গল্পঃহৃদয়ের বন্ধন।
পর্বঃ৪৭।
লেখাঃ #মেহের।
তারপর মায়া বেগম ও নার্স খালা জেসিকাকে পাতালে কোলে করে বাহিরের রুমে নিয়ে আসে ।
হসপিটালে নেওয়ার উদ্দেশ্য।
এরমধ্যেই জেসিকার বাবা ও মা বাসার মূল দরজা খোলা পেয়ে হুড়মুড়িয়ে ভিতরে ঢুকে।
ভিতরে ঢুকে দেখেন, মায়া বেগম ও নার্স জেসিকাকে ধরে আছে।
আর জেসিকা অচেতন অবস্থায় রয়েছে।
তার আদরের মেয়েটার কোমড়ের নীচ থেকে কামিজ চুঁয়ে লাল তরল পদার্থ পড়ছে তা দেখে জেসিকার মায়ের জ্ঞান হারানোর দশা।
জেসিকার অবস্থা দেখে উকিল সাহেবের বুঝতে সময় লাগলো না।
তরল পদার্থ গুলো যে তার কলিজার রক্ত ।
কলিজার টুকরো মেয়েটা কষ্ট সহ্য করতে না পেরেই যে এমন অচেতন হয়ে আছে।
ভাবতেই শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠে।
আচ্ছা আমার মেয়েটা বাঁচবে তো?
আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে যাবে না তো?
কথাটা মাথায় আসতেই খেয়াল হয় মেয়েকে হসপিটালে ভর্তি করতে হবে।
তা ভেবে উকিল সাহেব তার মেয়েটাকে কোলে নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্য ছুটছে।
মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার আগে শুধু একবার পিছনে ফিরে মায়া বেগমকে দেখে বলল,
আমার সাথে গাড়ি আছে আমি ওকে নিয়ে হসপিটালে যাচ্ছি।
কথাটা শুনে জেসিকার মা ও মায়া বেগম উকিল সাহেবের পিছনে পিছনে জেসিকার সাথে যাচ্ছে।
এরমধ্যে তাদের যেতে দেখে, দোলা চিৎকার দিয়ে জেসিকার বাবাকে বলল, ভাই আমার মেয়েটাকে আপনাদের সাথে হসপিটালে নিয়ে যান।
নাহলে যে আমার মেয়েটা বাঁচবে না।
জেসিকার বাবা বলল,আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি আপনি দেরি না করে আপনার মেয়েকে গাড়ির কাছে নিয়ে আসেন।
গাড়িতে বসার পরে জেসিকার বাবার কাছে মনে হচ্ছে,এই মুহূর্তে এক একটা মিনিট কয়েক দিনের মতো।
জেসিকার বাবা তাই কারো জন্য এ মিনিটও অপেক্ষা করতে চাচ্ছে না।
আর এদিকে মেয়ের এমন অবস্থা দেখে জেসিকার মা মেয়েকে জরিয়ে ধরে কাঁদছে।
তা দেখে ও মেয়ের কথা চিন্তা করে জেসিকার বাবা,বজ্র কন্ঠে মায়া বেগমকে বলল, আপা আমার মেয়ের জীবনে থেকে আমার কাছে আর কোনো সম্পর্ক বড় নয়।
আপনার দেবরের বৌ এখনো আসছে না কেন?
এখানে দেরি হলে যে আমার মেয়েটা শেষ হয়ে যাবে।
জেসিকার বাবার কথা শেষ হওয়ার আগেই দোলা ও রেশমা ঝর্নাকে নিয়ে এলো।
ঝর্নার মাথার কাঁটা স্থানে কাপড় পেঁচানো ছিল।
তারপরও তাকে দেখে কারো বুঝতে অসুবিধা হবে না মেয়েটা অসুস্হ্য ।
কপালে পেঁচানো কাপড়টা রক্তে ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে।
জেসিকা ও ঝর্নার অবস্থা দেখে উকিল সাহেব ভেবে পাচ্ছে না কিভাবে ওদের এমন শোচনীয় অবস্থা হলো!
তবে মনকে এই বলে বুঝ দেন,এ বিষয়ে পরেও জানতে পারবে তাই ওদের বাঁচাতে হলে আগে ওদের নিয়ে হসপিটালে পৌঁছাতে হবে।
জেসিকার বাবা প্রথমে ভেবেছিলো মেয়েকে ঢাকায় এপোলো হাসপাতালে আনবেন।
কিন্তু জেসিকার যে অবস্থা তাতে গাজীপুর পুর থেকে এপোলো হসপিটালে আসতে আসতে দেরি হয়ে যাবে।
তাই গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল কাছে এবং ভালো হওয়াতে গাড়ি সেদিকে নিয়ে যায়।
হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের আদেশে ওয়ার্ড বয়রা এসে ঝর্না ও জেসিকাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়।
উকিল সাহেব ডাক্তারদের দেখে বললেন,প্লিজ আপনারা আমার মেয়েকে এবং ওর বাচ্চাদের বাঁচান ।
টাকার কোনো চিন্তা করবেন না।
যতটাকা লাগে আমি দিবো।
ডাক্তার উকিল সাহেবকে বলল, চিন্তা করবেন না আগে দেখি রোগীর কেমন অবস্থা।
কথাটা বলে ডাঃ অটিতে ঢুকে গেল।
এদিকে মায়া বেগম মারুফকে ফোন করে হসপিটালে আসতে বলল।
মারুফ মায়ের ফোন পেয়ে ভাবলো , তার বাচ্চারা আলোকিত পৃথিবীর দেখার আগ্রহে আর মায়ের ভিতরে থাকতে চাচ্ছে না।
অন্যদিকে দোলা ও রেশমা ইসহাককে দোকানে থেকে নিয়ে এই মাত্র হসপিটালে এসে পৌঁছেছে।
আসার আগেই রিফাতকে ফোন করেছে।
দোলার ফোন পেয়ে রিফাত তার থেকে জানতে পারে ঝর্না হসপিটালে ।
শুনেই কাঁদতে কাঁদতে বলল,আম্মা আমার ভালোবাসার দিকে কার কুনজর লাগলো।
আপনি ওকে একটু দেখে রাখেন।
আর চিন্তা করবেন না আমি আসছি।
কিছুক্ষণ আগেই ঝর্নাকে কেবিনে সিফট করা হয়েছে।
মাথায় স্টিজ লেগেছে পাঁচটা।
ক্ষতটা কিছুটা গভীর ছিল।
ডাক্তার স্টিজ করে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে।
ঘুমের ঘোরে থাকলে ব্যথা অনুভূত কম হবে সেজন্য ডাঃ ঝর্নাকে ইনজেকশন পুশ করেছে।
জ্ঞান ফিরতে দেরি হবে।
মাথায় আঘাতের কারণে এবং আতংকে ঝর্না জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।
ঝর্নার শরীরের খাঁমচি, আঁচর ও কামড়ের দাগ দেখেই ডাক্তারেরা বুঝতে অসুবিধা হলো না এই মেয়েটা ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
তাই হসপিটাল অথরিটি থেকে পুলিশকে ফোন করা হয়েছে।
এদিকে দোলা হসপিটালে এসেই মায়া বেগমকে বলল,বুবু আমার মেয়েটা কোথায়?
মায়া বেগম দোলার পাশে তাকিয়ে বলল,২০৫ নাম্বার রুমে আছে।
ওখানে গিয়ে শব্দ করিস না।
ও ব্যথার অনুভূতি যেনো টের না পায় ।
তাই ওকে ব্যথা কমার ও ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।
দোলা ও ইসহাক মেয়েকে দেখতে ২০৫ নাম্বার রুমের দিকে ছুটে গেলো।
ততক্ষণে অপারেশন থিয়েটারে থেকে ডাক্তার বের হয়ে আসে।
ডাক্তারকে দেখে জেসিকার বাবা,মা ও মায়া বেগম ডাক্তারের কাছে গেল।
জেসিকার বাবা ডাক্তারকে বলল, স্যার আমার মেয়েটার কী অবস্থা?
ডাক্তার জেসিকার বাবার কথা শুনে তার দিকে বিরক্তিকর ভাবে তাকিয়ে বলল,এনেছেন তো মেয়েটাকে মেরে।
আর বাচ্চা গুলোর তো হার্ট বিট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
রোগীর শরীরে থেকে প্রচুর রক্ত বের হয়ে গেছে।
এখনো রক্ত থামানো যাচ্ছে না।
রোগীকেরক্ত দেওয়া হচ্ছে ।
তবে আপনাকে রোগীর মিথ্যা আশ্বাস দিতে চায় না।
মা ও বাচ্চাদের বাঁচার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এখন আল্লাহ কোন চমৎকার করলেই বাঁচতে পারে।
আর শুনুন ,এই মুহূর্তে আপনার মেয়ের সিজার করতে হবে।
আপনি তাড়াতাড়ি বর্ন পেপারে সাইন করে দিন।
কথাটা বলেই ডাঃ অটিতে চলে যায়।
ডাক্তারের কথাটা শুনেই জেসিকার মা অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পরে যায়।
জেসিকার বাবা ওয়ার্ড বয়কে বললেন আমাদের কেবিনে একজন ডাঃ কে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
কথাটা বলে জেসিকার বাবা তার স্ত্রীকে কেবিনে রেখে আসে।
আসার আগে মায়া বেগমকে বলল ,আপা আপনি ওকে একটু দেখেন আমি বর্ন পেপারে সাইন করে আসি।
মায়া বেগম মাথা ঝাঁকিয়ে ইশারায় হ্যাঁ বুঝায়।
মায়া বেগম মনে প্রাণে আল্লাহকে ডাকছেন।
তার জীবনের বিনিময়ে হলেও জেসিকা ও বাচ্চাদের জীবন ভিক্ষা চাচ্ছে।
এদিকে উকিল সাহেবের বর্ন পেপারে সাইন করতে হাত কাঁপছে।
কিন্তু সাইন করতে দেরি করে মেয়ের কোনো ক্ষতি হোক তা চায় না।
তাই কোন রকমে সাইন করে দেয়।
দুই ঘণ্টা পর।
অটির বাহিরে জেসিকার বাবা, ইসহাক ও মায়া বেগম দারিয়ে আছে।
জেসিকার মায়ের প্রেশার ফল করছে তাই তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
তার কাছে চাঁদনী বানু বসে আছে।
বাসা তালা মেরে নার্সের সাথে কিছুক্ষণ আগেই চাঁদনী বানু হসপিটালে এসেছিলেন।
এদিকে জেসিকার বাবা অটির বাহিরে পায়চারি করছে।
কিছুক্ষণ হয়েছে মারুফ এসে পরেছে।
মারুফ বাসায় কি হয়েছে তা কিছুই জানে না।
তাড়াহুড়ো করে আসায় মারুফের শরীর ঘেমে জুবজবে অবস্থা।
জেসিকা হসপিটালে খবরটি শুনেই ওর জান যায় যায় অবস্থা।
সারাটা রাস্তা বৌটা যেনো সুস্থ্য থাকে আল্লাহর কাছে সেজন্য দোয়া চাইতে চাইতে এসেছে।
সে ভেবেছিল জেসিকার ডেলিভারি পেইন উঠেছে ।
তাই এসেই ওর মা’কে জিজ্ঞেস করলো,মা ওর ডেট তো আরও এক মাস পর।
তাহলে এতো যলদি পেইন উঠায় কোনো সমস্যা হবে না তো?
ও মা ডাঃ কি বলেছে?
মায়া বেগম ছেলের কথা শুনে কি উত্তর দিবে ভেবে পাচ্ছে না!
কিভাবে বলবে জানোয়ার গুলো জেসিকার ইজ্জতের উপরে হাত দিতে চেয়েছিলো?
মেয়েটা নিজের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে এই মুহূর্তে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।
মারুফ ওর মা’কে চুপ থাকতে দেখে বলল,কি হলো মা বলছো না কেন ডাঃ কি বলেছে?
তারমধ্যে হসপিটালে একজন পুলিশ আসে।
হসপিটালের অথরিটি সাথে কথা বলে।
জেসিকার বাবার কাছে এসে জিজ্ঞেস করে ভিকটিম আপনার কী হয়?
জেসিকার বাবাকে হসপিটালের অথরিটি আগেই জানিয়ে দেয়।
ঝর্না ধর্ষণের শিকার হয়েছে সৈজন্য পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে ।
তারা যে কোন মুহুর্তে আসবে।
সেজন্য পুলিশের প্রশ্ন শুনে ইসহাক বুঝতে পারছে পুলিশ ঝর্নার কথা বলছে।
জেসিকার বাবা পুলিশকে বলে, ঝর্না তো আমার মেয়ের চাচাতো ননদ।
মারুফ জেসিকার বাবার দিকে একবার পুলিশের দিকে একবার এমন করে তাকিয়ে বুঝতে চেষ্টা করছে এখানে পুলিশের কাজ কী?
জেসিকার বাবাকে উদ্দেশ্য করে পুলিশ বলল, আপনি ওনাকে পেলেন কোথায়?
জেসিকার বাবা বলল, সকালে থেকে মেয়েকে দেখতে অস্থির লাগছিল।
শুয়ে বসে কোনো ভাবেই থাকতে পারছিলাম না।
তাই দুপুরে খাওয়ার পর পর মেয়েকে দেখতে আমি ও আমার স্ত্রীকে আমার সাথে নিয়ে আশি।
আমরা বাসার কাছাকাছি আসতেই জেসিকার নার্সের ফোন আসে আমার কাছে।
বাড়ির কাছাকাছি আসলে নার্সের কাছে শুনতে পায় আমার মেয়ের অবস্থা ভালো না।
কথাটা শোনার পর পরেই কিছুক্ষণের মধ্যেই ওদের বাসায় পৌঁছে যায়।
আমরা গিয়ে ওদের রক্তাক্ত অবস্থায় পায়।
পুলিশ জেসিকার বাবার কথা শুনে বলল, ঘটনা কেমন মনে হচ্ছে না?
যেখানে মেয়েটার সাথে ধর্ষণের মতো এমন বিচ্ছিরি একটা ঘটনা ঘটেছে ।
আর আপনি তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওখানে হাজির হলেন!
ঘটনাক্রমে ব্যপারটা কেমন সন্দেহ লাগছে?
তা এমধ্যে আপনি জরিতো না তো?
জেসিকার বাবা পুলিশের কথা শুনে রেগে বলল, ফাজলামি পেয়েছেন।
আমার মেয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে।
আপনি সে সময় আমাকে উল্টো পাল্টা প্রশ্ন করছেন?
এ জন্যই মানুষ আপনাদের ওপরে আস্থা রাখতে পারছে না।
আপনারা কোনো অপরাধ হলো অপরাধিকে না খুঁজে।
সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে আসেন।
পুলিশ জেসিকার বাবার কথা শুনে বলল, আপনি এমন ক্ষেপে যাচ্ছেন কেনো?
মায়া বেগম পুলিশের কথা শুনে, দোলাকে ও রেশমাকে ডেকে আনে।
জেসিকার বাবা পুলিশকে ঝর্নার বাবাকে দেখিয়ে বললো, ভিকটিম তারেই মেয়ে ,তাই যা জানার এদের থেকে জেনে নিন।
আমাকে এই মুহূর্তে বিরক্ত করবেন না।
পুলিশ ইসহাককে ঝর্নাকে নিয়ে প্রশ্ন করল ।
ইসহাক পুলিশকে দেখেই ঘাবড়ে যায়।
রেশমা ওর বাবার অবস্থা দেখে পুলিশকে ঝর্না ও জেসিকার সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা খুলে বললো।
তাদের বাড়িতে যে ডাকাতি হয়েছে তাও বলেছে
পুলিশের লোকটি সবকিছু শুনে রেশমাকে জিজ্ঞেস করলো, এই ঘটনার জন্য আপনাদের কারো উপরে সন্দেহ আছে নাকি?
পুলিশের কাছে সন্দেহের কথা শুনে ,না জানায়।
তারপর পুলিশের লোকটি আর কিছুক্ষণ কথা বলে চলে গেল।
যাওয়ার আগেই অবশ্য বলে যান ঝর্নার জ্ঞান ফিরলে তাকে যেনো খবর দেওয়া হয়।
মারুফ রেশমার মুখে সব শুনে পাথর হয়ে গেছে।
মানুষ এমন জঘন্য হয় কি করে?
আচ্ছা একজন গর্ভবতী মেয়েকে দেখে তাদের কী নিজেদের মা বোনদের কথা একবারেও মনে হয়নি?
আমার স্ত্রী ও সন্তানের কষ্ট দেখেও কী ঐ জানোয়ার গুলোর হৃদয়ে একবারও কাঁপন অনুভব হয়নি।
এসব ভেবে মারুফ জেসিকার বাবাকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল,বাবা আমার বৌ বাঁচবে তো?
ওর কিছু হবে না তো?
আবার ওর মায়ের কাছে গিয়ে ,মা’কে বলল,মা গো জেসিকা সুস্থ্য হবে তো?
জেসিকার বাবা মারুফকে কি বলে শান্তনা দিবে তা তার জানা নেই।
সে তো নিজেই তার বুক খালি হওয়ার ভয়ে ভীত হয়ে গেছে।
মায়া ছেলের আহাজারি দেখে কেঁদে দেয়।
এরমধ্যে ডাঃ অটিতে থেকে বের হয়ে আসে।
তাকে দেখে মারুফ ও জেসিকার বাবা দৌতো তার কাছে যায়।
ডাঃ কাছে গিয়ে মারুফ বলল , ডাঃ আমার বৌ বাচ্চারা কেমন আছে?
ডাক্তার বলল, এখনো বুঝতে পারছি না।
আপনার রোগীর রেসপন্স পাচ্ছি না।
যে কোন মুহুর্তে রোগীর কিছু হয়ে যেতে পারে ।
কথাটা বলে ডাঃ ভিতরে ঢুকে গেল।
আবার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাঃ বাহিরে এসে মারুফকে বললো, আপনি ফুটফুটে দুটি ছেলে ও মেয়ের বাবা হয়েছেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বাচ্চাদের হার্ট চলছে তবে খুব ধীরে ধীরে।
তাদের আইসিইউতে বেবি কিউবে রাখা হয়েছে
বাচ্চাগুলো কতক্ষন survive করতে পারবে বলতে পারছি না।
আমরা আমাদের সবটা দিয়ে চেষ্টা করছি বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছে।
এরমধ্যে অটির ভিতরে থেকে একজন নার্স এসে বলল,সরকার রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।
রোগী যেনো কেমন করছে।
মারুফ নার্সের কথাটা শুনে জেসিকা বলে চিৎকার দিয়ে ফ্লোরে বসে হাউমাউ করে কাঁদতে….
বিঃদ্রঃ আমার লেখা যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে লাইক ও কমেন্ট করে পাশে থাকবেন।
আর লেখায় ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।