গল্পঃ হৃদয়ের বন্ধন।
পর্বঃ ৩৬।
লেখাঃ #মেহের।

মারুফ মনোযোগ দিয়ে সবার কথা শুনে জেসিকার দিকে তাকিয়ে বলল, আমি সবাইকে কিছু বলতে চায় যেহুতু সবার মনে হচ্ছে জেসিকা ভুল করেছে অন্যায় করেছে সেজন্য আমি আমার বৌয়ের হয়ে সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

ইসহাক মারুফের কথা শুনে বলল,এই মেয়ের জন্য তুই কেন ক্ষমা চাচ্ছিস!

ইসহাকের কথা শুনে দোলা বলে উঠল,আরে এখনো বুঝতে পারছ না!
মারুফের কাছে এই মেয়েটায় আপন আমরা সবাই পর।

মারুফ ওঁর চাচ্চু ও চাচীর কথা শুনে বলল, তোমরা
জেসিকাকে বারবার এই মেয়ে বলছো কেন?
সে আমার স্ত্রী এবং এই বাড়ির বৌ।
আর তাকে তো তোমরাই আমার জন্য পছন্দ করে এনেছো।

ইসহাক মারুফের কথা শুনে বলল, ভুল করেছি বাবা এই মেয়েকে তোর বৌ করে এনে।
এর থেকে আলো মেয়েটা বেশ ভালো ছিলো।

ইসহাকের মুখে এমন কথা শুনে মারুফ বলল, বাহ্ চাচ্চু এতো যলদি ভুলে গেছ আলোর জন্য দাদু মরতে বসেছিলো আর তুমি কিনা ঐ বদ মেয়ের সাথে আমার বৌয়ের তুলনা দিচ্ছো!

চাচ্চু জেসিকা কোন ফেরেশতা না তাই ওঁর ভুল হতেই পারে।
কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাকে বের করে দিতে হবে।
বা তাকে মারধর করা লাগবে!
বিশেষ করে তোমাদের এটা বোঝা উচিত জেসিকা কোনো কাজের মেয়ে না সে তোমাদের ছেলের বৌ।

জেসিকা মারুফকে ওঁর জন্য প্রতিবাদ করতে দেখে চোখে পানি চলে এসেছে।
যে ছেলের জীবন জুড়েই রয়েছে তার পরিবারের সবাই।
সে কিনা ওঁর জন্য পরিবারের সদস্যদের কথার প্রতিবাদ করছে।
তার মানে মারুফ ওকেও তার পরিবার ভাবে।
এতদিন জেসিকা ভেবেছে একসাথে থাকতে থাকতে হয়তো মারুফের মনে ওঁর জন্য দূর্বলতা তৈরি হয়েছে।
আর মারুফ সে দূর্বলতাকে ভালোবাসা ভাবছে।
কিন্তু না মারুফ ওকে সত্যিই ভালোবাসে তাই তো
জেসিকাকে নিজের কাছে রাখতে ওঁর হয়ে সবার কাছে মাফ চাচ্ছে।
সবাই যেখানে বলছে জেসিকা অন্যায় করেছে ।
তা যেনে এখনও ওঁর হয়ে প্রতিবাদ করছে।
এসব দেখে জেসিকা মনে মনে বলল, মারুফ তোমার জন্য হাসি মুখে আমি নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।
তোমাকে পেয়ে আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে।
তাই এই জীবনে আর কিছুই চায় না।
চাচী শাশুড়ির কথায় জেসিকা ধ্যান ভঙ্গ হয়।

দোলা মারুফকে কথা শুনে শাশুড়িকে বলল,আম্মা শুনছেন আপনার নাতির কথা!
সে আমাদের কথা শুনাচ্ছে এই মেয়ের জন্য।
তারপরও যদি আপনি মারুফের বৌকে বাড়ি থেকে বের না করেন,
তাহলে তো আর আমাদের একসাথে থাকা সম্ভব না।

দোলার বড় মেয়ে বলল, দাদু মা ঠিক বলেছ।
জেসিকার সাথে আমাদের একসাথে থাকা সম্ভব না।

চাঁদনী বানু বলল, ছোট বৌমা তোমার থেকে আমাকে জানতে হবে না আমি কি করবো!
তাই তুমি চুপ করে বসে থাকো।

চাঁদনী বানু মারুফকে বলল, দাদু ভাই জেসিকাকে এ বাড়িতে থাকতে দিতে ওরা রাজি না।
এই বিষয়ে তোমার কি মতামত তা বলো?

মারুফ তার দাদুর কথা শুনে বলল, আমার বৌকে নিয়ে সবার সমস্যা হলে তাকে নিয়ে এ বাড়িতে থেকে আমি চলে যেতে পারি এছাড়া আমার কিছু করার নেই।
কথাটা বলে মারুফ ওঁর মা’কে জিজ্ঞেস করে,মা তোমাদের তিন জনেরও কী ওকে নিয়ে সমস্যা আছে?

মারুফের কথা শুনে মায়া বেগম বললেন,না , বৌমাকে নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই।

মায়ের কথা শুনে মারুফ ওঁর ভাই বোনের দিকে তাকায়।
রাশেদ ও কোমল ভাইকে তাকাতে দেখে ওরা দুজনে মারুফের দিকে তাকিয়ে বলল, ভাইয়া আমাদেরও ভাবীকে নিয়ে সমস্যা নেই।

এবার মারুফ তার দাদুর কাছে একেই প্রশ্ন করে?
চাঁদনী বানু বলে, জেসিকা নিয়ে আমার সমস্যা আছে।
ওঁর নির্বুদ্ধিতার জন্য ঝর্না কোন বিপদে পরেছে কে জানে?
দাদু ভাই আজকে তোমার বৌয়ের জন্য আমরা এতটা অসহায় যে বাড়ির সম্মানের কথা ভেবে ঝর্নার খোঁজ নিতে পুলিশের কাছেও যেতে পারব না।
কিন্তু জেসিকা যদি আমাদের আগেই সব বলতো তাহলে এতো অসহায় অবস্থায় আমাদের পরতে হতো না।

মারুফ ওঁর দাদুকে বলল, দাদু তোমার যেহেতু ওকে নিয়ে সমস্যা তাহলে এক কাজ করি, জেসিকা,কোমল, রাশেদ ও মা’কে নিয়ে আমি বাড়িতে থেকে বের হয়ে যায় তাহলে ভালো হবে।
আর তুমি চিন্তা করো না প্রতিদিন দুবেলা এসে তোমার খোঁজ খবর নিয়ে যাব।
সংসারের খরচও কিছু দিবো।

চাঁদনী বানু মারুফের কথা শুনে বলল, দাদু ভাই তুমি কী আমাকে দেওয়া তোমার ওয়াদা ভুলে গেছ?

মারুফ ওঁর দাদুর কথা শুনে বলল,না দাদু ,ভুলি নাই কিন্তু চাচী আলাদা থাকতে চায়ছে আমি শুধু সেখানে তার কথাটা মেনে নিচ্ছি এতে আমার ওয়াদা ভঙ্গ হবে না।

চাঁদনী বানু বলল, আমি বেঁচে থাকতে তুমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারবে না।

তাহলে আমার কাছে আরেকটা পদ্ধতি আছে।
চাঁদনী বানু বলে,কি পদ্ধতি?

দাদু তুমি আমাদের দুজনকে আলাদা করে দাও।
একেই বাড়িতে থেকে জেসিকা শুধু মা, কোমল ও রাশেদের সাথে কথা বলতে পারবে তাও নিজের রুমে বসে।
আমরা সবাই এক সাথে থাকব ঠিক আছে তবে রান্না হবে আলাদা।
চাঁদনী বানু মারুফকে কথা শুনে বলল,না আমি বেঁচে থাকতে এই বাড়িতে আলাদা চুলা জ্বলবে না।
তবে হ্যাঁ জেসিকা যেহেতু অন্যায় করেছে তাই ওকে শাস্তি পেতেই হবে।
মারুফ ওঁর দাদুর কথা শুনে বলল,কী শাস্তি দাদু?

চাঁদনী বানু বলল,যতদিন আমরা ঝর্নার কোন খোঁজ খবর পাবো না ।
ততদিন বাড়ির সবকাজ ওকে করতে হবে।
আর জেসিকাকে তোমাকে ছাড়া আলাদা রুমে থাকতে হবে।

মারুফ চাঁদনী বানুর কথা শুনে মনে মনে ভাবছে , দাদু ওকে কাজের বাহানায় হেনস্থা করবে। তবে দাদু থেকে বেশি চাচীকে নিয়ে ওঁর ভয়।
সে তো জেসিকাকে সারাক্ষণ কষ্ট দেওয়ার চেষ্টায় থাকবে।
আর সবথেকে বড় কথা হচ্ছে, জেসিকা আমার সাথে থাকলে হাসি মুখে সব কিছু সহ্য করে নিতে পারবে।
কিন্তু একা থাকলে যে কোন সময় ভেঙে পরবে।
পরিবারের কিছু মানুষের খুশির জন্য তো আর নিজের স্ত্রীকে ফেলতে পারবে না।
পরিবারের সব সদস্যের দায়িত্ব পালন করা আমার কর্তব্য হলে তেমনি জেসিকাও তো আমার পরিবার।
তাহলে তারা কেন ভুলে যায় জেসিকার প্রতিও আমার দায়িত্ব কর্তব্য আছে।
মারুফের এসব চিন্তা ভাবনা করে মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এর মধ্যে মারুফকে চাঁদনী বানু বলে, দাদু তুমি আমার কথায় রাজী আছো তো?

মারুফ চাঁদনী বানুর কথা শুনে বলল, দাদু আমি যেখানে থাকবো জেসিকা আমার সাথে সেখানে থাকবে।
তাই ওকে আমার থেকে আলাদা রেখে শাস্তি দিতে হবে তা আমি মানতে পারছি না।

চাঁদনী বানু বলল, আজকাল আমাদের থেকে দেখছি জেসিকা তোমার আপন বেশি হয়ে গেছে!

মারুফ চাঁদনী বানুরকে বলল, দাদু এটা তোমার সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
আমার কাছে তোমারা সবাই আপন।

মারুফের কথা শুনে চাঁদনী বানু বলে,ঠিক আছে জেসিকা তোমার রুমেই থাকবে।
কিন্তু ওকে বাড়ির সমস্ত কাজ করতে হবে।
আর এক মাসে বাবার বাড়িতে বা কলেজে ফলেজে যায়তে পারব না।
এক কথায় কোথাও যায়তে পারব না।
আর দাদু ভাই তুমি জেসিকার শাস্তি চলা কালীন সময়ে কোন সাহায্য করতে পারবে না।

মারুফ চাঁদনী বানুর কথা শুনে বলল,সব ঠিক আছে কিন্তু ভার্সিটি বন্ধ করলে ওঁর পড়াশোনায় ক্ষতি হবে তা আমি চায় না।

মারুফের কথা শুনে চাঁদনী বানু বলল, মারুফ তুমি আমার সব কথায় সমস্যা বের করছো।
তার মানে কি এই না যে তুমি আমাদের সাথে আর থাকতে চাচ্ছ না!
তুমি ওয়াদা ভাঙতে উঠে পড়ে লেগেছো!

দাদুর কথা শুনে মারুফ বলল, দাদু তুমি আবারও আমাকে নিয়ে ভুল ভাবছো।

চাঁদনী বানু মারুফের কথা শুনে বলল, তুমি ভুল‌ ভাবতে আমাদের সুযোগ দিচ্ছো তাই ভাবতে হচ্ছে।

ওদের দুজনের কথা শুনে জেসিকা বলল, দাদু আমি আপনার শাস্তি মেনে নিলাম।
আর আপনার কথা মত আমি একমাসে কোথাও যাবো না।
এমনকি ভার্সিটিতে যাবো না।

মারুফ জেসিকার কথা শুনে বিরবির করে বলল, গর্দভ মেয়ে মানুষ। নাচতে নাচতে দাদুর প্রস্তাবে রাজী হয়েছে।
ভার্সিটিতে না গেলে যে দাদু আর চাচী ওকে খাটিয়ে মারবে তা বুঝতে পারছে না।
আমি এদের হিটলারী বুদ্ধি থেকে ওকে বাঁচাতে প্রাণ পণ চেষ্টা করছি।
আর বৌ আমার সেধে সেধে ধরা দিচ্ছে।
ও বুঝতে পারছে না দাদু ওকে বাসায় রেখে কি পরিমান টাইট দিবে।

চাঁদনী বানু জেসিকার কথা শুনে বলল,ঠিক আছে তাহলে এই কথায় রয়লো।
জেসিকা শাস্তি চলা কালীন সময়ে কলেজে যেতে পারবে না। কথাটা বলার পর চাঁদনী বানু মনে মনে বলল, দাদু ভাই তুমি চলো ডালে ডালে আমি চলি পাতায় পাতায়।
তুমি কি ভেবেছিলে জেসিকা কলেজে গেলে শাস্তি কম পাবে তাইতো ?
এজন্য আমি ওঁর কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিলাম।

চাঁদনী বানুর কথা শুনে জেসিকার বাবা বললেন, খালাম্মা মেয়েটার ভার্সিটিতে বন্ধ না করলে হতো না।
চাঁদনী বানু তার কথা শুনে বলল, এখানে তোমার উকালিতি না করলেই ভালো বাছা।
তুমি শুধু আমার ছেলের বন্ধু হলে তোমার কথা শুনতে চেষ্টা করতাম।
কিন্তু বন্ধু থেকে কুটুম হয়েছো।
তাই এ ব্যাপারে কথা না বললেই ভালো হয়

জেসিকার বাবা মারুফের দাদুর কথা শুনে আর কিছুই বলতে পারলো না।

রাত হয়ে যাচ্ছে তাই তারা বাড়িতে চলে গেল।
তবে যাওয়ার আগে মেয়েকে জেসিকার বাবা বলে গেলেন, কোন সমস্যা পরলে যেনো জেসিকা তার কাছে চলে আসে।
জিদ ধরে এখানে থেকে নিজেকে যেনো কোন কষ্ট না দেই।
জেসিকা যেনো ঝর্নাকে নিয়ে চিন্তা না করে তাও বললেন।

জেসিকার বাবা অলরেডি ঝর্নাকে খুঁজতে ফোন করে তার লোকজন লাগিয়ে দিয়েছে।
ইনশাআল্লাহ এখন খোঁজ পাওয়া মাত্র সময়ের ব্যাপার।

কথা শেষ হতেই যে যার রুমে চলে গেছে।

মারুফ রাশেদ ও ইসহাক গেছে ঝর্নাকে খুঁজতে ওঁর বান্ধবীদের বাসায়।
চাঁদনী বানু সম্মানের ভয়ে ওদের যেতে দিতে চায়নি।
কিন্তু মারুফ বলেছে বসে থাকলে কাজ হবে না।
আর তারা তো কোনো আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খুঁজতে যাবে না।
তাই দাদুকে চিন্তা না করতে বলে বের হয়ে যায়।

মারুফেরা ঝর্নার সব বান্ধবীদের বাসায় খুঁজেছে কিন্তু ঝর্নার বান্ধবীরা বাসায় নেয়।
তাদের মায়েরা ঝর্নার বিষয়ে কিছুই বলতে পারে না ,
ঝর্না কোথায় আছে?

আজকে ঝর্নার সব বান্ধবীরা এক বান্ধবীর বাসায় এসে একসাথে সবাই আড্ডা দিচ্ছে।

মারুফ ও রাশেদ ঠিকানা নিয়ে চাচ্চুকে সাথে নিয়ে সেখানে আসে।
তাদের মনে সামান্য আসা উঁকি দিচ্ছে।
ঝর্নাকে এখানে পাওয়ার।

এখানে এসেই রাশেদ সবাইকে জিজ্ঞেস করেছে ঝর্নার বিষয়ে তারা কিছু জানে কিনা?
আর ঝর্না‌ কাকে ভালবাসে সে বিষয়ে ওঁর বান্ধবীরা জানে কিনা?

রাশেদের প্রশ্ন শুনে ওঁরা মুখ কাচুমাচু করছিলো।
তাতেই মারুফ বুঝতে পারে ওঁরা কিছু হলেও জানে।
রাশেদ আর মারুফ ওদের জেরা করে যা যানে তা বলতে নাহলে পুলিশে খবর দিবে।
ইসহাক মারুফের কথা শুনে ফিসফিস করে মারুফকে শাসিয়ে বলল,তুই আর রাশেদ আসলে কি চাচ্ছিস বলতে পারিস?
ওদের জোর করে তোদের মত মতো কথা বের করে আমার মেয়েটাকে খারাপ বানাতে চাস?
আর তোর বৌকে বাড়িতে সবার সামনে নির্দোষ প্রমানিত করতে মনে হয় উঠে পড়ে লেগেছিস?

মারুফ ওঁর চাচ্চুর কথা শুনে কষ্ট পেয়েছে।
তবুও তাকে কিছু বলেনি কিন্তু রাশেদ সহ্য করতে না পেরে ওঁর বান্ধবীকে শাসিয়ে বলল,তারা কি করে বেড়ায় কলেজে তা তাদের মাকে বলে দিবে।

ঝর্নার বান্ধবীরা ভয় পেয়ে গলগল করে সব কথা বলে দেয়।
এটাও বলে ঝর্না দের বছর ধরে এক ছেলেকে ভালবাসে।
তাদের আগে ফোনে বেশি কথা বলা হলেও মারুফ ভাইয়ের বিয়ের পরে থেকে
ভাবী আসেপাশে থাকে সেজন্য নিলয়ের সাথে কথা কম হয়।
তাই নিলয় দুইদিন আগেও ওঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছে।

রাশেদ প্রশ্ন করে নিলয় কে?

ঝর্নার বান্ধবী বলে, ঝর্না তো নিলয়কেই ভালোবাসে।
ওরা মাঝে একসাথে ঘুরতে ও যেতো।
আর আজকে নিলয়ের সাথে পালাবে তা আমাদের কালকেই বলেছিল।
কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম ও মজা করছে।
কারণ মাঝে মাঝে দুষ্টুমি করে বলতো সে নিলয়ের সঙ্গে পালিয়ে যাবে।

রাশেদ ওদেরকে জিজ্ঞেস করে, ঝর্না এখন কোথায় আছে তা জানে কিনা।
ওরা বললো তা জানে না।
ইসহাক, রাশেদ ও মারুফ ওখানে থেকে বের হয়ে আসে।
বাহিরে এসে ওঁর চাচ্চুকে বলল, আমার বিয়ে হয়েছে এখনো এক বছর হতে একমাস বাকি আছে।
তার আগে জেসিকাকে আমি চিনতাম না ।
আর জেসিকাও আমাকে বা আমার পরিবারকে চিনতো না।
আর ঝর্না ওই ছেলেকে ভালবাসে দের বছর আগে থেকেই।
তাহলে জেসিকা কিভাবে এসবের মধ্যে আছে আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবে চাচ্চু।

ইসহাক মারুফের কথা শুনে বলল,তোর চাচী যেহেতু বলেছে জেসিকার দোষ আছে তো ওঁর দোষ আলবত আছে।

ইসহাকের কথা শুনে রাশেদের মনে হচ্ছে, ওঁর চাচ্চু বলল ছাড়া আর কিছুই না।
নাহলে
চাচীর প্রেমে পাগল হয়ে গেছে তাই তার কাছে থেকে ভালো কিছু আসা করা বোকামি।
এরপর ওরা ঝর্নাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে বাসায় এসে পড়ল‌।

মারুফ রুমে এসে পায়চারি করছে আর ভাবছে মানুষ কেনো নিজেদের দোষ খুঁজে দেখে না।
অন্যেকে ছোট করে কি মজা পায়।
জেসিকা অন্যায় না করেও দোষী হয়ে গেছে।
আর সোহাগ অন্যায় করেও ভালো তার চাচীর কাছে।
এদিকে ঝর্না চাচীর মেয়ে তাই সে নির্দোষ।
আর জেসিকা বাড়ির বৌ তাই দোষী হয়ে গেছে।

জেসিকা কাজ শেষ করে রুমে এসে মারুফকে পায়চারি করতে দেখে।
মারুফের কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে বুকে কয়েকটা চুমু দিয়ে বলল, আমি অনেক ভয় পেয়েছি চাচী আর দাদুর কথা শুনে। ভেবেছিলাম আমাকে তাড়িয়ে দিবে।
ইস্ জান তুমি আমাকে যদি আজকে না বাঁচাতে তো আমার এ বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়া লাগতো।
মারুফ জেসিকাকে জরিয়ে ধরলো না।
নিজের কাছে থেকে জেসিকা কে দূরে সরিয়ে দিয়ে বললো, তোমাকে ভালোবাসি তাই সবার সামনে ছোট হতে দেয় কি করে!

আর শুনো ,তুমি চেষ্টা করলেই ঝর্নার ব্যাপারে আমাকে জানাতে পারতে কিন্তু তা করোনি।
তোমাকে আগে থেকেই সাবধান করার পরেও আমার কথা শুনোনি তাই আজকে থেকে তোমার মত তুমি থাকবে আমার মত আমি থাকবো।
তোমার বোকামির জন্য চাচী ও দাদুর কাছে চর থাপ্পর খাবে আর আমি তা বসে বসে দেখবো।
তা হবেনা তোমাকে ভালোবাসি বলে আমাকে এভাবে কষ্ট পেতে হবে তা তো …

নোটঃ দুঃখিত একটু সমস্যায় ছিলাম তাই কালকে গল্পটা দিতে পারেনি ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here