#অন্তরিন_প্রণয়
#পলি_আনান
#পর্ব_১০

লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে সেহেরিশ দ্রুত মারুফার রুমের দিকে অগ্রসর হয়।দ্রুত পায়ে রুমে ঢুকেই ধপাস করে বিছানায় শুয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে।তার এমন অপ্রতিভ অবস্থা দেখে ভ্রু কুচকে যায় মারুফার।

– কি সমস্যা তোর কৈ মাছের মতো লাফাচ্ছিস কেন?কোথায় ছিলি এতক্ষণ?
– সিংহের গুহায়।
– মানে?
সেহেরিশ খলবলিয়ে উঠে বসে। মারুফার সামনা সামনি বসে ঢোক গিলে বলে,

– আফীফ আমায় কি বলেছে যানো?আমি নাকি তার সাথে চোর পুলিশ খেলছি।তুমি বলো আমার বিহেভিয়ার কি চোরের মতো?
– হ্যা নিঃসন্দেহে আমিও বলতে পারি তোর বিহেভিয়ার চোরের মতো।
– ফুফু!
– একদম চেচামেচি করবি না।এই বাড়িতে আসার পর থেকেই তুই পালাই পালাই করছিস।তুই কি এখনো বুঝতে পারছিস না এই বাড়ির কেউ তোকে সন্দেহ করছেনা।কেউ বুঝতে পারছে না তুই সেই আট বছর আগের তাকিয়া।

– আমারো তাই মনে হচ্ছে।কিন্তু সিওর হতে পারছিনা।
– আমি সিওর তুই চিন্তা করিস না।যাই হোক তোকে বলতে ভুলেই গেছি আফীফের দাদী তোকে ডেকেছেন গিয়ে দেখা করে আয়।
– আমাকে, কিন্তু কেন?
– আহ এত সন্দেহ নিয়ে থাকিস কেন? তুই জানিস এই বাড়ির মানুষ গুলো কত ভালো খবরদার তাদের সাথে এমন উজবুক ব্যবহার করবি না এখন যা।

সেহেরিশ বিরক্ত মুখ নিয়ে রুম থেকে বেরিরে যায়। হাতে থাকা ফোনের দিকে তাকিয়ে মাথা নুইয়ে হাটছে সে।তখনি ধাক্কা লাগে কারো সাথে। চাপা আর্তনাদ করে সামনে তাকাতে মুনিফকে দেখে অপ্রস্তুত ভাবে হাসে।

– চোখ কোথায় থাকে আপনার মিস সেহেরিশ?
– আপনার রসগোল্লার মতো বড়বড় চোখ দুটি কোন হাড়িতে থাকে মি.মুনিফ।

সেহেরিশের কথার ভাবধারায় ঠোঁট কামড়ে হাসলো মুনিফ।
– আমি তো ভেবেছি আপনি কথাই বলতে যানেন না।মাই গড গতকাল কি যে ভাব ধরে ছিলেন।
– নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে উঠতে পারি নি তাই অপ্রস্তুত ছিলাম।
– তা তাড়াহুড়ো করে কোথায় যাচ্ছেন?
– গ্র‍্যান্ডমায়ের রুমে।
– খবরদার এই সম্মোধন করবেন না।নানিজান আপনায় ভীষণ বকবেন।
– কেন?নানি বকবেন কেন?
– নানির বরাবরি গ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে ভালো লাগে।কিন্তু আফীফ ভাইয়ার সামনে তিনি কিছুতেই আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারেন না।আফীফ ভাইয়ার কথা হলো সবাই স্পষ্ট শুদ্ধ ভাষায় কথা বলবে।এখন যদি তুমি তোমার ইংলিশ বাংলিশ কথা নানিকে বলো তবে নির্ঘাত কুরুক্ষেত্র চলবে।

– তবে আমি কি বলবো?
– দাদি বলো আর নানি বলো সম্পূর্ণ তোমার ইচ্ছা।
– ঠিক আছে তা বলা যাবে এখন বরং আমায় তার রুম টা দেখিয়ে দিন।
-ওকে চলুন।

কেইন তুন্দ্র সেহেরিশ এক সঙ্গে ছাদে দাঁড়িয়ে সেই কালো বাড়িটি সম্পর্কে আলোচনায় লেগে গেছে।

– দেখ তুন্দ্র এই ব্লাক হাউজের নিশ্চই কোন রহস্য আছে একটা জানলা নেই।অদ্ভুত সব নিরিবিলি।

সেহেরিশের কথায় তার দিকে তাকিয়ে কেইন মিহি হাসলো,
– যাই বলিস সেহেরিশ এই বাড়িটার ভাবধারাটা চমৎকার।আমার বেশ ইচ্ছে করছে এই বাড়িতে প্রবেশ করতে।
– আমারো।কিন্তু যাবো কি করে আমরা?

সুদীর্ঘ লম্বা কেইন সেহেরিশের মাথাটা তার বুকের সাথে চেপে ধরে সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলে,
– দেখ সেহেরিশ আমার বুকের ভেতরটায় কেমন বিট হচ্ছে মানে বুঝতে পারছিস এই বাড়িটা সত্যি অদ্ভুত গা ছমে ছমে পরিবেশ।
– আহ আমার হেরার স্টাইল নষ্ট হয়ে যাবে এইভাবে কেউ ধরে।

কেইন কিছু বলার আগেই সেহেরিশের ফোনে ভিডিও কল আসে জুহির।সেহেরিশ মোবাইলটা দ্রুত রিসিভ করে তুন্দ্র কেইনের সামনে ধরে।

– হেই জুহি একা একা দিন কাটছে তো তোমার?
– নারে তোদের অনেক মিস করছি।বাবার শরীরটা এখনো ভালো হয়নি।
– আংকেলের খেয়াল রাখিস।এই দেখ আমাদের আমাদের তুন্দ্র সাহেবের অবস্থা। তিনি প্রকৃতি পেয়ে আমাদের একদম ভুলেই গেছেন।সারাদিন ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত।
সেহেরিশের কথা শেষ হতেই তুন্দ্র ছো মেরে মোবাইলটা তার হাতে নিয়ে নেয়।

– বিশ্বাস কর জুহি গ্রামটা এত সুন্দর!মাই গুড নেস।আর এই বাড়িটার কোনায় কোনায় যেন আভিজাত্য জড়িয়ে আছে।বাড়ির মানুষ গুলো এত সুইট অমায়িক কি বলবো তোকে।আমি এই বাড়ির প্রেমে পড়ে গেছি রে।
– আহারে বন্ধু আমার।তা কেইন সাহেবের কি অবস্থা?
– তার কথা কি আর বলবো তিনি তো এই বাড়িতে আসার পর থেকেই ভাব জমিয়ে ফেলেছে।
– একটা কাজ কর তোদের যেহেতু ওই বাড়ির প্রতি নেশা জেগে গেছে তবে ওই বাড়ির কোন ছেলেকে দেখে সেহেরিশকে বিয়ে দিয়ে দে।এট লিস্ট বন্ধুর শশুড় বাড়ির সুত্রে মাঝে মাঝেই বেড়াতে পারবি।

– এই বাড়িতে দুটি ছেলে।একটা বাঘ আরেকটা বাঘের শিষ্য।
– মানে?
– বাড়ির মালিক আহনাফ দেওয়ানের নাতি আফীফ দেওয়ান হলো বাঘ আর তার শিষ্য মুনিফ আই মিন আফীফের ফুফাতো ভাই।

তুন্দ্রের কথায় রাগ দেখিয়ে মোবাইলটা কেড়ে নিলো সেহেরিশ।দুজনের দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দ্রুত ছাদ থেকে নেমে যায়।

ভিডিও কলে জুহিকে সম্পূর্ণ বাড়ি দেখাতে দেখাতে বাগানের মধ্যে ভাগে এসে উপস্থিত হয় সেহেরিশ।তখনি তার কানে আসে মিষ্টি সুরেলা কন্ঠের একটি পাখির ডাক।
– ফুলপরি!ফুরপরি!ফুলপরি!

সেহেরিশ সেই সুরের অনুসরণ করে চারিদিকে তাকাতে থাকে।কিছুক্ষণের মধ্যেই দোতলার একটি বারান্দা থেকে একটি কাকাতুয়া পাখির দেখা মিললো।সেই পাখিটি নেচে একমনে “ফুলপরি” “ফুলপরি করেই যাচ্ছে।সেহেরিশ ডানে বামে তাকিয়ে বিশেষ কাউকে না পেয়ে বাগানের শেষ প্রান্তে একজন মালীকে দেখে সেদিকে যায়।

– আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল।আমাকে চিনতে পারছেন?
মালী সেহেরিশের কন্ঠে উঠে দাঁড়ায়।এক গাল হাসি দিয়ে আহ্লাদে সুরে বলেন,
– আরে ছুডো আফা।ভালা আছেন নি আফনি?
– আলহামদুলিল্লাহ চাচা আমি ভালো।আমার একটা প্রশ্ন ছিল।
– কইয়া ফেলেন আমি আমার সাধ্য মতো আফনারে উওর দিমু।
– এই বারান্দাটি কার চাচা?
সেহেরিশের আঙ্কুলের ইশারায় ভ্রু কুচকে তাকান মালী।
– এইডা তো ছুডো ভাইজানের।
– ছোট ভাইজান?
– আফীফ ভাইজান।
– ওহ!কিন্তু পাখিটি কাকে ফুলপরি ডাকছে?
– আমি তয় জানি না।তবে মাঝে মাঝেই পাখিডা ফুলপরি ফুলপরি কইয়া চিল্লায়।আবার কি যানি কয়!
– কি বলে?

সেহেরিশের উৎসুক কন্ঠে মালী ডানে বামে তাকায়।কেউ আছে কি না তা ভালোভাবে বোঝার জন্য কাউকে না দেখে ফিসফিস করে বলে,

– পাখিডা মাঝে মাঝে কয় “সে আসবে রাজা মন খারাপ কররো না”
– কে আসবে আর রাজা কে?
– তা তো মুই কইতাম পারতাম না।তয় রাজা হয়তো আফীফ ভাইজানরে ডাকে।এই পাখিটা কিন্তু অনেক আদর যত্নের পাখি।পাখিডা একমাত্র আফীফ ভাইজান ছাড়া কারো লগে মিশে না।সারাক্ষণ আফীফ ভাইজানের লগেই থাহে।আর আমি এর থাইকা বেশি কিছু যানি না।যা যানলাম তাই কইলাম।
– ওহ!আসি তবে।

কথা শেষ করেই সেহেরিশ সোজা হাটা শুরু করে। বাগানের চারিদিকে তাকিয়ে শত শত ফুল দেখে তার মাথায় হুট করেই দুষ্টু বুদ্ধি আসে।
– চাচা ওইগুলো কি ফুল?
– ডালিয়া।
– আর ডানের গুলো?
– জিনিয়া।
– ওকে আর এগুলো?
– চন্দ্রমল্লিকা!
– ঠিক আছে আমায় তবে সব ফুল থেকে দশটা করে ফুল ছিড়ে দাও।
– আমায় মাফ কইরেন আফীফ ভাইজানের নিষেধ আছে।

সেহেরিশ কথা বাড়ালো না বরং চাপা রাগ দেখিয়ে সোজা হাটা শুরু করলো।সে ভেবে পায় না এই আফীফকে ভয় পাওয়ার কি আছে?কিছু মূহুর্ত পর মনে পড়ে যায় আফীফের অতীতের কথা।যে ছেলের অল্প বয়সেই রক্ত গরম সে নিশ্চই এই বয়সে মোটেও শান্ত শীষ্ট নয়।

রাত প্রায় গভীর।চারিদিকে ঝি ঝি পোকার ডাক।যা সেহেরিশের কাছে চরম বিরক্তের।গতকাল তার জার্নির দরুনে ক্লান্ত শরীরে ঘুম আসলেও আজ ঘুম দুচোখে কিছুতেই ধরা দিচ্ছেনা।সেহেরিশ বারান্দার দরজা খুলে বাইরে তাকাতেই প্রবল ঠান্ডায় কেঁপে উঠলো।নিচে তাকাতেই নিয়ন বাতির আলোতে হরেক রকমের ফুল দেখে এক মূহুর্তে মাথায় শয়তানি বুদ্ধি চেপে বসলো।

গায়ে হুড়ি জড়িয়ে সাথে গায়ে চাদর জড়িয়ে গুটি গুটি পায়ে নিচে নেমে আসলো।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সদর দরজাটা খোলা দেখে ভড়কে যায় সেহেরিশ।তবুও দুইচার কথা না ভেবে সোজা বাগানের দিকে হাটা শুরু করে।বাগানে প্রবেশ করেই একে একে সব কটা পছন্দের ফুল ছিড়ে হুড়ির টুপিটা সরিয়ে চুলে গুজে নেয়।বাগানে থাকা বেঞ্চিটাতে বসে ফুলের পাপড়ি ছিড়তেই তার চোখে পড়ে আফীফ বাগানের শেষ প্রান্তের গেট থেকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করছে।আর এইটুকুতে সেহেরিশ ভালো করেই বুঝে নিয়েছে বাগানের শেষ প্রান্তের গেটের মেইন রাস্তা ব্লাক হাউজের যাওয়ার রাস্তা।

আফীফকে দেখে দ্রুত দাঁড়িয়ে যায় সে।হাতে থাকা ফুল গুলো নিয়ে সুদীর্ঘ ঝাউগাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে।নিরিবিলি পরিবেশটায় হঠাৎ করে ঘাসের খচখচে মিহি আওয়াজে ভ্রু কুচকে দাঁড়িয়ে যায়।ডানে বামে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিতে বেঞ্চির দিকে নজর যেতেই ধুপ করে রাগ মাথায় চেপে বসে।গায়ের চাদরটা খানিকটা সরিয়ে ধীর পায়ে বেঞ্চের দিকে এগিয়ে আসে।সেখানে অনেকগুলো ফুল ছিড়ে পড়ে থাকতে দেখে বাকা হাসলো আফীফ।

এদিকে মুখ চেপে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা সেহেরিশের অবস্থা করুন।তীব্র শীতের মাঝে আফীফকে দেখে কান দিয়ে যেন গরম ধোয়া উড়ছে।গরমে কপাল গলায় বিন্দু বিন্দু ঘাম জমাট বেধেছে।আফীফকে ঝাউগাছের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে সেহেরিশ দ্রুত সরে যেতে নেয় তৎক্ষনাৎ তার হাতটা কেউ আঁকড়ে ধরে।ভয়ের তোড়ে চিৎকার দেওয়ার আগেই আফীফ তার মুখটা চেপে ধরে।

– আগেই বলেছিলাম মেয়ে তুমি সুবিধার না। তোমার মাঝে চোর চোর ভাব।
– উম্মম্মম্মম্ম
– এক চড় দিয়ে মুখের কথা বন্ধ করে দেবো।এত রাতে এখানে কি?
– উম্মম্মম্মম্ম
– কোন উদ্দেশ্য এই বাড়িতে এসেছিস?কোন আততায়ী তুই?কার নির্দেশে এসেছিস।
আফীফের রাগান্বিত স্বরের কথায় সম্পূর্ণ ভড়কে যায় সেহেরিশ উপায় না পেয়ে আফীফের হাতের তালুতে জোরে কামড় বসায়।কিন্তু তাতেও খুব একটা সুবিধা মতো আফীফকে সরাতে পারেনি।

সেহেরিশের শ্বাস যখন বন্ধ প্রায় অবস্থা তখনি আফীফ তার হাত ছাড়ে।আফীফের দখল থেকে নিজেকে মুক্ত করে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে সে।
– এত রাতে এখানে কি?
– ক..কিছু না।
– যা বলছি সোজাসাপটা উওর দাও।নাহলে উলটা পালটা কিছু হয়ে গেলে দায় ভার আমার নয়।
– ফুল নিতে এসেছিলাম।
– ফুল!তা এত রাতে ফুলের তৃষ্ণা জাগলো কেন মনে?

সেহেরিশ কোন উওর দিলো না বরং মাথাটা নিচু করে তার দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে নিলো।
– আবারো ভুল করেছো।বলেছিনা এই বাড়িতে ফুল ছেড়ার অনুমতি নেই।
– সরি!
– সরি?সরিতে কি সব সমাধান?

সেহেরিশের প্রত্যুত্তর না পেয়ে আফীফ সেহেরিশের চুলের সামনে মুখ নিয়ে গাঢ় করে শ্বাস টানলো।
– আহহহ আমার বাগানের ফুলের ঘ্রাণ সুমিষ্ট।
– আপনার বাগানের ফুলের ঘ্রাণ আপনি গাছ থেকে নিন আমার মাথা থেকে নিচ্ছেন কেন?
– আবার কথা!তুমি যখন ছিড়ে তোমার চুলে গুজেছো তখন আমি চুল থেকেই নেবো।

আফীফের কথায় আর কোন প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারলোনা সেহেরিশ।রাগের মাথায় মিনমিনিয়ে বলে,
– অসভ্য লোক।খালি অসভ্যতা করে।
– তুমি আমায় অসভ্যতা করার সুযোগ করে দাও কেন?

আফীফের সূক্ষ্ম জবাবে চুপ হয়ে যায় সেহেরিশ।
– সোজা এখন নিজের রুমে যাবে।যদি আমি তোমায় ঘাড় ঘুরাতেও দেখি তবে আজ রণক্ষেত্র হয়ে যাবে।

আফীফের অনুমতিতে সেহেরিশ সোজা হেটে চলে যায়।কিন্তু আবারো সেই একই ভুল করে বসে। আফীফের নিষেধ থাকা স্বত্তেও সে মাঝ পথে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় আর তাকে তাকাতে দেখে মেজাজটাই বিগড়ে যায় আফীফের।

– সাহস তো কম না আমার কথার অমান্য!

আফীফের ধমকে এক ছুটে পালায় সেহেরিশ।
আফীফ রাগ নিয়ে বিড়বিড় করে বলে,

– মেয়ে তোর ঘাড়ের রগ সোজা করার দায়িত্ব নিলাম!
#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here