গল্পঃ শূন্যতায়_অস্তিত্ব ( পর্বঃ ১২)
লেখাঃ #তাজরীন_খন্দকার

চোখ কেন ভিজে উঠছিলো বুঝতে পারছিলাম না। তবে সেটা লুকানোর চেষ্টা করে মৃদু হেসে বললাম,
___ খুব ভালোবাসেন?

কিছুক্ষণ থমথমে নিরবতা। কোনো কথা বলছেননা তিনি। আস্তে আস্তে ডান হাতের দুই আঙুল দ্বারা ডায়েরির আরেকটা পাতা উল্টালো! আমি মনোযোগ নিক্ষিপ্ত চোখে আবার সেই লেখাটার উপর চোখ বুলালাম, সেখানে লেখা আছে….

‘””
স্থায়িত্ব প্রত্যাশিত জীবনে স্বচ্ছতার ঘাটতি সামান্যতর থেকেই যাবে! অল্প ভুল-ভ্রান্তি,অভিযোগ-অশান্তি,
ভিন্নতার হাতছানি হবেই নিয়মে অনিয়ম! তবে তার মধ্যেকার কঠিন সত্য সেটাই হবে, আমি তোমার।
ঠিক যেভাবে তুমি তোমার!
আমি তোমার মতো করেই এক জীবন তোমাকে জানতে চাই! তোমার রাগ,জেদ, অত্যাচারের প্রতিটা
স্পর্শ বুকে বিঁধে সেখানে ভালোবাসার স্বর্গ গড়তে চাই। তোমার দূর্বলতা,কাঠিন্যতা, মন্দদিক সবকিছু মেনে নিয়েও শুধু তোমাকেই জায়গা দিতে চাই এবং জায়গা নিতে চাই! ততটা প্রশস্ত জায়গা , যতটা হলে একদিন আমার শূন্যতায় তোমার হৃদকম্পন ধির হয়ে উঠবে, তোমার নিঃশ্বাসও আমার অস্তিত্ব খুঁজে যাবে রাতদুপুর! খুব গভীরতা থেকে তোমার ঠোঁটের কাঁপনে সেদিন ঝড়বে একটা বাক্য,
ভালোবাসি, তোমায় ভীষণ ভালোবাসি! “”

আমি টের পাচ্ছিলাম লেখাগুলো পড়তে পড়তেই আমার ঠোঁট কাঁপছে, হৃদয় নেড়ে যাচ্ছে অনূভুতিরা!
আমি আস্তে আস্তে উপরে তাকালাম, ঠিক চোখ বরাবর। ফিসফিস করে বললাম,
___ যদি এখন না পেয়ে কাল সকালে দরজার উপর রাখা কাগজটা পেতাম তাহলেও কি এখানে থাকতেন?

___ শুধু কাল পর্যন্ত না, যদি আরো দুইদিন চলে যেতো তাহলেও আমি অপেক্ষা করতাম! তবে জানি একদিনের বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। তুমি ঠিক ঠিক আমার আহবানে শীগ্রই চলে আসবে!

আমি নিজের মুখ চেপে জোরে হেসে উঠে বললাম,
___রায়ান ভাইয়া আপনি কিন্তু ভীষণ আবেগ নিয়ে কথা বলেন। কিশোরে পা রাখা বাচ্চা ছেলেটা যখন প্রথম প্রেমে পড়ে তখন সিনেমা দেখে দেখে এই বাক্যগুলো মুখস্থ করে আর প্রেমিকাকে বলে নিজের দিকে দারস্থ করে ফেলে! এদিকে আমি একজন মাস্টার্স পড়ুয়া আর আপনি দেশের প্রথম শ্রেণির একজন সফল চাকুরীজীবি! আপনি কিনা এসব বলে এই বয়সে প্রেম করতে চান? এই বুড়া বয়সে? হাহাহাহা!

আমার হাসির তীব্রতা আরো বেড়ে গেলো। আমি এক হাত নিজের কোমরে আর অন্য হাত দিয়ে মুখ চেপে হেসেই যাচ্ছি। পাশের ছোট্ট দোকানটার পাশে একটা ল্যাম্পের আলো আমাদের দুজনের উপর।
প্রচন্ড হাসির মধ্যে একটা সময় আমি হঠাৎ নিরব গেলাম। ভীষণ অদ্ভুত একটা দৃষ্টিতে রায়ান ভাইয়া তাকিয়ে আছে। এক দৃষ্টি ভীষণ চুম্বকীয়! আমি জুবুথুবু দৃষ্টিতে নিজের দৃষ্টি নত করে বললাম,
___ আচ্ছা আমি বাসায় যাচ্ছি।

রায়ান ভাইয়া একদৃষ্টে তাকিয়ে থেকে আরেকটু এগিয়ে এসে বললো,
___ এখানে কেন ডেকেছি সেটাই জিজ্ঞাসা করলেনা প্রীলিয়া! আমাকে বুড়ো বলে হাসলে, আরো হাসতে পারতে তো! আমি মুগ্ধ হয়ে সারারাত এখানে দাঁড়িয়ে তোমার হাসি দেখে যেতাম!

আমি একটু রাগী গলায় বললাম,
___ভাইয়া আপনি আবার এসব বলছেন? আপনার সাথে এসব কথা যায়, বলুন?

উনি আরেকটু এগিয়ে আসলেন। আর আমি আরেকটু পিছিয়ে গেলাম। হাতটা বাড়িয়ে উদাস চেহেরায় বললো,
___ আমাকে বিয়ে করবে প্রীলিয়া?

আমি এবার প্রচন্ডভাবে রেগে গেলাম। সরে গিয়ে চেহেরাটা পুরো বাংলার পাঁচ করে বললাম,
___ এই সময় এটা কি করে বললেন? আপনি ভালো করেই জানেন আপনার স্বপ্নের সীমান্ত কতদূর! একটু আগেই না ডায়েরিতে পড়লাম আপনি আমার মতো করে আমাকে বুঝবেন, তাহলে এটা বুঝেন না আমি কখন বিয়ের কথা চিন্তা করবো?

বিনয় নিয়ে রায়ান ভাইয়া বলতে লাগলো,
___বলো এতদিন ধরে আমি তোমাকে ভালোবাসি সেটা প্রকাশ করেছি? কিংবা বুঝাতে চেয়েছি? তারপরও হয়তো বুঝেছো তুমি! কিন্তু আমি না বলে পারছিলাম না। আমার ভীষণ ভয় হচ্ছে তোমাকে হারিয়ে ফেলি কিনা! আমি জানি তুমি ভীষণ কঠিন মনের, সেখানে আমার মতো একটা ছেলে এতো বছরেও কোনো পাত্তা পায়নি, তাতে অপরাধ করা একটা ছেলে দ্বিতীয়বার কোনো সুযোগ পাবেনা। কিন্তু তাও আমার ভীষণ ভয় করে প্রীলিয়া! তুমি আমার হবে তো? আমি তোমার জায়গায় কখনোই আর কাউকে ভাবতে পারবোনা, সত্যি বলছি তোমাকে না পেলে আমি এলোমেলো হয়ে যাবো। জানি এই কথাগুলোকে আবার আবেগ বলে হেসে উড়িয়ে দিবে, কিন্তু আমার এই বয়সটা আবেগের নয় প্রীলিয়া, এখানে ভুল করে কারো উপর মোহ জন্মায় না, যেটা কিনা পরবর্তীতে বদলে যাওয়ার। এখানে যেটা জন্মায়, সেটা সত্যিকার অর্থে কাউকে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা যেটা পূরণ না হলে বাকি জীবন একা কাটিয়ে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করে ফেলা যায়। তোমাকে না পেলে আমি বেঁচে থাকতে পারবোনা এমন নয়, কিন্তু একটা কিছুর মৃত্যু অবশ্যই হবে, সেটা আমার হৃদয়ের! প্রীলিয়া আমি তোমার জন্য আরো ১০০ বছর অপেক্ষা করতে রাজী, শুধু তুমি কথা দাও অন্য কারো হবে না?

কথাগুলো শুনতে শুনতে আমি পিছিয়ে যাচ্ছিলাম। দুচোখে মেঘেরডাক সাথে ঘুটঘুটে অন্ধকার, এখনি যেন শুরু হবে অঝোরে বৃষ্টিধারা!
আমি নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারছিলাম না। বুঝতে পারছিলাম না আমার ঠিক কি বলা উচিত! একদিকে আমি তিয়াসের সত্যটাও জানিনা, নুজহাতের সাথে হয়ে যাওয়া এতে বড় অপরাধ এখনো মাথায় চক্রাকারে ঘুরছে। কেন জানি মানুষকে বিশ্বাস করতে পারাটা আমার কাছে অসম্ভব লাগছে। না না আমি এমন কথা দিতে পারবোনা। আমি আর কোনো ভুল করবোনা। তার আগে আমি সন্ধান করে নিবো একটা নিখাঁদ সঠিক মানুষের। তড়িঘড়ি করে জীবনে অনেক ভুল করেছি, আর নয়। আগে নিজে প্রতিষ্ঠিত হই তারপর বাবা-মার মুখে হাসি টানাই তারপর বাকি জীবনটাতে আর কারোর দরকার আছে কিনা চিন্তা করবো!

তাকিয়ে দেখলাম রায়ান ভাইয়া আমার জবাব শুনতে অস্থিরতার সহিত তাকিয়ে আছেন। আমি মুখের উপরে বেয়ে উঠা চিনচিনে ঘামগুলো মুছে দিলাম আর স্পষ্ট গলায় বললাম,
___ কীভাবে কথা দিবো আমি? আজকে রাতেই যদি আমার মৃত্যু আসে তাহলে তো সারাজীবন আমাকে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী বলে সংজ্ঞায়িত করবেন। তাছাড়া আমি যেহেতু নিজের ক্যারিয়ার গড়ার আগে বিয়ের কথা ভাবছিনা, সেহেতু এমন ভয় পাওয়ার দরকার নেই। আমার অনেক সময় দরকার নিজের জন্যও আর মানুষ চেনার জন্যও! এতোদিন আপনি অপেক্ষা করতে হবে না, পরে দেখবেন বুড়ো হয়ে গেছেন,চুলে পাক ধরেছে, তখন কেউ আর তখন বিয়ে করছেনা।

___কেউ না করুক তুমি তো করবে প্রীলিয়া। আর তুমিও তো বুড়ি হয়ে যাবে তাইনা? তখন আমরা দুজন….

___প্লিজ ভাইয়া এমন উদ্ভট কথা বন্ধ করুন। আপনি সত্যি পাগল হয়ে গেছেন। যান এখন বাসায় যান। আমি কাল গ্রামের বাড়ি যাবো। গোছগাছ করতে হবে। রুমে যাচ্ছি।

বলেই আমি হাঁটা ধরলাম। তিনি পেছনে তাকিয়েই আছেন। হঠাৎ পেছন থেকে উনার গলায় জোরে জোরে বলতে শুনলাম,
___কিছু কিন্তু বললে না তুমি, আমাকে এখন এড়িয়ে যেতে পারলেও পরে কিন্তু পারবেনা। অনেক ভালোবাসি তোমায়।

আমি হাঁটার গতি কমালেও থামলাম না। কথাগুলো শুনে অজান্তেই একটুখানি হেসে সেখান থেকে চলে আসলাম। বাসার সামনে আসতেই মনে হলো আমার ডিম কেনার কথা ছিলো, সেখানে কিনা কিনে আনলাম হারিয়ে যাওয়া ভিন্ন রকম অনূভুতি!
দোকান থেকে দুইটা ডিম নিয়ে উপরে উঠলাম।
সেদিন রাতটা অদ্ভুতভাবে কেটে গেলো। জানিনা কেন কিছু দুঃখ আর কিছু অন্য রকম সুখ মানুষকে ভালো করে ঘুমাতে দেয়না।

সকাল সকাল তৈরি হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে দিলাম। ট্রেনের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। এতো সকালে চারপাশে মানুষজনও বেশি নাই, যখন বাসা থেকে বের হয়েছিলাম রাস্তায় দু একজনকে হাঁটতে বের হওয়া ছাড়া কাউকে দেখিনি।
ট্রেনে বসেও গতকাল সন্ধ্যার পরে রায়ান ভাইয়ার সাথে ঘটে যাওয়া কথাগুলো ভাবছিলাম। ট্রেনটা বিকট হর্ণের সাথে ধিরে ধিরে সামনে আগাচ্ছে, এমনি জানালার ওপাশে রায়ান ভাইয়াকে হঠাৎ দেখে চমকে উঠলাম। হাত নাড়িয়ে আমাকে টাটা দিচ্ছে।
আমি যতক্ষণ দেখা যায় পেছন দিকে তাকিয়েই রইলাম। এর মধ্যে জায়গাটা পার হয়ে গেলো আর উনার দাঁত বের করে সুপ্ত হাসি মুখটাও অদৃশ্য হয়ে গেলো। আজকে সকালের ট্রেনে বাড়ি যাবো শুনেছিল বলে মানুষটা এতো সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাকে বিদায় জানাতে এলো? সত্যিই কি এই ভালোবাসায় কোনো খাঁদ থাকতে পারে?

স্টেশনে পৌঁছাতেই ছোট ভাইকে দেখে খুশিতে জড়িয়ে ধরলাম। আমি ভালো করেই জানি সে গিফট পাওয়ার জন্য আগে আগে এসে হাজির হয়েছে।
আমি ওর জন্য নিয়ে আসা শার্টটা হাতে ধরিয়ে বললাম,
___ কিরে বাবা কোথায়?

সে প্যাকেটটা খুলতে খুলতে বললো,
___ বাবা জমিতে কি যেন সমস্যা হয়েছে, সেটা নিয়ে সকাল থেকে পর্যবেক্ষণ করছে।

ওর হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে আমিও হাসলাম। হাঁটতে হাঁটতে টিশার্টের উপরেই শার্টটা পরতে পরতে আগাচ্ছে, মুখ দেখে বুঝতে পারছিলাম ভীষণ পছন্দ হয়েছে।

বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই দূর থেকে স্পষ্ট দেখছিলাম মা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখতে পাওয়ার পর উনি আরো এগিয়ে আসছে।
দেখেই একটা দৌঁড়ে মাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছিলো। খুব তারাতাড়ি করেই এগিয়ে গেলাম। মা কাছে এসেই আমার হাতব্যাগটাও টেনে নিলো, কাঁদো কাঁদো স্বরে আমাকে হালকা জড়িয়ে ধরে বললো,
___, আমার লিয়া মা! রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নি তো মনা?

আমি মাথায় হাত রেখে বললাম,
___ না মা, একদম কোনো সমস্যা হয়নি। ব্যাগটা আমাকেই দাওনা।

মা নাছোরবান্দা, উনিই নিয়ে যাবে। আমি আর মানা করিনি। এদিকে আবার বাড়ির সামনে আসতেই দাদু গুটি গুটি পায়ে এসে খুশিতে কেঁদে উঠলো। দাদু আমার কাছে একটা অন্য রকম ভালোবাসা। আজ পর্যন্ত যতবার আমি বাড়িতে আসি ততবার খুশিতে তিনি কেঁদে বুক ভাসাবেন। জানিনা এই মানুষটা আমার সফলতা কখনো দেখতে পারবেন কিনা, তবে মা-বাবার চেয়ে উনিও কম খুশি হবেন না। এখনি উনি উনার বয়সী লোকেদের সাথে নিজের নাতনীর ভয়ানক প্রশংসায় মেতে উঠেন। সেসময় উনার মুখের হাসিটা আমাকে নিজের উপর ভীষণ তৃপ্ত করে! আর তখন আমার স্বপ্ন দেখার মাত্রাও বেড়ে যায় বহুগুণে! দাদু তিয়াসের ব্যাপারে শোনার পর থেকে আমার বিয়ে নিয়ে আর বায়না করেন না।
তিনি বুঝতে পারছেন উনার যুগের সহজ সরল দেখতে সাদাসিধে আর বিশ্বাসযোগ্য স্বভাবের মানুষগুলো এই যুগে আর নেই। এখন একেকটা ভালো রূপের আড়ালে লুকিয়ে থাকে অসংখ্য কালো রূপ!

ভেতরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আগে খেয়ে নিলাম। অনেকদিন পরে মায়ের হাতের রান্না,আহ! প্রতিবার আসার সময় ইচ্ছে করেই কিছু খেয়ে আসিনা, মায়ের হাতের রান্না খাবো বলে! তারপর খাবারের নিয়ম ভেঙে দিয়ে একদম গলা পর্যন্ত খাই।

খেয়েদেয়ে তেলের বোতলটা নিয়ে মা’কে বললাম মাথায় তেল দিয়ে দিতে। এটা মা’কে পেলেই একটা রোজকার বাহানা। তেল না হোক হাত বুলিয়ে অন্তত দিতে হবে।
মা হাসিমুখে মাথায় কিছুক্ষণ হাত বুলিয়ে তেল নিয়ে মাথায় লাগাচ্ছেন। হঠাৎ করেই মা একটু থেমে বললো,
___ ভার্সিটির কোন সিনিয়র ভাইকে তুই পছন্দ করিস আমাদেরকে তো বললিনা।

আমি হঠাৎ আৎকে উঠে ফিরে তাকালাম আর বললাম,
___ এসব কে বললো তোমায়?

___ ওই যে তোর নীরা ভাবী বললো । তিয়াস ওরে বলছে নাকি। নীরা এটাও বললো, তিয়াস নাকি এটা জেনে অনেক দুঃখে আছে। হ্যাঁরে ছেলেটা খুব ভালো বুঝি?

আমি মুখ ফিরিয়ে বললাম,
___ মা তেমন কিছুই না। তবে উনি অনেকদিন ধরে আমাকে পছন্দ করেন। আমি পাত্তা দিতাম না, ভেবেছিলাম সেটা শুধুই ভালো লাগা, আর কয়েকদিন পরে কেটে যাবে। কিন্তু কাল জানলাম উনি সত্যি আমাকে ভালোবাসেন। তবে তুমি তো জানো আমার এখন এসবে কোনো ইন্টারেস্ট নেই। তাছাড়া আমি তিয়াসের ব্যাপারে ভীষণ দোটানায়। সে ইচ্ছে করে এমন করছে নাকি এর পেছনে অন্য কোনো গুরুতর কারণ আছে! আমাকে জানতেই হবে মা, সে অনেক অপরাধ করেছে। কিন্তু কি করে জানবো সেটাই বুঝতে পারছি না। তাইতো বাড়ি আসলাম।

আমার কথা শুনে মা একটা উৎফুল্লের হাসি হেসে বললো,

___ লিয়া আমার কাছে দুর্দান্ত একটা উপায় আছে।

মা’র কথা শুনে আমার চোখ দুটো চকচক করে উঠলো, আবারও মুখ ফিরিয়ে জানতে চাইলাম,
___ মা কি সেই উপায়?

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here