গল্প – আমার আমি যে তুমি
পর্ব – ১৩
লেখিকা – ইশানুর তাসমিয়া

পুরো বাড়ি জুড়ে খুশির আমেজ ছড়িয়েছে,,,,ছড়াবেই না কেন,,,আজ যে রোদের গায়ে হলুদ,,,সবাই আনন্দের সাথে কাজ করছে,,,শুধু ২ জন ছাড়া,,,,😒😒

রুহিঃ দেখুন রুহান,,,,স্টেজে গাঁধা ফুল দিবো গোলাপ ফুল না,,,😠😠

রুহানঃ কেন,,??কেন,,??গোলাপ ফুল দিলে কি হয়,,,??

রুহিঃ কারন হলুদে কেউ গোলাপ ফুল দিয়ে স্টেজ ডেকোরেসন করে না,,, করলেও সেটা সুন্দর লাগে না,,,??গাঁধা ফুলই বেস্ট,,আর এটাই সুন্দর,,বুঝছেন,,,??

রুহানঃ কেউ করে না তো কি হয়েছে,,, আমরা করব,,,,

রুহিঃ উফফ মিস্টার রুহান,,, আচ্ছা একটা কাজ করি,,,গাঁধা ফুল গুলোর মাঝখানে একটা করে গোলাপ লাগিয়ে,,সেটা থেকে আঁধা হাত দূরত্ব রেখে আরেকটা গোলাপ লাগাব,,এমন করে যদি স্টেজটা ডেকোরেসন করি,, তাহলে কেমন হয়,,,??

রুহানঃ বাহ,,,অনেক সুন্দর তো,,,দেখছিস রোদ আমার কত প্রতিভা,,,,

রুহিঃ কি,,,?? আপনার প্রতিভা মানে,,,??এটা তো আমি বলছি,,,,😠😠

রুহানঃ আরে জান,, রাগ করো কেন,,,??[ রুহির গাল টেনে ] তোমার সবই তো আমার,, তাই না,,,[ চোখ টিপ দিয়ে ]

রোদঃ আহারে প্রেম,,,,

রুহিঃ তুইও রোদ,,,দাড়া,,তুই কিভাবে,,,,!!

রুহানঃ আরে তুমি জানো না জান,,,রোদ আর সাহেল তো কত ইটিস পিটিস করে,,,কালকে রাতেও করছে ছাদে,,,তাই আরকি কথায় কথায় প্রেম আলাপ করতে গিয়ে আমাদের প্রেম কাহানীও শুনে ফেলেছে,,,,

রোদঃ সর যা,,,,

বলেই রোদ লজ্জা পেয়ে সেখান থেকে চলে যায়,,,রোদ চলে যেতেই রুহান রুহিকে হালকা ধাক্কা দিয়ে লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গিতে বলে,,,

রুহানঃ বেবি,,আমরা কখন রাতে ছাদে বসে বসে ইটিস পিটিস করব,,,,

রুহিঃ অসহ্য কর,,,,😠😠

বলেই রুহি সেখান থেকে চলে যায়,,,,রুহানও রুহিকে জ্বালানোর জন্য ওর পিছু নেয়,,,,

.
.
.

রুহি বসে বসে গাঁধা ফুল ছিড়ে একটা প্লেটে রাখছে,,, হঠাৎ কোথ থেকে রুহান এসে রুহির মুখে ফু দেওয়া শুরু করে,,,, আর প্লেট থেকে ফুল নিয়ে রুহিকে মারা শুরু করে,,,

রুহিঃ সমস্যা কি আপনার রুহান,,,😠😠পেন দিচ্ছেন কেন,,,??

রুহানঃ না ভাবছি,,তোমার আর আমার বিয়ে হলে ১০০টা বেবি নিবো,, নাকি ২০০ টা,,,,🤔[ গভীর ভাবে চিন্তা করার ভঙ্গি করে ]

রুহিঃ আপনি এখান থেকে যাবেন,,, নাকি আমি আপনাকে মারব,,,,

রুহানঃ হবু বর কে এমন বলে না মাই ডিয়ার,,,পাপ হবে পাপ,,,

রুহিঃ দাঁড়ান আপনার পাপ দেখাচ্ছি,,,,

বলেই রুহানকে মারতে নিবে,,,ওমনি রুহান সরে যায় সেখান থেকে,, আর সবার সামনে রুহিকে গালে একটা চুমু দিয়ে দেয়,,,

তা যেন রুহিকে আরও রাগিয়ে দেয়,,,,রুহান দৌড়াচ্ছে,,, রুহিও রুহানকে মারার জন্য তার পিছে পিছে দৌড়াচ্ছে,,,হঠাৎ একজন বাড়ির ফিতরে ঢুকে,,,,যাকে দেখে রুহি থমকে যায়,,,এক দৃষ্টিতে থাকিয়ে আছে সে ব্যক্তিটির দিকে,,,, তার ঘোর ভাঙ্গে রোদের কথায়,,,,

রোদঃ রুহি,,, এটা সায়ান,,,প্রিয়ার হাসবেন্ড,,,,

কথাটা শুনে রুহি কি করবে বুঝতে পারছে না,, এর মধ্যেই হঠাৎ প্রিয়া এসে সায়ানকে জড়িয়ে ধরে,,,”না,,,আর সামলাতে পারছে না রুহি নিজেকে,,, কি দোষ করেছিল সে,,, এভাবে না বলে তাকে ছেড়ে কেন গিয়েছিল,,,আচ্ছা গিয়েছিল তো গিয়েছিল,, কোনো সমস্যা নেই,,,কিন্তু বিয়ে করল কেন সে,,,,??”

রুহি আর এক মুহুর্তও না দাঁড়িয়ে সেখান থেকে চলে যায়,,,,রুহির এভাবে চলে যাওয়ায় রোদ বেশ অবাক হয়,,,রুহিকে ডাকতে যাবে,,, তখনই সাহেল তাকে চুপ থাকতে বলে,,,,

.
.
.

বেশ কিছুক্ষন ধরে রুহিকে সারা বাড়িতে খুঁজছে রুহান,,, কিন্তু কোথাও রুহির দেখা নেই,,,শেষ পর্যন্ত রুহান রুহিকে ছাদের এক কোণে গুটিসুটি মেরে কান্না করতে দেখতে পায়,,,রুহান জানতো হয়তো এমনই করবে রুহি,,,,

রুহান চুপচাপ রুহির পাশে বসে,,,তারপর বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে রুহির নাম ধরে ডাকতেই রুহি রুহানকে জড়িয়ে ধরে কান্না করা শুরু করে দেয়,,,যেন অনেকক্ষন পর সে একটা আশ্রয় পেয়েছে,,,,রুহি কান্না করতে করতে রুহানকে বলে,,,

রুহিঃ কেন আমার সাথে এমন হয় রুহান,,,সবাই ছেড়ে চলে যায় আমাকে,,,জন্ম হওয়ার পর মা বাবা ছেড়ে চলে যায় আর এখন,,,,

রুহানঃ আচ্ছা রুহি,,, তুমি যাকে ভালোবাসো সে কি প্রিয়ার হাসবেন্ড সায়ান-ই,,, নাকি অন্য কেউ,,,,

কথাটা শুনে রুহি রুহানকে আরএকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,তারপর উত্তর দেয় ” অন্য কেউ “,,, সত্যি বলতে কি,,, সায়ান তো এখন প্রিয়ার বর,,,তাদের মাঝখানে রুহি আসতে চায় না,,,এখন যদি সে বলে সায়ানই সেই ছেলে যাকে রুহি ভালোবাসে,,,আর সায়ান তার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে,,, তাহলে প্রিয়া হয়তো তা মেনে নিতে পারবে না,,,রুহি চায় না তার মতো অন্য কেউ কষ্ট পাক,,তাছাড়া রুহানও হয়তো এটা জানার পর সায়ানকে ছাড়বে না,,,,তাই মিথ্যা বলে সে,,,কিন্তু রুহি কি জানে রুহানের করনেই সায়ান তাকে ছেড়ে চলে গেছে,,,,

রুহানঃ[ আমি জানি তুমি কেন বলছ না সায়ান সেই ছেলে যাকে তুমি ভালোবাসো,,,,হয়তো আমার ভয়ে,,,,সত্যি বলতে কি আমি তেমনটা করতে চাই নি,,,কিন্তু সেটা না করলে হয়তো তুমি আমার হতে না,, তাছাড়া সায়ানই বা তোমাকে কেমন ভালোবাসে,,,সামান্য টাকার জন্য তোমাকে ছেড়ে দিলো,,,অবশ্যক তার বাবা অসুস্থ ছিল বিধায় আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে,,,কিন্তু তাও আমি সায়ানকে ২টা চয়েস দিয়েছিলান,,,১…ওর বাবার চিকিৎসার টাকা আমি ওকে দিবো,,, কিন্তু ওকে আমার কোম্পানি থেকে ১বছরের জন্য বিদেশ যেতে হবে,,,আর ২…আমার বোন প্রিয়াকে বিয়ে করতে হবে,,,তাহলে আমি ওকে বিয়ের ৫মাস পরেই অনেক টাকা দিবো,,,যা দিয়ে ওর টাকা,, বাড়ি গাড়ি সব থাকবে,,,ও কিন্তু ২নাম্বারটা চয়েস করে,, এতে কি আমার দোষ ছিল,,,,??হয়তো আবার হয়তো না,,,কিন্তু একটা মজার ব্যপার কি জানো রুহি,,,এত কিছু করার পরও কেও জানে না যে আমি তোমাকে আর সায়ানকে আলাদা করেছি,,,ইভেন সায়ানও,,,ও শুধু জানে যে আমি ওকে সাহায্য করেছি ওর বাবার চিকিৎসার টাকা দিয়ে,,, আর বিনিময়ে আমার কোম্পানির একটা কর্মচারী বানিয়েছি জাস্ট,,,কিন্তু আমি এটাও জানি,, একটু হলেও সায়ানের মনে খটকা লেগেছে আমি কেন ওর জন্য এসব করেছি,,,আর এর উত্তর কি ছিল জানো,,,??প্রিয়া ওকে ভালোবাসে,,,এটাই,,,অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তোমাকে পাওয়ার জন্য,, এতে কি ভুল কি সঠিক আমি জানি না,,শুধু এটাই জানি every thing is fair in love & war… অনেক কষ্ট পেয়েছো তুমি ও-ই সায়ানের জন্য তাই না রুহি,,,আর কাঁদতে দিবো না আমি তোমাকে ওর জন্য,,,যদি কাঁদোও তাহলে জিন্দা পুতে দিবো ওকে আমি,,,]

ভেবেই রুহিকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রুহান,,,প্রায় বেশ কিছুক্ষন পর রুহি একটু শান্ত হয়,,রুহি শান্ত হতেই রুহান রুহির কপালে একটা ভালোবাসার স্পর্শ দেয়,,,,

রুহানঃ কি হয়েছে তা তো বললা না,,,কিন্তু এভাবে বসে থাকলে কিন্তু হবে না,,সন্ধ্যা প্রায় মেনে আসছে,,,,হলুদের অনেক কাজ এখনও বাকি,,চলো চলো,,, অনেক কাজ করতে হবে আমাদের,,,

রুহিও কিছু না বলে রুহানের কথা মতো নিচে যেয়ে কাজ করা শুরু করে,,,প্রায় কিছুক্ষন পর পরই রুহি সায়ানকে আড় চোখে দেখছে,,,, সায়ানও তাই,,,” কেন করল সায়ান ওর সাথে এমন,,??” বারবার খালি এ প্রশ্নটাই রুহির মাথায় ঘুরছে,,,যখনই তার আর সায়ানের চোখ মিলে যাচ্ছে,,,তখনই রুহির কষ্টটা আরও বেড়ে যাচ্ছে,,,বুক ফেটে কান্না আসছে তার,,,কিন্তু কান্না করলে চলবে না,, সায়ান তো দিব্যি ভালো আছে,, তাহলে রুহি কেন থাকবে না,,,রুহি আর কান্না করবে না,, শক্ত হতে হবে তাকে,,,ভেবেই একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে রুহি,,,,

.
.
.

বাড়ির সবাই আর গেস্টরা মিলে বাড়ির পেছনের বড় মাঠটায় হলুদের অনুষ্ঠান করছে,,, হলুদের অনুষ্ঠান প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে,,,কিন্তু রুহির এখনও কোনো খবরই নেই,,, অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রুহান রুহির,,,,

প্রায় কিছুক্ষন পর,,, অপেক্ষার প্রহর কাটে আর রুহি এসে উপস্থিত হয় সবার কাছে,,,এসেই যেন ব্যস্ত হয়ে যায় রুহি এটা ওটা কাজে,,,তার কোনো খেয়ালই নেই যে ২জন মানুষ তার দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,,একজন রুহান তো আরেকজন সায়ান,,,,

রুহি আজকে হলুদ ঢালা শাড়ি পড়েছে,,, চুলগুলো শিথি করে ২পাশে ছাড়া,, মাথায় সাদা পাথরের টিকলি,,,কোমড়ে বিছা,,,হালকা সাজ,,,নাকে সাদা পাথরের নথ,,,আর মুখে মিষ্টি হাসি,,,এতটুকুই যেন রুহানকে প্রেমে কাতর করার জন্য যথেষ্ট,,,রুহান এক ধ্যানে রুহির দিকে তাকিয়ে আছে,,,

কাজের মধ্যেই রুহি পাশে ফিরতেই দেখে রুহান তার দিকে তাকিয়ে আছে,,,, রুহানের চোখে কেমন যেন নেশা দেখতে পারছে সে,,,কেন যানি রুহির রুহানের দিকেই তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে,,,

জিন্সের সাথে হলুদ পাঞ্চাবী,,,পাঞ্চাবীর হাতা কনুই পর্যন্ত ফোল্ড করা,,,বুকের কিছু বোতাম খোলা,,, ফলে রুহানের বুকের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে,,,একদম সাদা বুক,,,যেখানে লোম নেই বললেই চলে,,,,ব্রেন্ডেড স্যু,,,হাতে বড় কালো ঘড়ি,,,চুল স্পাই করা,,,আর মুখে বাঁকা হাসি,,,,মারাত্তক একটা অবস্থা,,,,

রুহি রুহানের কাছ থেকে চোখ ফিরিয়ে আশেপাশে তাকাতেই দেখে সব মেয়েরা রুহানের দিকে “হা” করে তাকিয়ে আছে,,,যেন এখনই খেয়ে ফেলবে,,,তা দেখে রুহি মনে মনে ভআবে,,,,

রুহিঃ [এত দেখার কি আছে হ্যাঁ,,, যেভাবে হা করে তাকাই আসে,,,তাতে তো মনে হয় এখনই খেয়ে ফেলবে,,,তাছাড়া এত তাকানোর কি আছে হ্যাঁ,,, ছেলে জীবনে দেখোস নাই তোরা,,,আর এই খাডাশ পোলারও দোষ আসে,,,এত স্টাইল করে আসার কি দরকার,,,মেয়ে যে তোর দিকে তাকায় থাকে,, তোর কোনো খেয়াল আসে,,,থাকবো কেমনে,,,তুই তো চাছই এটা,,,ব্যটা বজ্জাদ,,,,মইরা যা নালায় পইড়া,,,,]

রুহি এগুলো ভাবছে,,, হঠাৎ কোথা থেকে একটা ছেলে এসে রুহির সাথে কথা বলা শুরু করে দেয়,,,যা দেখে মুহুর্তেই রুহানের হাসি মাখা চেহারা,,,হিংস্রতায় পরিণত হয়,,,যেখানে রুহির বিন্দু মাত্র খেয়াল নেই,,,,

.
.
.

সাহেল আর রোদকে হলুদ লাগানোর পর রুহি হাত ধুতে বাড়ির ভেতরে যায়,,,তারপর হাত ধুয়ে আসতে নিবে তখনই হাতে টান অনুভব করে,,সাথে সাথে রুহি চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,,

আর যখন চোখ খুলে তখন রুহানের রাগি চেহারা দেখতে পায়,,,এটা দেখেই রুহি কয়েকটা ঢোক গিলে,,কাঁপা কাঁপা কন্ঠে রুহানকে বলে,,,,

রুহিঃ রু,,হান,,প্লিজ,,আমা,,,আমাকে ছাড়ুন,,,আমি যাবো,,,,

রুহান কিছু না বলে রুহানের হাতে থাকা বাটি থেকে একটু হলুদ রুহির হাতে দেয়,,,তারপর রুহির হাতে থাকা হলুদ নিজের ২গালে লাগায়,,,রুহি চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে,,,রুহানের এ-ই রাগি চেহারা দেখে সাহস পাচ্ছে না কিছু বলার,,তাছাড়া সে জানে রুহানের রাগ সম্পর্কে,,,,

আচমকা রুহান তার গালে থাকা হলুদ রুহির গালে নিজের গাল দিয়ে লাগাতে থাকে,,,রুহি কেন জানি কিছু বলতে পারছে না,,, চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে সে,,,হঠাৎ রুহি নিজের ঠোঁটে কারো ঠোঁটের ঊষ্ম ছোয়া পায়,,সাথে সাথে রুহি নিজের চোখ খুলে ফেলে,,,কিন্তু কাউকে দেখতে পায় না,,,সে বুঝতে পারছে না,,আসলেই কি রুহান তাকে ঠোঁটে চুমু দিয়েছে নাকি দেয় নি,,,কিন্তু রুহির ঠোঁটে যে এখনও সেই ঊষ্ম ছোয়া লেগে আছে,,,

এদিকে সায়ান অনেক চেষ্টা করছে রুহির সাথে কথা বলতে,,, কিন্তু প্রতিবারই সে ব্যর্থ,,,তার স্ত্রী প্রিয়াকে সে বুঝিয়ে শুনিয়ে ডিভোর্স নিতে পারবে,,,কিন্তু তার প্রিয়তমা কি বুঝবে তার অনিচ্ছাকৃত ভুল,,,,সে যে নিরুপায় ছিল সে সময়,,,,
…………..
…………………
[বাকিটা পরবর্তী পর্বে……….]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here