#তুমি শুধু আমার
#লেখিকাঃমোনালিসা
#পর্বঃ৫
শফিক শেখের নাম শুনা মাএই মেঘ প্রচুর রেগে যায়,আকাশ মেঘ কে এতো রেগে যেতে দেখে সাথে সাথে মেঘের কাধে হাত রেখে বলে?
আকাশ;;রিলেক্স মেঘ, আমি এই দিক টা সামলে নিবো তুই চিন্তা করিস না।
মেঘ;;আমি জানি, তুই সব কিছু সামলে নিবি,আচ্ছা চলো আমার সাথে দাদির সাথে দেখা করবি,,তোকে দেখলে দাদি খুব খুশি হবে।এই বলে আকাশ আর মেঘ কাবিন থেকে বের হয়ে যায়।
“”চৌধুরী ভিলা””
মেঘ;;দাদি,,, দাদি ও দাদি দেখো কে এসেছে আমার সাথে?
এলিনা খান;;রুম থেকে বের হয়ে,কি হয়েছে দাদু ভাই এতো ডাকছো কেনো আর কে এসেছে?
—-মেঘ,তুমি সামনে এসেই দেখো দাদি কে এসেছে,তাকে দেখলেই তুমি খুশিতে পাগল হয়ে যাবে।
“এলিনা, এরে কে এ,,,,আ,,,আকাশ,,,আমার দাদু ভাই এসেছে না কি?
আকাশ;;কেমন আছো দাদি?
এলিনা খান;;ভালো আছি দাদু ভাই আর এখন তোমাকে দেখে আরও ভালো হয়ে গেছি।এতো বছর পর বুঝি এই বুড়ি দাদির কথা মনে পরলো?
—-কি আর করবো দাদি মেঘের অডার তাই মানতে হয়?
মেঘ,যা বাবা আমি আবার কি করলাম,হ্যাঁ মানছি আমি দুইদিকের কাজ একহাতে সামলাই, তুই তো আমার বন্ধু না ভাই, আর সেই সুবাধে তোকে আমি কাজের অডার দিতেই পারি।
মেঘ;;দাদি,বৃষ্টিকে দেখছি না যে?
এলিনা খান;;মনে হয়,রুমেই আছে।
মেঘ;;আচ্ছা তোমরা দুইজন কথা বলো আমি বৃষ্টি কে ডেকে আনছি,এই বলেই মেঘ উপরে চলে যায়।
মেঘ নিজের রুমে ঢুকে দেখে পুরো রুম ফাকাঁ,,কোথাও বৃষ্টিকে দেখা যাচ্ছে না বারান্দায় গিয়ে দেখে কিন্তুু বৃষ্টি কোথাও নেই,এইবার সত্যি সত্যি মেঘের চিন্তার হতে থাকে।মেঘ, যেই না বৃষ্টি বলে ডাক দিতে যাবে,,ওমনি বৃষ্টি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে। বৃষ্টি কে দেখা মাএই মেঘের পুরো থমকে যায়,আজকে বৃষ্টিকে খুব সুন্দর লাগছে। বৃষ্টি আজকে লাল শাড়ি পরেছে।লাল শাড়ি পরাতে বৃষ্টি অনেক মায়াবি লাগছে,বৃষ্টির আয়নার সামনে দাড়িয়ে তৈতি হচ্ছে আর এই দিকে কেউ যে তা কে দেখছে সে দিকে বৃষ্টির কোনো খেয়াল নেই।হঠ্যাৎ মেঘের চোখ যায় বৃষ্টির চুলের দিকে, কোমড় বেয়ে টুপ টুপ করে পানি পরছে,এক কথায় বৃষ্টিকে পুরো স্নিগ্ধ লাগছে।
—-মেঘ,সব কিছু ভুলে এক পা এক পা করে বৃষ্টির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। মেঘ সামনে গিয়ে বৃষ্টির কোমড়ে হাত রেখে নাক মুখ ডুবিয়ে ভিজা চুলে ঘ্রান নিতে থাকে।বৃষ্টি তার কোমড়ে কারও হাতের ঠান্ডা স্পর্শ পেয়ে কেপেঁ উঠে।আয়নার দিকে তাকালে বৃষ্টি চোখ যেনো রসোগোল্লা মতো হয়ে যায়,চোখের সামনে মেঘ কে দেখে।
বৃষ্টি;;কি,করছেন কি মেঘ ছাড়ুন আমাকে,প্লিজ মেঘ ছাড়ুন আমাকে?
মেঘ;;না,,,ছাড়বো না,,,নেশাভরা কন্ঠে বলে।
বৃষ্টি;;মেঘ ছাড়ুন বলছি প্লিজ,আমার খুব অসস্তি লাগছে, প্লিজ মেঘ?
মেঘ;; চুপ একদম চুপ আর একটা কথাও বলবে না, এই বলেই মেঘ সাথে সাথে বৃষ্টির দুবাহু ধরে সামনে ঘুরিয়ে বলে,এই ভাবে আমার সামনে এসো না “জানপাখি” তোমাকে এই ভাবে দেখলেই আমি পাগল হয়ে যায়, নিজেকে সামলে রাখতে খুব কষ্ট হয়,মনে হয় তখন কিছু একটা করে বসি।
বৃষ্টি,মেঘের এমন কথা শুনে লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখে আর মনে মনে ভাবে কিছুই আটকায় না লোকাটার মুখে,মেঘ বাকাঁ হেসে বলে, তুমি কি জানো লজ্জা পেলে তোমার গাল দুটো ইস্ট্রবেবির মতো লাল হয়ে যায়,তখন মনে হয় তোমাকে খেয়ে ফেলি।বৃষ্টি, এই কথা শুনা মাএই সাথে সাথে মেঘের কাছ থেকে সরে আসে বলে?
বৃষ্টি;;আপনার লজ্জা করেনা এইসব কথা বলতে, আপনাকে কত বার বলেছি আমাকে স্পর্শ করবে না।
মেঘ;;আরে,বিয়ে করা বউ আমার, আমি আমার বউ কে স্পর্শ করতেই পারি তাতে তোমার কি?
বৃষ্টি;;আরেএ,আপনি আমাকেই স্পর্শ করবেন, আর আমি বললেই সমস্যা।কি হই আমি আপনার?
মেঘ;;তুমি আমার বিয়ে করা বউ আমার জানপাখি,জানেমান।
বৃষ্টি;;তুমি আমার বউ, জানপাখি,জানেমান মুখ ভেঙ্গচি কেটে(মনে মনে বিরবির করে বলে)
—–না,,,,আমি আপনার বউ না,, আমি আপনার কেউ না, আপনি আমাকে জোর করে বিয়ে করেছেন,আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না শুনতে পেরেছেন আপ,,,,,,বাকি কথা বলার আগে মেঘের চোখ দেখে চুপ হয়ে যায়।
মেঘ রেগে সামনে গিয়ে এক হাতে বৃষ্টির চুলের মুঠি দরে আরেক হাতে দুগাল চেপে ধরে মেঘ দাঁতে দাতঁঁ চেপে বলে, আর একবার যদি তোমার মুখে এই কথা শুনি তাহলে তোমার সাথে কি হবে তা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না।
বৃষ্টি;;মেঘ এতোটাই শক্ত করে ধরেছে যে, বৃষ্টি সহ্য করতে না পেরে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়।প্লিজ, মেঘ প্লিজ আমাকে ছাড়ুন আমার লাগছে।
মেঘ, বৃষ্টির চোখের পানি দেখে সাথে সাথে ছেড়ে দেয়।
হঠ্যাৎ করেই দরজার সামনে সোনিয়া এসে মাথা নিচু করে বলে,
সোনিয়া;;স্যার, দাদি আম্মু আপনাকে আর ম্যাম দুজনকেই ডাকেছে।
মেঘ;;হুম,,এই বলেই মেঘ বৃষ্টি একসাথে রুম থেকে বের হয়ে নিচে আসে।
এলিনা,কিরে তোদের দুইজনের আসতে এতো দেরি হলো কেনো?
—আর বলনা দাদি, দেরি করে আসাতে বৃষ্টি অভিমান করেছে।
বৃষ্টি;;অবাক হয়ে মনে মনে বলে এতো পুরাই মিথ্যাঝুলির দোকান,,অভিনয় ভালো জানে।
মেঘ;;বৃষ্টি,এই হলো আকাশ,আমার ভাই আমার বন্ধু আর তোমার দেবর(আকাশের দিকে উদ্দেশ্য করে)
আকাশ;;আসসালামু ওয়ালাইকুম,
বৃষ্টি;;ওয়ালাইকুম আসসালাম।কেমন আছেন আকাশ ভাইয়া।
আকাশ;;আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
বৃষ্টি;;আপনারা বসে কথা বলুন আমি আসছি,, এই বলেই বৃষ্টি রান্না ঘরে চলে যায়।আজকে বৃষ্টি নিজের হাতে সব রান্না করেছে। রান্না শেষ করে বৃষ্টি বের হয়ে ।সার্ভেন্টদের বলে দেয়সব খাবার টেবিলে সাজিয়ে দিতে।
সবাই খাবার টেবিলের সামনে এসে পুরাই অবাক হয়ে যায়।পুরো টেবিল খাবার দিয়ে সাজানো।
এলিনা খান;;এতো কিছু রান্না করেছিস তুই,বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে।
বৃষ্টি;;মুচকি হেসে, কেনো দাদি একটা দিনের জন্যই তো রান্না করেছি,, আমাকে তো তোমরা রান্নাঘরে যেতেই দেও না(,মন খারাপ করে)
-এলিনা,আচ্ছা ঠিক আছে আর মন খারাপ করতে হবে না।
মেঘ;;এইসব খাবার তুমি একা রান্না করেছো কেনো?সার্ভেন্টরা তো ছিলো তাদের কে বললেই হতো।
আকাশ;;আরে মেঘ,তুই রাগ করছিস কেনো?বৃষ্টি তো সবসময় রান্না করে না,,আজকেই তো করেছে।
মেঘ;;তাই বলে ও রান্না করবে?
এলিনা;;আহা,দাদুভাই একদিনের জন্যই তো রান্না করেছে আজকের দিনে ছেড়ে দেও।
মেঘ;;ok fine.
আকাশ;;মেঘ, তোর বউ কে কি বলে ডাকবো, বউমনি না ভাবী?
—-মেঘ,তোর কাছে যেইটা ভালো লাগে।
আকাশ;;তাহলে আমি বৃষ্টিকে বউমনি বলে ডাকবো।
বৃষ্টি ;;আচ্ছা ভাইয়া, আপনি আমাকে বউমনি বলেই ডাকবেন।
এই বলেই সবাই একসাথে খাবার টেবিলে বসে পরে,,এইভাবেই ওদের সময় টা হাসিখুশিতে পার হয়ে যায়।
আমেরিকা,,,,
রাতুল;;হ্যালো স্যার,,,,ওপাশ থেকে,হুম বলো,,,স্যার মেঘ আহমেদ বিয়ে করেছে।
ওপাশ থেকে লোকটা চিৎকার করে বলে,কিইই বললে তুমি?মেঘ বিয়ে করেছে,,,তুমি সত্যি বলছো তো?
রাতুল;;হ্যা স্যার, আমি সত্যি বলছি,মেঘ আহমেদ বিয়ে করেছে।
ওপাশ থেকে লোকটা বললো,তুমি মেঘের উপর নজর রাখবে আর আমাকে সময় মতো সব খবর দিবে।
রাতুল;;ওকে স্যার, এই বলেই ফোন টা কেটে দেয়।
ফোন টা রাখার পর, লোকটা বাকাঁ হেসে বলে,, খুব তারাতারি দেখ হচ্ছে মেঘ,,এখন তো তোমার প্রান ভোমরার খবর পেয়ে গেছি,এই বলে লোকটা উচ্চস্বরে হাসতে থাকে,,,
এই লোকটা আর কেউ না শফিক শেখ,,,,
#চলবে,,,,,
লেখায় ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।