গল্প – আমার আমি যে তুমি
পর্ব – ২১ (শেষ)
লেখিকা – ইশানুর তাসমিয়া
সকালে পর্দার আড়াল থেকে একমুঠো রোদ রুহির মুখে পড়তেই তার ঘুম ভেঙ্গে যায়,,,ঘুমু ঘুমু চোখে পাশে তাকাতেই দেখে রুহান তাকে জড়িয়ে ধরে তার গলায় মুখ রেখে ঘুমিয়ে আছে,,,,খুব আরামে ঘুমাচ্ছে সে,,,যা দেখে রুহির একটা দুষ্টু বুদ্ধি আসে,,,,
সে ততক্ষনাত জোড়ে জোড়ে “রুহান” “রুহান” বলে চিল্লানো শুরু করে।। এতে রুহান ধড়ফুড়িয়ে উঠে বসে।। তারপর রুহির কাছে এসে ব্যস্ত ভঙ্গিতে রুহিকে জিজ্ঞেস করে,,,,,
—” কি হয়েছে রুহি?? কোনো কি সমস্যা হয়েছে?? নাকি কোথাও ব্যথা পেয়েছো?? ”
—” আমার না পায়ে খুব ব্যথা করছে।একটু টিপে দিন না প্লিজ। ”
—” হুম?? আচ্ছা দিচ্ছি!! ”
বলেই রুহান রুহির পা টিপা শুরু করে,,,আর এদিকে রুহি পৈসাচিক আনন্দ পাচ্ছে,,, ” মনে আছে মিস্টার রুহান,,,পার্কে আমাকে দিয়ে পা টিপিয়েছিলেন না,,, এখন আমার টার্ন,,,প্রতিশোধ এবার পূরণ হলো “,,,ভেবেই আবার মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো রুহি৷। তা দেখে রুহান বলে উঠে,,,,
—” কিছু কি হয়েছে রুহি?? এভাবে হাসছো কেন?? ”
—” এমনি,,, আমার ইচ্ছা,,, আপনি আপনার কাজ করুন না,,,পা টিপুন ভালো করে।। ”
.
.
.
—” তুই আসলেই আনরোমেন্টিক,,,তুই কি সেটা জানিস?? আমাকে যদি একটুও ভালোবাসতি??ভালোবাসবি কেমনে,,,তুই তো…… থাক আর বললাম না ”
বলেই রোদ ভেংচি দিয়ে অন্যদিকে ফিরে দাঁড়ায়।। আর সাহেল বুঝতে পারছে না,,, সে এমন কি করল যে রোদ ওকে এভাবে কথা শুনাচ্ছে??
সাহেল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এগুলো ভাবছে আর মাথা চুলকাচ্ছে,,, তা সামনে থাকা আয়না দিয়ে রোদ দেখতে পায়,,,এটা যেন রোদকে আরও রাগানোর জন্য যথেষ্ট,,,
রোদ পেছনে ফিরে সাহেলের কলার ধরে রাগি কন্ঠে তাকে বলে,,,,
—” তোরে আমি শখে আনরোমেন্টিক বলি?? আমি যে রাগ করছি,, তুই কি একবারও আমার রাগ রাঙ্গাইছিস,,,একবারও আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলেছিস “আই এম সরি জান।। আর এমন হবে না”,,, শালা তুই আসলেই ফালতু,,, আল্লাহ জানে বাসর ঘরে তোরে কিছু করতে দিলে তুই কি করতি।। যা তোর সাথে কোনো কথা নেই,,,”
বলেই রোদ চলে যেতে নিবে,,, তার আগেই সাহেল রোদের কোমড় জড়িয়ে নিজের একদম কাছে নিয়ে আসে,,,তারপর রোদের কানে ফিসফিস করে বলে,,,,
—” যদি রোমান্টিক হই,,,তাহলে সামলাতে পারবে তো আমাকে?? ”
বিনিময়ে রোদ একটা লজ্জা মাখা হাসি দেয়,,,সাথে সাথে সাহেল রোদের ঠোঁট নিজের ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরে……..
.
.
.
সায়ানের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে প্রিয়া,,,আর সায়ান প্রিয়ার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,,,,
—” আচ্ছা সায়ান,,, আপনি কি আমাকে মন থেকে মেনেছেন?? ”
—” হয়তো আবার হয়তো না।। জানো প্রিয়া,, তুমি যখন বলেছিলে তুমি আমাকে ছেঁড়ে চলে যাবে,,,তখন কেন যানি না বুকের এক কোণে কষ্ট হয়েছিল,,,বারবার তোমার আর আমাদের বেবির কথা মনে হচ্ছিল,,,এখন এ অনুভূতিটা যে কি,,,?? তা আমি জানি না ”
কথাটা শুনে প্রিয়া একটা মুচকি হাসি দেয়,, তারপর বলে,,,,
—” রুহির সাথে এখন আপনি আমার সামনে কথা বলতে পারেন,,, হয়তো আমার আর জেলেসি কাজ করবে না,,,, “[ মুচকি হেসে ]
—” তাই নাকি?? তাহলে তো ভালোই হলো।।এখন থেকে তোমার সামনে যে কোনো মেয়ের সাথে ফ্লাটিং করতে পারবো,,,তোমার কোনো জেলেসিই হবে না ” 😏😏
—” মেরে পুতে দিবো ”
—” দেখা যাবে,,, এখন আসো,, আমি একটু আদর করব ”
বলেই সায়ান প্রিয়াকে চুমুতে ভরিয়ে দেয়,,,,,
.
.
.
.
প্রায় ১ ঘন্টা ধরে রুহান রুহির পা টিপছে,,,, এতে রুহির খুশি হওয়ার কথা ছিল,,, কিন্তু সে এখন বরাবরই অবাক হচ্ছে,,, এ ১ ঘন্টায় রুহান একবারও বিরক্তি প্রকাশ করেনি,,,, বরং আনন্দের সাথে পা টিপছে আর গল্প করছে রুহির সাথে,,,,
—” আপনার বিরক্তি লাগছে না রুহান,,,”
—” কেন লাগবে বলত?? ”
—” এই যে আপনাকে এতক্ষন আমার পা টিপাচ্ছি ”
—” একদমই না,,, নিজের বউয়ের সেবা করতে পারছি,,এটা আমার জন্য ডের,,,যদি বলো সেবা তো বউরা করে স্বামীর,,,তাহলে বলব,,,শুধু কি বউরাই স্বামীর সেবা করবে,,,স্বামীদেরও তো করতে হবে তাই না??,, এ-ই ধরো,, আমি এখন তোমার সেবা করছি,,,পরে হয়তো তুমি আমাকে সেবা করবে,,, ”
বলেই রুহান আবার রুহির পা টিপতে শুরু করে,,,আর রুহি,,,সে মুগদ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে রুহানের দিকে,,,এত ভালো একটা মানুষ কেমনে হতে পারে,,,এগুলোই তো রুহিকে রুহানের প্রতি আরও দুর্বল করে ফেলে,,,বেশি বেশি ভালোবাসতে বাধ্য করে,,,,,
—” রুহান হইছে আর পা টিপতে হবে না।।আপনি আমাকে ওয়াশরুমে নিয়ে যান আমি গোছল করব।। ”
—” আমি করিয়ে দি ” [ দুষ্টু হেসে ]
—” আপনি জীবনেও সুধরাবেন না রুহান।।নির্লজ্জ,,, বেহায়া পোলা।।”
—” বউ আমার এক্ষান,,,সারাদিন দেয় গালি হাজারখান “😒😒
—” হা হা হা,,, বেড জোক ”
—” তোমার সবই বেড লাগে ”
—” হইছে আমাকে এখন ওয়াশরুমে নিয়ে যান ”
—” ওকে বউ ”
বলেই রুহান রুহিকে ওয়াশরুমে নিয়ে দিয়ে আসে,,,,আর দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে রুহির,,,যদি কিছু লাগে রুহির।। তাহলে যেন সে তাড়াতাড়ি দিতে পারে!!
.
.
.
.
.
.
বিকালে……
রুহি রুহানের কোলে বসে গেমস খেলছে।।আর রুহান রুহিকে ২ হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে রুহির চুলে ঘ্রাণ নিচ্ছে,,,,,
হঠাৎ রোদ আর সাহেল আসে তাদের রুমে,,, সাথে সাথে রুহি চোখ বড় বড় করে রুহানের দিকে তাকায়,,,যার অর্থ “রুহান আমাকে কোল থেকে নামিয়ে নিচে বসান,,,” কিন্তু কে শুনে কার কথা,,, রুহান যে নির্লজ্জ তার প্রমাণ সে বারবার দিচ্ছে,,,রুহিকে আর একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সাহেলকে বলে,,,,
—” তোরা হঠাৎ এখানে,,, কিছু কি দরকার “( রুহান)
—” না এমনি,,, তোদের রোমেঞ্চ দেখতে আসছি আরকি “(রোদ)
—” আহা রোদ,,, এমন করো কেন?? আসলে বলছিলাম কি আজকে তো মেলায় যাওয়ার কথা ছিল,,,তাই রেডি হতে বলতাম তোদের আরকি,,এখন তোরা কি জাবি??”(সাহেল)
—” অবশ্যই।। তোরা যা আমরা আসছি “(রুহান)
—” ওকে “(সাহেল)
বলেই সাহেল আর রোদ চলে যায়,,,আর রুহি,,,সে এতক্ষন মাথা নিচু করে বসে ছিল,,,খুব লজ্জা লাগছে তার,,,” একটা মানুষ এত নির্লজ্জ কেমনে হয়?? ” রুহির যদি পা ঠিক থাকতো তাহলে সে ততক্ষনাত রুহানের কোল থেকে সরে আসতো,,,,!!
রুহান বুঝতে পারছে রুহি রেগে আছে,,,তাই রুহিকে আর একটু রাগানোর জন্য বলে,,,,
—” রুহি,,, মেলায় জাবা না ”
রুহানের কথা শুনে রুহি রুহানকে বালিশ দিয়ে মারা শুরু করে,,,আর বলতে থাকে,,,,
—” শয়তান,,,ইতর,,, গন্ডার,,তেলাপোকা,,,বেহায়া,,, নির্লজ্জ পোলা,,,
রুহানও মুচকি হেসে রুহিকে বালিশ মারা শুরু করে,,, আর প্রতিবার বলতে থাকে,,,
” আই লাভ মাই বউ ”
.
.
.
.
.
.
সবাই রেডি হয়ে নিচে অপেক্ষা করছে রুহান আর রুহির,,,কিছুক্ষন পরই রুহান রুহিকে কোলে করে নিয়ে আসে,,,, তা দেখে সবাই একসাথে বলে উঠে,,,
—” রোমিও জুলিয়েট এসে গেছেন আপনারা ”
—” জ্বী ” (রুহান)
এরপর সবাই গাড়িতে বসে যায়,,,কিন্তু রুহান আর রুহি আলাদা গাড়িতে বসে,,,এতে রুহি রুহানকে জিজ্ঞেস করে,,,,
—” রুহান,,, আমরা সবার সাথে ওই গাড়িতে যাচ্ছি না কেন?? ”
—” পাগল নাকি,,,ওখানে বসলে গাদাগাদি হবে,,,,”
—” আপনাকে বলছে ”
রুহান কোনো কথা বলেছেনা।। ড্রাইভ করতে ব্যস্ত সে,,,প্রায় কিছুক্ষন পর রুহি দেখে সাহেলদের গাড়ি পাশের রাস্তায় যাচ্ছে কিন্তু তাদের গাড়ি সামনের রাস্তায় যাচ্ছে,,, এটা দেখে রুহির মনে একটা ভয় ঢুকে যায়,,,,
” আল্লাহ,, এ পোলা আমার সাথে আবার প্রতিশোধ নিবে নাকি পা টিপার,,, কই যায় এ,,”
—” রুহান,,,, আপনি কোন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে,,, ওরা তো পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে,,,”
উত্তরে রুহান শুধু একটা বাঁকা হাসি দেয়।। এতে যেন রুহির ভয় আরও বেড়ে যায়,,,মনে মনে দোয়া দুরুদ পড়ছে সে,,,হঠাৎ রুহান রুহির চোখে একটা কাপড় বেঁধে দেয়,,,সাথে রুহির হাতও,,, এতে রুহি চিল্লানো শুরু করে দেয়,,,,রুহানের যেন এতে কোনো পাত্তা নেই।।
কিছুক্ষন পর রুহান গাড়ি থামিয়ে দেয়,,,এতে রুহির ঝটফটানি যেন আরও বেড়ে যেয়।। প্রায় আধা ঘন্টা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু রুহানের কোনো খবর নেই,,,এখন রুহির সত্যি সত্যি কান্না আসছে,,, জোড়ে জোড়ে রুহান রুহান বলে চিল্লাচ্ছে রুহি,,,
হঠাৎ রুহি অনুভব করে সে শূন্যে ভাসছে,,,পরক্ষনে বুঝতে পারে রুহান তাকে কোলে নিয়েছে,,,, সাথে সাথে রুহি রুহানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,তারপর কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে উঠে,,,,
—” আমি কত ভয় পেয়েছি রুহান,, আপনি জানেন,,,এমন কেন করেন আপনি বলুন তো,,,??”
রুহান কিছু বলে না,,, শুধু রুহির কপালে একটা চুমু দেয়,,,এতে যেন রুহি একটু শান্ত হয়,,,,কিন্তু পুরো পুরি ভাবে না,,,,
.
.
রুহি অনুভব করছে রুহান তাকে ঘাষ জাতীয় কিছু একটার উপর বসিয়েছে।। রুহান রুহিকে বসিয়ে দিয়ে রুহির হাত আর চোখ খুলে দেয়।।সাথে সাথে রুহি রুহানকে মারা শুরু করে,, আর বলতে থাকে,,,,
—” পঁচা,, আপনি খুব পঁচা,, এভাবে কেউ করে??”
রুহি অনবরত রুহানকে মেরেই যাচ্ছে,,, এবার রুহান রুহির হাত শক্ত করে ধরে ফেলে,,, তারপর চোখ দিয়ে ইশারা করে সামনে তাকাতে,,,,রুহি সামনে তাকাতেই অবাক হয়ে যায়,,,,
রুহি একটা নদীর তীরে বসে আছে,,,, তার চারপাশে লাইটিং করা,,আর সবচেয়ে বেশি সুন্দর হলো নদীতে প্রতীপ ভাসানো রয়েছে ,,,,সাথে আকাশে ফানুশ উড়ছে অনেকগুলো,,,,রুহি মুগদ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে সে দিকে।।হঠাৎ রুহান রুহিকে শাক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,, আবেশে রুহিও জড়িয়ে ধরে রুহানকে,,,,
প্রায় কিছুক্ষন এভাবে থাকার পর রুহি মনে আসে,,,তাকে তো রুহানকে শাস্তি দিতে হবে,,, এভাবে থাকলে চলবে না,,,ভেবেই রুহি রুহানের কাছ থেকে সরে আসতে নিলে রুহান আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রুহিকে,,,রুহি যত ছাঁড়ানোর চেষ্টা করছে,,, রুহান ততই রুহিকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিচ্ছে,,,
—” রুহান ছাড়ুন আমাকে,,, কি করছেন আপনি?? ভুলে জাবেন না,, আমি কিন্তু আপনাকে এখনও মাফ করি নি ”
রুহান কিছু বলে না,,, চুপচাপ রুহিকে জড়িয়ে ধরে থাকে,,,,,হঠাৎ রুহি অনুভব করে তার কাঁধে তরল কিছু পড়ছে,,,,সাথে সাথে সে রুহানকে জিজ্ঞেস করে,,,,,
—“আপনি কান্না করছেন রুহান??”
কথাটা শুনে রুহান কআন্না জড়ানো কন্ঠে বলে,,,
—” আমাকে কি একবারও মাফ করা যায় না রুহি,,,??অনেক কষ্ট লাগে আমার।।সত্যি বলছি,, আমি যা করেছি তার জন্য আমি অনুতপ্ত,,,,প্লিজ আমায় মাফ করে দাও”
—” মাফ করব,,, কিন্তু এক শর্তে ”
—” কি?? ”
—” আপনি আপনার সব রাজনৈতিক কাজ আর আপনার সব গেংস্টার গিরি বাদ দিয়ে দিতে হবে।। রাজি??”
—” কিন্তু এতে খারাপ কি?? আমি তো কোনো কিছু করি না আর।। ”
—” একদম মিথ্যা কথা বলবেন না,,,আপনি যদি কিছু না-ই করে থাকেন।।তাহলে আমার যে গাড়ির সাথে এক্সিডেন্ট হয়েছে।। সে গাড়ির ড্রাইভারের হাত পা কে ভাঙছে?? ”
—” ইয়ে মানে,,ওইটা তো সাহেল করছে?? ”
—” ও-ই একদম মিথ্যা কথা বলবি না”
হঠাৎ কে যেন বলে উঠে এ কথা,,, রুহি সামনে তাকাতেই দেখে সাহেল-রোদ আর সায়ান-প্রিয়া দাঁড়িয়ে আছে,,,ওদের দেখে সাথে সাথে রুহি নিজেকে রুহানের কাছ থেকে ছাঁড়িয়ে নেয়,,,তারপর রুহানের দিকে তাকিয়ে থেকেই সবাইকে রাগি গলায় বলে,,,,
—” তোমরা এখানে কিভাবে?? ”
—” আরে এটা তো একটা প্লেন ছিল তোমাকে মানানোর,,,মেলা টেলা তো একটা বাহানা ছিল,,,”(প্রিয়া)
—” রুহান, এটা কি সত্যি?? “[দাঁতে দাঁত চেপে ]
রুহান একটা ক্যাবলা হাসি দিয়ে ২হাত দিয়ে কান ধরে জিহ্বায় কামড় দিয়ে বলে,,,
” সরি ”
রুহি এখনও রুহানের দিকে রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে,,,তা দেখে সবাই জোড়ে জোড়ে চিল্লিয়ে বলে,,,
—” রুহি মাফ করে দাও ওকে,,, ও সত্যিই ভালোবাসে তোমাকে ”
কথাটা শুনে রুহি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে,,,
—” তাহলে ওকে বলুন সবাই,,যে ও যেন কখনো আমার সাথে মিথ্যা কথা না বলে,,,প্লাস মারামারি যেন ছেঁড়ে দেয়,,,কি??রাজি??”
—” অবশ্যই,, অবশ্যই,,আর মারামারি করব না মিথ্যা কথাও বলব না “(রুহান)
—” সত্যি তো??”
—” সত্যি সত্যি সত্যি ৩ – সত্যি,, প্লিজ বউ এবার মাফ করে দাও ”
রুহি একটা মুচকি হেসে রুহানের দিকে হাত বাড়ায় যেন তাকে জড়িয়ে ধরে রুহান,,,রুহান এটা বুঝতে পেরে সেও একটা মুখ ভর্তি হাসি দিয়ে রুহিকে জড়িয়ে ধরে বলে,,,,
—” ভালোবাসি ”
—” আমিও খুব ভালোবাসি ”
কথাটা শুনে সবাই একসাথে হাত তালি দেয়,,,কিন্তু এসবে রুহান আর রুহুর কোনো খেয়াল নেই,,,তারা তো এখন এক সুখের সাগরে ভাসছে,,,আর ভাবছে,,,
” সময়টা যেন থেমে যাক।।ভালোবাসাটা যেন বাড়তে থাকুক ”
—(সমাপ্ত)—