অরুর_সংসার
পর্ব-১৯
-নিশিকথা
__________________
অরু দ্রুত প্যাকেটটা ব্যাগের তলে লুকায় রাখলো…….
-অরু কি করছো ওভাবে???
-কই? কিছু না তো
-ওহ…. একটু দেরি হয়ে গেল…..সরি…. আসলে সাদের সাথে থাকলে সব ভুলে যাই।তোমার সতীন বলতে পারো
-বালাইষাট!!!! আমার সতীন কেন হবে! এসব কথা বলবেন না।আমার সতীন কখনো কেউ হতে পারবে না
-তাই বুঝি???
-হু….. চুল ছিঁড়ে ফেলবো
-এই চুপ।এই চুল ছেঁড়া ছাড়া আর কি কিছুই পারো না??
-…………….
-হুম পারো তো
-?????
-চিমটি কাটতে……
(অরু লজ্জায় লাল হয়ে নিচে তাকয়ে আছে দেখে অয়ন আবার বলল.. )
-থাক আর লজ্জা পেতে হবে না চল বারান্দায় যাই
(অয়ন অরুর হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে গেল…
অরুকে সামনে দাড় করিয়ে পিছে থেকে জড়িয়ে ধরলো অয়ন অরুকে….. )
-অরু??
-হু
-সুন্দর না চারিপাশ?
-অনেক……..
-কাল নীলাচল যাবো। সেখানে রাত কাটাবো….
সারা রাত জাগতে হবে কিন্তু আমার সাথে।
-জাগবো
-গান শুনাবা
-হু
-এখন একটা শুনাও না
-এখন???
-হ্যা শুরু কর…….
Lag Ja Gale Ki Phir
ye Hasin Raat Ho Na Ho
shayad Phir Is Janam Mein
mulakat Ho Na Ho……..
lag ja gale a a aahh hhh hhh
hum Ko Mili Hai Aaj
ye Ghadiya Naseeb Se
je Bhar Ke Dekh Leejiye
hamako Kareeb Se
phir Apke Naseeb Mein
ye Baat Ho Na Ho
shayad phir Is Janaam Mein
mulakaat Ho Na Ho
lag Ja Gale
pas Aiye Ki Ham Nahin
ayenge Baar Baar
bahen Gale Mein Daal Ke
ham Ro Le Zaar-Zaar
ankhoon Se Phir Ye
pyaar Ki Barsaat Ho Na Ho
shayad Phir Is Janam Mein
mulakat Ho Na Ho
গান শেষ করে অরু অয়নের দিকে তাকিয়ে…. অয়ন নজর বাইরে …….. যেন অরুর গানের ঘোরে চলে গেছে সে………
অরু অতশত না ভেবে অয়নের কাছে চলে গেল…. একদম কাছে…. অরুর শরীরের স্মেল পাচ্ছে অয়ন খুব কাছে থেকে….অয়ন চোখ যেন না ঘুরালো অরু তার খুব কাছে…….
অয়নকে কিছু বলে উঠার সুযোগ না দিয়ে হটাৎ অয়নের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিল অরু…
অয়ন সাথেসাথে নিজের চোখজোড়াবন্ধ করে দুই হাত দিয়ে অরুর কোমর আঁকড়ে ধরলো……….
♥♥♥
♥♥♥♥
♥♥♥
৬-৭ মিনিট তারা এই অবস্থারত ছিল……..
অরু তারপর দুরে সরে আসলো অয়নের থেকে…..
এটা কি করে ফেলল সে?? কিভাবে পারলো??
অরু মাথা নিচু করে আছে….
অয়ন শান্ত চোখে তাকিয়ে আছে অরুর দিকে……..
-বাহ তুমি তো ভালই লিপ কিস করা শিখে গেছো।
– ………………..
-অরু টাকাও আমার দিকে
– ………………..
-অরু তাকাতে বলেছি…..
(অরু অয়নের দিকে মাথা তুলে তাকালো…অয়ন ও তাকিয়ে আছে অরুর দিকে তবে বাকি দিনের মত স্বাভাবিক নজরে নয় সেই বিয়ের পর পর এর মত নেশাভরা নজরে )
-এভাবে তাকিয়েন না প্লিজ… মরেই যাবো…
-তাহলে মেরেই ফেলি??
♥♥♥♥♥♥♥♥♥
অয়ন অরুকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে গেল। খাটে শুয়িয়ে দিয়ে বলল ………
-অরু
-হু
-আজ আর পারলাম না
-জ্বি..??
– কিছুনা (বলে অয়ন অরুর উপর নিজের শরীরের ভর ছেরে দিল….
অরুর গাল নিজের দুইহাত দিয়ে আকড়ে ধরলো….অরুর চোখজোড়া বন্ধ…
ঠোট কাঁপছে…….আজ কত দিন পর ভালবাসারর মানুষটার ছোঁয়া পাচ্ছে।।
অয়ন অরুর ঠোঁট জোড়া নিজের ঠোঁটজোড়ার মাঝে নিয়ে নিল..
♥
♥♥
♥♥♥
♥♥
♥
সকালে আজ অরুর ঘুম একটু দেরী করেই ভাংলো…. চোখ খুলে নিজেকে অয়নের সাথে লেপ্টে থাকা অবস্থায় পেল অরু………আজ অরু খুব খুশি।।।। ভালবাসার মানুষ টা কে অনেক দিন পর নিজের করে পেয়েছে আর গত রাতে অয়নের ছোঁয়ায় কোন ব্যাথা পায় নি সে বরং পেয়েছে শুধু ভালবাসা। অয়ন বোধ হয় এই প্রথম অরুকে ভালবেসে কাছে টেনে নিয়েছিল কামনার তারনায় নয়……..
.
অরু অয়নের দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ নজরে… তখন ই অয়ন চোখ খুলে তাকালো।
অয়নের আচমকা জেগে যাওয়ায় অরু চট করে বুকে কাপড় টেনে ঊঠে বসলো।অয়ন ও উঠে বসলো খাটে হেলান দিয়ে…….
দরজায় নক হওয়ার অরু কেঁপে উঠলো…..
-Relax. আমি দেখছি (অয়ন শরীরে টাওয়াল জড়িয়ে দরজা খুলতে গেল…অরু এই ফাকে ওয়াশরুমে চলে গেল….
অয়ন দরজা খুলে দেখে সাদ ৩২ পাটি দাত বের করে হাসছে.. //)
-তুই!! কি হয়েছে???
-আরে তাই তো কি কি হল??(ভ্রু নাচিয়ে)
-What????
-Nothing (বলে সাদ ভিতরে ঢুকে গেল)
-ওই কি চাস??
-আরে ভাবি কই?
-যা এখান থেকে…
-কয়টা বাজে?
-কয়টা?
-দেখ!!!
-ওহ ৮:০০
-হয় যাবো কখন!!
-আচ্ছা রেডি হয়ে আসছি যা তুই
-হু! ভাল্লাগেনা
-কেন ভাল্লাগেনা??
-ভাবলাম তোরে একটু লজ্জায় ফেলাবো
-হা হা হা যা সর! শকুনের দুয়ায় গরু মরে না।
-শালা
(সাদ বের হতে গিয়ে ওর পায়ে অয়ন অরুর কাপড় বাধলো!!!…. সাদ হা হা করে হেসে দিল.. )
-এই শালা যা
-হা হা হা হা শকুনের দুয়ায় ই গরু মরে….
-যাবি তুই????
-হয় হয় যাবো যাবো আগে বলল
-কি??
-কেমন কাটলো রাত টা??
এর রাত তোমার আমার ওহ সরি সরি এই রাত তোর আর ভাবির!!!!!
-শয়তান!! (অয়ন সাদের গায়ে যা পাচ্ছে ছুড়ছে….. সাদ দৌড় দিল)
.
..
….
..
.
(অরু এদিকে পরেছে ঝামেলায়! সে তো তারাহুরায় কোন ড্রেস আনে নি!! কি করবে সে??
গোছল করে টাওয়াল টা নায়িকাদের মত পেঁচিয়ে নিল অরু! ওয়াশরুমের দরজা খুলে মাথা বের করলো …. অয়নকে খুঁজছে যে! না দেখা যাচ্ছে না।অরু পা টিপে টেপে বের হল।। দ্রুত ব্যাগ খুলে কাপড় বের করে উঠে দাড়াতেই অয়ন বারান্দা থেকে রুমে এলো…
অয়ন অরুকে দেখে বাকা হাসছে…. আর অরু তো নানান বাহানায় নিজেকে ঢাকছে… টাওয়াল টা দিয়ে হাটু ঢাকার চেস্টা করছে…
-এত টানাটানি কর না খুলে পরে যাবে
(অরু চোখ বড় বড় করে পিছে ফিরে দাড়ালো।)
-যাও ড্রেস পরে আসো..তারপর আমি ওয়াশরুমে যাবো। কুইক যাও
(অরু গুটিগুটি পায়ে চলে গেল)
♥
♥♥
♥
নাস্তা খেতে ৪ জনে বসলো এক রেস্টুরেন্ট এ..
মৌ বলল…
-হোটেলের বারান্দা থেকে কত কিছু দেখা যায় দেখেছিলেন ভাইয়া ??
– হুম যারা বান্দরবান শহরের খুব কাছে থাকতে চায় তাদের জন্য হোটেল হিলটন হতে পারে আদর্শ জায়গা। সাদ ওয়েক ডান
-হুম আমি ওলয়েজ বেস্ট কাজ ই করি… তুই তো প্রথমে পাত্তা দিচ্ছিলি না
-এখন দিলাম
-বেটার!!
সকালের নাস্তা সেরে ৪জনে বের হল ঘুরতে..
তাদের প্রথম গন্তব্য স্বর্ণমন্দির। সকাল ১০ টায় গাড়ী নিয়ে বের হল সবাই স্বর্ণমন্দিরের উদ্দেশ্যে…….
স্বর্ণমন্দির ঘুরে দুপুরে ওখানেই খাবার খেয়েছে সবাই….. দুপুর ২ টা নাগাদ গেল মেঘলায়!
মেঘলায় লেকের উপর দুটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। অরু অয়ন সেখানে দাড়িয়ে বেশ কিছু ছবি তুলল…. অরুর জায়গা টা অনেক পছন্দ হয়েছে… একা একাই ঘুরে ঘুরে দেখছিল।
-অরু
-হুম
-একা একা হাটছো কেন!!(বলে অয়ন অরুর হাত ধরলো…… )দুজনে এক অপরের হাত ধরে ঘুরলো এক এক করে মেঘলা র সব জায়গা… অয়ন অরুকে সাফারি পার্ক, চিড়িয়াখানা, চা বাগান, ক্যাবল কার ও প্যাডেল বোট সব ঘুরালো..
..
মেঘলা ভ্রমন শেষ হল তাদের ৫:০০ টায়।
এরপর যাবে তারা অয়নের প্রিয়ো # নীলাচলে।
চলবে……..