গল্পঃ হৃদয়ের বন্ধন।
পর্বঃ ৪৪
লেখাঃ#মেহের।
মারুফ আগে থেকেই জানে এই ছেলে ভালো না।
আর ওর বন্ধুরা তো ওর মতোই হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
ওরা কোমলের কোন ক্ষতি করে দিবে না তো?
এসব ভেবে মারুফ ঝটপট একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
মারুফের রাশেদকে বলল,শুন ছোট তুই সবসময় ছুটকিকে কলেজে দিয়ে আসবি আর কলেজে ছুটি শেষে বাসায় দিয়ে যাবি।
কখনো যদি তোর ভার্সিটিতে কাজ পরে যায় ছুটকিকে বাসায় দিয়ে যেতে না পারিস তাহলে আমায় বলবি ।
সেদিন আমি ওকে নিয়ে আসবো।
রাশেদ মারুফের কথা শুনে বলল,ঠিক আছে ভাইয়া।
কিন্তু ভাবীকে ?
মারুফ রাশেদকে থামিয়ে বলল,তোর ভাবীকে এখন তো কোনমতেই ভার্সিটিতে যেতে দেওয়া যাবে না।
তাছাড়া জয়া তো ওদের ক্লাসে প্রফেসর যেই টপিকে আলোচনা করে তা ফটোকপি করে সে টপিকের সিট বাসায় দিয়ে যায়।
আর বাসায় দাদু ও মা থাকবে তাই আল্লাহর রহমতে কোন সমস্যা হবে না।
তারপরও বাসায় কোনো সমস্যা দেখলেই সাথে সাথে আমাকে তারা ফোন দিবে।
মারুফের কথা শুনে চাঁদনী বানু বলল,দাদু ভাই চিন্তা করো না রিফাতের বন্ধুরা বাসায় আসলে ঝাটার বারি দিয়ে বিদায় করতে এই চাঁদনী বানু একাই যথেষ্ট।
রাশেদ দাদুর কথা শুনে বলল,এই না হলে তুমি আমার বৌ।
চাঁদনী বানু রাশেদের কথা শুনে খুশি হয়েছে।
তার ছোট নাতি কতদিন পরে তার সাথে কথা বলছে।
তাকে বৌ বলে ডেকেছে।
তার স্বার্থপরতার জন্য রাশেদ তার সাথে কথা বলা বন্ধ করেছিলো।
কিন্তু এই মূহুর্তে সব ভুলে আবার কথা বলেছে।
এটা যে তার পরম পাওয়া।
আর এতো কিছুর পরেও মারুফ তার উপরে ভরসা করছে চাঁদনী বানু এতেই খুশি।
কথাবার্তা শেষ হলে মারুফ ওখানে থেকে জেসিকাকে রুমে নিয়ে গেল।
মারুফ দোকানে যাওয়ার আগে জেসিকার কপালে, গালে ও ঠোঁটে উষ্ণ স্পর্শ দিয়ে বলল, সোনা নিজের খেয়াল রেখো।
কথাটা বলে মারুফ জেসিকার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় থেকে বের হবে এমন সময় ঝর্না মারুফের সামনে এসে বলল, ভাইয়া রিফাতের সাথে এভাবে কথা বলা তোমার ঠিক হয়নি।
খারাপ হলেও সে এ বাড়ির জামাই।
মারুফ ঝর্নার দিকে তাকিয়ে বলল, আজকাল দেখছি আমাকে তোর কাছে থেকে কথা বলা শিখতে হবে!
ঝর্না মারুফের কথা শুনে বলল, ভাইয়া আমি এভাবে বলিনি।
মারুফ ঝর্নাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, কিভাবে বলছিস তা আমায় বলতে হবে না।
শুধু একটা কথা তোর জামাইকে মনে রাখতে বলিস,এটা বাড়ি কোন হোটেল না যে যাকে তাকে নিয়ে আসবে।
মারুফ ঝর্নাকে কথাটা বলে দোকানে চলে গেল।
একমাস পর
সেদিনের পর থেকে মারুফের ধমক খেয়ে রিফাত তার বন্ধুদের আর এই বাড়িতে নিয়ে আসেনি।
তবে রিফাত মাঝে মাঝেই ওর বন্ধুদের সাথে দেখা করতে চলে যায়।
ঝর্না আজকাল বুঝতে পারছে সে ভুল মানুষকে ভালোবেসেছে।
রিফাতের ভিতরে অনেক লোভ কাজ করে তা এখন সে বুঝতে পারছে।
রিফাতের ফোনে আজকাল বাহিরের মেয়েদের ফোন আসে।
রিফাত তাদের সাথে হেসে হেসে কথা তখন ঝর্নার কষ্ট হয়।
তা রিফাত বুঝতে চেষ্টা করে না।
রিফাত ঝর্নাকে কথায় কথায় ধমকে উঠে।
কখনো থাপ্পর মারে এসব কথা দোলা বা রেশমাকে বললে কেউ বিশ্বাস করে না।
কারণ রিফাত মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তাদের পটিয়ে ফেলছে।
দোলা ঝর্নার কথা শুনে তাকেই বকে ।
তার ভাষ্যমতে ঝর্না এতো ভালো জামাই পেয়েও তাকে বুঝতে তো পারেই না।
উল্টো তার সাথে খারাপ আচরণ করেছে।
সেজন্য দোলা মেয়েকে কয়েকবার শাসন করেছে।
এদিকে জেসিকা মারুফের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে।
মারুফ জেসিকার চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে আর জেসিকার সাথে কথা বলছে।
বৌ শ্বশুর আব্বু তোমাকে এই সপ্তাহের মধ্যে তোমাদের বাসায় নিতে চাচ্ছে।
মারুফের কথা শুনে জেসিকা বললো, আমি কোমল, রাশেদ আর মাকে ছাড়া যাবো না।
মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল, ওহ্ তাই বুঝি, আমি নাহলেও তোমার চলবে কিন্তু তাদের ছাড়া হবে না।
তাই তাদের তোমার সাথে যাওয়া লাগবে?
মারুফের কথা শুনে জেসিকা মারুফের বুকে কামড় বসিয়ে দিল।
আহ্ এই বৌ আমি ব্যথা পেয়েছি তো।
তুমি রাক্ষসী হয়ে গেছো নাকি?
মারুফের কথা জেসিকা বললো,ব্যথা পেয়েছো বেশ হয়েছে।
এমন কথা বললে ব্যথা তো পেতেই হবে।
তুমি হচ্ছো আমার জীবন, তোমাকে ছাড়া আমি যে অচল তা বুঝেও দুষ্টুমি করে এমন কথা বললে কেন!
মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল,বৌ আমাকে কামড়ে এইবার আমার বাচ্চাদের জন্য তুমি বেঁচে গেছো।
নাহলে আজকে কার দাঁতে কত ধার তা প্রমাণসহ বুঝিয়ে দিতাম।
জেসিকা মারুফের কথা শুনে, মুচকি হেসে মারুফের বুকে যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে আলতো করে চুমু দিল।
তা দেখে মারুফও মুচকি হেসে জেসিকার দিকে তাকিয়ে বলল, কামড় থেকে যদি ভালো কিছু হয় তো কামড়েই ভালো।
জেসিকা মারুফের কথা শুনে বললো ,তাই বুঝি তাহলে আসো আরও কামড়ে দেয়।
মারুফ হেসে বলল, পাগল নাকি?
জেসিকা মারুফের কথা শুনে হেসে বলল, আমার বরটা ভয় পাচ্ছে বুঝি।
মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলে ,কে ভয় পায় দেখাচ্ছি দাঁড়াও, কথাটা বলে মারুফ ধীরে ধীরে জেসিকাকে বিছানায় শুইয়ে দিল।
তারপর জেসিকার গলায় ঘাড়ে চুমু খাচ্ছে আর নাক দিয়ে ঘষাঘষি করছে।
জেসিকা হঠাৎ মারুফের আক্রমণে দিশেহারা বোধ করছে।
ওর শরীরের প্রতিটি শিরায় শিরায় শিহরণ খেলে যাচ্ছে।
মারুফের আদরকে জেসিকার উপেক্ষা করার ক্ষমতা নেয়। কারণ মারুফের ছোঁয়া পেলে ওর মন তার শরীরের সকল অসুস্থ্যতা ভুলে আরও গভীর ভাবে পেতে চঞ্চল হয়ে ওঠে।
মারুফ ভেবেছিল জেসিকা যেহুতু অসুস্থ্য তাই সে ওর কাছে গেলে শরীর আরও অসুস্থ্য হওয়ার ভয় পেয়ে ওকে বাঁধা দিবে ।
কিন্তু মারুফ কিছুক্ষণের জন্য এটা ভুলে গেছে শত কষ্টেও জেসিকা কখনো ওর ছোঁয়া উপেক্ষা করতে পারে না।
মারুফ ভেবে পাচ্ছে কেনো সে অবুঝের মতো কান্ড ঘটিয়ে বৌটাকে এই সময়ে অস্থির করে তুলেছে।
কথাটা ভেবেই মারুফ জেসিকার কাছে থেকে সরে যেতে নেয়।
কিন্তু পারে না জেসিকা মারুফকে আঁকড়ে ধরছে।
যেনো হারিয়ে যেতে না পারে।
মারুফ জেসিকার দিকে তাকিয়ে দেখে জেসিকা ঘনঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
মারুফ জেসিকার অবস্থা দেখে বুঝতে পারল জেসিকার সাথে দুষ্টুমি করতে এবং ভয় দেখাতে গিয়ে ওর অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মারুফ এসব ভেবে জেসিকার মুখে দিকে তাকিয়ে দেখে জেসিকা চোখ বুজে আছে গোলাপী ঠোঁট জোড়া শুষ্ক লাগছে ।
মারুফ মুচকি হেসে জেসিকার ঠোঁটের দিকে এক পলক তাকিয়ে ঝট করে ঠোঁটে দখল করে নেয়।
মারুফ মনে হয় জেসিকার সব অস্থিরতা একটু একটু করে নিমেষেই শুষে নিচ্ছে।
মারুফের উষ্ণ স্পর্শ পেয়ে জেসিকা কিছুটা শান্ত হয়।
মারুফ জেসিকাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল,সরি সোনা এই সময়ে তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।
জেসিকা মারুফের কথা শুনে লজ্জায় মারুফের বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলল।
আর মনে মনে বলল, ছিঃ ছিঃ আমি দিন দিন এমন নির্লজ্জ হলাম কবে থেকে?
ইস্ মারুফ আমার সম্পর্কে না জানি কি ভাবছে?
জেসিকা এসব চিন্তা করছিলো।
তারমধ্যে মারুফ বলে উঠল,শুনো বৌ স্বামীর ভালোবাসা চাওয়ার মধ্যে নির্লজ্জের কিছু নেই।
এটা তোমার অধিকার।
আমার যেমন তোমাকে একান্তে কাছে পাওয়ার প্রতি অধিকার আছে ।
তেমন তোমারও আছে।
মারুফের কথা শুনে জেসিকা মনে মনে বলল, আচ্ছা মা্রুফ মনের কথা পড়া শিখলো কিভাবে?
সে সময়ে মারুফ জেসিকার দিকে তাকিয়ে বলল,বৌ তোমার আমার মন এক সুতোয় বাঁধা।
তাই তোমার মনে কি চলছে তা আমার বুঝতে হলে কোথাও থেকে শিখতে হবে না।
জেসিকা মারুফের কথা শুনে হম বলল।
মারুফ জেসিকার দিকে খেয়াল করে দেখ জেসিকা বারবার পা নাড়াচাড়া করছে।
তা দেখে মারুফ বলল,বৌ পা কি ব্যথা করছে?
জেসিকা মারুফের কথা শুনে চমকে বলল,না তো!
মারুফ জেসিকার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, তুমি
মিথ্যা বলছো কেন?
মারুফের চোখে মুখে রাগ দেখে জেসিকা আমতা আমতা করে বলে, আসলে ব্যাথা তেমন করছে না।
কিন্তু পা ভীষণ চাবাচ্ছে ।
মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল, তুমি একটু থাকো আমি আসছি।
মারুফ কথাটা বলে রুমের বাহিরে চলে গেল।
মারুফ ঠিক তার দশ মিনিট পর হাতে হটপট ব্যাগ নিয়ে রুমে আসলো।
রুমে এসে জেসিকার পায়ের কাছে বসে পায়ে হাত দিল।
জেসিকা পায়ে মারুফের ছোঁয়া পেয়ে দ্রুত পা সরিয়ে নিয়ে বলল,এই তুমি কি করছো?
আমার পায়ে হাত দিচ্ছ কেনো?
মারুফ জেসিকার পা নিজের কোলের মধ্যে নিয়ে বলল,বৌ আমার জানা মতে তোমার শরীরের সবকিছু আমার এখানে তোমার বলতে কিছু নেই।
তাই আরেকটি যদি তুমি বার পা সরিয়ে নিয়েছো না তা হলে খবর আছে।
কথাটা বলে মারুফ জেসিকার ওর পায়ের হাঁটু থেকে গোড়ালী পর্যন্ত হটপট ব্যাগটা হালকা করে বারবার চেপে ধরলো।
জেসিকার কাছে এতক্ষণ ব্যাথাটা অসহ্য লাগছিলো।
কিন্তু মারুফ সেঁকে দেওয়াতে এখন বেশ আরাম পাচ্ছে।
জেসিকার মাঝে মাঝে মনে হয় ওর শরীর কখন কি অবস্থা তা মারুফ ওর থেকেও ভালো বুঝতে পারে।
এসব ভাবতে ভাবতে আর পায়ে গরম সেঁকে দেওয়াতে আরাম পেয়ে জেসিকা একসময় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
মারুফ জেসিকার দিকে তাকিয়ে দেখে তার বৌটা ঘুমিয়ে গেছে।
মারুফ জেসিকাকে ঘুমে দেখে জেসিকার পাশে এসে শুয়ে পড়লো।
এদিকে ঝর্নার রুমে দোলা, রেশমা ও রিফাত আলোচনা করতে বসেছে।
রিফাত দোলাকে বলল,আম্মা এই সপ্তাহের মধ্যে ফালু ভাইকে টাকা না দিলে আপনাকে ও আমাকে তার গেঞ্জির কাপড়ের ব্যাবসায় নিবে না।
আপনাকে তো বলছিই এ ব্যাবসায় টাকা থাকলে কোটিপতি হয়তে সময় লাগে না।
রিফাতের কথা শুনে দোলা বলল,তাতো অবশ্যই জামাই।
রিফাত শ্বাশুড়ীকে বলছে, এখন মনে হচ্ছে টাকার জন্য ব্যাবসাটা হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে
।
রিফাতের কথা শুনে দোলা বলল,আরে জামাই তুমি অযথায় চিন্তা করছো।
তোমার কথা মতই তো তোমার শ্বশুরকে চাপ দিয়েই সব জায়গায় জমি বিক্রি করাচ্ছি।
রেশমা বলল, রিফাত এটায় কিন্তু আমারেও ভাগ দিতে হবে।
রিফাত হেসে বলল,আপা আপনি তো অবশ্যই ভাগ পাবেন।
আর আম্মা একবার টাকা হয়লো এইসব জায়গায় জমি কিনতে সময় লাগবে না।
দোলা রিফাতের কথা শুনে বলল,ঠিক কথাই বলছো বাবা।
রিফাত কথাটি শাশুড়ির মোবাইল শুনে বলল,আম্মা আপনি আমারে কতটা ভরসা করেন।
কিন্তু আপনার ছোট মেয়ে আমারে ভরসা করা তো দূরের কথা শুনতেই চায় না।
দোলা রিফাতের কথা শুনে বলল,বাবা ও ছোট মানুষ ভালো মন্দের কি বুঝে।
ওর কথায় কিছু মনে কযরো না।
রিফাত হেসে বলল,হ আম্মা আমিও ওর কথায় কিছু মনে করিনি।
রেশমা ও দোলা বলল,রিফাতকে কোনো চিন্তা ভাবনা করতে হবে না।
কালকে মারুফের কাছে জমির টাকা নিবো।
ওদের কথা বার্তা শেষে যে যার রুমে ঘুমাতে গেল।
পরের দিন সকালে
মারুফ নাস্তা শেষে দোকানে যাবে সে সময়ে ইসহাক ডেকে বলল, মারুফ বাবা আমার আজকের মধ্যে টাকা লাগবে।
মারুফ ওর চাচ্চুর কথা শুনে বলল,চাচ্চু আজকে তো টাকাটা দিতে পারছি না।
আর জেসিকার বাবাকেও তো ফোন করে টাকার কথা জানাতে হবে।
তাই কালকে দিয়ে দিবো ইনশাল্লাহ।
মারুফের কথা শুনে চাচ্চু ঠিক আছে বলল।
এরমধ্যে দোলা বলে,শুনো বাপু কালকে যেনো পরশু না হয়ে যায়।
কথাটা বলে দোলা বিরবি করে বলল, ওনাকে বারবার বলেছি অপরিচিত কারও কাছে এগুলো বিক্রি করলে তাহলে ভালো দামো পাওয়া যেতো আর নগদ টাকা।
মারুফ দোলার বিরবির কথা শুনে বলল,চাচী আপনি চিন্তা করবেন না।
যে করেই হোক আগামী কালকে আমি বেঁচে থাকলে অবশ্যই আপনি টাকা পাবেন।
এটুকু ভরষা তো করতেই হবে চাচী।
মারুফ মনে মনে বলল, একদিনের মধ্যে এতগুলো টাকা,,,,
বিঃদ্রঃ আমার লেখা যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে লাইক ও কমেন্ট করে পাশে থাকবেন।
আর লেখায় ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।