মেঘের_আড়ালে_মেঘ”৩৩”
#জেরিন_আক্তার_নিপা

আজ দুইদিন ধরে মেহরীনের কোন খোঁজ নেই। সেদিন ইরফানের অফিস থেকে বেরিয়ে যাবার পর কেউ আর মেহরীনকে দেখেনি। ইরফান পাগলের মত মেহরীনকে খুঁজছে। মেহরীন সেদিন বাড়িও ফিরেনি। আয়াম তাকে না পেয়ে অস্থির হয়ে উঠেছে। ছেলেটা দুটা দিন ধরে মাম্মী কোথায়, মাম্মী কোথায় বলে বলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মেহরীনের চোখে নাহয় ইরফানও দোষী। তাই বলে ইরফানের দোষের শাস্তি আয়ামকে কেন দিবে সে? ওদের ছেড়ে চলে যাবার আগে একটা বার আয়ামের কথা ভাবল না সে! ছেলেটা যে মাম্মী ছাড়া কিছু বুঝে না এটা মেহরীনের থেকে ভালো কে জানে। তবুও সে আয়ামকেও ফেলে চলে গেল!
ইরফান কিছু ভাবতে পারছে না। সে মেহরীনের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে অনেকবার ভেবেছে। তার উচিত ছিল প্রথম যেদিন অনন্ত তার কাছে এসেছিল সেদিনই অনন্তর উদেশ্যের কথা মেহরীনকে জানিয়ে দেওয়া।

“মানছি আমার দ্বারা ভুল হয়েছে। তাই বলে সেই ভুল সংশোধন করার একটা সুযোগ দিতে পারলে না আমাকে! এভাবে কাউকে কিছু না জানিয়ে কোথায় হারিয়ে গেলে। তোমার পরিবার, তোমার ছেলের কথা একবারও মনে পড়ছে না! আমার কথা তোমার মনে পড়ছে না মেহরীন। যখন তোমাকে দূরে রাখতে চেয়েছিলাম তখন তো জোর করেই আমার আশেপাশে থেকেছ। আজ যখন কাছে টেনে নেওয়ার সময় হলো তখনই আমাকে ছেড়ে চলে গেলে! চলেই যদি যাবে তাহলে ভালোবেসে ছিলে কেন আমায়? আমাদের নতুন করে বাঁচতে শিখিয়ে তুমি এভাবে চলে যেতে পারো না। যেখান থেকেই হোক, আমি তোমাকে ঠিকই খুঁজে বের করব। তোমাকে খুঁজে বের করে জোর করে হলেও আমার সাথে নিয়ে আসব। আসতে না চাইলে হাত পা বেঁধে আনব। আমাদের অনুভূতি নিয়ে খেলার অধিকার তোমার নেই। বিশেষ করে আমার ভালোবাসা…

গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে কয়েকটা চাপড় মারল সে। আজও ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ না হয়েই মেহরীনকে খুঁজতে বেরিয়েছে সে। একটা মানুষ হঠাৎ করে একেবারে গায়েব হয়ে যাবে কী করে? কোথাও কারো কাছে তো যাবে। সেই কোথাও আর কে টাকা কে? ইরফান এখন কোথায় খুঁজবে ওকে?
.
দরজা খুলে দিয়ে মেহরীন সেই ভদ্রমহিলাকে দেখে মৃদু হাসির চেষ্টা করে সালাম দিল।

” আসসালামু আলাইকুম ফুপি। কেমন আছেন আপনি?”

ভদ্রমহিলা মেহরীনকে পাশ কাটিয়ে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বললেন,

“এইতো মা আমি আছি আলহামদুলিল্লাহ। তোমার শরীর এখন কেমন আছে?”

“ভালো ফুপি।”

ভদ্রমহিলা মেহরীনকে দেখে বলল,

“কোথাও বেরুচ্ছ নাকি মা?”

“জি আন্টি। কয়দিন এভাবে আপনার উপর বোঝা হয়ে থাকব বলুন? নিজেকে কিছু একটা কাজ তো করে খেতে হবে। অত্যন্ত নিজের হাতখরচ চালানোর মত কিছু একটা করতে হবে।”

“তা করবে। আমিও সব সময় বলি, পৃথিবীর সব মেয়েদের উচিত আগে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তারপর ঘরসংসার করা। নইলে সারাজীবন স্বামীর কাছে হাত পাততে হবে। বুয়ার মত রাখবে বুঝলে। আমার স্বামীও প্রথম প্রথম আমার উপর খবরদারি করত। ওকে এমন টাইট দিয়েছি, এখন আর আমাকে কোন কিছুতেই বাধা দেয়না। দেখো আজ আমি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। নিজের একটা ক্লিনিক আছে।”

মেহরীনের ডাক্তারি পড়া মাঝপথে থেমে গিয়েছিল। সে কী ভদ্রমহিলাকে বলবে, ফুপি আপনার ক্লিনিকে আমার একটা কাজ দিতে পারবেন? নার্সিং এর অনেক কিছুই জানি আমি।
উঁহু উনার কাছ থেকে যা সাহায্য পেয়েছে এর থেকে বেশি কিছু চাইতে গেলে ছোটলোকি হয়ে যাবে। চেনা নেই, জানা নেই এই মহিলা তাকে রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। অবশেষে নিজের ফ্ল্যাটে জায়গা দিয়েছে। এখন উনার কাছে কাজ চাওয়া অন্যায় হয়ে যাবে। সে বরং তার আগের নাচের স্কুলেই ফিরে যাবে। ম্যাম তাকে স্নেহ করেন। নিশ্চয়ই দ্বিতীয় বারের মত এবারও তাকে ফেরাবেন না। তার একার থাকা খাওয়ার জন্য ওই জবই যথেষ্ট।
মেহরীন যখন নিজের ভাবনায় মগ্ন তখন ভদ্রমহিলা তাকে স্নেহভরা দৃষ্টিতে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন। মেয়েটা একদম তার ভাইঝি হামনার মতন দেখতে। উনার গাড়ির নিচে মেহরীন চলে এলে কোনরকমে ব্রেক কষে উনি মেয়েটাকে বাঁচিয়ে নিয়েছেন। মেহরীনকে প্রথম দেখে কয়েক মিনিট উনি স্তব্ধ হয়ে চেয়ে ছিলেন।
.
মেহরীন ইরফানের অফিস থেকে বের হয়ে উদেশ্যহীন ভাবে চোখ মুছতে মুছতে হাঁটছে। ওখান থেকে বেরিয়ে আর একবারও পেছন ফিরে তাকায়নি সে। পেছনের কোন শব্দ তার কানে আসছে না। ফেলে আসা মানুষ দু’জনের ওর জীবনে আর কোন জায়গা নেই। ওরা দু’জন মিলে ওকে যথেষ্ট অপমান করেছে। কষ্ট যেটুকু পাওয়ার ছিল সে পেয়েছে। আর কাউকে সে তার জীবন নিয়ে খেলতে দিবে না। মানুষ দু’টো তার আত্মসম্মানে এমন ভাবে আঘাত করেছে যে, এই জীবনে চাইলেও মেহরীন আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারবে না। তার ভেতরটা ভেঙেচুরে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। চোখের জল বাঁধই মানছে না। মাথাটাও ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। যাকে সে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করতো সেই তাকে এভাবে ঠকাল। এভাবে তার সম্মান হানী করলো। নিজের জীবনটা নিছকই মূল্যহীন অপ্রয়োজনীয় মনে হতে লাগলো মেহরীনের কাছে।
আনমনা হয়ে হাঁটতে থাকলো সে। পার্কিং লট থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে যাচ্ছে মেহরীন। কোথায় তার গন্তব্য তার জানা নেই। মেইন রাস্তায় অসংখ্য গাড়ি চলাচল করছে যার কোন শব্দই আসছে না মেহরীনের কানে। যতক্ষণে তার নজর সামনে পড়ে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। একটা গাড়ি তাকে চাপা দিয়ে দিচ্ছে। মেহরীন চেয়েও সরে যেতে পারল না। এখানেই হয়তো সব শেষ। মেহরীন আত্মরক্ষার তাগিদে দুই হাত মুখের সামনে তুলে ধরল।
মিসেস হেমা গাড়ির সামনে একটা মেয়েকে চলে আসতে দেখে তাতক্ষনাৎ ব্রেকে পা চেপে ধরেন। তবুও শেষরক্ষা হলো না। মেয়েটা ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গেছে। মিসেস হেমা ব্যস্ত হয়ে নেমে এলেন। এতক্ষণে রাস্তার উৎসুক জনতা উনার গাড়ি ঘেরাও করে ধেরেছে। এখানে কী হয়েছে তা দেখার জন্য সবার চোখে সমান আগ্রহ।

“দেখি,দেখি৷ আপনারা একটু সাইট দিন তো। এভাবে ঘেরাও করে ধরেছেন কেন হ্যাঁ। মেয়েটাকে তো কেউ ধরছেন না। নাটক দেখার জন্য এখানে জড়ো হয়েছেন! সরুন সবাই।”

মেহরীন একজন মহিলার গমগমে মোটা গলা শুনতে পেল। ভদ্রমহিলা সবাইকে যেভাবে ধমকাচ্ছেন। হয়তো তাকেও ধমক দিয়ে বলে বসবে,

“এই মেয়ে তুমি আমার গাড়ির নিচে মরতে এলে কেন শুনি? রাস্তায় কি গাড়ির অভাব পড়েছে। এরজন্য তোমার জরিমানা হবে। দাও এক্ষুনি পঞ্চাশ হাজার টাকা বের করো।”

মেহরীন কনুইয়ে, হাঁটুতে ভীষণ ব্যথা পেয়েছে। এক সপ্তাহ হাঁটতে পারবে বলে তো মনে হচ্ছে না। তার সাথেই কেন সব ঝামেলা ঘটতে হয়! তাকেই মানুষ ঠকায়। গাড়ি এসেও তাকেই ঠুকে দেয়। সে হয়তো ঝামেলা লগ্নে জন্মেছে। নইলে তার ঘাড়েই সব ঝামেলা এসে ভর করবে কেন?

“দেখি মা, দেখি। বেশি ব্যথা পেয়েছ? কোথায় লেগেছে তোমার?”

মেহরীন উনার দিকে ফিরলে ভদ্রমহিলা এমনভাবে চমকালেন যেন, মেহরীন কোন মানুষ না। ও জলজ্যান্ত আস্ত একটা ভূত্নী। ভদ্রমহিলা চোখের সামনে পেত্নী দেখছেন।
মিসেস হেমা চোখের সামনে নিজের মৃত ভাইঝিকে দেখছেন? এটাও সম্ভব! এই মেয়ে হামনা? মিসেস হেমা কয়েক মুহূর্ত নিজেকে সময় দিলেন। মনে মনে কোন একটা যুক্তি দাঁড় করিয়ে নিজেকে সামলালেন। এটা হামনা হতেই পারে না।
এতক্ষণে মেহরীন উঠে দাঁড়িয়েছে।

“সরি ম্যাডাম। আমি ইচ্ছে করে আপনার গাড়ির সামনে আসিনি। আত্মহত্যা করার আমার কোন উদেশ্য ছিল না। আমি তো কিছু ভাবতে ভাবতে হাঁটছিলাম। কখন আপনার গাড়ির সামনে এসে পড়েছি বুঝতেই পারিনি।”

মেহরীনের অপরাধবোধ দেখে মিসেস হেমা কোমল গলায় বললেন,

“না,না। তোমার সরি বলতে হবে না। দেখি কোথায় ব্যথা পেয়েছ তুমি? বেশি ব্যথা লেগেছে মা?”

অচেনা মহিলাটা তাকে মা বলে সম্মোধন করছে শুনে মেহরীনের চোখ ভিজে এলো। মানুষ কত সহজে মায়ার জাল ছড়িয়ে দিতে পারে।

“আমার কোথাও লাগেনি আন্টি। আমি এখন যাই।”

“কোথায় যাচ্ছিলে তুমি? আমাকে বলো আমি তোমাকে নামিয়ে দিয়ে আসি।”

মেহরীনের যাবার মত কোন জায়গা নেই। এখন সে কোথায় গিয়ে ঠাঁই নিবে তা সে নিজেও জানে না।

“না,না আন্টি। আপনাকে শুধু শুধু কষ্ট করতে হবে না। আমি একা যেতে পারব।”

মেহরীন উনার সামনে থেকে চলে আসতে নিয়ে কয়েক পা সামনে এগিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গেল। মিসেস হেমা তাকে নিজের ক্লিনিকে নিয়ে যায়। প্রচন্ড মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার কারণে সেন্স লেস হয়ে গেছে সে। প্রেশারও একেবারে লো। মনে হয় মেয়েটা আজ সারাদিন কিছু খায়নি। তার উপর আবার গা গরম। জ্বর থেকে উঠেছে হয়তো। এই মেয়ে একা একা কোথায় যাচ্ছিল।
ক্লিনিকে তার জ্ঞান ফিরেনি দেখে মিসেস হেমা তাকে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে। এই ফ্ল্যাটে অবশ্য তিনি থাকেন না। খালিই পড়ে আছে।
.
মিসেস হেমা মেহরীনের পাশে অনেকক্ষণ বসে রইলেন। মেয়েটার এখনও জ্ঞান ফিরছে না কেন?
মিসেস হেমা হুমায়রার নম্বরে কল করলেন।
ওপাশ থেকে হুমায়রার নীরস গলা শোনা গেল।

“ফুপি, ইউএস থেকে ফিরেছ কবে তুমি?”

“গতকাল রাতেই। কিন্তু তোর গলা এমন শোনাচ্ছে কেন হুমু? আমি দেশে ফিরেছি এতে যেন তুই খুশি হোসনি। প্রতি বার তো লাফাতি। ফুপি আমার জন্য কী এনেছ। আজ ফোন ধরে ফুপি বলে চেঁচিয়ে আমার কান ফাটালি না। ব্যাপার কিরে? ভাইয়া ঠিক আছে তো? আবার উনার শরীর খারাপ করেছে নাকি?”

“সবাই ঠিক আছে ফুপি।”

“আচ্ছা তুই বলেছিলি আমি ফিরলে আমাকে নাকি সারপ্রাইজ দিবি। আজ তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। তাড়াতাড়ি আমার ক্লিনিকের পাশে যে ফ্ল্যাটটা আছে ওখানে চলে আয়।”

“আজ আসতে পারব না ফুপি। আর তোমার সারপ্রাইজটাও হারিয়ে গেছে।”

হুমায়রা ফুপির সামনে মেহরীনকে দাঁড় করিয়ে ফুপিকে চমকে দিবে ভেবেছিল। তাই সে এতদিন ফুপিকে মেহরীনের কথা কিছুই জানায়নি। কিন্তু মেহরীনকেই তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুলাভাইয়ের উপর অভিমান করে কোথাও চলে গেছে সে।
ফুপির জোড়াজুড়িতে হুমায়রাকে যেতে হয়েছিল। সেখানে গিয়ে মেহরীনকে দেখে সে নিজেই চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না।

“ফুপি তুমি ওকে কোথায় পেলে?”

“তুই চিনিস ওকে?”

“হ্যাঁ। ওকে দেখিয়েই তো তোমাকে সারপ্রাইজ দেব ভেবেছিলাম।”

তারপর মিসেস হেমা বলতে থাকেন কীভাবে উনি মেহরীনকে পেয়েছে। হুমায়রাও ফুপিকে সব খুলে বলে। মেহরীন কেন রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে। সব শোনার পর ফুপি মাথা নাড়াতে নাড়াতে বললেন,

“মেহরীন একদম ঠিক কাজ করেছে। ইরফানের এমনটা করা উচিত হয়নি। ইরফানের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। মেহরীন কয়দিন আমার কাছেই থাকুক। ইরফান ওকে খুঁজে খুঁজে হয়রান হোক।”

জ্ঞান ফেরার পর মেহরীন চলে যেতে চেয়েছিল। ফুপিই তাকে জোর করে এখানে থাকার জন্য। মেহরীনের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই ভেবে সে-ও থেকে গেল।
.
মেহরীনের ম্যামের কাছে জবটা আবার পেতে চাইলে ম্যাম ওকে না করেনি। মানুষটার উপর কৃতজ্ঞতায় মেহরীনের চোখ ভিজে এলো। আজকাল আপনজনও কারো জন্য এতটা করে না।
রাস্তায় বেরিয়ে মেহরীন বাজারের দিকে হাঁটতে লাগল। তিনবেলা খাবার কিনে খাওয়ার মত তার সামর্থ্য নেই। তার থেকে বরং নিজে রান্না করে খাবে।
পেছন থেকে মেহরীন কারো গলা পেয়ে এক মুহূর্তের জন্য থামল। তারপর গলাটা চিনতে পেরে না শোনার মত করে আবার হাঁটতে লাগল।
ইরফান মেহরীনকে ডাকতে ডাকতে দৌড়ে আসছে।

“মেহরীন। মেহরীন দাঁড়াও।”

ইরফান মেহরীনের সামনে এসে দাঁড়িয়ে হাঁপাতে লাগল। সে জানত এখানে এলে নিশ্চয়ই মেহরীনকে পাওয়া যাবে। হলোও তাই।

“আমার ডাক শুনেও দাঁড়াওনি কেন? ”

মেহরীন আশেপাশে তাকাল। কপাল কুঁচকে বলল,

“আপনি আমাকে কিছু বলছেন? ”

“হ্যাঁ। তোমাকেই বলছি। চলো, বাড়ি চলো।”

“বাড়ি! এক মিনিট, আপনি কে? আমি কি আপনাকে চিনি? এভাবে মাঝ রাস্তায় আমার নাম ধরে ডাকার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? আজব মানুষ! কোত্থেকে যে আসে এরা।”

ইরফানকে অবাক করে দিয়ে মেহরীন কথাগুলো বলে হাঁটতে লাগল। ইরফান হাঁ করে চেয়ে মেহরীনের চলে যাওয়া দেখছে।

চলবে___

আগের পর্ব
https://www.facebook.com/107175347372111/posts/539791880777120/?app=fbl

গ্রুপ
মায়ামহল (নিপা’র গল্প)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here