#গ্রামের_সেই_মেয়েটি
।।
#পর্বঃ ০৪
।।

কিছু সময় পরে ফাজিল দুটা এসেও হাজির হয়ে গেলো।
এই দুটা জালায় কোথাও গিয়ে শান্তি পাওয়া সম্ভব না।
আমি ওদের দেখে উঠে যেতে চাইলে তিশা আমাকে ওই আপনি আবার কই যাচ্ছেন এখনি।
আমি- তোমরা দুজনে থাকবো আমি গেলাম।
অণু- আচ্ছা যা তুই এখন দাদির সাথে আমরা গল্প করবো।
দাদি- আমার নাতি টা কে এইভাবে দুজনে মিলে বকছিস কেনো।
দাদুভাই তুমি বসো।
আমিও বসে পরি তিনজকে দাদি গল্প বলতে লাগলো অণু দাদি কে প্রশ্ন করতে লাগলো।
অনেকসময় চলে গেলো, এখন গোসল করতে হবে বলে আমি রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।
আমার রুমে এসে ওয়াসরুম থেকে গোসল টা শেরে নিলাম।
এর পরে লাঞ্চ করে রুমে এসে একটু ঘুম দিলাম কিন্তু এটা আর বেশি সময় হল না কেন না ওই ফাজিল দুটা এসে আবার হাজির।
আমাকে ঝালিয়ে ঘুম ভাঙাল।
আমিও উঠে পরি ওদের ঝালায়,
তার পরে,
আমি- কি হয়েছে এইভাবে ঝালাচ্ছিস কেন আমাকে।
অনু- আমাকে নিয়ে একটু বাজারে যাবি ভাইয়া।
আমি- এটা কেমন কথা বাজারে যাবি ভালো কথা,
তিশা কে নিয়ে যা আমাকে কেনন লাগবো।
অনু- আমরা দুটা মেয়ে যাবো এটা হয় নাকি সাথে একটা ছেলে তো লাগেই।
আমি- তা হলে আব্বু কে নিয়ে যা।
আর গ্রামে ওকে নিয়ে গেলো কিছু হবে না এটা শহর না।

ওদের কিছু তেই বুঝাতে পারলাম না আমাকে নিয়েই যাবে,
কিছু করার নেই তাই রাজি হয়ে গেলাম।
ওদের বললাম তোরা রেডি হয়ে নেয় আমি আসছি।
তিশা- আমরা রেডি আছি এইভাবেই যাবো।
আমি- তার মানে আগেই রেডি হয়ে এসে আমাকে ঝালান হচ্ছে।
আচ্ছা চল তা হলে।
আম্মু কে বলে ওদের দুজন কে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পরলাম।
আমি ওদের দুজবের মাঝে থেকে হাটতে লাগলাম।
আমি অনু কে প্রশ্ন করলাম যে বাজারে যাতে হচ্ছে কেনো।
অনু- ভাইয়া কালকে যে বাংলা শুভ নববর্ষ এটা তুমি ভুলে গেছো।
আমি তো ঢাকা থেকে একটা শাড়ি নিয়ে আসেনি
নববর্ষে পরার জন্য।
আমি এর জন্য মন খারাপ করে ছিলাম এটা দেখে তিশা জিগ্যেস করলে ওকে বললে বলে এখানে নাকি ভালো শাড়ি পাওয়া যায়,
তাই শাড়ি কিনতে যাচ্ছি।
আমি- ও এর জন্য আমাকে কেব নিয়ে যেতে হচ্ছে।

তিশা- জ্বী এর জন্যওই।
এখন এতো কথা না বলে চলেন তো।
আমি- আমি কিন্তু কোন টাকা আনেনি বাসা থেকে,
আমার কাছে গিয়ে আবার টাকা চাস না।
অনু- লাগবো না আমি আগেই আব্বুর কাছ থেকে চেয়ে এনেছি এটা নিয়ে তোর ভাবতে হবে না।
আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ ওদের দুজনের সাথে হাটতে লাগলাম।
তিশা আমাদের একটা দোকানে নিয়ে আসলো।
আমরা দোকানে আশার পরে আমাদের বসতে দেওয়া হয়।
দোকানদার মনে হয় তিশার পরিচিত।
তিশা তাকে আমাদের ভালো শাড়ি গুলো দেখাতে বলে।
আমি- দেখবেন একটু দামি জানো হয়।
দোকান- আচ্ছ,তিশা এরা কারা।
তিশা আমাদের আব্বুর নাম বলে তার ছেলে-মেয়ে বললে আমাদের চিনতে পারলো।
অনেক গুলো শাড়ি দেখার পরে দুটা শাড়ি পছন্দ করলো।
তিশার জন্য একটা আর অনুর জন্য।
যদিও তিশ নিতে চাইনি আমি আর অনু জোর করার জন্য নিলো।
শাড়ি কেনার পরে চলে আসতে চাইলে আসতে দিলো না অণু আমার জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনবে আমাকে দেওয়ার জন্য।
এটা তিশা কে পছন্দ করতে বলে ও অনেক সুন্দর একটা পাঞ্জাবি কিনে দিলো আমার পছন্দ হলো পাঞ্জাবি টা।
এর পরে অনু টাকা দিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে আসলাম।
দোকান থেকে বের হয়ে ওদের ওখানে একটু দাঁড়াতে বলি আমি।
ওদের ওখানে রেখে,আমি পাশের দোকান টাতে আসলাম একটু ওদের দুজনের জন্য কিছু খাবার কেনার জন্য।
অন্য দিকে সন্ধ্যা ও হয়ে আসছে প্রায়।
কিছু কিনে ওদের কাছে এসে সেই গুলো হাতে দিয়ে বললাম।
সন্ধ্যা হয়ে আসছে তো একটু দূরত হাটবি।
তিশা- কেনো আপনার ভয় করছে নাকি?
আমি- জ্বী না,আমি ভয় পাই না।
তিশা- কি পান সেই দিনি দেখেছি এটা বলে ফাজিল দুটা হাসটে লাগলো।
আমার প্রচুর রাগ হচ্ছিল এখন দেখে তার পরেও কিছু না বলে এখন চলেন সবাই যাওয়া যাক।
এটা বলে আমরা হাটতে লাগলাম।
আমি হাটতেছি আর দুইটার বক বক শুনতেছি।
এর মাঝে,
তিশা- আপনি কখনো মেলাতে গিয়েছেন?
আমি- হুম তা তো প্রতিবছর যাওয়া হয় শহরেও মেলার আয়োজন করা হয় তো কিন্তু শুনেছি গ্রামের মেলা নাকি আর ভালো হয়।
তিশা- হুম ঠিক বলেছে তা হলে কালকে আমরা মেলায় যাবো তিনজন মিলে।
অণু – আমি তো যাবোই গ্রামে এসেছি এখান কার মেলা দেখবো না তা কি হয়।
এইভাবে নানান ধরেনের কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসলাম।
আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।
বাসায় এসে শাড়ি গুলো সবাই কে দেখাল।
আমি রুমে এসে পাঞ্জাবি টা দেখে ওদের সাথে অ্যাডা দিতে বসে পরি। আজকে
অনেক রাত পর্যন্ত অ্যাডা দিলাম সবাই মিলে।
আব্বু বাসায় আসতে লেট হল কিসের কাজের জন্য।
তিশা আমার পাশে বসার জন্য রাত বার টা বাজার সাথে সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানো আমিও অন্য ধন্যবাদ দিয়ে শুভেচ্ছা জানালাম।
এটা শুধু আমি আর তিশা মাঝে হল।
কিছুক্ষণ পরে আমাদের ডিনার দেওয়া হলে সবাই এক সাথে ডিনার করতে বসলাম।
আমার খাওয়া শেষ হলে আমি আমার রুমে চলে আসলাম।
রুমে এসে খাটে শুয়ে পরতেই ঘুমিয়ে যাই।
সকালে একটু লেট করেই ঘুম থেকে উঠেছি ফাজিল দুটা সকালে জালায়নি।
আমি উঠে নাস্তা করে একটু ঘুরলাম একা একা পুকুর কাছে গিয়ে প্রকৃতি বাসা খেলাম কিছুসময়।
বিকালবেলা ঘুমাতে দিলো না ওদের নিয়ে মেলাতে যেতে হবে।
আমিও আর ঘুমাইলাম না কেন আমিও যেতে চাচ্ছি এখানে আমি তেমন কিছু চিনি না এখনো।
আর মেলারে একা গিয়েও মজা নেই।
ওদের রেডি হয়ে আসতে বলি।
দুটা শাড়ি পরে কাচের চুরি অনেক সাজগোজ করে নিলো।
ফাজিল দুটা কে অনেক সুন্দর লাগছে শাড়ি পড়াতে।
ওদের দুজন কে নিয়ে মেলাতে আসলাম।
ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম তিনজন মিলে তখনি….
ফাজিল দুটা কে অনেক সুন্দর লাগছে শাড়ি পড়াতে।
ওদের দুজন কে নিয়ে মেলাতে আসলাম।
ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম তিনজন মিলে তখনি অনু আমাকে দাঁড়াতে বলে আমরা ওর কথা শুনে তিনজনে দাঁড়িয়ে পরলাম তার পরে,
অমি- কি হয়েছে এখানে এইভবে দাঁড়করালি যে।
অনু- ভাইয়া আমি ওই নাগরদোলনাতে উঠবো।
আমি- পাগল হলি তুই ওখানে উঠে মাথা ঘুবারে তার পরে কোন বিপদে পরতে হবে।
তিশা- কিছু হবে না, আপনি ভয় পাচ্ছেন দেখে এই কথা বলছেন ভিতু ডিম কোথাকার জানো।
আমি- ভালোর জন্য বলছিলাম আমি আর এখন আমি ভিতুর ডিম হয়ে গেলাম।
আচ্ছা চল তা হলে কোন প্রবলেম হলে কিন্তু আবার আমাকে দোষারপ করতে পারবি না বলে দিলাম।
অনু- না করবো না এই বার চল তো।
এটা বললে ওদের দুজন কে নিয়ে সেখানে চলে আসলাম এখানে অনেক ভির কেন বুঝতে পারছি না কি আছে এখানে যে এটা তে উঠারর জন্য মানুষ এতো পাগল।
অনেক কষ্ট করে তিনজনে উঠলাম আমাদের পাশের সিটে অন্য মানুষ নিতে চাইলে আমি না করে দেই সেই সিটের ভারা আমি দিয়ে দিবো বললে আর কাউকে উঠাল না আমাদের পাশের সিটে।
এভাবে কিছু মানুষ নিয়ে ভরে ফেললো।
তার পরে দুটা মানুষ মিলে এটা কে ঘুরাতে লাগলো প্রথম প্রথম আমার কিছু টা ভয় করছিলো।
অণু আমাকে শক্ত করে ধরে রেখেছে এখান থেকে জানো না পরে যায় কিন্তু তিশার ভিতরে কোন ভয় দেখতে পেলাম না।
কিছুক্ষণ পরে আমাদের নামিয়ে দিলো ওখান থেকে।
ওখান থেকে চলে এসে ঘুরে ঘুরে কিছু জিনিশ দেখতে লাগলাম।
কিছুক্ষণ পরে অণু কাচের চুড়ির দোকান দেখতে পেয়ে সেখান থেকে কতো গুলো কাচের চুড়ি কিনে নিলো।
এইভাবে অনেক জিনিশ কেনা হয়ে গেলো এই ফাজিল দুটার।
এইদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে তাই ওদের বাসায় যাবার জন্য বললে কিছু না বলে রাজি হয়ে গেলো।
ওদের দুজন কে নিয়ে মেলা থেকে চলে আসলাম।
হাটতে হাটতে বাসায় চলে আসি ওখান থেকে।
রাতে সবাই মিলে গল্প করে চলে গেলো।
পরের দিন খবর পেলাম,
রাস্তা কাজের জন্য সব কিছু রেডি হয়ে গেছে।
আজকে সারাদিন এর জন্য অনেক দৌউরা দৌউরি করতে হলো।
এইভাবে দুটা দিন চলে গেলো রাস্তা কাজ শুরু হয়ে গেলো।
আজকে একটু ফিরি হবার জন্য এই দুটা কে নিয়ে ঘুরতে হইছে।
রাতে ডিনার করে খাটে এসে শুয়ে পরলেই,
অফিস থেকে কল দিলো এর জন্য ফোন নিয়ে ছাদে আসলাম রুমে বসে ভালো নেটা ওয়াকং নেই।
ছাদে এসে কল দিলে সাথে সাথে রিসিভ করলো।
রিসিভ করার পরে আমি জিগ্যেস করলাম এতো রাতে কল কেন দিলো।
ওপাশ থেকে বললো যে অফিসে কিসের জানো ঝামেলা হচ্ছে কালকের ভিতরে আমাকে অফিসে থাকতে বলে,
পরের দিন নাকি আবার মিটিং এর আয়োজন করেছে সেখানে আমাকে থাকতে হবে তা না হলে প্রবলেম হয়ে যাবে বড় কোন।
আমি- আচ্ছা আমি কালকে চলে আসবো কালকে আমি মিটিং এ জয়েন করবো।
এটা বলে রেখে দিলাম,
তার পরে ওখানে বসেই ট্রেনের টিকি কেটে নিলাম অনলাইন এর মাধ্যমে।
এর পরে নিচে চলে আসলাম।
রুমে এসে খাটে শুয়ে পরতেই ঘুমিয়ে পরি।
সকালে আজকেও নিজে নিজে জেগে গেলাম।
উঠে বাহিরে কিছুক্ষণ ঘুরে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে বসলাম,
তার পরে
আমি- আব্বু আজকে আমাকে চলে যেতে হবে কালকে অফিস করতে হবে।
কেনো কি হয়েছে আব্বু জানতে চাইলে সব বলি।
সে জিগ্যেস করে কিভাবে যাবো আমি। তাকে এটা ও বলে দেই আমি টিকি কেটে রেখে দিয়েছে কালকে রাতেই।
নাস্তা করা হলে রুমে এসে রেডি হয়ে নিলাম,
একটা জিনিশ খেয়াল করলাম ও কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু সবাই থাকার জন্য পারছে না।
সবাই কে বলে বাসা থেকে বেরিয়ে আসলাম।
ওখান থেকে সরাসরি ট্রেনে চলে আসলাম,
ট্রেনে উঠার পরে কিছু টা খারাপ লাগা কাজ করছিলো।
হয় তো অনেক দিন ওখানে থাকার জন্য মায়ায় পরে গিয়েছি।
আব্বু কে বলে এসেছি রাস্তা টা কোন প্রবলেম জানো না হয় কিছু প্রয়জন হলে আমাকে বলতে বলেছি।
ট্রেনে উঠে কিছুক্ষণ পরেই ঘুমিয়ে পরি এইবারে শহরে আসলে জেগে যাই।
ট্রেন থেকে নেমে দেখলাম গাড়ি চলে এসেছে আমাকে নেওয়ার জন্য আমি তাকে আগেই কল দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে আমি আসতেছি আমাকে নিতে জানো গাড়ি নিয়ে আসে।
গাড়ি তে উঠে পরলে আমাকে নিয়ে সোজা বাসায় নিয়ে আসলো।
বাসায় এসে চাবি দিয়ে আমি লক খুলে ভিতরে চলে আসলাম,
আর তাকে বললাম কিছু খাবার এনে দিতে আমার জন্য রেস্টুরেন্ট থেকে।
এসে আমার কথা মতো খাবার আনতে চলে গেলো আর আমি রুমে এসে ওয়াসরুমে চলে আসলাম ফ্রেস হয়ে নিতে।
ফ্রেশ হয়ে ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখলাম আমার ফোন টা বেজে চলছে হাতে নিয়ে এস্ক্রিনের উপরে তাকিয়ে দেখলাম অনু কল দিয়েছে আমি রিসিভ করলে ওপাশ থেকে তো..
#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here