তুমি_আমারই_রবে
পর্ব_১৪
#Nishat_Jahan_Raat (ছদ্মনাম)

“হিমুর রূপা?”

“একদমই না। হিমুরা কখনো রূপার হাত ধরে না।”

“তা ঠিক। তবে হিমুদের কিন্তু রূপার প্রতি একটা আলাদা টান থাকে।”

“বাস্তবটা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের উপন্যাস নয়। বাস্তবে রূপারা কেবলই হিমুর থেকে অবহেলা পায়।”

“আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রূপার জীবনে ও কি কোনো হিমু ছিলো? একটু বেশিই সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছেন তো তাই বললাম।”

“না। এই রূপার জীবনে কোনো হিমু ছিলো না। না কখনো আসবে৷ রূপা একা থাকতে অভ্যস্ত।”

মিঃ মেহুলের সামনে থেকে সরে এলাম আমি। দ্রুত পায়ে হেঁটে আমি বেড রুমে ঢুকতে গেলেই মিঃ মেহুল আমাকে পেছন থেকে ডেকে বললেন,,,

“মানুষ কখনো একা থাকতে পারে না রূপা। আপনি ও পারবেন না। আপনি শুধু রূপা নন আপনি একজন মানুষ। হিমু না এলে ও হিমুর পরিবর্তে কেউ একজন তো আসবেই!”

“মানুষ অভাস্যের দাস মেহুল। যতোদিন যাবে অভ্যেসটা রক্তে মিশে যাবে। আমি জানি, আমার একা থাকার অভ্যেসটা ও একদিন রক্তে মিশে যাবে। তাছাড়া, হিমুর পরিবর্তে আমার অন্য কাউকে চাই না!”

দ্রুত কদমে হেঁটে আমি রুমে চলে এলাম। যতোই চাই হিমু নামটাকে ভুলতে ততোই যেনো লোকজন আমার মাথায় ঐ নামটা আরো বেশি করে ঢুকিয়ে দিবে। শুধু নামটাকে না হিমু নামের মানুষটাকে ও আমি ভুলতে চাই। আজীবনের জন্য ভুলে যেতে চাই। জানি না, কথাগুলো আমি অভিমান থেকে বলছি না মন থেকে বলছি। তবে এতোটুকু জানি রূপার জীবনে হিমুর কোনো জায়গা নেই। রূপা নামে মাএ হিমুর স্ত্রী হয়ে আছে। মন থেকে হিমু রূপার ধরা ছোঁয়ার বাইরে!

ওয়াশরুমে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে। শুধু ফ্রেশ হলে হবে না মাথায় ১০ লিটার পানি ঢালতে হবে। সকাল সকাল মাথাটা হুট করেই গরম হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে মাথা থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছে। লম্বা একটা শাওয়ার নিয়ে আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে এলাম। ভেজা টাওয়ালটা ব্যালকনীতে নেড়ে দিলাম। আমার পর পরই নীলা ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো। লামিয়া বেডের উপর বসে ফোনে স্ক্রলিং করছে। আমি সদর দরজার দিকে উঁকি মারতেই দেখলাম মিস্ত্রী চলে এসেছে। মিঃ মেহুল মিস্ত্রীকে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন। আর হাত নেড়ে নেড়ে বলছেন দুপুরের আগেই দরজাটা ঠিক করে দিতে। দূর থেকে মিঃ মেহুলকে খুব ক্লান্ত লাগছিলো। সেট করা সিল্কি, সুন্দর চুল গুলো খানিক উসকো খুসকো হয়ে গেছে। কপাল বেয়ে ঘাম পড়ছে। সাদা ফর্সা মুখটা রোদে যথেষ্ট লাল হয়ে গেছে। শার্টের কলারটা ও কেমন পেছন দিকে হেলে গেছে, ফোল্ড করা হাঁতা গুলো একটু একটু করে ভাঁজ থেকে হাতের কব্জিতে এসে পড়ছে, খুব মায়া কাজ করছিলো লোকটার উপর। লোকটা হয়তো নিজে ও ভাবতে পারেন নি, মজার ফল এতোটা ভয়ঙ্কর হবে। মনে মনে হয়তো উনি ও বেশ পস্তাচ্ছেন।

লামিয়ার পাশে বসে আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে লামিয়াকে বললাম,,,

“লামু। শুন না। মাথাটা খুব ব্যাথা করছে। এক কাপ ধোঁয়া উঠা গরম চা খেলে হয়তো খুব ভালো হতো।”

“তো, বানিয়ে নে। কে বারণ করল?”

“চাপাতা ফুরিয়ে গেছে। একটু দোকানে যাবি?”

“আমি পারব না বইন। মিঃ মেহুলের সামনে দোকানে যেতে আমার লজ্জা করবে।”

“মিস্ত্রী গুলোকে ও এখনো চা দেওয়া হলো না। ব্যাপারটা খুব খারাপ দেখায় না?”

“কিসের খারাপ? দু, তিন ঘন্টার কাজ ই তো। কাজ শেষে না হয় উনাদের এক্সটা চায়ের বিল দিয়ে দিবো।”

“সবকিছু টাকা দিয়ে বিচার করলে হয় না। মনুষ্যত্বের ও একটা ব্যাপার আছে। আমি নিজেই দোকানে যাচ্ছি।”

লামিয়া হঠাৎ আমার দু গাল টেনে বলল,,,

“আমি তো ভুলেই গেছিলাম তুমি হলে মনুষ্যত্বের রাণী৷ যাও বাবু দোকানে যাও। ঘুড়তে বের হলে তোমাকে এক প্লেইট ফুসকা বেশি খাওয়াবো।”

“কথা দিয়েছিস কিন্তু। না খাওয়ালে তোর পেটে ডায়রিয়া হবে।”

হাসতে হাসতে আমি বসা থেকে উঠে পার্স থেকে টাকা নিয়ে মাথায় বড় করে একটা ঘোমটা টেনে বেড রুম থেকে বের হয়ে সদর দরজার কাছে এলাম। মিঃ মেহুল আমাকে দেখা মাএই হালকা হেসে বললেন,,,

“কি ব্যাপার মিস রূপা? কোথায় যাচ্ছেন?”

আমি আমতা আমতা করে বললাম,,,

“সামনের দোকানে যাচ্ছি।”

“কেনো?”

“চাপাতা কিনতে।”

উনি হঠাৎ মুখটা কালো করে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,

“এই রোদের মধ্যে?”

“এই রোদ তো কিছুই না। দুপুরে রোদ আরো কড়া হয় তখন বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় না।”

“আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। আমি এনে দিচ্ছি।”

“আরে না না মিঃ মেহুল। আমি পারব। প্লিজ আপনি কোথাও যাবেন না।”

“আমি তো যাবোই।”

“আপনি পারবেন না মিঃ মেহুল। আপনার সাথে এসব যায় না। আমেরিকা ফেরত ছেলে নাকি সামান্য ভাড়াটিয়ার জন্য দোকানে যাবে? তাও আবার চাপাতা কিনতে? ব্যাপারটা খুব বেমানান লাগে।”

“আপনি যদি একটা মেয়ে হয়ে দোকানে যেতে পারেন, তাহলে আমি কেনো ছেলে হয়ে পারব না? তাছাড়া আমেরিকায় থাকলে ও একজন স্বদেশি ছেলে হওয়ার দায়িত্ব আমি এড়িয়ে যেতে পারি না। আর নিজেকে সামান্য কিছু ভাববেন না। কারো কাছে হয়তো আপনিই তার পৃথিবী!”

মিঃ মেহুল পিছু ঘুড়ে দোকানের দিকে রওনা হলেন। আমি পেছন থেকে উনাকে ডেকে বললাম,,,

“আরে টাকা টা তো নিয়ে যান। টাকা ছাড়াই চলে যাচ্ছেন।”

উনি পিছু ঘুড়ে বললেন,,,

“টাকাটা আপনার কাছে জমা থাকুক। কখনো প্রয়োজন পড়লে চেয়ে নিবো।”

“জমা রাখলাম। প্রয়োজনে কিন্তু চেয়ে নিবেন।”

প্রতি উত্তরে কিছু না বলে উনি মৃদ্যু হেসে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন। আমি কিছুটা আনমনা হয়ে উনার যাওয়ার পথে তাকিয়ে আছি। ছেলেটা আসলেই খুব ইমপ্রেসিভ। ছেলে হও তো এমন হও। যে শুধু পরিবার না আশেপাশের মানুষদের ও স্ব-স্ব দায়িত্ববোধ থেকে সাহায্য করবেন। তবে উনার একটা কথা আমার পছন্দ হয় নি। আর যাই হোক আমি অন্তত কারো পৃথিবী হতে পারি নি। না কেউ আমাকে কখনো পৃথিবী সমান দাম দিয়েছে। সবাই শুধু আমাকে অবহেলা করেছে, ছেড়ে গেছে, আর পাহাড় সমান কষ্ট দিয়েছে।

চুলায় চায়ের পানি বসিয়ে দিয়েছি আমি। এবার শুধু চাপাতাটা এলেই ফুটন্ত পানিতে পাতা গুলো ছেড়ে দিবো। দুধ, চিনি আলাদা জায়গায় মিক্স করে রেখেছি। নাশতার প্লেইটে ড্রাই কেক আর নিমকি সাজিয়ে রেখেছি। অপেক্ষা শুধু মিঃ মেহুলের। প্রায় দশ মিনিট পর মিঃ মেহুল হাতে করে চাপাতার প্যাকেট নিয়ে আমাদের কিচেন রুমে ঢুকে পড়লেন। রোদে প্রায় ঘেমে গেছেন উনি। ডান হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে উনি কপালের ঘাম গুলো মুছতে মুছতে আমার কাছে এগিয়ে এসে বললেন,,,

“উফফফ বাইরে এত্তো রোদ৷ আমার বদলে যদি আপনি বাইরে যেতেন না এতক্ষনে নির্ঘাত গলে যেতেন।”

আমি উনার হাত থেকে চাপাতার প্যাকেট টা নিয়ে হালকা হেসে উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,,

“মোটেই না। আমি এসবে অভ্যস্ত। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে রোজ আমাকে অফিসে যেতে হয়।”

“এতো কষ্টের পিছনে মোটিভটা কি আপনার? নিশ্চয়ই পরিবারের জন্য?”

“না। শুধু নিজের জন্য৷ আপনি এখানেই দাঁড়ান। আমি আপনার জন্য ঠান্ডা পানি আনছি।”

মিঃ মেহুলকে ক্রস করে আমি ফ্রিজ থেকে পানি নামিয়ে গ্লাসে ঢেলে পানির গ্লাসটা উনার দিকে এগিয়ে দিলাম। উনি গ্লাসটা হাতে নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,

“না বলতেই বুঝে নিলেন? আসলে আমার খুবই পিপাসা পেয়েছিলো!”

“আপনাকে এই ঘর্মাক্ত অবস্থায় দেখলে যে কেউ বুঝে নিবে আপনার পানির পিপাসা পেয়েছে।”

ফুটন্ত পানিতে চাপাতা ঢেলে দিলাম আমি। অমনি একটা সুন্দর ঘ্রাণ নাকে এলো। মিঃ মেহুল পানিটা খেয়ে চোখ বুজে নাক টেনে চায়ের ঘ্রাণ নিয়ে বললেন,,,

“আঃহ্ কি সুন্দর ঘ্রাণ। আপনাকে দেখলেই বুঝা যায় আপনি খুব ভালো চা বানান।”

চায়ের লিকারটা আমি দুধ, চিনির মিশ্রণে ঢালতে ঢালতে আনমনেই বললাম,,,

“হিমু ও একবার বলেছিলো, আমার হাতের চা খুব ভালো হয়।”

“হিমু কে?”

এতক্ষনে ধ্যান ফিরল আমার। আমি আমতা আমতা করে মিঃ মেহুলকে বললাম,,,

“না কেউ না। আপনি বসার ঘরে গিয়ে বসুন। আমি চা আনছি।”

উনি রান্নাঘর থেকে প্রস্থান নেওয়ার আগে হঠাৎ আমার উড়নায় উনার কপালের ঘাম গুলো মুছে দৌঁড়ে রান্নাঘর থেকে বের হচ্ছেন আর বলছেন,,,

“স্যরি রূপা। টিস্যুর বদলে আপনার সফট উড়নাটা ইউজ করলাম। প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড।”

আমি বেকুব হয়ে উনার যাওয়ার পথে তাকিয়ে আছি। ছেলেটা খুব ছটফটে প্রকৃতির বলেই হয়তো আসার পর থেকে আমার সাথে খুব মিশছে আবার হুটহাট এবনরমাল কাজ করে বসছে। সত্যিই উনার কান্ড কীর্তি আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। চা আর নাস্তার প্লেইট গুলো নীলা ট্রে তে সাজিয়ে দিলো। এর থেকে তিনটা চায়ের কাপ আমাদের জন্য আলাদা করে রাখল। আমি দুজন মিস্ত্রী আর মিঃ মেহুলের জন্য ট্রে ভর্তি চা, নাশতা নিয়ে সদর দরজার কাছে এলাম। মিঃ মেহুল হাসি মুখে চায়ের কাপ গুলো নিয়ে মিস্ত্রীদের হাতে তুলে দিলেন। সাথে বিস্কিট আর নিমকি ও। শেষের কাপটা মিঃ মেহুল উনার হাতে নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,

“ঘ্রানেই এতোটা স্বাদ পাচ্ছি। না জানি খেলে কতোটা স্বাদ পাবো।”

আমি হালকা হেসে বললাম,,,

“আগে তো খেয়ে দেখুন।”

চায়ে প্রথম চুমুক দিয়ে উনি বেশ তৃপ্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,

“আপনার হাতের এই সুস্বাদু চা টা কিন্তু আমি রোজ সকালে খেতে চাই।”

“তাহলে রোজ সকালে আমাদের ফ্ল্যাটে চলে আসবেন। বানিয়ে দিবো।”

“প্রমিস করছেন কিন্তু?”

“পাক্কা প্রমিস।”

ট্রে হাতে নিয়ে আমি রান্না ঘরে চলে এলাম। রান্না ঘরটা গুছিয়ে গরম চা টা খেয়ে আমি বেড রুমে চলে এলাম। লামিয়া আর নীলা এতক্ষনে হাফ রেডি হয়ে গেছে। আজ সারাদিন বাইরে হ্যাং আউট করবে বলে। আমি ও কালো রঙ্গের একটা থ্রি পিস পড়ে চোখে হালকা কাজল, ঠোঁটে পিংক কালার লিপ বাম, কপালের মাঝখানে ছোট একটা কালো টিপ, চুলের মাঝখানে সিঁথি কেটে চুল গুলো পেছনে দিয়ে ব্যাস রেডি হয়ে গেলাম। এই হালকা সাজেই আমার সাজ কমপ্লিট হয়ে গেলো। নীলা আর লামিয়া ও আমার মতো হালকা সেজেছে। আমরা তিনজনই সবসময় খুব হালকা সাজি। সাইড ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে আমরা তিনজন বেড রুম থেকে বের হয়ে এলাম। দুটো রুমে আমরা পাকাপোক্ত দুটো তালা লাগিয়ে সদর দরজার কাছে চলে এলাম। মিঃ মেহুলকে দেখা যাচ্ছে না কোথাও। শুধু মিস্ত্রী গুলো মনযোগ দিয়ে উনাদের কাজ করছেন। আমি মিস্ত্রী গুলোকে উদ্দেশ্য করে বললাম,,,

“ভাইয়া আমরা একটু বাহিরে যাচ্ছি। আপনাদের কাজ হয়ে গেলে দরজাটা বাইরে থেকে লাগিয়ে যাবেন। এই নিন দরজার তালা।”

তালাটা আমি একজন মিস্ত্রীর হাতে তুলে দিলাম। মিস্ত্রীটা আমাকে আশ্বস্ত করে বললেন,,,

“আচ্ছা আপনারা যান। কাজ হয়ে গেলে তালা লাগিয়ে দিবো।”

তিনজনই হাত ধরাধরি করে রাস্তায় চলে এলাম। রিকশার জন্য অপেক্ষা করছি আমরা। সামনে একটা পার্ক আছে ওটাতে যাবো ভেবে রেখেছি। অমনি মনে হলো কেউ খুব দূর থেকে আমার নাম ধরে ডাকছে। রাস্তার এদিক সেদিক তাকিয়ে ও কাউকে দেখলাম না। তখন মনে হলো কোনো ছেলে আমাকে ডেকে বলছেন,,,

“রূপা উপরের দিকে তাকান।”

উপরের ফ্ল্যাটের দিকে তাকাতেই দেখলাম মিঃ মেহুল তিন তালার ব্যালকনি থেকে উন্মুক্ত শরীরে দাঁড়িয়ে আমাকে খুব জোরে জোরে ডেকে বলছেন,,,

“রূপাপাপা। কোথায় যাচ্ছেন আপনি?”

লামিয়া, নীলা সহ রাস্তার প্রায় অর্ধেক মেয়ে মিঃ মেহুলের দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছেন। উন্মুক্ত শরীরে উনাকে দেখতে খুব ড্যাশিং লাগছে। ছেলেটার আসলেই কোনো লজ্জা নেই। খালি গাঁয়েই ব্যালকনিতে কেমন দাঁড়িয়ে আছে। তাও আবার সব মেয়েদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমার নাম ধরে ডাকছে। লজ্জায় আমি উনার দিকে তাকাতে পারছি না। নিচের দিকে তাকিয়ে আমি জোরে চেঁচিয়ে বললাম,,,

“একটু পার্কের দিকে যাচ্ছি।”

আমার কন্ঠস্বর তিন তালা অব্দি পৌঁছালো না। উনি আবার আমাকে ডেকে বললেন,,,

“রূপা আপনার কথা শোনা যাচ্ছে না। আরেকটু জোরে বলুন।”

আমি আবার জোরে চেঁচিয়ে বললাম,,,

“পার্কে যাচ্ছিছিছি।”

“রূপা কিছু শোনা যাচ্ছে না। আপনি একটু দাঁড়ান। আমি এক্ষনি আসছি।”

উপরে তাকাতেই দেখলাম উনি ব্যালকনিতে নেই। হয়তো সত্যি সত্যিই নিচে নেমে আসছেন। লামিয়া আর নীলা আমাকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বললেন,,,

“মিঃ মেহুলকে একটু বেশিই পজেজিভ মনে হচ্ছে। কাহিনী কি বলতো?”

#চলবে,,,,,,💝

(হিমুর চ্যাপ্টার আপাতত ক্লোজ। নির্দিষ্ট সময়ে হয়তো হিমু আসতে পারে। তাই অপেক্ষায় থাকুন। গল্পের শেষে ভালো কিছু অপেক্ষা করবে। আজ ভেবেছিলাম গল্প দিবো না। সারা রাত জেগে থাকার কারণে খুব অসুস্থ ফিল করছি। যখন দেখলাম জেগে থাকাটা স্বার্থক হয়েছে। প্রিয় দল আর্জেন্টিনা জিতে গেছে। তখনই ভাবলাম জেতার খুশিতে কষ্ট করে হলে ও একটা পর্ব দেওয়া যায়🥱। রিচেইক করা হয় নি আজকের পর্ব। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here