#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_33
এলামের শব্দে ঘুম ভাঙে অভিনবর। চোখ পিট পিট করে তাকাতেই বুকে ভারী কিছু অনুভব হয়। প্রথম দিকে ভ্রু কুঁচকে গেলে ও বুকের দিকে তাকিয়ে মুখে হাসি ফুটে উঠে। মেয়েটা লেপ্টে ঘুমিয়ে আছে। কিহ সুন্দর ই না লাগছে। প্রিয় মানুষ বলেই কি এমন সুন্দর লাগছে?
অভিনবর উত্তর মিললো না। ডান হাতে মেয়েটার চুলে বিলি কেঁটে দিলো। চুল গুলো সামান্য আঠালো হয়ে গেছে। তিন ধরে শ্যাম্পু করা হয় না। সাথে লঞ্চের পানি। সব মিলিয়ে চুলের অবস্থা নাজেহাল।
অভিনবর ভাবনার সুতো ছিঁড়ে দ্বিতীয় বার এলাম বেজে উঠলে। অভিনব হাত দিয়ে এলাম টা অফ করে দিলো।
তারপর ই ঝিলের চুলে শুষ্ক ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো। মেয়ে টার কোনো খেয়াল ই নেই।
ধীর কন্ঠে মেয়েটাকে ডাকলো অভিনব। কিন্তু ঝিল উঠার বদলে আরো বেশি আঁকড়ে ধরলো।
চিন্তা মুক্ত ঘুম দিয়েছে ঝিল। অভিনব মৃদু হাসলো। ঝিলের কপালের বেবি হেয়ার গুলো সরিয়ে দিলো।
মেয়েটার নাকের পাশে হালকা তেল জমেছে। কম্বিনেশন স্কিন হওয়াতে স্কিনের তেমন প্রবলেম হয় না।
কিন্তু তৈলাক্ত ত্বক হলে এভাবে ঘুমিয়ে থাকতে পারতো না ঝিল।
কারন ঝিল স্কিনের জন্য তেমন কোনো কিছুই ইউস করে না। যা তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে করা যাবে না। তাঁদের এক্সট্রা স্কিন কেয়ার করতে হয়। না হলে স্কিনে ব্রন সহ নানান সমস্যা দেখা দেয়।
যাহ কারো কাছেই কাম্য নয়। আসলেই স্কিন কেয়ারের প্রয়োজন রয়েছে।
অভিনব অতি যত্নে নাকের সাইডের তেল টুকু মুছে দিলো।
অভিনবর স্পর্শ পেয়ে ঝিল নড়ে চড়ে উঠলো। ঠান্ডা হাত টা ঝিলের গলায় ছোঁয়াতেই ধরমড়িয়ে উঠলো ঝিল ।
অভিনব যেন বোকা বনে গেল ।
ঝিল নিজেকে ঠিক করতে করতে বলল
_ আমি এখানে আর আপনি আমার পাশে কি করে ?
অভিনব অবাকের শীর্ষে। মেয়েটা হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন করছে ?
ঝিল এখনো প্রশ্ন বোধক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে। অভিনব বিরক্তি ঠেলে বলল
_ ঝিল কাল রাতে তুমি আমার সাথেই ঘুমিয়েছো ভুলে গেলে ।
কয়েক সেকেন্ড চুপ করে রইলো ঝিল। কালকের সমস্ত কিছু মাথায় আসতেই লজ্জা পেল।
একদম ই ভুলে গিয়েছিলো সব টা। ইসস কি লজ্জার বিষয়।
আরেক টু হলে তু দু চারটে থাপ্পর মেরে দিতো অভিনব কে।
ভাগ্যিস এমন টা করে নি। অভিনব ফোঁস করে দম ফেলে বলল
_ কি হয়েছে ?
_ না মানে আমি আসলে
ঝিলের আমতা আমতা দেখে অভিনবর চিন্তা হলো। ঝিল কি কোনো ভাবে ওদের সম্পর্ক কে আগাতে চায় না ?
ছেলেটার উৎসুক দৃষ্টি বলে দিচ্ছে মনের ভেতর তাণ্ডব চলছে। মন আকাশে গুঁড়ি বৃষ্টির বদলে ঝড় উঠে গেছে।
বিচ্ছেদের নীল ব্যাথা রা কেমন জেকে বসেছে। ধরা গলায় অভিনব বলল
_ কি হলো ঝিল ?
ঝিল আবারো আমতা আমতা করতে লাগলো। অভিনব কৌতুহলী মন নিজেকে দমাতে ব্যর্থ হলো।
কষ্টের সুর বাজিয়ে অভিনব বলল
_ তুমি কি কোনো ভাবে আমাদের সম্পর্ক টা আগাতে চাচ্ছো না ?
অভিনবর কথায় ঝিলের চোখ বড় বড় হয়ে গেল। আগে তো ঝিল এক লাইন বেশি বুঝতো। কিন্তু তাঁর সাথে থাকতে থাকতে অভিনবর গাঁয়ে ও সেই হাওয়া লেগেছে।
কি সর্বনাশ হলো। ঝিলের উত্তর না পেয়ে অভিনবর বুকে ভাঙচুর হয়ে গেল। ঠোঁট দুটো কাঁপছে । কেমন বিষাক্ত যন্ত্রনা অনুভব হচ্ছে। হায়রে ভালোবাসা ।
মিনিট পাঁচেক এভাবেই কেঁটে গেল। ঝিল নিজেকে শান্ত করে নিয়েছে। অভিনবর হাতে স্পর্শ করে বলল
_ আমি আসলে এক মুহূর্তের জন্য সব ভুলে গিয়েছিলাম । এই যে কালকে আমাদের মাঝে সব ঠিক হয়ে গেল। আমাদের প্রেম নিবেদন সব টা। আগের ঝিল হয়ে গিয়েছিলাম।
আমি সেটাই বলতে চাচ্ছিলাম । আর তুমি কি ভাবলে এসব।
ঝিলের কথা বুঝতে অভিনবর বেগ পেতে হলো। কিন্তু যখন কথা টা মাথায় ঢুকে গেল । ঠিক তখনি পেট চেপে হাসতে লাগলো। এতো টাই হাসতে লাগলো যে বিছানায় শুইয়ে পরলো।
হাসি যেন থামছেই না। ঝিল সেই হাসি টা উপভোগ করলো না। বরং প্রচন্ড রেগে গেল। বালিশ উঠিয়ে অভিনব কে মারতে লাগলো।
তবু ও ছেলেটার হাসি থামছে না। ঝিল হার মেনে গেল । অভিনবর দিকে রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেই ওয়াসরুমের দিকে আগালো।
*
অভিনব দের আজকের প্রথম স্পট হাড়বাড়িয়া ।
সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের অধীন বনবিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। খুলনা থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং মংলা বন্দর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে এই কেন্দ্রের অবস্থান।
হাড়বাড়িয়ার আশে পাশে ও বাঘ দেখার সম্ভবনা রয়েছে।
তবে খুব ই কম সম্ভাবনা । কিন্তু বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পাবে স্পষ্ট ।
সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া টহল ফাঁড়ির পাশেই ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। এর সামনের খালটি কুমিরের অভয়ারণ্য। প্রায়ই লোনা পানির কুমির দেখা যায় এই খালের চরে। তবে কুমির দেখার ভালো সময় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। এই সময়ে রোদ পোহাতে কুমিরগুলো খালের চরে শুয়ে থাকে।
হাড়বাড়িয়ায় সুন্দরনের বিরল মায়া হরিণেরও দেখা মেলে। এখানকার ছোট ছোট খালগুলোতে আছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছরাঙাসহ নানান জাতের পাখি। হাড়বাড়িয়ার খালে পৃথিবীর বিপন্ন মাস্ক ফিনফুট বা কালোমুখ প্যারা পাখিও দেখা যায়।
হাড়বাড়িয়া খালের পাড়ে ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রের সোনালি নামফলক। একটু সামনে এগুলেই বন কার্যালয়। এরপরে ছোট খালের উপরে ঝুলন্ত সেতু। সামনের দিকে জঙ্গলের গভীরতা ক্রমশ বেড়েছে। ঝুলন্ত সেতু পেরিয়ে সামান্য সামনে বিশাল এক পুকুর। পুকুরের মাঝে গোলপাতার ছাউনি সমেত একটি বিশ্রামাগার।
ঘরটির চারপাশে বসার জন্য বেঞ্চ পাতা। পুকুরের পাড় থেকে কাঠের তৈরি সেতু গিয়ে ঠেকেছে ঘরটিতে। বন বিভাগের অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭-৯৮ সালে বীর শ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্মরণে খনন করা হয় এই পুকুর।
পুকুরের দুই পাশ থেকে সামনে চলে গেছে ইট বিছানো পথ। অল্প দূরত্বের দুটি পথই শেষ হয়েছে কাঠের তৈরি হাঁটাপথে। যে কোনো একদিক দিয়ে হাঁটা শুরু করলে অন্যপ্রান্তে এসে শেষ হবে এই পথ। তবে হাতের ডান দিকের ইট বিছানো পথের শেষে রয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট একটি জঙ্গল পর্যবেক্ষণ বুরুজ। কাঠের তৈরি এই বুরুজের ওপর থেকে জঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
তবে সম্প্রতি ভ্রমণে গেলে দেখা যায় এই টাওয়ারের ভগ্নদশা। উপরে ওঠাই বিপজ্জনক মনে হয়। এখানকার পুরো ট্রেইলটি এক কিলোমিটারের বেশি।
হাড়বাড়িয়ার জায়গাটিতে বাঘের আনাগোনা বেশি। প্রায়ই বাঘের পায়ের তাজা ছাপ দেখা যায়। এছাড়া চিত্রা হরিণ ছাড়াও অন্যান্য বন্য প্রাণীও এখানে দেখা মিলবে।
অভিনব রিসার্চ করে এই টুকুই কালেক্ট করেছিলো। যত টুকু জেনেছে এতে সুন্দর জায়গা টা।
ঝিল মাত্র ই ফ্রেস হয়ে এসেছে।
বইয়ের মধ্যে অভিনবর মনোযোগ দেখে ঝিল বলল
_ সারাক্ষণ এতো কি পড়ো বলো তো ? প্রফেসর ও বুঝি বই হাতে বসে থাকে।
অভিনব একটু হাসলো। একটা ইংলিশ বই পড়ছিলো সে। সময় পেলেই ইংলিশ বই নিয়ে বসে পড়ে। এর প্রতি আলাদা এক টান রয়েছে ছেলেটার।
_ আমি ফ্রেস হয়ে আসছি । ক্ষিদে পেলে চা বা কফি নিয়ে খেতে থাকো।
_ উহুহহ তুমি বানিয়ে দিবে।
_ আচ্ছা তাহলে অপেক্ষা করো ।
ঝিল মাথা দুলিয়ে বসে পরলো। কেবিনে একটা দেয়াল টিভি ও রয়েছে। ঝিল ভ্রু কুঁচকে নিলো। আগে খেয়াল করে নি। বোধহয় পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিলো।
ঝিল বেশ খুশি ই হলো। ঢিভি অন করলো। কিন্তু ঢিভি অন হলো না। মেয়েটার হাস্য উজ্জল মুখ টা চুপসে গেল। অভিনব ট্রাওয়াল দিয়ে মুখ মুছে নিয়ে বলল
_ এখানে ডিস পাবে কি করে ? এটা পেন ড্রাইভ দিয়ে চালাতে পারবো বোধহয় ।
আমার কাছে পেন ড্রাইভ এ কিছু ইংলিশ মুভি নেওয়া আছে। রাতে সময় পেলে ওপেন করে দিবো নে।
ঝিল মাথা ঝাঁকালো। অভিনব গাঁয়ে জ্যাকেট জড়িয়ে কেবিন থেকে বেড়িয়ে পরলো।
ঝিল একটু থেমে থেকে পিছু ডাক দিলো। অভিনব ঘুরে তাকালো।
_ আমি ও যাবো। আজ আমি ও কফি বানাবো। মানে তোমাকে সাহায্য করবো।
অভিনব এক ফালি স্বচ্ছ হাসিতে সম্মতি জানালো।
*
সকাল ছয়টা প্রায়। হাড়বাড়িয়া যাবে আটটার দিকে।
তাই নাস্তার টাইম সেট করা হয়েছে সাত টায়। প্রায় সবাই ঘুমিয়ে আছে। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে এই বিশ্রাম টুকুই যেন বড় প্রাপ্তি। অভিনব দীর্ঘ শ্বাস ফেললো।
ঘুম ভালো তবে অতিরক্তি ঘুম একদম ই ভালো নয়। এতে শরীর তাঁর কর্ম ক্ষমতা হাড়িয়ে ফেলে। তাই সবার উচিত সঠিক ঘুম। অভিনব বেশ সুন্দর করে পানি গরম করে কফি বসিয়ে দিলো। ঝিল অতি মনোযোগে চেয়ে আছে। ঝিলের মনোযোগে ছেলেটা প্রশস্ত হাসলো। এই ছোট ছোট ভালোবাসা গুলো প্রচন্ড পরিমানে শান্তি দেয়।
কফি বানানো শেষে অভিনব ঝিলের দিকে কফি কাপ এগিয়ে দিলো। মুখে দিয়েই প্রশান্তির শ্বাস নিলো ঝিল। অভিনবর বাহু তে মাথা রেখে বলল
_ তুমি সব দিক থেকেই পারফেক্ট।
_ তাই ?
_ হু আর আমি সব দিক থেকে ই কাঁচা।
দারুন এক মাতাল করা হাসি দিয়ে অভিনব বলল
_ থাক না দু একটা গুন অপূর্ন। এতে কি খুব ক্ষতি হয়ে যাবে ? সব কিছু পারফেক্ট হওয়া জরুরি নয়।
_ যদি হয় ?
_ আমি আছি না ? আমাদের মাঝে সব ঠিক হয়ে গেছে। এর মানে আমরা একে অপরের শক্তি।
যদি কেউ কখনো হার মেনে নেই তাহলেই ডুবে যাবো।
মাঝ পথে ছেড়ে চলে যাবে না তো ঝিল ?
_ অভিনব।
_ ছেড়ে যেও না ঝিল। আমি তোমায় নিয়ে অনেক টা পথ এগিয়ে গেছি।অনেক আশা জমিয়েছি। প্লিজ ছেড়ে যেও না।
ঝিল ফ্যাল ফ্যাল করে তাকালো। অভিনব এমন কেন বলছে ?
_ তুমি ই তো বলেছিলে বর্তমান কে সুন্দর করতে। তাহলে এখন কেন ভবিষ্যত টেনে চলছো।
আমরা কখনো আলাদা হবো না অভিনব। কখনোই না।
অভিনব ঝিল কে জড়িয়ে ধরলো। অভিনবর সংস্পর্শে মেয়েটা কেঁপে উঠলো। পাখির বাচ্চার মতো অভিনবর বুকে লেপ্টে গেল।
মুহর্ত টা হয়ে রইলো প্রেম ময়। পাশে ধোঁয়া উঠা কফি। ঝিল হাসলো। একটা সময় সে এমনি স্বপ্ন দেখতো।
এক কাফ কফির সাথে প্রিয় মানুষের আলিঙ্গন।
সব কেমন স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হচ্ছে। আদৌ কি সবই সত্যি ?
*
নাস্তার টেবিলে বসে সবাই খাচ্ছে। তবে মাহেরা মন ভীষন খারাপ। অভিনবর সাথে ঝিলের সখ্যতা যেন বেড়েই চলেছে। এবার খুব ভয় হচ্ছে। অভিনব কি ঝিলের প্রেমে পরে গেল ?
মাহেরা ঠিক করে নিলো অভিনব কে আজ ই মনের কথা বলবে।
আফরা ইশারা করে বলল নাস্তা করতে। কিন্তু মাহেরার মনোযোগ অভিনব আর ঝিলের দিকে। ছেলেটার প্রতি একটু বেশিই ঝুঁকে পরেছে। এর আগে রিলেশন করেছে তখন তো এমন মনে হয় নি।
অভিনবর প্রতি অতিরিক্ত ভালো লাগা মেয়েটার হৃদয়ে ছোঁপ ফেলে দিলো। আফরার দিকে তাকিয়ে একটু করুন করে হাসলো।
_ হে অভিনব তোমরা লেট কেন করলে ? এক সাথে খাওয়া হলো না আজ।
_ উমম অমিত আজ আমরা একটু লেট করলে ও তোমরা একটু বেশি ই ফাস্ট নাস্তা করেছো।
রোজ তো টেনে তুলতে হয়।
অমিত হালকা হেসে চেয়ার টেনে বসলো। ঝিলের উদ্দেশ্যে বলল
_ অভিনব , ঝিল তোমার শুধু বন্ধু থেকে আরেক টু কাছের বন্ধু হলে খুব ভালো হবে।
ঝিল মাথা নিচু করে নিলো। অভিনব বিফের সাথে লুচির টুকরো মুখে দিয়ে বলল
_ আই থিংক । বাট ঝিল তো বুঝতেই পারছে না। ভেবেছিলাম প্রপোজ করবো। এখন মনে হচ্ছে ক্যানসেল করতে হবে।
অভিনবর কথাতে স্পষ্ট রসিকতা । ঝিল চোখ বন্ধ করে নিলো। সবাই যখন ওদের বিষয়ে জানতে পারবে তখন কি খুব লজ্জা লাগবে ?
অভিনবর কথা তে অমিত মুচকি হাসলো। ঝিলের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে বলল
_ তোমাদের জুটি টা বেশ সুন্দর। একদম সুখী কাপল ।
বিয়ে তে ইনভাইট করো কিন্তু।
অভিনব ঝরা হেসে অমিতের সাথে হাত মেলালো। ঝিল অপ্রস্তুত হয়ে পরলো। কোনো মতে বলল
_ ভাইয়া ভাবি কে রেখেই চলে এসছেন। আচ্ছা আমি বরং ভাবির কাছেই যাই। আপনার গল্প করুন।
ঝিলের পালিয়ে বাঁচা দেখে অমিত হাসলো। অভিনবর সাথে বেশ আমোদ করেই বসলো।
অভিনব আর ঝিল সাধারন বন্ধু যে নয় এটা খুব ভালো করেই জানে ওহহ।
অমিত মন থেকে একটা ইচ্ছা প্রকাশ করলো। ঝিল আর অভিনব যেন একে অপরের ই হয়।
দুজনের ভালোবাসার ছিটে ফোঁটা সবাই নিজ চোখে দেখেছে। এটা শুধু বন্ধুত্বের হলে ও অমিত চায় ওদের সম্পর্ক টা যেন গাঢ় হয়।
চলবে