#শুভ্র_বর্ষণ
#প্রভা_আফরিন
#পর্ব_১৫
শোভা গালে হাত দিয়ে বাহিরের ঝলমলে আকাশ দেখছে। পরিষ্কার আকাশ। তাতে সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবে ভেসে বেড়াচ্ছে কিছু শুভ্র মেঘ। অবশ্য আকাশ দেখা ছাড়া সে কোনো কাজ খুজে পাচ্ছে না। কিংবা পাচ্ছে কিন্তু শারীরিক পরিশ্রমের কাজ সে করতে নারাজ। তার চাই মোবাইল। যেখানে কিছু ইন্টারনেট খরচের মাধ্যমে ভরপুর বিনোদন পাওয়া যায়।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চললো অথচ রিয়াদের কোনো খবর নেই। ফোনটা কখন হাতে পাবে সেই নিয়ে শোভার ছটফটানি বাড়ছে। সারাদিনে একবারও অনলাইনে ঢু মারা হয়নি। কিন্তু রিয়াদ লাপাত্তা। শোভা রিয়াদের ফোনটা সুইচ অফ করেনি। করতে ইচ্ছেও করেনি। ওর মনে একটু উশখুশ করছিলো এটা জানার জন্য যে ওই নিমরস ব্যাক্তিটির কোনো বিশেষ মানুষ আছে কি না। তবে ফোন লক করা এবং পাসওয়ার্ড না থাকায় ফোন ঘেটে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। রিয়াদ যেভাবে বলেছে তাতে বিশেষ কেউ থাকলে নিশ্চয়ই কল দেবে, সেই আশায়, কৌতুহলে ফোন বন্ধ করার ইচ্ছা জাগেনি।
শোভা স্বীকার করতে না চাইলেও এটা ঠিক যে, একসময় সে রিয়াদের স্মার্টনেস পছন্দ করতো। যদিও রিয়াদের ক্রমাগত উপেক্ষা, অপমান এবং উভয়ের ঝগড়ায় কবেই তাতে ভাটা পড়ে গেছে। এখন ঝগড়াটাই যেন মূখ্য।
শোভা সারাদিন অপেক্ষা করে মাত্র দুইটা কল পেয়েছে রিয়াদের ফোনে। একটা অফিস কল এবং আরেকটা আননোন নাম্বার। সেই আননোন নাম্বার দেখে শোভার চোখ চকচক করে উঠেছিলো। ভেবেছিলো রিয়াদের সেই বিশেষ ব্যাক্তিটি বোধহয়। ফোন রিসিভ করে কানে ধরতেই সেই আশায় একরাশ নিরাসা জুটেছে। ফোনটা মূলত রিয়াদই করেছিলো তার অন্য ফোন থেকে, এটা বোঝার জন্য যে শোভা ফোন বন্ধ করেছে কিনা। শোভা হ্যালো বলতেই অপরপাশে রিয়াদের কন্ঠ ভেসে এলো।
“কি ব্যাপার, তুমি আমার ফোন কেনো অফ করোনি?”
শোভা প্রশ্নটায় হকচকিয়ে গেলেও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার ক্ষমতা তার রয়েছে। সে নিজের অবাকতা লুকিয়ে চোখা কন্ঠেই বললো,
“কাজ করছিলাম তাই ভুলে গিয়েছিলাম।”
অপরপাশ থেকে রিয়াদের কৌতুকপূর্ণ গলা পাওয়া গেলো,
“ভুলে গিয়েছো নাকি ইচ্ছে করেই বন্ধ করোনি? কোনটা?”
“ইচ্ছে করে বন্ধ করিনি মানে? আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড কি জেনে বসে আছি আমি যে ফোন ঘাটবো?”
“অন্যকিছুও হতে পারে। একজনকে নিয়ে আরেকজন মানুষের কৌতুহলের তো অভাব থাকে না।”
“কিসের কৌতুহল? আমার আপনার ব্যাপারে বিন্দমাত্র কৌতুহল নেই।”
“আসলেই! নেই বলছো!”
শোভা হকচকিয়ে গেলো। কৌতুহল অবশ্যই আছে। কিন্তু সেটা বুঝতে দিলে চলবে না। শোভা বললো,
“না নেই। সামান্য ফোন খোলা বা বন্ধ নিয়ে কিসের আগ্রহ থাকবে বুঝতে পারছি না।”
“আমার বিশেষ মানুষটার সম্পর্কে জানার ইচ্ছে হচ্ছে না!”
“আপনার বিশেষ মানুষ দিয়ে আমার কি! আজব! ফালতু কথা রাখুন। এবার বলুন আমার ফোনের কি খবর।”
“পেয়ে যাবে।”
খট করে ফোনটা কেটে গেলো। কিন্তু শোভা রিয়াদের কণ্ঠে একটা কৌতুকপূর্ণ হাসি ঠিকই টের পেয়েছে। আজকাল রিয়াদের আচরণ অনেকটাই বদলে গেছে। আগে দেখা হলে পাশ কাটিয়ে চলে যেত কিন্তু এখন উপেক্ষা না করে উল্টো ঝগড়া করে পা বাড়িয়ে। অবশ্য ঝগড়াটা রিয়াদ করে না। ঝগড়া করে শোভা। রিয়াদের কাজ শুধু তাতে ঘি ঢালা। এবং কথায় কথা বাড়িয়ে শোভাকেই নাস্তানাবুদ করা। এই নতুন স্বভাব টুকুও শোভার বেশ চিন্তার কারণ। কিন্তু সব চিন্তা ঝেরে ঝুরে ফেলে সেই এক ঘটনাই মাথায় আসে, ফুল চুরি থেকেই ঝগড়ার সূত্রপাত।
___________
রাহেলা বেগম খেয়াল করেছেন ছেলের ইদানীং দৌড় ঝাপ খুব বেশি হয়ে গিয়েছে। সারা সপ্তাহ অফিসে দৌড়ের ওপর থেকে ছুটির দিনটা নিশান্ত স্ত্রীর নিকট কাটাতে যায়। কিন্তু সেখানে যাওয়া আসাও একটা ধকলের মধ্যে পড়ে। এখন মনে হচ্ছে ব্যস্ততার মাঝে ছেলের বিয়ে দিয়ে তিনি ছেলেকে আরো ব্যস্ততায় ডুবিয়ে দিলেন। নিশান্তের চেহারায় ক্লান্তি ভাব দেখে রাহেলা বেগমের খারাপ লাগে। একটা দিন ভালো করে ছেলের যত্ন নিতে পারেন না।
কতবার বলেছে চাকরিটা বদলাতে। কিন্তু নিশান্ত দেখি দেখি করে আর বদলানো হলো না। অবশ্য পুত্রবধূ বাড়িতে থাকলে এই সমস্যার একটা সমাধান হয়। নিশান্তকে আর আলাদা করে দৌড় ঝাপ করতে হবে না। তিনিও একটা দিন ছেলেকে কাছে পাবেন। এই অল্প একটু দেখা আর কথায় কি কখনো মায়ের মন ভরে!
একটা সময়ের পর মেয়েদের সম্পূর্ণ আকাশ জুড়ে শুধু তার সন্তানদের বিচরণ ঘটে। অন্য সব ধ্যান জ্ঞান এর কাছে তুচ্ছ। আকাশটা ভালোবাসায় মুড়িয়ে রাখলেও মায়ের মন ভরে না। সন্তান বড় হতে হতে মায়ের আকাশ থেকে নিজের স্বাধীন আকাশে ডানা মেলে। সন্তানের নিজস্বতা তৈরি হয়। সেই স্বাধীন আকাশ টুকুও মমতাময়ী প্রবল মমতায় আগলে রাখে। অথচ তার নিজস্বতার সবটা জুড়ে শুধুই তার সন্তানেরা থাকে। রাহেলা বেগমেরও তাই।
এক ছেলে ডিফেন্সে যাওয়ার পর এমনিতেই তার বুকের ভেতর খা খা করে। তীব্র ভালোবাসার তেষ্টায় মুখিয়ে থাকে। ছোট ছেলের মাধ্যমে সেই তৃষ্ণা অনেকটা মিটে যায়। নিশান্ত তার উচ্ছলতা দিয়ে সেই তৃষ্ণা মিটিয়ে দেয়। বড় ছেলে বাড়ি ফেরার পরও এখন তার ভেতর আবারও সেই তৃষ্ণার অস্তিত্ব রয়েছে। একসাথে দুই ছেলেকে প্রানভরে দেখার আকাঙ্ক্ষা অল্পতে মিটছে না। মায়েদের এই তেষ্টা বোধহয় সারা জীবনেও মেটে না। তাই ঠিক করলেন মিহাকে যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে তুলবেন তিনি। রাহেলা বেগম এবার একটা ভরা সংসার দেখতে চান।
রাহেলা বেগম মনের কথা ছেলেকে জানাতেই নিশান্ত মায়ের ইচ্ছেতে সম্মতি দিয়েছে। তার নিজেরও এবার মনে হচ্ছে সম্পর্কের গতিশীলতা দরকার। এভাবে কাছে দূরে থেকে সে এবং মিহা, দুজনেরই শান্তি হচ্ছে না। আবার নিজের ব্যস্ততাও কমাতে পারছে না। এমন নয় যে নিশান্ত সারা বছরই ব্যস্ত থাকে। সারা বছর কাজের চাপ এতো থাকে না। অনেক সময় আরামেই কাটে। বছরে কয়েকটা মাস শুধু একটু বেশি পরিশ্রম যায়। চাকরি বদলাবে ভেবেও বদলানো হয়নি। কোম্পানির সাথে বন্ডিংয়েরও একটা ব্যাপার আছে। তাছাড়া টাকাও একটা বড় কারন।
নিশান্তের বাবা নাজমুল হক একজন রিটায়ার্ড আর্মি অফিসার। আগে একটা ব্যবসা করলেও বর্তমানে সমাজ সেবামূলক কজে নিযুক্ত। নিশান্ত চাকরি পাওয়ার পর থেকে বাবাকে আর ব্যবসা করতে দেয়নি দুইভাই। সংসারের একটা বড় অংশ নিশান্ত সামলায়। তাছাড়া এখন সে বিবাহিত। আল্লাহর ইচ্ছে হলে সন্তান-সন্ততি আসতেও সময় লাগবে না। খরচ দিন দিন বাড়বে বৈ কমবে না। সবদিক বিবেচনা করে, ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছুটা ব্যস্ততা সামলাতেই হয়।
মিহার জ্বরের ঘোরে বলা কথাগুলো নিশান্তকে এলোমেলো করে দিয়েছে। ভেতরে একটা খারাপ লাগা তৈরি হয়েছে। সে নিজেও তো স্ত্রীর থেকে দূরে থাকতে চায় না। সারাক্ষণ তার কাছাকাছি থাকতে চায়। প্রান ভরে ভালোবাসতে চায়। তাই মিহাকে নিজের কাছে এনে রাখাই নিশান্তের কাছে এখন উত্তম বলে মনে হচ্ছে।
রাহেলা বেগম ফোন করে আনোয়ার সাহেবকে নিজের ইচ্ছের কথা জানাতেই তিনি চুপসে গেলেন। বললেন,
“কিন্তু আমরা তো ঠিক করেছিলাম আমি হজ্জ থেকে ফিরলে সব হবে। ততদিন চলুক না যেভাবে চলছে।”
রাহেলা বেগম বললেন,
“আপনার কথা আমি বুঝতে পারছি ভাই সাহেব। আপনি হজ্জে যাবেন সামনের বছর। তার আগ পর্যন্ত নাহয় ছোট বউমা দুই বাড়িতেই যাতায়াত করবে।আমার এখানে এসে কিছুদিন করে থেকে যাবে।আপনার কাছে থাকলো, আর আমার কাছেও।”
আনোয়ার সাহেবের ভেতর এক অদ্ভুত বোবা কান্না ভর করলো। বিয়ে দেওয়ার সময় সব কত সহজ মনে হয়েছে। অথচ কবুল বলার পর মেয়ের ওপর যে জোর কমে যায় সেটা তিনি এখন বুঝতে পারলেন। জোর গলায় বলতে পারলেন না, মিহাকে আমি এখন এই বাড়ি থেকে যেতে দিতে চাই না।
নিজের ইচ্ছার আগে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির ইচ্ছাটা দেখতে হয়। সুমা বেগম ভাইয়ের বলার ধরন শুনেই বুঝে গেছেন ঘটনা। তার বুকের ভেতর তীব্র হাহাকার এসে হানা দিচ্ছে। বসার ঘরে সকলের মাঝে অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা ভর করেছে।
মিহা রুম থেকে বেরিয়ে সকলের এমন বিমর্ষ মুখ দেখে এগিয়ে এলো। মামার কাছে বসে মামার হাত ধরলো। আনোয়ার সাহেব ভাগ্নীর হাতটা মুঠো পুড়ে শক্ত করে ধরলেন। খেয়াল করলেন তার হাত কাপছে।
“কি হয়েছে মামা? এমন দেখাচ্ছে কেনো তোমাদের?”
“কিছু না রে মা। তুই একটু আমার কাছে বসে থাক।”
সুমা বেগম কাজের কথা বলে চলে গেলেন রান্নাঘরে। তার পেছনে ছুটলেন শিরীন বেগমও। মিহা কিছুই বুঝতে পারলো না। হঠাৎ কি হলো সকলের!
আনোয়ার সাহেব মিহাকে খেয়াল করে দেখলো। হুট করেই মেয়েটা বড় হয়ে গেছে। এইতো সেদিনও মাছের কাটা বেছে খাওয়া নিয়ে কি বিড়ম্বনায় না পড়লো। মামা মাছ বেছে না দিলে তার ইলিশ খাওয়া হয় না। মামা বাহিরে থেকে ফিরলে দৌড়ে গিয়ে হাতের ব্যাগটা নিয়ে নেয়। জোর করে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়। শোভাকে বড় বোনের মতো আগলে রাখে।
মেয়েটা চুপচাপ বোকাসোকা হলেও সাংসারিক বুদ্ধি তার আছে। শুধু নিজের মনের কথা জানাতে একটু দ্বিধা বোধ করে। জিজ্ঞেস না করলে নিজের প্রয়োজনের কথা মুখ ফুটে বলতে পারে না মেয়েটা। অথচ তাকে একদিন আস্ত এক সংসার সামলাতে হবে। সবার খেয়াল রাখতে হবে।
জগতের নিয়ম কত নিষ্ঠুর! কারো হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায়, যত্নে গড়া সন্তানকে দিয়ে দিতে হয় অন্য নীড়ে। সেই নীড়ই হয়ে ওঠে তার সব। তার নিজের।
মিহা রাতে জানতে পারলো বাড়ির সবার মন খারাপের কারন। নিশান্ত ফোন করে সব বলার পর ওর মন খারাপ হয়ে গেলো। আসলে মিহা দুই ধরনের অনুভূতির চাপে পড়লো। এক, সে তার স্বামীকে প্রতিদিন কাছে পাবে। এতে তার মনে আনন্দ ভর করছে। আর দুই, তাকে নিজের মা, মামা, মামী, শোভাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে। যেটা সে ভাবতেই কান্না পাচ্ছে। দুইয়ের মাঝে মন খারাপের পাল্লাটাই ভারী হলো। নিশান্ত বুঝতে পেরে প্রসঙ্গ বদলাতে বললো,
“তুমি কাল জ্বরের ঘোরে যা যা বলেছো তার জন্যই তো এতো জলদি তোমায় ঘরে তুলতে মত দিলাম। নাহলে আবার আমায় বেধে রাখলে তো আর চাকরি করতে পারবো না। সংসার চলবে কি করে!”
মিহা লজ্জা পেয়ে গেলো। কাল রাতের সব কথাই তার আবছা মনে পড়েছে। এরপর থেকে বেশ লজ্জাতেই ডুবে ছিলো সারাদিন। তাই আজ একবারও কল দেয়নি নিশান্তকে।
“কি হলো কথা বলছো না যে! আমি ঠিক বললাম তো! বউ অভিযোগ তুলেছে আমি তার ভালোবাসা বুঝি না। প্রেম বুঝি না। আমি একজন দায়িত্ববান স্বামী। এবং বউয়ের সেই অভিযোগ খন্ডানো আমার নৈতিক দায়িত্ব। তাইনা!”
“আ’ আপনি বোধহয় ক্লান্ত। আপনার ঘুমানো উচিৎ। আমারও দুর্বল লাগছে, ঘুমাবো।”
“ফোন যদি কেটেছো, আজ তোমারই একদিন কি আমারই একদিন।”
_________
শোভার ফোন ফেরত পেলো পরদিন সকালে। তবে পেছনের গ্লাস কভারটা সেইম ডিজাইনের নয়। কিছুটা আলাদা। এটা নিয়ে শোভা আবার ঝগড়া করবে কিনা ভাবছিলো রিয়াদ। তবে ওকে অবাক করে দিয়ে শোভা কোনো উচ্চবাচ্য করলো না। কারন আগেরটা থেকে এবারের কভারটা বরং সুন্দর লাগছে। শোভাকে কিছু বলতে না দেখে রিয়াদ কিছুটা বিস্মিত হয়েছে। মনে মনে একটা ঝগড়ার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলো সে। তাতে জল ঢেলে দিয়ে শোভা ঠোঁট টিপে হেসে রিয়াদের ফোন ফেরত দিয়ে চলে গেলো। রিয়াদ ওর হাসি দেখে ভ্রু বাকালো। হলো কি মেয়েটার! হঠাৎ এতো ভদ্রতা কি ভালো লক্ষন!
রিয়াদ পিছনে ফিরতেই ভড়কে গেলো। ওর পেছনে টফি লেজ নাড়াচ্ছে। বোধহয় বেশ খুশি খুশিও লাগছে তাকে। তবে রিয়াদের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। কারণ টফিকে মেক-আপ করানো হয়েছে। গালে গাঢ় গোলাপি ব্লাশন দেওয়া। কপালে কাজল দিয়ে বড় টিপ দেওয়া। চিকন, লম্বা স্টোনের দুইটা ক্লিপ ওর কানে আটকানো হয়েছে। ঠোঁটের বাহিরে বোধহয় লিপস্টিকও দিয়েছিলো, সেটা টফি চেটে ফেলেছে। হালকা লাল রঙ দৃশ্যমান ঠোঁটের কোণে।
টফি বারদুয়েক ডেকে রিয়াদের সামনে নিজের পা উঁচিয়ে দেখালো। সেখানে পিঙ্ক কালারের নেইলপলিশ। টফির মূলত সেই রঙটা পছন্দ হয়েছে বলেই এতো খুশি সে। রিয়াদের রাগ হলো। তার পরিষ্কার ছানাটাকে রঙ মাখিয়ে জোকার করে ফেলেছে। এই নির্বোধ ছানাও রঙ দেখে খুশি। কাজটা কে করেছে বুঝতে বাকি নেই ওর। পিছন ফিরে শোভাকে ডাকতে গিয়ে দেখলো শোভা ওদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। রিয়াদ তাকাতেই সে ঠোঁট গোল করে অদ্ভুত ভঙ্গিতে ভেংচি কাটলো। তারপর দৌড়ে পালালো ভেতরে।
চলবে….