#তুমি_আমারই_রবে
পর্ব_৮
#Nishat_Jahan_Raat (ছদ্মনাম)

কাঁদতে কাঁদতেই ঘুমিয়ে পড়লাম আমি। এই রাতে আর হসপিটাল থেকে হিমুর মা, বাবারা বাড়ি এলো না। সকালে ঘুম থেকে উঠেই বুঝতে পারলাম শরীরে ভীষণ জ্বর হয়েছে আমার। গাঁ, হাত জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে৷ এই জ্বর নিয়েই আমি হসপিটালে ছুটে গেলাম। হিমুকে এক্টা নজর দেখব বলে!

হিমুর কেবিনে পা রাখতেই মা, বাবাকে হিমুর বেডের পাশে দেখতে পেলাম। রাহাত ভাই কোথাও নেই। হয়তো বাড়ি চলে গেছে। আমাকে দেখা মাএই মা ঘুম জড়ানো চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,

—“কি রে এতক্ষনে এলি তুই? আমরা সেই কখন থেকে তোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সারা রাত আমি আর হিমুর বাবা ঘুমোই নি। এক্ষনি আমাদের বাড়ি যেতে হবে।”

—“কেনো মা? পুরো কেবিনটা তো ফাঁকাই পড়ে ছিলো। অন্য পাশের বেডটাতে আপনারা ঘুমিয়ে পড়তেন!”

—“আমরা ঘুমিয়ে পড়লে ছেলেটার যদি অযত্ন হতো। তাই ঘুমোই নি। যাই হোক, দেরি হলে ও তুই এসেছিস আমাদের জন্য খুব ভালো হলো রে।”

বাবা হামি তুলে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো। মা মলিন হেসে ঘুমন্ত হিমুর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আমার কাছে এগিয়ে এসে বলল,,,

—“খেয়াল রাখিস ছেলেটার। দুপুরের মধ্যেই আমরা ফিরে আসব। কোনো কিছুর দরকার পড়লে রাহাতকে কল করিস। রাহাত অবশ্যই হেল্প করবে।”

আমি মাথা নাঁড়িয়ে হ্যাঁ বুঝালাম। মা হঠাৎ ভ্রু কুঁচকে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে বলল,,,

—“কিরে রূপা। তোর চোখ, মুখ এমন ফুলে আছে কেনো? দেখে মনে হচ্ছে খুব কেঁদেছিস!”

আমি অট্ট হেসে মায়ের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,

—“বুঝলাম না মা। আমার এই করুন অবস্থা দেখে আপনি এতো উদ্বিগ্ন হচ্ছেন কেনো? ভুলে যাচ্ছেন কেনো আজকের এই দিনটা আপনারই তৈরী?”

মা মুহূর্তের মধ্যেই চোখ লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,

—“তুই নিজেই নিজের কারনে কষ্ট পাচ্ছিস রূপা। আমি কোনো ভুল করি নি। ভুল তো তোর রূপা। তুই নিজেই তোর স্বামীকে আটকে রাখতে পারছিস না। ঘরে এতো সুন্দুরী বৌ থাকা সত্ত্বে ও তোর স্বামী পর নারীর প্রতি আসক্ত। কেনো বল তো? কেনো বিয়ের পাঁচ মাস পরে ও হিমু ঐ নাবিলার পিছনেই পড়ে আছে? কেনো তোকে আপন করে নিচ্ছে না কেনো?”

—“কারণ, ভালোবাসা জোর করে হয় না মা। এবার ঘরে যতোই সুন্দুরী বৌ থাক না কেনো! আর আপনি চাইলে ও আপনার দোষ ঢাকতে পারবেন না। কারণ, আপনিই জোর করে হিমুর মনের বিরুদ্ধে গিয়ে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে উনাকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। তাই আমার দিকে অযথা আঙ্গুল তুলবেন না মা। আমি আর যাই হই আপনার মতো স্বার্থপর নই।”

—“মা হয়ে ছেলের এক্টু সুখ দেখতে চেয়েছিলাম। এটাই কি আমার অন্যায় রূপা? নাবিলা আর কতো দিনই বা বাঁচবে? যেকোনো সময় সে হুট করে চলে যাবে৷ তখন আমার ছেলেটার কি হতো রূপা? বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় বৌ মারা গেছে। ব্যাপারটা কতো বিশ্রি হতো বল? আমার ছেলের জীবনে এক্টা দাগ পড়ে যেতো৷ কোনো ভালো পরিবারের মেয়েই আমার ছেলেকে বিয়ে করতে চাইত না। বলত ছেলে আগে ও এক্টা বিয়ে করেছে। বৌ মারা গেছে। কোনো অবিবাহিত মেয়েই আমি আমার ছেলের জন্য পেতাম না।”

—“ছেলের সুখ চাইতে গিয়ে আপনি আরেকটা মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিলেন মা৷ সাথে মৃত্যুপথচারী নাবিলার জীবনটাও। তিন তিনটে মানুষের জীবন আপনি সমানে নষ্ট করে দিলেন মা। আমি হয়তো আপনাকে কখনো ক্ষমা করতে পারব না মা। কখনো না!”

—“তুই আমাকে ভুল বুঝছিস রূপা৷ আমি কারো জীবন নষ্ট করি নি। নাবিলা নিজেই আমাকে বলেছিলো হিমুর বিয়ে দিতে। মৃত্যুর আগে সে হিমুর সুখী জীবন দেখে যেতে চায়। হিমুকে হাসি, খুশি দেখতে চায়। তাই তো আমি নাবিলার সম্মতি নিয়েই হিমুর বিয়েটা তোর সাথে ফিক্সড করি৷ তবে নাবিলা আমাকে শর্ত দিয়েছিলো হিমু যেনো এই ব্যাপারে কিছু না জানে। জানলে সে নাবিলাকে ভুল বুঝবে। বিয়েটাই করতে চাইবে না। তাই তো আমি বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে হিমুকে তোর সাথে বিয়ে দেই। তবে এটা সত্যি যে, আমিই নাবিলার চিকিৎসার খরচ চালাচ্ছি এবং যতোদিন বেঁচে থাকবে একইভাবে চালিয়ে যাবো!”

—“সত্যিই মা? নাবিলা আপনাকে বলেছে হিমুর বিয়ে অন্য কোথাও দিতে?”

—“হ্যাঁ রূপা। বিশ্বাস কর নাবিলাই আমাকে বলেছে হিমুর বিয়ে দিতে।”

আমি কিছুক্ষন চুপ থেকে মা কে বললাম,,,

—“আপনি যান মা। বাইরে বাবা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।”

মা এক্টা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো। বুঝতে পারলাম নাবিলা হিমুকে কতোটা ভালোবাসে৷ ভালোবাসে বলেই হয়তো মৃত্যুর আগে হিমুর সুখি জীবন দেখতে চেয়েছিলো, হিমুর হাসি, খুশি দেখতে চেয়েছিলো। কিন্তু বেচারী এটাই বুঝে নি, এসব করতে গিয়ে অজান্তেই সে ভালোবাসার মানুষটাকেই কষ্ট দিয়ে ফেলল। তার সাথে অন্যায় করে ফেলল। তার মনটাকে ভেঙ্গে দিলো। সাথে ছেলের কাছে তার মা কে ও ছোট করে দিলো। মাঝখান থেকে আমার জীবনটা ও নষ্ট করে দিলো! যাই হোক, আমার এখন ওদের মাঝখান থেকে সরে আসা উচিত। হিমুর ইচ্ছেটাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

ধীর পায়ে হেঁটে আমি হিমুর বেডের পাশটায় বসলাম। নাক টেনে ঘুমুচ্ছে হিমু। আর আমি দুচোখ ভরে উনাকে দেখছি। কিছুদিন পরে হয়তো উনাকে এভাবে এতোটা কাছ থেকে দেখার সুযোগ হবে না আমার। তাই যতোদিনই এখানে আছি দু চোখ ভরে উনাকে এক্টু দেখে নেই। এর মাঝেই লক্ষ্য করলাম হিমুর চোখের পাতা খানিক নড়েচড়ে উঠল। বুঝতে পারলাম ঘুম ভেঙ্গেছে উনার। এক্ষনি চোখ মেলে তাকাবে। তাড়াহুড়ো করে আমি উনার কাছ থেকে সরে পড়লাম। অমনি উনি চোখ মেলে এদিক সেদিক তাকালো৷ আমাকে দেখা মাএই উনি মিটিমিটি চোখে মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল,,,

—“গুড মর্ণিং ফ্রেন্ড!”

আমি মলিন হেসে বললাম,,,

—“গুড মর্নিং হিমু।”

—“কখন এলে?”

—“এই তো এখনই।”

—“কাল রাতে আমাকে না বলেই বাড়ি চলে গিয়েছিলে কেনো?”

—“আসলে খুব টায়ার্ড লাগছিলো তো তাই।”

—“আমি রাতে তোমাকে অনেক খুঁজেছি। পরে মা বলল তুমি বাড়ি চলে গেছো।”

—“কেনো হিমু? কোনো দরকার ছিলো?”

—“দরকার তো ছিলোই!”

—“কি দরকার?”

—“আসলে আমি বাড়ি যাবো রূপা। হসপিটালে দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার। তাছাড়া নাবিলার কাছে ও আমাকে যেতে হবে রূপা। তাই ভীষণ এক্সাইটেড আমি।”

আমি জোরপূর্বক হেসে বললাম,,

—“এই কারণ? এই জন্য আপনি আমাকে খুঁজছিলেন?”

—“হুম। এর বাইরে আর কি কারণ হতে পারে?”

কথাটা বলেই হিমু শোয়া থেকে উঠার চেষ্টা করছিলো। হয়তো উনি বসতে চাইছেন। তবে কিছুতেই শোয়া থেকে উঠতে পারছেন না। শরীরের জখম গুলো বড্ড চেঁপে বসেছে। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আমি তাড়াহুড়ো করে উনার দু কাঁধে হাত রেখে বললাম,,,

—“আমি সাহায্য করছি হিমু। আপনি একা পারবেন না।”

হিমু মলিন হেসে আমার দিকে তাকালো। আমি অনেক সতর্কতার সাথে উনাকে টেনে ধরে উঠিয়ে বেডের কার্ণিশ ঘেঁষে বসালাম। উনি কয়েকটা বড় বড় শ্বাস ফেলে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,

—“থ্যাংকস রূপা।”

প্রতি উত্তরে কিছু বললাম না আমি। শুধু জোর পূর্বক হাসলাম। উনি বেডের কার্ণিশে মাথা ঠেকিয়ে মুখটাকে কালো করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,

—“আমি কবে পুরোপুরি সুস্থ হবো রূপা? নাবিলাকে ছাড়া যে আমার এক্টা মুহূর্ত ও ভালো লাগছে না। প্লিজ কিছু এক্টা করো। আমাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তোলো।”

আমি হালকা হেসে বললাম,,,

—“তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনেক ফলমূল খেতে হবে, পরিমানমতো খাবার খেতে হবে, মেডিসিন ও প্রোপার্লি নিতে হবে, নিয়ম করে তিন বেলা হাঁটার প্র্যাক্টিস করতে হবে, দুধ ডিম খেতে হবে এবং পাশাপাশি আমার সমস্ত কথা শুনতে হবে।”

—“ব্যাস এটুকুই? এসব করলে আমি সুস্থ হয়ে যাবো?”

—“হ্যাঁ হিমু। খুব জলদি সুস্থ হয়ে উঠবেন।”

উনি হঠাৎ বাচ্চাদের মতো মুখ ফুলিয়ে বলল,,,

—“সব ঠিক আছে। তবে দুধ, ডিম, ফলমূল আমার পছন্দ না রূপা! এই তিনটা জিনিস বাদ দিয়ে দাও।”

উনার এমন বাচ্চামী ফেইস দেখে আমার খুব হাসি পেয়ে গেলো। আমি চাঁপা হাসি দিয়ে বললাম,,,

—“আজ্ঞে না জনাব। সব বাদ দিলে ও এই তিনটা জিনিস বাদ দেওয়া যাবে না। আমি মন থেকে দুঃখিত।”

কথাটা বলেই আমি উনার এক্টু কাছে এগিয়ে গিয়ে বললাম,,,

—“হিমু আপনি এক্টু উঠার চেষ্টা করুন। আপনাকে এক্ষনি ফ্রেশ হতে হবে। দেন নাশতা এন্ড মেডিসিন।”

হিমু হঠাৎ ই কাঁদো কাঁদো মুখ করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,

—“রূপা আমার না এক্টু “ইয়ে” ও পেয়েছে। ভেবেছিলাম রাহাত এলে বলব। কিন্তু ঐ শালা তো এখনো এলো না।”

—“ইয়ে মানে কি হিমু?” (চাঁপা হেসে)

—“আরে ইয়ে মানে বুঝছ না?”

—“না তো। ইয়ে মানে কি?”

উনি খানিক ক্ষীপ্ত হয়ে বলল,,,

—“তুমি ইচ্ছে করে মজা নিচ্ছ না?”

আমি এবার গলা ঝাঁকিয়ে কিছুটা সিরিয়াস হয়ে বললাম,,,

—“এই পা নিয়ে আপনি কিভাবে ওয়াশরুমে যাবেন হিমু? পারবেন না তো!”

উনি মুখটা কাচুমাচু করে বলল,,,

—“ইসসসস পারতে হবে রূপা। না হয় এক্ষনি ইন হয়ে যাবে!”

আনমনেই আমি হু হা করে হেসে বললাম,,,

—“ইন হওয়ার চেয়ে ভালো আমি আপনাকে এক্টা পলিব্যাগ এনে দেই!”

উনি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো। ভয়ে হাসি চেপে আমি আমতা আমতা করে বললাম,,,

—“ওওওয়াশরুম পর্যন্ত আপনি হেঁহেহেটে হেঁটে যেতে পারবেন তো?”

উনি দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলল,,,

—“তুমি সাহায্য করলেই পারব।”

—“ওকে আপনি বসুন। আমি আগে দেখে আসি ওয়াশরুমে হাই কমোড আছে কি না!”

উনি এক্টা স্বস্তির শ্বাস ছেড়ে বলল,,,

—“তাহলে তো খুব ভালো৷ যাও যাও তাড়াতাড়ি দেখে এসো।”

আমি দ্রুত পায়ে হেঁটে ওয়াশরুমের ভেতরটায় যেতেই হাই কমোড দেখতে পেলাম। মনে মনে বেশ খুশি হয়ে আমি উনার কাছে ধেঁয়ে এসে বললাম,,,

—“আসুন হিমু। হাই কমোডের ব্যবস্থা আছে।”

উনি আস্তে ধীরে পা ফেলে বেড থেকে মাটিতে পা রাখল। আমি কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছি৷ দেখতে চাই উনি কিভাবে আমাকে কাছে ডাকে। মাটিতে পা রেখে এক কদম সামনে বাড়াতে নিলেই উনি হঠাৎ ব্যাথায় কুঁকিয়ে অসহায় দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,

—“ফ্রেন্ড। প্লিজ হেল্প মি!”

আমি মলিন হেসে ধেঁয়ে এলাম উনার কাছে। দু হাতের বাহু ডোরে উনাকে শক্ত করে আবদ্ধ করে নিলাম। উনার দিকে তাকাতেই খেয়াল করলাম উনি এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। উনার এই চোখের ভাষা আমি পড়তে পারছি না৷ তবে টের পাচ্ছি উনি বেশ আশ্বস্ত আমার প্রতি৷ উনার স্পর্শে আমার শরীরটা বার বার কাঁটা দিয়ে উঠছে। মনের ভেতর অদ্ভুত এক ভালো লাগা দোল খেলে যাচ্ছে। জানি না এই একই অনুভূতি উনার হচ্ছে কিনা! তবে মন বলছে আমার প্রতি উনার কোনো অনুভূতি ই নেই। উনার সব অনুভূতি নাবিলাকে ঘিরে!

নিজেকে কোনো রকমে সামলে আমি উনার থেকে চোখ সরিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হলাম। সামনে কদম বাড়াতে উনার যেনো কোনো প্রকার কষ্ট না হয় সেদিকে আমার গভীর মনযোগ। কারণ উনার কষ্টটা সরাসরি আমার বুকে গিয়ে বিঁধবে। সীমাহীন যন্ত্রনায় ভেতরটা ফেঁটে যাবে!

খুব সাবধানতার সাথে আমি প্রায় অনেকটা সময় পর উনাকে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলাম। হাই কমোডের কাছটায় যেতেই উনি আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,

—“তুমি এখন যেতে পারো রূপা। আমি একা পারব৷”

—“ওকে৷ ওয়াশরুমের দরজার বাইরে আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করছি। আপনার হয়ে গেলে আমাকে ডেকে নিবেন।”

—“দরজাটা অবশ্যই লাগিয়ে যাবে!”

—“ভয় নেই৷ দরজা না লাগালে ও আমি ভেতরের কিছু দেখব না।”

উনি ভ্রু উঁচু করে আমার দিকে তাকালো। আমি মিটিমিটি হেসে এক্টা টিস্যু উনার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললাম,,,

—“নিন টিস্যুটা।”

উনি হাত বাড়িয়ে টিস্যুটা উনার হাতে নিলো। আমি হেসে হেসে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে এলাম। একই সাথে ওয়াশরুমের দরজাটা ও লাগিয়ে দিলাম। হাসতে হাসতেই খেয়াল করলাম আমার গাঁ টা খুব জ্বলছে। জ্বরের তাপটা এখন আবার বেড়েছে। ক্ষনিকের জন্য এক্টু শান্তিতে ছিলাম। জ্বরটা হয়তো কিছুক্ষনের জন্য দমন ধরেছিলো। এখন আবার হুট করেই বেড়ে গেলো। খুব শীত শীত অনুভূতি হওয়ায় আমি শাড়ির আঁচল দিয়ে শরীরটা ভালো করে মুড়ে নিলাম। এর মাঝেই হিমুর ডাক এলো। উনি ভেতর থেকে আমাকে ডেকে বলল,,

—“রূপা আমার হয়ে গেছে। প্লিজ এসো।”

আমি দৌঁড়ে ওযাশরুমে ঢুকে পড়লাম। আবারো আগের মতো উনাকে দুই হাতে আবদ্ধ করে নিলাম। আচমকাই উনি ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,

—“রূপা তোমার গাঁ এতো গরম কেনো?”

#চলবে?????

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here