#শব্দহীন_অনুভূতি
#পলি_আনান
#পর্ব_১১

দুপুরের সময়টাতে হৃদিতা এবং আরাফ দুজনেই একসাথে নিচে যায়।কিন্তু নিচে গিয়ে বাড়ির বেশির ভাগ সদস্যর অবজ্ঞার শিকার যে তাকে হতে হবে সে তা আগেই জানতো।আরাফের জেঠিমা হুমায়রা আর আইদা বাদে বাদ বাকি সবাই কানা চোখে তাকায় হৃদিতার দিকে।আরাফের পাশে একই ডাইনিং টেবিলে বসায়, আরাফের চাচি তানিয়া বিভিন্ন ভাবে হৃদিতাকে কথা শুনাতে থাকে। এতে টু-শব্দটাও করেনি আরাফ আর হৃদিতা।বরং তাদের দেখতে মনে হচ্ছে কোন কথাই যেন তাদের কর্ণকুহর পৌঁছাচ্ছে না। খাওয়ার শেষে হৃদিতাকে আরাফ ইশারা করে রুমে চলে যেতে, হৃদিতা মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে রুমের দিকে পা বাড়ায়।বর্তমানে এই বাড়ির সবার সাথে থাকার চেয়ে না থাকা তার জন্য ঢের ভালো।

– আরাফ,
– বল,
– আমার ভার্সিটির কাগজ পত্র ওই বাড়িতে।এডমিট কার্ড সহ যাবতীয় সব।আমি বরং এখন যাই আবার সন্ধ্যায় ফিরে আসবো।
– যাওয়ার প্রয়োজন মনে করছিনা আমি। তুই পড়তে বস আর বাকিটা আমি সামলে নিচ্ছি। নেহাকে বললে দিয়ে যাবে সমস্যা হবে না।নিশ্চিন্তে থাক।
হৃদিতা মুখের সামনে বই ধরে পড়তে শুরু করলো।কাল সকাল থেকেই তার পরিক্ষা একটু সময় ও অপচয় করা যাবে না।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়ে পরিক্ষার দিনটা চলেই এলো।সাত সকালে বাকি পড়াটা পড়ে হৃদিতা তৈরি হয়ে নেয়।হুমায়রা আজ হৃদিতাকে নিচে যেতে দেয়নি বরং আগে থেকেই আরাফ আর তার জন্য রুমে নাস্তা পাঠিয়ে দেয়।বোরকা পরে নিকাবটা মুখের উপর দিয়ে পার্ফেক্ট ভাবে তৈরি হয়ে নেয় হৃদিতা।আজ তার গায়ে তার অতীতের দীর্ঘ পুরানো বোরকাটি নেই। আজ আরাফের দেওয়া নতুন বোরকাটি গায়ে জড়িয়েছে সে। ব্যাগ পত্র গুছিয়ে নিতেই হৃদিতা উপলব্ধি করে আজ আরাফের মন মেজাজ একদম ভালো নেই।সকালে কার সাথে যেন ফোনে তর্কাতর্কি করলো এখন আবার মুখটা গম্ভীর করে শার্ট পরে তৈরি হচ্ছে।
– আরাফ আমি বরং একা চলে যাই।
– ওই দাড়া! কয়েকটা কথা আছে শুনে যা দ্রুত।
হৃদিতা থামে। প্রশ্ন বিদ্ধ চোখ নিয়ে আরাফের দিকে তাকিয়ে থাকে।আরাফ পেছনে ঘুরে শার্টের কলারটা ঠিক করতে করতে বলে,
– যাওয়ার সময় আমার সাথেই যাবি তবে তোকে ভার্সিটির কিছুটা আগে নামিয়ে দেবো।আর আশার সময়ও আমার সাথেই আসবি।আর বিয়ের প্রসঙ্গে কিছু কথা, তোর আর আমার বিয়ের কথা যেন একটা কাক-পক্ষিও টের না পায়।আমার ফ্রেন্ড শাকীল আর নাফিসা ছাড়া কেউ যেন না যানে,আর ওরা আগে থেকেই যানে।যা বলছি আশা করি বুঝতেই পারছিস।ওই পেট মোটা লিবান ও যেন না যানে। না মানে না।
আর বিয়ে সর্ম্পকিত কোন বাক্যালাপ যেন ভার্সিটিতে না হয়।যদি কেউ যানতে চায় তুই আমার সাথে কেন আসা যাওয়া করিস বলবি আমরা সবাই মিলে গ্রুপ মিলে স্টাডি করি।

হৃদিতা এখবো আহাম্মকে মতো তাকিয়ে আছে আরাফের দিকে।সে বুঝতে পারছে না এত লুকোচুরি কেন এই বিয়েটা নিয়ে। হৃদিতার চোখের দিকে তাকিয়ে আরাফ বুঝে নেয় তার সংশয় গুলো।
– আমি বুঝতে পারছি বিয়ের বিষয়টা যানানো নিয়ে আমার এতো নিষেধাজ্ঞা কেন?তাই তুই নিশ্চই অবাক হচ্ছিস।
– অবাক হওয়ার কি আছে নিশ্চই বিয়ের কথা শুনলে তোর গার্লফ্রেন্ড জুটবেনা তাই লুকোচুরি খেলছিস।
আরাফ নিঃশব্দে হাসতে থাকে। চুলে ব্রাশ করতে
করতে আয়না থেকে হৃদিতার প্রতিবিম্বে দৃষ্টি রাখে,

– আহারে পিচ্চি,সব কথায় নেগেটিভ মাইন্ডে না নিলেও হয়।গত কয়েকদিনে পড়ার খাতিরে আমাদের মেলামেশাটা মোটেও পছন্দ করতো না লিবান।লিবান সহ বেশ কয়েকজনের চোখে বিষয়টি ধরাও পরে। তোর মতো নিশ্চুপ, একটা মেয়ে আমার মতো ছেলের সাথে কি করে মেলামেশা করছে স্টেইঞ্জ!এখন যদি বিয়ের কথাটা পাবলিক হয় তবে তোর উপর সবাই আগে আঙুল তুলবে।সবাই ভেবেই নিবে তোর আর আমার মাঝে নিশ্চই খারাপ কিছু হয়েছে।যার কারনে এই প্লে বয় আরফকে তোর বিয়ে করতে হয়েছে।তুই নিজেই বল আমার মতো একটা বেকার,ভাবঘুরে ছেলেকে তোর মতো ব্যাক্তি সম্পূর্ন মেয়ে কেন বিয়ে করবে?

হৃদিতা তার দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। সত্যিত!কেন আরাফের মতো ছেলেকে সে বিয়ে করবে? কিন্তু আরাফ কি এটা যানে, ভালো আর পড়াশোনায় ভালো হলেই যে এই পৃথিবীতে শুরু থেকে মাথা উচু করে বাঁচা যায় তা কিন্তু নয়।মাথার উপরে যার বাবা-মা নামক ছানি নেই সে কখনোই হয়তো এগিয়ে যাওয়ার ভরসাটা পায় না।এই তো এত ব্যাক্তিত্ব, পড়াশোনার মাঝেও তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল মধ্যে বয়স্ক একজনের সাথে।কিন্তু বাবা মা থাকলে এমন পরিস্থির ফেস তাকে কখনোই করতে হতো না। মনের চাপা কষ্টটা চাপা রেখেই আরাফের দিকে সম্পূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।
– ওকে কেউ কিচ্ছু যনাবে না। আমি আমার মতো তুই তোর মতো।

হৃদিতা লেডিস ব্যাগ নিয়ে দরজার সামনে চলে যায়। কি মনে করে যেন আবার ফিরে তাকায়।ঘাড় ঘুরিয়ে আরাফকে উদ্দেশ্য করে বলে,
– তোর যাথে কখনোই সংসার বাধঁতে চাই না আমি আরাফ।তুই আর আমি তেল আর জলের মতো যারা মিশতে চায় তবে কিছু কারনে আবার ছিটকে দূরে সরে যায়।

হৃদিতা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আরাফ হাতে থাকা চুলের ব্রাশটা দেয়ালের সাথে ছুড়ে মারে। রাগে সারাশরীর জ্বালা করছে এত অবহেলা এত অবজ্ঞা কেন?

বাংলাদেশে মাটিতে পা রাখতেই উচ্ছ্বসিত মাইশা।নোমানকে সারপ্রাইজ দেওয়ার লোভ সামলে নিতে এখনো কোন যোগাযোগ করে নি সে।তার বাবা গিয়াস দেওয়ানকে নানান ছল বাহানায় রাজি করিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখে সে।এয়ারপোর্টে থেকে সোজা কোন হোটেল বুক না করেই নোমানের বাড়িতে গিয়ে উঠে। ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়া টাইলসের উপর ঠকঠক শব্দ করে হাই হিল পড়া এগিয়ে আসছে একটি মেয়ে।ঘাড়ের কাছের চুল গুলো দোলাতে দোলাতে বাড়ির এদিকে থেকে সেদিক চাতক পাখির মতো দৃষ্টি দিচ্ছে।
হঠাৎ এমন একটি মেয়েকে ঘরের ভেতরে দেখেই অবাকের শেষ সীমানায় পৌছে যায় তানিয়া।

-এই মেয়ে কে তুমি?আর এখানে কি চাই তোমার?
সামনে থাকার ব্যাক্তিটির উগ্র কন্ঠ শুনেই চোখ কুচকে নেয় মাইশা।
– হেই,আমি মাইশা?তুই নিশ্চই আইদা আদীবের মম!
মাইশার কথা শুনেই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে তানিয়া। কয়েক সেকেন্ডে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে আবারো বাজঁখাই গলায় বলে,
-তোমাকে বাড়িতে ডুকতে দিয়েছে কে?কার পার্মিশনে ডুকেছো আর কার গেস্ট তুমি?
– নোমান! আমি নোমানের শুভাকাঙ্ক্ষী।
– হাহ!নোমান, বিশ্বাস হচ্ছে না আমার। দ্রুত বাড়ির বাইরে গিয়ে দাঁড়াও নোমান আসলে বাকিটা বুঝে তোমায় ভেতরে আসতে দেবো।

তানিয়ার কথা শুনে এগিয়ে আসে নোমানের মা হুমায়রা।তাকে দেখেই উচ্ছ্বসিত কন্ঠে মাইশা কুশল বিনিময় করে কিন্তু এখনো মাইশার বিষয়ে সুস্পষ্ট নয় হুমায়রা।
– তা তুমি কার গেস্ট তা তো বল্লে না।
-আমি নোমানের গেস্ট।নোমান আর আমার বছর খানিক রিলেশন চলছে কিন্তু নোমান আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছে। বিষয়টা আমি কিছুতেই মানতে পারছি না আন্টি।আপনি প্লিজ কিছু একটা করুন!
মাইশার কথায় সবাই বিষ্ফরিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কি বলছে এই মেয়ে?
তাদের কথার মাঝেই বাড়ি ঢুকে নোমান।কিন্তু মাইশাকে দেখতে পেয়ে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে যায়।
– একি,এই মেয়ে এখানে কি করছে?মা এই মেয়েকে বাড়ি ঢুকতে দিলো কে?
নোমানের ধমক সুরের কথায় কেঁপে উঠে উপস্থিত সবাই।
মাইশা বুঝতে পারে এখন নোমান এখানে মারাত্নক সিনক্রিয়েট করবে তাই দ্রুত এগিয়ে যায় নোমানের দিকে।
-বাহ নোমান বাহ! আমাকে এই বাড়িতে খবর দিয়ে এনে এখন বলছো আমাকে ডুকতে দিলো কে?
– মানে? কি বলছো এইসব,কে বাড়িতে আসতে বললো তোমায়।
মাইশা নোমানকে উপেক্ষা করে হুমায়রার সামনে দাঁড়ায়,
– আন্টি আপনার ছেলে যে বিয়ে করেছে এই খবর সে আমায় দিলো না।কিন্তু এখন যখন আমি যেনে গেছি এবার আমায় বললো তার নতুন বউ যেন এসে দেখে যাই। এবার আসলাম কিন্তু তোমার ছেলে আমায় বাড়ি থেকেই বের করে দিতে চাইছে এইসব কোন ধরনের ফাজলামো একটু বলবেন আন্টি।
নোমানের রাগের মাত্রা প্রবল বেড়েই যাচ্ছে। মাইশার সাথে তর্ক না করে বরং দ্রুত উপরের দিকে যেতে নেয়।তখনি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-এই মেয়েকে যেন আমি রুম থেকে বের হলেই বাড়ি থেকে চলে যেতে দেখি।

নোমান উপরে চলে যায় কিন্তু তানিয়া আর হুমায়রা অবাক হয়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।হুমায়রা মাইশার হাত টেনে সোফায় বসায়।তার পাশে নিজেও বসে গমগম সুরে বলে,
– এই মেয়ে তুমি কি বলছো এইসব, নোমান কখন বিয়ে করলো?
– কেন একদিন আগেই।আপনিও কি আপনার ছেলের মতো বিয়ের বিষয়টি লুকোনোর চেষ্টা করছেন।পরসূ নোমান বিয়ে করে বাড়িতে বউ নিয়ে ডাইরেক ঢুকেছে।আমি আমার স্পাইয়ের মাধ্যেমে যেনেছি।

মাইশার কথা বলার ভাবভঙ্গি আচার আচরণের ভাবভঙ্গিতেই হুমায়রা বুঝে নেয় এই মেয়ে নিশ্চই কোন আলালের ঘরের দুলালি।
– এই মেয়ে কি বলছিস তুই?নোমান বিয়ে করেনি বিয়ে করেছে এই বাড়ির ছেলে আরাফ।ভুল যানিস তুই।
হুমায়রার কথা শুনেই তড়াক করে উঠে বসে মাইশা।
– আন্টি কি বলছেন?আমি জানি নোমান বিয়ে করেছে।
– না নোমান না আরাফ।আরাফ তার ক্লাসমিট হৃদিতাকে বিয়ে করেছে।
মাইশা ধুপ করে সোফায় বসে যায়। কিছুক্ষন চুপচাপ থেকে হুমায়রার কাছ থেকে অনুমতি নেয় নোমানের রুমে যাওয়ার কিন্তু তিনি বারন করলেও দুরন্ত মাইশা নোমানের রুমে যাওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নেয়।
ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে ঢোকার আগে দরজা লক করতে ভুলে যায় নোমান। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার রুমে ঢুকে মাইশা।দ্রুত ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই নিজের রুমে মাইশাকে দেখে চরম ক্ষিপ্ত হয় নোমান।
– এই মেয়ে এই রুমে কি করছো তুমি?সমস্যা কি তোমার।
-আমার রুমে আমি আসতেই পারি। তোমার তো সমস্যা হওয়ার কথা না।
– তোমার রুম মানে?
-আমার ফিউচার বরের রুম। তার মানে কি আমারো রুম।
– হ্যা মুখে ঘাস দিয়ে এইসব ভুল ধারনা নিয়ে চলো। আর আমি তোমার সামনে দিয়ে অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করে এই বাড়িতে ঢুকবো। সেদিন দেখি কি করতে পারো.
নোমানের কথায় শুনে মাইশা,নোমানের দিকে আরো কয়েক কদম এগিয়ে যায় ।নোমানের কানের কাছে মুখ নিয়ে বিড়বিড় করে বলে,

– আমি উপড়ে নেবো সেই দুচোখ যে দুচোখ দিয়ে ওই মেয়ে তোমায় দেখবে।হাত কেটে দেবে সেই মেয়ের যে মেয়ে তোমায় স্পর্শ করবে।আর লাশ ফেলে দেবো সেই মেয়ের যে মেয়ে তোমাকে তার বলে দাবি করবে।
মাইশার কথায় আরাফ ঠোঁট কামড়ে হাসে। মাইশার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে,
– এখনো সময় আছে মাইশা দেওয়ান এই বাড়ি,আমার লাইফ ছড়ে চলে যাও।তা না হলে একটু আগে যে বর্ননা গুলো তুমি দিয়েছো সেই বর্ননা গুলো একে একে তোমার উপর প্রয়োগ করবো আমি।
– হাহ,এত সহজ নয়।মাইশা দেওয়ানের চোখ সব কিছুর উপর পরে না। আর যে জিনিসের উপর পরে সে জিনিসটা সে কখনো নিজের কাছ থেকে হারাতে দেয় না। হোক সেটা মানু্ষ কিংবা কোন বস্তু।
মাইশার দৃঢ় কন্ঠে সুপ্ত রাগটা আবার চেপে বসে নোমানের মাথায়। হঠাৎ করেই মাইশার চুলের৷ ভেতর হাত দিয়ে ঘাড়ে দুইটা আঙুল এবং গলায় বৃদ্ধা আঙুল দিয়ে বেশ জোরে চেপে ধরে। মাইশা ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলেও মুখদিয়ে আর্তনাদ করলো না। বরং শক্ত চোখে নোমানের দিকে তাকিয়ে রইলো।
– কি ভেবেছো নোমান ভালো ব্যবহার করছে এই না তোমার সব কিছু সহ্য করে নেবে। সময়, সুযোগ দুটোই দিচ্ছি বেরিয়ে যা বাড়ি থেকে।
মাইশা ঠোঁট বাকিয়ে হেসে প্রত্যুওর দেয়,
– আমি যদি তোমার জীবন থেকে সরে যাই তবে মনে রেখো প্রতিটা মূহুর্তে বিপদে পড়বে। যাস্ট একবার বেরিয়ে যাই,তবেই বুঝবে এই মাইশা দেওয়ান কি ছিল।
নোমান ছিটকে দূরে সরিয়ে দিলো মাইশাকে। তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতেই মাইশা চুল ঠিক করতে করতে বলে,
– আমি যাচ্ছি না এই বাড়ি থেকে বিষয়টা মাথায় রেখো।
#চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here