দুঃখগাথার রাজকন‍্যা
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন
অন্তিম পর্ব

আরাভ টিপের পাতটা টেবিলে রেখে সোফায় গিয়ে চোখ বন্ধ করলো। নিজের রুমে যেতে আর ইচ্ছে করছে না। শরীর খুব ক্লান্ত লাগছে। চোখ বন্ধ করতেই ও গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো। সকালবেলায় দরজা ধাক্কানোর শব্দে ওর ঘুম ভাঙলো। শেষরাতে ঘুমানোর জন্য সকালে উঠা হয়নি। কয়েকদিনে ওর সারাজীবনের রুটিন পাল্টে গেছে। আরাভ দরজা খুলতেই মীরার তোপের মুখে পড়লো।
> এই ঘরে কি তোমার? এই জন‍্যই লোকে বলে,কুত্তার পেটে ঘী ভাত হজম হয়না। শুনলেতো ওর চরিত্র কেমন তবুও তুমি তাকেই খুঁজতে আইছো?
মীরার কথা শুনে আরাভ অবাক হলো। এই মেয়ে বলে কি? কথাবার্তার কি অবস্থা। আরাভের ইচ্ছা হলো ঠাটিয়ে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিতে কিন্তু পারলো না পেছন থেকে সোনিয়া মির্জা ধমক দিয়ে উঠলেন। উনি এসে মীরার হাত ধরে চোখ রাঙিয়ে বললেন,
> দিনদিন তোমার ব‍্যবহার যে ছোটলোকদের মতো হয়ে যাচ্ছে আদো কি বুঝতে পারছো? ওকে এসব বলার সাহস পাও কিভাবে? এখান থেকে যাও।
মীরা রাগে ফুলতে ফুলতে নিজের রুমে চলে গেলো। ও চলে যেতেই সোনিয়া মির্জা জোর করে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটিয়ে বলল,
> ছেলে মানুষ এতো কিছু বুঝে না। তুই ওর কথায় কিছু মনে করিস না বাবা। জানিস তো কেমন বাচ্চা?
> খালামনি বাচ্চা মেয়ের বিয়ের জন্য এমন মরিয়া হয়ে উঠেছো কেনো? দিন তো পালিয়ে যাচ্ছে না। তাছাড়া দেশে ছেলের ও অভাব পড়ছে না। তোমার মেয়ের জন্য ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বা সুনাম ধন‍্য পরিবারের কোনো ব‍্যবসায়ী ছেলে ঠিক জুটে যেতো।
> আমি মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে চাই। আরাভ পৃথিবীতে সবার উপরে বিশ্বাস করা যায় না। আমি জানি তুই ভালো ছেলে আমার মেয়েকে ভালো রাখবি তাই ওকে তোর সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছি তাছাড়া কিছুই না। তুই কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছিস।
>ভয় পেয়ো না। আমি কথা রাখবো।
আরাব চোখ মুছতে মুছতে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো। সোনিয়া মির্জা দাঁড়িয়ে ভাবছেন। ছেলেটার মতিগতি ভালো না। সম্মতি থাকতে থাকতে বিয়ের ব‍্যবস্থা করতে হবে। যেহেতু রাত্রীর আগের স্বামী আছে আর ওদের বিয়ের ডকুমেন্ট আছে সেহেতু বিয়েটা ওদের বৈধ হয়নি। নতুন করে কোনো ঝামেলা হবে না। বিয়ে দেওয়াই যায়। কথাটা ভেবে উনি মির্জা সাহেবের কাছে ছুটলেন। মির্জা সাহেব বেশ চিন্তিত কারণ কোর্ট থেকে আবারও চিঠি এসেছে। কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না।এমন সময় সোনিয়া মির্জা আসলেন। উনি স্বামীর সঙ্গে কথা বলে শুক্রবার রাতে আরাভের সঙ্গে মীরার বিয়ে ঠিক করলেন। এভাবেই দুদিন পার হয়ে গেলো।আরাভ দুদিন তমালকে নিয়ে রাত্রীর খোঁজ করেছে কিন্তু পাইনি। এই অবস্থায় মীরাকে বিয়ে করা ছাড়া উপাই নেই। তমাল গেছে রাত্রীর গ্রামের বাড়িতে। রাত্রীর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে। এই বিয়েটা আটকাতে রাত্রীর সম্পর্কে জানাটা খুব দরকার। শুক্রবার সকাল থেকে আরাভ রুমে বসে আছে। তমালের ফোন বন্ধ। বিয়ের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। আরাভের টেনশন হচ্ছে। সারাদিন খাওয়া হয়নি। সেবারের মতো এবার আর লোক জানানো হয়নি। ঘরোয়া ভাবে বিয়ে হবে তারপর অনুষ্ঠান। এশার নামাজের পর কাজী আসলেন। আরাভ মাথা নিচু করে বসে আছে। বিয়ের সাক্ষী হচ্ছে রাত্রীর ভাই এবং মা। সোনিয়া মির্জা টেকনিক করে ওদেরকে নিয়ে এসেছেন যাতে পরে কোনো ঝামেলা না হয়। কাজী বিয়ের কাগজগুলো রেডি করে মেয়ের সাক্ষর নিবে এমন সময় মির্জা বাড়ির গেটে চারটা প্রাইভেট কার এসে থামলো। সেই সঙ্গে কলিংবেল বেজে উঠলো। সবার দৃষ্টি দরজার দিকে। রবি গিয়ে দরজা খুলতেই হাইহিল পড়ুয়া এক সুন্দরী খটখট শব্দ করে ভেতরে প্রবেশ করলো। মেয়েটার পেছনে দুজন উকিল টাইপের লোক সঙ্গে কাগজপত্র নিয়ে দাঁড়ালো। মেয়েটা এবারে গিয়ে মির্জা সাহেবের সামনে গিয়ে মিষ্টি কন্ঠে বললেন,
> বহুদিন হচ্ছে পরের সম্পত্তি ভোগ করেছেন এবার যে ছাড়তে হবে।
মির্জ সাহেব মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছেন। মেয়েটার চেহারার সঙ্গে একজন মানুষের খুব মিল পাচ্ছেন। তবে কি সেই ফিরে এসেছে? আরাভ মেয়েটার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা ওর চেনা। তামলালের ভাষায় এই সেই আগুন সুন্দরী। কিন্তু এসবের কি মানে বুঝতে পারছে না। সৌরভ ওদিক থেকে তেড়ে আসলো মেয়েটির দিকে সঙ্গে সঙ্গে বাইরে থেকে দুজন পুলিশ আর একটা বৃদ্ধ মহিলা ভেতরে প্রবেশ করলো। আরাভের সামনে এগিয়ে আসলো। এই মহিলাকে সেদিন ও বাড়ির সামনে দেখেছিল। সব কিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে। ও কিছু বুঝতে পেরে মেয়েটিকে বলল,
> কি হচ্ছে এসব? সম্পত্তি যে আপনার তার প্রমাণ কি? মগের মুল্লুক নাকি বললেই সবাই বিশ্বাস করবে?
> আপনি চুপ থাকুন বউ থাকতে বিয়ে করছেন আপনার মুখে নীতি কথা মানাই না। এদের ব‍্যবস্থা করে আপনার ও হচ্ছে।
আরাভ চুপসে গেলো। মির্জা সাহেব ভয়ে চুপসে আছেন সঙ্গে সোনিয়া মির্জাও। বৃদ্ধ মহিলা উপস্থিত সবাইকে চুপ করিয়ে বলতে শুরু করলেন,
>আমার মেয়ে রেহেনা পারভিন জাফর মির্জা কে ভালোবেসে বিয়ে করে। অবন্তি মির্জা ওরফে রাত্রী মির্জা আমার একমাত্র নাতনি। জাফর আমার মেয়েকে অবন্তীর সামনে হত্যা করে এই বাড়ির বাগানে পুতে রাখে। বহু বছর গত হয়েছে তাই লাশের অবস্থা হয়তো ঠিক নেই তবুও প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। এই বাড়ি এবং জাফরের সব সম্পত্তি আমার মেয়ের নামে ছিল সেই অনুযায়ী আমার মেয়ের অবর্তমানে অবন্তী সেগুলো দখল নিচ্ছে। কারো কিছু জানার থাকলে প্রশ্ন করতে পারেন।
বৃদ্ধ মহিলার কথা শুনে সৌরভ এগিয়ে এসে ঝাঝালো কন্ঠে বলল,
> বিশ্বাস করিনা। আমার বাবা সম্পত্তির মালিকানা ও একা কেনো পাবে? যদি এমনিই হয় তাহলে তিনভাগে ভাগ করে দিন।
> তোমার বাবা কে?
> জাফর মির্জা।
> তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে। ফাজর মির্জার সঙ্গে যখন তোমার মায়ের বিয়ে হয় তখন তোমার বয়স তিন বছর। তাহলে জাফর কিভাবে তোমার বাবা হয়? মীরা বলতে পারে কিন্তু তুমি কিভাবে বলছো?
> মানে?
> মানেটা তোমার মায়ের থেকে জেনে নিও আমার সময় কম। আমার মেয়েটার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছিল। যখন ওর বাচ্চা হচ্ছিলো না তখন জাফর তোমার মায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আর এতে সাহায্য করে আরাভের বাবা। ওদের সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতায় পৌঁছে যায়। তোমার যে আসল বাবা উনি ছিলেন প্রবাসী। উনাকে ডিভোর্স দিয়ে জাফরকে তোমার মা বিয়ে করে। এভাবেই চলছিল। তারপর অবন্তীর জন্ম হয়। এবং আমার মেয়েখুন হয়। আর দুর্ঘটনাক্রমে আরাভের মা এসব জেনে যায় আর ওকেও খুন করা হয়।

আরাভের চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো। মায়ের খুন হওয়ার বিষয়টা ওর কিছুটা অনুমান ছিল এবার সব পরিস্কার হলো। মির্জা সাহেব ঘাড় নিচু করে আছে। এমন সময় পাশ থেকে মিরা বলল,
> এসবের মধ্যে আমার বিয়েটা আটকে আছে। দয়াকরে পরে এর মিমাংসা করুন আগে বিয়েটা হোক।
মীরার এমন কথায় আরাভ চিৎকার করে বলল,
> আমি কখনও কোনো খুনীর মেয়েকে বিয়ে করবো না। তাছাড়া আমি বিবাহিত।
> তুমি জানো রাত্রীর স্বামী আছে। তাছাড়া খুন আমার বাবা মা করেছে আমি তো করিনি।
মীরার কথার উত্তর দিলো অবন্তী। ও ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে বলল,
> মীরা তুমিও না ভীষণ বোকা। আমি তোমার সামনে আছি তবুও চিনতে পারলে না? আমার স্বামী তো একজন ছিল আরেকজন কে শুনি? আরাভ ছাড়া কাউকে বিয়ে করেছি নাকি?
মীরা অবাক হয়ে রাহুলের দিকে ইঙ্গিত দিতেই অবন্তী ভ্রু কুচকে বলল,

> এই বাড়িটা শয়তানের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সবগুলোর ব‍্যবস্থা করে তবে দম নিবো। এই বাড়ির বড়ছেলে আরাফাত মির্জা নারী প্রচারের সঙ্গে জড়িত । আর রাহুল সেই দলের সদস্য। সজীব হচ্ছে ওর মামাতো ভাই। দুঃখজনক হচ্ছে ওর বাড়িতেই আমি বড় হয়েছি। তবে বাবা মা কিন্তু খারাপ ছিলেন না। উনারা সব জেনেই আমাকে বড় করেছেন। আর রাহুলকে বিয়ে করার আগেই আমি পালিয়ে এসেছি তাহলে ওর বউ কিভাবে হলাম বুঝিয়ে বললে ভালো হতো। কি রাহুল সাহেব আমি কি আপনার স্ত্রী?

অবন্তীর কথায় রাহুল চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। ওর সঙ্গে থাকা মহিলা ভয়ে জড়সড় হয়ে আছে। অবন্তী আবারও মুখ খুলল,

> আমি যেদিন পালিয়ে আসি সেদিনই মা সুইসাইড করে মারা গেছেন আর আমি বিশ্বাস করি উনাকে সুইসাইড করতে এরা বাধ্য করছে। সবগুলোকে জন্মের মতো টাকার স্বাদ মিটিয়ে দিবো।
অবন্তি দাঁতে দাঁত রেখে কথাগুলো বলল। মির্জা সাহেব মাথা নিচু করে বললেন,
>মা ক্ষমা করে দে আমাকে। জানিনা কেনো এমন করলাম। সত্যিই ভালোবাসতাম ওকে তবুও কি হলো জানিনা আমি সোনিয়ার উপরে আকৃষ্ট হলাম।
> সুখে থাকলে ভুতে কিলাবে এটাইতো স্বাভাবিক। কাজ করার আগে না ভাবলে পরে যা হয় তা শুধুই আফসোস। এখন আফসোস করেন। আপনার উপরে আমার কোনো অনুভূতি নেই। মায়া দয়া ভালোবাসা কিছুই নেই। কাঁদবেন কাঁদতে পারেন। আর একটা কথা বলতে চাই এই বাড়ির কাজের মহিলা যে নিখোঁজ হয়ে যায় সেগুলোর রহস্য শুনবেন না?

আরাভ কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই মেয়েটা যে রাত্রী ওর কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না। ওকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে অবন্তী চোখের পাতা ফেলে বলল,
> ঝটকা আরও একটা খাবেন যখন জানবেন এই মার্ডার গুলো সৌরভ করেছে এবং সেগুলোকে লুকাতে সাহায্যে করেছে উনার নিজের মা মিসেস সোনিয়া মির্জা। সৌরভের চরিত্র ফুলের মতোই পবিত্র। আসলে হয়েছে কি?সে মেয়েগুলোর সঙ্গে জোরজবরদস্তি করে খুন করে ফেলে। উনার মা ছেলেকে জেলে যাওয়া থেকে বাঁচাতে লাশগুলো গুম করেন। প্রমাণ ভিডিও রেকর্ড পুলিশের কাছে জমা আছে। এখন মিরা তুমি কোথায় যাবে ভেবে নাও তাড়াতাড়ি। বাকীদের থাকার জায়গা প্রস্তুত শুধুমাত্র তুমি ছাড়া। এখানে থাকবে এমন আবদার করতে এসোনা। আমার মায়ের বাড়িতে তার খুনীর মেয়ের জায়গা দিবো এমন মহান আমি না। এটা কোনো পুরানো সিনেমা না যে আমি সাবানা ম‍্যাডামের রোল প্লে করছি।

অবন্তীর কথা শুনে উপস্থিত সবাই চুপচাপ। পুলিশ একে একে সবাইকে নিয়ে চলে গেলো। মীরার মামা ওকে নিয়ে গেলেন। আছে শুধু আজহার মির্জা। উনি সকাল পযর্ন্ত সময় নিয়েছেন। রবি চুপচাপ মেঝেতে বসে আছে। অবন্তী সবাইকে বিদায় করে আরাভের পাশে গিয়ে বসলো। আরাভ চুপচাপ বসে আছে। নির্জনতা কাটিয়ে অবন্তী বলল,
> সরি।
> কেনো?
> না বলে পালিয়ে গিয়েছিলাম তো। না পালিয়ে উপাই ছিল না। ওরা আমাকে পাচার করে দেবার পরিকল্পনা করেছিল। ওরা যদি কিছু না করতো তাহলে সৌরভ ঠিক কিছু করতো।
> তুমি এসেছিলে প্রতিশোধ নিতে?
> প্রমাণ খুজতে। অনেক বছর আগের ঘটনা প্রমাণ করতে এখানে আসতেই হতো। এখানে এসে আপনাকে পেলাম।
> আমি রাত্রীর প্রেমে পড়েছি তোমার না।
> কালি মেখে অন্ধকারের রাত্রী হয়ে আপনার কাছে আসবো সমস্যা নাই। সমস্যা হচ্ছে আপনি আবারও বিয়ে করতে বসেছিলেন। দুমিনিট লেট করলে ঠিকই সতীন জুটিয়ে দিতেন। বউ নেই অমনি না?
আরাভ ওর কথা শেষ হতেই ওর হাতটা নিজের মুঠোয় নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
> তুমি সাদা কালো রঙিন যায় ইচ্ছে তাই সেজে আমার সামনে থেকো। শুধু পাশে চাই। রাত্রী তোমার মতো এতোটা সহ‍্য ক্ষমতা আমার নেই। ছোটবেলাতেই বাবাকে বিরক্ত লাগলো তাই খালামনির কাছে থাকতাম। আপন বলতে কেউ থাকলো না আমার। সবাই পর হয়ে গেলো শুধু তুমি ছাড়া।
> পাশে না থেকে উপাই আছে? আমি কিছুতেই বরকে হাতছাড়া করছি না। যেখানেই যাবেন সিসি ক‍্যামেরার মতো চোখ লাগিয়ে বসে থাকবো। আমার থেকে ছাড় নেই।
আরাভ ওর কথা শুনে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে ওকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে নিলো। ওরা বাকী জীবন এক সাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। নিজেদের মধ্যে কখনও তৃতীয় পক্ষকে আসার সুযোগ দিবে না। ভালোবাসাময় করে তুলবে নিজেদের ভূবন। দুঃখগাথার রজকন‍্যা নিজের রাজ‍্য ফিরে পেয়েছে সেখানে আর দুঃখের ছায়া পড়তে দিবে না।

সমাপ্ত

আসুন নামাজ ও কোরআন পড়ি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here