বাদামী সংসার
পর্ব ১৯
মিশু মনি

সত্বর বেগে বয়ে চলে দখিনা পবন। চারদিকে সন্ধ্যার কালো ছায়া স্থিরতা ভরে আচ্ছাদন করে রাখে, পরম স্নেহে রাত নামানোর প্রচেষ্টা। পশ্চিমাকাশের লালিমা তখনও কাটেনি। ছাদের কার্ণিশ ঘেঁষে দাঁড়ালে বিল্ডিংয়ে ঘেরা শহর পেরিয়ে দূরে একটা বিস্তৃত আকাশ চোখে পড়ে। সেই আকাশের পানে তাকিয়ে আপনমনে ভাবছে নীলাক্ষী। বাবার কথা বড্ড মনে পড়ছে।

সংসারের বয়স হলো প্রায় দেড় মাস। রোজ অফিস, বাসার কাজকর্ম, অম্লানের খেয়াল রাখা, সবমিলিয়ে দিনগুলো চলে যাচ্ছিলো ভালোই। দুদিন ধরে মনটা পুড়ছে। ছোট ভাইটার সাথে কাটানো পরিতোষের সময়গুলোকে মনে পড়ছে। বাবার শিয়রে বসে তার চুল টেনে দিতে ইচ্ছে করছে। প্রকৃতির এই অমোঘ নিয়মে কেন মেয়েদেরকেই সবসময় বিসর্জন করতে হয়, ভেবে কূল পায় না সে।

এমন সময় দোয়েল এসে পাশে দাঁড়ায়। কৌতুহল ভরা কন্ঠে জিজ্ঞেস করে, ‘কি রে নীলু, কি করছিস এখানে একা একা?’

নীলাক্ষী হাসিমুখ ধরে রাখার চেষ্টা করে, ‘এইতো ভাবী এমনি দাঁড়িয়ে আছি।’
‘মন খারাপ?’
‘না ভাবী। বাড়ির কথা মনে পড়ছে।’
‘ও। বাড়ি থেকে ঘুরে আয় দুদিনের জন্য।’

নীলাক্ষী মাথাটা দুদিকে নাড়ায়। বাড়ি যেতে তো তারও ইচ্ছে করে। কিন্তু অফিসে ছুটি নেই। বাড়ি গেলেও রোজ অফিস করতে হবে। শুক্রবারে গিয়ে একটাদিন থেকে আসা যায়। কিন্তু অম্লান তাকে অনুমতি দেবে বলে মনে হয় না। অফিস শেষ করে বাসায় ফিরে যেটুকু সময় পায়, নীলাক্ষীকে পাশে না পেলে হুলস্থুল কান্ড বাঁধিয়ে ফেলবে।

দোয়েল বললো, ‘তোর তো দিনকাল ভালোই চলছে। মন খারাপ করিস না। তোর চাইতে মানুষ কত খারাপ অবস্থায় আছে!’
‘না না। এসব ভেবে আমার কষ্ট নেই।’
‘সেটাই। কষ্ট থাকারও তো সুযোগ নেই। স্বামী, সংসার, চাকরি সব তো পেয়েছিস নিজের মনের মতো। কোনোকিছুর তো অভাব নেই না?’

নীলাক্ষী দোয়েলের মুখের দিকে তাকায়। আবছা অন্ধকারে দোয়েলের বিষন্নতা মাখা মুখখানা সে আড়াল করেনি। নীলাক্ষী হঠাৎ জিজ্ঞেস করেই বসে, ‘কেন? তোমার অভাব আছে নাকি?’

দোয়েল বিদ্রুপের সুরে সামান্য হাসে। একটা ছোট্ট নিশ্বাস ফেলে বললো, ‘নাহ। অভাব আর কিসের। মেয়েদের তো অভাব বলে কিছু নেই। ঠিকমতো ভাত কাপড় পেলেই তার আর কি লাগে বল।’

দোয়েলের কন্ঠ আক্ষেপের সুরমিশ্রিত। নীলাক্ষী অনেক্ষণ তার মুখের দিকে চেয়ে রইলো। ক্ষণিক পরে জিজ্ঞেস করলো, ‘এমন করে বলছো কেন ভাবী?’

দোয়েল আবারও একটা নিশ্বাস ফেলে উত্তর দিলো, ‘তা ছাড়া আর কেমন করে বলবো? মেয়েদের জীবনটা হচ্ছে তেজপাতার মতো। অন্য গাছের পাতারা তাও স্বাধীনতা পায়, ঝরতে পারে, শুকিয়ে পঁচে যায়। কিন্তু তেজপাতা শুকিয়ে মরে গেলেও মানুষ তাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে তরকারিতে দেয়। মজার ব্যাপার কি জানিস? তেজপাতা কেউ খায় না। কেউ তরকারি থেকে তুলে ফেলে দেয়, কেউ চুষে খেয়ে ফেলে দেয়। আমাদের জীবনটাও এই পাতার মতো। সুগন্ধি দিয়ে বেড়ায়। কিন্তু দিনশেষে কেউ খায় না, তুলে ফেলে দেয়।’

নীলাক্ষী দোয়েলের কিছুটা কাছে এসে দাঁড়ায়। দোয়েলের গা থেকে ঘামের গন্ধ বের হচ্ছে। কিন্তু সেই গন্ধটা কেন যেন ভীষণ ভালো লাগে নীলাক্ষীর। মা মা ধরনের গন্ধ। নীলাক্ষী দোয়েলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। এত আক্ষেপে জমানো কথাগুলো শুনতে খুব ইচ্ছে করছে তার। বললো, ‘তোমার কি মন খারাপ ভাবী?’
দোয়েল হাসার চেষ্টা করে, ‘আরে নাহ। আমার মন খারাপ করার দিন আছে নাকি?’

নীলাক্ষী খপ করে দোয়েলের হাত চেপে ধরে বললো, ‘ভাবী। আজকে তুমি এইভাবে কথা বলছো কেন? আগে তো কখনো এভাবে কথা বলো নাই। কি হইছে তোমার? আমাকে বলো না ভাবী।’

দোয়েলের চোখ ভিজে আসতে চায়। ধরা গলায় বললো, ‘জানিস আজকে আমাদের বিবাহবার্ষিকী ছিলো। এর আগের বার্ষিকীতে আমি বাসায় খাবার দাবার রান্না করে সবাইকে খাওয়াইছি। এবার ভাবলাম বাইরে একটু বেড়াইতে যাবো। ওকে আমি একমাস আগে থেকেই বলে রাখছিলাম আমরা এনিভার্সারিতে বাইরে খাবো। একটু ঘুরবো। কালকে মার্কেটে গিয়ে ওর জন্য পাঞ্জাবি কিনে আনছি। ভাবলাম ও হয়তো আমাকে কোনো সারপ্রাইজ দেবে। না দিলেও অন্তত উইশ তো করবে। আমি তিনদিন আগেও ওকে মনে করিয়ে দিয়েছি যে এই তারিখটা মনে আছে তো? ও বলছে হ্যাঁ। রাতে আমি অপেক্ষা করে আছি, একবার উইশ পর্যন্ত করলো না। ভুলেই গেছে। সারাদিন রাগ করে আমি ওকে ফোন দেইনি। সেও দেয়নি। দেখা যাবে এক সপ্তাহ পর হঠাৎ বলবে, দোয়েল অমুক তারিখে তো আমাদের এনিভার্সারি ছিলো। বলো নাই যে? এটা কি আমাকেই বলতে হবে নীলু? তুই বলতো।’

নীলাক্ষী চুপ করে থাকে। অন্ধকারেও সে টের পায় দোয়েলের চিবুক বেয়ে জলের ফোঁটা গড়িয়ে পড়ছে। মেয়েরা সবসময় মিছেমিছি কাঁদে না, মাঝেমাঝে কঠিন দুঃখেও কাঁদে।

দোয়েল চোখ মুছে বললো, ‘জীবনটা আর ভালো লাগে না রে। তুই তো অফিসে যাস, বাইরের দুনিয়া দেখিস। আমি সারাদিন এই চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি। সকালে উঠি, নাস্তা বানাই। সবাই খেয়ে অফিসে যায়। আবার দুপুরের রান্না করি, ঘর মুছি, গোসল করি। নামাজ পড়ে উঠে ভাত খাই। বিকেলে হয়তো একটু ফ্রি থাকি। সন্ধ্যা হতে হতেই আবার রান্না বসাই। এইভাবে তিনটা বছর কাটলো। সংসার তো এটাই, মেনে নিয়েই থাকি। তাও যদি মানুষটা বাসায় ফিরে দুই চারটা ভালোমন্দ কথা বলতো। এসে গোসল করে আমাকে বলে, ভাত দাও। ভাত খেয়ে শুয়ে শুয়ে টিভিতে নিউজ দেখে, নইলে মোবাইলে ফেসবুক চালায়। রাত বাড়লে ঘুমায়। এইভাবেই জীবনটা চলে যাচ্ছে। তোর কপাল দেখে আমার মাঝেমাঝে হিংসা হয় বুঝলি? ভাবি তুই কি করে এমন রাজকপাল পাইলি? তোর পা ধুইয়া পানি খাইলে আমার কপালটা কি ভালো হবে রে নীলু?’

নীলাক্ষী আর স্থির থাকতে পারে না। দোয়েলকে জড়িয়ে ধরে। দোয়েল নীলাক্ষীর বুকে মাথা রেখে হাউমাউ করে কাঁদে। সেই আদিকালে সমাজ সৃষ্টির পর থেকেই গৃহিণীর জীবন এভাবেই আবর্তিত হচ্ছে। দোয়েল দেখেছে তার দাদী, নানী কিভাবে সাতটা বাচ্চাকে মানুষ করতে জীবনটা ক্ষয় করে দিয়েছে। দোয়েল মাকে দেখেছে, মা কিভাবে তার ছেলেমেয়ে আর স্বামীর সেবার দিনরাত ব্যস্ত ছিলো। সারাদিন কাটতো রান্নাঘরে। আনন্দ বলতে দুই ঈদে যখন মেহমান আসতো, একদিন নতুন শাড়ি পরে সবাইকে রান্নাবান্না করে খাওয়ানো। তাদের জীবনটাই এখন পার করছে দোয়েল। সব মেয়ের তো এভাবেই পার করার কথা। সেখানে অম্লান নীলাক্ষীকে নিয়ে প্রায়ই বাইরে বেড়াতে যায়। দুজনে বাসায় ফিরে হাসাহাসি করে, বাড়িটাকে বানিয়ে ফেলে স্বর্গ। তাদেরকে দেখে দোয়েলের বুক ফাটে, ভীষণ কষ্ট হয় তার। নীলাক্ষীর কেন আর সব মেয়ের মতো পরিণতি হয় নি? কেন! দোয়েল বড় বড় নিশ্বাস ফেলে কান্না চেপে মাথা তোলে।

নীলাক্ষী সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা খুঁজে পায় না। দোয়েলকে বললো, ‘ভাবী চলো আমরা বাইরে যাই৷ তোমাকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে আসি।’
‘না রে। ইচ্ছে করে না আমার।’
‘আরে চলো তো। মন ভালো হয়ে যাবে।’
‘যার সাথে যাওয়ার স্বপ্ন সারাজীবন দেখলাম, সেই কখনো নিয়ে গেলো না।’
‘এসব ভেবে কষ্ট পেও না ভাবী। চলো আমরা বাইরে যাই।’
‘তুই তো একটু আগেই অফিস থেকে ফিরলি?’
‘সমস্যা নেই। তুমি একটা সুন্দর শাড়ি পরো। আমরা দুইবোন মিলে ঘুরে আসি।’

দোয়েল চোখ মোছে। মনের অবস্থা ঠিক কোনদিকে সে বুঝতে পারে না। স্বামীর জন্য প্রতীক্ষার কথা সে ভুলেই গেছে। নীলাক্ষীর সাথে বাইরে যেতে ইচ্ছে করছে, আবার ইচ্ছে করছে না। দোটানায় ভুগছে সে। নীলাক্ষী দোয়েলকে টানতে টানতে নিচে নিয়ে এলো। বললো, ‘তুমি একটা ফ্রেশ গোসল দিয়ে আসো। আমি তোমাকে সাজুগুজু করিয়ে দিবো। দেখবা মন ভালো হয়ে যাবে। তারপর আমরা বাইরে যাবো।’

‘কিন্তু রাতের রান্না করেছি তো। বাইরে খেলে আমাদের খাবারগুলো কে খাবে?’ জিজ্ঞেস করে দোয়েল।

‘আরে এগুলা ফ্রিজে রাখলে হবে। সকালে গরম করে খেয়ে নিবো। এখন যাও তো। আগে গোসল দিয়ে আসো।’
‘এই সন্ধ্যায় গোসল?’
‘ধুর ভাবী। যাও তো। গোসল করলে শরীর ফুরফুরে লাগে, মন ভালো হয়। যাবা নাকি বালতিতে করে পানি এখানে আনবো?’

দোয়েল ফিক করে হেসে বললো, ‘আচ্ছা যাচ্ছি। মা কিছু বলবে না?’
‘মাকে আমি রাজি করাচ্ছি। তুমি যাও।’

দোয়েল নিজের ঘরের দিকে চলে গেলো। কান্নার রেশটা আপাতত কেটে গেছে তার। যদিও স্বামীর উদাসীনতার প্রতি ভীষণ রাগ জন্মাচ্ছে, তবুও মনটা অন্যদিকে মোড় নেয়ায় কিছুটা ভালো লাগছে এখন।

নীলাক্ষী ঘরে এসে অম্লানকে কল দিলো। দুবার রিং হতে ফোন ধরলো অম্লান, ‘হ্যাঁ নীলু বলো।’
‘তুমি কোথায়?’
‘অফিস থেকে বের হয়েছি।’
‘এখনই বাসায় আসবা?’
‘একটু দেরি হবে। কেন?’
‘আজকের রাতের জন্য তোমার কাজ স্থগিত রাখা যায়?’
‘তেমন কোনো কাজ নেই। ফাইরুজ ডাকছিলো আরকি।’
‘তাহলে শোনো।’

নীলাক্ষী মোবাইল হাতে নিয়ে বেলকনিতে এসে দাঁড়ায়। মৃদু স্বরে বললো, ‘আজকে ভাইয়া ভাবীর এনিভার্সারি ছিলো। তোমার গুনধর ভাই তো সব ভুলে বসে আছে। ভাবীর সেভাবে কেয়ারও করে না। আজকে ভাবী অনেক কান্নাকাটি করেছে বুঝেছো?’

অম্লান বললো, ‘ওহ। তাহলে কি কেক নিয়ে আসবো?’

নীলাক্ষী বললো,’কেক টেক পরে। মেয়েটা সবসময় বাসায় থেকে থেকে জেলখানার কয়েদী হয়ে গেছে। আগে ভাবীর মনটা ভালো করে দিতে হবে।’

অম্লান কিছু বুঝতে না পেরে জানতে চায়, ‘কিভাবে?’

নীলাক্ষী বললো, ‘তুমি ভাইয়াকে ফোন দাও। দিয়ে বলো ভাবী অনেক কষ্ট পেয়েছে। ভাইয়াকে নিয়ে তুমি মার্কেটে গিয়ে একটা গিফট কিনবা। তারপর তাকে সাথে নিয়ে নয়টার দিকে গ্রিন হাউজ রেস্টুরেন্টে চলে আসবা। আমি ভাবীকে নিয়ে যাচ্ছি। ভাইয়াকে বলবা এসে যেন ভাবীকে সরি বলে। মেয়েদের মনটা অনেক নরম বুঝছো। একবার সরি বলে একটা গিফট দিলে দেখবা তিন বছরের সব কষ্ট ভুলে গেছে।’

ফোনের ওপাশে অম্লানের হাস্যোজ্জ্বল কন্ঠস্বর শোনা গেলো। সে হাসতে হাসতে বললো, ‘তোমার মাথায় তো অনেক বুদ্ধি।’
‘চুপ করো। নয়টার মধ্যেই আসবা। আমি ভাবীকে শাড়ি পরিয়ে সাজুগুজু করিয়ে দেই। এখন রাখি।’
‘তোমার জন্য গিফট কিনতে হবে?’
‘কি উপলক্ষে?’
‘আজকে আমাদের বিয়ের দেড় মাস পূর্তি সেই উপলক্ষে।’
‘ঢং দেখলে বাঁচি না। আপনি পারলে আপনার ভাইকে একটু জ্ঞান বুদ্ধি দান করেন। বউয়ের দিকে একটু মনোযোগী হইতে বলেন। নইলে কোনদিন দেখবা গলায় দড়ি দিয়ে ঘরে মরে পড়ে আছে।’
‘নীলু, কি বলো যা তা।’
‘ভাইয়াকে এটা বুঝাইয়া বলিও। রাখি।’

নীলাক্ষী ফোন রেখে দোয়েলের ঘরে ঢোকে। দোয়েল গোসল সেরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছছে। চোখ দুটো রক্তাক্ত বর্ণের। কান্নার পর মেয়েদেরকে খুব পবিত্র দেখায়, দেখলে শরীরটা কেমন ঝা ঝা করে ওঠে।

নীলাক্ষী আলমারি খুলে বললো, ‘কোন শাড়িটা পরবা ভাবী?’

দোয়েল বেছে বেছে দুটো শাড়ি বের করে। কিন্তু দোটানায় পড়ে যায় কোন শাড়িটা পরবে সেটা ভেবে। কারণ দুটোই তার পরতে ইচ্ছে করছে।

নীলাক্ষী দুষ্টুমি করে বললো, ‘ভাবী তাহলে এক কাজ করো। কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত একটা পরো আর কোমরের ওপরে আরেকটা পরো।’

হেসে ফেললো দোয়েল। নীলাক্ষী পরম যত্নে দোয়েলকে শাড়ি পরিয়ে দেয়, এরপর সাজুগুজু করিয়ে আয়নার সামনে এনে দাঁড় করায়। মনটা অনেকটাই ভালো হয়ে গেছে দোয়েলের। বুকের ভেতর সীমাহীন উত্তেজনা তোলপাড় করছে। নীলাক্ষী দোয়েলকে আয়নার সামনে রেখে শাশুড়ীর ঘরে যায়। রাত হয়েছে, তাই তিনি কিছু বলবেন কিনা সেটা ভাবনার বিষয়। শাশুড়ী মা বাইরে যাওয়া নিয়ে খুব একটা আপত্তি করলেন না। নীলাক্ষী যখন বললো বাইরে তারা দুই ভাই অপেক্ষা করছে, তখন তিনিও বেশ অবাক হলেন। মা ও দাদীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দোয়েলকে সাথে করে বাইরে বের হলো নীলাক্ষী। তার মনেও প্রবল উত্তেজনা কাজ করছে। ভাবী যখন ভাইয়াকে আসতে দেখবে, কি অবাক টাই না হবে! নিশ্চয় কেঁদে ফেলবে খুশিতে। সেই বিস্মিত মুখটাই দেখার জন্য একেবারে তর সইছে না নীলাক্ষীর।

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here