গল্পঃ হৃদয়ের বন্ধন।
পর্বঃ ৪৮‌।
লেখাঃ #মেহের।

এরমধ্যে অটির ভিতরে থেকে একজন নার্স এসে বলল,স্যার রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে,
রোগী যেনো কেমন করছে।

মারুফ নার্সের কথাটা শুনে জেসিকা বলে চিৎকার দিয়ে ফ্লোরে বসে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে আর বিরবির করে বলে, আমার দেখা স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেলো না তো!
আমি কেন ওকে দেখে রাখলাম না।
আজকে কেন থান কাপড় আনতে বড় বাজারে গেলাম?

নার্সের কথা শুনে জেসিকার বাবা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো।

কোনো মা বাবায় সন্তানের এমন খবর শুনে স্থির থাকতে পারে না।
জেসিকার বাবার বারবার একটা প্রশ্নই মনে জাগছে,
কেন সে মেয়েকে গতকাল নিজের সাথে করে না নিয়ে এখানে রেখে গেছে?
তার সাথে মেয়েকে বাসায় নিয়ে গেলে আজ এমন ঘটনা ঘটতো না।

জেসিকার বাবা মেয়ের এমন অবস্থা দেখেই ,হয়তো এটা ভুলে গেছে ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন।

এদিকে মারুফের বিরবির করে বলা কথা গুলো শুনে ও ওর অবস্থা দেখে মায়া বেগম ছেলের কাছে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে বলল,বাবা,তুই না সবসময় আল্লাহর উপড়ে বিশ্বাস রাখিস?
তাহলে আজ তর সে বিশ্বাস থেকে টলে যাচ্ছিস কেন?

তুই না সবসময় আমাদের সবাইকে বলিস আল্লাহ্ তার বান্দাদের বালা মুসিবত (বিপদ আপদ) দিয়ে ঈমানের পরীক্ষা করেন।
ধরে নে এটা তোর পরীক্ষা।
ভেঙ্গে পরলে চলবে না তোকে শক্ত হতে হবে বাবা ।

মায়া বেগম ছেলেকে কথাগুলো বলছে আর কান্না করছে।
মায়া বেগম ছেলেকে তো শক্ত হতে বললো কিন্তু ছেলের বৌয়ের এই অবস্থা দেখে নিজের মনকেই তো মানাতে পারছে না।

তাহলে তার ছেলে কিভাবে প্রিয়তমা স্ত্রীর এমন অবস্থা সহ্য করতে পারবে।

এদিকে মারুফ মায়ের কথা শুনে ফ্লোরে থেকে উঠে দাঁড়ালো।
আর মনে মনে বলল,হে আল্লাহ তুমি আমার জীবনে বেঁচে থাকার উৎস নিয়ে যেও না।
আমার স্ত্রী ও সন্তানদের সুস্থ্য করে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও।

কথাগুলো ভেবে তারপর কিছু একটা চিন্তা করে সেখান থেকে যেতে নিলো।

মারুফকে উঠে যেতে দেখে মায়া বেগম ছেলেকে পিছনে থেকে ডেকে বলল, কোথায় যাচ্ছিস বাবা?
মারুফ মায়ের কথা শুনে পিছনের দিকে ঘুরে দাড়ায়।

কিন্তু মায়ের কাছে না এসে ওখানে থেকেই বলল,মা তুমি ঠিক বলেছো।
এটা আমার জন্য পরীক্ষা।
তাই পরীক্ষার সময় না লিখে বসে থাকলে তো পাস করতে পারবো না।
আর আমি এটা কি করে ভুলে গেলাম বিপদে আপদে পরলে আরও বেশি আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে।
এখানে এভাবে বসে থাকলে তো চলবে না।
তার থেকে আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে দুই হাত তুলে ফরিয়াদ করি।
কারণ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ আমার বৌ ও সন্তানদের এমন অবস্থা থেকে হেফাজত ও সুস্থতা দান করতে পারবে না।

মায়া বেগম ছেলের কথা শুনে বলল, ও আচ্ছা মসজিদে যাচ্ছিস?

মারুফ মায়ের কথা শুনে বলল,মা আমি এখন মসজিদে যাচ্ছি না।
এই হসপিটালে নামায আদায় করার যে জায়গা আছে।
সেখানে যাচ্ছি।
কথাটা বলে মারুফ চলে যায়।

এদিকে রিফাত হসপিটালে এসেছে কিছুক্ষণ আগে।
এসেই ঝর্নার কাছে চলে গেল।
ঝর্নাকে ইনজেকশন দেওয়ার কারণে এখনো ঘুমাচ্ছে।
রিফাত ঝর্নার রুমে গিয়ে ওর মুখে গলায় কামড় খামচির দাগ দেখে দোলাকে বলল, আমার বৌয়ের এই অবস্থা কে করছে আম্মা তার নাম একবার বলেন, তাকে মরার ঘর দেখিয়ে আসি।

রিফাতের কথা শুনে রেশমা বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে এবং ঝর্না ও জেসিকার সাথে যা ঘটেছে রিফাতকে সব কিছু খুলে বলল ।

ঝর্নার কথা শেষ হওয়ার আগেই দোলা কেঁদে বলল,বাবা এখন আমার মেয়েটার কি হবে?
এই ঘটনার জন্য ওকে তুমি ছেড়ে দিবে না তো?

রিফাত দোলার কথা শুনে বলল,আম্মা ঝর্নাকে আমি ভালোবাসি।
তাই ওর এই অবস্থায় আমি ওকে ছেড়ে যাব তা ভাবলেন কি করে?
আমি ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।
ঝর্না আমার ভালোবাসা যারা আমার সে ভালোবাসার দিকে হাত বাড়িয়েছে ,তাদের সে হাত না কাটতে পারলে যে আমার শান্তি হবে না।
রিফাত কথাটা বলে ঝর্নার হাত ধরে বসে কাঁদছে।

দোলা রিফাতের কথা শুনে মনে মনে শান্তি পেয়েছে।
তার মেয়ে কপাল গুণে এমন স্বামী পেয়েছে।
আর তারা পেয়েছে ছেলের মত জামাই।

রাত প্রায় দশটা বাজে এখনো জেসিকার ব্যাপারে ডাঃ কোন আশস্থ্যজনক খবর দিতে পারছে না।

এদিকে বাচ্চাদের আইসিউতে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে রাখা হয়েছে।
৭২ ঘন্টা পার না হলে বাচ্চাদের বাঁচার ব্যপারে বলতে পারছে না।
ডাক্তারের ভাষ্যমতে , এমন রোগীদের বাঁচার আশা খুবই কম।
জেসিকার অবস্থা এই মুহূর্তে এতটাই নাজুক যে ঔষুধ, অক্সিজেন কোন কিছুই বডি নিতে চাচ্ছে না।
যখন তখন কিছু একটা ঘটে যেতে পারে।

এই খবরে জেসিকার বাবা মা মুশড়ে পরছেন ।
আর মারুফের মধ্যে ডাক্তারে কথা শুনে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা গেলো না।

মায়া বেগম ছেলের দিকে তাকিয়ে দেখলো, চোখগুলো লাল টকটকে হয়ে আছে।
চুল উষ্কসুষ্ক হয়ে গেছে কিছু ঘন্টার ব্যবধানে ছেলেকে তার চিন্তে কষ্ট হচ্ছে।
ডাঃ কথা বলবে তাই ইসহাককে দিয়ে মারুফকে ডেকে এনেছে।

ইসহাক মারুফের কাছে থেকে এসে মায়াকে বলল , ভাবী আমি কাউকে স্ত্রীর জন্য এভাবে দুহাত তুলে কাঁদতে দেখেছি মনে পড়ছে না।
আমাদের মারুফ বৌমার জন্য যেমন করছে তা দেখে আমার ছেলেটার জন্য কষ্ট হচ্ছে ভাবী।

মায়া বেগম ইসহাকের কথা শুনে বলল,ভাই দোয়া করো আল্লাহ রহমতে মারুফের কাছে যেনো ওর বৌ ও বাচ্চারা সুস্থ্য হয়ে ফিরে আসে।

ইসহাকের সাথে কথা শেষ হতেই দেখে মারুফ আইসিউর সামনে এসে দাঁড়িছে।

ডাঃ যখন কথা বলছিল মায়া বেগম সেখানেই ছিল।
মায়া বেগম ডাক্তারের কথা শুনে সাথে সাথে ছেলের দিকে তাকিয়ে ছেলেকে নীরব দেখে বলল, ওদিকে চল বাবা একটু বসি।

মারুফ মায়ের কথা শুনে তার মা’কে বললো,মা আমি ঠিক আছি তুমি চিন্তা করো না।
তাদের কথায় কিছুই হবে না।
আমার আল্লাহ্ যদি সহায় হোন তাহলে আমার বৌ ও সন্তানেরা সুস্থ্য হয়ে আবার আমার বুকে ফিরে আসবে।
মা তুমি যাও একটু বিশ্রাম নেও তা নাহলে প্রেশার বেড়ে যাবে।
সবচেয়ে ভালো হয় তুমি আম্মুর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লে।
মারুফ তার মাকে কথাটা বলে, আবার নামাযের জায়গায় চলে গেল।

মায়া বেগম ছেলের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল, আল্লাহ শুনেছি মায়ের দোয়া নাকি বিফলে যায় না।

যে ছেলে এমন অবস্থায়ও মায়ের শরীরের দিকে নজর রাখে।
আমার সে ছেলের বুকে তার স্ত্রী সন্তানদের ফিরিয়ে দাও।
ওদের সুস্থ্য করে দাও।

১৫ দিন পর।
মারুফ প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে তেমন কথা বলে না।
আগের মারুফ আর এই মারুফের বিস্তর ফারাক।

রাতে ঠিক মত না ঘুমানোর জন্য মারুফের চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে।
মুখ শুকিয়ে ছোট হয়ে গেছে।

আজ চৌদ্দ দিন হয়েছে মারুফের ঠিক মত খাওয়া দাওয়া নেয়।
তারমধ্যে আজকে এক সপ্তাহ ধরে মারুফ প্রতিদিন রোজা রাখছে।
আগে মারুফ দোকানে থেকে এসেই মা এবং দাদুর সাথে দেখা করতো তাদের শরীরের খোঁজ খবর নিতো।
আর এখন এসেই নিজের রুমে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে।
দাদুর সাথে দেখা হলেও তার দাদু তাকে দশটি প্রশ্ন করলে একটার উঃ তার থেকে মিলে।

মারুফ তার চাচ্চু,চাচী ঝর্না ও রেশমার সঙ্গে সেদিনের পরে থেকে আর কথা বলে না।

এদিকে সেদিনের পরের দিন ঝর্নার জ্ঞান ফিরলে পুলিশ এসে ঝর্নার সাথে দেখা করে।
পুলিশ ঝর্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তার সাথে যে এমন জঘন্য কাজ করছে তাদের চেনে কিনা।
ঝর্নার জ্ঞান ফিরেছে ঠিকই কিন্তু কোন পুরুষ মানুষকে দেখলেই ভয় পাচ্ছে।
তাই পুলিশকে দেখেই ঘাবড়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে।

পুলিশ ঝর্নার কেবিনে থেকে বাহিরে আসে।
কেবিনের বাহিরে এসে রিফাতকে কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করে সে রোগীর কী হয়?

পুলিশের প্রশ্ন শুনে রিফাত ঘাবড়ে যায়।

এদিকে উকিল সাহেব তার স্ত্রীর সাথে কথা বলে কেবিনে থেকে বাহিরে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে রিফাতকে বললো, এই রিফাত তুমি ঘটনার সময় কোথায় ছিলে ?
আর ওদের হসপিটালে আনার পরেও দেখলাম না কেন?

উকিল সাহেব এমনি এমনি কথা বলার মানুষ না।
আর যেখানে তার মেয়ের বাঁচা মরার অবস্থা।
জেসিকার বাবার মনে হচ্ছে রিফাত এসবের সাথে কোথাও না কোথাও জরিতো আছে।
জেসিকার বাবা মেয়েকে এই অবস্থায় রেখে অপরাধীদের খুঁজতে পারছে না।
যারা তা একমাত্র মেয়েকে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড় করিয়েছে তাদের সে খুঁজে বের করবে।
তারজন্য কিছুটা সময় লাগবে তাই জেসিকার বাবা চাচ্ছে তার কথা শুনে পুলিশ রিফাতকে সন্দেহ করে নজরে রাখুক।

উকিল সাহেবের প্রশ্ন শুনে পুলিশ রিফাতকে বলল,কি ব্যাপার আপনি ভয় পাচ্ছেন কেন?
পুলিশকে তো ভয় পায় একমাত্র অপরাধীরা।

দোলা ও ইসহাক দোকানের ব্যপারে রিফাতের সাথে কথা বলতে বাহিরে এসেই পুলিশের প্রশ্ন শুনে দোলা বলে উঠল,ও আমাদের মেয়ের জামাই।

পুলিশ দোলার কথা শুনে বলল,ওনি রোগীর কী হয়?

রিফাত পুলিশের কথা শুনে বলল,জী আমি ঝর্নার স্বামী মানে রোগীর স্বামী।

পুলিশ রিফাতকে প্রশ্ন করলো, উকিল সাহেব বলল, আপনি ঘটনায় দিন বাসায় ছিলেন না ।ইনফ্যক্ট এখানেও নাকি দেরিতে এসেছেন স্ত্রীকে দেখতে?

পুলিশের প্রশ্ন শুনে দোলা ক্ষেপে বলে,আমার তো মনে হয় আমার মেয়ের এই অবস্থার জন্য ঐ লোকটাই দায়ী।
তাই আমাদের ছেলে সমতুল্য জামাইকে ফাঁসাতে চাচ্ছে।

আন শুনুন ইন্সপেক্টর সাহেব, আমাদের মেয়ের জামাই আমাদের একটা জরুরী কাজের জন্য যেতে হয়েছিল তাই আসতে দেরি হয়েছে।

দোলা আরও বলল, আপনারা পুলিশ।
তাই কাকে সন্দেহ করা উচিত তা ভালো করেই জানেন।
অন্যের কথা শুনে কোন নিরিহ মানুষকে সন্দেহ করা ঠিক নয়।
চাঁদনী বানুও সেদিন রিফাতে হয়ে কথা বলে।
রিফাত তার নাতনিকে কতটা ভালবাসে তাও পুলিশকে জানায়।

ইন্সপেক্টর সাহেব দোলার কথা শুনে উকিল সাহেবকে বলল, দেখুন রোগীর মায়ের কথায় মনে হচ্ছে আপনি এসবের মধ্যে জরিত আছেন।
আমাদের হাতে এখন প্রমাণ নেই তাই ধরতে পারছি না।
কিন্তু আপনাকে আমরা এক বার শুধু প্রমাণসহ পায় তারপর দেখবেন আইনের লোক হয় আইন নিয়ে খেলার শাস্তি।

জেসিকার বাবা বলল, মানুষের কথায় সত্যি আপনারা আসল অপরাধীদের খুঁজতে গিয়ে না ধরতে পেরে নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসিয়ে দেন।
কিন্তু সবাইকে এক পাল্লায় মাপতে আসবেন না।
আমার মেয়েকে নিয়ে ব্যস্ত আছি নাহলে আপনাকে আপনার কথার জবাব দিয়ে দিতাম।

কথাটা শুনে ইন্সপেক্টর সাহেব চলে যায়।

সেদিন ইন্সপেক্টর সাহেব যাওয়ার পর ইসহাক তার দোকানের ক্যাশের চাবি রিফাতের কাছে দেয়।

ইসহাক ক্যাশের চাবি রিফাতকে বলল,ক্যাশে দুই লাখ টাকা আছে আর বিকালে একজন আরও এক লাখ দিবে তা যেনো ওর কাছে রাখে।
এগুলো কাপড়ের দোকানের মহাজনদের দিতে হবে।

সেদিন রিফাত হসপিটালে থেকে আসার আগে দোলা ও ইসহাককে বলে কালকে তাকে ফালু ভাইয়ের কাছে যেতে হবে।
ব্যাবসা নিয়ে আলোচনা করতে কারণ বিপদের সময় টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলায় পব়তে চাচ্ছে না ‌।
তাই একবারে ভালোভাবে আলোচনা করে আসব।
আম্মা আমার আসতে অনেক রাত হতে পারে।
তাই হসপিটাল মনে হয় না আসতে পারবে ।
দোলা ও ইসহাকের সাথে সেদিনই শেষ কথা হয় রিফাতের।

অন্যদিকে ঝর্নার অবস্থা দেখে ও শারীরিক দিক চিন্তা করে সেদিন পুলিশ চলে যায় ঠিকই।
কিন্তু তার দুইদিন পর আবার আসে।

অবশ্য সেদিন তাদের সাথে একজন মহিলা পুলিশ স্টাফকে নিয়ে আসে।
মহিলা পুলিশ ঝর্নার সাথে অনেকক্ষণ কথা বলে।
ঝর্নার শরীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।

ঝর্না মহিলা পুলিশকে জানায় তার সাথে জোরজবরদস্তি করার এক সময়ে লোকটার মুখোশ খুলে যায়।
তখন সে দেখে লোকটি তার স্বামীর বন্ধু রনি।
রনিকে দেখার পরেই রনি তাকে মাথায় আঘাত করে তারপর আর কিছু মনে নেয়।

কথাটা শুনে পুলিশ রিফাতের সাথে দেখা করতে চান।

ঝর্না ও রেশমার কাছে থেকে রিফাতের সব ইনফরমেশন নেয়।
রিফাতের কাছে থেকে তার বন্ধুদের খোঁজ খবর জানতে।
পুলিশ রিফাতের সাথে যোগাযোগ করতে চায়।

কিন্তু সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না।
তাইতো পুলিশ ও মারুফের পরিবারের কিছু মানুষের কারনে রিফাত ততদিনে সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়।

রিফাত সেদিন হসপিটালে থেকে এসেই দোকানে রায়।
সেখানে ক্যাশে থেকে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।

দোলা সব জানার পরেও তার মন রিফাতকে সন্দেহ করতে দিচ্ছে না।

কিন্তু দোলার যে বড়লোক হওয়ার স্বাদ তাকে পথের ভিখারি করে ছেড়েছে তা এখনও বুঝতে পারছে না।
তার ধারণা তার ছেলে সমতুল্য মেয়ের জামাই ফিরে আসবে।

এদিকে মারুফ মনে করে রিফাত এসব করতে সাহস পেয়েছে চাঁদনী বানু আর তার ছোট ছেলের পরিবারের জন্য।

চাঁদনী বানু ইচ্ছে করলেই ছেলে ও ছেলের বৌকে টাইট দিয়ে নিজের হাতে দায়িত্ব রাখতে পারতো।
সব সময় তো তার মা’কে টাইট দিয়েছে যেখানে তার মাকে টাইট দেওয়ার দরকার ছিলো না।
জেসিকাকে পর্যন্ত ছাড় দেয়নি চাঁদনী বানু ।
কিন্তু ছোট ছেলে ও বৌয়ের বেলায় তার শক্ত দিক মারুফ কখনো দেখেনি।
এদিকে মারুফের শ্বশুর লোক লাগিয়ে খোঁজ পেয়েছে রিফাত ও ওর বন্ধু ভারত চলে গেছে ঘটনার একদিন পরেই।
আরো জানতে পেরেছে ,ডাকাতি করা ও ঝর্নাকে রেপ করা রিফাতের প্লান ছিল আগে থেকেই।
কিন্তু চাচী নাকি সব সময় রিফাতের সামনেই বলতো এই মেয়েটাকে শায়েস্তা করতে পারলে তার পরান জুরাইতো আবার মারুফ ওর বন্ধুদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করেছে চাচীর ইচ্ছে পূরণ করতে এবং মারুফের প্রতি সেই রাগও ছিল
তাই রিফাত প্লান করছে জেসিকা ও ঝর্নাকে এক অবস্থা যেনো করা হয়।
উকিল সাহেবের তৎপরতায় ওদের একজন সহযোগীকে ধরতে পেরেছে।

সেদিনেই জেসিকার বাবা দোলাকে রিফাতের কুকর্মের কথা ফাঁস করলেও দোলা রিফাতের বন্ধুদের দোষ দিয়ে রিফাতের গুণগান গেয়ে যাচ্ছিল।
তার ধারণা জেসিকার বাবার জন্য রিফাত আসতে পারছে না।

কিন্তু দোলা কি এখনও বুঝতে পারছে তার জন্য সামনে কি অপেক্ষা করছে!

মারুফের ইচ্ছে করে না এই লোকগুলোর সাথে কোন কথা বলতে।
যাদের জন্য ওর স্ত্রী ও সন্তানরা ওর কাছে নে

বিঃদ্রঃ আমার লেখা যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে লাইক ও কমেন্ট করে পাশে থাকবেন।
আর লেখায় ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here