#গ্যাসবেলুন
#পর্ব_২
লেখাঃ #Nobonita_Ferdows

“অরু মা? তোর আসার এতক্ষণে সময় হলো? ভাই বলেছিলো তুই সকাল সকাল আসবি! আমি তো চিন্তায় চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম!” কথাগুলো বলতে বলতে ছুটতে ছুটতে আসলেন ভদ্রমহিলা!
কাছে এসে অরণীকে ভালো করে খেয়াল করে বললেন, “কি সুন্দর হয়েছিস মা তুই দেখতে! আমি তো সেই যে ভাবি মারা যাওয়ার সময় তোকে দেখেছিলাম, আর দেখিনি! একদম ভাবির মতো টকটকে ফরসা গায়ের রঙ, মাশাল্লাহ সুন্দর হয়েছিস! আয় মা, আয়… বাসায় আয়!”
.
অরণীর সামনে তার মায়ের কথা কেউ তুলতে সবসময় দ্বিধাই করে! কিন্তু ছোটফুপুর মধ্যে বিন্দুমাত্র কোনো দ্বিধা মনে হলোনা! অরণীর জায়গায় অন্য কোনো মেয়ে হলে হয়তো মনখারাপ করতো! কিন্তু তার ভালো লাগলো! কারণ সবাই সহানুভূতি দেখায়, ছোটফুপু সেটা দেখালেন না। সত্যটা স্বাভাবিকভাবেই প্রকাশ করলেন!
.
অরণী সিড়ি বেয়ে উঠতে উঠতেই ছোটফুপু বললেন, “আমার এই ছোট বাড়িতে তুই থাকতে পারবি, মা? কষ্ট হবে তোর বুঝতেছি, তোর কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবি, আমি কোনোকিছুরই কমতি রাখবোনা!”
সদর দরজা পেরিয়ে বাড়িতে পা দিয়েই চমকে উঠলো অরণী। বাড়ির বাহিরটা যতটা মলিন, ভেতরটা ততটাই উজ্জ্বল! বাহির থেকে দেখে কে বলবে, এবাড়ির প্রতিটা ঘরে এসি লাগানো! সদর দরজা পেরিয়েই ড্রয়িং রুম! বিশাল একটা ড্রয়িং রুম, কম করে হলেও ছয়-সাত টা ডাবল খাট বসানো যাবে।
বসার ঘরের ধবধবে সাদা সোফার ওপর দুজন মধ্যবয়স্ক লোক বসে আছে! মধ্যবয়স্কও না, একজনের চুল প্রায় সবই পেকে গিয়েছে, আরেকজনের পুরো মাথাজুড়েরই যেনো ঘাসবিহীন ফুটবল মাঠ; অথচ গালভর্তি লাল দাঁড়ি!
.
“সিনের বাবা, দেখো আমাদের অরু কত বড় হয়ে গিয়েছে! আমি তো প্রথমে চিনতেই পারছিলাম না!”
সাদা চুলওয়ালা লোকটা হাসিহাসি মুখে টেবিলের ওপর খবরের কাগজটা ভাঁজ করে রেখে উঠে অরণীর কাছে এসে মাথায় হাত রেখে বললো, “কিরে ছোট চৌধুরানী মনে আছে আমার কথা? ছোটবেলায় আমার কোলে বসে বাদাম খাইতি, আমি একটা একটা করে খোসা ছাড়িয়ে দিতাম!”
অরণী হাসলো। এই ফুপার কথা তার হালকা হালকা মনে আছে! কিন্তু ইনিই যে ছোটফুপা এটা মনেই ছিলোনা তার!
.
ছোটফুপু টাকমাথাওয়ালা বুড়ো লোকটার দিকে তাকিয়ে বললো, “ভাই, বলেছিলাম না, ওর কথা? ও আমার বড়ভাইয়ের একমাত্র মেয়ে, অরণী!”
অরণী তাকে চিনলোনা, কিন্তু সালাম দিলো। টেকো বুড়ো চোখের চশমা নাক পর্যন্ত নামিয়ে চশমার উপর দিয়ে তাকিয়ে দেখলো তাক একবার, তারপর, “আচ্ছা.. আচ্ছা!” বলেই আবার খবরের কাগজে মুখ ডোবালো!
.
ছোটফুপু ফিসফিস করে অরণীকে বললো, “উনি, সিনের বড়আব্বু, আমার ভাসুর, একটু বদমেজাজী; আমাদের তো জয়েন্ট ফ্যামিলি! বুঝোই তো, সবার সাথে মিলে থাকতে হয়!”
অরণী আবার তার স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে মাথা নাড়লো!
.
ড্রয়িং রুমের একসাইড থেকে দোতলায় যাওয়ার সিঁড়ি। ছোটফুপু চিৎকার করে কাউকে ডাকলেন।
“অন্তুউউউ…”
ক্লাস সেভেন-এইট পড়ুয়া একটা মেয়ে গাড় গোলাপি রঙের একটা ঢিলেঢালা গেঞ্জি আর সাদা থ্রি কোয়ার্টার পড়ে প্রায় লাফিয়ে লাফিয়ে নিচে নেমে এলো। এক কান থেকে ইয়ারফোন খুলে বললো,
“কি চাচি? ডাকলে আমাকে?”
“কানে নিশ্চয়ই কিছু বাজছেনা, নাহলে একবার ডাকে তো আপনাকে পাওয়াই যায়না!”
.
মেয়েটা ছোটফুপুর কথা তোয়াক্কাই না করে আমাকে দেখতে লাগলো! একবার আমাকে দেখছে, আরেকবার জিজ্ঞাসু নয়নে ফুপুর দিকে তাকাচ্ছে!
.
“ও অরণী, আমার বড়ভাইয়ের মেয়ে, আজ থেকে এখানেই থাকবে! তুই ওকে তোর পাশের ঘরটায় নিয়ে যা!”
“ওইঘরে তো তালা দেয়া!”
.
“সারাদিন কানে তার-তুর ঢুকায় আর চোখ ফোনে ঢুকায় রাখলে কিভাবে জানবা যে, সকালেই ওইঘর খুলে আমি নিজে সব গুছিয়ে রেখে এসেছি?”
.
অন্তু নামের মেয়েটা কোনো কথা বললোনা, হাসি হাসিমুখে আমার কাছে এসে বললো, “আপু, চলো তোমাকে তোমার ঘরটা দেখিয়ে দেই!”
.
ঘরটা সুন্দর! তার বাড়ির বেডরুমটার চেয়ে খানিকটা ছোট; তবে এ রুমটাও বেশ বড়ই। খোলামেলা ঘরটা! বিছানার পাশেই বড় একটা জানালা, আরো একটা বড় জানালা আছে রুমে! দক্ষিণ দিকে টানা বারান্দায় সার বেঁধে ফুলের টব রাখা, লাল আর গোলাপী গোলাপের গাছ সবগুলোই! সাদা গোলাপ নেই! অরণীর সাদা গোলাপ ভালোলাগে, রজনীগন্ধা, হাসনাহেলা, বকুল, শিউলিও ভালোলাগে৷ ফুপু বলে সাদা গোলাপ আর হাসনাহেনার চারা এনে বারান্দায় লাগাতে হবে!
.
“কিসে পড়ো তুমি?”
“ক্লাস সেভেনে!”
“তোমার নাম অন্তু?”
“আমার নাম তিথি; বাসায় সবাই অন্তু বলে ডাকে!”
“আচ্ছা আমিও অন্তু বলেই ডাকবো!”
.
.
অরণীর সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মনমরা হয়েই কেটে গেলো। আকাশ খারাপ করেছে! অবিরাম বৃষ্টিতে হঠাত করেই প্রচন্ড ঠান্ডা পেয়ে বসেছে! অরণী বাড়িতেও একাই থাকতো। এখানে এতো লোক, তারপরেও তার ভালো লাগছেনা, একা একা লাগছে! রাতের খাবার খেয়ে সবাই সবার ঘরে চলে গেলো। অন্তু তার ঘরে এসে গল্প জুড়িয়েছে। তাদের বাসার কে কেমন, তার স্কুলের গল্প! রাত সাড়ে এগারোটায় কলিংবেলের আওয়াজ পেলো অরণী। অন্তু বিছানায় বসে ছিলো! কলিংবেলের আওয়াজ পেতে না পেতেই লাফিয়ে বিছানা থেকে নেমে উসাইন বোল্টের গতিতে ছুটে নিচে গিয়ে সদর দরজা খুলে দিলো! অরণী ঘর থেকে বেড়িয়ে দোতলার রেলিং থেকে উপুড় হয়ে দেখলো, সকালের সেই ছেলেটা এসেছে! ছেলেটা বাড়িতে ঢুকেই অন্তুকে এক রামধমক লাগিয়ে বললো, “এতক্ষণ লাগে দরজা খুলতে? কি করিস বসে বসে?”
.
অরণী বিরক্ত হলো! বাচ্চা মেয়েটা দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিলো! আর অভদ্র ছেলেটা এমন ব্যবহার করলো! ছেলেরা দোতলায় উঠতে উঠতে অরণীকে দেখে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে তাকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো!
.
অরণী তার ঘরে আসার পরপর অন্তুও এলো! অন্তু ঘরে এসে বিছানায় বসার আগেই আবার তার ঢাক পড়লো! ভারী, গম্ভীর কণ্ঠে গলা ফাটিয়ে ডাক দিলো কেউ! অন্তু, “আসি ভাইয়া” বলতে বলতে আবার হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে গেলো!
অরণী ভ্রু কুঁচকে অন্তুরযাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে রইলো! প্রায় পাঁচ-ছয় মিনিট পর অন্তু এলো!
.
“কে ছেলেটা?”
“আমার ভাইয়া!”
“নিজের?”
“হ্যাঁ!” অবাক হয়ে উত্তর দিলো অন্তু!
“কি চাইতে ডেকেছিলো?”
“তুমি কে, সেটাই জানতে চাইলো!”
“ওহ! আর কি বললো?”
“আর তো কিছু বলেনি!”
“তুমি কি তোমার ভাইয়াকে খুব ভয় পাও? না মানে, ওভাবে ছুটে গেলে, তাই মনে হলো।”
“ভাইয়াকে তো বাড়ির সবাই ভয় পায়!”
“কেনো? তোমার ভাইয়া কি ডাকাত? নাকি ড্রাকুলা!”
.
অন্তু ফিক করে হেসে ফেলে বললো, “আরে নাহ! ভাইয়া খুব রাগী তো, তাই!”
“দেখলে তো মনে হয়না!”
“কি যে বলো, অরুপু। চেহারায় কি রাগী কিনা লেখা থাকে?”
.
.
সকাল আটটায় ফুপু এসে অরণীকে ডেকে গেলো৷ অরণীর এত সকাল সকাল ওঠার অভ্যাস নেই। প্রতিদিনই প্রায় সে ভার্সিটির প্রথম কয়েকটা ক্লাস মিস করে! সকাল সকাল উঠে মেজাজ পুরোপুরি বিগড়ে গেলো তার। এজন্যই সে মানুষের বাসায় থাকতে চায়না! বাবা যে কেনো জোর করে পাঠালেন! বিছানায় বসে ঢুলতে ঢুলতে বিরক্তিকর আওয়াজ করতে লাগলো সে! হঠাত কারো ঘরের দরজায় ঢুমঢাম আওয়াজে হুড়মুড়িয়ে উঠে দাঁড়ালো। দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখলো, অন্তুর ঘরের দরজায় ভদ্রমহিলা ধাক্কা দিয়েই যাচ্ছে! এই মহিলাকে কাল থেকে অরণী দেখেনি এবাড়িতে! গাড় বেগুনী আর নেভি ব্লু কম্বিনেশনর শাড়িতে ফর্সা ধবধরে মহিলাকে কি দারুন লাগছে দেখতে! মাঝখানে সিঁথি করা, পেছনে খোঁপা করা; চেহারায় নাটক সিনেমার সেই গিন্নি গিন্নি ভাব! অরণী ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়েই আছে! হঠাত তিনি অরণীর দিকে তাকিয়ে বললো, “তুমি শেফালীর ভাস্তি? তোমার সাথে কাল দেখাই হয়নি!”
“জি আন্টি”, দ্বিধাগ্রস্ত কন্ঠে বললো অরণী!
” আমি অন্তুর মা!”
“ওহ আচ্ছা!”
.
“দেখোনা মা, কখন থেকে অন্তুর ঘরোর দরজা ধাক্কায় যাচ্ছি। মেয়েটা উঠছেইনা! প্রতিদিন সকালে যুদ্ধ করে ওকে ঘুম থেকে তুলতে হয়!”
.
হঠাত নিচতলা থেকে উঠে জোরে হাঁটতে হাঁটতে অন্তুর ভাইয়া এসে দরজা ধাক্কালো, আর চিৎকার দিয়ে বললো, “থাপড়ায় সবগুলা দাঁত তোর ফালায় দিবো! মা ডাকতিছে এতক্ষণ থেকে হুঁশ ফিরতিছেনা?”
.
এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দরজা খুলে গেলো! অন্তু বেরোলো চোখভর্তি জ্বল নিয়ে!
“হ্যাঁ কাঁদ কাঁদ সকাল সকাল। রাগ না হলে কথা শুনবেনা, আবার রাগ হয়ে কিছু বললেই কান্না। হইছে কান্দার লাগবেনা! নিচে নাস্তার টেবিলে গিয়ে বসতিছি, একমিনিটের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে খাওয়ার টেবিলে আসবি!” বলতে বলতে নিচে নেমে গেলো অন্তুর ভাইয়া!
.
“যা দাঁত ব্রাশ করে আয়৷ জানিশ তো, অরূপ তোকে ছাড়া নাশতা করেনা! কখন থেকে ওয়েট করে আছে তোর জন্য!”
.
অন্তু চোখ মুছতে মুছতে বাথরুমে গিয়ে ঢুকলো! অরণীও ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে গিয়ে বসলো!
.
সবাই বসেছে খাওয়ার টেবিলে। অরণীও এসে বসলো! ছোটফুটু পরোটা আর মাংস তুলে দিলো।
.
“চাচি, অন্তুকে বলিয়েন কলেজে ওঠার পর আর এসব থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, গেঞ্জি যেনো না পড়ে! কলেজে ওঠার পর এগুলো আর মানায়না!”
.
খাওয়ার টেবিলের সবাই খাওয়া বন্ধ করে অরূপের দিকে তাকালো। অন্তু হতভম্ব চোখে তার ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছে! অরণীর লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে! ইন্ডাইরেক্টলি ছেলেটা তাকে অপমান করলো। অরণী বাড়িতে যেভাবে থাকে, এখানেও সেভাবেই ছিলো!
“অরূপ কি যে তুই বলিস না? বাড়ির ভেতর সব পরিবারের মানুষজন৷ এখানে দেখবেই বা কে?”
.
অরূপের খাওয়া প্রায় শেষ। সে পানি খেয়ে উঠে তার ঘরে চলে গেলো! অরণীর গলায় খাবার আটকে গিয়েছে। সে অনেক কষ্টে একটা পরোটা শেষ করে তার ঘরে এসে দরজা বন্ধ করলো!
.
কিছুক্ষণ পর মাথা ধরার কারণে উঠে বাইরে যাওয়ার জন্য দরজার ছিটকিনি খুলতেই কি মনে করে আবার ছিটকিনি দিয়ে ঘরে ঢুকে ড্রেস চেঞ্জ করলো। সাদা কামিজ, সাদা সালোয়ার আর সাদা জর্জেটের ওড়না পড়ে নিচে নেমে রান্নাঘর খুঁজে রান্নাঘরে গিয়ে অন্তুর মাকে পেলো!
“আন্টি, ছোটফুপু কোথায়?”
“ও তো গোসলে গিয়েছে মা, কিছু লাগবে? লাগলে আমাকে বলো!”
“না মানে… আন্টি মাথাটা খুব ব্যাথা করছে। আসলে আমার সকাল সকাল চা খাওয়ার অভ্যাস!”
.
“ইস রে মা, সবাইকে চা দিয়েছি। তোমার কথা একেবারে ভুলে গিয়েছিলাম। তুমি ঘরে যাও! আমি মিলুকে দিয়ে চা পাঠিয়ে দিচ্ছি!”
মিলু কে সেটা বুঝতে পারবোনা অরণী। তবে বাড়ির কাজের মেয়ে হবে হয়তো!
.
অরণী সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে অরূপকে নামতে দেখলো! নেভি ব্লু শার্টের হাতা গোটাতে গোটাতে নামছে নিচে! বামহাতে সোনালি মোটা চেইনের ঘড়ি! অনীমার হঠাৎ মনে হলো, তার হাতে বড় ডায়ালের সিলভার কালার মোটা চেইনের ঘড়ি বেশি মানাবে! অরণী একপাশে সরে দাঁড়ালো! অরূপ নিচে নেমে বাইরে বেড়িয়ে গেলো।
.
অরণীর কিছুটা অদ্ভুত ঠেকলো৷ এই বাড়িতে আসার পর থেকে এই ছেলেকে সে একবারও তার দিকে তাকাতো দেখেনি। অথচ সকালে নাস্তার টেবিলে তাকে নিয়ে কেমন কমেন্ট করে ফেললো!
.
অরণী দোতলায় উঠে তার রুমে ঢুকতে গিয়ে অন্তুর ঘরের দুটো ঘর পরে একটা ঘরের আধখোলা দরজা দেখে কি এক কৌতুহলে সেই ঘরের দিকে এগিয়ে গেলো। ভেজানো দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে অবাক হলো। ঘরের সাজসজ্জা দেখে মনে হলো, কোনো মেয়ের ঘর! বিছানায় হরেক রকমের পুতুল, ঘরের দেয়ালে ঝোলানো মাটির টবগুলোতে মানিপ্লান্ট সাজানো, আর আলমিরার কাছের দরজার ভেতরে ছোট্ট বাচ্চাদের হাজারো খেলনা সাজানো! দেখে মনে হচ্ছে খুব একটা পুরনো না খেলনাগুলো; প্রাইস ট্যাগ এখনো খোলা হয়নি সবগুলোর! অরণী এবাড়িতে এসে কোনো বাচ্চাকে দেখেনি৷ এবাড়িতে যে কোনো বাচ্চা আছে, তা তার ধারণার বাইরে ছিলো। ঘরটা ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে বিছানার পাশের টেবিলের ওপর ছবিটা দেখে সে চমকে উঠলো!
.
.
চলবে….
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here