বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤Part: 27
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
…….

কাতেল আগার কারনা হো তো কারনা ধীরে ছে….
উফফফ ভি নেহি নিকলে গি মেরে হোটোছে….

“” যতই যন্ত্রনা দেও না কেন কিছু বলব না….
প্রমিস যখন করেছি রাখব।কিন্তু তোমাকে ছাড়ার প্রমিস করিনি কিন্তু সো….. আমার শাস্তি শেষ হওয়া মানে তুমি আমার বুকে থাকবে তুর । remember it…. ”

তীব্রের এমন আবেগসুলভ কথায় প্রচন্ড রাগ উঠল তুরের। যেই মানুষটাকে ও মিথ্যের জালে বন্দি করে এত বড় শাস্তি দিতে চাচ্ছে সে কিনা এখনো ওর জন্য পাগলের প্রলাপ বকছে। তার চেয়েও বড় কথা তীব্রের এমন প্রেমসিক্ত বাক্য যে কাউকে প্রভাবিত করতে পারবে। কেউ যদি সত্যিটা না জানে তবে তুরকে পাষন্ডী উপাধি টা দিতে হয়ত একটু সংকোচ করবে না। আর জেনে থাকলেও তীব্রকে পাগল প্রেমিক বলবে। কারন এমন স্পর্শ কাতর বানী যেকারো মনকে নিমিষেই বিগলিত করতে পারে। কেমন জানি ঘোর লাগে ওসব কথা। নেশাক্ত করে দিতে পারে মুহুর্তেই। এই নেশার জালেই বার বার বাধা পরেছে তুর। আবার সেই নেশাক্ত ডাক। কিন্তু এখন নেশা লাগলেও তা উপেক্ষা করার রাস্তা ঠিক খুজে নিতে পারবে ও। এমন ভাবনায় বিভোর তুরের ঘোর ভাঙে তীব্রের কথায়……
——– ” যদি ভুলতেই চাও তাহলে এভাবে আমার কথা ভেব না তুর। কোন মানুষ অন্য মানুষের জন্য কখনোই অনুভুতির সৃষ্টি করতে পারে না। যেটা সৃষ্টি করতে পারে সেটা হচ্ছে তার বিপরীতে থাকা মানুষটাকে তাকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য করা। আর যদি সে বিপরীতের মানুষের মতিষ্কে তার ভাবনার বীজ বুনতে পারে তবে সে সফল ভাবে তাকে নিজের আয়ত্তে আনতে পারে। আর বিপরীত লিঙ্গের উপর যখন সেটা প্রয়োগ করা হয় তখন সেটার নাম হয় অনুভুতি। যা পরে ভালোবাসার রুপ নেয়। এখানে ভালোবাসা বলতে কিছু নেই সবই মতিষ্কের খেল। তাইত একজনকে ভালো লাগার পরও অন্য কারো প্রতি অনুভুতি আসতে পারে। কেন জানো? কারন মানুষ তার বিপরীত মানুষের থেকে এটাই আশা করে নিজের নিরাপত্তা। আর তা যার কাছে পায় তাকেই ভালোবাসার নামের উপাধি দিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ করতে চায়। আর এটাই হচ্ছে লজিক। যদিও আবেগী মানুষের মতে ভালোবাসার কোন লজিক হয় না।

দেয়াল গেশে বসে নিজের এক হাটু ভাজে রেখে অন্য হাটু দোলাতে দোলাতে মাথা নিচু করে কথা গুলো বলল। বোঝাই যাচ্ছে কথাগুলো সম্পুর্ন তুরকে বিদ্রুপ করার জন্য বলেছে। বেশ রেগে গেল তুর…. ও কারগারের শিকে হাত দিয়ে চিতকার করে জিজ্ঞেস করল,
——- ” কি বোঝাতে চাইছেন আপনি? আমি বোকা? আপনি আমাকে বাধ্য করেছেন ভালোবাসতে? ”

কথাটা শুনেই তীব্রের ঠোঁটের কোনায় শয়তানির বাকা হাসি ফুটে উঠে। আর তুর থমকে যায় এইটা ভেবে ও সবার সামনে এটা কি বলল? তীব্র ঠিক একই ভাবে বসে তুরকে উদ্দেশ্য করে বলে,
_——- ” শুধু যে ভালোবাসতে বাধ্য করেছি তা নয় তোমাকে আজকে সবার সামনে বলতেও বাধ্য করলাম তুমি আমাকে শুধু ভালোবাস না পাগলের মত ভালোবাস। আর তুমি এটা মানতে পারছ না যে আমি গেইমের মাধ্যমে তোমাকে নিজের প্রতি দুর্বল করেছি ভালোবেসে নয় আর সেজন্য তোমার এতটা অস্তিরতা। ”

-_——- ” কি বলতে চাইছেন আপনি? — [ প্রচন্ড রেগে শান্ত গলায় ]
——— ” এটাই তোমার সাথে করা অন্যায়ের শাস্তি তুমি আমাকে দিতে চাও না। বরং তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে তোমাকে পাওয়ার জন্য কতটা অস্থির হতে পারি, সেই অস্থিরতা দেখতে চাও তুমি। কতটা পাগলামি করতে পারি? কতটা বেপরোয়া করে দিতে তোমাকে পাওয়ার নেশা আমাকে? ”

কথাটাগুলো শুনে তুরের গায়ে কাটার মত বিধতে থাকে। মনে হচ্ছে বিষাক্ত কোন তরল ওর শিরা উপশিরা দিয়ে রক্তের ধারায় ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। ও নিজেকে শান্ত করতে না পারে লোহার কারগারার শিক ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে পাগলের মত করতে লাগল।অঝোরে পানি পরছে চোখ থেকে তবে সেটা দুঃখের নয় রাগের। তীব্রের কথাগুলো আঘাত করছে ওর মনে। বড্ড বাধছে নিজের আত্ম সন্মানে যাকে কিনা শাস্তি দেওয়ার জন্য মরিয়া তুর। সেই শাস্তির কারন স্বরুপ তীব্র বলছে, ” এটা তীব্রের কর্ম ফলের শাস্তি নয়। বরং প্রেমিকের অস্থিরতা দেখার তীব্র আকাঙ্কা। সেটা শুধু তুরের নয় যেকোন মেয়ের জন্য অপমানের। তুর এতটাই পাগল হয়ে গেছে লোহাত শিক হাত দিয়ে ঝাকানোর কারনে হাত লাল হয়ে কেটে যাওয়ার অবস্থা। সানি এই অবস্থা দেখে ছাডানোর চেষ্টা করছে কিন্তু তুর নাছোড়বান্দা। ও চিতকার করে বলতে লাগল,
——– ” আপনি ভাবেন কি নিজেকে? আমি আপনাকে ভালোবাসি না বুঝলেন। শুনেছেন আপনি…. ”

তীব্র এতক্ষন নিচের দিকে তাকিয়ে থাকলেও এবার তুরের দিকে তাকিয়ে নিজের ঠোঁটের কোনে রহস্যময় হাসি ফুটিয়ে তোলে তারপর নিজের মনে মনে বলে,
——– ” সেই তুমি তীব্রের পাতা ফাদে আবার পা দিয়েই দিলে। তীব্রের কথা তোমাকে আবারো প্রভাবিত করেই ফেলল। তুমি নিজেও জানো না তুমি কার সাথে মাইন্ড গেম খেলেছ। আমার দুর্বলতার সুযোগ তুমি নিয়েছ। বড্ড ভুল করে বলেছ। তবে কিছু বলব না। আমাকে অস্থির করতে চেয়েছ তাই না। Ok done… এবার তুমি নিজের অস্থিরতা দেখবে এই জন্য, তোমার সাথে তীব্রের দেখা কেন হয়েছিল। এ খেলায় বড্ড কাচা খিলাড়ি তুমি। যদি তোমায় পাগল না করে ছাড়ি তবে আমিও তীব্র নই। ” — [ তুরকে বাজের নজরে দেখে চলেছে। কারন তুর নিজেকে নিজেই তীব্রের শিকার বানিয়েছে। ওদিকে তুর চিতকার করে কান্না করেই চলেছে। ওকে এভাবে কাদতে দেখে তীব্র সব আক্ষেপ যেন নিমিষেই মিলিয়ে গেল। অদ্ভুত পৈশাচিক আনন্দ হতে লাগল। আর তুরের অস্থিরতাও বেড়ে যাচ্ছে…. এটা দেখে খুব বিরক্তি নিয়ে ইন্সপেক্টর শাওনকে উদ্দেশ্য করে বলল,
——— ” আমার প্রেয়সী তার প্রিয়তমের বুকে এসে নিজের মনকে শান্ত করতে চাচ্ছে। আমাকে আটকে রেখেছ মানলাম ওকে কেন রেখেছ। প্লিজ ওকে আসতে দেও। আমারো যে অস্থিরতা বেড়ে গেছে ওকে একটা বার বুকের মাঝে আকড়ে ধরার জন্য। ”

তীব্রের এমন কথায় তুরের সাথে সানি আর শাওনের রাগটাও বেড়ে গেল। আর থানার বাকি মানুষ তীব্রকে পাগল রোমিওর উপাধি দিয়ে দিয়েছে।

_—— ” চুপ করুন তীব্র নিতে পারছি না আর আমি? ”
——- ” তোমাকে আগেও বলেছি ভালোবাসা নেশার মতই as like drugs. আর এই নেশাকে যদি তুমি খুব সহজে সহ্য করার চিন্তা করো তবে তুমি ভুল তুর। এই নেশা মৃত্যুকে বরন করে শুধুমাত্র তার প্রিয়কে কাছে পাবার আশায় খুব ভয়ংকর তা। তোমার অস্থিরতা আমার কথায় না আমার থেকে দুরে যাবার ভয়ে। ”

উদ্বেগিত তুর বুঝতে না পারলেও সানি বুঝতে পারছে তীব্র এসব কেন বলছে। ও তুরকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলে তীব্র নিজের জায়গা থেকে উঠে এসে কারাগারের বড় বড় শিকের ফাক দিয়ে তুরের হাত ধরে। তুর জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে চোখের জল ফেলতে থাকে। তীব্রের ছোয়ায় প্রচন্ড রাগে শান্ত চোখে তাকায়।
——– ” ভালোবাসা প্রতিটা মুহুর্ত একা আমার ছিল না তুর। তার সাথে তোমার ও ছিল। তোমার ইচ্ছে অনিচ্ছা ভালো লাগা খারাপ লাগা সবই ছিল। দুজনের দুরত্বে সেই আবেগ, আদর, ভালোবাসা স্পর্শ তোমাকে যেমন কষ্ট দেয় তেমনি আমাকে ও। তোমাকে যখন ওয়াদা করেছি তোমাকে আটকে রাখার শাস্তি আমি নিজেকে দিব তখন তাই হবে। তবে মনে রেখে সেটা শুধু তোমাকে বন্দি করার শাস্তি। কারন ভালোবাসার পাপ আমরা দুজনেই করেছি। তাই শাস্তিটা পেলে দুজনেই পাব। ”

এই কথার প্রক্ষিতে তুর কিছু বলতে পারল না। তীব্র ওভাবেই ওর কপালে গভীর চুমো আকে। মুহুর্তেই তুর নিজের চোখ বন্ধ করে নেয়। আর ওখানের সবাই অবাক। ঠিক তখনি সানি এসে তুরকে ছাড়িয়ে নিতে চায়।তুরকে দুরে সরাতে পারলেও তীব্র ওর হাতের কব্জি ধরে। এতক্ষনে ঘোর কাটে তুরের। ও নিজেও তীব্রের থেকে নিজের হাত ছাড়াতে চায় কিন্তু ছাড়ে না তীব্র। এটা দেখে শাওন ওকে ছাড়তে বলে। কিন্তু তীব্রের হেল দোল না দেখে ও একটা লাঠি দিয়ে তীব্রের হাত কব্জি আর গিটের মাঝে মারতে থাকে। কিন্তু তীব্র দাত চেপে তা সহ্য করে নেয় । এমন অবস্থায় তুর কেদে তীব্রেকে ছাড়তে বলে। কিন্তু তীব্রের ছাড়ার নাম নেই। শাওন নিজের গান বের করে তার উল্টো পিঠ দিয়ে তীব্রের কব্জিতে আঘাত করতেই তীব্রের হাতে ঝিনঝিন একটা অনুভুতি হয়ে হাতটা আপনাতেই ছেড়ে যায়। এই প্রথম তীব্রের মুখ থেকে ব্যাথার আর্তনাদ শুনতে পায় তুর। তুর সামনের দিকে পা বাড়াতেই সানি হাত চেপে ধরে ওকে তীব্রের নাগালের বাইরে নিয়ে বেশ রেগেই বলে,
——- ” কি হচ্ছে তুর আবার কেন যাচ্ছ ওর দিকে? ”

তুর আনমনা ভাবে কাপতে কাপতে তীব্রের দিকে তাকিয়ে জবাব দেয়,
——- ” তীব্র ব্যাথা পেয়েছে। হাতে লেগেছে… ”
——- ” পাগল হয়েছিস তুই? কি করতে চাস। ”

প্রচন্ড রেগে তুরকে ঝাকিয়ে বলে। তুরের ঘোর কাটে এই দেখে তীব্র বেশ রেগেই লোহার শিক ধরে বলে….
—— ” শাস্তি দিতে এসোছ তাহলে যন্ত্রণা দেখে কাপছ কেন? ”

এইটা শুনে শাওন ভিতরে ঢোকে। গিয়েই তীব্রেকে একটা লাথি মেরে ফেলে দেয়। পিলে চমকে উঠে তুরের। ও বাক রুদ্ধ হয়ে গেছে। আর শাওন এলোপাতাড়ি ভাবে ওকে মারতে মারতে বলে….
——- ” তুই ভালো কথা শোনার মানুষ না। একটা মেয়েকে জোর করে আটকে রেখে, নির্যাতন করে এখন ভালোবাসার পাঠ পরানো হচ্ছে। তোদের মত পশুদের কথা জানা আছে আমার। না জানি কত মেয়ের জিবন এভাবে শেষ করেছিস। এখন ধরা খেয়ে ভালোবাসার দোয়াই দিয়ে ব্রেন ওয়াস হচ্ছে। ”

কথাগুলো বলছে আর নির্মম ভাবে মারছে তীব্রকে। তীব্র কিছু বলছে না। এটা দেখে শাওন আরো রেগে যায়। তুর কিছু বলতে যাবে তার আগেই শাওন বলে উঠে,
_—— ” সানি মেয়েটাকে এখান থেকে নিয়ে যা। ও মানসিক ভাবে এসব দেখার জন্য প্রিপিয়ার নয়। ”

তুর অস্ফুটস্বরে তীব্র তীব্র ডাকলেও গলা দিয়ে আওয়াজ বেড়োল না। সানি জোর করে টেনে হিচড়ে ওকে সেখান থেকে নিয়ে গেল। তুর যেতেই তীব্র শাওনকে থামাল। কিন্তু শাওনের রাগটা আরো বেড়ে গেল। আর এখানের সব পাওয়ার ওর হাতে। ও কনিন্সটেবলদের ডাকিয়ে তীব্রকে বাধতে বলল।
——- ” এটা তুমি ঠিক করছ না। আইনের লোক হয়ে বেআইনি ভাবে আমার সাথে…. ”

কথা শেষ হবার আগেই ওর মুখ বরাবর একটা ঘুশি পারল শাওন। গাল কেটে গেল সাথে মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে লাগল।
——- ” আমাকে আইন শিখাতে আসিস না। তোর যে সোর্স আছে তা দিয়ে কাল কোর্টে যেকোন ভাবে তুই নিজেকে ছাড়িয়েই নিবি। আইনের ফাক ফোকড় খুজে বেড়িয়েও যাবি। তাই তার আগে আমি তোর এমন ব্যবস্থা করব যাতে সারাজিবন তুই মনে রাখিস কোন মেয়ের সন্মান নিয়ে খেলার শাস্তি কি? ”

তীব্রের চুল গুলো ধরে এক নাগাড়ে বলল কথাগুলো।
_——- ” আমার যদি নিজেকে ছাড়ানোর ইচ্ছে থাকত তাহলে আমি এতক্ষনে বাইরে থাকতাম। ”
——– ” তাহলে আর কি নিজের ইচ্ছায় যখন শ্বশুর বাড়ির আদর খেতে চাস সেটা তো ভালো কথা। এই কে আছিস এই ডাক্তারকে পুলিশের ডাক্তারি দেখানোর ব্যবস্থা কর। যার নাম 3rd degree ”

তখনি তীব্রকে কোথাও একটা নিয়ে যাওয়া হয়। তীব্র বুঝে উঠার আগেই ওর শার্ট ছিড়ে ফেলা হয়
গায়ে গরম পানি ঢেলে দিতেই তীব্র দিক হারিয়ে ফেলে। কিছুটা নিশ্বাস নিতেই দেখে শাওনের হাতে মোটা লাঠি যাতে তেল লাগানো। বুঝতে পারে শাওন এসব পার্সোনাল ইগোর জন্য করছে। তীব্র কিছু বলার আগেই শাওন নিজের শার্ট খুলে নেয়….. তারপর তীব্রের কাছে এগিয়ে বলে…..
——- ” আজ তোর এমন অবস্থা করব মেয়েদের নিয়ে নোংরা খেলার স্বাদ মিটে যাবে। তোদের জন্যই তুরের মত মেয়েরা আজ সমাজে লাঞ্চিত। আর তার দোষ পরে পুরুষ সমাজের। সেটা তোদের মত কাপুরুষের জন্য। আর তুরের কি সে তো….”
——- ” আমাকে নিয়ে যা বলার বল। কিন্তু তুরের ব্যাপারে একটাও বাজে কথা না। ”
——- ” কেন রে ওই মেয়েটাকে অপবিত্র করার আগে মনে ছিল না। যে ওর লাইফ নষ্ট করছিস। ”
—— ” তুর না অপবিত্র ছিল, না হয়েছে ওর পবিত্রতা সামান্য টুকু ক্ষুন্ন… ”

কথাটা পুরো না করার আগেই শাওন ওকে অতন্ত্য নির্মম ভাবে মারতে থাকে। প্রথম দিকে সহ্য করতে পারলেও পরে আর সেটা ছিল না। না চাইতেই আর্তনাদ বেড়িয়ে এলো ওর কন্ঠ থেকে।

★————————–★————————–★

ওদিকে রিদ্ধ বেল নেওয়ার জন্য গিয়েও ব্যর্থ। কারন কোর্ট ততক্ষনে বন্ধ হয়ে গেছে। আর কাল শুক্রবার আর শনিবার ও সরকারি ছুটি। তাই ওকে রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। রিদ্ধ বুঝতে বাকি নেই যে এটা হঠাৎ করে করা হয়নি। প্লান মাফিক করা হয়েছে। আর তুরকে গুটি হিসেবে শুধুমাত্র ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্ত এত ক্ষনে সবজায়গায় এই ব্রেকিং নিউজ পৌঁছে গেছে যে, বিখ্যাত ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট Sr. অরফে ড. রায়হান জেলে বন্দি…….

কথা গুলো জানতে পেরে তুষার আর অরুন আসে সাথে তায়ান ও কিন্তু ওদের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয় না তীব্রকে। রিদ্ধ, ম্যানেজার বলার পর ও লাভ হয়নি। আইনের দিক দিয়ে রিদ্ধর পক্ষে কিছুই করা পসিবল না। আর অন্যভাবে কিছু করতে পারছে না। কারন তীব্র ওকে নিষেধ করে দিয়েছে। শেষ মেষ বাধ্য হয়েই ওরা ফিরে যায়।

ওরা যাওয়ার পর থানায় তোয়া আসে। যেহেতু তুরের বোন আর তোয়া কেস করেছে তাই শাওন ওকে দেখা করার পার্রমিশন দেয়। তোয়া ভিতরে গিয়ে তীব্রেকে দেখেই কেপে উঠে। তীব্র ক্লান্ত হয়ে মাটিতে পরে আছে। খালি গায়ে তীব্রের ক্ষত গুলো ওর সামনে স্পষ্ট। ও কেদেই দেয় তীব্রকে দেখে। ওর কান্নার আওয়াজে তীবে আলত করে ওর দিকে তাকায়। তারপর আলত করে খুব কষ্ট করেই সেলের সামনে এসে দাড়িয়ে ঢুলতে ঢুলতে ব্ললে……
—— ” এটাই চেয়েছিলে তাই না। ” কাশতে কাশতে।
—— “i am sorry doctor rayhan. আজ আমার জন্য এত সব কিছু হল। আমি তুরকে সব সত্যি….. ”
-_— ” এমন ভুল ভুলেও করো না তোয়া। এখন এসব বললে আমার কোন উপকার হবে না। কিন্তু তুরের কাছে তুমি ছোট হয়ে যাবে। আর তায়ান আর তোমার মাঝে দেয়াল সৃষ্টি হবে। আমার এই অবস্থার কারন নিজেকে মনে করে নিজের কাছে ছোট হয়ে যাবে। কিন্তু আমার লাভ হবে না।”
—— ” আপনার মান সন্মান, নাম সবাই ছি ছি করছে। ”
—— ” তাহলে কি করতে বলো? তোমার বোনকে দোষী করে নিজেকে বাচিয়ে দেওয়া।”
তোয়া চুপ।
——- ” দেখ তোয়া আমার যা করার সময় মত করব। কিচ্ছু হবে না আমার। তুমি প্লিজ তায়ানকে সামলাও তুমি নিজেও জানোনা আমার এই অবস্থায় তায়ানের অবস্থা আমার চেয়েও খারাপ। আমি ওকে জানি। আর কাল বিয়েটা যেন কোন ভাবে বন্ধ না হয়৷ ”
—— ” কিন্তু…. ”
–_— ” কোন কিন্তু নয়। তুমি তুর আর তায়ানকে দেখ। আমি জানি কঠোরতা দেখালেও ওরা কতটুকু কঠোর। ”

তোয়া আর কিছু না বলে চলে যায়। এইটা দেখে তীব্র একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে।
——- ” তীব্রের কারো হেল্প প্রয়োজন নেই। সময় হলে তীব্র নিজের রং ঠিকি দেখাবে। পাশার চাল বদলাতে সময় লাগেনা। এক মুহূর্তেই বদলাতে পারে। ”

,[ বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন ]🤣🤣

★————————-★————————–★

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here