#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_26

কটকা অফিস পাড় ঘোরা শেষ। সময় 2’38 মিনিট। যেহেতু এখন সন্ধ্যা খুব তাড়াতাড়ি হয় আর আস্ত খাসির বারবিকিউর ব্যবস্থা রয়েছে তাই আজকের শেষ গন্তব্য জামতলা সি বিচ। প্রতি টা স্পর্ট ঘোরার থেকে জামতলা সি বিচে যাওয়ার এক্সাইটমেন্ট বেশি। কারন এখানে নেমে গোসল করা যাবে। কনকন শীতের সাথে হিমশীতল পানি তার উপর গরম গরম আস্ত খাসির বারবিকিউ। সকলের উৎসাহ বলে দিচ্ছে এই ট্যুর টা কতো টা ইনজয়েবল হয়েছে এবং হতে চলেছে।
জায়গা গুলো যত টুকু না সুন্দর তার থেকে ফিলিংস গুলো অনেক বেশি সুন্দর। সবাই চেনা জানা তাই আনন্দ বেড়ে গেছে কয়েক গুন। না হলে এতো টা মজা হতো না। তাই সবার উচিত চেনা জানা অনেক মানুষ কে নিয়ে আসা। এতে করে সেফটি প্লাস ইনজয় দুটোই হবে আকাশ সমান। ঝিল গুটি কয়েক পাতা ছিঁড়ে হাঁটা লাগালো। অভিনব ঝিলের এই আচারনে খানিকটা আশাহত হলো। সাধারনত এই সব পাতাতে থাকে বিষাক্ত পোকামাকড় কিংবা তাদের লালা। যা থেকে এলার্জি কিংবা অন্য কোনো রোগ হতে পারে। এমনকি মৃত্যু ও ঘটতে পারে।
তাছাড়া সুন্দরবনে এমন গাছের পাতা রয়েছে যাতে সাপ থাকবে আপনি চিনতে ও পারবেন না।
এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা কিংবা যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। তাই সবাই কে সাবধানে চলা ফেরা করতে হবে ।

কারন অনেক সাপের রঙ আর গাছের পাতার রঙ এক। অভিনব তপ্ত শ্বাস ফেলে ঝিলের সাথে হাঁটতে লাগলো।
ঝিল আকাশের দিকে বার কয়েক তাকাচ্ছে। কুয়াশা কেঁটে গিয়েছিলো তবে কিছু ক্ষণের মাঝেই আবার কুয়াশা এসে ধরা দিবে।
ঝিল তাড়াতাড়ি পা চালালো। বনের ভেতর দিয়ে সবাই হেঁটে চলেছে। নিস্তব্ধ পরিবেশে গুটি কয়েক পাখির ডাক। গা ছমছম করে উঠলো।
বনের ভেতরে বাঘের আতঙ্ক রয়েছে। তাই প্রতি টা ট্যুর এজেন্সির সাথে থাকে অশ্রধারী গাইড। মূলত তারা সরকারি কর্মকর্তা । সরকারে কড়া নির্দেশেই সুন্দরবন ঘোরা হয়। এমন না যে চাইলেই যখন ইচ্ছে যাওয়া যাবে।
পল্টন থেকে প্রায় 2 3 কিলোমিটার রাস্তার পর জামতলা সৈকত। হেঁটে যেতে মোটামুটি 40 50 মিনিট এর মতো সময় লাগবে।
বনের ভেতরে চিকন সরু মাটির রাস্তা। মনে হয় বহু দিন ধরে মানুষের পদতলে পরে রাস্তা তৈরি হয়েছে। কেমন সাদা শুষ্ক হয়ে দড়ির মতো আঁকার ধারন করেছে। তার ই মাঝ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে সবাই। আশে পাশে যতদূর চোখ যায় শুধু গাছ আর গাছ। সবি ই অচেনা গাছ। তার মাঝে রয়েছে সুন্দরী , কেওড়া , গেওয়া। সুন্দরী কাঠের কাঠ নাকি খুব ভালো হয়। কিন্তু ঝিল কখনো সুন্দরী কাঠ দেখে নি।
দেখবেই বা কি করে ? ঢাকার অলি গলি তে তো এইসব গাছ পালা নেই। আছে শুধু ধুলোবালি , বড় বড় যানবহন , সাড়ি সাড়ি দালানের ছড়াছড়ি সাথে কোলাহল পূর্ন সমাজ। ভাবতেই গা শির শির করে উঠে। এখানে কতো শান্তি , মনে হচ্ছে নিশ্বাসের শব্দ গুলো ও গোনা যাবে।
হাজারো নিরবতা ভেঙে অভিনব বলল
_ এতো নিশ্চুপ কেন ?

_ উপভোগ করছি খুব।

_ কিই উপভোগ করছেন ?

_ এই যে শান্ত পরিবেশ সাথে নিশ্বাসের শব্দ । কি দারুন না ?

অভিনব নিরব হাসলো। সদ্য প্রেমে পরা যুবতী ঝিল। হাজারো বিচিত্র অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক। তবে ওর ওহ একি রখম অনুভূতি হচ্ছে যাহ মোটে ও কাম্য নয়। সাধারন হিসেবে প্রেমের সঠিক বয়স সে পেরিয়ে ফেলেছে। কিন্তু সেই হিসেবের তোয়াক্কা না করে অভিনব দারুন এক অনুভূতি তে বিভোর হয়ে পরেছে। অর্থাৎ প্রেমের কোনো বয়স হয় না আর না সময়।
শুধু মাত্র একটা আবেগ প্রবন মনের প্রয়োজন। যে মন কাঙ্খিত ব্যক্তি টি দেখার জন্য লাফাতে থাকে। বুকের ভেতর হাতুড়ি পেটার মতো শব্দ করে। মনে হয় এই বুঝি হৃদপিন্ড টা বুক চিরে বের হয়ে যাবে।
অভিনব স্বল্প পরিমানে ঠোঁট প্রশস্ত করলো। ঝিলের দৃষ্টি এখনো চরকির মতো ঘুরছে।
বাঘের দেখা পাওয়ার জন্য মন টা বড্ড তৃষ্ণার্ত। তবে বাঘের দেখা কি মিলবে?
কি জানি মিলবে কি না। তবে যে সময় টুকু উপভোগ করছে সেটাই বা কম কিসের ?

জামতলা সি বিচের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া গেল তখনি যখন চোখে পরলো জাম গাছ।
কিছু দূর পর পর জাম গাছ রয়েছে। টাইগার টিলায় নাকি বাঘের পায়ের ছাপ রয়েছে। তবে সবাই ঠিক করেছে যাওয়ার সময় টাইগার টিলায় যাবে। দূর থেকে পানির টেউ খেলার মতো চিক চিক বালি কনা দেখেই সবাই চিৎকার করে উঠলো। এই তো বহুল কাঙ্খিত জামতলা সি বিচ। সবাই হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলো। ঝিল সবার সাথে তালে তাল মেলাতেই অভিনব খপ করে হাত ধরে নিলো।
_ কি হলো ?

_ বলেছি না সারাক্ষণ আমার সাথে থাকবেন। একা একা দৌড়াচ্ছেন কেন ?

_ সবাই তো চলে গেল।

_ আমরা ও তো যাচ্ছি। এমন করলে কিন্তু পানি তে নামতে দিবো না ঝিল।

ঝিল ফুটো বেলুনের মতো চুপসে গেল। অভিনব নিশব্দে দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাঁটা লাগালো।
সবাই ছবি তুলতে ব্যস্ত। জামতলা সি বিচ সত্যি অসাধারন। পুরো বিচে রয়েছে ঢেউ এর আস্তরন। দেখে মনে হচ্ছে কেউ নিজ হাতে ডিজাইন করে রেখেছে।
অভিনব ঝিলের থেকে একটু আলাদা হয়ে কিছু দৃশ্য ক্যাপচার করে নিলো। জাম তলা সি বিচ টা এখন অব্দি বেস্ট। প্রকৃতির রূপের পরিপূর্ণতা রয়েছে। ঢেউ গুলো চোখে পরার মতো যদি ও ছোট ছোট ঢেউ তবে খুব সুন্দর। এখন জোয়ার তাই কেউ পানি তে নামছে না। ভাটা পরলেই হুমরি খেয়ে নেমে যাবে।
পুরো সৈকত টি নির্জন আর পরিচ্ছন্ন। থেকে থেকে রয়েছে কাঁকড়া দের শিল্প কর্ম। অভিনবর এক মুহুর্তের জন্য মনে হচ্ছে সুন্দরবন কে সন্দরবন ছাড়া ও কাঁকড়া বন বলে ডাকা যাবে।
কারন নদীর পার ঘেঁষে প্রতি টা স্থানে কাঁকড়ার শিল্পকর্ম রয়েছে।
অবশ্য সুন্দরবনের নামের পেছনে বিশাল ইতিহাস রয়েছে। অভিনব কিছু কিছু পড়েছিলো। তবে আবছা আবছা মনে আসছে।

ঝিল হাঁটতে হাঁটতে একটা গাছের শিকড়ে গিয়ে বসলো। জোয়ারের ঢেউয়ের আঁচড়ে শিকড় বেরিয়ে এসেছে।
বসার জন্য দারুন এক স্থান। প্রায় সময় সুন্দরবন ঘূর্ণিঝড়ের আক্রমনে পরে। তখন গাছ উল্টিয়ে পরে যায়। যা বিপদ জনক আর ভয়ঙ্কর ও বটে।
ঝিল সে দৃশ্য মনে করতে চাইছে না। কারন এখন আবহাওয়া বেশ ভালো।
জামতলা সৈকতের শেষ প্রান্ত গিয়ে ঠেকেছে কচিখালি তে।

মাহেরা সুযোগ পেয়ে অভিনবর কাছে চলে এসেছে। ঠোঁটের কোনে ঝরা হাসি। নিজে কে হাত দিয়ে পরিপাটি করে নিলো। অভিনবর কাছে নিজেকে বেস্ট দেখাতে হবে তো ।
না হলে যে অভিনব তার হবে না। আফরা কে ফেলেই মাহেরা হাঁটা লাগালো। আফরা বেচারি থম মেরে গেল।
বেচারার বয়েফ্রন্ড নিশ্চয়ই শোকে পাগল হয়ে গেছে। আহা দুদিন ধরে যোগাযোগ নেই। আফরা শোক পালন করে ঘুরতে লাগলো।

_ হায় অভিনব ।

_ হায়।

_ কি করছো ?

_ সবাই যা করছে।

_ তা তো দেখতেই পাচ্ছি। তবে স্পেশাল কি করছো ?

_ স্পেশাল তো অনেক কিছু ই আছে। তবে সেটা সিক্রেট বলা যাবে না।

মাহেরা স্মিত হাসলো। অভিনব গাঁয়ের সাথে গা ঘেষে দাঁড়ালো।

_ অভিনব তোমার কেমন মেয়ে পছন্দ ?

অভিনব সি বিচের ছবি ক্লিক করতে করতে বলল
_ বর্ননা দিলে মেয়ে খুঁজে দিবে নাকি ?

_ আরে বলো ই না। হতে ও তো পারে আমি মেয়ে খুঁজে দিলাম।

_ তাতে ও লাভ নেই কোনো। কারন আমি ম্যারিড।

_ মজা করছো তাই না?

অভিনব মৃদু হাসলো। সত্যি বললে ও আজকাল তা বিশ্বাস যোগ্য হয় না। ভেতর দীর্ঘশ্বাস গুলো বের হতে দিলো না।
মাহেরা বেশ কিছু ক্ষণ অভিনবর গাঁয়ের সাথে লেপ্টে থাকলো। তবে সুবিধা করতে পারছে না। কারন অভিনব কৌশলে দূরে সরে যাচ্ছে।প্রায় বিশ মিনিট পর আশাহত হয়ে আফরার কাছেই ফিরে গেল মাহেরা।

অমিত সুযোগ পেয়েঅভিনবর পাশে দাঁড়ালো। মাহেরা যে অভিনবর সাথে প্রায় লেপ্টে যাচ্ছে তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছে। কি জানি এই মেয়ের কি হবে। জীবনে ক্রাশের তো অভাব নেই।
অমিত মাহের আর শাকীল তিন জনেই সুন্দরবন নিয়ে একটা ব্লগ করছে।
তাঁদের ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য এটাই ফাস্ট ব্লগ হতে চলেছে।
ব্লগে যদি থাকে অভিনবর মতো বাংলা বিদেশীর ছোঁয়া তাহলে তো কথা নেই। হু হু করে বাতাসের গতিতে ভিউস আর সাবক্রাইবার বেড়ে যাবে ।
কথায় আছে না রাতা রাতি ভাইরাল খানিকটা তেমনি।
অভিনব মৃদু হেসে রসিকতা করে বলল
_ আমাকে ভিডিও তে রাখছো যে পরে দেখবে সব মেয়েরা বাংলা আমেরিকান অর্থাৎ আমার পেছনেই লেগে থাকবে। তখন কি করবে ?

_ সমস্যা নাই ভাই। আমরা তো মিঙ্গেল ই তাই ছ্যাঁকা খাওয়ার কোনো চান্স ই নাই।

অভিনব মৃদু হাসলো। বয়সে এরা তর থেকে বছর খানেক এর ছোট হলে ও ব্যবহার বন্ধুদের মতোই।
অভিনব ঠিক করলো এদের কে নিয়ে একটা মুভি বানাবে।
তবে সেটা ইংলিশ মুভি হবে। যার এক মাত্র ভিলেন হবে মাহেরা।
আর ঝিল হবে মুভির এক মাত্র রাজকুমারী। যাকে পাওয়ার জন্য অভিনব ছটফট করবে। সবার সাথে যুদ্ধ করবে।
শাকীল এর কন্ঠে ধ্যান ফিরলো অভিনবর।

_ অভিনব এই দিকে আসো দেখা যাচ্ছে না তোমায়।

_ আসছি ।

_ মাহের অভিনবর সুন্দর করে কয়েকটা ফুটেজ নে।
ভিডিও এর ক্যাপশন দিবো অভিনবর নামে আর ভিডিও তে থাকবো আমরা।
পাবলিক ঢপ খেয়ে আমাদের গালাগাল দেবে আর আমরা দেবদাশ হয়ে বসে থাকবো। সাথে রাতা রাতি ভাইরাল হয়ে যাবো বাটপার নামে।

অমিতের কথায় সবাই হো হো করে হেসে দিলো। মাহের সত্যি সত্যি অভিনবর ফুটেজ তুলে নিলো। তবে সেটা ভিডিওর মাঝেই এড করবে।
শুরুতেই পাবলিকের বকা খাওয়ার শখ নেই। প্রায় পনের মিনট পর এদের ফুটেজ নেওয়া শেষ হলো।
অভিনব যেন প্রান ফিরে পেল। তাকে দিয়ে সত্যি মুভি হবে না। এই সব প্লান বাদ। সামান্য ফুটেজ তুলতেই যাহ তাহ অবস্থা।

মাহেরা আবারো অভিনবর কাছাকাছি আসতে লাগলো।
অভিনব বাঁকা হেসে হাঁটা লাগালো। এই মেয়ের থেকে দূরে থাকাই ভালো।
কখন কোন ভেজাল হয়ে যাবে কে জানে।

জামতলা সৈকত এর স্বকীয়তার একটি হলো কালো বালির চিকচিক্য।
অদূরে ফার্নের ঝোপ ও রয়েছে । অভিনব ধীরে ধীরে ঝিলের কাছাকাছি এসে পরেছে। ঝিল বালি তে আঁকিবুকি করছে। অভিনব পা টিপে টিপে ঝিলের কাছে আসলো। কারো পায়ের শব্দ পেয়ে ঝিল ঘুরে তাকালো। দ্রুত হাত দিয়ে আঁকি বুকি আড়াল করলো।
অভিনব ভ্রু কুঁচকে তাকালো। কারন সে যা দেখার তা দেখে নিয়েছে। তবু ও গলা ঝেরে অভিনয় করে বলল
_ কি লুকাচ্ছেন দেখি তো ?

ধরা পরে যাওয়ার ভয়ে ঝিল শুকনো ঢোক গিলে নিলো। নাহ এই মানষটার কাছে কিছুতেই ধরা পরা যাবে না।
নাহ হলে প্রান টা এখানেই থেমে যাবে।
_ দেখি কি লুকাচ্ছেন।

ঝিল মাথা ঝাঁকালো। অর্থাৎ সে কিছু লুকাচ্ছে না। অভিনব নাছোড়বান্দা ঝিল কে আজ ছাড়বে না সে।

অভিনবর শক্তির সাথে পেরে উঠলো না ঝিল। ঝিল কে টেনে উঠালো। লজ্জায় রঙধনুর রঙে রঙিন হচ্ছে ঝিল। শেষ মেষ এভাবে ধরা পরে যাবে ?
অভিনব মৃদু হাসলো। ঝিল মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে আছে।
ঝিল লাভ সেপ এর মাঝে অভিনব আর তার নামলিখেছে। নতুন প্রেমে পরলে যাহ হয় আর কি।
ঝিল কে আর ও লজ্জা দিতে অভিনব বলল
_ মিস ঝিল একটা কথা বলুন তো এখানে কে আমাদের নাম লিখে গেল। তা ও আবার লাভ সেপের মাঝে ?

ঝিল ঠিক করে নিয়েছে আজ চোখ খুলবেই না। অভিনব মৃদু হেসে ঝিলের কানের কাছে ফিস ফিস করে বলল
_ মিসেস ভালোবাসো আমায় ?

** আজ আম্মু শপিং এ গিয়েছিলো । সারাদিন ফোন হাতে পাই নি। আমার সমস্ত কিছু আম্মুর ফোনেই তাছাড়া আমাকে নতুন করে প্রাক্টিক্যাল খাতা তৈরি করতে হচ্ছে। যদি ও তিন বিষয়ের প্রাক্টিক্যাল । তবে সাইন্স এর প্রাক্টিক্যাল নিশ্চয়ই খুব সহজ নয়।
প্রচন্ড চাপ কাল আবার স্কুল খুলে যাচ্ছে । গল্প অনিয়মিত হয়ে যাবে হয়তো। কারন আমার পেজ এ আরেকটি গল্প কান্টিনিউ করতে হচ্ছে। আমার দিক টা বোঝার চেষ্টা করবেন। দুটো গল্প এস এস সি পরীক্ষার্থী হিসেবে নিয়মিত লিখা কষ্ট সাধ্য।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here