###জীবন যখন যেমন(১৩তম পর্ব)
### লাকি রশীদ

বড় বড় অনুষ্ঠানে পরিবারের দগদগে ঘা গুলো যেন বেশি প্রকাশিত হয়ে পড়ে। নাসিরের সাথে তার বড় ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এতো উঁচু গলায় এরা চেঁচামেচি করছে……….সবাই শোনছে। ফুপু লজ্জায় লাল হয়ে আছেন কিন্তু পরিবারের বাকিদের এ ব্যাপারে কোনূ ভ্রুক্ষেপ দেখতে পাচ্ছিনা। গেষ্টদের মুখ টেপাটেপি প্রকাশ
পাচ্ছে আস্তে আস্তে। ফুপু দোলার দিকে তাকিয়ে বললেন, এবার তুই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছিস, প্রতিদিন কি জ্বালায় জ্বলি আমি। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই চলছে। এখন তো আরো যোগ হয়েছে সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া। মা উঠবার চেষ্টা করতেই দোলা চাপা স্বরে বললো, তুমি যেও না মা। এরা তোমার কথা তো শুনবেই না,উল্টো দেখো তোমাকে লজ্জায় ফেলবে। মা বললো,তাই
বলে কি সং সেজে বসে থাকবো না কি?

মা গিয়ে বলছে, তোমরা শুনে যাও তো একটু নাসির। পাশের রুমে আসো। ষ্টুপিড নাসির বলল,
তুমি জানো না তো বড়মামী এ কতো বড় একটা হারামজাদা। মা এবার ধমকে উঠল, তুমি জানো গালিটার মানে কি? এই গালি তো তুমি তোমার ভাইকে দাওনি, মাকে দিয়েছো। আমার জানা মতে
তোমার মায়ের চরিত্র তো সবসময়ই ভালো। ধমক
খাবার ঘোর থেকে বের হবার আগেই, মা দুজনকে নিয়ে পাশের রুমে গেলো। দোলা এবার ছোট ফুপু কে বলছে, শোনো ফুপু এসব নিয়ে তোমার এতো লজ্জিত হতে হবে না। সবার পরিবারেই কিছু না কিছু সমস্যা আছে। তুমি ই পৃথিবীতে একমাত্র এই সমস্যা তে ভুগছো এমন নয় কিন্তু।

এবার সবজান্তা খাজুর বেগম বলছেন, এইগুলো হলো ভাগ্য। সবাই যে বাচ্চাদের নিয়ে খুশি থাকবে……… এমন ভাগ্যবান সব না। শাওন এবার আস্তে করে বললো,মা তুমি চুপ করো তো। ছোট ফুপু তুমি এসব ভেবো না। আমাদের সাথে বসে তুমি মজার মজার গল্প করো শুধু। বলো তো তোমার সব ভাইঝিদের মধ্যে কাকে সবচেয়ে সুন্দর লাগছে। সহজতার আলাদা একটা সৌন্দর্য
আছে। ফুপু কে সহজ, স্বাভাবিক করতে গিয়ে শাওন পুরো পরিবেশটাই স্বাভাবিক করে ফেলেছে

ফুপু ওর মুখে হাত বুলিয়ে বলছেন, কাকে রেখে কাকে বলবো? এতো চাঁদের হাট রে। আমার ভাইপো ভাইঝির রুপের কি কোনো তুলনা হয়?
যে দেখবে সেই লুফে নিবে। এবার সে মুচকি হেসে বলল, আমাকেও? তোমার তাই মনে হয়? ছোট ফুপু বলছেন, তোর মতো এতো ভালো হৃদয়ের,
স্বচ্ছ মনের একটা মেয়ে যে পাবে রে……. সে তো
নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। এবার সে বলছে, কিন্তু আমি ভাবছি পৃথিবীর হাদারাম গুলো কি এসব বুঝতে পারবে? দোলা এবার আমার দিকে চেয়ে মৃদু হাসছে। এখানে উপস্থিত সকল গেষ্টদের চাচী হাসতে দেখে বললেন, হয়েছে বেহায়া মেয়ে মানুষ দের মতো নিজের বিয়ের কথা নিজে বলতে হবে না। কোনো লাজ শরমের বালাই নেই। কি থেকে যে কি বলছে !!! আমি আপনমনে নিজেকে বলছি
খুব বুঝতে পারছি তুই ঠিক কি বলতে চাচ্ছিস আর কার উদ্দেশ্যে বলছিস এসব।

মা এবার ওদের ভাইদের নিয়ে বের হয়ে বললো,
দোলা, শাওন,মেঘলা এবার বৌমা কে নিয়ে নাসির সহ ষ্টেজে উঠা। রাত অনেক হয়ে গেছে রে। দোলা ও মেঘলা কে আজ এতো সুন্দর লাগছে বলার মতো না। দোলার কথাই ঠিক,সত্যিই এই ড্রেস রাতে পরলেই বেশি সুন্দর লাগে। ফুপুর বিশাল বারান্দার একপাশে ফুলের ষ্টেজ বরকনের জন্য বানানো হয়েছে। দেখি ভিডিও করার জন্য আলো ফেলতে ফেলতে এগোচ্ছে ভিডিওম্যান। আমার আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেছে যখন দেখি, কনের গায়ে সাদা কাতান। জমকালো শাড়ি নিঃসন্দেহে অনেক দামী হবে কিন্তু আজব সাদা শাড়ি এই দিনে কেন !!! তাই ভাবছি। দোলা ও শাওন পাশে দাঁড়িয়ে কি নিয়ে যেন কথা বলছে। মেঘলা দোলা কে ডাক দিতেই শাওন ফিসফিস করে বলল, ভালো লাগেনি,তাই না? তোমার কোন রং পছন্দ বলো? লাল,মেরুন, কালচে লাল? কোনটা বেশি
ভালো লাগে? আমাদের বিয়েতে তুমি যেটা কিনে দিবে সেটাই পরবো। আমি তার এই দুঃসাহসিক
কাজ দেখে খাজুর বেগম আর তার ছেলেদের অবস্থান নীরবে দেখে জায়গা পরিবর্তন করি।

অভির অপেক্ষা করতে করতে এইমাত্র এসেছে। এসেই হৈচৈ শুরু করে দিয়েছে। দোলা কে বলছে,
বাবারে আজকে তো তোদের দুই বোনকে চেনা যাচ্ছে না। বড়মামী তো আমার কাপড়ও কিনেছে,
হিংসেমি করে এনেছিস না রেখে এসেছিস? দোলা চেঁচিয়ে উঠলো,যার মন যেরকম সেরকম ই তো ভাববে। এরচেয়ে ভালো কিছু আশা করাটাও তো
অন্যায়। এবার অভি আমাকেই সাক্ষী মানছে, এই সাদি ভাই কে কাকে ন্যায় অন্যায় শেখাচ্ছে দেখো না !!! আমি কিছু বলার আগেই মেঘলা কোত্থেকে
অভির কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে এসে বলছে, এই নাও
অভি ভাই তোমার কাপড় চেঞ্জ করে এসো। মা এখনো পরোনি দেখলে বকবে। অভি এবার বলে,
বোন হলে এরকমই হওয়া উচিত। দেখ দোলা,
মেঘলা কে দেখে শিখে নে। নাহলে তোর জিহ্বা যা
ধারালো, খারাপ হাজব্যান্ড ই তোর কপালে জুটবে

অভির ফটো তোলা নেশার মতো হয়ে গেছে। নানা ভঙ্গিতে, নানান জনের সাথে তুলছে ফটো। একই রকম কাপড় বলে আমার সাথেও কয়েকটি তুলে
বলছে, সবসময় এই মাষ্টার মশাই এর মুখ করে থাকো কেন বলো তো? দুঃখ কষ্ট, চিন্তা ভাবনা তো থাকবেই জীবনে। পেটে বোমা মারলেও তো কিছু বের হয়না তোমার। কোনো কিছুই শেয়ার করতে রাজি হও না। আসলে তুমিও দোলার মতো আমাকে আপন ভাই ভাবতে পারো না। পর
পর মনে করো। আমি বলি,নাটক করার অভ্যাস তোর আর গেল না। কিছু হলে না তোকে বলবো।
আমার মুখই এরকম। এবার হাত ধরে বলছে, কেন যেন মনে হচ্ছে আজ তুমি এখানে নেই। অন্য কোথাও বিচরণ করছো। কোনো সমস্যা কি সাদি
ভাই? আমাকে বলা যায় না? চটুল স্বভাবের সাদি কে আসলেই আমি ভয় পাই। ওকে এসব বলার কোনো মানেই হয় না। হাত চাপড়ে বলি, বলার মতো কিছু ঘটলে অবশ্যই বলবো।

অতিথির সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। আমি ভেবে পাচ্ছিনা, তরকারির পরিমাণ এতো বেশি কেন?
বড়ফুপু একদম শেষসময়ে এসেছেন। ইলেকট্রিক
কেটলি থেকে তার ছেলেবৌ গরম পানি পায়ে ফেলে দিয়েছে। সেই ঘটনা সবিস্তারে বর্ণনা করে বলছেন, কিচ্ছু একটা কাজ করতে পারে না। এমন অকর্মার ঢেকি আমি দেখিনি বাপু। শুধু আমি ইন্জিনিয়ার, আমি ডাক্তার আর আমি ব্যারিষ্টার বলে সামান্য পানি ঢালার সময় পা জ্বালানো……… এসব কোন ধরনের কথা !!! মা বলছে,আহা !!! পড়াশোনা করে করে হয়তো ঘরের কাজ বেশি করতে পারেনি। শিখে নিবে এখন।

বড়ফুপুকে ঠান্ডা করা এতো সহজ ব্যাপার নয়। চেঁচিয়ে উঠলেন,আর শিখবে !!! কেন আমার কোন ভাইঝি অশিক্ষিত? তা তাদেরকে কেউ এই গুলোতে আটকাতে পারবে? দোলা বলছে,আরে ফুপু আমাদের বাসায় তোমার বাসার মতো গন্ডা চারেক সহকর্মী থাকলে কি আর আমি কিছু করতাম? এগুলো মেঘলার ভালো লাগে। আমার ভীষণ অসহ্য লাগে। বড়ফুপু এবার দোলার গায়ে
মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলছেন,এসব কথা বলে
না মা। শাওন হাত দিয়ে ইশারায় দোলাকে থামতে বলছে। এবার ভিডিওম্যান সবাইকে ডাকছে ষ্টেজে উঠার জন্য। বর ও কনের সাথে সবাইকে ভিডিও করা হচ্ছে। খাওয়া শেষে বাসায় ফিরতে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত।

রাতেই মাকে বলে রেখেছিলাম,এক সপ্তাহের জন্য রাকিবের বাসায় যাবো। পরীক্ষা শেষে আমি চলে আসবো আবার। সকালে উঠে দেখি, অনেক নাস্তা
প্রায় ৩/৪ টা আইটেম দিয়ে টেবিল সাজানো। মা কে বলি, আমি কি বিদেশ চলে যাচ্ছি নাকি? এতো আয়োজন করেছো কেন? মেঘলা বলছে,
তোমার পরীক্ষা শেষ হবার দুদিন পরেই কিন্তু ছোটভাই আমাদের সিলেট যাবার কথা। ভুলে যেওনা দেখো। আমি হেসে বলি, চিন্তা করিস না।
আগে আগেই ট্রেনের টিকেট কেটে রাখবো দুজনের। তোর দরকারি জিনিস গুলো শুধু কিনে
রেডি থাকিস। মাকে আদর করে বেরিয়ে পড়লাম।

রাকিবের বাবা,মা তো এক সপ্তাহের জন্য আমাকে পেয়ে ভীষণ খুশি। পড়াশোনার চাপে ও তারা অফিস করার কারণে একমাত্র ডিনার টাইম ছাড়া গল্প হয় না। একটা শেষ হলো এভাবে,আর একটা বাকি আছে দেবার। মা প্রতিদিন ফোন করে কিছুক্ষণ কথা বলে। রাখার আগে জিজ্ঞেস করে, পরীক্ষা শেষে তুই ফিরে আসবি তো বাবা? আমি হেসে বলি, তোমার কাছে না ফিরলে আর কোনো জায়গা আছে আমার যাবার বলো? তুমি বললে আমি আজই চলে আসবো। তখন আবার তড়িঘড়ি করে বলে,আরে আমি এসব ঠাট্টা করছিলাম রে। আমি বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছি,মা আসলে অনিশ্চয়তায় ভুগছে। রাকিব কে বলতেই বললো, তোর শাওনকে ইগনোর করা
এখন মনে হচ্ছে ঠিকই আছে। আমি ফিসফিস করে বলি,আর দুঃখ পেলে মা পাগল হয়ে যাবে।

কাকতালীয় ভাবে ওর কথা বলতে বলতে দেখি,
আমাকে শাওন বিশাল বড় একটা মেসেজ দিয়েছে। বাবা !!! কোত্থেকে আমার মোবাইল নং যোগাড় করেছে মনে হয়। অনেক অভিযোগে ভরা সেই চিঠি। আমি কেন তাকে বলে এলাম না? সে বেশ বুঝতে পারছে, আমি কোনদিন ই তাকে মন থেকে ভালবাসবো না। আমি কি মানুষ? পাথরকে
বললেও এতো দিনে গলে যেত। আমাকে এতো
কষ্ট দিচ্ছ কেন? একবার শুধু হ্যা তো বলো তুমি।
বাকিটা আমি ব্যবস্থা করবো, কথা দিচ্ছি। আমি উত্তর দিলাম, অনেক ভেবে দেখেছি এ সম্পর্কের
কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এতো দিন পর আমাদের সংসার টা একটু দিক লাগার আভাস পাচ্ছি। শুধু শুধু আমার জন্য আমার বোনদের ভবিষ্যত নষ্ট করে ফেলবো, আমার মাকে পাগল বানিয়ে দেব।

আমি জোড়হাতে মিনতি করছি,মাফ করে দিস।এসব মাথা থেকে একদম ঝেড়ে ফেল। এতেই তোর ও আমার মঙ্গল। এবার জবাব এসেছে,
তোমার কখনো ভালো হবে না। আমাকে কষ্ট দিয়ে কেউ কখনো সুখী হয়নি। এটা নিশ্চিত আমি। আমি আর কোনো কিছুই লিখিনি। বুকটাতে ধিকি ধিকি আগুন জ্বলছে শুধু। প্রায় সাড়ে তিন বছর
ধরে মেয়েটা পেছনে পড়ে আছে। কতোটা গভীর ভাবে ভালো না বাসলে, এখনকার সময়ে এটা সম্ভব !!! কিন্তু আমি অধমের তো হাত-পা বাঁধা।

অবশেষে শেষ পরীক্ষা দিলাম। আজ খালা আমি চলে যাচ্ছি বলে ছুটি নিয়েছেন। কাল রাতে দেখি খালুকে বলছেন, ছেলেটা চলে যাবে আগামীকাল
তুমি ছুটি নাও না কেন? আমি হেসে বলি, আমি চলে যাচ্ছি বলে ছুটি নিতে হবে কেন? খালা বলছেন,বারে না নিলে পুরো পরিবার একসাথে বসে খাবো কিভাবে !!! খালু এবার বলছেন, ঠিক আছে লাঞ্চ ব্রেকের পর আমি চলে আসবো। বাসায় এসে দেখি নতুন টিশার্ট ও প্যান্ট রাখা।
খালা বলছেন, গোসল করে পরে আয় বাবা। এটা যেন খালার জন্য আরেক এক্সপেরিমেন্ট এর জিনিস। একেক বার একেক রঙের কাপড় কেনা।পরে আবার এটা নিয়েও বললেন, তোকে এখন পর্যন্ত ওই রঙের কাপড়েই বেশি ভালো লাগে বাবা
শেষমুহূর্তে খালু আসতে পারেননি বলে খালা একমনে বকে যাচ্ছেন। আমি বলি, অফিস কি উনার মামার বাড়ী নাকি? যে চাইলেই সবকিছু গ্ৰান্ট হয়ে যাবে? তুমি বিকেলে এসব নিয়ে কিন্তু খালুকে মোটৈও বকবে না। ঠিক আছে, খালা? এবার হেসে মাথা নেড়ে বলছেন, ঠিক আছে বাবা।

গেটের ভেতরে ঢুকতেই মেজচাচার দারোয়ান বলছে,আপনারে ফাহিম ভাই ডাকছে। বোকার মতো বলে উঠি, কেন? আমি ব্যাগ রেখে আসছি। এবার বলে ব্যাগ নিয়েই চলেন। দোয়া পড়তে পড়তে তাদের লিভিং রুমে গিয়ে বসি। আমার কথা শুনেই শাওনের তিন ভাই চলে এসেছে। এসে
ই মেজজন বলছে, শাওনকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছিস বল্? আমি বলি, লুকিয়ে রাখতে যাবো কেন? আমার সাথে তো ওর কোনো সম্পর্ক নেই।কি হয়েছে বলুন তো? ফাহিমভাই বললেন, একটা
ভালো বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল ওর। এগোতে যাব,
এখন তোর ভাবিকে না কি বলেছে ও তোকে ছাড়া
আর কাউকে বিয়ে করবে না। যেহেতু তুই রাজি নস্,তাই সে ভেবেছে কখনোই বিয়ে করবে না।
আমি ডেকে ধমকে বলি,এসব কি শুরু হয়েছে?
শুক্রবার দুপুরে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে,রেডি থাকে যেন।

আজ সকালে উঠে দেখি, লম্বা একটা চিঠি দিয়ে গেছে। ওর জন্য যেন কোনো চিন্তা না করি। ও নিরাপদ জায়গাতেই আছে। সাদি তুই যদি কিছু জানিস, আমাকে বলতে পারিস। তোকে এক
টা ফুলের টোকাও কেউ দিবে না। আমি শাওনের পাঠানো মেসেজ দেখিয়ে বললাম,এই দেখেন। আমাকে শাওন পাঠিয়েছে। আমার কাছে আমার ফ্যামিলি, আমার পরিবারের শান্তি শাওনের চেয়ে অনেক বেশি কাম্য ভাইয়া। তাছাড়া আমি তো শাওনকে কিছু বলিনি বা কোনো কথা দেইনি।আমি কেন এসবে জড়াতে যাবো?

এবার কি ভেবে ফাহিম ভাই বললেন, ঠিক আছে তুই বাসায় চলে যা এখন। দরকার হলে ডাকাবো তোকে। আমি একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে লঘুপায়ে বাসার দিকে রওনা হলাম।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here