#গল্পঃবর্ষণ_মুখর_দিন
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_০৮
যথারীতি প্রতিদিনের ন্যায় আজ ও অফিস শেষ করে জারা রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছে।অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও যখন রিকশা পেলো না তখন সামনের দিকে এগিয়ে গেলো।হঠাৎ হাতে টান পড়ায় পেছন ঘুরে তাকায়।সামনের ব্যক্তিটিকে দেখে জারা অবাক হয়ে যায়।ওর সামনে রোহান দাঁড়িয়ে আছে।জারা হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলল,আপনি এখানে কি করছেন?
রোহান নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে উত্তর দিলো,তোমার জন্যই এসেছি।
জারা চমকে উঠে বলে মানে?
রোহান জারার হাত ছেড়ে পকেটে হাত গুঁজে সটান হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে।দৃষ্টি চারদিকে ঘুরিয়ে জারার দিকে তাকিয়ে বলে,দেখো জারা আমি তোমাকে পছন্দ করি।মাঝখান থেকে তানিশা এসে সব উলোটপালোট করে দিলো।আমি তানিশাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবো শুধু তুমি আমার সাথে চলো।
রোহানের কথা শুনে জারার রাগ তিরতির করে বেড়ে গেলো।চোয়াল শক্ত করে নিজেকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা।
আপনার মতো এমন চিপ মাইন্ডের লোক আমি দুটো দেখিনি।ঘরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রেখে আপনি আমাকে নিতে এসেছেন?আবার বলছেন তাকে ডিভোর্স দেবেন?আপনার লজ্জা হওয়া উচিত।আফসোস আপনার মাঝে মনুষ্যত্বের ছিটেফোঁটা ও নেই।নিজের স্ত্রী সন্তানের প্রতি অমানুষের মতো আচরণ করছেন।আপনাকে অমানুষ বললেও কম হয়ে যাবে।
রোহান রাগে কপাল চেপে ধরে বলল,হ্যাঁ আমি অমানুষ।আর তোমাকে এই অমানুষের সাথেই থাকতে হবে।জারার হাত চেপে ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যত হলো।জারা এই মুহূর্তে কি করবে বুঝতে পারছেনা।এখন যদি রোহানকে চড় মারতে যায় তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।রোহান আরো ক্ষেপে গিয়ে যদি জারার সাথে উল্টো-পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করে?জারার পক্ষেতো রোহানের সাথে পেরে ওঠা সম্ভব নয়।চারপাশে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে কারো কাছ থেকে হেল্প পাবে কিনা?সবাই নিজেদের মতো ব্যস্ত।
আমার হাত ছাড়ুন বলে জারা রোহানের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়ানোর জন্য মোচড়ামুচড়ি করছে।পেছন থেকে কেউ বলে উঠলো,কি হচ্ছে এখানে?পরিচিত কন্ঠস্বর শুনে জারা মনে সাহস সঞ্চার করে পেছনে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়।রোহান ভ্রু কুচকে বলল,নিজের কাজ করুন অন্যকে নিয়ে মাথা ঘামাতে আসবেন না।
নিয়াজ রোহানের কথায় পাত্তা না দিয়ে জারার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো লোকটি কে জানার জন্য।জারা অসহায় চোখে নিয়াজের দিকে তাকিয়ে আছে।রোহানের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়াতে চেষ্টা করছে।নিয়াজ ওদের হাতের দিকে তাকিয়ে রোহানকে উদ্দেশ্য করে বলল,ওর হাত ছাড়ুন।
রোহান ক্ষেপে গিয়ে বলল,এই কেরে তুই?হিরো সাজতে এসেছিস?এখান থেকে গিয়ে নিজের কাজ কর আর আমাকে আমার কাজ করতে দে।নিয়াজ রোহানের নাক বরাবর ঘুষি দিতেই রোহান দুপা সিটকে সরে যায়।হাত থেকে জারার হাতটি আলগা হয়ে আসে।জারা হাত দ্রুত সরিয়ে নেয়।রোহান নাকে হাত দিয়ে নিয়াজের দিকে এগিয়ে আসে।নিয়াজ জারাকে জিজ্ঞেস করছে ছেলেটা কে?জারা চুপ করে আছে দেখে নিয়াজের মেজাজ গরম হয়ে গেলো।ধমকে বলল,তোমার কথা কানে যায় না?জারা হালকা কেঁপে উঠে হরবরিয়ে বলতে থাকে,উনার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।কোনো কারণে বিয়ে ভেঙে যায় আর উনি এখানে আমাকে নিয়ে যেতে এসেছেন।
জারার কথা শুনে নিয়াজের চোয়াল শক্ত হয়ে আসে।রাগে কপালের রগ গুলো ফুলে উঠে।চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ পর চোখ খুলতেই জারা আৎকে উঠে।নিয়াজের চোখ দুটো টকটকে লাল রং ধারণ করেছে।হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে।তখনই রোহানের দিক থেকে আক্রমণ এর শিকার হয়ে নিয়াজ পাল্টা আক্রমণ করে।দুজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়।কেউ কারো চেয়ে কোনো দিক দিয়ে কম যায় না।
জারা কি করবে বুঝতে পারছেনা।একজন আরেকজনকে মেরে রক্ত বের করে দিয়েছে।কিছুতেই ওদের থামানো যাচ্ছো না।জারা দিশেহারা হয়ে তুহিনকে কল করে তুহিন কল ধরছেনা।পরপর অনেকগুলো কল দিলো।এরপর তাসিনকে কল দিচ্ছে।কেউই কল ধরছেনা।বিপদের সময় সবাই নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
রোহান নিয়াজের কলার চেপে ধরে বলল,কে তুই?জারা কি হয় তোর যে তুই ছুটে চলে এলি?
নিয়াজ রোহানের কাছ থেকে কলার ছাড়িয়ে রোহানের গলা পেঁচিয়ে ধরে পেছন থেকে।দাঁতে দাঁত চেপে বলে,জারা আমার হৃৎস্পন্দন।বিয়ে করছি আমরা কিছুদিন পর।সহজ ভাষায় জারা আমার পিয়ন্সে।
নিয়াজের কথায় জারা থমকে গেছে।নিষ্পলক চেয়ে আছে নিয়াজের দিকে।
নিয়াজের কথা শুনে রোহান জারার দিকে তাকিয়ে বলল,আমার সাথে বিয়ে ভেঙে দিয়ে নতুন নাগর জুটিয়ে ফেলেছিস?তা তোর এই নাগর কি দিতে পারবে তোকে যেটা আমি দিতে পারবোনা?আমার কি অক্ষমতা আছে বল?অক্ষম হলে নিশ্চয়ই তোর বান্ধবী প্রেগন্যান্ট হতোনা।নাকি আমার চেয়ে এই নাগরের টাকা বেশি কোনটা।
জারা চোখ বন্ধ করে নেয়।চোখের কার্ণিশ বেয়ে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে।নিয়াজ আরো রেগে গিয়ে রোহানকে মারতে থাকে।রোহানও পাল্টা মারে।কেউ কেউ তাকিয়ে দেখছে কেউবা নিজের গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছে।এগিয়ে আসছে না কেউ।জারা মাঝখানে গিয়ে ওদেরকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় তুহিন ফোন হাতে নিয়ে স্ক্রিন অন করতেই জারার নাম্বার থেকে ১৬টা কল আসতে দেখে।এসময় তো জারার অফিস থেকে ফেরার কথা এতগুলো কল এসেছে দেখে তুহিনের মনে অজানা ভয় এসে গ্রাস করে।দ্রুত জারার নাম্বারে ফোন লাগায়।তিনবারের সময় জারা রিসিভ করে কেঁদে কেঁদে বলে ভাই তুই কোথায়?অফিসের কাছে আয় রোহান এসেছে।আর কিছু বলতে পারেনা আবারো নিয়াজ আর রোহানকে থামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।তুহিন বন্ধুদের থামিয়ে দিয়ে বলে,বাইক নিয়ে চল সবাই।সবগুলো তুহিনের দিকে একবার তাকিয়ে শুধু বলল,কোথায় যেতে হবে?
বাইক নিয়ে তুহিন ছুটে এসেছে।এদিকে নিয়াজ রোহান একে অপরকে মেরে রক্তাক্ত করে দিয়েছে।দুজনের শরীরই নিস্তেজ হয়ে এসেছে তবুও থামছেনা।তুহিন তার বন্ধুদের নিয়ে রোহানকে মারতে থাকে।জারা তুহিনকে ঝাঁকিয়ে বলে,ওদেরকে থামা।আমি তোকে ডেকেছি ওদের মারামারি থামাতে মারতে নয়।
তুহিন চোখ লাল করে বলল,ও এখানে কি করছে?
জারা হাত জোর করে বলল,বলছি আগে ওদেরকে থামা,ছেলেটা মরে যাবে আগে আমার কথা শোন।তুহিন সবাইকে থামতে বলে।রোহান ব্যথায় কাতরে ওঠে।নিয়াজের কপাল ঠোঁট কেটে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।জারা ব্যাগ থেকে টিস্যু আর পানির বোতল নিয়ে নিয়াজের দিকে এগিয়ে দেয়।নিয়াজ জারার দিকে একনজর তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নেয়।কিন্তু কিছুই হাতে নেয় না।জারা তুহিনের দিকে তাকিয়ে বলল,তোকে আমি সবকিছু বাসায় গিয়ে বলবো,এখন উনাদের হসপিটালে নেওয়ার ব্যবস্থা কর।তুহিন কথা না বাড়িয়ে জারার কথামতো গাড়ি ডেকে তুহিনকে তুলে নেয়।জারা কাঁপা কাঁপা হাতে নিয়াজের কপালের রক্ত মুছে দিয়ে ঠোঁটের কাছে গিয়ে থেমে যায়।হাত গুটিয়ে নিতে গিয়েও কি মনে করে দ্রুত রক্ত মুছে দিয়ে নিয়াজকে পানি খেতে বলে।নিয়াজ পুরোটা সময় জারাকে দেখছিলো।এখনো জারার দিকে তাকিয়ে পানির বোতলের ছিপি খুলে দুই ঢোক পানি গিলে নেয়।জারা কন্ঠ খাদে ফেলে বলল,ডাক্তারের কাছে চলুন।
নিয়াজ জারার দিকে চেয়ে থেকে বলল,লাগবেনা।আ’ম ওকে।
জারা রেগে গিয়ে বলল,কতটা ওকে সেটা আমি দেখতেই পাচ্ছি।চুপচাপ ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় যাবেন বলে নিয়াজের হাত ধরে টেনে গাড়ির সামনে নিয়ে আসে।
নিয়াজ জারা আর ওর হাতে দিকে তাকিয়ে হাটছে।জারার এই অধিকারবোধটা নিয়াজের বেশ ভালোই লাগছে।
গাড়ির কাছে এসে জারা নিয়াজের হাত ছেড়ে দিয়ে চোখে ইশারা করে বলল,গাড়িতে উঠতে।নিয়াজ আগে জারার দিকের দরজা খুলে দিয়ে দাঁড়ায়।জারা একবার নিয়াজের দিকে তাকিয়ে ফ্রন্ট সিটে বসে পড়ে।নিয়াজ ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে সোজা হাসপাতালে চলে আসে।রোহানকেও তুহিন এই হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।ডাক্তার নিয়াজের কপাল আর শরীরের কেটে যাওয়া অংশ গুলোতে মেডিসিন দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়।তুহিন নিয়াজকে সাবধানে বাসায় যেতে বলে জারাকে নিয়ে বাসার জন্য বেরিয়ে পড়ে।জারা আসার আগে একবার নিয়াজের দিকে তাকিয়ে নাথা নিচু করে তুহিনের সাথে বেরিয়ে আসে।
হাসপাতালের রিসিপশন থেকে রোহানের বন্ধুকে কল দিলে সে হাসপাতালে চলে আসে।রোহানের পকেটে ফোন সহ যাবতীয় সব কিছু ছিলো।রোহান ঢাকায় এসে তার বন্ধুর বাসায় উঠে।একদিন থেকে জারার খোঁজ নিয়ে আজকে জারাকে নিয়ে যেতে আসে।
রোহানের বন্ধু দিদার রোহানকে বলে,মেয়েটার কথা ভুলে তানিশাকে নিয়ে সংসার কর।সে তার মতো আছে তুই তোর বউ বাচ্চা নিয়া থাক।এ দুদিন আমি দেখেছি তানিশা কল দিলে তুই কিভাবে মেয়েটার সাথে ব্যবহার করতি।আরেকজনের পেছনে ছুটে এখন দেখ ডান হাত ভেঙে পা মচকে বসে আছিস।সারা শরীরে জখম হয়েছিস।
রোহান কিছু না বলে মাথা নিচু করে বালিশে হেলান দিয়ে বসে থাকে।
জারার বাবা মা সকালেই গ্রামের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছেন।মেয়ের বিয়ে বলে কথা প্রচুর কাজ সামলাতে হবে এখন থেকেই।সবাইকে দাওয়াত দিতে হবে।রাতে ঘুমাতে এসে জারা ভাবছে,মানুষটার এখন কি অবস্থা একবার কি ফোন করবো?যদি ফোন করলে বেহায়া ভাবে?কিন্তু ফোন না দিলেও তো জানতে পারবো না এখন কেমন আছে।হাজারো চিন্তা ভাবনা শেষে মনের সাথে যুদ্ধ করে জারা মনস্থির করলো নিয়াজকে ফোন করবে।ফোন হাতড়িয়ে নিয়াজকে কল দিতে গিয়ে জারা চুপ করে বসে আছে।কিভাবে কল দেবে?ওর কাছে তো নিয়াজের নাম্বারটাই নেই।মন খারাপ করে ফোন রেখে দিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়।
পরেরদিন ভার্সিটিতে গিয়ে ক্যাম্পাসে পোলাপানের ভীড় দেখে জারা সেদিকে এগিয়ে যায়।ভীড় ঠেলে সামনে এগিয়ে যেতেই দেখে তুহিন আর মাহাদী মারামারি করছে।জারা ওদেরকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করলো তোরা দুজন মারামারি করছিস কেনো?তুহিন জারাকে সরিয়ে দিয়ে বলে তুই সরে যা।তুই জানিস তোর এই বন্ধু আর আমার সিনিয়র নামের কলঙ্ক কি করেছে?
জারা শান্ত কন্ঠে বলে কি করেছে?মাহাদী হেসে চলেছে।তুহিন কপালের দিকের চুলগুলো হাত দিয়ে চেপে ধরে বলে,মেয়ের আইডি দিয়ে আমার সাথে প্রেম করেছে।আজকে দেখা করতে এসে দেখি ছেলে।
জারা ফিক করে হেসে দিয়ে বলে,তোরতো আর গার্লফ্রেন্ড এর অভাব নাই।তাহলে এতো চেতস কেনো?
তুহিন পা দিয়ে মাটিতে লাথি মেরে বলে আমি সিরিয়াস ছিলাম ইয়ার!
জারা হেসে কুটিকুটি সাথে মাহাদী ও হাসছে।জারা চোখ পাকিয়ে বলছে তাই বলে তুই সিনিয়রকে মারবি?
তুহিন দাঁত কিড়মিড় করে বলল,আর সিনিয়র যে আমার হৃদয় ভেঙেছে?
জারা এবার মাহাদীকে ধরেছে।কিরে তুই এরকম করলি কেনো আমার বেচারা ভাইটার সাথে?
মাহাদী হাসি থামিয়ে বলে,তোর ভাই আমার ক্লাস টেন এ পড়া কাজিনের সাথে প্রেম করে।আমার কাজিনতো তোর ভাই বলতে পাগল।তার একাধিক গার্লফ্রেন্ডের কথা শুনে ফেইক আইডি দিয়া সেই প্রেম করেছে।কিন্তু দেখা করার জন্য আমাকে পাঠিয়েছে প্রতিশোধ নিবে বলে।
তুহিন চোখ বড় বড় করে বলল,মিমিকে আমি বাচ্চা মেয়ে ভেবেছি।এই মেয়ে আমার সাথে এতবড় গেইম খেললো?আমার সবচেয়ে ছোট গার্লফ্রেন্ড যে এতটা ডেন্জারেস তা আজ জানলাম।
জারা তুহিনের কাধে হাত দিয়ে বলে,সবগুলোকে বাদ দিয়ে আমি মিমিকেই আমার ভাবি বানাবো।তোর জীবন তেজপাতা করার জন্য তৈরি হয়ে নে ভাই।চল মেদী ক্লাসে যাই।
অফিসে এসে জারা অবাক আজ একবারের জন্যেও নিয়াজ ওকে কেবিনে ডাকলো না?অফিস টাইম যখন প্রায় শেষ তখন জারা ফাইল দেখাতে নিয়াজের কেবিনে যাওয়া ধরতেই রহিম বলল,ম্যাডাম কোথায় যাচ্ছেন?স্যার তো নাই।
জারা বলল,স্যার নাই মানে?
রহিম বলল,স্যার নাকি অসুস্থ।জ্বর আইছে তাই অফিসে আসেন নাই।
জারা চিন্তিত হয়ে বলল,ওহ।
কাল যেভাবে রোহান আর নিয়াজ একজন আরেকজনকে কেলিয়েছে জ্বর আসারই কথা।
জানালার পর্দা গুলো উড়ছে।পুরো রুমে নিস্তব্ধতা বিরাজমান।নিয়াজ বিছানায় চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে।জ্বরে চোখগুলো কেমন ফোলা ফোলা লাগছে।বেশিক্ষণ চোখ খুলে রাখা দায় হয়ে পড়েছে তাই চোখ বুঝেই শুয়ে আছে নিয়াজ।শরীরের তাপমাত্রা রাতের চেয়ে এখন অনেকটা কম আছে।কাল রাতেই ভীষণভাবে জ্বর উঠেছে সাথে পুরো শরীরে ব্যাথা।
#চলবে……।
(গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি।হ্যাপি রিডিং)