#আমরা_দুজন
#পর্ব_৪ এবং অন্তিম পর্ব
[ Writer _Sumaiya_Karim ]
শুভ্রতা বুঝতে পারলো না যে সে কি করবে! কল কেটে দিবে নাকি কথা বলবে? আর কথা বললে কিই বা বলবে? তার থেকে কল কেটে দেওয়াই ভালো মনে করলো সে। তাই যখনি কল কেটে দেওয়ার জন্য মনস্থির করলো তক্ষুনি ওপাশ থেকে হুংকারের ন্যায় ভেসে আসলো কথা গুলো,
–‘কি পেয়েছো তুমি? আমি তোমাকে বিয়ে করিনি তাই আমার ভাই কে বিয়ে করবে? কি মনে করো এতোই সোজা? তোমার মতো গাইয়া ক্ষেত কে আমি পাত্তা দেই নি সেখানে আমার ভাইয়ের বউ বানাবো? কক্ষনো না!’
আচমকা শুভ্রতা মনে সাহস সঞ্চয় হয় আর সে ও পাল্টা ক্ষোভ নিয়ে বলে,
–‘যে এক নয় হাজার নারীতে মজে সে তো একটা কাপুরুষ। আর কাপুরুষের গলা এতো বড় করতে নেই। তোমার মতো কাপুরুষ কে আমি ভয় পাই না।’
–‘হাউ ডেয়ার ইউ!’
–‘শশশস গলা নিচে!’
–‘কি চাও তুমি?’
–‘কিছুই না!’
–‘তাহলে বিয়ে টা করছো কেন?’
–‘এটা কেমন প্রশ্ন?’
এক প্রকারে খুব কথা কাটাকাটি হয় দুজনার মধ্যে। উদয় রেগে গিয়ে বলে,
–‘আগামীকাল তোমার সাথে দেখা করতে চাই। তুমি অবশ্যই আসবে। কে কাপুরুষ আর কে সাহসী প্রমাণ হয়ে যাবে!’
এই লাস্ট কথা টুকু শুনে ফোন টা ছুড়ে ফেলে দেয় শুভ্রতা। রাত টা কাঁদতে কাঁদতেই চলে যায়। কেন সে কেঁদে কেঁদে বুক ফাসিয়েছে নিজেও জানে না। একটা অজানা হাহাকার নিজের মধ্যে সর্বদা লালন করে বেড়ায় সে। এই কষ্টের উৎপত্তি তিন বছর আগেই। যা শুধুমাত্র উদয়ের দেওয়া।
উদয়ের বলা একটা কথা কানে ঝংকার তুলছে বারংবার। উদয় বলেছিলো,
–‘আমি তোমাকে ঠকিয়েছিলাম তাই আমি খারাপ কাপুরুষ আর তুমি বুঝি খুব ভালো? তুমি ও তো আমার ভাই কে ঠকাতে যাচ্ছো সো তুমি ও আমার দলের ই। নিজেকে ভালো মানুষ মনে করা বন্ধ করো। আগে পরে তুমি ও আমার মতোই। দুধে ধোয়া তুলসী পাতা তো নও!’
সত্যি ই কি সেও উদয়ের ই মতো হয়ে যাচ্ছে? সূর্য কোনো দোষ করেনি। তাকে তার ভাইয়ের করা কাজের জন্য ঠকানো ঠিক হবে কি? সূর্যের সাথে কথা বলে শুভ্রতা যা বুঝেছে সূর্য সত্যি ই একজন ভালো মানুষ। তার সাথে এই ভাবে বেঈমানি করা ঠিক হবে না। কিন্তু উদয় কি তার অন্যায়ের শাস্তি আদৌ পাবে না? ভাবতে ভাবতেই রাত পার হয়ে গেছে।
সকাল হতেই ঝটপট নামাজ টা আদায় করে নেয় শুভ্রতা। মোনাজাতে আল্লাহর কাছে কেঁদেছে বহুবার। আজো ও তার ব্যতিক্রম নয়। মানুষ মাত্রই পাপী। আর পাপীদের মধ্যে তওবাকারী ই উত্তম। তাই সে সব সময় তওবা করে গেছে। কিন্তু আজ চাচ্ছে একটা সুন্দর ফয়সালা। সূর্য না হয় সত্যি টা জানার পর বিয়ে করলো না কিন্তু অন্য দের ও তো সত্যি টা বলতে হতো! তাহলে কি তার জীবন টা এভাবেই চলবে? অন্যদিকে তার অতীত জানাজানি হলে সমাজে ভালো ও থাকতে পারবে না কি করবে সে? তার জন্য কোন পথ টা খোলা নিজেও বুঝতে পারছে না। তাই চোখের পানি তে বুক ভিজিয়ে সাহায্য প্রার্থনায় ব্যস্ত সে। কেননা তিনি ই একমাত্র বিপদে রক্ষাকারী। জায়নামাজ থেকে উঠে বিছানায় মাথা এলিয়ে দিতে রাজ্যের যত ঘুম এসে ঝাপটে ধরে তার চোখে। সারারাত না ঘুমানোর ফলে চোখ গুলো ফুলে আলুর মতো গোল হয়ে আছে। এই অবস্থায় বাবা মার সামনে যাওয়া যাবে না তাই সে এবার ঘুমের রাজ্যে বাধ্য হয়ে পাড়ি জমায়। তার আগে ঠিক করে নে সে সূর্য কে সত্যি টা জানিয়ে দিবে। পরে ঠিক কি হবে তার জানা নাই!
সকাল ১০ টায় ঘুম ভাঙ্গে। ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে সে। কতো বেলা হয়ে গেছে অথচ মা তাকে ডাকলো না কেন আশ্চর্য?
–‘মা ও মা কোথায় তুমি?’
–‘ও.. শুভ্রতা তুই উঠেছিস? বস এখানে আমি নাস্তা এনে দিচ্ছি!’
–‘এতো বেলা হয়েছে অথচ ডাকলে না আমাকে?’
–‘বেঘোরে ঘুনাচ্ছিলি তাই ভাবলাম আর না ডাকি!’
–‘কিন্তু?’
–‘এখানে আবার কিন্তু কি নাস্তা কর তো পরে বকবক করিস!’
শুভ্রতার মা নাস্তা নিয়ে আসলে সে হালকা খেয়ে উঠে যেতে চাইলে মা তাকে ধরে জোড় করে আরো কিছু নাস্তা খাওয়ায়।
–‘কিরে তোর শরীর খারাপ লাগছে?’
–‘উহুম!’
–‘তাহলে খাবারে অনিহা দেখাচ্ছিস কেন?’
–‘এমনি খেতে ইচ্ছে করছে না!’
–‘কয়দিন পর বিয়ে। না খেলে চলবে? পরে বেয়ান বলবে মেয়ে কে রোগা পাতলা করে দিয়েছি!’
–‘না তুমি সিউর যে ওখানেই আমার বিয়ে হবে?’
–‘ওমা এ কেমন কথা বলছিস!’
–‘না যদি কোনো কারণে বিয়ে ওখানে না হয় তাহলে?’
–‘জন্ম মৃত্যু বিয়ে সব আল্লাহর হাতে!’
মায়ের সাথে আরো কিছুক্ষণ কথা বলা শেষে ঘরে চকে আসে শুভ্রতা। আর ভাবে সূর্য কে কল দেওয়া ঠিক হবে কি না তা নিয়ে। ভাবতে ভাবতে কল ও দিয়ে দেয়। দুবার রিং হতেই কল রিসিভ করে কেউ। শুভ্রতা সালাম দেয় ওপাশ থেকে উত্তর আসে। কন্ঠ শুনে বুঝতে পারলো এটা সূর্য!
–‘এতো সকাল সকাল কল দিলেন যে?’
–‘দেওয়া যাবে না?’
–‘হাহা দেওয়া যাবে না কেন? অবশ্যই যাবে!’
–‘আস-স-আসলে আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে!’
–‘কথা? হুম আচ্ছা বলুন!’
–‘এখানে না মানে ফোনে না সরাসরি বলতে চাই। আপনি আমার সাথে দেখা করুন!’
এতো মেঘ না চাইতেই জল। সূর্য কিঞ্চিত হেসে বললো,
–‘আচ্ছা কোথায় আসতে হবে?’
শুভ্রতা রেস্টুরেন্টের নাম বলে সঙ্গে সময় টাও বলে দেয়। শুভ্রতা গিয়ে যথা টাইমে সেখানে পৌঁছায় কিন্তু সূর্যের কোনো পাত্তা নেই। কিছু টা সময় কেটে করেই আসে সে,
–‘ওপপস আই এম ভেরি সরি! একটু লেট করে ফেললাম!’
–‘ইট্স ওকে নো প্রবলেম!’
–‘কি যেনো বলতে চাচ্ছিলেন?’
–‘হ্যাঁ মানে..!’
–‘আমি ও এসেই কি শুরু করে দিলাম। ওয়েট ওয়েট আগে বলুন কি খাবেন!’
–‘না আসলে কিছু খাবো না!’
–‘তাহলে কি করে হয়!’
অনেক জোড়াজুড়ির পর দুজনের জন্য দুকাপ কফি অর্ডার দেয়। কফি খাওয়া শেষ হয় কিন্তু শুভ্রতার মুখ থেকে আর কথা বের হয় না। সে প্রচন্ড নার্ভাস। কোথা থেকে কথা শুরু করবে ভেবেই পাচ্ছে না!
–‘আ-স-আসলে এখানে না বলি বাহিরে কোথায় খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বললে ভালো হয় না!’
–‘ওকে ওয়েট আমি বিল চুকিয়ে আসি!’
–‘বিল টা আমি দেই!’
–‘নো ওয়ে!’
সূর্য হেসে বিল দিতে গেলেই হুট করে কোত্থেকে উদয় সেখানে চলে আসে। শুভ্রতা রিতিমত ভয় পেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে যায়।
চোখে মুখে ভীষণ রাগ তার। শুভ্রতার এক হাত চেপে ধরে ধরে।
–‘আমার সাথে দেখা করার কথা তোমার সেখানে তুমি ভাইয়ার সাথে রেস্টুরেন্টে কি করতে এসেছো হ্যাঁ? নটাংকি শুরু হয়ে গেছে তোমার? লোভী একটা মেয়ে তুমি!’
আচমকা এমন বাজে কথা শরীরে এক মারাত্মক রাগ খেলে যায়। ফলে প্রচন্ড রেগে শুভ্রতা সজোরে একটা চড় বসিয়ে দেয় উদয়ের গালে। আশে পাশের কয়েক জন হা করে তাকিয়ে আছে। উদয় কিছু বলতে বা করতে যাবে তার আগেই সেখানে সূর্য চলে আসে। পর সে উদয় কে দেখে বলে,
–‘আরে উদয় তুই এখানে?’
উদয় গাল থেকে হাত নামিয়ে ক্রুদ্ধ চোখে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
–‘এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন তোমাকে দেখলাম। আর এখানে উনাকে। তাই এসেছিলাম। আচ্ছা তোমরা কথা বলো আমার একটু জরুরি কাজ আছে যেতে হবে!’
সূর্য কিছু বলার আগেই উদয় চলে যায়। শুভ্রতার মুখ রাগে লাল বর্ণ ধারণ করে আছে। তাকে দেখে মোটেও স্বাভাবিক লাগছে না তাই সূর্য বলে,
–‘আর ইউ ওকে শুভ্রতা?’
–‘হ-হ্-হ্যাঁ। আমি ঠিক আছি!’
–‘রিয়েলি?’
–‘ইয়েস!’
–‘এবার তাহলে যাওয়া যাক!’
–‘চলুন!’
রেস্টুরেন্ট থেকে বাহিরে বের হয়ে একটা সবুজ সজীব সুন্দর পার্কে যায় তারা। পরিবেশ টা চমৎকার। সূর্য বললো,
–‘সুন্দর ব পরিবেশ টা?’
–‘হুম! কথা গুলো কিভাবে বলবো বুঝতে পারছিনা। আসলে..
শুভ্রতার মুখে জড়তা স্পষ্ট। সূর্য এটা দেখে বললো,
–‘নির্ভয়ে বলুন! বললাম তো আমি আপনার মতোই মানুষ!’
–‘আমার কথা গুলো আপনি কিভাবে নিবেন জানিনা!’
–‘এতো নার্ভাস হচ্ছেন কেন? শান্ত হোন!’
–‘আমার কথা গুলো না বলা থাকুক! আমি বলতে পারবো না!’
চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেয় সে। অথচ কথা গুলো বলা খুব জরুরী।
–‘এতো কষ্ট করে আসলেন না বলে কথা পেটে চেপে রাখলে পরে অবস্থা খারাপ হবে তার চেয়ে ভালো বলে ফেলুন!’
নিজেকে এবার শক্ত করে সে। আর বলে,
–‘আপনি হয়তো এই কথা গুলো জানার পে আমাকে ভালো চোখে দেখবেন না। কিন্তু আমার যে বলতেই হবে। আমি নিজে ঠকেছি কিন্তু আপনাকে ঠকাতে চাই না। ভালো মনের একজন মানুষ আপনি!’
–‘ভালো আমি? সত্যি? কি এমন কথা তাহলে. ভালো মনেই বলে ফেলুন!’
–‘এই কথা গুলো আপনার বা আমার পরিবার কে না জানানোর অনুরোধ রইলো। জানাজানি হলে আমি ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবো না!’
–‘মানে?’
–‘আমি কথা গুলো বলার পর আপনি হয়তো আমাকে বিয়ে করবেন না। কিন্তু কথা গুলো গোপন রাখার অনুরোধ করছি। আসলে সূর্য আপনা ভাই উদয়ের সাথে আমার রিলেশন ছিলো!’
সব কিছু প্রথম থেকে বলে শুভ্রতা। শেষে কান্না করে দেয়। আর উঠে দাঁড়িয়ে যায়। অশ্রুসিক্ত নয়নে বলে,
–‘বললাম না আমি বাজে ভাবে ঠকেছি। কিন্তু আপনাকে ঠকাতে বিবেকে বাদছিলো তাই বলে দিলাম। উদয়ের মতো আমি অতোটা খারাপ হয়ে পারলাম না। তবে আমি ভালো ও নই। খারাপ আর অপবিত্র একটা মেয়ে। আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকলে মাফ করে দিবেন। আর আমার রিকোয়েস্ট টা রাখবেন প্লিজ! কারণ আমার জায়গায় আমি ভীষণ একলা একা আর অসহায় একটা মানুষ!’
কথা গুলো বলেই শুভ্রতা চলে যায়। সূর্য সব শুনার পর যেনো রোবট হয়ে গেলো। শুভ্রতার চলে যাওয়া তেও যেনো তার বিন্দুমাত্র ভ্রুঁ ক্ষেপ নেই। ভীষণ মুষড়ে পড়া অবস্থায় বাড়ি ফিরে শুভ্রতা। চোরের মতো লুকিয়ে নিজের রুমে একা একাই কাঁদে সে। তার জীবন ঠিক ছিলো হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে সব এলোমেলো হয়ে গেলো সব। যার দায় ভার শুধু উদয়ের।
সারা দিন কেটে যায়। রাতে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ছিলো শুভ্রতা। এমন সময় তার ফোনে সূর্যের কল দেখে কিছু টা চমকায়। কল রিসিভ করে কানে লাগিয়ে সালাম দেয়। তারপর দুজন ই চুপ। নিরবতা কাটিয়ে সূর্য বলে উঠলো,
–‘আপনি কি উদয় কে বিয়ে করতে রাজি আছেন?’
–‘না। আমি ঐ নিকৃষ্ট মানুষ টা কে মরে গেলেও বিয়ে করবো না। ওকে বিয়ে করার চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়!’
–‘তাহলে আমি আপনাকে বিয়ে করবো আমি ই আপনাকে পবিত্রতা দিবি। এই বিয়ে টা হবে এবং অবশ্যই। আপনি আমাকে ঠকাতে চাননি তাই সব সত্যি বলেছেন যা একটা সম্পর্কের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সবার আগে। যেখানে আপনি আমাকে ঠকান নি সেখানে আমি ও আপনাকে ঠকাবো না। তখন আপনি একা ছিলেন এবার আমি আপনার সঙ্গে থাকবো। পরবর্তী তে আপনার সঙ্গ দেওয়ার জন্য আমি থাকতে চাই আপনার পাশে। দিবেন আমাকে সেই সুযোগ টা?’
শুভ্রতা অবাক না হয়ে পারলো না। সূর্য এসব কি বলছে? ভুল শুনছেন না তো সে!
–‘কি হলো চুপ করে আছেন যে?’
–‘আপনি ঠিক আছেন? আপনি কি জানেন কি বলছেন আপনি?’
–‘জ্বি আমি জেনে বুঝেই বলছি! আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই! যদি আপনার মত থাকে তবে!’
শুভ্রতা চুপ থাকলো।
–‘চুপ থাকা সম্মতির লক্ষণ। তাহলে আমি আমার উত্তর টা পেয়ে গেছি। আর কখনো নিজেকে একা দাবি করবেন না। আজ থেকে বাকি সংগ্রামী জীবন ফেইস করতে আমি ও আছি আপনার সাথে। আর আপনি একা নন। এখন থেকে #আমরা_দুজন একসাথে আছি। বুঝেছেন?’
–‘হু!’
তবে কি এটাই আল্লাহর সুন্দর ফয়সালা? সূর্য তাকে গ্রহণ করবে কল্পনা করে নি কিন্তু এটাই বাস্তব এবং সত্য। সূর্য তাকে আবার নতুন করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে! আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখার পথ দেখাচ্ছে। আবার নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছে! আচ্ছা সূর্য ও তাকে ঠকাবে না তো? কেন যেনো সূর্য কে একটু একটু করে বিশ্বাস করছে শুভ্রতা। এই বিশ্বাস থেকে জন্ম নিক ভালোবাসার। আর অমানুষ কে শাস্তি দেওয়ার পথ। একজন ঠকায় তো একজন নতুন করে বাঁচতে শেখায়। আজন দুনিয়া। সব ই ভালোবাসার মায়া! এই ভালোবাসার অধ্যায়ে উদয়ের মতো মানুষ গুলোই ঠকবাজ মিথ্যাবাদী কাপুরুষ আর প্রতারক। আর সূর্যের মতো মানুষ গুলোই হলো সত্যিকার ভালোবাসার প্রতীক। সব ভালোবাসা মিথ্যা নয় কিছু কিছু ভালোবাসা চিরন্তন সত্যি! যা কখনো রূপ গুন বিচার করে হয় না। মন থেকেই হয়। ভালোবাসায় জয় হোক!
#সমাপ্ত