শেষটা_সুন্দর পর্ব___৩৭
#অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম)

কয়েক সেকেন্ড পর টিভির দৃশ্য চেঞ্জ হয়ে একটা মেয়ের ছবি ভেসে উঠলো। ছবিটি দেখেই তরী অস্ফুট আর্তনাদ করে উঠলো। ছবিতে নীল রঙা পোশাকের খোলা চুলের মেয়েটি তার পরিচিত। তার চেনা কেউ! মেয়েটি তার ক্লাসমেট জেরিন!

একজন মহিলা রিপোর্টার খবর পড়ছে। জেরিনের সাথে ঠিক কি হয়েছে, কোথায় তার লাশ পাওয়া গেছে এসব বলছে। কিন্তু এসবের কিছুই তরীর কানে ঢুকছে না। তার হাত-পা কাঁপছে। চোখের সামনে জেরিনের হাস্যোজ্জ্বল মুখটা ভেসে উঠছে বার বার। মেয়েটার সাথে তার ততটা ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও সে জানতো মেয়েটা কারণে অকারণে হাসে। একবার তাদের বাংলা মিস পড়া না পারার কারণে তাকে চারটা স্কেলের বাড়ি মেরেছিল। এত ব্যথা পেয়েও সে ফিক করে হেসে দিয়েছিল। সেই মেয়েটি এখন আর পৃথিবীতে নেই এটা তরীর মানতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

সে ঝাপসা চোখে টিভির স্ক্রিণের দিকে তাকালো। কিছুই চোখে পড়লো না। হাতের রিমোটটা খসে পড়েছে অনেক আগেই। সে কাঁদতে কাঁদতে দু মাথা চেপে ধরলো।

নির্ঝর ভেজা চুল মুছতে মুছতে ড্রয়িং রুমে ঢুকলো। কয়েক পা এগুতে সোফার দিকে নজর গেল। সোফায় বসে তরীকে কান্না করতে দেখে বুকের ভেতর ধ্বক করে উঠলো তার। হাতের টাওয়ালটা ছুঁড়ে ফেলে সে দৌঁড়ে এগিয়ে এলো। তরীর সামনে বসে পড়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে প্রশ্ন ছুঁড়লো,

‘কি হয়েছে তরী? কান্না করছো কেন? কি হয়েছে? বলো? দেখি!’

তরীর কাঁধে হাত রেখে চিন্তিত কন্ঠে বলল নির্ঝর। তাকে দেখে তরীর কান্না আরো বেড়ে গেল। মাথায় হাত বুলিয়ে কিছুটা সময় দিল তাকে নির্ঝর। কয়েক সেকেন্ড পর এক হাতে তার গাল মুছে দিল। নরম গলায় বলল,

‘কি হয়েছে? বলো আমায়। পা ব্যথা করে?’

তরীর উত্তরের অপেক্ষা না করে নির্ঝর তার পায়ের কাছে হাত নিল। পায়ের ক্ষত দেখতে নিতে তরী বাঁধা দিল। ক্রন্দনরত কন্ঠে দু বার উচ্চারণ করল,

‘জেরিন! জেরিন।’

নির্ঝর বুঝতে পারলো না। তার প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টি লক্ষ্য করে তরী হাত উঁচিয়ে নির্ঝরকে টিভির স্ক্রিণ দেখালো। এক-দেড় মিনিট নির্ঝর টিভির দিকে তাকিয়ে রইলো। আস্তে আস্তে তার কপাল কুঁচকে উঠলো। তবে তাকে বিচলিত দেখাল না। টিভি থেকে চোখ সরিয়ে পুনরায় তরীতে নিবদ্ধ করলো। তরীর সিক্ত গাল মুছে দিয়ে বলল,

‘একটা মেয়ে রেপড হয়েছে। বড়জোর দুঃখ পাওয়ার কথা! তুমি কান্না করছো কেন?’

তরী কাঁদতে কাঁদতে বলল,

‘মেয়েটা আমার পরিচিত। আমার ক্লাসমেট ছিল।’

‘তারপর?’

‘তারপর কয়েকদিন আগে আপনাকে একটা মেয়েটার কথা বলেছিলাম না? যে মেয়েটা আমাকে মিথ্যা কথা বলে আশিকের হাতে তুলে দিয়েছিল এটা সেই মেয়ে।
জেরিন।’

‘এক্সাক্টলি! আমি এটাই শুনতে চেয়েছিলাম তরী। যে মেয়েটা তোমার সাথে ভণ্ডামি করেছিল,তোমার চরিত্র নষ্ট করতে চেয়েছিল, তোমার ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল সেই মেয়েটা নিজের ফাঁদে নিজেই আটকা পড়েছে। নিজেই রেপড হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। তার জন্য এত কষ্ট পাচ্ছো কেন?’

তরী সহসা কথা খুঁজে পেল না। নির্ঝর ঠিকই তো বলেছে। জেরিন তাকে তো দয়া দেখায়নি। উল্টো কি অমানবিক রূপ দেখিয়েছে। তবুও মেয়েটা দুনিয়াতে নেই ভেবে গলা ফাটিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে তার। সে নাক ঝেরে ওড়নার ঝুলন্ত অংশে মুছতে নির্ঝর নাক কুঁচকে ফেলল। থমথমে গলায় বলল,

‘তোমায় বলেছি না এই কাজ করবে না? পরণের কাপড় দিয়ে নাক মুছবে না?’

তরী তার কথা শুনতে পেল কি না নির্ঝর বুঝতে পারলো না। সে নির্ঝরের ফতুয়ার পেটের কাছের অংশ টেনে তুলল। নির্ঝর কিছুটা চমকালো। তার সেই চমৎকৃত মুখের দিকে তাকানোর প্রয়োজনবোধ করলো না তরী। সে মুখটা নিচু করে ফতুয়ার নিচের অংশে মুছে ফেলল। সোজা হয়ে ব্যথিত কন্ঠে বলল,

‘আমার খুব খারাপ লাগছে। আমি কখনো চাই নি জেরিনের সাথে এমন কিছু হোক। ও এত অল্প বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিক।’

বলেই সে আবার কেঁদে দিল। নির্ঝর চারপাশে মাথা ঘুরিয়ে দেখলো ড্রয়িং রুম, ডাইনিং, রান্নাঘর সব ফাঁকা। বিকেলবেলা বলে সবাই ঘুমাচ্ছে। সে উঠে দাঁড়ালো। ফ্লোর থেকে রিমোট তুলে টিভি বন্ধ করলো। তারপর চট করে তরীকে কোলে তুলে নিয়ে রুমের দিকে পা বাড়ালো।

তরী কান্না থামিয়ে অবাক কন্ঠে বলল,

‘কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?’

‘হাউ ফানি! এখনো বুঝতে পারো নি তুমি? রুমে নিয়ে জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিবো। মাথায় ঢুকেছে?’

তরী ভয়ার্ত মুখ করে নির্ঝরের গলা জড়িয়ে ধরলো। নির্ঝর ততক্ষণে রুমে ঢুকেছে। বিছানার কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো সে। তরীর অবাক চাহনিরত মুখের দিকে চেয়ে মুচকি হাসলো। তরী দ্বিধান্বিত কন্ঠে বলল,

‘আপনি হাসছেন কেন? মনে হচ্ছে জেরিনের ব্যাপারটা শুনে আপনি খুশি হয়েছেন।’

‘খুশি হওয়ার জন্য কি এটা যথেষ্ট নয়?’

‘আপনি এত নিষ্ঠুর? একটা মেয়ে সম্মান হারিয়ে মারা গেছে আর আপনি খুশি হয়েছেন?’

নির্ঝর তরীকে কোল থেকে নামিয়ে দিল। বিছানায় বসিয়ে পিঠের নিচে বালিশ দিল। তরীর পাশে বসে পড়ে বলল,

‘তুমি ঠিক ধরেছ তরী। আমি কিছুটা নিষ্ঠুর এবং স্বার্থপর। আমি তোমার মতো এত ভালো নই। এত উদার মনের নই যে, যে আমার ক্ষতি করবে তার দুঃখে ব্যথিত হবো। ক্ষেত্রবিশেষে আমি চরম নিষ্ঠুর। আমাকে কেউ দুঃখ দিলে আলাদা হিসাব। তার প্রতি এতটা নির্দয় হবো না। কিন্তু তোমাকে যারা কষ্ট দিবে তাদের প্রতি আমার কখনো সহানুভূতি আসে না। তবে জেরিন মেয়েটার সাথে একটু বেশিই খারাপ হয়েছে। মৃত্যু না হলেও পারতো। হয়তো এটাই ওর প্রাপ্য ছিল!’

‘জেরিনের বোধ হয় দোষ ছিল না। আশিক মেয়েটার ব্রেইন ওয়াশ করে এমন বানিয়েছে।’

তরী থেমে গেল। কিছুসময় চুপচাপ নিচের দিকে চেয়ে রইলো। হুট করে মাথা তুলে বলল,

‘আচ্ছা, জেরিনের সাথে এমন কে করেছে? আপনার কি ধারণা?’

‘তার আশিক ছাড়া আর কে করবে?’

‘তার মানে আশিক আবার দেশে ফিরেছে?’

নির্ঝর উত্তর দিল না। তবে তরীর প্রশ্নের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ভয়ের উত্তাপ টের পেল। সে তরীর হাতটা চেপে ধরে বলল,

‘ও ফিরে আসেনি। ওর পাপ ওকে এ দেশে টেনে নিয়ে এসেছে। এবার শুধু কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে। জেরিনের ব্যাপারটা আমি গতকাল রাতে শুনেছি। বড় মা বলেছে আমাকে। সাথে এটাও বলেছে যে জেরিনের এই ঘটনার পেছনে আশিক রয়েছে। ভিক্টিমের ফোন রেকর্ড থেকে শুরু করে সবকিছুতে সেরকম আলামত পেয়েছে পুলিশ ফোর্স। তাছাড়া জেরিনের বাবা তো রাজনীতি করে। ওনার হাত লম্বা। এবার আর আশিক পার পাবে না! তোমার সাথে করা অন্যায়ের কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু জেরিনের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রমাণ পেয়েছে এবং এখনো জোগাড় করছে।’

‘হুঁ!’

তরী ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়লো। নির্ঝরের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে বিছানা থেকে নামতে নিল। নির্ঝর তৎক্ষনাৎ বাঁধা দিয়ে বলল,

‘কোথায় যাচ্ছো তুমি?’

‘হাত-মুখ ধুয়ে আসি। আপনি ডাইনিং এ যান।’

‘হেঁটে যেতে পারবে? নাকি আমি ওয়াশরুমে দিয়ে আসবো?’

‘খবরদার না! আমি হেঁটে যেতে পারবো। তাছাড়া আপনি যখন বাসায় ছিলেন ন, আমি সারা বাসা হেঁটে বেড়িয়েছি।’

‘এই পা নিয়ে? তোমায় বারণ করেছি না?’

তরী আড়ালে মুখ লুকিয়ে ফেলল। তারপর সাবধানে পা ফেলে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল। সেদিক থেকে চোখ সরিয়ে নির্ঝর বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। বেলকনিতে ঢুকে মাথার ভেজা চুল ঝারলো। বৃষ্টির বেগ কমে এসেছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে এখন। গাছের পাতাগুলো বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। ঝকঝক করছে সবুজ পাতাগুলো। প্রকৃতি পানে তাকিয়ে থাকলেও নির্ঝরের মনের পর্দায় তরীর গাল ফুলিয়ে রাখা অভমানী মুখের ছবি ভেসে উঠলো। মুচকি হাসলো সে।

_______________

রাত প্রায় এগারোটা। তরীকে ওয়াশরুমে দেখে নির্ঝর রুমের লাইট বন্ধ করলো। জানালার পর্দা সরিয়ে দিল। বেলকনির কাচ অর্ধেক ঠেলে পর্দা গুটিয়ে রাখতে রুমের অন্ধকার কেটে গেল। চাঁদের আলো এসে রুম আলোকিত করলো। ওয়াশরুমের দিকে এক পলক চেয়ে সে বেলকনিতে ঢুকলো।

আজ পূর্ণিমা রাত কি না নির্ঝরের জানা নেই। কিন্তু আকাশে মস্তবড় চাঁদ উঠেছে। তার রূপালি আলোয় ভেসে যাচ্ছে পুরো পৃথিবী, পুরো শহর। আকাশ মেঘমুক্ত সুন্দর। দেখে বোঝা যাচ্ছে না বিকেলভর এত বৃষ্টি হয়েছে।

তরী এসে নিঃশব্দে নির্ঝরের পাশে দাঁড়াল। নির্ঝর তার উপস্থিতি টের পেল কি না বুঝতে পারছে না। তবে সে নিজে বেশিক্ষণ চুপ থাকতে পারলো না। চাঁদের আলোর ঝলকানিতে মন নেচে উঠলো তার। প্রফুল্ল চিত্তে বলল,

‘এত সুন্দর চাঁদ উঠেছে আজ?’

নির্ঝর ঘোর লাগা কন্ঠে বলল,

‘তোমার চেয়ে সুন্দর নয়!’

তরী অবাক হয়ে নির্ঝরের দিকে তাকালো। এতদিন একসাথে থেকে সে এটা অন্তত বুঝতে পেরেছে যে নির্ঝর সবার থেকে আলাদা। সে অন্যদের মতো নিচের ভালোবাসা জাহির করতে পারে না। চট করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না। তার ভালোবাসার ধরন আলাদা। সে কখনো তার প্রশংসা করবে না, ধমকে ধামকে ভালোবাসা প্রকাশ করবে। সেই নির্ঝরের মুখে এমন কথা শুনে সে অবাক হয়ে বলল,

‘কি বললেন যেন? আমি সুন্দর? চাঁদের থেকে বেশি?’

নির্ঝর সচকিত হয়ে তরীর দিকে তাকালো। সঙ্গে সঙ্গে ভীষণ লজ্জায় পড়ে গেল। অস্বস্তিতে টইটম্বুর হয়ে গেল ভেতরটা। নিজের লজ্জাভাব লুকাতে সে তরীর হাত ধরে টেনে ফ্লোরে বসে পড়লো দুজন। জড়তা কাটিয়ে বলল,

‘হাউ ফানি! আমি ওসব কখন বললাম?’

‘আপনি বলেছেন। আমি স্পষ্ট শু…..’

তরীর ঠোঁটে আঙুল দিয়ে নির্ঝর থামিয়ে দিল। অপরাধী কন্ঠে বলল,

”তোমায় কবিতা শোনাই কেমন? আমার এক সময়ের ভীষণ পছন্দের কবিতা। শুনো তাহলে।

‘প্রতি পূর্ণিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই।

গৃহত্যাগী হবার মতো জোসনা কি উঠেছে?
বালিকা ভুলানো জোসনা নয়।
যে জোসনায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে ছুটোছুটি করতে করতে বলবে,
ও মাগো, কত সুন্দর চাঁদ__
নবদম্পতির জোসনাও নয়।
যে জোসনা দেখে স্বামী গাঢ় স্বরে স্ত্রীকে বলবেন_
দেখো দেখো নীতু চাঁদটা তোমার মুখের মতোই সুন্দর।

কাজলা দিদির স্যাঁতস্যাতে জোসনা নয়।
যে জোসনা বাসি স্মৃতিপূর্ণ ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে।
কবির জোসনা নয়।
যে জোসনা দেখে কবি বলবেন_
কি আশ্চর্য! রূপার থালার মতো চাঁদ।

আমি সিদ্ধার্থের মতো গৃহত্যাগী জোসনার জন্যে বসে আছি।
যে জোসনা দেখা মাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যাবে_
ঘরে ঢুকে যাবে বিস্তৃত প্রান্তর।
প্রান্তরে হাঁটবো, হাঁটবো আর হাঁটবো!
পূর্ণিমার চাঁদ মধ্য আকাশে স্থির হবে।
চারিদিক থেকে বিবিধ কন্ঠ ডাকবে_ আয় আয় আয়।”

~কবি (হুমায়ূন আহমেদ)

নির্ঝর থামলো। তরী কেমন ঘোরের মধ্যে চলে গেল। জোৎস্না-প্লাবিত অপরূপ চারপাশের প্রকৃতি দেখে কেমন বিমোহিত হলো। এই পরিবেশে নির্ঝরের সুমিষ্ট কন্ঠ ধ্বনি পূর্ণতা দান করলো যেন। মুচকি হেসে সে আলগোছে মাথাটা নির্ঝরের কাঁধে এলিয়ে দিল। নির্ঝর আঙুলের ভাঁজে আঙুল আঁকড়ে ধরলো। বেশ কিছুক্ষণ পর কোমল গলায় বলল,

‘একটা সময় আমিও সিদ্ধার্থের মতো গৃহত্যাগী হওয়ার মতো জোসনা চাইতাম। কারণ তখন তুমি স্বপ্নে ছিলে, বাস্তবে ছিলে না। এখন আমি তুমিময় জোসনা চাই। যে জোসনায় তুমি আমার পাশে থাকবে। হোক না সে মরা জোসনা বা নিষ্প্রভ একাদশীর ম্লান চাঁদ। এখন আমি তুমিময় অন্ধকার চাই। অথবা তুমিময় ঘোর অমাবস্যার রাত! যাই বলো সব জায়গা তোমাকে চাই। আমার এই তোমাকেই পাশে চাই। এই যে হাতের নাগালে, বুকের উপর, হৃদয়ের খুব কাছে চাই!’

নির্ঝর গভীর দৃষ্টি নিয়ে তরীর মুখপানে তাকাল।

(চলবে)

লিখতে লিখতে রাত হয়ে গেল। 🙂 সবাইকে পবিত্র ঈদুল-আযহার অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ইদ মোবারক!
ও হ্যাঁ! হাতে মেহেদী দেওয়া বাদ রেখে আপনাদের জন্য গল্প লিখলাম। বিনিময়ে আপনাদের কাছে একটু গরুর মাংস আশা করতে পারি না? অবশ্যই পারি। কাল সন্ধ্যার মধ্যে আমার বাসায় এক পোটলা করে গোশত পাঠাই দিবেন। নইলে কাল রাতে ভাত খাব না।😒

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here