“#অদ্ভুত__মুগ্ধতা ”
পর্ব ১৯
মিশু মনি
.

দরজার পাশে মৈত্রী এসে দাঁড়িয়েছে।কালো টি শার্টে ওকে বেশ মানিয়েছে,এক পলক দেখেই মিশু চমকে গেলো।এর আগে কখনো মৈত্রীকে এভাবে ভালো লাগেনি ওর।আজ কেন লাগছে? হয়ত ওর ভালোবাসার কথাটা জানতে পেরেই।

মৈত্রী এসে মিশুর বিছানার পাশের চেয়ারে বসলো।মিশু শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসতে বসতে বললো,হঠাৎ আমার রুমে?
মৈত্রী ভ্রু কুচকালো।এটা আবার কেমন প্রশ্ন? এমন ভাবে বলছে যেন এই প্রথমবার মৈত্রী ওর ঘরে এসেছে।তবুও ও মুখে কিছু বলল না।হাতের জিনিস টা মিশুর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,এটা নাও।
– কি এটা?
– বই।
মিশু বইটা হাতে নিয়ে দেখলো এটা একটা বাইবেল! ও বিস্ময় চেপে রাখতে পারলো না! এটা দিয়ে কি হবে?
– এটা পড়বে।
– এটা কেন পড়বো?
– সব ধর্মগ্রন্থ পড়া উচিৎ।এটা পড়া হলে তোমাকে রামায়ণ পড়তে দিবো।
মিশু ঢোক গিলে বলল,আমি পড়বো?
– হ্যা, তুমিই পড়বে।
– কি হবে পড়ে?

মৈত্রী বলল, পড়তে দিয়েছি, পড়বে।তোমার জন্য ২০০ টা বইয়ের একটা লিস্ট তৈরী করেছি।একটা একটা করে সেগুলো পড়তে দিবো তোমায়।এগুলোর মধ্যে কিছু ধর্মগ্রন্থ ও আছে।আগে এটা পড়ে দেখো, দেখি তোমার কেমন অনুভূতি হয়।
মিশু হা করে চেয়ে আছে।২০০ টা গ্রন্থ পড়তে হবে! এই লোকের ঘরে যত বড় বড় বই! ওইসব পড়তে দেবে না তো? অত বড় বই,অত কঠিন দূর্বোধ্য ভাষা কি বুঝতে পারবে মিশু? পড়তে গেলেই তো দাত ভেঙে যাবে।সংস্কৃত ভাষার বইও আছে নাকি?
মৈত্রী আবারো বলল,এই ২০০ টা বই পড়া হয়ে গেলে তোমার জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হবে।অনেক কিছু জানবে,বুঝবে।তখন তুমি দর্শন চর্চা করতে পারবে।

মিশু মুখ কাচুমাচু করে বলল,দর্শন চর্চা করে কি করবো? আমিতো দর্শনের স্টুডেন্ট নই।
মৈত্রী হেসে বলল,দার্শনিক হবে।
– পারবো আমি?
– চেষ্টা করে দেখতে পারো।
মিশু ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে আছে মৈত্রীর দিকে।কি বলে এই লোকটা! দার্শনিক হওয়া কি মুখের কথা নাকি?
মৈত্রী বলল,তোমার মাঝে দার্শনিক ভাব আছে।অনেক কিছুই সহজে উপলব্ধি করতে পারো।আমি একবার ট্রাই করে দেখি কিছু হতে পারো কি না।
– শুধু বই পড়ে দার্শনিক হওয়া যায়?
– অবশ্যই না।আগে বই পড়ে জ্ঞানার্জন করো,তারপর ভ্রমণ করে জ্ঞানার্জন করবা।সাধনা করতে হবে,সব শ্রেণির লোকদের সাথে মিশতে হবে।
মিশুর মুখটা ছোট্ট একটু হয়ে গেছে।এইটুকুন বাচ্চামেয়ে দর্শন চর্চা করবে? তাও আবার মেন্টাল ডিসঅর্ডারের রোগী! মৈত্রীর মাথা ঠিক আছে তো?
মৈত্রী বললো,যা যা করতে হবে সব আমিই নির্দেশনা দিবো।তুমি শুধু সাধনা করবা।আর একটু ত্যাগ।
মিশু মুখ কাচুমাচু করে বললো,আরো কি কি ত্যাগ করতে হবে? শুধু মলমূত্রত্যাগ করলে হবেনা?
– হা হা হা,এটা তো সবাই করে।কিন্তু এটা করে কি আর দার্শনিক হওয়া যাবে?
– কেন যাবেনা? আগে সুখ,পরে দর্শন।ত্যাগেই প্রকৃত সুখ কি না? সেটা যেকোনো ত্যাগই হতে পারে।আত্মত্যাগ কিংবা হাগুমুতু ত্যাগ।
মৈত্রী হেসে বলল,ভালো বলেছো।
– অবশ্যই।তা আমাকে জ্ঞানার্জনের জন্য কোথায় কোথায় ভ্রমণ করতে হবে?
– দেশ দেশান্তর।
মিশু অবাক হয়ে বলল,সিরিয়াসলি? কিন্তু কিভাবে?
– আমি ব্যবস্থা করে দিবো।
– আপনার সাথে ঘুরবো?
– না,একা একা ঘুরবা।তোমার নিরাপত্তার ব্যাপারে যা ব্যবস্থা নিতে হবে আমি নেবো।তুমি একাই ভ্রমণ করবে।তুমি চাইলে আমিও সাথে যেতে পারি।
মিশুর মুখটা আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল।ও লাফিয়ে উঠে বলল,ভ্রমণ করতে দিলে আমি সব ধরণের ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি আছি।তার আগে বলুন তো,আমি দার্শনিক হলে লাভ টা কি হবে? তাছাড়া আমি একজন বাচ্চা মানুষ।ওসব কি আর বুঝবো?

মৈত্রী একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,তোমাকে এখুনি দার্শনিক হতে কে বলেছে? আরো অনেক দেরী আছে।এখন যে ২০০ টা বই পড়তে হবে,এগুলো পড়তে আর রিসার্চ করতেই দুই বছরের বেশি সময় লেগে যাবে।এরমাঝে ভ্রমণ ও করবা।আগে নিজের দেশ,পরে বাইরে।তারপর আরো অনেক বই পড়তে দেবো।মোটকথা তোমাকে অনেক জ্ঞানার্জন করতে হবে।

মিশু হা করে চেয়ে আছে মৈত্রীর দিকে।চোখের পলক ও ফেলছে না।মৈত্রী ওর চোখের দিকে তাকালো।মিশু বলল,জ্ঞান অর্জন কিভাবে করবো? আমিতো জানতাম, স্কুল কলেজ পড়লে আর গল্পের বই পড়লেই জ্ঞানী হয়ে গেলো।

মৈত্রী হেসে বললো,শুধু স্কুল কলেজ পড়লেই জ্ঞানী হওয়া যায়না পিচ্চিমেয়ে।জ্ঞানী হতে চাইলে বেশি বেশি বই পড়তে হবে,সব ধরণের বই।শুধু গল্পের বই পড়ে জ্ঞানী হওয়া যায়না।ধর্মগ্রন্থ, রেনেসাঁস,মহামানব দের জীবনী,ইতিহাস,সংস্কৃতি,দর্শন আর বিজ্ঞান সব ধরণের বই পড়তে হয়।দেশ দেশান্তর ভ্রমণ করতে হয়।ভ্রমণে জ্ঞান বাড়ে,অভিজ্ঞতা বাড়ে আর বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে ধারণা জন্মে।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করলে বিভিন্ন প্রজাতির মানুষ দের সাথেও মেশার সুযোগ পাওয়া যাবে।অনেক কিছু দেখতে হবে,শিখতে হবে,বিপদে পড়তে হবে।এভাবেই তো জীবন দর্শন সম্পর্কে জানতে পারবা।আর একনিষ্ঠ সাধনাও করতে হবে।

মিশু দম বন্ধ করে শুনছিল কথাগুলি।মৈত্রী কথা বন্ধ করতেই ও একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।তারপর বলল,আপনি এতকিছু জানেন কিভাবে?
মৈত্রী হেসে বলল,আমার বাবা অনেক কিছু শেখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
– সত্যিই এমন একজন বাবা প্রতিটা ঘরে ঘরে থাকলে সবার সন্তান ই বড় বড় মানুষ হতে পারতো।
– তাহলে দুনিয়াটা এত বিচিত্র হতোনা মিশু।
মিশু আবারো একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,হুম তা ঠিক।
– এই গ্রন্থটা ভালোভাবে পড়বে।কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে আমাকে জানাবে।
– আপনি কি সেই ২০০ টা বই ই পড়েছেন?
– না পড়িনি।তোমার ২০০ বইয়ের মধ্যে আমি মাত্র পনের টা বই পড়েছি।
মিশু অবাক হয়ে বলল,তাহলে আমাকে পড়তে বলছেন কেন?

মৈত্রী বলল, কারণ আমিতো দার্শনিক হতে চাইনি।আমাকে সাইকোলজি বিষয়ে প্রচুর বই পড়তে হয়েছে।অনেক বই আছে যেগুলো আমিও বুঝবো না।সেসব জায়গা গুলো চিহ্নিত করে রাখবা।আমি ওইসব বিষয়ে যারা পণ্ডিত আছেন,বিশেষজ্ঞ আছেন,তাদের কাছে তোমাকে নিয়ে যাবো।ওনারা তোমাকে বুঝিয়ে দিবেন।

মিশু অবাক হয়ে চেয়ে আছে মৈত্রীর দিকে! এই মেয়েটার জন্য এতকিছু করতে চাচ্ছে! এত কষ্ট করার কি দরকার?
মৈত্রী বলল,কি ভাবছো?
– আমার মত তুচ্ছ একটা মেয়ের জন্য এত কষ্ট,এতকিছু কেন করবেন?
মৈত্রী বলল,শোনো মিশু।তোমার মাঝে আমি সেরকম কিছু দেখেছি বলেই এই কঠিন কাজগুলো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
– আমার কি সত্যিই সেরকম কোনো প্রতিভা বা গুণ আছে?
-এই পৃথিবীতে সব মানুষ ই কোনো না কোনো প্রতিভা নিয়ে জন্মায়।নিজেকে সেই প্রতিভা আবিষ্কার করে সে অনুযায়ী কাজ করতে হয়।ইচ্ছাশক্তি থাকলেই অনেক কিছু করা সম্ভব মিশু।
মিশু অবাক হয়ে গেলো কথাটা শুনে।মৈত্রি খুব সুন্দর করে কথা বলতে পারে! শুধু শুনতেই ইচ্ছে হয়।
মৈত্রী বলল,আমাদের মর্ম ছোট থেকেই ফিল্ম নিয়ে পড়ে থাকে সারাক্ষণ।ও এভাবে লেগে থাকলে একদিন অনেক উপরে উঠে যাবে দেখো।
– হুম সেটা জানি।আর তানিন আপু?
– তানিন কে এখনো ঠিক বুঝতে পারিনা।ও মেয়েটা বড্ড রহস্যময়ী।ওর অনেক মেধা আছে কিন্তু বোঝা মুশকিল।ওর ব্যক্তিত্ব টাই অনন্য।কখন কি করছে কেউ জানতে ও পারেনা।কিন্তু পরে দেখা যাবে একেবারে সফল হয়ে বসে আছে।
– হুম।
– তুমি কোরআন পড়তে পারো মিশু?
– পারি,মাঝেমাঝে পড়ি।
– মাত্রার বিয়ের পর থেকে রেগুলার পড়বা।আর বাংলা অর্থগুলো ভালোভাবে আত্মস্থ করবা।বুঝেছো?
– হুম বুঝেছি।
– তাহলে এখন ঘুমাও? আমি ঘরে যাই?

কথাটা বলেই মৈত্রী উঠে দাঁড়াল।মিশুর হঠাৎ মন খারাপ হয়ে গেলো।ইচ্ছে করছে আরো কিছুক্ষণ মৈত্রীকে পাশে বসিয়ে গল্প করতে।কিন্তু সেটা কিভাবে বলবে? ওকে বসতে বললে যে লজ্জা লাগবে আজ।তাছাড়া সাফায়েত উল্লাহ সাহেব বলে দিয়েছেন কারো প্রতি দূর্বল না হতে।মিশুকে নিজ অবস্থানে থেকে ওদের ভালোবাসা বুঝতে হবে,তারপর একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।তাই মৈত্রীকে কিছুই বলল না।মৈত্রী উঠে বেড়িয়ে গেলো ঘর থেকে।মিশু মন খারাপ করে শান্ত হয়ে বসে রইলো।এই লোকটা ধীরেধীরে মনে জায়গা করে নিচ্ছে না তো?


সকালে বাচ্চাদের চেঁচামেচি তে ঘুম ভাংলো মিশুর।অনেক গুলো ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ওর রুমে এসে হৈচৈ করছে।মিশু ড্যাবড্যাব চোখে তাকালো।তাকাতেই দেখলো সবাই খুব সুন্দর করে সেজেগুজে নাচানাচি করছে।ছোট্ট মেয়েগুলো হলুদ শাড়ি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।

মিশু চোখ মেলতেই বলল,দোকানদার আপু আমাদের শাড়ি পড়িয়ে সাজুগুজু করিয়ে দাও।
– সবাইকে? তাহলে আমার দোকানে বেচাকেনা করবে কে?
– তুমিই করবে।আগে আমাদের সাজুগুজু করিয়ে দাও।

সবাই জোর করেই মিশুকে টেনে তুললো ঘুম থেকে।ও উঠে ফ্রেশ হওয়ার ও সময় পেলো না। সবাইকে শাড়ি পড়িয়ে দিয়ে বেশ সুন্দর করে সাজগোজ করিয়ে দিলো।
শাড়ি পরে টুকটুক করে নেচে বেড়াতে লাগলো বাচ্চাগুলো।মিশুর মনটা মুহুর্তেই ভালো হয়ে গেলো অনেক।আজকের সকাল টা অনেক সুন্দর ভাবে শুরু হলো!
বাচ্চাগুলো ঘর থেকে বেরোতেই মর্ম এসে হাজির।হুইল চেয়ারে ওকে বসা অবস্থায় দেখলে কেমন যেন মায়া লাগে! মিশু কিছু বলতে যাচ্ছিল তখন ই মর্ম বলল,আমার উত্তর টা দিলেনা মিশু?
মিশু একটু চুপ থেকে বলল,সময় লাগবে।
– আমাকে কি তোমার ভালো লাগেনা?
– লাগে,কিন্তু ভালোবাসি না।ভালোবাসা অব্দি যেতে সময় লাগবে।
– ও আচ্ছা ঠিক আছে।কেমন আছো তুমি?
– বেশ ভালো। আপনার শরীর কেমন?
– ভালোই।তুমি শাড়ি পড়বে না?

মিশু একবার তাকালো মর্ম’র দিকে।তারপর বলল,মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম।
মর্ম কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলো।কিন্তু মিশু সেটা না শুনেই দ্রুত বাথরুমের দিকে গেলো।এখনো ফ্রেশ হওয়া হয়নি।মর্ম অপেক্ষা করতে লাগলো মিশুর জন্য।
মিশু বেড়িয়ে এসে দেখল মর্ম এখনো আছে।ও অবাক হয়ে বলল,যান নি?
– না,আমার এখন কোনো তাড়া নেই।সারাদিন শুধু বিছানায় শুয়ে থাকা।তাই ভাবলাম তোমার সাথে গল্প করি একটু।

এমন সময় হিমু নাস্তার প্লেট হাতে ঘরে ঢুকে মর্ম’র হাতে দিয়ে বেড়িয়ে গেলো।মর্ম মিশুকে বলল ওকে খাইয়ে দিতে।
মিশু কিছু একটা বলতে গিয়েও বললো না।ওর এখন এদের দুভাইয়ের প্রতি দরদ দেখানো মানা।আর ও অসুস্থ বলে বারবার মিশুকেই কেন খাইয়ে দিতে হবে? তবুও খাইয়ে দেয়া যেতো, কিন্তু সাফায়েত উল্লাহ সাহেব এসে দেখে ফেললে মিশুকে কি না কি ভাববেন।এমনি তেই মিশু ওনার দুই ছেলের মাথা খেয়ে বসে আছে! ও ঠাণ্ডা গলায় বলল,আমার হাতে আজ খুব ব্যথা।কাটা জায়গায় আঘাত পেয়ে রক্ত বের হয়েছিল।খাইয়ে দিতে পারবো না।
মর্ম অস্থির হয়ে বলল,সেকি! দেখি হাত টা।
মিশু হাত লুকিয়ে ফেলে বলল,আপনার খারাপ লাগবে।দেখতে হবেনা।
– হাতটা কিভাবে কাটলো বলোতো?
– বড় ভাইয়া কেটে দিয়েছে।
মর্ম একটু থ হয়ে গেলো।এটা কেমন জবাব! কেন যেন মনে হচ্ছে মিশু ওর উপর রেগে আছে।তাই এরকম আচরণ করছে।তবে কি প্রপোজ করাতে ও কষ্ট পেলো?
মর্মকে চিন্তিত দেখাচ্ছে।মিশু চুপচাপ বসে আছে বিছানায়।একটা কথাও বলছে না! মর্ম বুঝতে পারলো ও রাগ করেছে।তাই আর কিছু না বলে খাবারের প্লেট টা নিয়ে কোলের উপর রেখে নিজের হাতে খেতে আরম্ভ করলো।ব্যাপার টা খারাপ লাগলো মিশুর।তাই কিছু না ভেবেই উঠে এসে প্লেট টা তুলে নিলো। তারপর খাইয়ে দিতে লাগলো মর্মকে।
মর্ম অবাক হয়ে বলল,তোমার না হাতে ব্যথা?
– এমনি বলেছি।
– কেন?
– বেশি কাছে আসতে চাইনা বলে।
মর্ম মুচকি হাসলো।সেই হাসির অর্থ বুঝতে পারলো না মিশু।পুরোটা খাবার মর্মকে খাইয়ে দিলো ও।মর্ম’র কথায় নিজেও দুবার মুখে দিয়েছে।ও দ্রুত খাইয়ে দিয়ে মর্ম’র থেকে দূরে যেতে চাইছে।কাছাকাছি থাকা ঠিক হবেনা।যেকোনো একজন কে তো বেছে নিতে হবে।
ভাবতেই মিশুর মনটা কেমন যেন হয়ে গেলো!

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here