#জলছবি
#পার্ট_১৬
#কাজী_সানজিদা_আফরিন_মারজিয়া
.
বড়জোড় দুইটা বাজে। ভর দুপুর বেলা। দুইটা ক্লাস করে কলেজ থেকে বেরিয়ে পড়লো নোলক। মন-মেজাজ ভীষণ রকম খারাপ।
রিকশা যখন বাড়ির গেইট থেকে অল্প কিছু দূরে তখন নোলক দেখতে পেলো বাসার সামনে কেউ একজন পায়চারী করছে। নজরটা তাদের বাসার দিকেই তাক করা। আজই প্রথম নয়, নোলক প্রায়শই এই লোকটাকে বাসার সামনে ঘুরঘুর করতে দেখে। বখাটেদের মতো দেখতে না হলেও কাজখানা বখাটেদের ন্যায়। নোলক মনেমনে ভাবে আজ তার উপরেই রাগ ঝারবে। এসব ভাবতে ভাবতেই রিকশা ঠিক ছেলেটার পাশ ঘেঁষে থামে। ছেলেটা হকচকিয়ে তাকায়।
ত্রিশ ছুঁই ছুঁই কালো বর্ণের সাধারন দেখতে একটা ছেলে। বখাটে ছেলেরা কি এমন সহজ-সরল টাইপ দেখতে হয়? নোলক ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই ছেলেটা খুব সুন্দর করে হাসে। নোলক রিকশা থেকে নেমে কোনো ভণিতা ছাড়াই জিজ্ঞেস করে,
“কি সমস্যা? এখানে কি?”
নোলকের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ছেলেটা বলল,
“তুমি নোলক?”
নোলকের কুঁচকানো ভ্রু আরো কুঁচকালো। বলল,
“হ্যাঁ। আপনি কে? ক-দিন যাবত দেখছি ঘুরঘুর করছেন। কি চাই এখানে?”
ছেলেটার সহজ-সরল শিকারক্তি,
“প্রেম চাই! তোমার আপুকে বল তো, এই ছেলেটাকে একটু প্রেম দিতে। মেয়েটা খুব নিষ্ঠুর, এত চাই, দেয় না। তুমি একটু বলবা প্লিজ?”
নোলক বিস্ময় এক নিমিষেই বেড়ে গিয়ে আকাশ সমান হয়ে গেলো। এই লোক বলে কি? এমন করেও কেউ বলতে পারে?
তবে কোনো এক অজানা কারণে এই অল্প সময়ের মাঝেই নোলকের ভালো লেগে গেলো ছেলেটাকে। তার চুপচাপ শান্ত বোনের সাথে এমন একজন পাগল প্রমিকই যুতসই বলে বোধ হলো। নোলক মৃদু হেসে বলে,
“যদি না বলি?”
ছেলেটা মাথার পেছনে হাত বুলাতে বুলাতে বলে,
“তবে কি আর করার? বাড়ির সামনেই পায়চারী করি! একা একাই প্রেম প্রেম হরতাল, অনশন করি।”
নোলক হেসে দিল। বলল,
“আচ্ছা দেখি, কতদিন চলে আপনার এই প্রেম প্রেম হরতাল।”
ছেলেটা হাসে। মিশুক নোলকের সঙ্গে অতি অল্পেই সখ্যতা তৈরি হয়ে গেলো। এমন বয়সের তোয়াক্কা না করা, গুরুগম্ভীরহীন, ছন্নছাড়া ছেলে মানুষের সঙ্গে অল্প সময়ে সখ্যতা গড়ে উঠা অস্বাভাবিক কিছু নয় অবশ্য।
.
শহরের বুকে সন্ধ্যে নেমে এসেছে। অন্ধকারের রং গাঢ় হচ্ছে ক্রমশ। জানালা খোলা থাকায় মৃদু বাসাত এসে প্রবেশ করছে ঘরে, স্পর্শ করছে নোলকের শরীর, মন। সে আনমনে কি যেন ভাবছে।
এমতাবস্থায় রুমে প্রবেশ করলো নবনী। হাতে দুই মগ রং চা। নোলকের চা টা টেবিলের উপর রেখে নিজেরটা নিয়ে খাটে বসলো।
নোলককে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে টিটিকারির সহিত বলে,
“কি ব্যাপার? আজ আবহাওয়া এত চুপচাপ!”
নোলক বোনের দিকে তাকিয়ে বলে,
“তুমি কি আবহাওয়া বলতে আমায় মিন করলা?”
নবনী গম্ভীর হওয়ার চেষ্টা করে বলে,
“না, একদমই না।”
নোলক পাল্টা আক্রমণ এর মতন করে বলে,
“আল্লাহ্ বুঝে, বুঝছো? আমাকে সবসময় পঁচাও যে তাই একজন পাগল প্রেমিক দিয়েছে তোমায়। দিস ইজ কল্ড, রিভেঞ্জ অব ন্যাচার! হা হা হা!”
নবনী হকচকিয়ে যায়। বোনের কথার ভাব উদ্ধারের আগেই কলিংবেল বেজে উঠে। নবনী বলে,
“এ সময়ে আবার কে এলো?”
নোলক বুঝে ফেলার মতন করে বলে,
“ড্যাম শিওর, কুটলি চাচি।”
নবনী হেসে দিয়ে রুম থেকে বের হতে বের হতে বলে,
“কি একটা নাম দিয়েছিস! হা হা!”
নোলকও নবনীর পেছন পেছন যেতে যেতে বলে,
“উনার জন্য পারফেক্ট নাম। সারাক্ষণ এর-ওর বাড়ি গিয়ে কুটকাচালি করে বেড়ায়, এর থেকে ভালো নাম পাবে কি করে?”
কথা বলতে বলতে দুজনই দরজার কাছে চলে আসে। নবনী ইশারায় নোলককে থামতে বলে। নবনী দরজা খুলে দিতেই মোটা কন্ঠে বলে উঠলেন,
“কোন সময় থেইকা দরজা টোকরাইতাছি, এত দেরি কইরা খুললা যে?”
নোলকের শরীর জ্বলে যায়। মধ্যবয়স পেরোনো এই মানুষটাকে নোলক সহ্যই করতে পারে না। এলাকায় তিনি টুনি মা হিসেবে পরিচিত হলেও নোলকের কাছে কুটলি চাচি। নামের সঙ্গে যুতসই কারন অবশ্য আছে। পুরো এলাকা ঘুরেঘুরে কুটকাচালি করাই তার স্বভাব। ভাবখানা এমন যেন, এলাকার সবার চিন্তায় চিন্তায় তার ঘুম হয় না!
নোলক টুক করে জবাব দেয়,
“আলাদিনের চেরাগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে খুলে ফেলতে পারতাম চাচি। আপনার দূর্ভাগ্য, আমাদের আলাদিনের চেরাগ নাই। তাই একটু দেরি হয়ে গেলো।”
নবনী চোখের ইশারায় বোনের উপর বিরক্তি প্রকাশ করলো।
টুনির মা কুটিল দৃষ্টিতে চাইলো। ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতে করতে বলল,
“মাইয়া মানুষ এইরাম ঠোঁট কাটা হইলে চলেনা বাপু। গুরুজন গো লগে কেমনে কথা কইতে হয় একটু বইনেরে শিখাইয়ো নবনী মা।”
নবনী স্মিত হেসে বলে,
“কিছু মনে কইরেন না চাচি। ও একটু এমনই।”
টুনির মা নবনীর ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে নোলকের দিকে চেয়ে বলে,
“বোনের থেকে একটু আদবকায়দা শিখতে তো পারো মাইয়া। সারাদিন এমন বেটাছেলেদের মতো ছটফট করলে চলে? বিয়া-শাদি করন লাগবো না-নি?”
নোলক ঠোঁট দুটো অস্বাভাবিক চওড়া করে বিদ্রুপের ন্যায় হেসে সায় দেয়ার মতো করে বলে,
“জ্বে, এক্কেরে ঠিক কইছে কুটলি চাচি।”
টুনির মা সরু দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে জিজ্ঞেস করে,
“কুটলি আবার কিয়া?”
নবনীর ততক্ষণে মাথায় হাত। নোলক পুনরায় আগের মতো বিস্তর হেসে বলে,
“মানে হইলো ধোঁয়া তুলশিপাতা, এক্কেরে নিষ্পাপ টাইপ মানুষ।”
টুনির মা এবার বোধহয় খুশি হলো। লাজুক হেসে বলেন,
“হ, তা অবশ্য ঠিক কইছো। আমার আবার সাদা মনে কাঁদা নাই।”
নোলক চেঁচিয়ে উঠে বলে,
“আরেহ কাঁদা কি? বলেন ধুলাবালি অব্দি নাই। এক্কেরে সাদা ফকফকা।”
নবনী মুখ টিপে হাসলো। টুনির মা অবশ্য নোলকের টিটিকারি ধরতে পারলো না। বরং খুশিতে গদগদ হয়ে গেলো। দরদ দেখানোর মতো করে বলল,
“তোমরা দুইডা মাইয়া একলা থাকো, আমার খুব চিন্তা হয় মাঝে-মধ্যে। তাই আইলাম একটু দেখতে।”
নোলক আড়ালে মুখ বাঁকায়।
নবনী বলে,
“চাচি বসেন, আমি চা নিয়ে আসি।”
বলে চলে চায় ভেতরে।
টুনির মা এবার নোলকের একটু কাছে ঝুঁকে বলে,
“তা মা? বোনের বিয়াসাদি নিয়া কিছু ভাবছ? বয়স তো বাড়তাছে। সব কিছুর একটা সময় আছে বুঝলা? সময় থাকতে বিয়া-শাদি করাই ফেলানো উচিত। গার্জিয়ান নিয়া ভাববা না। আমরা আছি না? আমি আর তোমগো চাচা তো তোমগোরে নিজেগো মাইয়ার মতই ভাবি।”
নোলক এতক্ষণে তার আসল মতলব কিছুটা আন্দাজ করতে পারলো। কিছু বলবে তার আগেই টুনির মা কিছুটা নিচু স্বরে বলল,
“আমার কাছে একটা ভালো পাত্রের সন্ধান আছে। তুমি তোমার বইনরে রাজি করাইতে পারলে, আমি বাকিডা ম্যানেজ করতে পারমু। কি কও?”
নোলক তার মতোই নিচু স্বরে বলে,
“তা এ কথা আগে বলবেন না যে, ঘটকালী করতে আসছেন?”
টুনির মা নোলকের খোঁচাটা ঠিক খোঁচা হিসেবে নিলো না। আগের মতোই নিচু স্বরে বললেন,
“ঘটকালী মনে করতাছো ক্যা? আপন মনে কইরা একটা দায়িত্ব নিলাম। পাত্র কিন্তু মেলা ভালা। এইরাম পাত্র সচরাচর পাওয়া যায় না। হাত ছাড়া কইরো না। নবনীর মতো লক্ষীমন্তর মাইয়ার লইগা এক্কেবারে যোগ্য পাত্র।”
নোলক বাঁকা হেসে জিজ্ঞেস করে,
“তা পাত্রর আশায়-বিষয় তো জানি আগে?”
টুনির মার চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে উঠলো। উচ্ছ্বাস নিয়ে বলে,
“করিম হাওলাদারের একমাত্র পোলাডা। খুবই নম্রভদ্র। কি আদব-কায়দা, মাশাআল্লাহ্! তুমি চিন নিশ্চই।”
নোলকের মাথায় চট করেই আগুন খেলে গেলো। তার এতো ভালো বোনের জন্য এমন অসভ্য একটা ছেলের কথা ভাবার জন্যই সামনে বসা মহিলাটাকে অনেকগুলো কড়া কথা শুনিয়ে দিতে ইচ্ছে হলো। আগে যতটা না অপছন্দ করতো এই মূহুর্তের পর থেকে আরো দিগুন অপছন্দের মানুষ হয়ে দাঁড়াল টুনির মা। নোলক নিজেকে যথেষ্ট শান্ত রেখে মুখে টিটিকারির হাসি ঝুলিয়ে বলে,
“হ্যাঁ অনেক নম্রভদ্র। প্রায় প্রতিদিনই পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে খুব আয়েশ করে বিড়ি টানতে দেখি। তবে কুটলি চাচি? তাকে আপনার মেয়ের সঙ্গে খুব মানাবে। এক্কেবারে সোনায় সোহাগা। এমন পাত্র হাত ছাড়া কইরেন না। জলদি বিয়ে দিয়ে দেন। দাওয়াত দিতে ভুলবেন না যেন! অনেক দিন বিয়ে-টিয়ে খাই না।”
টুনির মা মারাক্তক ক্ষ্যাপে গেল। নোলককে চরম বেয়াদপ বলে আখ্যায়িত করলো। নোলকের অবশ্য এতে কিছু গেলো-আসলো না। খুবই শান্ত ভাবে বলল,
“আপনি এখন আসতে পারেন। মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন গিয়ে। আর হ্যা? দ্বিতীয়বার আমার বোনকে নিয়ে এমন জঘন্য ভাবনা চিন্তার স্পর্ধা দেখাবেন না। এবার ছেড়ে দিলেও পরেরবার ছাড়বো না। মনে থাকে যেন। যান এখন।”
নবনী চা নিয়ে এসে দেখলো টুনির মা হুংকার দিতে দিতে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিছু বুঝতে না পেরে নোলককে জিজ্ঞেস করলো,
“কি হয়েছে?”
নোলক অদ্ভুত সুন্দর হেসে জবাব দেয়,
“কিছু না।”
নবনী আর বেশি কিছু জিজ্ঞেস করে না। চা নিয়ে ভেতরে যেতে লাগলে নোলক পিছন ডাকে,
“আপু?”
নবনী পেছন ফিরে বলে,
“কী?”
“আরমান ভাইকে এতো ঘুরাচ্ছো ক্যান? আমি জানি, উনি তোমাকে যতটা পছন্দ করে, তুমিও ঠিক ততটাই পছন্দ করো। তাহলে, কিসের এতো পিছুটান? আমার কথা চিন্তা করে? তোমার কি আমাকে খুব বেশি ছোট মনে হয়, আপু?”
নবনী বিস্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। নোলক এতসব কিছু জানলো কি করে তা ভেবেই যেন দিশেহারা। বিস্ময় ভাব আড়াল করে বলল,
“তুই যা ভাবছিস তেমন কিছুই না বোন। উনাকে আমার পছন্দ নয়।”
নোলক হেসে ফেললো। নবনীর কাছে গিয়ে বলল,
“তাহলে, আরমান ভাই যখন বাসার সামনে এসে ঘুরঘুর করে, তুমমি তখন আড়াল থেকে দেখো কেন? তাকে নিয়ে চিরকুট লিখে লিখে ড্রয়ার ভরাও কেন? শোন, এতো ঢং না করে ঝটপট বিয়ে-টিয়ে করে ফেল বুঝলে? আমার অনেক বিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে।”
নবনী তেড়ে এসে বলে,
“খুব বদমাইশ হয়েছিস, না? তুই আমার ড্রয়ার ধরেছিস কেন? দাঁড়া আজ…”
নোলক ছুটে অনেকটা দূরে চলে এসে বলে,
“ওমাহ! এখন যত দোষ নন্দ ঘোষ, থুক্কু নন্দিনী ঘোষ, না? তুমি একজনকে নিজের পেছন পেছন ঘুরাবা, তারপর আবার তাকে নিয়েই তার আড়ালে চিঠি-ফিঠি লিখবা, আর আমি দেখে ফেললেই দোষ? এখন ঝটপট দুজন মিলে যাও, নয়তো আমি কিন্তু সব গোপন কথা ফাস করে দিবো।”
নবনী হেসে ফেলে। কি চমৎকার সেই হাসি। নোলক মুগ্ধ হয়ে ভাবে, এত সুন্দর, এত স্নিগ্ধ মেয়েটার প্রেমে পড়ে আরমান ভাইয়ের মতো একটু-আধটু পাগলামি করাই তো স্বাভাবিক, বরং না করাটাই অস্বভাবিক!
.
মাঝরাতের দিকে আদ্রর ঘুম ভেঙে গেলো। ঘুম ভাঙার কারন মাথা ব্যথা করছে, চোখ ব্যথা করছে। ইদানিং তার ঘনঘন মাথা ব্যথা করছে। আপাতদৃষ্টিতে ডক্টর দেখানো প্রয়জন মনে হলেও আদ্রর কাছে তা নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। যেখানে সে জীবন নিয়েই খুব বেশি চিন্তাশীল না, সেখানে সামান্য রোগবালাই নিয়ে চিন্তা আসবে কি করে? জীবনকে সে জীবনের গতিতে ছেড়ে দিয়েছে। যথেচ্ছা চলুক!
মাথা ব্যথা যখন বেশি বেড়ে গেলো তখন শোয়া থেকে উঠে বসলো। বালিশের পাশ থেকে চশমাটা নিয়ে চোখে পড়লো। তারপর দেয়াল হাতরে রুমের লাইট অন করলো।
রুমের দুইপাশে দুইটা খাট। অন্যপাশের খাটটাতে ইশান ঘুমাচ্ছে। আদ্র’র মনে হলো সে এক্ষুনি মারা যাবে। এত অসস্তি এত অশান্তি আগে কখনো লাগেনি। চোখ থেকে শুরু করে পুরো মাথা দপদপ করছে। বিছানার থেকে নেমে গ্লাসে পানি ঢেলে ঢকঢক করে এক গ্লাস পানি পান করলো। গ্লাস টেবিলে রাখতে গিয়ে নিচে পড়ে গেলো। চূড়মুর আওয়াজে ইশান চমকে সজাগ হয়ে গেলো। ঘুম ঘুম কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“এই আদ্র? ঠিক আছিস? কিসের আওয়াজ হলো?”
আদ্র ইশানের দিকে চাইলো। নিজের দুর্বলতা প্রকাশ না করে মৃদু স্বরে বলল,
“কিছু হয়নি, গ্লাস ভেঙে গিয়েছে। তুই ঘুমা।”
ঘুমের ঘোরে থাকা ইশান ‘ওহ’ বলে আবার শুয়ে পড়লো।
আদ্র লাইট অফ করে দিলো। দুই হাতে মাথার চুলগুলো খুব শক্ত করে মুষ্ঠিবদ্ধ করে বিছানায় বসে রইলো, নিশ্চুপ, নির্লিপ্ত ভাবে। চুলগুলো সব টেনে টেনে ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে। কি অসহ্য যন্ত্রনা!…..(চলবে)