#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_34

নাস্তা শেষে সবাই কেবিনে চলে আসলো। একটু পর ই বোর্ট এ উঠানো হবে। গন্তব্য হাড়বাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র। এটা যাওয়ার জন্য বোর্ট এ করে হাড়বাড়িয়া খাল পাড় করতে হবে। অভিনব দ্রুত গোঁজ গাজ করছে। তা দেখে ঝিল বেশ বিরক্ত হচ্ছে। সব কিছু তেই এতো তাড়া হুড়ো করার কি প্রয়োজন?
_ তাড়াতাড়ি করো ঝিল । একটু পর ই সবাই বোর্ট এ নেমে যাবে। আজকে আমরা মাঝে বসবো ।

_ কেন ?

_ তুমি দেখেছো কর্নারে রিক্স থাকে। যদি পরে যাও তো সমস্যা হবে।

_ কিছু হবে না। আমি কর্নারেই থাকবো।

_ ঝিল।

_ প্লিজ এমন করো না। আমি মাঝে বসে ইনজয় করতে পারবো না। সবাই কথা বলবে আর আমার মনোযোগ নষ্ট হবে।

অভিনব ভেবে দেখলো ঝিলের কথা ঠিক। মাঝে বসলে সবার কথায় ফেঁসে যেতে হয়। এতো গুলো মানুষ এক সাথে যাচ্ছে কথা তো হবেই।
অভিনব কথা বাড়ালো না। ঝিলের আলসেমি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। প্রথম ট্যুর হওয়ার কারনে আলসেমি টা স্বাভাবিক। অভিনব মৃদু হেসে ঝিলের ব্যাগ গোছাতে লাগলো।
মেয়েটা একদম নেতিয়ে গেছে। অভিনব ঠিক করে নিলো এখান থেকে গিয়ে ঝিল কে নিয়ে এক টা দিন লম্বা রেস্ট নিবে।
অভিনব যখন অর্ধেক টা ব্যাগ গোছালো ঝিল তখন পেছন ঘুরে তাকালো।
অভিনব কে দেখে মৃদু হাসলো। এতো কেয়ার দেখে ঝিলের মনে শীতল হাওয়া বইতে লাগলো।
অভিনবর জ্যাকেট এর হাতা টেনে বলল
_ কাল আমি তোমার ব্যাগ গুছিয়ে দিবো।

অভিনব হালকা হাসলো। ব্যাগ গোছানো শেষে ঝিলের চুল গুলো গুছিয়ে দিতে দিতে বলল
_ বউ এর দায়িত্ব পালন করতে চাচ্ছো ?

_ আসলে

_ সমস্যা নেই ঝিল। এমন নয় যে আমার পরিপাটি সংসারী বউ চাই।
আমার তোমাতেই চলবে। একটু একটু করে তোমাকে গুছিয়ে নিবো।

ঝিল মাথা টা ঝাঁকিয়ে হাসলো। ইসস কাজ শেখা টা সত্যি ই খুব প্রয়োজন। অভিনব তো সব পারে।
হয়তো আল্লাহ ওদের একে অপরকে দিয়েই পরিপূর্ন করবেন।

_ চলো যাওয়া যাক।

_ হুমম।

অভিনব কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হাঁটা লাগালো। ঝিল ও হাটছিলো। হঠাৎ অভিনব পেছন ফিরে তাকালো। ঝিল কে মাথা থেকে পা অব্দি দেখে নিয়ে হালকা হাসলো।
কুর্তি কলার টা মুরিয়ে বলল
_ নাও পারফেক্ট। একটা চশমা হলে বউ বউ লাগতো।

_ অভিনব !

অভিনব ঠোঁট চেপে হাসলো। ঝিলের নাক টিপে দিয়ে বলল
_ এখন পিচ্ছি বউ লাগছে।

ঝিল লজ্জা হাসলো। অভিনব সময় দেখে আবার হাঁটা লাগালো।

সবাই একে একে বোর্ট এ উঠে গেল। ঝিল আর অভিনব সাধারন আচারনেই আছে। কোনো বিশেষ কোনো পরিবর্তন নেই।
ওদের মাঝের দুরুত্ব আগের মতোই তবে মনের দূরত্ব শূন্য তে নেমে এসেছে। থেকে থেকে পানি উঠিয়ে অভিনবর মুখে ছিটিয়ে দিচ্ছে। অভিনব কখনো রাগ করছে তো কখনো হাসছে। অভিনবর এমন আচারনে ঝিলের দুষ্টুমি দ্বিগুন বেড়ে যাচ্ছে।

মাহেরা বিষয় টা আড়চোখে খেয়াল করেছে। মনের অন্তকর্নে জেলাসি নামক এক অনুভূতি হচ্ছে।
প্রিয় মানুষ কে অন্য কারো সাথে দেখা কারোই কাম্য নয়। মেয়েটা নিজেকে সামলে নিয়ে হাসি ফুটালো। আজ ই অভিনব কে মনের সমস্ত অনুভূতি জানিয়ে দিবে।
_ মাহের ভাই ।

_ হুম বল ।

_ ভাবী কে একটু কাছে আসতে বলো না।

_ কেন ?

_ একটু দরকার আছে প্লিজ।

_ আচ্ছা।

মাহের তার স্ত্রী কে মাহেরার পাশে বসিয়ে দিলো।

_ কি হয়েছে মাহেরা ? তোমার শরীর খারাপ?

_ না ভাবি। একটা কথা বলার ছিলো।

_ হ্যাঁ বলো।

_ না কি ভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না।

_ আরে বলো না।

মাহেরা হাঁস ফাঁস করতে লাগলো। আফরা দীর্ঘ শ্বাস ফেললো। মাহেরা কে চোখ দিয়ে আশ্বস্ত করে বলতে বলল।
মাহেরা হাত কচলাতে কচলাতে বলল
_ আমি অভিনব কে পছন্দ করি।

_ তুমি সিউর ?

_ হ্যাঁ ভাবি ।

চিন্তিত হয়ে ভাবতে লাগলো। মুখের হাসি টুকু উবে গেছে তাঁর । মাহেরার হাতে হাত রেখে বলল
_ আমার মনে হয় তোমার পিছিয়ে যাওয়া উচিত।
অভিনব ভাইয়ার সাথে ঝিলের সম্পর্ক টা আমার কাছে বন্ধুত্বর থেকে বেশি ই মনে হচ্ছে।

_ কিন্তু ভাবি যদি এমন টা না হয়ে থাকে।

_ সেটা ও ঠিক। আচ্ছা তোমার ভাই কে বলি কেমন ?

মাহেরা প্রথমে সম্মতি জানিয়ে আবার নাকোচ করে দিলো। আফরার কাঁধে মাথা রেখে বলল
_ ভাইয়া জানলে রাগ করতে পারে। আমি বরং আজ অভিনব কে জানাই।

_ উমম ঠিক আছে। তবে মাহেরা, বোন টি আমার বেশি আশা বুনো না।
কষ্ট পেলে তোমার ই খারাপ লাগবে।

মাহেরা মলিন হাসলো। আফরা আবার দীর্ঘশ্বাস ফেললো। মাহেরা কে আগেই বুঝিয়েছিল । কিন্তু মাহেরার ভাষ্য মতে ঝিল যে ধাঁচের মেয়ে তাঁতে অভিনবর ইন্টারেস্ট থাকবে না।
তাঁর উপর অভিনব তাঁকে পানি থেকে তুলেছিলো। এতে বেশ কনফিডেন্স পাচ্ছে ।
সব কিছু মিলিয়ে অভিনব তাকে পছন্দ করবে নিশ্চয়ই।

*

হাড়বাড়িয়া খাল দিয়ে হাড়বাড়িয়া তে এসে থামলো বোর্ট। সামনেই লাল সবুজ রেলিং দিয়ে স্টিলের ব্রিজ বানানো। সবাই নামার আগে ব্রিফিন দেওয়া হলো।

” আমরা বর্তমানে হাড়বাড়িয়া তে উপস্থিত রয়েছি। এখানে ভয়ের তেমন কারন নেই। কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো মেনে চললেই হবে। তবু ও সাবধান। ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র টা আপনারা আলাদা করেই ঘুরতে পারবেন। এতে সবার দলবদ্ধ হতে হবে না। তবে যে যেখানেই থাকুন না কেন। যে কোনো সমস্যা হলে সোজা ঘাট এ চলে আসবেন। কারন আমাদের গন্তব্য এখান থেকেই শুরু হয়েছে আর আমরা সবাই কে নিয়েই এখান থেকেই ফিরে যাবো ”
ট্রাভেল এজেন্সির ব্রিফিন দেওয়া শেষে সবাই একে একে বোর্ট থেকে নেমে ব্রিজ দিয়ে হাঁটা লাগালো। ব্রিজ টা বেশি লম্বা নয় আর চওড়া কয়েক ফিট মাত্র।

ঝিল লম্বা করে শ্বাস নিয়ে হাঁটা লাগালো। একটু দূর গিয়ে পেছনে হুরমুরিয়ে চলে আসলো।
অভিনব পেটে হাত দিয়ে হাসতে লাগালো। অভিনবর জ্যাকেট খামচে ধরে বলল
_ বানর।

_ একাই তো যাচ্ছিলে। যাও এবার , খুব শখ হয়েছিলো তাই না ?

ঝিল মুখ টা বাঁকিয়ে নিলো। অভিনব সামান্য নিচু হয়ে বলল
_ মুখ বাঁকানো টা কি রোজকার অভ্যাস ?

_ অভিভনববব

_ ঝিললল

_ ধ্যাত।

অভিনব একটু হাসলো। ঝিলের বাহু ধরে আগলে হাঁটা লাগালো। কিছু মানুষ এখান থেকেই বানরের সাথে মজা করা শুরু করে দিয়েছি।
অভিনব ফোঁস করে দম ফেললো। এরা শোধরাবার নয়।

শীত কাল হলে ও পাড়ের দিক টা কাঁদায় মাখো মাখো। বানর গুলো তাতেই লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটছে।
পর্যটক রা কিছু ছবি বন্দি করছে। বানর গুলো ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। রোজ হাজারো মানুষ কে দেখে তাঁরা। তাই অতো টা ও অবাক হচ্ছে না।

সামনে আগাতেই বিশাল বড় আকারের পিলার দেখতে পেল।
যেটাতে লেখা হারবাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র । ঝিল এই প্রথম ছবি তুলতে আগ্রহ দেখালো।
অভিনব হাত দিয়ে কেয়া বাত স্টাইল করে বলল
_ সাজেক 0 কিলোমিটার পিলার এর মূল্য টা আজ বুঝলাম। শেষ মেশ ঝিল ও পিলারের সাথে প্রেম করে নিলো।

_মোটে ও না। আমি এমনিতেই ছবি তুলতে চাচ্ছি। তুমি তো লুকিয়ে লুকিয়ে আমার ছবি তুলেছে। ফাজিল কোথাকার।

_ আর তুমি ?

_ আমি ?

_ হ্যাঁ । তুমি কি করেছো ? তুমি ও তো লুকিয়ে আমার ছবি তুলেছো।

_ মোটে ও না। আমি কখন ছবি তুললাম।

_ আচ্ছা ফোনে কার ছবি সেট করে রেখোছো হুম?

ঝিল দাঁত দিয়ে জ্বিভ কাটলো। অভিনব এক ফালি হেসে ঝিলের ছবি তুলে নিলো। সবাই যে যার মতো ই হেঁটে চলেছে। যেহেতু এটা আবাসিক এলাকার মতো তাই কারো সমস্যা হওয়ার কথা না।
তবু ও গার্ড রা যথেষ্ট নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন।

বেশ কিছু পর্যটক অভিনবর দিকে তাকিয়ে আছে। একজন তো অভিনবর সামনে এসে বললো ছবি তুলবে।
অভিনব সায় জানালো । সম্পূর্ন বিদেশী না হয়ে ও বিদেশী দের মতো ট্রিট পাচ্ছে সে।
অভিনব আনমনেই হেসে উঠলো। ঝিল অভিনবর বাহু খামচে ধরে অভিনব কে হাত দিয়ে ইশারা করে একটু নিচু হতে বললো।
অভিনব নিচু হতেই ঝিল ফিসফিস করে বলল
_ কোনো মেয়ে ছবি তুলতে চাইলে নাকোচ করে দিবে। কেমন ?

_ আচ্ছা। বলবো আমার বউ ছবি তুলতে বারন করেছে।

_ ধ্যাত । কি সব বলো ? বলবে যে তোমার আম্মু বলেছে মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে।

ঝিলের কথা শুনে অভিনব কোনো রিয়্যাকশন করতে পারলো না। হাসবে না কাঁদবে ঠিক বুঝতে পারছে না।

_ কি বলেছি মনে থাকবে তো ?

_ যদি বলে তোমার সাথে লেপ্টে থাকি কেন ?

ঝিল নাক ফুলিয়ে নিলো। বিজ্ঞদের মতো গলা ঝেরে বলল
_ বলবে আমি তোমার একান্ত ব্যক্তিগত মানুষ।

ঝিলের উত্তরে অভিনব প্রসন্ন হলো। মেয়েটার হাত টা শক্ত করে বুকে চেপে ধরে উচ্চারন করলো।
_ একান্ত ব্যাক্তিগত মানুষ।

ঝিল তাঁর ঝকঝকে তকতকে দাঁত গুলো বের করে হাসলো। অভিনবর সাথে আবার হাঁটা লাগালো। কিছু দূর যেতেই চোখে পরলো বন বিভাগের কার্যালয় । তাছাড়া ও রেস্ট হাউস রয়েছে। রেস্ট হাউজ থাকার জন্য অবশ্য ই পেমেন্ট করতে হয়।

ঘর গুলো অনেক টা পাহাড়ি ধাঁচের মতো। পিলার দিয়ে খানিকটা উঁচু করে বানানো হয়েছে। যাতে করে বন্যার সময় পানি উঠলে ও ঘর গুলো ডুবে না যায়। কিছু মানুষ সিঁড়ি তে বসে ছবি তুলছে। হলুদ রঙের সজ্জিত ঘর টাকে বেশ মোহনীয় ই লাগছে।
ঝিল মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো। ঝিলের খুব ইচ্ছে হলো পাহাড়ে যেতে। আচ্ছা ওহ কি অভিনব কে বলবে ?
এক আড়ষ্ঠতা থেকে আর বলা হলো না। ঝিল অভিনবর আঙুলের ভাঁজে আঙুল দিয়ে হাঁটা লাগালো।
কিছুদূর যেতে বাঁশের তৈরি এক ঘর দেখতে পেল।
এখানে নাকি খাঁটি মধু পাওয়া যায়। ঘরের কোনে এক টা বানর দেখেই ঝিল জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়ালো । অভিনব এক হাতে ঝিল কে আগলে রাখলো। মেয়েটা বানর দেখলেই কেমন চুপসে যায়।

অভিনব ঝিল কে আশস্ত করে হাঁটা লাগালো। সামনেই একটা সাঁকো । দেখে স্টিলের ই মনে হচ্ছে। তবে সাঁকো তে উঠে বুঝতে পারলো এটা কাঠের তৈরি। আর খানিকটা নড়বড়ে ওহ।
অভিনব ঝিলের দিকে তাকিয়ে বলল
_ একা আসতে পারবে ?

ঝিল মাথা দুলিয়ে বলল
_ নাহহ

অভিনব ফোঁস করে দম ফেললো। ঝিল কে কোলে করে পুরো সুন্দরবন ঘোরাতে পারলে বোধহয় মেয়েটা খুশি হতো।
_ আচ্ছা আমাকে ধরে ধরে আসো।

ঝিল ভদ্র মেয়ের মতো মাথা ঝাঁকালো। অভিনব কে একটা ফ্লাইং চুমু দিতে গিয়ে আবার লজ্জায় গুটিয়ে গেল। শেষ মেশ চুমু টা বনের মাঝেই চাঁপা পরে গেল।ঝিল বোকার মতো হাসলো।

হাড়বাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে গোল পাতার গাছ রয়েছে । মূলত পুরো সুন্দরবনেই গোলপাতার গাছ রয়েছে। গোল পাতার সাহায্যে তৈরি করা আছে বিভিন্ন ঘর।

সবাই বেশ কিছুক্ষণ হাঁটতে লাগলো। সামনে আবার কাঠের তৈরি ট্রেইল। তবে এবার আশে পাশে বেশ বড় বড় গাছ। ঝিলের শরীর ঝাঁকনি দিয়ে উঠলো। ভুতুরে অনুভূতি হচ্ছে। সবাই যে যার মতে হেঁটে চলছে। ওরা দুজন একটু পিছিয়ে গেছে।
ধরা গলায় ঝিল বলল
_ অভিনব।

_ হুমম।

_ ভয় হচ্ছে খুব।

অভিনব ভ্রু কুঁচকে তাকালো। ঝিলের চোখ মুখ বলছে সে ভয় পাচ্ছে খুব। অভিনব চট জলদি এক ফন্দি এটে ফেললো।
আশে পাশে এক বার চোখ বুলিয়ে নিলো। তারপর ঝিল কে হঠাৎ করেই শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরলো।
অভিনবর এমন আচারনের জন্য প্রস্তুত ছিলো না ওহ। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো।
অভিনবর শরীর থেকে মিষ্টি এক স্মেল আসছে। নিশ্চয়ই কোনো কড়া পারফিউম মেখেছে।
ঝিল কে ছেড়ে দিতেই ঝিল মাথা নিচু করে ফেললো। অভিনব মুখ চেঁপে হাসতে লাগলো ।
এখন বেশ কিছুক্ষণ মেয়েটা মাথা নিচু করে হাঁটবে । লজ্জায় ভয়ের কথাই ভুলে গেছে।
অভিনব নিজের আচারনে নিজেকে বাহবা দিতে লাগলো। ঝিলের সান্নিধ্যে পেয়ে মাথা টা একটু বেশি ই কাজ করছে।

কাঠের ট্রেইল পেরিয়ে কিছু দূর হাঁটতেই চোখে পরলো পদ্ম পুকুর। ঝিল লাফিয়ে উঠলো। যেন কখনো পদ্ম ফুল দেখে নি। অভিনব বোকার মতো চেয়ে আছে। মেয়েটা তাকে অবাক করে বারং বার। শহুরে গ্রাম্য এলাকায় থেকে ও ঝিলের এমন আচারন কেন ?
ঝিলের ফ্যামিলি কি এতো টাই বন্দি করে রাখতো ওকে ?
নাহ তা কি করে সম্ভব ? যে মেয়ে এতো বার বিয়ের আসর থেকে পালায় সে মোটে ও কোনো বন্দি শালায় ছিলো না।
অভিনবর ভাবনায় ছেদ পরলো ঝিলের ডাকে।
_ অভিনব।

ঝিলের দিকে তাকালো। মেয়েটা তাঁর থেকে বেশ খানিকটা দূরে চলে গিয়েছি। পাগল পুরো।

_ তাড়াতাড়ি আসো। আমি এই পদ্মফুল নিবো।

অভিনব ঠোঁট দুটো প্রসারিত করলো।
তার ভাবনা গুলো আবার ঝিলের মাঝে চলে আসলো। আচ্ছা ঝিল কে যদি পদ্মফুল দিয়ে সাজানো হয় তো কেমন লাগবে ?

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here