তুমি_আমারই_রবে
বোনাস_পর্ব
#Nishat_Jahan_Raat (ছদ্মনাম)
“হে আল্লাহ্। তুমি যাই করো, প্লিজ আমার এতো চুন্দ্রী বেস্ট ফ্রেন্ডের মুখটা হঠাৎ বাঁকিয়ে দিও না। হিমু ফিরে এসে এই বাঁকা মুখ ওয়ালী মেয়েকে পছন্দ করবে না।”
তড়তড়িয়ে আমি বসা থেকে উঠে উনার কাছে তেড়ে গিয়ে বললাম,,,
“এই কি বললেন আপনি? ইনডিরেক্টলি আল্লাহ্ কে বললেন আমার মুখটা বাঁকা করে দিতে?”
“কই না তো! আমি তো আল্লাহ্কে রিকুয়েস্ট করছিলাম বাই এ্যনি চান্স ও যেনো আল্লাহ্ তোমার মুখটা বাঁকা না করেন।”
প্রতি উত্তরে কিছু বললাম না আমি। উনার থেকে মুখ ঘুড়িয়ে রাগে গিজগিজ করে পুরো রুমে পায়চারী করছি। প্রায় অনেকক্ষণ পর আমি ধৈর্য্য হারা হয়ে মেহুলের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে না চাইতে ও করুন কন্ঠে বললাম,,
“প্লিজ মেহুল। এইবারের জন্য শাস্তিটা নাকোচ করুন। আর কক্ষনো, ভুলে ও আমি কোনো কারণে আপনাকে ব্যাথা দিবো না।”
“স্যরি মিস রূপা। আপনার রিকুয়েস্ট আমি রাখতে পারব না। আপনি তো জানেন ই আমি কতোটা এক রোঁখা!”
চোখ জোড়া খিঁচে বন্ধ করে আমি প্রচন্ড রেগে উনাকে বললাম,,,
“শার্ট টা নিয়ে আসুন। জলদি যান।”
উনি শয়তানী হাসি দিয়ে বললেন,,,
“সে ই তো শাস্তিটা মানলে। কি দরকার ছিলো বলো? ফালতু সময় নষ্ট করার।”
“আপনি খুব খারাপ একটা লোক বুঝেছেন?”
“হুম বুঝেছি। অনেক আগেই বুঝেছি। তাই তো ভালো হওয়ার চেষ্টা করছি।”
“খারাপ লোকরা কখনো ভালো হয় না।”
“কিন্তু, আমি তো ভালো হয়ে গেছি! যা তোমার চোখে পড়ছে না।”
“আপনি সেই একই রকম রয়ে গেছেন। আসার পর থেকে যেমন ছিলেন, এখনো ঠিক তেমনই আছেন।”
মলিন হাসলেন উনি। আর দরজার খিল খুলে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন। আমি রাগে ফুসফুস করছি। ছেলেটা বড্ড এক রোঁখা। নিজে যা ভালো মনে করবে, যা ভাববে ঠিক তাই করবে, সাথে আশেপাশের লোকদের ও জোর করে করাবে। কিছুক্ষনের মধ্যে উনি শার্ট নিয়ে রুমে ঢুকে পড়লেন। আর শার্টটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন,,
“নাও। পড়িয়ে দাও।”
চোখে, মুখে বিরক্তি নিয়ে আমি উনাকে শার্টটা পড়িয়ে দিলাম। শার্টের বাটন গুলো লাগাতে গিয়ে খেয়াল করলাম, শার্টটা নীল রঙ্গের। রঙ্গটাতে উনাকে দারুন মানিয়েছে। চোখ তুলে উনার দিকে তাকাতেই উনি হালকা হেসে বললেন,,,
“নীল। আমার গার্লফ্রেন্ডের প্রিয় রং ছিলো। তাই আজ তোমার হাতেই শার্টটা পড়লাম!”
“নীল রং তো আমারো খুব পছন্দ। আপনার গার্লফ্রেন্ডের সাথে এদিক থেকে আমার খুব মিল আছে।”
“আশ্চর্যের বিষয় হলো, আমারো নীল রঙ্গ পছন্দ।”
“আরেহ্ বাঃহ। হিমুর ও নীল রঙ্গ খুব পছন্দের।”
উনি হঠাৎ আমার দিকে ঝুঁকে বললেন,,
“আচ্ছা, তোমার কি মনে হয় না হিমুর সাথে আমার অনেকটাই মিল আছে?”
“আছে। তবে আপনি আমার হিমু নন।”
মেহুল হঠাৎ আমার সামনে থেকে সরে দ্রুত পায়ে হেঁটে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন। আমি আশ্চর্য হয়ে উনার যাওয়ার পথে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ উনার এমন অদ্ভুত রিয়েকশান আমার কেমন যেনো অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
,
,
রাত আটটার মধ্যে আমাদের সব গুলো রুম গোছানো কমপ্লিট হয়ে গেলো। অবশ্য আসবাবপএ সেট করতে হিমু আমাদের খুব সাহায্য করেছিলেন। রুম ডেকোরেশনে উনার অভিজ্ঞতা অনেক। রাত দশটার মধ্যেই আমরা আন্টিদের ওখানে ডিনার করে নিজেদের রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। তিনজনই খুব ক্লান্ত৷ তাই পর্যাপ্ত রেস্ট দরকার। কাল সকাল থেকে আবার অফিস। আবার টানা এক সপ্তাহের ধকল। মেহুল ও হয়তো আমাদের মতো খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এতক্ষনে হয়তো উনি ঘুমিয়ে ও পড়ছেন। রুম গুছাতে উনি আমাদের সাথে খেঁটেছেন। আমাকে তেমন কাজ করতে দেন নি উনি। আমার সমস্ত কাজ উনিই করেছেন। ছোট্ট করে একটা থ্যাংকস ও দেওয়া হয় নি উনাকে। আসলে সুযোগ ই হয়ে উঠে নি।
ঘড়িতে রাত এগারোটা বাজতেই আমার চোখে ঘুম হানা দিলো। লামিয়ার উপর হাত রেখে আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। সেই ঘুম ভাঙ্গল আমার সকাল আটটায়। আবারো সেই আগের রুটিন। নাস্তা করো, ফ্রেশ হও, শাওয়ার নাও, অফিসে যাও, অফিস থেকে বাড়ি ফিরে আবার রান্না করো, রাতের ডিনার সেরে ঘুমিয়ে পড়ো। এটাই হলো জীবন।
মাঝখানে কেটে গেলো প্রায় তিন মাস। এই তিন মাসে। দারুন পরিবর্তন এসেছে আমার লাইফে। পরিবর্তনটা ঘটেছে মেহুলের হাত ধরেই। উনি ফ্রেন্ড হয়ে আমার জীবনে আসার পর থেকেই আমার সাদা মাটা জীবনটা খুব রঙ্গিন হয়ে উঠেছে। অফিসের ব্যস্ততার পর বাড়ি ফিরে বাকিটা সময় আমাকে খুব হাসি খুশি আর হৈ, হুল্লোড়ে থাকতে হচ্ছে। আর প্রতিদিন রাতে নিয়ম করে সামনের টং দোকানে চা খেতে যাওয়া, টানা দু, তিন প্লেইট ফুচকা খাওয়া, আইসক্রীম খাওয়া, মাঝে মাঝে গভীর রাতে ছাদে বসে জোসনা বিলাস করা, কখনো আবার রাতের নির্জন শহরে রাস্তার ফুটপাত ধরে হেঁটে চলা, নদীর পাড়ে বসে সূর্যাস্ত দেখা, ঝুম বৃষ্টিতে পাশাপাশি হাঁটা, হুট হাট করে জোর করে শপিংয়ে নিয়ে যাওয়া, রিকশার হুড খুলে, খোলা আকাশের নিচে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুড়োঘুড়ি করা, দু এক দিন পর পর রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া, ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ঝালমুড়ি খাওয়া। মানে আমি জীবনকে যেভাবে উপভোগ করতে চেয়েছিলাম, এই পর্যায়ে এসে জীবনটাকে আমি ঠিক সেভকবেই উপভোগ করছি।
আমার জীবনের সমস্ত শখ, আহ্লাদ মেহুল পূরণ করে দিয়েছেন। আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা দিন দিন খুব গভীর হচ্ছিলো। দুজন দুজনকে ছাড়া এক মুহূর্ত ও ভাবতে পারছিলাম না। হাঁটতে, বসতে, খেতে, চলতে, ফিরতে সর্বক্ষেএে দুজন দুজনকে ছাড়া অঁচল। উনি নিজের চেয়ে ও আমার বেশি খেয়াল রাখতেন। সামন্য হাচ্চি, কাশি হলে ও উনি উতলা হয়ে উঠতেন। কখন আমাকে সুস্থ করে তুলবেন সেই ভাবনায় থাকতেন। এই ছোট ছোট কেয়ার গুলো আমি হিমুর থেকে খু্ব এক্সপেক্ট করতাম। যার বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন মেহুল। হিমুর অভাব আমার মেহুলের মাঝেই পূর্ণ হযে যাচ্ছে। তার মানে এই না যে, আমি হিমুকে ভুলতে বসেছি। উল্টো মেহুলের আচরণে আমি বার বার হিমুকে খুঁজে পেয়েছি। হিমুকে আরো বেশি করে মিস করেছি। মেহুল আমার জন্য যাই করুক না কেনো মেহুল সবসময় আমার বন্ধুর জায়গাতেই থাকবেন। কখনো হিমুর জায়গা দখল করতে পারবেন না।
এসবের মাঝেই দিন কেটে যাচ্ছে আমার। কিভাবে যেনো কেটে গেলো প্রায় তিন তিনটে মাস। সময়ের কোনো হিসেব ই রাখা হয় নি। ঘড়ির কাটার মতো দিন গুলো খুব সহজে পাড় হয়ে গেছে।
,
,
আজ শুক্রবার। আমাদের অফ ডে। ছুটি পেয়ে আজ সারা দিন ঘুমিয়েছি। গত রাতে মেহুলের সাথে পুরো এলাকায় ঘুড়ে বেড়িয়েছি। কোলাহলহীন রাতের নিস্তব্ধ আকাশের নিচে, মৃদ্যু মন্দ মলিন বাতাসে হাঁটাহাঁটি করার মজাই আলাদা। আর মেহুল পাশে থাকলে তো কথাই নেই। জমে পুরো ঘি৷ সারা রাত ঘুড়ে আমরা ভোর পাঁচটায় বাড়ি ফিরেছি। বাড়ি ফিরেই ঘুম। সেই ঘুম ভাঙ্গল আমার বিকেল পাঁচটায়। ঘুম থেকে উঠতেই বেডের উপর আমি একটা রঙ্গিন কাগজে মোড়ানো উপহার বক্স দেখতে পেলাম। চোখ কচলে আমি বক্সটা হাতে নিতেই দেখলাম বক্সের উপরে সাদা কাগজে লিখা,,,
“নীল রঙ্গের একটা শাড়ি আছে বক্সটাতে। সাতটার মধ্যেই রেডি হয়ে ছাঁদে চলে এসো৷ অনেক সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।”
বুঝতে আর দেরি হলো না লিখা গুলো কার। মেহুলই উপহার বক্সটা আমার জন্য পাঠিয়েছেন। নিশ্চয়ই মাথায় কোনো শয়তানী বুদ্ধি এঁটে আমাকে বোকা বানানোর বানোয়াট একটা সারপ্রাইজের ব্যবস্থা করেছেন। ছেলেটা আসলেই পারে। পুরো অদ্ভুত।
হালকা হেসে বক্সটা খুলতেই দেখলাম নীল রঙ্গের একটা জামদানী কাপড়ের সাথে নীল চুড়ি, নীল টিপ, নীল কানের দুল, গাজরা ফুল সাথে লাল আলতা। মানে সবকিছু ম্যাচ করা। অবাক হয়ে আমি সব গুলো উপহার দেখছি। একটা ছেলে কিভাবে এতোটা মিলিয়ে মিলিয়ে মেয়েদের সাজ সরন্জ্ঞামের এরেন্জ্ঞ করতে পারে আই ডোন্ট নো!
হাতে চুড়ি গুলো পড়ে দেখলাম চুড়িগুলো একদম ঠিকঠাক ভাবে আমার হাতে লেগেছে। পুরোপুরি আমার হাতের সাইজ। এর মাঝেই লামিয়া আর নীলা রুমে ঢুকল। দুজনই চোখ মুখ কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,
“কি রে? এখনো রেডি হস নি?”
“রেডি হবো কেনো?”
“আমরা কিভাবে জানব? মেহুল বলল সাতটার মধ্যেই তোকে রেডি করিয়ে ছাদে নিয়ে যেতে।”
“কেনো বল তো? আজ কি আছে?”
“আছে হয়তো স্পেশাল কিছু।”
দুজনই রহস্যময়ী হাসি দিয়ে আমাকে টেনে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দিলো। আর বললো আধ ঘন্টার মধ্যেই শাওয়ার নিয়ে তাড়াতাড়ি ওয়াশরুম থেকে বের হতে। ওদের শর্ত মতো সব করলাম আমি। আধ ঘন্টার মধ্যেই শাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুমে থেকে বের হয়ে এলাম। দুজনই আমাকে পাখার নিচে বসিয়ে চুল শুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। এর মাঝে নীলা আবার আমাকে লোকমা ধরে ভাত খাইয়ে দিচ্ছে। বোবা প্রাণীর মতো তাকিয়ে তাকিয়ে আমি সব দেখছি। কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
ঘড়িতে ৫ঃ৩০ বাজার সাথে সাথেই দুজন আমাকে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসিয়ে দিলো। নিজেদের ইচ্ছে মতো আমাকে সাজাতে শুরু করল৷ আমি শুধু বোকার মতো ওদের দিকে তাকিয়ে আছি। কেনো জানি না মুখ দিয়ে কোনো শব্দই বের হচ্ছে না আমার।
৬ঃ৩০ বাজতেই সাজ কমপ্লিট হয়ে গেলো। এবার শুধু শাড়ি পড়ার পালা। লামিয়া খুব গুছিয়ে শাড়ি পড়াতে পারে। তাই লামিয়াই আমাকে শাড়িটা পড়িয়ে দিচ্ছে। শাড়ি পড়ানোর পর আয়নার দিকে ঘুড়ে দাঁড়াতেই আমি নিজেকে সম্পূর্ণ নতুন রূপে আবিষ্কার করলাম। কেবল মাএ বিয়ের দিনই আমি এতোটা ঘটা করে সেজেছিলাম। মাঝ খানে আড়াই বছরের মতো এভাবে ঘটা করে আর সাজা হয় নি। এই সাজটাতে বিয়ের কনে লাগছে আমার। মনে হচ্ছে আজ আমার নতুন করে বিয়ে হবে! নীল শাড়ির সাথে সব কিছু ম্যাচ করা। সাজটা ও কেমন নীল নীল লাগছে। খোঁপাটা সব থেকে বেশি সুন্দর হয়েছে। আমার ঘন চুল বলে খোঁপাটা অনেক বড় হয়। খোঁপায় গাজরা পড়লে তো খোঁপাটা দেখতে আরো বেশি বড় মনে হয়। নীলা খুব সুন্দর আইলাইনার পড়াতে হবে। চোখ গুলো দেখতে টানা টানা লাগে। একদম হরিনীর চোখের মতো। আয়নাতে আমি নিজেই নিজেকে দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। কিছুতেই যেনো চোখ সড়াতে পারছি না। এই সাজে আমি হিমুকে খুব তাক লাগাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কখনো স্কোপ ই পাই নি, হিমুকে এভাবে সেজে ইমপ্রেস করার।
লামিয়া আর নীলা আমার দু কাঁধে মাথা রেখে মৃদ্যু হেসে বলল,,,
“তোকে খুব সুন্দর লাগছে রে রূপা। একদম রূপকথার রাজকন্যাদের মতোন। ভাবতেই পারি নি সাজলে তোকে এতোটা সুন্দর লাগবে!”
“আমি যদি রাজ কন্যাই হতাম। তাহলে রাজকুমার আমার পাশেই থাকত।”
“রাজকুমার ঠিক আসবে। তোকে পালকীতে করে নিয়ে যাবে! শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা।”
“দিবা স্বপ্ন এসব। যা কখনো সত্যি হবে না।”
প্রতি উত্তরে লামিয়া আর নীলা কিছু বলল না। ঘড়িতে সাতটা বাজতেই দুজন আমাকে টেনে হেছড়ে ছাদের দিকে নিয়ে এলো। ছাদের দরজা খুলতেই আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম। পুরোটা ছাঁদ বিভিন্ন রঙ্গের ঝাড় বাড়িতে ঝিলমিল ঝিলমিল করছে, চারপাশ থেকে গোলাপ ফুলের সুবাস ভেসে আসছে, পুরোটা ছাদের ফ্লোরে অসংখ্য গোলাপের পাঁপড়ী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। মাঝখানেই ফুলের পাঁপড়ীর উপর নীল রঙ্গের ঝাড় বাতি দিয়ে লাভ আঁকা আছে।
সব কিছু আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। শাড়ির কুচিঁতে হাত দিয়ে আমি পুরো ছাদটায় আলতা রাঙ্গা পায়ে হেঁটে চলছি। চোখে আমার যতো রাজ্যের বিস্ময়। কিছুতেই কূল করতে পারছি না কেনো এসব হচ্ছে, আর কি সারপ্রাইজ ই বা আমার জন্য অপেক্ষা করছে। ছাঁদের ডান পাশটায় যেতেই আমি হঠাৎ থমকে গেলাম। মেহুল নীল রঙ্গের পান্জ্ঞাবি পড়ে হাতে এক গুচ্ছ গোলাপ নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি এক ধ্যানে উনার দিকে তাকিয়ে আছি৷ নীল পান্জ্ঞাবীতে উনাকে মনোমুগ্ধকর লাগছে। কিছুতেই যেনো উনার থেকে চোখ সরাতে পারছি না। বুকের বাঁ পাশটা ও সমান তালে লাফাচ্ছে। কোনো রকম বিশ্রাম নিচ্ছে না।
আমার মতো মুগ্ধ দৃষ্টিতে মেহুল ও আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। বুকের বাঁ পাশটা উনার ও ধুকপুক ধুকপুক করছে। যা আমি এক ফুট দূরত্বে থেকে ও বুঝতে পারছি। হঠাৎ উনি হাঁটু গেড়ে বসে এক হাতে এক গুচ্ছ গোলাপ আর অন্য হাতে ডায়মন্ড রিং নিয়ে স্থির চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,
“উইল ইউ মেরি মি রূপা?”
#চলবে…..
(আগামী পর্বেই সমস্ত রহস্যের জট উদঘাটন করা হবে। দয়া করে কেউ আমার গল্পের মানকে ছোট করবেন না। আসলে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম পাঠকদের ধৈর্য্য খুব কম। গল্প উনাদের মন মতো না এগুলে গল্পের মান নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠে। যাই হোক, আগামী পর্বে সব মিস্ট্রি সামনে আসবে। আর দু, তিন পর্বেই গল্পটা শেষ করে দেওয়া হবে। আজকের পর্ব প্রচন্ড অগোছালো ছিলো। তাই আপনাদের মন মতো না হলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।)