#তুমি শুধু আমার
#লেখিকাঃমোনালিসা
#পর্বঃ২
বৃষ্টি রুম থেকে বের হয়ে চোখের সামনে যাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখেই ভয়ে কাপতে থাকে, সে মানুষটা আর কেউ না? বৃষ্টির সামনে দাড়িয়ে আছে তার ভিলেন থুক্কু হিরো( মেঘ আহমেদ চৌধুরী)
—-বৃষ্টি,মেঘ কে দেখে অনেকটাই ভয় পেয়ে যায়।মেঘের চোখ যখন বৃষ্টির দিকে পরে তখন মেঘের পুরো পৃথিবী থমকে যায়।মেঘ,বৃষ্টির দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে থাকে আর অনমনে বলে উঠে(সত্যি তোমাকে আজ আকাশ থেকে নেমে আসা পরী লাগছে)এই বলে মেঘ বাকাঁ হাসি দিয়ে বৃষ্টির দিকে যেতে থাকে।
—মেঘ কে এগিয়ে আসতে থেকে বৃষ্টি এক পা এক পা পিছাতে থাকে, মেঘ, বৃষ্টি কে পিছিয়ে যেতে থেকে দ্রুত গিয়ে মেঘ বৃষ্টির হাতটা ধরে ফেলে।এতে বৃষ্টি অনেক টায় ভয় পেয়ে বলে উঠে ছাড়ুন আমাকে ছাড়ুন এই টা বলেই মেঘের হাত থেকে বৃষ্টি তার হাত ছুটানোর চেষ্টা করে, আর বৃষ্টি যখন মেঘের হাত থেকে নিজের হাত ছুটাতে চেষ্টা করেও পাচ্ছে না,তখন এইসময় কেউ একজন দৌড়ে এসে মেঘের হাত থেকে বৃষ্টির হাত ছাড়িয়ে নেয় আর বৃষ্টির সামনে এসে দাড়ায়, সেই ব্যাক্তি আর কেউ না, বৃষ্টির হবু হাসবেন্ড নিলয় খান। নিলয়ের সাথেই বৃষ্টির বিয়ে।নিলয় প্রথম দেখাতেই বৃষ্টি কে পছন্দ করে।নিলয় প্রচুর রেগে গিয়ে বলতে লাগলো?
নিলয়;;হ্যালো,মিষ্টার কে আপনি আর এই ভাবে আপনি আমার হবু বউয়ের হাত ধরলেছেন কোন সাহসে?আপনার সাহস হল কিভাবে বৃষ্টির হাত ধরার?
মেঘ;;এখন তো শুধু হাত টা ধরেছি তারপর বিয়ে করে বউ বানিয়ে আমার সাথে করে নিয়ে যাবো,বৃষ্টি শুধু এই আমার আর কারও না(জোরে চিৎকার করে বলে উঠে)এইসব কথা শুনা মাএই নিলয় রেগে গিয়ে মেঘে সার্টের কলার টেনে ধরে বলে?
নিলয়;;তোর সাহস হলো কি করে, তুই আমার হবু বউয়ের নাম নিচ্ছিস।তোকে আজকে মেরে আমি পুলিশের হাতে তুলে দিবো
এইটা বলেই নিলয় ফোন টা বের করে যেই না পুলিশ কে ফোন দিবে ওমনি মেঘ উচ্চসরে হাসি দিয়ে বলে?(বৃষ্টি কে দিয়ে দেনা রে নিলয়ের বাচ্চা কেনো সিংহ কে জাগাচ্ছিস🥶)
মেঘ;;নিলয়ের হাত থেকে নিজের কলারটা ছাড়িয়ে বলে,পুলিশ কে ফোন করবি হা হা হা, যতোই পুলিশ কে ফোন করিস,তারা এখানে আসবে না আর যদি আসে ও তারা আমার কিচ্ছু করতে পারবেনা এই বলেই মেঘ বাকাঁ হাসি দেয়।
নিলয়,কে তুই যে তোকে পুলিশ কিছুই করতে পারবেনা।
মেঘ তখন বলে,আমার পরিচয় পেলে তুই নিজেই বৃষ্টি কে আমার হাতে তুলে দিবি,মেঘের মুখে এই কথাটা শুনা মাএই বৃষ্টির বাবা বলে উঠে?
রায়হান রহমান;;তোমার সাহস তো কম না, তুমি আমার বাড়িতে এসে আমার সামনে দাড়িয়ে আমার মেয়ের কথা বলছো,কে তুমি?এই মূহুতে তুমি আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবে।
মেঘ;;কুল, কুল, কুল,শশুড় আব্বু এতোটাও হাইপার হবেন না, এমনিতেই আপনি হার্টের রোগি,এতো উচ্চসরে চিৎকার করলে আপনারই সমস্যা হবে শশুড় আব্বু।
—-আর হ্যাঁ কি যেনো বললেন আমি কে?মেঘ তখন রনি কে ইশারা করতেই,রনি বলতে শুরু করে?
রনি;;মিষ্টার রায়হান রহমান, নিলয় খান দুইজন কেই উদ্দেশ্য করে বলে)আপনারা হয় তো চৌধুরী গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রির কথা শুনেছেন।
-রায়হান,নিলয় একসাথে হ্যাঁ শুনেছি, তো এরসাথে এই লোকটার কি সম্পক?
রনি;;চৌধুরী গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রির মালিক সে আর কেউ না, আপনাদের সামনে যে দাড়িয়ে আছে সেই হচ্ছে (মিষ্টারঃমেঘ আহমেদ চৌধুরী)
মেঘের পরিচয় পাওয়া মাএ বৃষ্টির বাড়ির সকল উপস্থিত লোকেরা অবাক হয়ে যায় এমন কি রায়হান রহমান আর নিলয় সহ।
নিলয়;;আমেরিকা সবচেয়ে বড় মাফিয়া কিং আর কেউ না এই মেঘ আহমেদ চৌধুরী(অনমনেই বলে উঠে)।
রায়হান রহমান;;মেঘ, নামটাই শুধু শুনেছে সে যে একজন মাফিয়া সেইটাও শুনেছে কিন্তুু কখনো চোখে দেখেনি,,আর আজ তার চোখের সামনে আমেরিকার মাফিয়া কিং মেঘ আহমেদ দাড়িয়ে আছে।
—-মেঘ, সবার দিকে তাকিয়ে বাকাঁ হেসে বৃষ্টির দিকে এগিয়ে গিয়ে যেই না বৃষ্টির হাত দরে নিয়ে আসবে ওমনি আবার নিলয় এসে বাধাঁ দেয়,এইবার যেনো মেঘ প্রচুর রেগে যায়।মুহুতের মধ্যে মেঘের চেহারা লালবর্ণ ধারন করে ফর্সা চেহারা লাল হয়ে যায় কপালের রগগুলো ফুলে উঠে চোখ গুলা দিয়ে যেনো রক্ত ঝরছে এমন অবস্থা,এখন একটা মেঘকে হিংস্রমানব দেখাছে।
–মেঘের এই রকম চেহারা দেখে বৃষ্টি প্রচুর ভয় পেয়ে যায় আর সাথে সাথেই নিলয়ের পিছনে লুকিয়ে পরে, এইটা দেখা মাএই মেঘ আরও রেগে যায়।এক মূহুন্ত আর দেরি না করে মেঘ গিয়ে নিলয়ের পিছন থেকে বৃষ্টির হাত ধরে যেই না বের করে নিয়ে আসবে ওমনি নিলয় বৃষ্টির হাত ধরে ফেলে।(ভাই নিলয় তোর কি মরা সাধ জাগছে)
নিলয়;;বৃষ্টির হাত টা ছেড়ে দে মেঘ?
মেঘ;;আর যদি বৃষ্টির হাত না ছাড়ি তো?কি করবি তুই?
নিলয়;;ভালোই ভালোই বলছি মেঘ, বৃষ্টির হাত টা ছেড়ে দে?
—মেঘ,নিলয়ের সাহস থেকে বাকাঁ হেসে রনি কে ইশারা করতেই রনি আর কিছু গার্ড গিয়ে নিলয় আর বাকিদের সামনে গিয়ে বন্দুক তাক করে।সেই মুহুতেই নিলয় বৃষ্টির হাত ছেড়ে দেয়,আর উপস্থিত সবাই ভয়ে চুপ হয়ে যায়।
তখনই বৃষ্টি মেঘ কে বলে?
বৃষ্টি;;ছাড়ুন বলসি ছাড়ুন, আমার হাত ছাড়ুন, আমি আপনাকে বিয়ে করবো না আপনি একজন খুনি, আমি আপনাকে শুধু ঘৃনা করি?মেঘ,বৃষ্টির কথায় কান না দিয়ে সোজা বৃষ্টিকে নিয়ে কাজির সামনে দাড়ায়,কাজি তো মেঘ সামনে থেকে কাপাকাপি শুরু করে দেয়।
মেঘ;;কাজি সাহেব বিয়ে পরান?না আমি এই বিয়ে করবো না(বৃষ্টি জোরে চিৎকার করে কথাটা বলে)আমি আপনার মতো একজন মাফিয়া, খুনি কে বিয়ে করবো না।ছেড়ে দিন আমাকে?
বৃষ্টি;;আপনি কেনো আমার পিছু নিয়েছেন কি অপরাধ আমার, কেনো আমাকে শান্তি মতো থাকতে দিচ্ছেন না,যেদিন থেকে আপনার সাথে আমার দেখা হয়েছে সেই দিন থেকে আমার জীবন টা কালো আধাঁরে ঢেকে গেছে,শুধু মাএ আপনার কারনে, আমাকে প্রতিটা দিন ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় শুধু মাএ আপনার কারনে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় শুধু মাএ আপনার জন্য।
(এক নিঃশাসে বৃষ্টি কথা গুলো বলে থেমে যায়)
মেঘ;;কি বললে তুমি তোমার কোনো অপরাধ নেই, হা হা হা, হাসালে বৃষ্টি, জানতে চাও তোমার অপরাধ কি?তোমার অপরাধ, তুমি আমার সামনে এসেছে, তোমার অপরাধ তুমি আমার রাতের ঘুম নষ্ট করেছো, তোমার অপরাধ তুমি আমার নেশায় পরিনত হয়েছো আর তুমি বলছো তোমার কোনো দোষ নেই(মেঘ কঠোর কন্ঠে কথা গুলা বললো)
—যেই মেঘ আহমেদ চৌধুরী কখনো কোনো মেয়ে দিকে তাকাইনি সবসময় মেয়েদের থেকে দুরে থেকেছে আর আজ সেই মেঘ আহমেদ চৌধুরী তোমাকে দেখার পর থেকেই তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছে আর তুমি বলছো তোমার কোনো অপরাধ নেই,তুমি আমার নেশা পরিনত হয়ছো আর সেই নেশাকে পাওয়ার জন্য আমাকে যদি হিংস্র হতে হয় তাও আমি হবো শুধু মাএ তোমার জন্য,,এই মেঘের জীবনে শুধু বৃষ্টি কে দরকার।বৃষ্টির জন্যই এই মেঘের জন্ম আর মেঘের জন্য বৃষ্টি।
বৃষ্টি;;আপনি আমাকে ভালোবাসেন, কিসের ভালোবাসা, যেই ভালোবাসায় শুধু ভয় নিয়ে বেচেঁ থাকতে হয়।
শোনুন, মিষ্টার মেঘ আহমেদ চৌধুরী আপনার মতো মানুষ কে ভালোবাসা যায় না,শুধু ঘৃনা করা যায়।
মেঘ,বৃষ্টির মুখে এসব কথা শুনেও না শুনার ভান করে কাজি কে বলে বিয়ে পড়াতে,,যেই না কাজি বিয়ের কাজ শুরু করবে ওমনি বৃষ্টি বলে উঠে,আমি এই বিয়ে করবো না,আপনার মতো একজন খুনি কে আমি বিয়ে করতে পারবো না।
–বৃষ্টির মুখে বার বার খুনি শব্দ টা শুনে মেঘ ভিষন রেগে যায়।মেঘের রাগ আর মেঘের চেহারা দেখে বৃষ্টি এইবার প্রচুর ভয় পেয়ে যায়,মেঘ যেই না কাজি কে বলে বিয়ে পরাতে ওমনি বৃষ্টি বলে উঠে আমি এই বিয়ে করবো না?
—মেঘ,যথাসম্ভব নিজেই রাগ টা কে থামিয়ে বৃষ্টিকে উদ্দেশ্য করে বলে?
মেঘ;;এখন যদি তুমি আমাকে বিয়ে করতে রাজি না হও তাহলে তোমার চোখর সামনে তোমার বাবা মা আর হবু হাসবেন্ড মৃত্যু দেখবে আর সেইটার জন্য দায়ি থাকবে তুমি?
—-বৃষ্টি,কখনই না আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।
মেঘ;;ওকে ফাইন, তাহলে আমি কি করতে পারি,তুমি সেটা নিজের চোখেই দেখো। এই কথা টা বলা মাএই মেঘ গার্ডদের ইশারা করতেই যে না গুলি চালাবে ওমনিই বৃষ্টি বলে উঠে প্লিজ প্লিজ, আমার বাবা মাকে কিছু করবেন না। আপনি যা বলবেন তাই হবে,আমি আপনাকে বিয়ে করতে রাজি, কিন্তুু আমার বাবা মা কেনো ক্ষতি করবে না
মেঘ, বৃষ্টি কথা শুনে বাকাঁ হেসে বৃষ্টির দিকে ঝুকে বলে, জানেমান রাজি টা তোমার অাগেই হওয়ার উচিত ছিলো তাহলে আমাকে এতো কিছু করতে হতো না।।
মেঘে কথা শুনে বৃষ্টি কান্নাস্নিগ্ধ চোখে তাকাই আর তখনই মেঘ বৃষ্টিকে চোখ মারে আর সাথে সাথেই বৃষ্টি তার চোখ নামিয়ে ফেলে(আজকে যে কার মুখ দেখে উঠছে কে যানে কথা টা বৃষ্টি বিরবির করে বলে)
—-মেঘ, কাজি কে ইশারা করতেই,কাজি বিয়ে পরানো শুরু করে ইসলামির সরিয়োত মোতাবের তিনবার কবুল বলে বৃষ্টি মেঘের হয়ে যায়।
কাজি, আজকে থেকে আপনার স্বামী স্ত্রী।এই বলেই কাজি দুইজনের বিয়ে সম্পূন্য করে।
তখন মেঘ বলে,আজ থেকে তুমি মিসেসঃ বৃষ্টি মেঘ আহমেদ চৌধুরী।
বৃষ্টি নিজেই মনে মনে বলে উঠে আই হেট ইউ মিষ্টারঃমেঘ আহদেম চৌধুরী,আমি শুধুই আপনা কে ঘৃনা করি।
—-মেঘ বৃষ্টি কে নিয়ে চলে যাবে এই সময় বৃষ্টি তার বাবা মার কাছে দৌড়ে যায় তাদের কে জড়িয়ে দরে কান্না করে।আমাকে মাফ করে দিও।তোমাদের বাচাতেঁ আমাকে এই বিয়েটা করতে হলো পারলে তোমাদের মেয়ে কে মাফ করে দিও।
—মেঘ এইসব ড্রামা আর সহ্য করতে না পেরে বৃষ্টি হাত দরে সোজা গাড়িতে নিয়ে বাসায়,তার সাথে সাথে মেঘ ও গাড়িতে গিয়ে বসে পরে,,,,,,
#চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here