে পরলো।
ঝিল বার বার মানা করলো । কারন সে আরো কিছুক্ষণ থাকতে চায়।অভিনব শুনলো না।

সবাই ওদের দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে আছে।অভিনব একটু করে হাসলো। গায়ের জ্যাকেট টা প্রথমেই ঝিলের গাঁয়ে জড়িয়ে দিয়েছে ।
ঝিল কে ইশারা করে পাশেই দাঁড়াতে বলল। ট্রাভেল এজেন্সির একজন গার্ড বললেন
_ আপনি দেখছি বেশ দক্ষ। সচরাচর এই ঢেউ এ পা ফেলতে ও ভয় পায় সবাই। আর আপনি সাঁতার কেঁটে ও নিলেন। তা ও আরেক জন কে নিয়ে।

_ এটা আমার অভ্যাস । আমি বহু বার ঢেউ এর সাথে সাঁতার কেটেছি। এটা তো কম ই ছিলো।

_ আমাদের ও নিতে পারতে।

অমিত এর কথাতে অভিনব হাসলো। ঝিলের দিকে একপলক তাকালো। মেয়েটা লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে।
_ প্রকৃতির সাথে আমার উঠা বসা। ঝিল মানেই তো বিশাল জল ধারা। তাই ওকেই নিয়ে গেলাম।

অভিনবর উত্তরে সবাই হাসলো। সবাই কে বিদায় জানিয়ে অভিনব হাঁটা লাগালো। পর পর দুদিন পানি তে সময় কাটালো। কনকনে শীতের মাঝে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশংকা রয়েছে । এভাবে থাকলে নির্ঘাত নিউমোনিয়া হয়ে যাবে।
ঝিল কে নিয়ে চেঞ্জিং সেন্টার থেকে চেঞ্জ করে নিলো।

ঝিলের দিকে দুটো বোতল এগিয়ে দিয়ে বলল
_ এগুলো অনাবৃত অংশে মেখে নাও।

_ এটা কি ?

_ সান্স ক্রিম আর অলিভ অয়েল।

_আমি এগুলো মাখি না।

অভিনব ভ্রু কুঁচকে তাকালো। কিছু টা সান্স ক্রিম নিয়ে ঝিলের পুরো মুখে একটু করে লাগিয়ে দিলো ।

_ অভিনব !

_ কোনো কথা নয়। কনকনে শীতে এভাবে থাকলে স্কিন টাইপ একদম বাজে হয়ে যাবে। তুমি বনের মাঝে আছো বাসায় নও।

অভিনবর কথাতে ঝিল নুইয়ে গেল। হাতে যখন অলিভ অয়েল টা মাখিয়ে দিচ্ছিল তখন কি বিদঘুটে লাগছিল।
ঝিল ঠোঁট উল্টিয়ে তাকালো। অভিনব না তাকিয়েই বলল
_ চিন্তা করো না অলিভ অয়েল চিটচিটে নয়। এটা খুব দ্রুত গাঁয়ের সাথে মিশে যায়।

সমুদ্রের তীরে স্টপে করে চা বসানো হয়েছে । একটু দূরে আগুন ও জ্বালানো হচ্ছে। ঝিল অভিনবর দিকে তাকালো। অভিনব মৃদু হেসে ঝিল কে কাছে টেনে নিলো।
_ কিহ হচ্ছে টা কি ?

_ এখানে তো কেউ নেই ঝিল পাখি।

_ অভিনব!

_ আমার বউ , আমি চুমু খাবো না হয় জড়িয়ে ধরবো।
ইচ্ছে হলে টসটসে গালে কামড় ও দিবো। তোমার কি তাঁতে ?

_ ছিইই তুমি নির্লজ্জ হয়ে গেছে। আগেই ভালো ছিলে ।

_ বর কে উপেক্ষা করো না মেয়ে। ভালোবাসার গভীরতা সে ও উপলব্ধি করে নি। বুঝো তাহলে তাঁর মনের অবস্থা।

ঝিল অভিনবর বুকে হাত রেখে লজ্জা কন্ঠে বলল
_ তুমি লাগামহীন হয়ে গেছে।

_ আরো হবো ঝিল। পুরো লাগামহীন অসভ্য ভদ্র লোক।

ঝিল গগন কাঁপিয়ে হাসতে লাগলো। অভিনব স্বযত্নে ঝিলের মাথা টা বুকে চেপে ধরলো। অভিনবর বুক থেকে ভেসে আসা গুন গুন সুরে ঝিল যেন হারিয়ে গেল।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here