#একজোড়া_পায়রা
#লুৎফুন্নাহার_আজমীন(#কন্ঠ)
#পার্ট২১

শুভ্র আগে বেশ কিছু চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে রেখেছিলো।হঠাৎ করেই সিলেটের একটা কলেজে শুভ্রর চাকরি হয়ে যায়।সামনে আমারও পরীক্ষা। তাই আমায় রেখেই শুভ্র আগে ভাগেই সিলেট চলে যায়।ওর সিলেটে যাওয়ার পর আমি যেন আবার আমাদের পুরোনো প্রেমকে খুঁজে পেলাম।তবে এবার পুরোনো প্রেমটা একটু ভিন্ন রুপে ফিরে এলো।আগে উনি আমার মেসেজের জন্য,রিপ্লাইয়ের জন্য অপেক্ষা করতেন আর এবার আমি উনার মেসেজ,রিপ্লাইয়ের জন্য অপেক্ষা করি।আমার শ্বাশুড়ি মা আবার পড়াশোনার ব্যাপারে খুব সিরিয়াস।সন্ধ্যা হলেই পড়তে বসার জন্য তাগাদা দেন।আর রাত্রে ফোন চালাতে নিষেধ করেন।উনি বলেন রাত্রে নাকি ফোন চালালে চোখের নিচে কালি পড়ে আমার চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে।যদিও আমি অত সুন্দর না।আর উনার ছেলেও আমায় পেত্নী শাকচুন্নি বলে ক্ষেপাতে খুব পছন্দ করে।একসময় খুব ক্ষেপতাম।কিন্তু এখন আর ক্ষেপি না।আমিও শুভ্রকে মামদোভুত বলে ডাকি।এমন কি আমার মেসেঞ্জারের নিকনেইমে,হোয়াটস অ্যাপে উনার নাম মামদোভুত নামেই সেভ করা।উনিও বায়োতে দিয়ে রেখছেন “someone’s মামদো ভুত”। উনার দেখাদেখি আমিও বায়োতে লিখে দিয়েছি ” someone’s শাকচুন্নি”। এই দেখেই মানুষ বুঝে যায় আমরা জামাই বউ।কিন্তু কিছু কিছু মানুষ। বিশেষ করে অপরিচিত মানুষ আমাদের এখনো প্রেমিক-প্রেমিকা ভাবে।আর ভাববে না ই বা না কেন? আমার আইডির about এ এখনো লেখাটা যে আছে! In a relationship with Sheikh Shuvro

রাতে ফোন চালানোয় যেহেতু আমার শ্বাশুড়ির নিষেধাজ্ঞা আছে তাই সিনেমার মতো লুকিয়ে লুকিয়ে আমি রাত্রে শুভ্রের সাথে কথা বলি।সারাদিনে কি হলো না হলো শুভ্রকে না বললে আমার একটুও ভালো লাগে না।আজকে আবার রাত্রে বাংলাদেশের খেলা আছে।আমার শ্বাশুড়ি মা হয়তো ঘুমিয়ে গিয়েছে।তাই শ্বশুরকে ড্রয়িংরুমে টিভির সাউন্ড কমিয়ে খেলা দেখতে দেখছি।শুভ্রও বোধহয় আজকে অনলাইনে আসবে না।খেলা থাকলে ছেলেরা সাধারণত অন্য কাওকে খুব একটা পাত্তা দেয় না।খেলা চলাকালীন যদি কোনো ছেলে সাথে সাথে মেসেজের রিপ্লাই দেয় তাহলে সে ছেলে একবারে হাজবেন্ড ম্যাটারিয়াল। তাকে তুলে এনে বিয়ে করে ফেলা উচিৎ।বিয়ের আগে শুভ্রও অনেকটা এমন ছিলো।ক্রিকেট খেলা নাকি তার কাছে খুব বিরক্তকর।অনেক সময় নিয়ে হয়। সে বলেছিলো ক্রিকেট খেলা দেখা আর সময় নষ্ট একই।কিন্তু বিয়ের পর দেখি এই ছেলেই ক্রিকেট পাগলা।আমি জানি এই ছেলে অনলাইনে আসবে না আজ।আর না খেয়েই আজ পারলে সারারাত এ খেলা দেখবে।পরে বলবে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা বুক জ্বালাপোড়া হেন তেন কত কি!বাধ্য হয়ে কলই দিই উনাকে।উনি কল রিসিভ করেন,,,

-কই আপনি?
-বাইরে।
-রাত বারোটায় বাহিরে কি করেন?
-বুঝো না?খেলা দেখি।
-খাইছেন?
-উহু পরে খাবো।
-জানা আছে তো!খেলা শেষ হলে গিয়া ঘুমায় পড়বো।খাওয়া দাওয়া সব চাঙ্গে উঠুক।যা মন চায় করেন আমার কি?

উনাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই আমি ফোন কেটে দিই।উনি আর পরে কল দেন নি।অথচ আজ যদি খেলা না থাকতো তাহলে আমার রাগ ভাঙানোর জন্য কত কি ই না করতো।এই খেলা আমার সতীনের থেকে কোনো অংশে কম না।
ঘুমও আসছে না।গত আধ ঘন্টা ধরে শুধু বিছানার এপাশ ওপাশ করছি।আমার শ্বাশুড়ি মার ডায়াবেটিস আছে। তিনি ঘন ঘন বাথরুমে যান।বাথরুমে যেতে গিয়া শ্বশুর মশাইকে টিভিতে খেলা দেখতে দেখে উনি ইতিমধ্যে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিয়েছেন।বউয়ের ঝাড়ি খেয়ে বাধ্যহয়ে আমার শ্বশুর মশাই ঘুমাতে যান।ইশ!আজ যদি শুভ্র থাকতো আমিও এইরকমই করতাম।মাঝে মাঝে তালগাছটাকে বড্ড মিস করি। কিন্তু আমি জানি আমায় লোকটা একটুও মিস করে না।এখন আরও শান্তিতে আছে।কেউ তার চলাফেরা নিয়ে রাগারাগি করে না।ঘ্যান ঘ্যান করে না।আহা কি শান্তি।কিন্তু বেটার এমন শান্তি আমার সইছে না।কবে যে সিলেট যাবো!
মরার ঘুম!আসছেও না।বিছানার পাশে টেবিলে থাকা ডায়েরিটা নিয়ে ফোনের ফ্ল্যাশলাইটের আলোয় পড়তে লাগি।এই সেই ডায়েরি যেখানে আমার সব ভালো লাগা মুহুর্ত গুলো লিপিবদ্ধ করা আছে।মন খারাপ থাকলে কিংবা অলস সময়ে আমি এই ডায়েরিটা পড়ি।ডায়েরিটা পড়তে পড়তে কখন যে সেই মুহুর্তগুলো কে কল্পনা করে হারিয়ে যাই নিজেও টের পাই না।

১০-১-২০১৮
কোনো এক শীতের বিকেল।একটা টিউশন নিয়েছি।কিন্তু প্রথম দিনেই যে দেরি হয়ে যাবে ভাবিনি।বাস থেকে নেমে রিকশায় দশমিনিটের পথ তারপর ছাত্রীর বাসা।লিফটে উঠতে যাবো ঠিক সেই সময় একটা তালগাছের মতো লম্বা একটা ছেলের সাথে ধাক্কা লাগে। ছেলেটার সাথে আমার কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখাচোখি হয়।কি আজব ছেলেটা!একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা লাগলো তাকে সরি না বলেই চলে গেলো।কিন্তু ওই কয়েক সেকেন্ডের চোখাচোখিতেই আমি ছেলেটার প্রেমে পরে যাই।নিজের অজান্তেই মনের ভেতর ছেলেটাকে নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা করে বসি।

ডায়েরিটা পড়তে পড়তে অজান্তেই হেসে দিই।কেমন যেন লজ্জা লজ্জা লাগছে।কে জানতো ওই ছেলেটাই আমার শ্বাশুড়ির এক মাত্র ছেলে হবে।ইশ! এত লজ্জা পাই কেন আমি?ধ্যাত!
এখন আবার ঘুম ঘুম পাচ্ছে।ডায়েরীটাকে বালিশের পাশে রেখে চোখ বুজি।


-মেঘ একটা জিনিস খেয়াল করেছিস?
-কি?
-এই ছেলেটা বেশকিছুদিন ধরে তোর আশেপাশে ঘুরঘুর করছে।

ফুলের কথা শুনে ফোনের স্ক্রিন থেকে চোখটা উঠিয়ে কৌতুহল দৃষ্টিতে ফুলের দিকে তাকাই।

-কোন ছেলেটা?

ফুল আঙুল দিয়ে সবুজ টিশার্ট পরা একটা ছেলেকে দেখিয়ে দেয়।আমি ছেলেটার দিকে তাকালে ছেলেটা চিপ্সের প্যাকেট দিয়ে মুখ ঢাকে।আমি আর কিছু বলি না।নিজের কাজে মন দিই।

ক্লাস শেষে শুভ্রকে ফোন দিই।উনি সাথে সাথে কল রিসিভ করেন।আমি সালাম দিই।উনিও সালামের জবাব দেন।

-ক্লাস নাই আপনার?
-এইমাত্র একটা ক্লাস নিয়ে আসলাম।
-অহ আচ্ছা।তা ওখানেও কি সব সময় মাস্ক পরেন?
-হুম।ছাত্রীরা জোরাজোরি করে মাস্ক খুলতে।
-আপনি কি করেন?
-আমি খুলি না।
-খুলেন না কেন?খুলবেন!তাও যদি আসমানের পরীর মতো কোনো মেয়ে জুটে যাকে এই শাকচুন্নি মারা গেলে বিয়ে করতে পারবেন।

আমার কথা শুনে উনি আমায় ধমক দেন।

-আলতু ফালতু কথা না বললে ভাত হজম হয় না না?
-ভাত আসলো কোথা থেকে।আমি তো সকালে রুটি খেয়েছি।
-উফফ মেঘ প্লিজ হেয়ালি করবা না।মাঝে মাঝে তোমার হেয়ালি খুব বিরক্তিকর লাগে।
-লাগবেই তো পুরোনো হয়ে গেছি না?
-ঝগড়া করার অভ্যেসটা আর তোমার গেলো না!
-আমি ঝগড়া করি নাকি আপনি ঝগড়া করেন?
-আমিই করি ঝগড়া হয়েছে?
-তো এখন আপনার কাজ কী?
-সরি বলা
-Now say sorry

উনি সরি বলেন।উনার মুখ থেকে সরি শোনাতে আমি এক অতুলনীয় আনন্দ পাই যা প্রকাশ করার মতো না।অনেক ক্ষেত্রেই ঝগড়ার মাঝে মনে পরে যে ভুলটা আমারই কিন্তু তখন তো ঝগড়া লেগে গেছে।নিজের ভুল স্বীকার করা যাবে না।তাহলে আমি হেরে যাবো।শেষে ঝগড়া করে উনাকে বাধ্য করাই সরি বলতে।আর উনি সরি বলেন।সত্যি বলতে তখন যে কি ভালো লাগে!ভাষায় প্রকাশ করার মতো না!


ক্যাম্পাসে যেতেই দেখি ফুল আমার জন্য ওয়েট করছে।হাতে কিসের যেন প্যাকেট।আমি ওর কাছে যেতেই প্যাকেটটা আমার হাতে দিয়ে বলে,,,

-সেদিন একটা ছেলেকে দেখালাম না?ওই ছেলে দিয়েছে

আমি প্যাকেটটা হাতে নিই।শপিং ব্যাগে মুড়িয়ে স্ট্যাপলার করা প্যাকেটটা।আমি স্ট্যাপলার খুলে প্যাকেট খুলে দেখি প্যাকেটটার ভেতরে একজোড়া ঝুমকো, গাজরা আর শাড়ি রাখা।সাথে একটা চিরকুট।চিরকুটটা খুলে পড়তে লাগি,,,,

প্রিয় মেঘ,
আশা করি ভালো আছেন।আমি অর্ক।কিভাবে নিজের মনের অনুভূতি আপনার কাছে প্রকাশ করবো তা আমার জানা নেই।বা তা প্রকাশ করা আদোও উচিত হবে কি না আমি জানি না।তবে আমার মনে হয় আপনাকে আমার মনের অনুভূতি জানানো উচিৎ।না হলে মারা গেলে আফসোস রয়ে যাবে।সত্যি লুকাতে আমি শিখিনি।আমি আপনার জুনিয়র। But Megh, Age doesn’t matter anything…প্রিয়াঙ্কা চোপড়া-নিক জোনাসের থেকে কিন্তু অনেক বড়।কিন্তু তারাই আজকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিট কাপল।এমন কি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর প্রথম স্ত্রী হযরত খাদিজা(রা)
আমি আপনাকে ভালোবাসি মেঘ।আমি আপনাজে জীবনসঙ্গীনী হিসেবে পেতে চাই।
জানিনা আপনার পছন্দ হবে কিনা!শুনেছি নীল রঙ নাকি অনেক মেয়েই খুব পছন্দ করে।তাই আর কি….!
আমি কথা গুছিয়ে লিখতে বা বলতে পারি না।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

চিরকুটরা পড়ে আমি চিরকুটটা আবার জায়গা মতো রেখে দিই।পোলাপানের শখ আহ্লাদ দেখলে বাঁচি না।আসছে সিনিয়র আপুকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে!শুভ্র থাকলে ক্যাম্পাসে তো পুরো তুলকালাম বেজে যেতো!চিরকুটটা বোধহয় ফুল পড়েছিলো উঁকি মেরে।মুখ টিপে হাসছে সে।আমি ঝাড়ি দিয়ে বলি,,

-হাসার কি আছে?
-শেষে কি না বিয়ের পর প্রেমের প্রস্তাব পেলি!

ফুলের কথায় আমি ভেংচি কাটি।তারপর বলি,,,

-কোন ছেলে দিয়েছে এটা?

ফুল আঙুল দিয়ে সেই ছেলেটাকেই দেখিয়ে দেয় যে ছেলেটা কয়েকদিন ধরে আমার পিছু ঘুরছে।আমি প্যাকেটটা হাতে নিয়ে ছেলেটার কাছে যাই।ছেলেটার সাথে আরও তিন চার জন ছেলে ছিলো।

-অর্ক কে?

আমার কথা শুনে একটা ছেলে উঠে দাঁড়ায়।কাঁপা কন্ঠে বলে,,

-জ্বী আমি অর্ক।

আমি প্যাকেটটা দেখিয়ে বলি,,,

-এটা তুমি দিয়েছো?

ছেলেটা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়।আমি আবার শান্ত গলায় বলি,,,

-কোন ইয়ার?
-ফার্স্ট ইয়ার।
-ফার্স্ট ইয়ারের আন্ডাবাচ্চা হয়ে ফাইনাল ইয়ারের বড় আপুকে এমন করে প্রোপোজাল দেওয়ার সাহস পাও কিভাবে?

আমার কথা শুনে অর্কের বন্ধুরা ফিক করে হেসে দেয়।আমি ওদের ধমক দিই।আমার ধমক শুনে ওরা চুপ হয়ে যায়।আমি আবার বলি,,,

-সিনিয়র আপুকে প্রপোজাল দেওয়ার সাহস পাও কিভাবে?
-না মানে….
-না মানে কি?হ্যাঁ!না মানে কি? Age doesn’t matter! তুমি আমায় শিখাবা?

ছেলেটা মাথা নিচু করে চুপ করে আমার কথা শুনছে।বেশ ভালোই সময় নিয়ে ছেলেটাকে ঝাড়লাম।ছেলেটা ভুল স্বীকার করে মাফ চাইলো আমার কাছে।তারপর ঠান্ডা মাথায় আমি গিফটা হাতে দিয়ে বলি,,,

-রাখ ভাই তুই গিফট।কোনো একসময় গার্লফ্রেন্ড বা বউকে দিস।
-আপু ছোট ভাই হিসাবে যদি নিতেন গিফটা নিতেন!
-No thanks আর আমার উনি জানলে রাগ করবেন।

অনেকটা ইয়ার্কির ছলেই বলি কথাটা।আমার কথা শুনে বাকী ছেলে গুলো অবাক হয়ে উঠে দাঁড়ায়।সবাই এক যোগে বলে,,,

-আপু আপনার বিয়ে হয়েছে?
-হু।
-ভাইয়া কোথায়? কি করেন উনি?
-সিলেট।কলেজের প্রফেসর

কথাটা বলে আমি চলে আসি।পিছন ঘুরে আর তাকাইনি।অর্ক যদি উলটা পালটা কিছু ভেবে বসে!

-মেঘ!

মেসেঞ্জারের নোটিফিকেশনের টুং শব্দে আমি ফোনটা হাতে নিই।স্ক্রিনে তার নাম ভেসে উঠেছে।আজ তাড়াতাড়িই অন এ এসেছেন দেখা যায়।আমি রিপ্লাই দিই।

-হুম বলো।

উনি একটা ভিডিও সেন্ড করেন আমায়।আমি ক্লিক করে ভিডিওটা দেখতে লাগি।আরেহ এটা তো গতকালে ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া ঘটনার ভিডিও চিত্র।আমি আর অর্ক দাঁড়িয়ে কথা বলছি।কিন্তু ভিডিওতে কোনো সাউন্ড নেই!

-ছেলেটা কে?
-অর্ক।

আমি উনার মেসেজের রিপ্লাই দিই।উনি আবার মেসেজ দেন,,,

-চৌদ্দ মিনিট বারো সেকেন্ড ধরে কি এত কথা বললে ছেলেটার সাথে?

আমি উনার মেসেজের রিপ্লাই টাইপ করছিলাম।কিন্তু মেসেজটা সেন্ড করার আগেই উনি হোয়াটসঅ্যাপ এ কল দিয়ে বসেন।আমি কল।রিসিভ করে সালাম দিই।উনি গম্ভীর কন্ঠে আমার সালামের উত্তর দিয়ে আবার সেই প্রশ্ন করেন।

-ছেলেটা কে মেঘ?
-অর্ক বললাম তো।
-ওর সাথে তোমার এত কিসের কথা?
-প্রেম করলাম ওর সাথে হইছে?
-মেঘ!আমি ইয়ার্কি করার মুডে নাই।যা প্রশ্ন করবো ঠিক ঠিক উত্তর দিবে।

ধমক দিয়ে বলেন উনি।আমি কেঁপে উঠি।উনি প্রশ্ন করার আগেই আমি গরগর করে সব বলে দিই।আমার কথা শোনার পর উনি ফিক করে হেসে দেন।

-ভাইরে ভাই!শেষে কিনা বিয়ের পর জুনিয়রের থেকে প্রপোজাল পেলে?
-পাইতেই পারি আমি দেখতে কন সুন্দর নাকি?
-কিন্তু আমি যে তোমার দিকে তাকালেই শাকচুন্নি দেখতে পাই
-তুমি তাই ই দেখবে। বাই দ্যা রাস্তা ভিডিওটা কে দিলো?
-বুশরা।।

বুশরা?এই মেয়ে কি খেয়ে দেয়ে কাজ নাই?আমার পিছনে লাগতে এতই ভালো লাগে এর?কালকে হচ্ছে মেয়েটার।

-মেঘ?
-হু আছি।বুশরা কি বলেছে তোমাকে?
-বাদ দাও না!
-বলতে বলছি বলবা তুমি।
-না মানে…তুমি বলেওই ছেলের সাথে দেড় মাস ধরে রিলেশন করো!
-ওয়াও!আমার ক্যারেক্টর কি অতই ঢিলা?ঘরে মামদোভুত থাকতে আমি যাবো অন্য বামুনদৈত্যের কাছে!কালকে ওই বুশরার একদিন কি আমার একদিন
-এই এই!তুমি ঝগড়া করবে নাকি?
-চুলোচুলি করবো হয়েছে?
-এই মেঘ ঝামেলা করো না যেন!যা হওয়ার হয়ে গেছে।আমার বিশ্বাস আছে তোমার ওপর।
-ওলেএএ আমাল মামদো বুত!আলাবুউ
-লাবুউউ ঠু শাকচুন্নি।

চলবে,,,ইনশাআল্লাহ

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here