#খুঁজলেই_পাবে_আমায়
#রোকসানা_আক্তার
পর্ব-০২(সমাপ্তি)
খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গে আমার।তাও এমনিতে নয়।রুমের ভেতরে খুটখুট শব্দে চোখের তন্দ্রাচ্ছন্নতা ছুটে যায়।আমি পাশ ফিরে তাঁকিয়ে দেখি অনিল ভাইয়া আমার টেবিলের বইগুলো ঘাটাঘাটি করছে।আর তারই খুটখুট শব্দ হচ্ছে।আমাকে ঘুম থেকে জাগতে দেখে একটা মুচকি হাসি ছড়িয়ে নেন পুরো মুখে।বইয়ের উপর হাত চালিয়ে রেখেই বলে উঠেন,
“গুড মর্নিং!একটা গুড নিউজ আছে তোর জন্যে!”
আমি চুপ করে রইলাম।দৃষ্টিটা উনার থেকে সরিয়ে নিজের আগের চেতনায় ফিরলাম।উনার কথ আর কি শুনবো!শুনতে গেলেই কবি-সাহিত্যিকদের দুই তিনটে বাক্য শুনিয়ে লজিক দেখাবে।সবসময় থিউরিকাল এবং রিসার্চ বই পড়াতে এই লজিক-ফজিক শিখে নিয়েছে!আর অন্যের মাথা খাচ্ছে।উনি আমার মুখের ভাবভঙ্গি দেখে ধরে ফেলেছেন আমি উনার কথাাা শুনতে ইচ্ছুক নয়।বললেন,
“তোকে আজ লজিক-ফজিক দেখাবো না!শুধু একটা কিছু কথা বলবো।মনোযেগ দিয়ে একটু শোন।ধর কেউ তোকে কোনো বিষয়ে সরাসরি বারণ করলো,যেটাতে বারণ করলো সেটায় নিজেকে নিজের থেকে খুব অসম্মান,তুচ্ছ এবং মূল্যহীন মনে হলো।পরে ধর সেই ব্যক্তি তোকে ছোট্ট করা বিষয়টি আবার শুধলাতে চাইলো।তুই তখন কি করবি?উত্তরটা মাস্ট মাস্ট দিবি কিন্তু!”
রাগ উঠলো প্রচন্ড এবার।এমনিতেই মন ভালো নেই।উনি আসছেন আবার ফাজলামো করতেন!কোনো উত্তর দিলাম না।চুপ করে রইলাম।
“আহা,চুপ করে আছিস কেন?উত্তরটা দাে।তোরজন্যেই ভালো হবে!”
“অনিল ভাই,আমার রুম থেকে যান!প্লিজ!”
“কাল তো মামা সেই ফিঁসছে তোকে!তাই মন খারাপ, না?সমস্যা নেই!এখন শুধু রুম থেকে বের হ।সেই সবাই আবার মাথা তুলে আদর করবে।”
“আধ পাগল নাকি?কি উল্টাপাল্টা বলতেছেন!রুম থেকে যান!চিৎকার দিব কিন্তু!”
“দে।যদি চিৎকার মারিস তাহলে সবাই ভাববে তোর সাথে ইটিসপিটিস করতে চাইছি।আবার এমনো কথা উঠতে পারে তোর সর্বনাশ করে ফেলছি।পরে সবাই মিলে আবিরের জায়গাটিতে আমাকে বসিয়ে তোরসাথে ধরে বেঁধে বিয়ে দিয়ে দেবে!”
এবার বিছানা থেকে উঠে বসলাম।সরু চোখে উনার দিকে তাকিয়ে,
“আপনি আসলে বলতে চাচ্ছেন টা কি বলুনতো?”
“ওই যে ওটার উত্তরটা দিতে বলছি না?ওটা দিয়ে দিলে বের হয়ে যাবো তোর রুম থেকে।”
“সত্যিা যাবেন তো?”
“১০০% সত্যি!”
“ওকে।যে বিষয়টা আমাকে সবথেকে ছোট্ট করে আনে তা আমি কখনো শুধলাই না।”
“তাহলে আবিরকে আবার একসেপ্ট করবি?”
“আবার আবির কেন!ওটাতো কাল রাতেই শেষ!”
“শেষ না।সবে শুরু!”
“মানে?”
অনিল ভাইয়া চেয়ার থেকে উঠে দাড়ালো।ব্যস্ততা ভঙ্গিতে বললো,
“বাইরে যা।বাইরে গেলেই ” মানে”-র উত্তরটা পেয়ে যাবি।”
বলে আর দাঁড়ালেন না।রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন!”
আমি বেশ হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে অনিল ভাইয়ার পরেই রুম থেকে বেরুলাম।আমার রুমের ডোর পেরিয়ে আরেকটা ডোর,যেটাতে ফুপী থাকেন।ফুপী বোধহয় রুমেই ছিলেন।আমাকে দেখে ফেলেন।বলে উঠেন,
“শশী?এদিকে আয়?”
আমি দাঁড়িয়ে ফুপীর দিকে তাকালাম।ফুপী হেসে দিলেন।পরক্ষণে বলে উঠলেন,
“কালরাতে কেনো বেহুদা সবার অপমাণাজনক কথা গিলতে গেলি।সত্যটা বলে দিলেই তো হত!”
ফুপীর কথায় আমি এবার চমকে যাই।চোখজোড়া আরো প্রশস্ত করে ফুপীর দিকে তাকাই।ফুপী বলেন,
“তোর বাবার কাছে যা।সকাল থেকে তোর বাবা তোকে খুঁজছে।”
আমি আর ফুপীকে “কেনো খুঁজছে” প্রশ্নটা করলাম না।ভেতরটা আবিরের বিষয়ে সন্দেহ জমা হলো।আবির যে বিয়েটা নিজে ভাঙ্গলো তা আমার পরিবার কি জেনে গিয়েছে?ভাবনাটা পরমুহূর্তে বাস্তবে রূপ নেয় আবিরের ফোন কল।রিসিভ করতেই সে সর্বপ্রথম সরি বলে উঠে।তারপর অত্যন্ত গোছানো বাক্যে বলতে থাকে,
“সুর্ভী আমাকে ঠকিয়েছে।ওর অন্য আরেকটা ছেলের সাথে রিলেশন আছে।আমি বিষয়টি বুঝতে পারি নি।কিন্তু গতকাল রাত যখন বললাম তোমার এবং আমার বিয়েটা ভেঙ্গে দিয়েছি তখনই ও আমাকে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায়।ও আমাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে নি।ও ওই ছেলেকে ভালোবেসেছে।ওই ছেলের সাথে ওর কয়েক বছর ঝগড়া ছিল।ছোটকালের প্রেম ওদের।ঝগড়ার ওই সময় টুকুতে সে আমার সাথে সময় কাটিয়েছে।এখন তার বফ ব্যাক করেছে তাই এখন আমাকে আর প্রয়োজন নেই।আমাকে ক্ষমা করে দাও।”
আমি একটা দম ছাড়লাম।তারপর বললাম,
“তা আপনি এখন কি করতে চাচ্ছেন?”
“আমি তোমাকে বিয়ে করবো।গতকাল রাতেই তোমার বাবাকে কল করে জানিয়েছি সব।আর সব দোষই আমার ছিল। তোমার কোনো দোষ ছিল না।”
“তারপর বাবা কি বললেন?”
“তোমার বাবা খুব কষ্ট পেয়েছেন।তোমাকে খুব বকাঝকা করেছিল।”
“আমি এটা জিজ্ঞেস করিনি।জানতে চেয়েছি বাবা আমাকে আপনি বিয়ে করার ব্যাপারে কি বলেছেন?”
“মেনে নিয়েছেন।আর আজকেই আমার সাথে আপনার বিয়ে হবে।”
“আমি এখন কলটা একটু রাখতে পারি?”
“কোনো সমস্যা, শশী?আমি জানি তুমি আমার উপর রাগ।এই দ্যাখো আবারো বলছি সরি।”
“আচ্ছা রাখি একটু?পরে কথা বলছি!”
“আচ্ছা আচ্ছা।”
আবিরের কলটা কেঁটে দিয়েই দৌড়ে গেলাম বাবার রুমে।কিন্তু বাবাকে রুমে পেলাম না।পেলাম প্যান্ডেল সাজানোর ওখানে।মানে বাইরে।বাবা আমাকে দেখামাত্রই চোখমুখ কেমন নরম করে ফেলেন।নরম চোখমুখেই কিছু বলতে মুখ খুলেন।কিন্তু আমি তাতে আর সুযোগ না দিয়ে বলে উঠলাম,
“জানি বাবা তুমি কি বলবে।তা শোনা থেকেও তোমাকে এখন আমার জরুরী কিছু শুনতে হবে।”
বাবা চোখজোড়া ধকধক করে উঠে।অত্যন্ত সম্মতির সহিত বলে উঠেন,
“বল?বল?”
“বাবা আমি আবিরকে বিয়ে করতে পারবো না।”
সাথে সাথে বাবার চোখমুখ কালো হয়ে যায়।আমি বাবাকে শুধাতে লেগে যাই,
“বাবা আবির আমার জন্যে কস্মিনকালেও পারফেক্ট না।ওর সাথে সংসার করলে সুখ পাবো না।ও বিয়েটা ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটিবারও ভাবে নি,বিয়ের আগেরদিন একটি মেয়ের বিয়ে যদি ভেঙ্গে ফেলা হয় সমাজ ওকে পরে কেমন চোখে দেখবে,কীভাবে সমাজ ওকে মেনে নিবে,কীভাবে ওর পরবর্তীা জীবনযাপন অতিবাহিত হবে তা ভাবে নি।সামনে তো আমার মানসম্মান খেলোই,সব নারীদের কূলে আমাকে ছোট্ট এবং খুব তাচ্ছিল্য করে আনলো।এরকম মনমানসিকতার ছেলেকে আমি কখনোই বিয়ে করতে পারবো না বাবা!আমার সঠিক কাউকে দরকার সে আমাকে নির্জীব,নিরব,স্থিতিশীল, এবং সারাজনম ভালোবেসে যাবে!”
বাবা আমার কথায় কোনো সমাধান খুঁজে পেলেন না।বলতে চাইলেন,এখন যদি আবিরকে আমরা বারণ করে দিই,পরে কীভাবে বিয়ে হবে?বা কে বিয়ে করবে!?বাবার কঠিন প্রশ্নের সহজ উত্তরটা আমি সাথে সাথে দিয়ে দিই,তাও অনিল ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে!অনিল ভাই আমাদের থেকে তিন-চর হাত দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।স্টেজ সাজানোর তদারকি করছেন আর কি।আমাদের খেয়াল নেই উনার।বাবা অনিল ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে থেকে এবার আমার দিকে তাকালেন।আমি জানি বাবা অনিল ভাইয়ার বিষয়াটা মানতে চাইবেন না।তারপরও যথেষ্ট নিজেকে প্রস্তুতি রেখে বললাম,
“বাবা,অনিল ভাইয়া পারফেক্ট হবে।আমাকে অনেক ভালোবাসে।কিন্তু আপনার ভয়ে মুখ খুলে বলতে পারে নি।ভাইয়া একজন পবিত্র মনের মানুষ।ওই আবির ছেলেটির মতন মেয়েদের সাথে কথা বলে না।সে আমাকে যথেষ্ট সম্মান দিতে পারবে বাবা।অন্তত আমার মানসম্মানের কথা চিন্তা করে তুমি অনিল ভাইয়াকে মেনে নাও।সম্পর্ক করতে দূরে-কাছে,আত্মীয়-অনাত্মীয় বলে কোনো কথা না।সম্পর্ক শুধু মানুষ বুঝে করা লাগে বাবা।”
একথা গুলো বলে বাবার সামনে খুব হাইপার হয়ে যাই।বাবা আমার মুখের দিকে তিন মিনিটের মতন তাকিয়ে থাকেন।ঠিক পরের মিনিটে গলাটা হালকা ঝেঁড়ে পাশে তাকান।”অনিল”বলে ডাক দেন।সাথে সাথে অনিল ভাইয়া আমাদের দিকে তাকান।বাবা হাত দিয়ে ইশারা করে।অনিল ভাইয়া আমাদের দিকে এগিয়ে আসেন।মুখে হাসি হাসি ভাব রেখেই বলেন,
“ফুপা কেনো ডেকেছেন?”
“শশী কি বলে এসব?”
“কোনসব?”
আমি বলে উঠলাম এবার,
“অনিল ভাই,সত্যি করে কথা বলবেন বাবা সামনে আছেন!আপনি না আমাকে পছন্দ করেন?”
হঠাৎ আমার এহেন উদ্ভট কথায় অনিল ভাইয়া কেমন যেমন অপ্রস্তুত হয়ে যান।মুখে কথা আঁটকে আসে।কি বলবেন, না বলবেন নিজেই বুঝতেছেন না।আমি আবার থেমে থাকি নি।বলে যাই,
“বাবা সামনে তাই লজ্জা পেয়ে লাভ নেই।আর লজ্জা রেখে যদি মুখে কুলুপ দিয়ে রাখেন আমাকে আজকে থেকে চিরতরে হারাবেন!”
বাবা এবার আমাকে থামায়।অনিল ভাইয়ের কাঁধে হাত রাখে।অনিল ভাইয়াকে কিছু বলবে,তার আগে আমার দিকে তাকায়।বলে,
“শশী?তুই যা!”
বাবার কথায় চলে আসি।পরে জানি না বাবা অনিল ভাইকে কি বলেছেন!
——————————————————
প্রায় একঘন্টা পর বাড়ির সবার হৈ-হুল্লোড়,চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনা যায়।কেনো সবাই এরকম করছে শুনতে বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়াই আমার।দেখি আমার খালা-খালু,ফুপি-ফুপা,মা-মামিমা এবং একগাট্টি কাজিন অনিল ভাইকে নিয়ে পড়েছে!অনিল ভাইকে বিয়ের গোসল করাবে।আর কাজিনরা আমোদিত এবং উচ্চস্বরে বলতেছে,
“শশী আপুর সাথে অনিল ভাইয়ার আজ বিয়ে!কেমন অবিশ্বাস্যকর ব্যাপারটা না?”
লজ্জায় মাথা নুইয়ে আসে।দ্রুতপায়ে রুমে ফিরে আসি।বিছানায় গা এলিয়ে দিই।ক্লাস সেই এইট থেকে এই ছেলেটার দুই গালের দুইপাশের টোল দুইটার প্রেমে পড়ো দেবদাসী হয়ে গেছি।বাবার ভয়ে কখনো মুখ ফুঁটে বলতেও পারি নি যে অনিল ভাইকে,ভাইয়া আপনাকে আমি ভালেবাসি!”বাবা আত্মীয়তার ভেতর সম্বন্ধ করতে পছন্দ করেন না।তাই আগে থেকেই সাবধান করেছিলেন যাতে কোনো কাজিন-ফাজিনের দিকে চোখ তুলে না তাকাই!তাইতো চাপা ভালোবাসাটা এতদিন মুখ ফুঁটে বলতে পারিনি।ভাগ্যের কি পরিহাস,বাবার অনিচ্ছাকৃততার সুঁতোয় আমার ইচ্ছেটা আজ প্রাধান্য পেয়েছে!খোদা তুমি দয়ালু।জীবনে মন থেকে যাকে চেয়েছি তাকেই তুমি আামাকে আজ দিলে!এমন সময় মেসেজ এলে ফোনে একটা!তাকিয়ে অনিল ভাইয়ের,
“এই পছন্দ না তুই আমাকে করিস?আর কী সুন্দর ফুপার সামনে আমার দোষ দিয়ে দিলি?”
মেসেজটা পড়ে প্রচন্ড হাসি পাইলো।উনি এমন একটা মানুষ এভাবে বাবার সামনে কথা না বানালে একদম অসম্মতি করতো!একটু চাপা টাইপের।হালকা চাপা না আবার,কঠিন চাপা টাইপের।সহজে মন থেকে কথা বের করা যায় না।
আর আপনারা এতক্ষণে হয়তো ভেবেছেন আমিই উনাকে ভালোবাসি শুধু?য়ু হু তা না।উনিও বাসেন।কেননা,
আমার মনে আছে ঠিক।সেদিন ছিল ঘন বর্ষা।আমি দরজা চাপিয়া আমার রুমে এসে শুয়েছিলাম।তন্দ্রা লেগেছিলো চোখে।হঠাৎ খসখস আওয়াজে চোখ ছুটে যায়।পুরো চোখ মেলি নি।পাতা ছোট করে সামনে তাকালাম।অনিল ভাইয়া আমার রুমে।আমার ডায়েরী পড়তেছেন।চোখে খুব অস্থিরতা ভাব,যেনো কারো সামনে পড়লেই রক্ষে নেই আর!আমার হাসি চলে আসতে চাইলে আমার।কারণ,আমি ডায়েরীর পৃষ্ঠাতে আমার পার্সোনাল লাইফের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে থাকি।তাহলে আমার পার্সোনাল অভিব্যক্তি উনার সার্চা করে কি লাভ?বিষয়টি ঠিক তার এক মিনিট পরই স্পষ্ট হয়ে গেল।যখন তিনি ডায়রীটা রেখে আমার বিছানার কাছে এলেন!আমার ঘুমন্ত মুখের দিকে পলকহীন চোখে তাকিয়ে রইলেন।আর আমি ঘুমের ভণিতায়!তারপর থেকে বুঝলাম উনিও আমাকে ফিল করেন।যদিও কখনো বললে স্বীকার করতেন না।তাইতো আজ বাবাকে দিয়ে রামধোলাই দিলাম।আমিা এবার রিপ্লাই দিলাম,
“চোরের মতন আমার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে
মনে মনে ” ভালোবাসার ছন্দ “সাজালেন!এখন আসছেন উল্টো ভাব নিতে!গালে কামড় দিব কিন্তু!”
সাথে সাথে আবার রিপ্লাই,
“আহা আর পারতেছি না।বাসরটা কখন আসবে তোর কামড় খেতাম!”
“নির্লজ্জ! ”
“হাসির ইমেজ দিলো দুইটা।”
ফোনটা পাশে রাখলাম পৃথিবীর সবথেকে শান্তি এবং সুখী মানুষদের একজন হয়ে।
সমাপ্তি…!
(গল্পটা ছোটই ছিল।একপর্বেই হত।কিন্তু দীর্ঘতার কারণে দুই পর্বে নিলাম।)