#অপরিচিত_প্রিয়জন
#পর্ব_৩
#এম_এ_নিশী

ইফাদকে হসপিটালে ভর্তি করানোর পর সেই কারের মালিক তার ফোনটা নেয়। কল লিস্টের শুরুতে থাকা সাদমানের নাম্বারে ডায়াল করে। কল রিসিভড হতেই লোকটি বিস্তারিত খুলে বলে। সাদমান দ্রুত দুজন পুলিশ নিয়ে সেই হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাকি পুলিশ সদস্যরা উদ্ধারকৃত মেয়েদের একটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়। হসপিটালে পৌঁছানো মাত্রই সাদমানের সাথে থাকা এক পুলিশ সদস্য রূপসীকে দেখে বলে ওঠে,

–আরে এই তো সেই মেয়ে যেটা পালিয়ে গেছিলো।

ভাগ্যক্রমে এই লোকটিই রূপসীর হাতের বাঁধন খুলেছিলো তাই তাকে চিনতে পারে। রূপসী অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে পুলিশটির দিকে। সাদমান এগিয়ে এসে ধমকে ওঠে,

–এই মেয়ে! ওভাবে পালিয়ে গিয়েছিলে কেন? আমরা এত কষ্ট করে তোমাদের ওই নারী পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করলাম। আর তুমি পালিয়ে আরো বিপদের মধ্যে ঢুকতে গিয়েছিলে।

“নারী পাচারকারী!” শব্দটা শুনে বিস্ময়ে হতভম্ব হয়ে যায় রূপসী। সে স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে এই ব্যাপারে অনেককিছু শুনেছে। তবে এরা কেমন হয়? কিভাবে নারী পাচার করে? নারী পাচার করেই বা কি করে? এসবকিছু সে জানতো না, বুঝতোও না। অথচ আজ এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই গেলো সে। ভাবতেই অদ্ভুত লাগছে তার।

–এ্যাই মেয়ে। চুপ করে আছো কেন? কথা বলতে জানো না?

–আপনেরা পুলিশ! মাইয়্যাগো বাঁচান?

–শুধু মাইয়্যাদের না আমরা সব বিপদগ্রস্ত মানুষদেরই বাঁচানোর চেষ্টা করি। তুমি এখন উনার সাথে যাও।

–কই যামু? আপনেরা আমারে আবার পাচার কইরা দিবেন না তো?

–আরে নাহ! মহাজ্বালা হলো তো। আমরা তোমাকে তোমার বাড়ি পৌঁছে দিব। তোমার সাথে আরো যেসব মেয়ে ছিলো এখন তাদের সাথেই থাকবে। কাল সকালে যার যার ঠিকানা মতো সবাইকেই পৌঁছে দেওয়া হবে।

বাড়ি ফিরার কথা শুনতেই রূপসীর চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে ওঠে। আনন্দ উত্তেজনায় হসপিটালে নিয়ে আসা মানুষটার কথা বেমালুম ভুলে বসে। লাফিয়ে উঠে পুলিশটির হাত ধরে বলে,

–ওওও চাচাজান আমারে লইয়্যা যান। আমি বাড়িত যামু।

রূপসীর কথা শুনে পুলিশটি বেকুবের মতো তাকিয়ে থাকে।

–এই মেয়ে আমাকে দেখে কি তোমার চাচা মনে হয়? ইশ! আমার মতো টগবগে যুবককে চাচা বানিয়ে দিলো। এখনও মেয়েরা আমাকে দেখলে ক্রাশ খায়।

সাদমান ঠোঁট চেপে হাসি আটকানোর চেষ্টা করে বলে,

–৪০ এ পড়লেন আব্দুর রাজ্জাক সাহেব। চাচা বলবে না তো কি ওগো! বলবে?

বলেই চোখ টিপে দেয় সাদমান। আব্দুর রাজ্জাক লজ্জা পেয়ে হেসে বললেন,

–আমি তবে মেয়েটাকে নিয়ে যাচ্ছি সাদমান সাহেব। রেখে আসি।

–হুম! হুম! যান। আমি এদিককার ফর্মালিটিগুলো দেখি।

সাদমান নামটি শুনেই ইফাদকে হসপিটালে পৌঁছে দেওয়া লোকটা এগিয়ে এসে বলে,

–আপনিই সাদমান সাহেব? যাকে নিয়ে এসেছি হসপিটালে উনি আপনার কে হন?

–উনি তো আমার বস। আই মিন উনি একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আমি উনার অ্যাসিসট্যান্ট বলতে পারেন।

হসপিটালে নিয়ে আসা মানুষটা একজন ম্যাজিস্ট্রেট এ কথা শুনে রূপসী থমকে যায়। সে পুলিশ সদস্যটিকে জিজ্ঞেস করে,

–ঐ মানুষটাই কি আমাগো বাঁচাইলো?

–হ্যা উনিই তো সব করেছেন। উনি না থাকলে আজ হয়তো তোমরা উদ্ধার হতে পারতে না।

রূপসী ম্যাজিস্ট্রেট মানে পুরোপুরি বোঝে না। কিন্তু তার বাবার স্বপ্ন তাকে ম্যাজিস্ট্রেট বানাবে। সে শুধু এটুকুই জানে ম্যাজিস্ট্রেটরা বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। অন্যায়কারীদের শাস্তি দেয়। এই মানুষটাও একজন ম্যাজিস্ট্রেট শুনে রূপসীর মনে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। মানুষটার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানে ভরে যাচ্ছে তার ভিতরটা। সে ঝট করে দাঁড়িয়ে বলে,

–চাচা আমি আপনের লগে যামু না।

–যাবে না মানে? কেন যাবে না?

–আমি ওই ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের লগেই যামু। আমি উনার লগেই বাড়িত যামু আর কারোর লগে না।

–তুমি তো দেখতেই পাচ্ছো স্যার তোমাকে পৌঁছে দেওয়ার মতো অবস্থাতে নেই। তাই জেদ করিওনা। চলো আমার সাথে।

–নাআআ। আমি কোনো কথা শুনমু না। আমি স্যারের লগেই যামু।

পুলিশ লোকটা প্রচন্ড বিরক্ত হলেন। এই মেয়েটাকে নিয়ে তিনি বারবার বিপাকে পড়ছেন শুধু। কিন্তু এই হসপিটালে কোনো সিনক্রিয়েট ঘটাতে চাইছেন না। তাই আদুরে স্বরে রূপসীকে বললেন,

–ঠিক আছে। তুমি স্যারের সাথেই যেও। এখন তো উনি অসুস্থ। একটু সুস্থ হোক তারপর তোমাকে নিয়ে যাবে। তুমি এখন আমার সাথে চলো। তোমার ক্ষিদে পায়নি? ঘুম পায়নি?

সত্যিই রূপসীর বড্ড বেশি ক্ষিদে পেয়েছে। আবার শরীর ক্লান্ত থাকায় ঘুম ঘুমও পাচ্ছে বেশ। তাই সে আর বাড়তি কথা না বলে পুলিশটির সাথে হাঁটতে লাগলো।

সাদমান হসপিটালের সব ফর্মালিটি পূরণ করে। শুনেছে ইফাদ স্যার এখন অনেকটা সুস্থ। তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। সাদমান আপাতত ইফাদের বাড়ির কাওকে খবরটা জানানোর সাহস করছে না। কারণ ইফাদের কড়া নির্দেশ ছিলো সে যত সমস্যায় পড়ুক না কেন তার বাড়ির লোকদের যেন কখনোই কিছু জানানো না হয়। যা কিছু জানানো জরুরি বলে মনে হবে তা ইফাদ নিজেই জানিয়ে দেবে পরে। রাতটা সাদমান হসপিটালেই কাটায়।

____________

সকালের কাঁচা সোনা রোদের তেজে চোখ বুজে রাখা কঠিন। তাই বাধ্য হয়েই চোখ খুলে ইফাদ। চোখ থেকে তার ঘুমের রেশ কাটছে না। সম্ভবত ঘুমের ওষুধের প্রভাব। চোখ খুলার পর বেশ কিছুক্ষণ থম মেরে বসে থাকে সে। মাথার পিছনের ব্যথাটা ওতোটা গাড়ো না হলেও কপালটা দপদপ করছে ব্যথায়। মনছুর আলীর মতো ভয়ংকর এক নারী পাচারকারী হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার কষ্টের কাছে ওসব ব্যথা তার কিছুই মনে হচ্ছে না৷ তীরে এসে তরী ডুবে গেলো তার। আবার সবটা নতুন করে সাজাতে হবে। একদম গোড়া থেকে। হসপিটালের বেড থেকে নেমে বাইরে এলো সে। সাদমানকে দেখামাত্রই গাম্ভীর্যপূর্ণ কন্ঠে বলে উঠে,

–সাদমান সাহেব যা যা ফর্মালিটি আছে শেষ করে আসুন। আমি বাড়ি ফিরবো।

ইফাদের কথা শুনে সাদমান ছুটে এসে বলে,

–সে কি স্যার। আপনি তো এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। ডক্টর আপনাকে আরো একদিন হসপিটালে থাকতে বলেছে।

–হসপিটালে থাকার মতো মনমানসিকতা কিংবা সময় কোনোটাই আমার নেই। যা বলেছি তা জলদি করুন।

–ওকে স্যার। আমি দেখছি।
—-
সাদমান গাড়ি ড্রাইভ করছে। ইফাদ তখনো গম্ভীর হয়ে বসে রয়েছে। সাদমান গলা খাঁকারি দিয়ে ইফাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে,

–সরি স্যার। আপনি এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়েছেন অথচ সেই সময় আমি আপনার পাশে থাকতে পারলাম না। আই এম রিয়েলি ভেরি সরি স্যার।

–ইটস ওকে সাদমান সাহেব। আমি ভেবেছিলাম আমি একাই ম্যানেজ করতে পারব। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে অযোগ্য হয়ে যাচ্ছি আমি।

–ছিহ ছিহ স্যার এভাবে কেন বলছেন? ওই মনছুর আলীকে আজ ধরা গেলো না। একদিন নিশ্চয়ই ধরে ফেলবেন আপনি আমি জানি। সেই বিশ্বাস আমার আছে আপনার প্রতি। কিন্তু মেয়েগুলোকে তো বাঁচাতে পেরেছেন। সেটাও তো অনেক বড় কাজই।

–ভালো কথা মনে করিয়েছেন সাদমান সাহেব। মেয়েগুলোকে ঠিকঠাক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তো? কোথায় রেখেছেন ওদের?

–আপনার কথামতো ওদেরকে কোয়ার্টারে রাখা হয়েছে। সম্ভবত বেশিরভাগ মেয়েদেরই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

–ঠিকাছে আমাকে তবে ওখানেই নিয়ে চলুন।

–কিন্তু স্যার আপনি না বললেন আপনি বাড়ি যাবেন।

–না। আগে ওখানকার পরিস্থিতি বুঝে আসি। তারপর বাড়ি ফিরব।

–স্যার, কাল রাত থেকে আপনার মা অনেকবার ফোন করেছেন। অনেক ভুজুংভাজুং বুঝ দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছি। আপনি যদি বাড়ি না ফিরেন তবে উনার সাথে একবার কথা বলে নিন।

–আমার ফোনটা দিন।

সাদমান ফোনটা দিতেই ইফাদ তার মা আফিয়াকে ফোন করে আরো একবার ভুজুংভাজুং বুঝ দিয়ে রাখলো। ফোন রেখেই সাদমানের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলে,

–কাল আমাকে হসপিটালে কে নিয়ে এসেছিলো?

–এনেছিলেন এক ভদ্রলোক। আমি তার ফোন নাম্বার, ঠিকানা নিয়ে রেখেছি। আপনি চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।

–হুম যোগাযোগ তো করতেই হবে। এটলিস্ট থ্যাংকসটা তো জানানো জরুরি।

–লোকটা না থাকলে আমরা হয়তো আপনাকে সহজে পেতাম না। পেলেও বেশ দেরি হতো। ততক্ষণে আপনার যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারতো। সত্যি লোকটার কাছে গ্র্যাটফুল হয়ে রইলাম তাই না স্যার।

সাদমানের কথার প্রত্যুত্তরে ইফাদ কিছু বলে না। শুধু হাসি ছুঁড়ে দেয়। দুজনেরই অজানা থেকে যায় ইফাদের মূল উদ্ধারকারী তো রূপসী নামক ছোট্ট এক গ্রামের মেয়ে ছিলো।

___________

কোয়ার্টারে ঢুকে ইফাদ দেখতে পায় এখনো ৩-৪ জন মেয়ে রয়েছে। তবে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এখন। তাকে দেখামাত্র সবাই দাঁড়িয়ে স্যালুট করে। ইফাদ মাথা ঝুঁকিয়ে সামনের দিকে আগায়। সাদমান গিয়ে কথা বলছে মেয়েদের ঠিকমতো পৌঁছে দেওয়া হলো কি না সেই ব্যাপারে। ইফাদ এদিক ওদিক নজর বুলাতে গিয়ে হঠাৎ তার চোখ গিয়ে আটকে যায় জানালার ধারে গুটিশুটি মেরে বসে থাকা এক বাচ্চা মেয়ের দিকে। আন্দাজ করে নেওয়া যায় ১৬-১৭ বছর বয়সী হবে। আনমনে জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে। দৃষ্টি হয়তো বিশাল আকাশের বুকে। মেয়েটাকে দেখা মাত্র কিছু সময়ের জন্য থমকে যায় ইফাদ। পরক্ষণেই ভ্রু কুঁচকে যায় তার। ভাবতে থাকে কোথায় যেন দেখেছে সে মেয়েটিকে! তার ভাবনার সুতো ছিঁড়ল সাদমানের ডাকে।

–স্যার, শুনলাম ওই মেয়েটি নাকি জেদ ধরে বসে আছে আপনি পৌঁছে না দিলে সে নাকি বাড়ি যাবে না।

ইফাদ অবাক হয়ে যায় এমন কথা শুনে।

–স্ট্রেঞ্জ! সম্ভবত আমরা পরিচিত নয়। সম্ভবত কেন বলছি, আসলেই আমরা পরিচিত নয় তবে মেয়েটি এমন অদ্ভুত আবদার কেন করছে?

–তা তো জানি না স্যার। মেয়েটাই ভালো বলতে পারবে। কিন্তু আপনি এখন কি করবেন স্যার? মেয়েটার গ্রাম তো এই শহর থেকে বেশ অনেকটা দূরে। আজ গেলে কাল সকালের আগে ফেরা সম্ভব না। তাছাড়া আপনার মা কিন্তু খুব অস্থির হয়ে আছেন। আজ বাড়ি না ফিরলে উনি হয়তো আরো হাইপার হয়ে যেতে পারেন।

ইফাদের কানে কথাগুলো প্রবেশ করলো কি না বোঝা গেলো না। সে একদৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে রয়েছে। মেয়েটিকে দেখে এক অদ্ভুত অনুভূতি হতে থাকে তার। কিন্তু সেই অনূভুতির কারণ কিংবা ব্যাখ্যা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না সে। রূপসী জানালা থেকে দৃষ্টি সরাতেই ইফাদের দিকে চোখ পড়ে তার। কয়েক সেকেন্ড কৌতুহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে হুট করে লাফিয়ে দাঁড়ায় সে। তারপর একপ্রকার ছুটে আসে ইফাদরে দিকে।

–আপনি আইসা পরছেন ম্যাজিস্ট্রেট স্যার। এইবার আমারে নিয়া চলেন। এই লোকগুলান ম্যালা খচ্চর। আমারে কিছুতেই আপনের লগে যাইতে দিতে চায় না। হাহ! আমার লগে পারবো। আমি তো আপনের লগেই যামু।

ইফাদ মেয়েটির কথায় বেশ মজা পাচ্ছে মনে হলো। ঠোঁটে মৃদু হাসি ঝুলিয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনছে তার কথা। রেলগাড়ীর মতোই যেন ছুটছে তার মুখের বুলি। থামবার নাম নেই। ইফাদ মোটেও এতো কথা বলা পছন্দ করে না। কিন্তু মেয়েটির এতো কথা বলা দেখেও তার মধ্যে বিন্দু পরিমাণ কোনো বিরক্তি কাজ করছে না। রূপসীর কথা থামতেই ইফাদ বলে উঠে,

–আচ্ছা! তো কেন আমারই সাথে যেতে চাও তুমি, শুনি?

–আপনে তো ম্যাজিস্ট্রেট। ম্যাজিস্ট্রেট স্যার! আমার আব্বারও স্বপ্ন আমারে ম্যাজিস্ট্রেট বানাইবো।

–শুধু এই কারণেই আমার সাথে যেতে চাও? আর কোনো কারণ নেই?

ইফাদের প্রশ্ন শুনে রূপসী বোকা চাহনি দিলো। যেন সে কোনো অদ্ভুত প্রশ্ন করে ফেলেছে। কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে ভাবলো। তারপর আনমনে আঙুল দিয়ে মাথা চুলকিয়ে বলতে থাকে,

–আর কি কারণ থাকবো?

রূপসীর বিরবির করে বলা কথাখানা ইফাদের কর্ণগোচর হতেই সেখানে উপস্থিত সকলকে বিস্মিত করে দিয়ে ইফাদ হো হো করে হেসে ওঠে। ইফাদের মতো গম্ভীর মানুষকে আজ পর্যন্ত মুচকি হাসিতেই দেখেছে সবাই। তার এমন প্রাণখোলা অট্টহাসি দেখে সকলেই হা করে তাকিয়ে রয়েছে। শুধু রূপসীই বোকা বোকা মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকে।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here